সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

18555837_1922738054627385_6688002229697475861_n৮ম শ্রেণির ছাত্র রাহাত(১৬) কাগুজী বাঁচতে চায়। সে কিডনী জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ভারতের ভেলোরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল কাগুজী’র ছেলে। তার দুটি কিডনীই নষ্ট হয়েছে। তাকে বাঁচাতে হলে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার পিতার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানদের সামান্য আর্থিক সহযোগিতায় আবারো হাসি আনন্দে পিতা-মাতার কোল আলোকিত করতে পারে রাহাত। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: রেজাউল কাগুজী, একাউন্ট নং- ১৮১২১০১০৯৭৮৬৬, পূবালী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখা। বিকাশ নং- ০১৭২৫ ৫৮৯৭৩৯।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনির চরম প্রতিবন্ধী খায়রুল ইসলাম সংসারের ঘানি টানার জীবনযুদ্ধের মধ্যেও ক্লান্তিহীন পড়ালেখার মাধ্যমে মাস্টার্স পাশ করে সুস্থ মানুষদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সৎ উদ্দেশ্য ও অদম্য ইচ্ছা থাকলে অনেক অসাধ্যকেও জয় করা সম্ভব তার উৎকৃষ্ট প্রমান খায়রুল।
আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলি সরদারের পুত্র খায়রুল ইসলাম। তার বর্তমান বয়স ২৭ বছর। তিনি জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী। দু’টি পা সম্পূর্ণ অচল। দু’হাতেও স্বাভাবিক কিছু করার সক্ষকতা নেই তার। এখন মুখে ভাত তুলেও খেতে পারেননা। কোন রকমে কলম চালাতে পারেন; তাও অতি কষ্টে। ২৭ বছর আগে তার জন্ম হয় পিতার ভিটা টেকাকাশিপুর গ্রামে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ায় তার মাতার উপর নেমে আসে অভিশাপ। পিতা মোহাম্মদ আলি তার মা আমিরুন নেছাকে তালাক দিয়ে বিদায় করে দেন। তিন মাসের শিশুকে নিয়ে মা গোয়ালডাঙ্গায় পিতার ভিটায় আশ্রয় নেন। আর্থিক অনটনের মধ্যে কষ্টকর জীবন-যাপনের পথ ধরে তার বেড়ে ওঠা। সংসার নির্বাহের জন্য পরের বাড়িতে কাজ করতেন। প্রতিবন্ধী ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনকে অন্ধকারমুক্ত করা যায় কিনা সে মনোস্কামানা নিয়ে ছেলেকে মাদরাসায় পাঠানো শুরু করেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখাকালীণ খরচ যোগানোর তাগিদে টিউশনি শুরু করে খায়রুল। এভাবে নিজের খরচ নিজে যোগানোর মাধ্যমে গোয়ালডাঙ্গা শুক্কলিয়া দাখিল মাদরাসায় পড়ালেখা করে ২০০৫ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় খায়রুল। সাধারণ পরীক্ষার্থীদেরকে তাক লাগিয়ে দিয়ে খায়রুল ৩.৬৭ পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপর বড়দল আলিম মাদারাসায় ভর্তির পর খরচ বেড়ে যাওয়ায় টিউশনিতে আরও বেশী সময় দিতে হতো। কিন্তু না সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিল। চলাফেরায় দুর্বলতা বেড়ে গেল। তখন বিয়ারিং এর গাড়িতে চড়ে চলাচল শুরু করলেন। জীবনযুদ্ধের মাঝে আবার লেখাপড়ায় সফলতা অর্জন করলেন তিনি; ২০০৭ সালে ২.১৭ পেয়ে আলিম পাশ করলেন। এরপর বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল হতে এইচএসসি এবং ২০০৯ সালে ফাজিল পাশ করেন ২.১৭ পেয়ে। চরম অভাব ও চলাচলে প্রতিবন্ধীকতা এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রতিকূলতা থাকা স্বত্তেও লেখাপড়া থামেনি। ২০১৩ সালে আশাশুনি কলেজ হতে ইসলামের ইতিহাসে ফার্স্টক্লাশ নিয়ে অনার্স পাশ করেন। অদম্য আগ্রহ সহকারে তিনি খুলনা বিএল কলেজ থেকে মাস্টার্স (ইসলামের ইতিহাস) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০১৬ সালে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসা হতে ২০১৭ সালে হাদিস গ্রুপ থেকে কামিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মৎস্য চাষ ও খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। লেখাপড়ায় ঈর্ষণীয় সফলতা পেয়ে জীবনে বড় কিছু হওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেলেও তার জীবনের বড় বিপত্তি শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ। এদিন রাতে মাথার পাশে জ্বলন্ত গ্লোব রেখে মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে যান। কোন এক সময় মশারিতে আগুন লেগে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তার সমস্ত শরীর আগুনে ঝলছে যায়। তাকে নেওয়া হয় প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে এবং পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এখানে তাকে ৮ মাস ধরে চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসা শেষে পোড়া ঘা শুকিয়ে গেলেও তার পঙ্গুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যায়। হাত-পা চালানোর শক্তি বহুগুণ হারিয়ে যায়। এখন অন্যের সহযোগিতা ছাড়া নিজেকে পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে গেছ। মোজাহার উদ্দীন মাল্টিক্রাফট সেন্টারে শিশু শিক্ষার ছোট্ট একটি চাকুরি পেলেও সেটি টিকিয়ে রাখতে পারেননি। বর্তমানে টিউশনির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও ধরে রাখতে পারছেননা। বর্তমানে একটি পুরনো হুইল চেয়ারে চড়ে তার চলাচল। যেটি ২০০৭ সালে ঋশিল্পী দিয়েছিল। তেতুলিয়া আশ্রয়ন আবাসনে বসবাসকারী অসহায় খায়রুল এখন ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে খুবই চিন্তিত। তারপরও তার অসীম আগ্রত তাকে থামিয়ে রাখতে পারছেনা। তার ইচ্ছা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়া। তিনি বলেন সমাজের বোঝা হয়ে থাকার মধ্যে কোন তৃপ্তি নেই। কিন্তু প্রতিবন্ধিতা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তবুও তিনি হতাশ হতে রাজি নন। তার প্রত্যাশা বিসিএস দিয়ে একটি অবলম্বন তার ভাগ্যে জুটাতে চান তিনি। জীবনকে যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক করতে সচেতন মানুষের সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহার প্রত্যাশা করা তার জন্য বেশি কিছু চাওয়া নয় বলে মনে করেন তিনি। চরম শারীরিক প্রতিবন্ধী খায়রুল নিত্য প্রতিকূলতাকে পিছে ঠেলে দিয়ে বারবার স্বপ্ন জয় করে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, আমাদের জন্য সেটি বিশাল উদাহরণ হয়ে যুগ যুগ উঠে আসবে। আসুন আমরা তার জীবনকে যোগ্য স্থানে পৌছে দিতে পাশে থাকি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bf5941e9fa27d45dab365a6ba16747f6-591d724a0f5daবনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা দায় স্বীকার করে এই জবানবন্দি দেয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিংকি জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সাফাত ও সাদমানকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিচারকের খাস কামরায় তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।

তিনি আরও জানান, সাফাতের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব। এদিকে সাদমান সাকিফের স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন আরেক ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।

সাফাত ও সাদমান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাদের আদালতে নেওয়া হয়। সাদমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড আজ বৃহস্পতিবার এবং সাফাতের ছয়দিনের রিমান্ড শুক্রবার শেষ হচ্ছে। এ মামলার অপর আসামি নাঈম আশরাফকে বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করে আদালতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ মে বনানী থানায় সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন দুই তরুণী। বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি হোটেলের একটি রুমে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। মামলার সব আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9a5d5aaa94df615c16745bc534ba6b1d-591dbe383139aনেত্রকোনায় গিয়ে রিকশায় চড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) নেত্রকোনার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রিকশায় চড়েন তিনি। এর আগে, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি গোপালগঞ্জে গিয়ে ভ্যানে চড়ে ঘুরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নেত্রকোনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত রিকশায় চড়েন। এরপর রিকশা থেকে নেমে পায়ে হেঁটে হ্যালিপ্যাড পর্যন্ত যান। এতে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে।’

জানা গেছে, টিপু সুলতান নামে এক রিকশাচালক প্রধানমন্ত্রীকে বহন করেন। টিপু সুলতানের বাড়ি নেত্রকোণার দক্ষিণ বিশুহুরা এলাকায়। রিকশায় উঠে প্রধানমন্ত্রী টিপু সুলতানের নাম-পরিচয় ও কুশল জানতে চান। এসময় প্রধানমন্ত্রী টিপু সুলতানকে ৩ হাজার টাকা উপহার দেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার খালিয়াজুরী উপজেলার হাওর মালেক সিটিতে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এরপর বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে নগর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২০০ জনের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২০ জনের মধ্যে প্রত্যেককে ৩৮ কেজি চাল এবং একহাজার টাকা করে সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি খালিয়াজুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে যান। সেখান থেকে রিকশায় চড়ে জেলা ডাকবাংলো পরিষদে পৌঁছান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

0e5fb77c10d15239509f3ef54af73df7-591db091a3574একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। অন্তত শতাধিক আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে বাছাই তালিকা তৈরি করছে দলটি। ইতোমধ্যে লিখিতভাবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিমত নেওয়া শুরু করেছে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলটির ভেতরে দুই রকমের পরিকল্পনা চলছে। প্রথমত হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত থাকা নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন ফিরিয়ে এনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা। দ্বিতীয়ত দলীয়ভাবে নির্বাচনে যেতে না পারলে বিগত স্থানীয় নির্বাচনগুলোর মতোই স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রার্থী দেবে দলটি। জামায়াতের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সম্ভাবনা বেশি
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জামায়াত নেতারা মনে-মনে প্রত্যাশা করলেও ইতোমধ্যে দাড়িপাল্লা প্রতীক বাতিল হয়ে যাওয়ায় নতুন প্রতীক বরাদ্দ ও নিবন্ধন ফিরে পাওয়া অনেকটাই কঠিন। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে পারে জামায়াতে।

ঢাকা মহানগর জামায়াত দক্ষিণের একজন শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বশীল বলেন, ‘এখনও প্রত্যাশা, দলীয় প্রতীকেই নির্বাচনে যাব। এ ক্ষেত্রে আগামী বছরের মধ্যেই দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’ জানতে চাইলে দলের দায়িত্বশীল, সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। ২০ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ থেকেই নির্বাচন করা হবে। দলীয় প্রতীকে না হলে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’

জামায়াতের সূত্রগুলো জানায়, দলের সংসদীয় বোর্ড ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ পার্লামেন্টারি বোর্ডের দায়িত্বে রয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিমত-প্রস্তাব ও তথ্য যাচাই করে এই বোর্ডই প্রার্থিতার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। সূত্র আরও জানায়, আগামী নির্বাচনে অন্তত ১০০আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বিবেচনা করছে জামায়াত। এক্ষেত্রে জোটগতভাবে নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল থাকায় বিএনপির ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিতে হবে দলটিকে। ফলে, নির্বাচনের আগে-আগে প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমে আসবে। এক্ষেত্রে দলটির প্রার্থীর সংখ্যা ত্রিশের নিচেও নেমে আসতে পারে।

নির্বাচনের বিষয়ে স্বপরিচয়ে উদ্ধৃত হতে অনিচ্ছুক জামায়াতের রাজনীতির একজন গভীর পর্যবেক্ষক বলেন, ‘আমি মনে করি, জামায়াত স্ট্র্যাটেজিক্যালি বিএনপি-জোটের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করবে ও স্বতন্ত্রভাবেই করবে।’ তিনি এও বলেন, ‘আমি মনে করি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলে নির্বাচনের প্রস্তুতি যেমন শুরু হয়েছে, তেমনি জামায়াতেও শুরু হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের নায়েবে আমিরের একজন সহচর বলেন, ‘তিনশ আসনকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি চলছে।’

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ নেই
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে নির্বাচন করলেও আরপিও অনুযায়ী ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থিতা করার সুযোগ নেই জামায়াতের। আগামী নির্বাচনে জোটের কোনও দলই কমপক্ষে তিন বছরের কম সময় হলে ওই দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবে না।

মনোনয়নে যারা আলোচনায়
জামায়াতের সূত্রগুলো জানায়, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিবেচনার ক্ষেত্রে ২০০১ সালের নির্বাচনকেই আদর্শ রাখছে জামায়াত। ওই নির্বাচনে দলটির ১৭ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়ে সংসদে যান। এই আসনগুলো হচ্ছে, দিনাজপুর-১, দিনাজপুর-৬, নীলফামারী-৩, গাইবান্ধা-১, পাবনা-১ (শহীদ), পাবনা-৫, যশোর-২, বাগেরহাট-৪, খুলনা-৫, খুলনা-৬, সাতক্ষীরা-২, সাতক্ষীরা-৩ (মৃত), সাতক্ষীরা-৫, পিরোজপুর-১, সিলেট-৫, কুমিল্লা-১২, চট্টগ্রাম-১৪। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী কক্সবাজার-২, চট্টগ্রাম-১৪ আসনকেও বিবেচনায় নিয়েছে জামায়াত। এক্ষেত্রে বর্ণিত আসনগুলোয় প্রার্থিতা নিশ্চিত করলেও প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।

এ ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার একজন সদস্য বলেন, ‘জামায়াত অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় প্রার্থী ম্যাটার করে না। যে কাউকেই দাঁড় করালে নির্ধারিত ভোট তারা পাবেন।’

দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ১৭ টি ও ২০০৮ সালের ২ টি আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়েছে। এই আসনগুলোয় বিজয়ীদের মধ্যে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন,  কারাগারে আছেন, তাদের কেউ-ই মনোনয়ন পাচ্ছেন না আগামী নির্বাচনে। তবে গত ৮ বছরে দলের প্রভাবশালী হয়ে ওঠা প্রায় প্রত্যেকেরই প্রার্থিতার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনে যে এলাকাগুলোয় জয় এসেছে এবং ভোটের সংখ্যার দিক থেকে জামায়াত এগিয়ে ছিল, ওই এলাকাগুলোকেও বিবেচনায় রাখছে জামায়াত।

জামায়াতের মজলিসে শুরা ও ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরের একাধিক দায়িত্বশীল জানান, প্রার্থিতার বিষয়ে যারা আলোচনা আছেন, তাদের উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমান। বিগত কোনও নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। এবার সিলেট অঞ্চলে প্রার্থিতা করবেন। দলের আমির মকবুল আহমাদ বার্ধক্যজনিত কারণে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত প্রার্থী নাও হতে পারেন। নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী অঞ্চলে নির্বাচন করবেন।

আরেক নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনা ৫ আসনে প্রায় চূড়ান্ত। নবম সংসদে তিনি বিজয়ী ছিলেন। দিনাজপুরে ১ আসনে আগের প্রার্থী মাওলানা আবদুল্লাহ আল কাফি মারা যাওয়ায় তার স্থলে অন্য কেউ প্রার্থী হবেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ কক্সবাজারে, রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জের একটি আসনে দাঁড়াবেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১২-এ চূড়ান্ত।

নতুনদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তর আমির সেলিম উদ্দিন, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঢাকার পল্টন, রমনা এলাকায় বা নরসিংদীর কোনও আসনে সাবেক কমিশনার আবদুর রবও দলীয় মনোনয়ন-প্রত্যাশী।

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আসনগুলোয় যারা
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর। তার পাবনা ১ আসনে পরিবারের সদস্যদের কারও সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে জেলা জামায়াতের কোনও শীর্ষ-দায়িত্বশীল নেতা প্রার্থী হতে পারেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মাওলানা আবদুস সুবহানের পাবনা ৫ আসনে অন্য কেউ প্রার্থী হবেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পিরোজপুর-১ আসনে তার দুই সন্তানের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে  সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী নন বলে জানান ।

জানতে চাইলে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘নির্বাচন করার কোনও ইচ্ছাই নেই। তাই নির্বাচন করার প্রশ্নই ওঠে না। এছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ নেই। দল থেকেও যোগাযোগ করা হয়নি, আমরাও করিনি।’

সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের এলাকা শেরপুরে কোনও আসনে তার সন্তান হাসান ইকবালের সম্ভাবনা আছে। যদিও হাসান ইকবাল বলেন, ‘দল থেকে মনোনয়ন দিলে করা যাবে। তবে এ নিয়ে আমি এখনও কিছু জানি না। তবে শেরপুরে বিএনপির প্রার্থী থাকতে পারে।’

দলের একটি সূত্রের দাবি, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার পরিবারের কোনও সন্তানের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। একইভাবে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফরিদপুরের আসনে প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1bb42abdf645da055f02782a3894577b-580f7f784572aবিচারকদের ক্ষমতা আইনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন; কিন্তু বিচারকরা স্বাধীন নন। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। এমনকি, বিচারকরাও নন। আমাদের কিছু পদ্ধতি আছে, দিক নির্দেশনা আছে, যার বাইরে যেতে পারি না। আমরা আইনের বাইরে কোনও কাজ করতে পারি না। ’বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালত ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘রাষ্ট্রের সবাই যদি বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখেন এবং বিচার বিভাগে যারা আছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে কথা বলেন, তবে দেশের অন্যায়-দুর্নীতি অনেক কমে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানব সভ্যতার চাবিকাঠি হলো একটি দেশের ন্যায় বিচার। এই প্রতিষ্ঠানে যেই থাকুক তার ওপর সম্মান রাখা মানে দেশের সংবিধানের ওপর সম্মান রাখা।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

111vvদেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে দেবহাটায় এসএনএসপি প্রকল্প ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব, পিআইসি, মেম্বর ও ট্যাগ অফিসারদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বিষয়ক এক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন। কর্মশালায় মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন ডিপিসি গ্রুপের মাস্টার ট্রেইনার মানিক হাওলাদার। কর্মশালায় সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা সদর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজগার আলী, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল্লাহ সহ সকল ইউনিয়নের সচিব ও ইউপি সদস্য/সদস্যাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

18দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দেবহাটা কলেজ প্রাঙ্গনে ৩ দিনব্যাপী ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহের সমাপ্ত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও দেবহাটা কলেজের সভাপতি আনারুল হক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাজমুস শাহাদাত নফর বিশ্বাস, দেবহাটা কলেজ অধ্যক্ষ একেএম আনিসুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী, নাজিমউদ্দীন, দেবহাটা পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। এ সময় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সখিপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পারুলিয়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, কুলিয়ায়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ডিজিটার সেন্টারের উদ্যোক্তাগন ইন্টারনেট সপ্তাহের বিষয়বস্তু নিয়ে মেলায় স্টল প্রদর্শনী করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ। সমাপনি অনুষ্ঠানে ইন্টারনেট বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিররনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest