সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি কালিগঞ্জ: শুক্রবার রাত এগারটা ৩০ মিনেটে দক্ষিণশ্রীপুরের ফতেপুর প্রাইমারী স্কুলের সামনে থেকে ১১ পিস ইয়াবাসহ দুই জনকে আটক করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে এস,এই,ইমদাদুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফতেপুর স্কুলের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় এলাকার চিন্নিত মাদক ব্যাবসায়ী দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের বদরুলজ্জামান কারিগর এর পুত্র সাজ্জাদুল ও তার সহযোগী ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের গাইনয়ের পুত্র ইয়াকুব গাইন কে মোটরসাইকেলে দ্রুত গতিতে যাইতে দেখে সন্দেহ হলে তাদের কে থামিয়ে দেহ তল্লাশি করেন।দেহ তল্লাশি করে বদরুলের দেহ থেকে ৬ পিস ও সহযোগী ইয়াকুবের কাছ থেকে ৫ পিস নেশার দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন এবং তাদেরকে আটক করতেও সক্ষম হন। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিকল্প আছে, সুন্দরবনের বিকল্প নেই এই শ্লোগানে’ রামপালে নয় বিকল্প স্থানে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে শহরের মিনি মার্কেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ রিমু চত্বরে এক আলোচনায় সভায় মিলিত হয়। জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ মোড়লের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবির হোসেন, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, মইনুল হাসান, স্বপনশীল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল সরকার, মিজান, হিরন্ময় মন্ডল, মকবুল, কালিপদ মন্ডল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের একটি উপকুলীয় মানুষের দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। এই সুন্দরনের কারণে এ উপকুলের মানুষ বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ঝড়, জলোচ্ছাসসহ নানা ধরনের দুর্যোগের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। সুন্দরবন পৃথিবীর সর্ববৃত্তম ম্যানগ্রোভ বন। সুন্দরবন ও বনের জীব বৈচিত্র কে রক্ষায় সুন্দরবনকে ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পকে বাতিল করে কয়লা ভিত্ত্কি বিদ্যুৎ প্রকল্প অবিলম্বে সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে বিকল্প স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরে সদ্য গজিয়ে ওঠা ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতে বেকার যুবক-যুবতীদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান অফিস শহরের পলাশপোলস্থ স্পন্দন কালার ল্যাবের পেছনে হাসিনা ভিলার বিশাল ভবনের দ্বিতীয় তলার পুরোটাই ভাড়া করে চাকুরী দেওয়ার নামে এ প্রতারণা চলছে। অফিসের বয়স মাত্র দেড় মাস। এই দেড় মাসেই সাতক্ষীরা জেলায় ৬টি অফিস নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুনীদের বীমা কোম্পানিতে নাম মাত্র চাকুরী দিয়ে লাখ লাখ টাকা লুফে নিচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখায় আসলেই হুলস্থল কর্মযজ্ঞ চলছে সাতক্ষীরা শহরের জোনাল অফিসে। অফিসে ঢুকলেই মনে হলো এটি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অফিসে শত শত চাকুরী প্রত্যাশীরা হাজির হয়েছে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৪ থেকে ৩০ এর মধ্যে। এরা বেশিরভাগই স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বেকার যুবক-যুবতী। অফিসের কোন কোন কক্ষে চলছে প্রতারনার কৌশল প্রশিক্ষণ। কিভাবে নিকটজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা যাবে। সাংবাদিকরা অফিসে ঢুকতেই মুহুর্তে খবর পৌছে যায় অফিস প্রাঙ্গণের সব কক্ষে। এ সময় কিছু চাকুরী প্রার্থী ও অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আবার অনেকেই বাথরুমে লুকিয়ে পড়েন সাংবাদিকদের ছবি তোলার হাত থেকে রক্ষা পেতে। এরপর জানা গেল প্রতারণার সব কলা-কৌশল। অফিসের জেইভিপি (জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট) জি,এম আব্দুল গফুর জানান, সাতক্ষীরা শহরের জোনাল অফিসটি চলতি বছরের গত ১ অক্টোবর থেকে ভাড়া নেয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর উদ্বোধন হয়। অফিসটি দুই বছরের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছে। এছাড়া গত ৩০ নভেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে অফিসটিতে ১৫১ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে সহস্রাধিকের উপর। ২০১৩ সালে ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড লাইসেন্স পায় এবং ২০১৪ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে। অফিসটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ওই অনুষ্ঠানে জেলার কিছু প্রভাবশালী নেতাদেরকে অতিথি করে সকলকে চমকে দেওয়া হয়। এতে করে অনেকেই কোম্পানীর উপর আস্থাশীল হয়ে পড়ে। আর এটাকে পুজি করে বেশি প্রচার দিয়ে ফায়দা লুটা শুরু হয়। একটি সূত্র জানায়, জি,এম আব্দুল গফুর অফিসটি নিয়ন্ত্রণ করে। তার অপকর্মেই মূলত এ প্রতারনার জাল বিস্তার হচ্ছে। গফুরের বাড়ী সাতক্ষীরা মুন্সিপাড়ায়। প্রতিদিনই ওই বীমায় যোগ দিচ্ছে শত শত যুবক-যুবতী। অফিসে হাজির হলেই সহজেই মিলছে চাকুরী। নিজের নামে, পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনের নামে বিভিন্ন টাকার অংকের একটি বীমা পলিসি খুললেই চাকুরীর নিয়োগ পত্র দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে সব কঠিন শর্তগুলো গোপন রেখে তাদের নামে বীমা পলিসি করিয়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করলেন কয়েকজন কর্মী। কিছু বুঝতে না দিয়েই কৌশলে একটি অঙ্গীকার নামায় নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীদের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হচ্ছে। কর্মীদের পদ ও পদবী অনুযায়ী সর্বনিম্ন বাৎসরিক তিন হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা (বীমা পলিসি করার নামে) গ্রহণ করে মাসিক নির্ধারিত বেতনে চাকুরী দেয়া শুরু করেছে। নিয়োগ কর্মীর বয়স কিছুদিন হলেই পলিসি করার টার্গেট বেধে দেয়া শুরু হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনটি জানালেন এক মাসের বেতন পাওয়া কয়েকজন কর্মী। শুরুতেই নির্ধারিত মাসিক বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে একটি মাত্র পলিসি করার কথা বলে নিয়োগ চূড়ান্ত করে। কর্মীদের মাসিক বেতনের পরিমান সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার ও সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অভিনব প্রতারণা চলছে। কিন্তু কোন বীমা আইনে বীমা কর্মীদের মাসিক নির্দিষ্ট পরিমান বেতন দেয়ার বিধান নেই বলে জানা গেছে। এটি শুধুমাত্র প্রতারনার নতুন এক কৌশল মাত্র। প্রায় দেড় মাসে এই অফিসের সামনের ব্যবসায়ীরা বিপুল সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতি তাদেরকে হতবাক করেছে। এখানে আসলে কি হচ্ছে সেটা সবার অজানা। সাতক্ষীরা জোনাল অফিসের এএমডি (এ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর) আব্দুল ওহাব দুলাল জানান, সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণি পাশ হলে ও একটি বীমা পলিসি করলে এ প্রতিষ্ঠানে যে কেউ চাকুরী করতে পারবে। শহরে বীমা কোম্পানীর ব্যবসা করছেন পৌর সভার ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এটির কোন প্রয়োজন পড়ে না। নির্ধারিত বেতনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি কর্মীকে ৩ মাস পর্যবেক্ষনে রাখবো। পরে সে যদি টার্গেট পূরনে ব্যর্থ হয় তাকে চাকুরী থেকে বাদ দেয়া হবে। প্রথমে লোকজনকে আকৃষ্ট করতে ফিক্সড (নির্ধারিত) বেতনের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। চাকুরী গ্রহণকালে টার্গেটের কোন শর্ত নেই, এছাড়া চাকুরী থেকে বাদ দিলে তাদের চাকুরীর নামে গ্রহনকৃত বীমা পলিসির টাকা ফেরত পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। তার সাথে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে সংবাদটি না প্রকাশ করার জন্য তিনি বার বার অনুরোধ করতে থাকেন। আইআরডিএ (ইন্সুরেন্স ডেভলপমেন্ট রেগুলেটরী অথরিটি) অর্থাৎ বীমা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আইনের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বীমা কর্মীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ হওয়ার কথা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করেই প্রতারনার মাধ্যমে সপ্তম-অষ্টম শ্রেণি পাশ বা প্রাইমারী গন্ডি পার না হওয়া ছেলে-মেয়েরাও পদ ও পদবী অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা জমা দিলে চাকুরী দিচ্ছে। এছাড়া বীমা আইনে কোন কোম্পানীর নির্দিষ্ট বেতন দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত দেড় মাসে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শত শত বেকার যুবক-যুবতী এই খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সচেতন মহল এই সব প্রতারকদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: “টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ি-১১টি লক্ষ্য অর্জন করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৫তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদফতর ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সাতক্ষীরা’র আয়োজনে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনাসভা স্থলে গিয়ে মিলিত হয়। পরে জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক হারুন অর-রশিদ, শহর সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc02587-copyমাহাফিজুল ইসলাম আক্কাজ: জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে শ্যামনগর উপজেলা দল। তুমুল প্রতিযোগিতা আর উত্তেজনার মধ্যে ১-০ গোলে বিজয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে দলটি।
শনিবার বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ জাঁকজমকপূর্ণ ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় শ্যামনগর উপজেলা দল বনাম দেবহাটা উপজেলা দল। এসময় গ্যালারিতে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। তারা তাদের পছন্দের দলের পক্ষে সমর্থন জানাতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন।
বিপুল সংখ্যক দর্শকদের উপস্থিতিতে খেলায় নতুন মাত্রা যোগ করে। উৎসাহ যোগায় প্লেয়ারদের। এদিকে খেলার প্রথমার্ধে ৩টা ৪মিনিটে শ্যামনগর উপজেলা দলের ১০ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মিয়ারাজ একটি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল আর কোন গোল করতে না পারায় এবছর জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ট্রফি শ্যামনগর উপজেলা দলের ঘরে ওঠে। দেবহাটা উপজেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শ্যামনগর উপজেলা দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, উভয় দলই ভালো খেলেছে। আমি উভয় দল এবং দর্শকদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ‘মাদককে না বলুন খেলাধূলাকে হ্যা বলুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী দিনে খেলাধূলার প্রতি আরো বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমন্বয়ক এএফএম এহতেশামূল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার ম-ল, পৌর মেয়র তাজকিন আহেমদ চিশতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী জেলা প্রশাসক পতœী মিসেস সেলিনা আফরোজ, জেলা পুলিশ সুপার পতœী মেহের নিগার আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পতœী রঞ্জনা মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদুজ্জামান, নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা  কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকি, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘোস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জি. সিরাজুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী প্রমুখ।dsc02627-copy
জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ডি.এফ.এ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, পুলিশ বিভাগ, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকসহ প্রতিটি উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ যেভাবে সহযোগিতা তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
খেলায় প্রধান  রেফারির দায়িত্ব পালন করেন শহিদুল ইসলাম লালু, সহকারী রেফারী ইমাম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম। ধারাভাষ্যকার ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাসুদুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, ফারহা দিবা খান সাথি, কাজী কামরুজ্জামান, জেলা যুবলীগ নেতা মীর মহি আলম, ম্যাচ কমিশনার ইমাদুল হক খান, ইদ্রিস আলী বাবু, আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ক্রীড়া সংগঠক মোনায়েম খান চৌধুরী সান্টু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান। খেলায় সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলা ও সদর পৌরসভাসহ মোট ৮টি দল টুর্নামেন্টের হাজার হাজার দর্শক অংশগ্রহণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-news-pic-02নিজস্ব সংবাদদাতা: ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার  সকালে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিশ) জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিশ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বেরুল হক জোতি, অধ্যক্ষ আবুবক্কর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, উপাধ্যক্ষ ময়নুল ইসলাম, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বাপ্পী ও প্রভাষক ইদ্রিস আলী প্রমুখ। এ সময় নেতৃবৃন্দ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা হয়েছে সহকারি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। শিক্ষকরা দাবি আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে যাবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। তাই আমাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে দাড়িয়ে নায্য দাবি পুরণ করবেন বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

drra-pictureসাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে। ‘টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ি, ১৭টি লক্ষ্য অর্জন করি’Ñ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, সাতক্ষরীর আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহযোগিতায় ও ডিজএ্যাবল্ডরিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্চ এসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) এর উদ্যোগে রাইটস ট্্্ ুএমপাওয়ারমেন্ট ফর দ্য ডিজএ্যাবল্ড (রেড) প্রকল্পের অধীনে সাতক্ষীরা শহিদ অব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারী উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ, শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: রোকনুজ্জামান প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ডিআরআরএ’র ডলি খাতুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরআরএ’র জেলা ম্যানেজার মো: আবুল হোসেন (পিআইএইচআরএস) প্রকল্প সুপার ভাইজার জিএম নূরুন্নবী হাসান, সুজিত কুমার, ডলি খাতুন, মতিউর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও শনিবার সন্ধ্যায় ডিআরআরএ’র পিআইএইচআরএস প্রকল্পের অধীনে বাশদহ শহিদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে পটগান অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

889d0dfac3d2a5b5f875f645d2d2e0b5-messi-danuskaঅনলাইন ডেস্ক: দানুস্কা রদ্রিগেজ নামটি কি খুব পরিচিত মনে হচ্ছে? ১৭ বছর বয়সী এই ভেনেজুয়েলান মেয়েটি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি কিংবা নেইমার—পেছনে ফেলেছে সবাইকে। অনূর্ধ্ব-১৭ সুদামেরিকানা চ্যাম্পিয়নশিপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে তার গোলটা জায়গা করে নিয়েছে ফিফা বর্ষসেরা গোল পুরস্কারের সেরা ৩ নম্বরে।
বর্ষসেরা গোল, অর্থাৎ পুসকাস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আগামী ৯ জানুয়ারি। কিছুদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল সেরা ১০ গোলের সংক্ষিপ্ত তালিকা। সেখানে অবশ্য মেসি, নেইমার দুজনেই ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৪-০ গোলে জয়ের ম্যাচে মেসির ফ্রি কিক থেকে করা দুর্দান্ত সেই গোল চূড়ান্ত লড়াইয়ে আর জায়গা পায়নি। জায়গা পায়নি লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে নেইমারের ফ্লিক করে করা দারুণ সেই গোলটিও।

মেসি, নেইমারকে পেছনে ফেলেছেন করিন্থিয়ানস মিডফিল্ডার মারলন ও ফুটবল বিশ্বে পেছনের সারির দেশ মালয়েশিয়ার মোহাম্মদ ফাইয়াজ সাবরিও। দানুস্কার সঙ্গে পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত লড়াইয়ে থাকছেন মারলন ও সাবরি।

মারলনের গোলটি কোপা লিবার্তাদোরেসে চিলির ক্লাব কোবরেসালের বিপক্ষে। মালয়েশিয়ান ক্লাব পেনাংয়ের মিডফিল্ডার সাবরি গোলটা করেছিলেন লিগ ম্যাচে পাহাংয়ের বিপক্ষে।সূত্র: ইএসপিএন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest