সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী নাজিমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাআশাশুনিতে পিতা পুত্রের ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাতালায় পুকুরের ভিতর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধারকালিগঞ্জে পূজা প্রসাদ খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু-অসুস্থ শতাধিকবুড়িগোয়ালিনীতে রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪ পরিবার পেল প্রেরণার নগদ অর্থদেবহাটায় আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিতনানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনজেলা প্রশাসকের দেওয়া ভ্যান পেয়ে আবেগাপ্লুত স্বামী পরিত্যাক্তা রওশনারাশ্যামনগরে মেগা প্রকল্পের সিমেন্ট চুরি: সাবেক সেনা সদস্য আটকতালায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

স্বাস্থ্য ডেস্ক: আলু ছাড়া অনেকের চলেই না। স্বাদের তরকারি বা মজার নাশতায় আলু ব্যবহার করা হয়। শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এর নানা স্বাস্থ্যগুণও আছে। আলুর জুসও কিন্তু খাওয়া যায়। আলুর জুসে আছে ভিটামিন এ, সি, বি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফাইবার ও প্রোটিনের মতো উপাদান। অন্য যেকোনো জুসের সঙ্গে মধু বা লেবু যোগ করে এ জুস খাওয়া যায়। আলুর জুসের কিছু গুণ জেনে নিন:ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে: ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে প্রতিদিন এক গ্লাস করে আলুর জুস খেতে পারেন। এতে ত্বকের সমস্যা দূর হবে। কোলস্টেরল কমায়: রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে আলুর জুস। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়: ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে আলুর জুস। হৃদ্‌যন্ত্র বন্ধ হওয়া, শিরায় বাধা তৈরি হওয়া, টিউমার ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে শরীরকে সুস্থ রাখতে আলুর জুস উপকারী। একজিমা: একজিমা দূর করতে এবং ত্বকে ব্রণ দূর করতে আলুর জুস প্রতিদিন খেতে পারেন। আলুর জুস মুখে মাখলেও উপকার পাওয়া যায়। ওজন কমাতে: যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা সকালে নাশতার আগে ও ঘুমাতে যাওয়ার দুই-তিন ঘণ্টা আগে এক গ্লাস করে আলুর জুস খেতে পারেন। অন্য জুস বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এই জুস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্রীড়া ডেস্ক: বাতাসের শহর বলে খ্যাতি আছে ওয়েলিংটনের। শুধু খ্যাতি বললে ভুল হবে। সোজা কথা—ওয়েলিংটনই পৃথিবীর সবচেয়ে বাতাসবহুল শহর। বাতাসের গতির এতটা তীব্র আর কোনো শহরে নেই। সমুদ্র থেকে দেশটির নর্থ ও সাউথ আইল্যান্ডের মাঝের ‘করিডর’ দিয়ে ঢোকা প্রচণ্ড হাওয়া শহরটাকে সব সময়ই করে রাখে আলুথালু। বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ যেন এই শহরের আবহ সংগীত। ওয়েলিংটনের তীব্র বাতাসে বাংলাদেশ দল এর আগেও খেলে গেছে। কিন্তু আজকের বাতাসটা একটু বেশিই ছিল। সকাল বেলা শহরের বাসিন্দা উবার ট্যাক্সি চালক জনের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাও তাই বলল, ‘আজকের বাতাসটা কিন্তু স্বাভাবিক নয়…। খেলা কি হবে?’ খেলা শেষ পর্যন্ত সময় মতোই শুরু হয়েছে। তবে বাতাসের সঙ্গে আসা বৃষ্টির ঝাপটায় বন্ধ হয়েছে দুবার। প্রথমবার ম্যাচ শুরুর ৫০ মিনিট পর। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে খেলা শুরু হয়ে ২ টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয় দ্বিতীয় দফা। বৃষ্টির উৎপাত কমার পর আরও ২৫ ওভার খেলা চালানোর আশা নিয়ে বিকেল ৫টা ৪২ মাঠে নামেন আম্পায়াররা। তবে ১১ ওভার ২ বল হওয়ার পরই আলোকস্বল্পতায় শেষ করে দেন দিনের খেলা।শেষের এই কয় ওভারে মাহমুদউল্লাহর আউটটাই বিয়োগান্ত ঘটনা। মুমিনুলের সঙ্গে ভালোই জুটি জমছিল তার। কিন্তু ওয়াগানের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে করা বলে অযথাই জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১৫৪। মাহমুদউল্লাহ ওই শটটা না খেললে এই ছবিটা হতে পারত আরও সুন্দর। আবার আরেকটু খারাপও হতে পারত, যদি ৪ রান থাকা সাকিব আল হাসানের ক্যাচটা স্কয়ার লেগে মিচেল স্যান্টনার না ফেলতেন।তবু আশার কথা, বাতাস আর বৃষ্টি ছাড়া ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আর কিছুই তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেনি। প্রথম সেশনের ৫০ মিনিট আর দ্বিতীয় সেশনের দেড় ঘণ্টায় মাত্র দুটি উইকেট ফেলতে পেরেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। এর মধ্যে ইমরুলের আউটে যতটা না বোলারের কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি ‘কৃতিত্ব’ ব্যাটসম্যানের বাজে শটের। টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের ওপর করা শর্ট বলটা ছেড়ে দেওয়াই উচিত ছিল ইমরুলের। কিন্তু তিনি করতে গেলেন পুল এবং তাতেই বোল্টের ক্যাচ হয়ে মাত্র ১৬ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন।আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল, মুমিনুল এবং তামিমের আউটের পর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেও দেখা গেছে টেস্টের মেজাজ। তামিমের ৫০ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি দেখে মনে হতে পারে টেস্ট ভুলে বুঝি টি-টোয়েন্টিই খেলতে নেমেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের চরিত্রটাই এমন যে মারার বল পেলে ছাড়েন না। বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাই বাতাসের গতি কাজে লাগিয়ে বাউন্ডারি। বোল্টের পরের দুই ওভারেও নিয়েছেন দুটি করে বাউন্ডারি। এক ওভারে তামিম দুটি করে বাউন্ডারি মেরেছেন সাউদি, গ্র্যান্ডহোমকেও।১০.৩ ওভারে তামিমের ৩১ রানের সময় গ্র্যান্ডহোমের বলে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। নিউজিল্যান্ডের একটা রিভিউও বৃথা যায়। পরে অবশ্য রিভিউতেই এলবিডব্লু হয়েছেন তামিম, বোলার এবার বোল্ট। তার আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে টেস্টে তামিমের ২০তম ফিফটি।তামিমের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি ভাঙার পর তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ মিলে যোগ করেছেন ৮৫ রান। মাহমুদউল্লাহ ২৬ রানে ফিরে গেলেও ইংল্যান্ড সিরিজের পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ স্বচ্ছন্দ মুমিনুল। টেস্টে নিজের ১১তম ফিফটিও পেয়ে গেছেন কালই। ওয়াগনারের একটা বল গ্লাইড করে পয়েন্ট ও গালির মাঝ দিয়ে চার মেরেই ব্যাট উঠিয়ে উদ্‌যাপন করলেন ফিফটি।অথচ মুমিনুলকে নিজের প্রথম রানটাই নিতে হয়েছে তার জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জ হয়ে আসা এক বলে। বুক সমান উচ্চতায় শট বল দিয়েছিলেন সাউদি। মুমিনুল একটুও অস্বস্তিতে না পড়ে স্কয়ার লেগের দিকে পুলের মতো খেলে দিলেন। বোল্ট, গ্র্যান্ডহোমরা এরপরও বারবারই শর্ট বলে বিপদে ফেলতে চেয়েছেন তাঁকে। কিন্তু দলের সঙ্গে লম্বা সময় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ঘুরে এই কন্ডিশনের ব্যাটিংটা যেন মুখস্থই হয়ে গেছে তাঁর। ৪২ বলে প্রথম ১০ রান করার পরই খুলতে থাকে মুমিনুলের হাত। ১১ থেকে বোল্টের এক ওভারে তিন বাউন্ডারি মেরে পৌঁছে যান ২৩-এ। দ্বিতীয়বার খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মুমিনুলের ঝড়টা বেশি টের পেয়েছেন সাউদি। ২৭তম ওভারে দুই বাউন্ডারি, ২৯তম ওভারে দুই বাউন্ডারির সঙ্গে এক ছক্কাও। হতে পারে এটা টেস্ট ম্যাচ, মারার বল ছাড়বেন কেন মুমিনুল? তা ছাড়া টেস্টের আগেই বলেছিলেন, এই উইকেটে সেট হতে পারলে বড় ইনিংস খেলা সম্ভব। মুমিনুলের ইনিংস সেই অর্থে এখনো অত বড় হয়নি, তবে কাল সেটা হতে বাধা কোথায়! বেসিন রিজার্ভের উইকেটে আর যাই হোক ব্যাটসম্যানদের জন্য বিষ নেই। উইকেটে হালকা সবুজ আভা থাকলেও ছেঁটে ফেলা হয়েছে ঘাস। টসে জিতে আগে বোলিং নিলেন, সারা দিন শুধু পেসারদের দিয়ে বল করালেন, তবু খুব একটা সুফল পেলেন না নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে হ্যাঁ, ব্যাটসম্যানদের জন্য বাতাসের বন্ধুত্বটা এখানে বড় বেশি জরুরি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

assasuni-pic-11-01-17আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি কলেজকে জাতীয়করণ করায় কলেজের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সদস্যরা আনন্দ র‌্যালি, মিষ্টি বিতরণ ও আলোচনা সভা করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মঙ্গলবার ১০/১/১৭ তাং ৩৭.০০.০০০০.০২.০১৭.২০১৫-০১ নং স্মারকে আশাশুনি কলেজকে জাতীয়করণের পত্রজারী করে। সিনিঃ সহকারী সচিব নাছিমা খানম স্বাক্ষরিত পত্রে “মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আশাশুনি কলেজ ৯ জানুয়ারি ২০১৭ হতে জাতীয় করণ করা হলো” মর্মে জানান হয়েছে। খবর প্রাপ্তির পর বুধবার সকাল ১০.৩০ টায় কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব রুহুল আমিনকে কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যমন্ডলী ও ছাত্রছাত্রীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দসহ অভিভাবকদের সমন্বয়ে বিশাল একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। কলেজ চত্বর থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক, বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বর হয়ে পুনরায় কলেজে গিয়ে শেষ হয়। ব্যান্ডপার্টি বাদ্যসহকারে র‌্যালির সামনে ভ্যানে করে মিষ্টির ডালি নিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে মিষ্টিমুখ করা হয়। পরে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আলহাজ্ব রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় গভর্নিং বডির সদস্য অধ্যাপক সুবোধ কুমার চক্রবর্তী, অধ্যাপক সুশীল কুমার মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-unnoyn-melaনিজস্ব প্রতিবেদক: “উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার শেষ দিনে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে সাতক্ষীরার উন্নয়ন মেলা। সকাল থেকে দেখা যায় সাধারণ মানুষ মেলার বিভিন্ন স্টলে সামনে গিয়ে সেবার কার্যক্রম দেখছে এবং শুনছে। এক নজরে সাতক্ষীরার উন্নয়নের খতিয়ান দেখছে। সাতক্ষীরার ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন করতে কত দিন সময় লাগে, কত টাকা খরচ হয়। এবিষয়ে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্ত কান্তি বাবু জানান, সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যপক সাড়া পড়েছে। গত দুই দিনে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে দেড় লাখ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। এদিকে ব্যাংকার্স ফোরাম, সাতক্ষীরার স্টলের সামনে মানুষের ভিড়। এখান থেকে মানুষ ব্যাংকের সেবাসমূহ জানতে পারে। সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ নাছিম হাসান জানায় ব্যাংকিং সেবা আমরা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। দশ টাকায় হিসাব, বিনা সুদে কৃষি ঋণ, জনতা ব্যাংক এ মেলায় ৫০ হাজার টাকা গাভি ঋণ বিতরণ করেছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কর বিভাগ, এল,জি,আর,ডি, সড়কও জনপদ, পৌরসভা, আই,টি বিভাগ, ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ৭৭টি স্টল তাদের বিভিন্ন সেবাসমুহের লিফলেট, ফেস্টুনের পষড়া সাজিয়ে বসে আছে। মেলায় প্রতিদিন সেমিনার, লোক সংগীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভিডিও চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। এতে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি সাতক্ষীরার উন্নয়নের অগ্রগতি তুলে ধরা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে আন্তঃজেলা মটর সাইকেল ছিনতাইকারী চক্রের হোতা মোহাম্মদ আলীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় সে যথাক্রমে ৩ বছর ও ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
পুলিশ জানায়, আন্তঃজেলা মটর সাইকেল ছিনতাইকারী চক্রের হোতা ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোহাম্মদ আলী বংশীপুর তার নিজ বাড়িতে এসেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানার এস আই নিখিল চন্দ্রের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আন্তঃজেলা মটর সাইকেল ছিনতাইকারী চক্রের হোতা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে শ্যামনগরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৪ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় সে আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সে বাড়িতে আসলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc05454-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতীয় উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ঃ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের ভূমিকা ও আমাদের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার এবং বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর ঢাকা ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর ঢাকা’র সহকারি কিউরেটর মাসুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল প্রমুখ। সেমিনার শেষে বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_93353335_15978727_10157951784305401_119964129_n২০০৭ সালের এগারোই জানুয়ারি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিরাট পট পরিবর্তন হয়েছিল তা সবারই জানা।
গতকাল দশ বছর পূর্ণ হলো সেই দিনটির।

সেদিন বিকেলে বঙ্গভবনের ভেতরে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা প্রয়াত প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সাথে কী হয়েছিল, তা বিভিন্ন জনের বয়ানে খণ্ড খণ্ড ভাবে এসেছে বিভিন্ন সময়ে।

কিছু চিত্র পাওয়া যায়, সেদিনকার ঘটনাপ্রবাহের প্রধান কুশীলব সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের লেখা একটি বই থেকে।

২০০৯ সালে প্রকাশিত ‘শান্তির স্বপ্নে’ নামক স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থে সেসময়কার জেনারেল আহমেদ লিখেছেন, তিনি-সহ সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য প্রধান ও ডিজিএফআইয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্তা সেদিন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন।

তারা আড়াইটার সময় বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। ভেতরে গিয়ে শোনেন, প্রেসিডেন্ট মধ্যাহ্নভোজ করছেন। তাদের একটি কামরায় অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করবার পর প্রেসিডেন্টের দেখা মেলে। প্রেসিডেন্টকে তারা ‘মহা-সংকটময় পরিস্থিতি’ থেকে দেশকে উদ্ধার করার অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্ট বিষয়টি ভেবে দেখার সময় নেন।

জেনারেল আহমেদ তার বইতে লিখেছেন, “আমি জানতাম ইতোপূর্বে উপদেষ্টা পরিষদের অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত অজানা কোন কারণে ও প্রভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। যার কারণে আমরা কোনো দুষ্টচক্রকে আবার নতুন কোনো খেলা শুরু করার সুযোগ দিতে চাচ্ছিলাম না। কক্ষে নেমে এলো সুনসান নীরবতা …… আমার মনে হলো আমাদের চোখ দিয়ে পুরো দেশ যেন তাকিয়ে আছে প্রেসিডেন্টের দিকে”।

দীর্ঘ নীরবতার পর প্রেসিডেন্ট জরুরী অবস্থা জারীর পক্ষে মত দেন।

সেই সাথে তিনি নিজে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙে দেবেন বলে জানান।

বইতে ছ’টার সময় বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসার কথা লিখেছেন জেনারেল আহমেদ, অর্থাৎ দু’ঘণ্টার মত তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।

এই দু’ঘণ্টায় ঠিক কিভাবে তারা বুঝিয়েছিলেন প্রেসিডেন্টকে, কোন প্রেক্ষাপটে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জরুরী অবস্থা জারী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভেঙে দিতে রাজী হলেন, তার খুব স্পষ্ট একটা ধারণা জেনারেল আহমেদের এই লেখায় পাওয়া যায় না।

তবে বঙ্গভবনে যাওয়ার প্রেক্ষাপট কেন তৈরি হল, তা তিনি তার বইতে সবিস্তার লিখেছেন।
মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি:

ওইদিন বঙ্গভবন থেকে আর জীবিত ফিরে নাও আসতে পারেন বলে ধারণা করেছিলেন জেনারেল আহমেদ।

মইন ইউ আহমেদ লিখেছেন, তিনি এমন কিছু প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছিলেন, যার কারণে তৎক্ষণাৎ রাষ্ট্রপতি তাদের বরখাস্ত করতে পারেন, গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারেন, এমনকি হত্যার নির্দেশও দিতে পারেন।

বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্ভেদ্য উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “…তারা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হলেও তাদের কর্মপদ্ধতি ভিন্ন। বঙ্গভবনে তাদের কাছে প্রেসিডেন্টই একমাত্র ভিভিআইপি যাকে রক্ষা করতে তারা নিয়োজিত”।

“এমনকি প্রেসিডেন্টের জীবনের উপর হুমকি মনে করলে তারা যে কাউকে হত্যা করতে পারে। পিজিআর কিংবা এসএসএফ, সেনাবাহিনী কিংবা অন্য কোনো বাহিনীর চেইন অব কমান্ডের আওতাধীন নয়। এমন নিরাপত্তা বলয়ে আমরা কজন যাচ্ছি সম্পূর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায়”।

“আমি জানতাম হতে পারে এ যাত্রাই সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে আমার শেষ যাত্রা কিংবা কে জানে হয়তো জীবনের শেষ যাত্রা”।

বঙ্গভবনে রওয়ানা হওয়ার আগে মেজর জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়াকে তিনি বলেছিলেন, “আমি না ফিরলে পরবর্তী পরিস্থিতি সিজিএস হিসেবে প্রাথমিকভাবে তাকেই সামাল দিতে হবে”।

যে কারণে ১/১১:
রাজনীতিতে কোনোভাবেই সেনাবাহিনীকে জড়াতে চাননি, একথা বারবার ‘শান্তির স্বপ্নে’ বইতে লিখেছেন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ।

এমনকি তিনি যখন ডিভিশন কমান্ডারদেরকে দেশের অবস্থা বর্ণনা করতেন এবং তাদের মতামত শুনতে চাইতেন তখন তারাও দ্রুত কিছু করার তাগিদ দিতেন।

এক্ষেত্রে সাভারের জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর কথা বইতে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন জেনারেল আহমেদ।

“আমি তাদের বুঝাতাম রাষ্ট্র পরিচালনায় সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই”।

তাহলে কেন জড়ালেন?

এক-এগারো পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সেনাবাহিনী সরাসরি না থাকলেও সবখানেই যে তাদের প্রচ্ছন্ন হস্তক্ষেপ ছিল একথা সর্বজনবিদিত, যে কারণে দেশে-বিদেশে ওই সরকার ‘সেনা সমর্থিত সরকার’ বলেই পরিচিত।

জেনারেল আহমেদ বলছেন, জাতিসংঘের একটি প্রচ্ছন্ন হুমকির কথা, যেখানে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল।

তিনি লিখছেন, “সেনাবাহিনীর সীমিত আয়ের চাকরিতে সৈনিকদের একমাত্র অবলম্বন জাতিসংঘ মিশন। তাদের সামনে থেকে যদি সেই সুযোগ কেড়ে নেয়া হয় তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে পড়বে”।

প্রধান উপদেষ্টার সন্ধানে:
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের মূল কাজ হয় প্রধান উপদেষ্টা হতে রাজী এমন একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করা।

জেনারেল আহমেদ লিখেছেন, বঙ্গভবনেই প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন তাদের দুটো নাম প্রস্তাব করেছিলেন, একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস, অপরজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমেদ।

প্রফেসর ইউনুসকে প্রথম ফোনটি করেন জেনারেল আহমেদ।

প্রফেসর ইউনুস অস্বীকৃতি জানান।

“তিনি বললেন, বাংলাদেশকে তিনি যেমন দেখতে চান সেরকম বাংলাদেশ গড়তে খণ্ডকালীন সময় যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশকে আরো দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দিতে আগ্রহী। সেই মুহূর্তে ড. ইউনুসের কথার মর্মার্থ বুঝিনি……..পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি তিনি একটি রাজনৈতিক দল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন যদিও পরিস্থিতির কারণে তাকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছিল”।

ড. ফখরুদ্দীন আহমেদকে ফোন করে ঘুম থেকে জাগানো হয় গভীর রাতে।

প্রধান উপদেষ্টা হবার আমন্ত্রণ পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চান তিনি।

আধ ঘণ্টা পর ফিরতি ফোনে সম্মতি জানান।

ওই দিনটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনাবহুল দিন নাইন-ইলেভেনের মত করে এক-এগারো হিসেবে অভিহিত করার সিদ্ধান্তও তারাই নিয়েছিলেন বলে বইতে লিখেছেন মইন ইউ আহমেদ।

সেনাবাহিনীর ওই দিনের এই উদ্যোগ সেসময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

যদিও সেনা সমর্থিত ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরবর্তী দুবছরের কর্মকাণ্ড পরে বেশ বিতর্কই সৃষ্টি করেছে।

এর মধ্যে ‘মাইনাস-টু’ ফর্মুলা বলে পরিচিত প্রধান দুই দলের দুই নেত্রীকে অপসারণের একটি চেষ্টা নিয়ে আজো সমালোচনা চলে।
এখন কে কোথায়?

২০০৮ সালের শেষাংশে ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পরবর্তীতে ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এরপর আর দেশে ফিরেছেন বলে শোনা যায়নি।

ওয়াশিংটনে তিনি থাকেন বলে বাংলাদেশের কোন কোন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, যদিও জনসমক্ষে তিনি আসেন না বলেই প্রকাশ।
জেনারেল মইন ইউ আহমেদও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হয়েছেন অবসর গ্রহণের পর।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, তিনি নিউইয়র্কের জ্যামাইকার বাসিন্দা।
ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি।
তিনিও জনসমক্ষে আসেন না।
মেজর জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী নতুন রাজনৈতিক সরকারের অধীনে বিদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন।
পরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং তিনি এখন দেশেই বসবাস করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

duঢাকা: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর পূর্ব নাখালপাড়ার একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি হস্তান্তর করা হয়।

নিহত মহসিনা মেধা ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

এ ব্যাপারে স্বজনদের বরাত দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, মেধা পড়ালেখা বন্ধ করে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত ফেসবুক চালাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে তার মা তাকে ফেসবুকে দেখে গালমন্দ করেন। এরপর তিনি নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা ভোরে উঠে দেখেন, মেধার নিথর দেহ শোবার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।

ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মায়ের বকুনিতে অভিমান করে মেধা আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া পরিবারের কোনো অভিযোগও নেই। এজন্য ময়নাতদন্ত ছাড়া মেধার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, মেধা পূর্ব নাখালপাড়ায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। মৃতদেহ কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এহসানুল হক জানান, ‘বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে জানিয়েছে মেধা নামে এক শিক্ষার্থী পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করেছে। তবে তারা অফিসিয়ালি এখনও কিছু জানেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest