সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

Tala Pictuer 28.05.17 (1)তালা প্রতিনিধি : তালায় ২৬ দফা দাবীসমূহ জাতীয় বার্জেট-পূর্বে আলোচনা শিক্ষাই কাম্য অর্থায়ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে তালা উপজেলা শিক্ষা- কর্মচারী কো-অপারাটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ অফিসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) সদস্য, এশিয়া সাউথ প্যসিফিক এসেসিয়েশন ফর বেসিক এন্ড এডাল্ট এডুকেশন (এ্যাসবো) আয়োজনে ও একশনএইড বাংলাদেশ সহযোগিতায় ২৬ দফা দাবিসমূহ আলোচনা বক্তব্য রাখেন, তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন শিক্ষক স্বপন কুমার মিত্র, আফরুহী পারভীন,  শিখা রানী চৌধরী, কুহেলী নাছরিন, মারুফা জোয়াদ্দার, কেকা মৌলিক, দুলাল ঘোষ, সূর্য পাল, চন্ডী দাস হাজরা, দীপ্তি রানী মন্ডল, সাংবাদিক আব্দুল আলীম ও সেলিম হায়দার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রাইমারী শিক্ষক, হাইস্কুলের শিক্ষক, কলেজ শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2017-05-28 16.02.31কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া, বাটরা, পাঁচপোতা এলাকায় আওয়ামীলীগের দুু-গ্রুপের সংঘর্র্ষে প্রতিপক্ষের পৃৃথক হামলায় নারীসহ ৮ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু-গ্রুপের সংঘর্র্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনাটি শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামে, ৮টার দিকে বাটরা গ্রামে ও ৯ টার দিকে পাঁচপোতা গ্রামে পৃথক স্থানে ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হল লাঙ্গঝাড়া গ্রামের মানিক সরদারের দুই ছেলে মোমরেজ (৪৬) ও মুসা করিম (২২), একই গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে হারুন (৪৮) ও তার চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৬), বাটরা গ্রামের মোল্লাহ পাড়ার মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে গোলাম রব্বানী (৪২), সরদার পাড়ার মৃৃত মুক্তিযোদ্ধা আফসার সরদারের ছেলে আব্দুস সামাদ (৩৮), পাঁচপোতা গ্রামের হারান সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৩০)। বাটরা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আমজাদ হোসেনসহ দুু-গ্রুপের ৬ আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করা হয়। তারা হল আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস গফ্ফার, আব্দুল হামিদ, আব্দুল মালেক, মোখলেছুর রহমান ও আব্দুুস  ছাত্তার। হাসপাতালে আহত ব্যক্তি লাঙ্গলঝাড়ার মোমরেজ জানান, শুক্রবার বিকালে লাঙ্গলঝাড়া কামারপাড়ার মাঠে ফয়সাল ও হাসানের নেতৃত্বে জুনিয়র ক্রিকেট খেলার অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিকেট খেলায় হাসানের দল জয়ী হয়ে ফয়সালের দল হেরে যায়। ফয়সালের দল হেরে যেয়ে হাসানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সাল হাসানকে মারমুখি আচারণ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় মাঠের পাশে পুকুরে গোসল করতে নেমে উভয় দলের সহকর্মীরা হাসান ও ফয়সালের সাথে পানিতে কথা কাটাকাটি করে। কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে ফয়সাল হাসানকে পুকুরের পানির নিচে মাথা চেপে ধরে হাসানকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। হাসানের সহকর্র্মীরা পানির মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে লাঙ্গলঝাড়া বাজারে আব্দুর রশিদ ডাক্তারের নিকট নিয়ে আসেন। ডাক্তার চিকিৎসা শেষ করিয়ে ৩ঘন্টা পর হাসানের জ্ঞান ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে বাসায় নিয়ে যায়। এরই জের ধরে সুযোগ বুঝে শনিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দুু-গ্রুপের হামলায় মোমরেজ, মুসা করিম, হারুন, মান্নান, বাশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারামারি করে জখম হয়। অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাবির নামাজের সময় বাটরা সানাপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের হামলায় গোলাম রব্বানী, আব্দুস সামাদ আহত হয়ে জখম হয়। এছাড়া একই রাতে পাঁচপোতা গ্রামের ঘর বাঁধাকে কেন্দ্র্র করে শহিদুলের নিজ জায়গায় কচাগাছ থাকায় তা কর্র্তন করে প্রতিপক্ষ মোখলেছুর, লাল্টুু, ও নাজমুল দু-দফায় হামলা চালিয়ে জায়গার মালিক শহিদুুল ও তার স্ত্রী জাহানারাকে এ্যলোপাতারী বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। বর্র্তমানে আহতরা কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতদের মাথাকাটাসহ শরীলের বিভিন্ন অংশে আঘাটে চিহ্ন ফোলা জখম হয়। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আটকদের সাতক্ষীরা জেল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1493577439_80.gifনিজস্ব প্রতিবেদক :  জালিয়াতির মাধ্যমে সনদপত্র তৈরি করে নয় বছর ধরে আইনজীবী সেজে বিচারপ্রার্থীদের প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সদস্য কথিত অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বাপ্পির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড, ওসমান গনি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়।  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জেলার শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের এসএম আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হইয়া ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। তার শিক্ষা সনদ জাল (এলএলবি) মর্মে গোপন সূত্রে জানতে পেরে মূল কাগজপত্র দাখিলের জন্য আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তার পাসপোর্ট, প্রভিশনাল সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকাপি সংযুক্ত করে জবাব দাখিল করেন। গত ২৩ মে তার উপস্থিতিতে কার্য নির্বাহী পরিষদের সভায় শুনানী গ্রহণ করা হয়। এ সময় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তার এলএলবি সার্টিফিকেটটি জাল বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ওসমান গনি জানান, তাদের এ আদেশ সংক্রান্ত চিঠি খুব শ্রীঘ্রই ঢাকা বার কাউন্সিলে পাঠানো হবে। এ আদেশের অনুলিপি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা ও দায়রা জজ, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঢাকা বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দেওয়ার নামে সাতক্ষীরা জজ আদলতে কমপক্ষে ৩০ জন কোর্ট টাই পরে আইনজীবী সেজে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তাদেরকে শিক্ষা নবীশ হিসেবে প্রত্যয়ন বা কার্ড সংগ্রহের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। যারা সেটা না মেনে কাজ চালিয়ে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতি খুব শ্রীঘ্র ব্যবস্থা নেবে।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য জানান, সনদ জালিয়াতি করে জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করার সুবাদে জাতীয়দাবাদি আইনজীবী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা রাখতের মিজানুর রহমান বাপ্পি। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির দু’বার নির্বাহী সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। আওয়ামী সরকার বিরোধী ও আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বিগত আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বন্ধ করতে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ মিজানুর রহমান কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদরের পল্লী বিদ্যুতের শুভ গ্রাম বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বিকালে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল গফ্ফার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে স্লুইচ টিপে এ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি এগিয়ে নিতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের বিকল্প নেই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্র নাথ দাস, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম খান, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ্বাস, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান খান প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য শরিফুজ্জামান ময়না, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন,তুজুলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, ডা. আব্দুর রহিম। ছয়ঘরিয়া গ্রামে ২.৯৭৫ কিঃ মিটার লাইন ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ১শ’৫২টি পরিবারের মাঝে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, বানিজ্যিক সংযোগ ৮টি ও অন্যান্য ২টি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ময় মনির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
received_1857721051219562গাজী আল ইমরান : ২৮ মে বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। নিরাপদ প্রসব চাই, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলো যাই-
 এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শ্যামনগরে যথাযথ ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে এবং ফ্রেন্ডশিপ নবযাত্রা প্রকল্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং রূপান্তরের সহযোগিতায় বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ২০১৭ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ সকালে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রঙ্গন থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে।র্যালি শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরূমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময়  উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজজামান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাঁন হাবিবুর রহমান, ফ্রেন্ডশিপ জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আকতারূজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এইচ আই কার্তিক চন্দ্র পাল, সি এইচ সি পি প্রকল্পের অনিরূদ্ধ কর্মকার সম্পদ,  নার্সিং সুপারভাইজার অপর্ণা পাল, রূপান্তরের উপজেলা ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম, আউটরিচ অয়ার্কার বিজয় মন্ডল, আব্দুল হালিম প্রমূখ।
এদিকে বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষ্যে নবযাত্রা প্রকল্প এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও পুষ্টি মেলার আয়োজন করা হয়। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন মাঠ প্রঙ্গনে আয়োজিত উক্ত আলোচনাসভা ও পুষ্টি মেলার শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজজামান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরজাহান পারভীন ঝর্ণা, নকিপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণায়েন্দ মূখার্জী, হিতৈষী রক্তদান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দিনেশ চন্দ্র বিশ্বাস, উসপজেলা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণ, আফজাল হোসেন প্রমূখ।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1485156969268আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে বনদস্যু করিম বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মিজান খাঁকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাশিমাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মিজান খাঁ শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনিমুখা গ্রামের গোলদার খাঁর ছেলে।
পুলিশ জানায়, বনদস্যু করিম বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মিজান খাঁ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি এলাকা অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে একাধিক মামলার আসামী বনদস্যু মিজান খাঁকে আটক করা হয়।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক মিজান খাঁ থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজকে বনদস্যু করিম বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, আটক মিজান খাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

b38cc5a2a09e4f8f4d51d731f5744af2-583732483b85dহেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী বলেছেন, গত ২৫ মে মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের মাত্র দুই দিনের মাথায় গতকাল দিবাগত রাতে সুপ্রিমকোর্ট অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা অত্যন্ত হতাশাজনক। রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত জানিয়ে বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক জেতনার পরিপন্থী এই বিদেশি ভাস্কর্যকে বাংলাদেশের কোথাও স্থান দেওয়া যাবে না।

শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘থেমিস দেবীর ভাস্কর্য অপসারিত হয়েছে জেনে অসুস্থ শরীরেও আনন্দ পেয়েছিলাম। দেশবাসীর সঙ্গে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছিলাম। কিন্তু মাত্র দু’দিনের মাথায় যখন দেশবাসী পবিত্র রমজানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, প্রথম রোজার তারাবিহ আদায় করে প্রশান্ত চিত্তে ঘরে ফিরেছিল, তখনই এমন সংবাদে সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে আমরা বিস্মিত হতবাক এবং বাকরুদ্ধ।’

বিবৃতিতে আহমদ শফী আরও বলেন, ‘আমরা বারে বারে বলেছি, ইসলামে ইনসাফ বা ন্যায়ের ধারণা একটি মৌলিক ধারণা বা গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এমনকি ইনসাফ কায়েম ছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্য। সেই ন্যায়ের বা ইনসাফের কোনও প্রতীকায়ন যদি গ্রিক ঐতিহ্য থেকে ধার করা হয়, তবে প্রকারান্তরে এটাই ধরে নেওয়া হয় যে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যে ও ধর্মে ন্যায়ের কোনও ধারণা বা অবস্থান ছিল না। এটা উপনিবেশিক ভাবাদর্শ।

হেফাজত আমির বলেন, ‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, গ্রিক দেবী থেমিসের এই প্রতীককে চিরতরে পরিত্যাগ করতে হবে। এই ভাস্কর্য; যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্থাপিত হয়েছিল, তাকে বাংলাদেশের কোথাও স্থান দেওয়া যাবে না। কিন্তু, আমাদের সব আবেদন নিবেদন এবং শান্তিপূর্ণ দীর্ঘ আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে থেমিসের পুনঃস্থাপন এটাই প্রমাণ করে, এদেশের মানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাকে সরকার বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না।’

বিবৃতিতে শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘থেমিস সুপ্রিম কোর্টের সামনে থাকবে, নাকি পেছনে থাকবে—এইটা কোনও ইস্যু কখনও ছিল না। নামাজের সময় কালো কাপড়ে মুড়ে দেওয়া হবে কি হবে না—এইটাও ইস্যু ছিলো না। ইস্যু ছিল, থেমিস থাকবে কি থাকবে না। এইখানে মধ্যপন্থা নেওয়ার কোনও সুযোগ নাই।

হেফাজত আমির বলেন, আমরা আমাদের ঈমান ও আক্বিদার জমিনে দাঁড়িয়ে এই উপনিবেশিক ভাবাদর্শের বিরুদ্ধেই বলেছি, অথচ সেক্যুলার মিডিয়া আমাদের যুক্তি বার বার উপেক্ষা করেছে। আমাদের এই যুক্তির কথা তাদরেকে বার বার জানানো হলেও তারা তা ছাপায় না। এমনকি আমরা এও বলেছি, দেবী থেমিস আধুনিক রাষ্ট্র ধারণায় বিচার বিভাগের যে অবস্থান, তারও পরিপন্থী। কারণ, থেমিস গ্রিক সংস্কৃতির ঐশ্বরিক আইনের (ডিভাইন ল’) প্রতীক। যে রাষ্ট্র নিজেকে আলাদাভাবে স্যেকুলার বলে পরিচয় দিয়ে নিজের কৌলিন্য জারি করে, সে কীভাবে গ্রিক ঐশ্বরিক আইনের প্রতীককে নিজের বলতে পারে?

হেফাজত আমির আরও বলেন, এ পর্যায়ে দ্বিতীয় প্রশ্নটি আরও মারাত্মক। গ্রিক পুরাণ মতে, থেমিস সোশ্যাল অর্ডার বা সামাজিক শৃঙ্খলাও রক্ষা করে। সে শুধু ন্যায় বিচারই করে না, সে শক্তি প্রয়োগে সামাজিক শৃঙ্খলাও রক্ষা করে। থেমিসের হাতের তরবারি সেই শক্তি প্রয়োগের প্রতীক। আধুনিক রাষ্ট্র সামাজিক শৃঙ্খলার দায়িত্ব বিচার বিভাগকে দেয় না। তা থাকে নির্বাহী বিভাগে। আমরা বিস্ময় প্রকাশ করেছিলাম যে, ঠিক কোন যুক্তিতে নিজেদের আধুনিক ও প্রগতিশীল দাবি করা বাম সেক্যুলারেরা থেমিসের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন?

আহমদ শফী বলেন, থেমিস অপসারণে যখন আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিলাম, রমজানের আগেই কোনও সংঘাত ছাড়াই থেমিস অপসারণে ভেবেছিলাম সবার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, ঠিক তখন মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র মাস রমজানের প্রথম রাত্রে থেমিসকে পুনঃস্থাপন করে জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।

শাহ আহমদ শফী বলেন, আমি খবর পেয়েছি থেমিস পুনঃস্থাপনের প্রতিবাদ জানাতে গভীর রাতেও তৌহিদি ছাত্র-জনতা প্রেসক্লাবে সমবেত হয়েছেন। তাঁরা সেখানে রাস্তায় সেহরি করেছেন। শুধু তাই নয়, আমি শুনেছি প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলা হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। এই সংবাদে আমি মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আবারও অনুরোধ জানাই।

বিবৃতিতে তিনি আজকের (রবিবার) মধ্যেই গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং কার উস্কানিতে এ হামলা হয়েছে, তা তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

259b502620490c4320203603deb08eeb-592a9d1571039ইসরায়েলের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতৃত্বে বামপন্থী সমর্থকরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ৫০ বছর ধরে চলা দখলদারিত্ব বন্ধে বিক্ষোভ করেছেন। লেবার পার্টির প্রধান ইসাক হারজং ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তারা ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই এ খবর জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননের একটা বড় অংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে সিরিয়া ও লেবাননের দখল করা জায়গা আংশিক ফেরত দিলেও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব ক্রমাগত বাড়িয়েছে তারা।

এ দখলদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার তেল আবিবে ‘দুই রাষ্ট্র – এক আশা’ শীর্ষক বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেন বামপন্থীরা। এতে প্রায় ১৫ হাজার ইসরায়েলি যোগ দেন বলে জানা গেছে।

ওই বিক্ষোভে যোগ দেওয়া ইসরায়েলি এনজিও পিস নাও-এর প্রধান আভি বুসকিলা জানিয়েছেন, ‘সরকার দখলদারিত্ব, সহিংসতা ও বর্ণবাদ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারায় এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি এবং পুরো বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের প্রমাণ করার এটাই সময় যে, ইসরায়েলের বৃহৎ জনগোষ্ঠী দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়ন করতে চায়।”

বিক্ষোভ সমাবেশে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি বার্তা পড়ে শোনানো হয়। সেখানে আব্বাস বলেন, ‘সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে একসঙ্গে বসবাসের এখনই সময়। ভবিষ্যত প্রজন্মকে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকার সুযোগ দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের ওপর ন্যাস্ত।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় চার লাখ ইসরায়েলি সেটেলার পশ্চিম তীরের ‘দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বাস করেন। এসব বসতি সরিয়ে নেওয়াটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত।

জাতিসংঘ এসব বসতিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করলেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উগ্র-ডানপন্থী সরকার প্রথম থেকেই বসতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest