সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলখাজরায় হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপি নেতার পক্ষে মানববন্ধনভারতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র‍্যালিকলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুঅধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এড. আব্দুর রহমান কলেজের কমিটি গঠনের অভিযোগকালিগঞ্জে সাপের কামড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সংলাপে ১০ প্রস্তাবসাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভাশ্যামনগরে কপোতাক্ষ নদে নিখোঁজের একদিন পর ডুবুরির মরদেহ উদ্ধারশিক্ষা জাতীয়করণসহ চার দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

সোনাবাড়ীয়া প্রতিনিধি : কলারোয়া উপজেলাধীন ৬নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত মাদরা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ শুক্রবার সকাল ৮:৩০ মিনিটের সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১০/১৩ আর্মী পিলিয়ারের মাঝামাঝি রাজপুর গ্রামের কাছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচার হওয়ার সময় আটক করেন চট্টগ্রামের আলী কদর গ্রামের তুশাক (৬০) এর ছেলে ইব্রাহীম (২৮), তার স্ত্রী আজারা (২৫) ও তার জোমজ দুই ছেলে আনুমানিক বয়স পাঁচ বছর। ঐ একই দিনে একই পিলিয়ারের মাঝখান বরারবর উক্ত কোম্পানি কন্ডার পাসপোর্টবিহীন অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেন রাজপুর গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে আয়ুব (৪০) ও একই গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (২২)। পরবর্তীতে উক্ত পাচারকারী ৪ জন ও আনপার্সপোর্টধারী দুইজনকে কলারোয়া থানায় সোপার্দ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-moniruzzaman
নিজস্ব প্রতিবেদক: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কবিতা ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে লোকে, মেঘলা দিনে দেখেছিলাম মাঠে, কালো মেয়ের কালো হরিন চোখ’ সমুধুর আবৃত্তির মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরার শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিশিল্পী মনিরুজ্জামান ছট্টুর একক আবৃত্তি ‘আলোয় ভরা আকাশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে হেনরি সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কাজী মোহাম্মদ ওলিউল্লাহ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, কবির রায়হান, শুভ্র আহমেদ, কবি স ম তুহিন। আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, মন্ময় মনির, ছড়াকার আহমেদ সাব্বির, কবি সায়েম ফেরদৌস মিতুল, সরদার গিয়াস উদ্দিন, এম এ জলিল, গাজী শাহাজান সিরাজ, পল্টু বাসার, চৈতালী, তৃপ্তি মোহন মল্লিক, নিশিকান্ত ব্যানার্জী, শেখ আমিনুর রহমান কাজল প্রমুখ। আবৃত্তি শিল্পী মনিরুজ্জামান ছট্টুর নির্বাচিত মোট ১৮টি কবিতা পর পর সুমধুর কণ্ঠে তিনি আবৃত্তি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3-2-17দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার মাঘরীতে উঠান বৈঠাক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দিক-নির্দেশনায় ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে মাঘরী মহিলা মিশনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মাঘরী আহ্ছানীয়া মিশনের সভাপতি ইউপি সচিব মহাসিন আলী হালদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দেবাশিষ সিংহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, মাঘরী মহিলা মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু তৈয়ব খান, কেএম রেজাউল করিম। বক্তব্য রাখেন দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল্লাহ আল তারিক, মাঘরী মসজিদ ভিত্তিক মাদ্রাসা প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নারগিস সুলতানা প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েল সহকারী প্রধান শিক্ষক এবরান আলী। এসময় শিশুদের সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে পাঠানো, সঠিক নিয়মে পরিচর্য়া করা, বাল্যবিবাহ না দেওয়া, বিদ্যালেয় পড়া-লেখা করছে কি না খবর নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তুারিত আলোচনা করা হয়। তাছাড়া বক্তরা আরো বলেন, একজন শিশুর প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার পরিবার তাই মায়েদের সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত মা সমাবেশে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: আমরা সব সময় চুলে নারকেল তেলই ব্যবহার করি। নারকেল তেল চুলের সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে না। একেক তেল চুলের একেক ধরনের সমস্যার সমাধান করে। কোন চুলে কোন তেল ব্যবহার করবেন, সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।

শুষ্ক চুল

অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং ভেঙে যায়। শুষ্ক চুলে অলিভ অয়েল কিংবা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল শুষ্ক চুলের রুক্ষতা দূর করে চুল নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত চুল

তৈলাক্ত চুলে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিলে চুল আরো বেশি তেলতেলে হয়ে যায়। তাই এ ধরনের চুলে অর্গান অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল চুলকে তেলেতেলে না করে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

সাধারণ চুল

সাধারণ চুলে যেকোনো ধরনের তেলই লাগাতে পারেন, বিশেষ করে নারকেল তেল। এই তেল আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলের মতো ভারী নয়। সাধারণ চুলে নারকেল তেলের পুষ্টিই যথেষ্ট।

খুশকিযুক্ত চুলে

যাদের মাথায় খুশকির সমস্যা, তারা চুলে নিমপাতার তেল ব্যবহার করুন। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুশকির জীবাণু ধ্বংস করে মাথার ত্বক খুশকিমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

আগা ফেটে যাওয়া চুল

চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা চুলের আগা ফাটা দূর করতে বেশ কার্যকর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্রীড়া ডেস্ক: ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্রের একজন লু রোয়ান। ১৯৭১ সালে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। আজ শুক্রবার, ৯১ বছর বয়সে মারা গেলেন ক্রিকেটের বর্ষীয়ান এই আম্পায়ার। প্রথম ম্যাচ পরিচালনার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটের অন্যতম এক বিতর্কের মহাসাক্ষী এই রোয়ান। ১৯৭১ সালের অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সবচেয়ে বড় নাম ছিলেন তিনি। কারণ, সেই সিরিজে একজন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানও লেগবিফোর আউট হননি। কেবল তাই নয়, সিরিজের প্রথম টেস্টে জিওফ্রে বয়কটের থ্রোয়ে কেইথ স্ট্যোকপোল পরিষ্কার রানআউট হলেও তাঁকে আউট দেননি লু রোয়ান। ক্রিকেটের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক আম্পায়ারিংয়ের ঘটনা মনে করা হয় সেটিকে। সেবার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন স্ট্যাকপোল। তবে আউট হতে পারতন তিনি। কারণ, বয়কটের থ্রোয়ে রানআউট হয়েও লু রোয়ানের কারণে বেঁচে যান অসি ব্যাটসম্যান স্ট্যাকপোল। আর তাতেই ম্যাচটা ড্র হয়ে যায়। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও গণ্ডগোল বাধান এই রোয়ান। খেলা শুরুর আগে পিচের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। ইংল্যান্ড অধিনায়ক রে ইলিংওর্থের বারবার আবেদন সত্ত্বেও রোলিং করার অনুমতি দেননি এই আম্পায়ার। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ছিল মেলবোর্নে। খেলার শুরুর আগেই ভর্তি হয়ে যায় এমসিজি। বৃষ্টিতে মাঠ খেলার উপযোগী ছিল না। মেলবোর্ন স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় মাঠ তৈরি হলেও খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়ার রোয়ান। চতুর্থ টেস্টে ইংলিশ বোলার জন স্নোর বাউন্সারে মাথায় চোট পান টেরি জিনার। আম্পায়ার রুয়ান বোলার স্নোর বিপক্ষে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার অভিযোগ আনেন। খেলা চলাকালে দর্শক মাঠে ঢুকে স্নোকে লাঞ্ছিত করলে ইলিংওর্থ তাঁর দল নিয়ে মাঠ থেকে বের হয়ে যান। পুরো সিরিজে ন্যক্কারজনকভাবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আম্পয়ারিং করেন লু রোয়ান। ১৯৭১ সালের অ্যাশেজ সিরিজের কথা উঠলে অবধারিতভাবে চলে আসে লু রোয়ানের নাম। সেই অ্যাশেজের পর আর কোনোদিন আম্পায়ার হিসেবে দেখা যায়নি রোয়ানকে। অবসর নিলেও উল্টাপাল্টা আচরণ বন্ধ করেননি এই আম্পায়ার। ১৯৯৫ সালে অর্জুনা রানাতুঙ্গা ও মুরালিধরনকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তিনি। এমনকি রিকি পন্টিং ও ব্রেট লিকে গাধা বলে সম্বোধন করেন এই আম্পায়ার। ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করা লু রোয়ান ২৫টি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

16522764_10210377196814012_1082469409_nশেখ তহিদুর রহমান ডাবলু: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুর ব্যক্তিগত শটগানের গুলিতে আহত দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল মারা গেছেন।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় আনার পথে আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শিমুলের মৃত্যু হয়। শিমুলের সঙ্গে থাকা সহোদর আজাদ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁরা শাহজাদপুরে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুর ব্যক্তিগত শটগানের গুলিতে সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধিসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে ইটের আঘাতে আরো কয়েকজন সামান্য আহত হন।

আবদুল হাকিম শিমুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, দুপুর দেড়টার দিকে শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় শেখকে মেয়রের ভাই হাসিবুল হক পিন্টু মারধর করেন। পরে বিজয় পক্ষের লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধ চলাকালে বিজয়ের সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে মেয়রের বাড়ির দিকে যায়। বাড়ির কাছে পৌঁছালে কেউ বাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে। এ সময় মেয়র হালিমুল হক মীরু তাঁর শটগান থেকে গুলি ছোড়েন। সেই গুলি সাংবাদিক শিমুলসহ তিনজনের গায়ে বিদ্ধ হয়।

গুলি করার ঘটনায় মেয়র হালিমুল হক মীরুর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি ব্যক্তিগত মুঠোফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

এদিকে, এ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নেতৃবৃন্দ এবং একই সাথে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা নিউমার্কেটের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামিকাল শনিবার সকাল ১০:৩০টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে। এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে উপস্থিত থাকার জন্য সাতক্ষীরার সর্বস্তরের সংবাদকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_829351887_1486058921ডেস্ক: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার বন্ধু শাহরিয়ার ইসলাম শাওনের বিয়ে হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহরাব মিয়া।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ মে কাজী মো. সালাউদ্দিন ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে শাওন ও মাহির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভলিউম নং ১৮৬/১৫, পৃষ্ঠা ৬৫-তে এ বিয়ের রেজিস্ট্রার করা হয়েছে এবং তদন্ত কর্মকর্তা এ বিয়ের রেজিস্টার জব্দ করে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

এসআই সোহরাব বলেন, শাওন ও মাহির বিয়ের কাগজপত্র আমি নিজেই জব্দ করেছি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী অপুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি। বিয়ের একদিনের মাথায় বেরিয়ে আসে আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন মাহি। শাহরিয়ার ইসলাম শাওন মাহির স্বামী দাবি করে তাদের (শাওন-মাহি) অন্তরঙ্গ ও বিয়ের কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন। পরে ২৮ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি।

চলচ্চিত্র জগতে মাহিয়া মাহি বলে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম শারমিন আক্তার নিপা। মামলায় তিনি বাদী হিসেবে প্রকৃত নামটি ব্যবহার করেছেন।

তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, শাওন নামে এক যুবক ফেসবুকে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি আপলোড করেছে। এতে করে তার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে শাহরিয়ার ছাড়া তার কয়েকজন বন্ধুও জড়িত বলে তার ধারণা। বিয়ে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যে এসব ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

মামলাটি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) সেলের কাছে স্থানান্তর করা হয়। ২৯ মে মাহির প্রথম স্বামী পরিচয় দেয়া শাওনকে দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিটি ইউনিট।

পরে তাকে আদালতে হাজির করে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মিন্টো রোডে সিটি ইউনিটের কার্যালয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে ওই বছরের ৫ জুন মাহির বাবা ও শাওনের বাবার মধ্যে একটি আপসনামা হয়। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে মাহির উত্তরার বাসায় উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ওই আপসনামা সই হয়।

পরে মাহির স্বামী দাবিদার শাওনকে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম জামিন দেন। আদালতে দুইজনের পক্ষ থেকে আপস-মীমাংসার কথা বলা হলে জামিন পান শাওন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানিয়েছেন, তারা একসঙ্গে উত্তরায় স্কুলে পড়তেন। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৫ সালের ১৫ মে বাড্ডার কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। শাওন বিয়ের কাগজপত্রও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিগুলো ফেসবুকে স্ত্রী মাহির অনুমতি নিয়েই আপলোড করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগে কখনও মাহির আপত্তি ছিল না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dhulihar-picture-against-juboleage-02-02-02-2017নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নির্দেশ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ এবার তুললো টিনের সাইনবোর্ড। জানা যায়, ব্রহ্মরাজপুর বাজারের সাহেব বাড়ি মোড় এলাকার সন্তোষ দাসের পুত্র মোহন দাসের চল্লিশ বছরের দখলীয় জমি ও ঘর গত ২৯ জানুয়ারি দখলস্বত্ব হিসাবে হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুস সেলিম লিখিতভাবে হস্তান্তর করে নেয়। দখল বুঝে নেওয়ার আগেই জানতে পেরে ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ঐদিনই ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও কাপড়ে কার্যালয় লিখে ঘরের পেছনের অংশ ভাংচুর করে দখল করে নেয়। এই ঘটনায় সন্তোষ ও সেলিম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিলে তিনি তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে ঘটনাটি সমাধানের  আশ্বাস প্রদান করেন। এসব ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম দলীয় নেতা-কর্মীদের  সাথে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি উপস্থিত লোকজনের কাছে প্রকৃত ঘটনা অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক দলীয় সকল ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই জমি ও ঘরে কেউ যাতে অবস্থান করতে না পারে ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জকেও তিনি কঠোর নির্দেশ দিয়ে আসেন। অপরদিকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাবু সানা), ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুছ ছালামের উপর দায়িত্ব দেন। কিন্তু এসব নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘটনাস্থল থেকে কোনো কিছু না সরিয়ে পুনরায় সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন করে আবার ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয় লিখে বাশের মাথায় টিনের সাইনবোর্ড তোলা  হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও নানা ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্রহ্মরাজপুর সাহেব বাড়ি মোড় আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে যে কোন সময় সংঘর্ষ বাধার আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের  আশু হস্তক্ষেপ  কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest