সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

53f1a18f79920d0063a29e7f52e53348-58c29517816b3আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামীকাল শনিবার থেকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করা হবে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করেছে শনিবার। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির সর্বাত্মক কাজ শুরু করবো আমরা।’

যেসব এমপি-মন্ত্রীরা দলীয় অনুষ্ঠানে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন না, আগামীতে সেসব নেতাদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দিতে যুবলীগকে পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে আসেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব বলছেন সমঝোতা করতে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে সমঝোতার দরজা তো আপনারা বন্ধ করে দিয়েছেন। সর্বশেষ কোকো মারা যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরপর আপনারো কিভাবে সমঝোতার আশা করেন?’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_931166877_1495147898.jpg.pagespeed.ic.htoaimFdatগেল বুধবার একুশে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ফারহানা নিশোকে।  তার কদিন আগে থেকেই বনানীর দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফের সঙ্গে নিশোর কয়েকটি সেলফি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

অনেকেই এসব ছবির কারণে নিশোর সমালোচনা করেন। নিশোর একুশে টেলিভিশন থেকে বরখাস্ত হওয়ার কারণ এই সেলফি কিনা, সেটি নিয়েও জল্পনা চলছে জোরেশোরে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ফারহানা নিশোর সঙ্গে। তিনি এই সেলফি প্রসঙ্গে বলেন, এই ছবিতো একুশে টিভির অফিসেই তোলা। আমার কাছে নাঈম প্রপোজাল নিয়ে এসেছিল। তখন আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে। সেটা নিয়ে সমস্যা কি হয়েছে! আর কেউ কি বলেছে নাঈমের বিচার না হোক? নাঈমের বিচার সবাই যেমন চায়, আমিও চাই। খারাপ কাজতো খারাপ কাজই।

তিনি বলেন, নাঈমের খারাপ কাজের দায়ভার আমাকে কেন নিতে হবে? সে খারাপ কিছু করছে বলে আমার চাকরি যাবে সেটা তো হতে পারে না। আমার আসলে এটা নিয়ে কথা বলতেও ইচ্ছা করছে না। আমি নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার মাধ্যমে ঠিক একই বিষয় তুলে ধরবো।

আপনাকে কি জানানো হয়েছে যে নাঈম আশরাফের সঙ্গে সেলফি পাওয়া গেছে বলেই একুশে টেলিভিশন থেকে আপনাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে?

ফারহানা নিশো বলেন, অফিস থেকে বলা হচ্ছে এটাও একটা কারণ। তারা বলছে, ছবি কেন পাওয়া গেছে?

বনানী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে প্রতারণার বহু অভিযোগ আলোচিত হচ্ছে। নিজের নাম পরিবর্তন ছাড়াও বাবার নামও পরিবর্তন করেছে সে। ফারহানা নিশোসহ একাধিক মডেল ও অভিনেত্রীর সঙ্গে তার ছবি বিপুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_371116030_1495172534.jpg.pagespeed.ic.gY2AVBF4wwরাজধানীর  বনানী ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি ধর্ষক আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফের সাথে সেলফি তোলার খেসারত দিচ্ছেন অনেকেই। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমি হামিদও। নাঈম আশরাফের সঙ্গে একটি সেলফি তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।

অনেক শোবিজ তারকার সাথে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে অালোচনা সমালোচনারও শেষ নেই।

ইতিমধ্যে এমন ঘটনায় ইটিভি থেকে চাকরি খুইয়েছেন জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা ফারহানা নিশো।

তবে  মৌসুমি এটাকে প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি। কিন্তু দিন দিন ফেসবুকে সেলফিটি নিয়ে নাঈমের সঙ্গে মৌসুমির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দাবি করে মনগড়া অনেক পোস্ট-স্ট্যাটাস বাড়ছেই। এ নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন মৌসুমি। বাধ্য হয়েই এতদিন চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি।

মৌসুমি হামিদ বলেছেন, ‌‌ধর্ষক নাঈমের সঙ্গে ওই একবারই আমার দেখা হয়েছে। এর আগে অরিজিত সিং ও নেহা কাক্কারের কনসার্টে পারফরম করার জন্য সে (নাঈম আশরাফ) আমাকে বলেছিল। তবে যেকোনো কারণে আমি কাজটি করিনি। ২০১৫ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের সহযোগিতায় ‘কনসার্ট ফর নেপাল’-এ আমাদের এক সহকর্মীর আমন্ত্রণে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে যাই। সেখানে কনসার্টে পার্থ বড়ুয়াসহ মিডিয়ার অনেক সেলিব্রেটি অংশ নেন। আমি জানতাম না আয়োজনটির সঙ্গে ধর্ষক নাঈম জড়িত। ছবিটি সে সময়ের। কারও চেহারা দেখে তো ভালো মন্দ বোঝার কোনো উপায় নেই। তবে সম্প্রতি ধর্ষকের সঙ্গে ওই ছবি নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমাকে জড়িয়ে। আমি খুবই বিব্রত। একটা সেলফি তোলার দায় কখনো নেয়া যায় না।

এই অভিনেত্রী বলেন,  আজ আমি অভিনেত্রী বলে শোবিজে কাজ করি বলে আমাকে নিয়ে যত সমালোচনা হচ্ছে। আমার মতো আরও অনেক শিল্পী বা তারকাদের নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু ওই ধর্ষকের সঙ্গে তো আরও অসংখ্য মানুষের সেলফি আছে যারা শোবিজের বাইরের মানুষ। অনেক গণমান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও নাঈম আশরাফের সেলফি রয়েছে। তাদের নিয়ে তো কোনো আলোচনা দেখি না। কোনো গণমাধ্যমও সেইসব সেলফি নিয়ে উস্কানি দিয়ে কোনো সংবাদ লেখে না। তবে সবাই মিডিয়ার মানুষকে নিয়ে সমালোচনা করতে মজা পায় কেন ? একটা খুনের শাস্তি মৃত্যদণ্ড না হলেও একটা ধর্ষণের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। প্রত্যেকটা ধর্ষণ মামলার বিচার যেন অবশ্যই এবং দ্রুত কার্যকর করা হয়। এটা পৃথিবীর জঘন্যতম অপরাধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1495107408দুধ বেশ উপকারী খাবার। তবে জানেন কি দুধ পানের সঠিক সময় কোনটি? সকালে নাকি রাতে?

দুধ থেকে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায়। ল্যাকটোজে (দুধের একটি উপাদান) অস্বস্তি না থাকলে দুধ পানে কোনো অসুবিধা নেই। তবে নির্দিষ্ট উপাকারের জন্য নির্দিষ্ট সময় দুধ পান করলে উপকারটি  ভালোভাবে পাওয়া যায়।

জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

১. সকালের নাস্তায় বেশি প্রোটিন পেতে চাইলে সকালে দুধ পান করতে পারেন। ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের বাইরেও দুধে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন। নিয়মিত দুধ পান করলে এসব পুষ্টিও পাবেন।

২. সকালে ব্যায়াম করতে চাইলে, সকালে দুধ পান করুন। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাবেন। আপনার হাড় ও পেশির বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন জরুরি।

৩. ঘুমের সমস্যা হলে এবং ভালোভাবে ঘুমাতে চাইলে, রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এটি ঘুমাতে সাহায্য করবে।

৪. সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্ত লাগলে রাতে দুধ পান করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরোটোনিনের হরমোর নিঃসরণে সাহায্য করে। শরীর শিথিল রাখে।

ঠান্ডা দুধের চেয়ে গরম দুধ পান করাই ভালো। গরম দুধ হজমে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত দুধ পান করবেন না। দিনে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটারই যথেষ্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_1191958584_1495132692.jpg.pagespeed.ic.JadCZYtcWm২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। এ বছর সেরা নায়ক হিসেবে যৌথভবে নির্বাচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান ও অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। সেরা নায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।

এতে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা ও সংগীতশিল্পী ফেরদৌসি রহমান।

বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ২৫টি ক্যাটাগরিতে সরকার প্রতিবছর এ স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।

এক নজরে পুরস্কারপ্রাপ্তরা-

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: যৌথভাবে বাপজানের বায়োস্কোপ (পরিচালক- মো. রিয়াজুল মওলা রিজু) ও অনিল বাগচীর একদিন (পরিচালক- মোরশেদুল ইসলাম)।

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর)।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: যৌথভাবে মো. রিয়াজুল মওলা রিজু (চলচ্চিত্র-বাপজানের বায়োস্কোপ) ও মোরশেদুল ইসলাম (চলচ্চিত্র -অনিল বাগচীর একদিন)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: যৌথভাবে শাকিব খান (চলচ্চিত্র- আরো ভালোবাসবো তোমায়) ও মাহফুজ আহমেদ (চলচ্চিত্র- জিরো ডিগ্রি);

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: জয়া আহসান (চলচ্চিত্র- জিরো ডিগ্রি)।

পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: গাজী রাকায়েত (চলচ্চিত্র- অনিল বাগচীর একদিন);
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী: তমা মির্জা (চলচ্চিত্র-নদীজন);

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে: ইরেশ যাকের (চলচ্চিত্র- ছুঁয়ে দিল মন); শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী: যারা যারিব (চলচ্চিত্র – প্রার্থনা); শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: প্রমিয়া রহমান (চলচ্চিত্র- প্রার্থনা)।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: সানী জুবায়ের (চলচ্চিত্র-অনিল বাগচীর একদিন); শ্রেষ্ঠ গায়ক: যৌথভাবে সুবীর নন্দী (তোমারে ছাড়িতে বন্ধু, চলচ্চিত্র- মহুয়া সুন্দরী) ও এসআই টুটুল (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র- বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ গায়িকা: প্রিয়াংকা গোপ (আমার সুখ সে তো, চলচ্চিত্র- অনিল বাগচীর একদিন);
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: আমিরুল ইসলাম (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র- বাপজানের বায়োস্কোপ);
শ্রেষ্ঠ সুরকার: এসআই টুটুল (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র- বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার: মাসুম রেজা (বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: যৌথভাবে মাসুম রেজা (বাপজানের বায়োস্কোপ) ও মো. রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ)।

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: হুমায়ূন আহমেদ (অনিল বাগচীর একদিন); শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: মেহেদী রনি (বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: সামুরাই মারুফ (জিরো ডিগ্রি); শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: মাহফুজুর রহমান খান (পদ্ম পাতার জল);

শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রতন কুমার পাল (জিরো ডিগ্রি); শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: মুসকান সুমাইকা (পদ্ম পাতার জল) এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান: শফিক (জালালের গল্প)।

প্রসঙ্গত, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে আঠার ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্নপদক, পদকের রেপ্লিকা, সম্মাননাপত্র ও নির্ধারিত অর্থের চেক। আজীবন সম্মাননপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা, সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, প্রামান্যচিত্র চলচ্চিত্র প্রযোজক, চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিজয়ীদের ত্রিশ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

443বাংলাদেশ, উপমহাদেশ এবং বিশ্ব সংগীতে অবদান, সাংস্কৃতিক কার্যত্রম এবং বাংলাদেশের নারী উন্নয়নে সৃজনশীল ভূমিকা রাখার জন্য রুনা লায়লাকে সম্মাননা দিচ্ছে জাতিসংঘ। ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইন্সপায়ারিং ওম্যান ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’ অনুষ্ঠান। এখানে রুনা লায়লাকে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানেই রুনা লায়লার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্য ফেসবুকে রুনা লায়লা নিজেই এই খবর দিয়েছেন। তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রুনা লায়লা এখন গান নিয়ে ব্যস্ত। বিভিন্ন শো আর চলচ্চিত্রে গান করছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479562780পাবনার ঈশ্বরদীতে  সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফের ছেলে যুবলীগ সভাপতি তমাল শরীফসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে মন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গত  ১৮ মে ঈশ্বরদীতে যুবলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে দুটি বাড়ি ও তিনটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বাড়িতে হামলার ঘটনায় যুবায়ের বিশ্বাসের বাবা আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে যুবলীগ সভাপতি তমাল শরিফসহ ৩২ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাবনার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই অভিযানে মন্ত্রীপুত্রসহ ১১ জন গ্রেফতার হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Harun Mpমাত্র পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের সাংসদ বজলুল হক হারুনের (বি এইচ হারুন) পরিবার বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। কীভাবে হয়েছে, তার স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই বি এইচ হারুনের। ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুনের বিপুল সম্পদের সামান্য অংশ হচ্ছে রাজধানীর বনানীর বহুল আলোচিত দ্য রেইনট্রি হোটেল। কাগজে-কলমে হোটেলটির মালিকানা বি এইচ হারুনের স্ত্রী, তিন ছেলে ও মেয়ের নামে।
আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা এই বাণিজ্যিক হোটেল তৈরি করা হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া। গত ২৮ মার্চ হোটেলটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। বনানী থানা শুরুতে তাঁদের অভিযোগ আমলে নিতে চায়নি। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সমাজের নানা স্তরে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হয়। পরে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ‘দ্য রেইনট্রি ঢাকা লিমিটেড’ নামে যে কোম্পানি নিবন্ধিত হয়, তারই সংক্ষিপ্ত নাম রেইনট্রি হোটেল। এর পরিচালকেরা হলেন বি এইচ হারুনের স্ত্রী মনিরা হারুন, তিন ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন, শাহ মো. আদনান হারুন ও মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন। শাহ মো. আদনান হারুন হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
বি এইচ হারুনের নামে থাকা জমিতে হোটেলটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১২ সালে আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হয় চলতি বছরের শুরুর দিকে। বেআইনিভাবে পরিচালিত হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল হোটেলটি সিলগালা করে দিয়েছিলেন রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অভিযানে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। হোটেলের মালিকেরা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই আবার পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগ পেয়ে যান।
কিন্তু কীভাবে তৈরি হলো পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র না নেওয়া এ বিলাসবহুল হোটেল? অর্থই বা কোথা থেকে এল—এ অনুসন্ধান করতে সামনে চলে আসে সাংসদ বি এইচ হারুনের অন্য সব সম্পদের খবরও।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালের ভগ্নিপতি হচ্ছেন বি এইচ হারুন। আবার বি এইচ হারুনের ছেলে বিয়ে করেছেন দৈনিক ইনকিলাব-এর প্রকাশক-সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিনের মেয়েকে। বাহাউদ্দিনের বাবা মাওলানা আবদুল মান্নান, যিনি এরশাদ সরকারের ধর্মমন্ত্রী ছিলেন।
পাঁচ বছরে এত সম্পদ!
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় বি এইচ হারুন ৩৮ লাখ টাকার অর্থসম্পদ দেখান। এর মধ্যে রয়েছে শেয়ারবাজার, সঞ্চয়পত্রসহ ব্যাংকে ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা, বাড়ি/দোকান ভাড়া থেকে ১৬ লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে ১৪ লাখ টাকা এবং সম্মানী বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আয়। স্ত্রী মনিরা হারুনের নামে তখন কিছুই ছিল না।
কিন্তু ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে হলফনামায় বি এইচ হারুন দেখান, তাঁর নিজের ও স্ত্রীর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে ১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া নগদ ২ কোটি ৯০ লাখ, ব্যাংকে ৬৭ লাখ এবং ব্যাংকে স্থায়ী আমানত ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, গাজীপুরে ১৭ কাঠা, মিরপুরে ৫ কাঠা, বনানীতে সাড়ে ৬ কাঠা, বারিধারায় ৬ কাঠার একটি ও সাড়ে ৪ কাঠার আরেকটি প্লট রয়েছে তাঁর।
এ ছাড়া ছোট ছেলে আদনান হারুনকে দুটি জাহাজ কিনতে ১৩ কোটি টাকা এবং বড় ছেলে নাহিয়ান হারুনকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক হতে ২০ কোটি টাকা দেন। এ ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ভাই ফয়জুর রব আজাদের নামে জমা রাখেন ১৫ কোটি টাকা।
শেষ হলফনামায় অবশ্য দায় হিসেবে বি এইচ হারুন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, স্ত্রীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২০ লাখ এবং বৈদেশিক মুদ্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ঋণ নেন বলে দেখান।
এসবের বাইরেও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটটি কোম্পানিতে মালিকানা রয়েছে বি এইচ হারুনের, এর মধ্যে পাঁচটিরই চেয়ারম্যান তিনি।
অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বি এইচ হারুন গত বুধবার বলেন, ‘সম্পদ তো তেমন বাড়েনি। যেগুলো বলছেন, এগুলো আগে থেকেই ছিল।’
রেইনট্রি হোটেলসহ বহুতলবিশিষ্ট ভবনই নির্মাণ করা হয়েছে চার-পাঁচটি, অর্থের উৎস কী—এমন প্রশ্নের জবাবে বি এইচ হারুন বলেন, ‘ব্যাংকঋণ নিয়ে করেছি।’
রূপালী ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণ তো নিলেন গত বছর আর ভবনগুলো নির্মাণ করেছেন তারও আগে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সব কথা টেলিফোনে বলা যাবে না।’
বিএনপির টিকিটে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠির ভান্ডারিয়া-কাউখালী আসন থেকে অংশ নিয়ে বর্তমান পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কাছে তিনি জামানত হারিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন, কিন্তু মনোনয়ন পাননি। ১৯৯৮ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে জেলার রাজাপুর-কাঁঠালিয়া আসন থেকে ‘নৌকা’ প্রতীকে অংশ নিয়ে তৃতীয় হন।
আগের দুবারের বিএনপির সাংসদ শাহজাহান ওমর জরুরি অবস্থার সময় বিদেশে থাকায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি এবং ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন বি এইচ হারুন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যে প্রায় অর্ধেক সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, তাঁদেরই একজন তিনি।
ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ!
প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পর থেকেই অভিযোগ ওঠে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের গ্রাহক রুমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খলিলুর রহমানের ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বি এইচ হারুন। বি এইচ হারুন তখন প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক (বর্তমানেও পরিচালক)।
খলিলুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পৃথক আবেদনে জানান, সৌদি সরকারের সাহায্যে ২০০৮ সালে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১৫ হাজার ঘর নির্মাণের ২০৪ কোটি টাকার কাজ পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর হিসাব ছিল প্রিমিয়ার ব্যাংকের বংশাল শাখায় এবং কাজ চলাকালে ২৯৭টি চেকের পাতার মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকা তিনি উত্তোলন করেন।
কাজ শেষে বাকি টাকা তোলার জন্য খলিলুর বংশাল শাখায় গেলে তৎকালীন ব্যবস্থাপক সামসুদ্দিন চৌধুরী (পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে ডিএমডি) জানান, তিনি সব টাকা তুলে নিয়ে গেছেন এবং হিসাবও বন্ধ করে দিয়েছেন। খলিলুর দুই সংস্থাকে বলেছেন, তাঁর অজ্ঞাতে অতিরিক্ত ৩৮৮টি চেকবই ইস্যু দেখিয়ে জাল সইয়ের মাধ্যমে ১৩৪ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছেন বি এইচ হারুন।
ব্যাংকের হিসাব বিবরণীতে খলিলুরের হিসাবে ২০৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। বেশির ভাগ টাকা তোলা হয়েছে ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে, যা বি এইচ হারুনের অফিস থেকে ৫০ গজ দূরে।
ওই সময় প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি ছিলেন খন্দকার ফজলে রশীদ। মাঝখানে কয়েক বছর ঢাকা ব্যাংকের এমডি থেকে বর্তমানে আবার তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি। বিদেশে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
খলিলুরের অভিযোগ, সামসুদ্দিন চৌধুরীর পাশাপাশি সুপরিকল্পিত এ জালিয়াতির সহযোগী ব্যাংকটির তৎকালীন অতিরিক্ত এমডি আবু হানিফ খান এবং বি এইচ হারুনের মালিকানাধীন আল হোমায়রা মেডিকেল সেন্টারের দুই হিসাবরক্ষক গোলাম মোস্তফা রাজা ও ফরিদউদ্দিন। গত রাতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সামসুদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি।
গোলাম মোস্তফা রাজা বর্তমানে আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপক এবং গত মঙ্গলবার রেইনট্রি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
রুমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খলিলুর রহমান বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন যাচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে মেরে ফেলার। বনানী ও গুলশান থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারপ্রার্থী।’

বি এইচ হারুন রিটার্ন দাখিল করেন না
বিপুল সম্পদ বৃদ্ধির বিপরীতে কত টাকা আয়কর দেন বি এইচ হারুন? আয়কর অধ্যাদেশে বিধিনিষেধ থাকায় কারও আয়করের তথ্যই জানায় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তবে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, অস্বাভাবিক আয় দেখানোটা মুশকিল বলেই আওয়ামী লীগের ২০০৯-১৪ সময়ের পাঁচ বছরে তিনি কোনো আয়কর দিতে চাননি। পুরোনো অর্থবছরসহ আয়কর আদায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এনবিআর সাতটি মামলা দায়ের করেছিল।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার এনবিআরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত তিনি আয়করের ঝামেলাগুলো মিটিয়েছেন। কিন্তু দুই বছর ধরে আবার আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন না। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রিটার্ন দাখিল না করায় এনবিআর তাঁকে জরিমানা করেছে। তবে জরিমানার টাকা এখনো আদায় হয়নি বলে জানা গেছে।
দুই বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করার কারণ জানতে চাইলে গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে বি এইচ হারুন বলেন, ‘যিনি এটা বলেছেন, ঠিক বলেননি। ফাইল সব ঠিকঠাক আছে।’
নিজ ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পাঁচ বছরে এত সম্পদের মালিক হলেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বি এইচ হারুন বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
সক্রিয় দুদক, নিষ্ক্রিয় বাংলাদেশ ব্যাংক
২০১৪ সালের জুলাইয়ে অভিযোগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও বি এইচ হারুনের বিরুদ্ধে পরে আর তা দেয়নি দুদক। এই ফাঁকে খলিলুরের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির নামে নতুন প্রতারণা করেন বি এইচ হারুন। খলিলুরকে ৫ কোটি টাকার চেক দেন তিনি, কিন্তু সমঝোতা চুক্তিতে সই করেননি। অথচ ওই চুক্তিকে আমলে নিয়েই দুদক নথিভুক্ত (মামলা না করা) করে ফেলে ওই ঘটনা।
পরে বি এইচ হারুনের নামে চেক ডিজ-অনারের মামলা করেন খলিলুর এবং আদালত থেকে মুচলেকা দিয়ে জামিন নেন বি এইচ হারুন। অন্য দুটি চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের সময় আসেনি এখনো।
তবে ইকবাল মাহমুদ দুদক চেয়ারম্যান হয়ে আসার পর বিষয়টি পুনরুজ্জীবিত হয়। সংস্থার উপপরিচালক সামছুল আলমকে প্রধান করে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত দল গত ৪ এপ্রিল প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডির কাছে তথ্য চায়।
দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল গত মঙ্গলবার বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ নেওয়া হচ্ছে। যত শক্তিশালীই কেউ থাকুন না কেন, পদক্ষেপ নিতে দুদক এক পা-ও পেছাবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তেও বেরিয়ে এসেছিল চেকবই ইস্যু রেজিস্টার ও কার্ডে রক্ষিত নমুনা স্বাক্ষরের সঙ্গে অনেক চেকের পাতায় থাকা খলিলুরের স্বাক্ষরের মিল নেই। স্বাক্ষরে মিল না থাকা সত্ত্বেও প্রিমিয়ার ব্যাংক কীভাবে টাকা দিল, সেই প্রশ্নও তুলেছিল। পরে আর এগোয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা গত বুধবার মুঠোফোনে বলেন, তিনি পুরো বিষয়টি জানেন না, জানতে চান না এবং জানাতেও চান না।
জানাতে না চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘জনসমক্ষে বলার মতো ঘটনা এটা না।’
সূত্র : প্রথম আলো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest