সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার কুমিরার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ শুরুআশাশুনিতে নিরাপদে বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ চলছেশ্যামনগরে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধনপ্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের সাথে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানবববন্ধননদী ভাঙ্গন এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটায় আগুনে পোড়া পরিবারকে টিন প্রদানসাতক্ষীরায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সেজুতি আটক

04

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন । আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রীড়াঙ্গনের ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যুব সমাজকে মাঠে ফেরানোর প্রত্যয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তারা ২১ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় ইশতেহার পাঠ করেন সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ মনোনীত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ.কে.এম আনিছুর রহমান। ইশতেহারে বলা হয়, দীর্ঘদিন সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মাঠে খেলাধুলা নেই বললেই চলে। জাতীয় পর্যায় থেকে অর্থ ও নিদের্শনা অনুযায়ী কিছু খেলাধুলা ছাড়া স্থানীয় উদ্যোগ প্রায় অনুপস্থিত। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ক্লাবগুলোর কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়েছে। ফলে আমাদের যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে। আকৃষ্ট হচ্ছে মাদক ও জঙ্গিবাদে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নির্বাচনে সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ বিজয়ী হলে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে দুনীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, ভিশন ২০২১ কে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ওয়েব পোর্টাল নির্মাণ করে সকল কর্মকা-ের সর্বশেষ তথ্য প্রচার, গঠনতন্ত্র মোতাবেক নিয়মিত কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সভা আয়োজন এবং প্রত্যেক সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন ও অনুমোদন করা হবে। এছাড়া খেলাধুলার প্রতিটি বিভাগের জন্য উপ-কমিটি গঠন, ক্রয় পলিসি তৈরি করে গাইডলাইন অনুযায়ী মালামাল ক্রয়, প্রতি বছর অভ্যন্তরীণ অডিট সম্পন্ন করে জনসম্মুখে প্রকাশ, খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা তৈরিতে জিমনেশিয়াম নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ, খেলাধুলার সব ইভেন্টে উপজেলা পর্যায় থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে জেলা দল গঠন, প্রতিভা অন্বেষণ ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে ক্রীড়া একাডেমি গঠন ও উপজেলা পর্যায়ে খেলাধুলার সব ইভেন্টে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ইশতেহারে আরও বলা হয়, খেলোয়াড় তৈরীতে ক্লাবগুলোকে সাধ্যমত সহায়তা করে সৌম্য, মোস্তাফিজ, রবিউল, সাবিনাদের মত প্রতিভা অন্বেষণের সব উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ও অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলো আরও জাকজমকপূর্ণ করতে জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। ক্লাবগুলোকে খেলাধুলার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রেফারিজ এ্যাসোসিয়েশন ও ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরারার্স এ্যাসোসিয়েশনের জন্য রুম বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুস্থ ক্রীড়াবিদদের সহায়তার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ ও স্থানীয়ভাবে ফান্ড গঠন করা হবে। প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের নামের তালিকা তৈরী করে ক্রীড়া সংস্থায় সংরক্ষণ এবং তাদের যথাযথ সম্মানের ব্যবস্থা করা হবে। সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে কোন ইভেন্ট যাতে দর্শকবিহীন না হয় সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দর্শকদের মাঠে টানতে প্রত্যেকটি ইভেন্টে ব্যাপক প্রচারসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালানো হবে। জেলার যে কোন এলাকায় স্থানীয় ক্লাব, সংঘসহ উদ্যমী যুবকদের খেলাধুলা সংক্রান্ত যে কোন উদ্যোগে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সর্বোপরি জেলার জনসাধারণকে খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন-২০১৬-এ সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদ মনোনীত সহ-সভাপতি প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু, মেহেদী হাসান, মুজিবর রহমান, কবীর উদ্দীন আহমেদ,  অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী আহম্মদ আলী সরদার ও শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম হাসান শানু এবং নির্বাহী সদস্য প্রার্থী সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, কাজী কামরুজ্জামান, রুহুল আমিন, আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, হাবিবুর রহমান হবি, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পী, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, ইদ্রিস আলী, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, হাফিজুর রহমান খান বিটু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, স ম সেলিম রেজা, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, কাজী সেতারা জামান ও ফারহা দীবা খান সাথীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এবারের এ নির্বাচনে ১০৩জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার তালায় দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার উপর দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তালা উপজেলা পরিষদের হল রুমে বেসরকারি উন্ন্য়ন সংস্থা “দলিত”র আয়োজনে “ওয়াটার ফর ফুড ইন দ্য কোস্টাল এরিয়া অব সুন্দরবনস্ ইন্ডিয়া এন্ড বাংলাদেশ‘ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দলিতের প্রতিনিধি বাসুন্তী লতা প্রমুখ। কর্মশালায় জলাবদ্ধ জমিতে সবজি চাষের উপর সফলতা তুলে ধরে সকলকে নিজ নিজ জমিতে সবজি চাষের আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জলাবদ্ধ জমিতে কচুরিপানা দিয়ে ৩০মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩মিটার প্রস্থ তৈরি করে সবজি চাষ করা সম্ভব। এভাবে লালশাক, কলমিশাক, শশা, লাউসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি উৎপাদন হবে মাছও। যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা সুসংসহত করবে। কর্মশালায় আশাশুনি ও তালা অঞ্চলের ২০ জন কৃষক ও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

image-4667ডেস্ক রিপোর্ট: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নাম ঘোষণা করেন দলটির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলটির নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পুরানোদের মধ্যে বহাল আছেন আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাসিম, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই পদ থেকে বাদ পড়েছেন বীর বাহাদুর।

এছাড়া অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন টিপু মুন্সী, এই পদে আগে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মৃণাল কান্তি দাস, এই পদে আগে ছিলেন ক্যাপ্টেন অব. তাজুল ইসলাম। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শামসুন্নাহার চাপা, এই পদে আগে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি পদোন্নতি পেয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুজিত রায় নন্দী, এই পদে আগে ছিলেন ফরিদুননাহার লাইলী। সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অসিম কুমার উকিল, এই পদে আগে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ডা. রোকেয়া, এই পদে আগে ছিলেন বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাব্লিউ।
এছাড়া পুরানোদের মধ্যে যারা বহাল আছেন তারা হলেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুস সোবহান গোলাপই বহাল, ধর্ম বিষয়সক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন।
তবে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক,  কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, উপ-প্রচার ও উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক পদ ঘোষণা হয়নি। পরে এসব নাম ঘোষণা করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ দিন সকালে শেষ ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম আউট হওয়ার আগ পর্যন্তও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল। ইংল্যান্ডের ঘাড়ে এ রকম নিশ্বাস ফেলতে পারাটা নিশ্চিতভাবেই চট্টগ্রাম টেস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অভিষেক টেস্টে মেহেদী হাসান ও সাব্বির রহমানের পারফরম্যান্স, সাকিব আল হাসানের আরও একবার জ্বলে ওঠাও যোগ হবে অর্জনের খাতায়।এসবের বাইরে আর একটা জিনিসই আছে—মুশফিকুর রহিম। দুই ইনিংসের টেস্টসুলভ ব্যাটিং আর উইকেটকিপিং তো ছিলই, অধিনায়ক মুশফিকও ধরা দিলেন নতুন চেহারায়। সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলন, দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং কাল ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলন—সবকিছুতেই পাওয়া গেল পরিণত মুশফিককে। গতকালের সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে— শেষ দিনের পরিকল্পনা ও হার: মুশফিকের মতে, শেষ দিনে জয়ের ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা ইংল্যান্ডেরই ছিল। বাংলাদেশ তবু চেষ্টা করেছে ১০ শতাংশ সম্ভাবনাকে বাস্তব করতে। তাইজুল ইসলাম এক দিক থেকে যতটা সম্ভব সমর্থন দিয়ে যাবেন। রান করার দায়িত্ব সাব্বির রহমানের—এই ছিল শেষ দিনে ২ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৩ রানের জন্য ব্যাট করতে নামা দলের লক্ষ্য। তবে সাব্বিরের একার পক্ষে তো আর ৩৩ রান করে ফেলা সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া বেশি ঝুঁকি নিতে গেলে তাঁর আউট হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। সে জন্য ভরসা রাখা হয়েছিল তাইজুলের ওপরও। ‘কাল (পরশু) শেষ দিকে তাইজুল খুব ভালো খেলছিল, আজও (গতকাল) শুরুটা ভালো করেছে। এই জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যে, যদি রান হয় রানটা নিয়ে নেওয়া’—বলেছেন মুশফিক। ১৫ মাস পর টেস্টে ফেরা: গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর প্রায় ১৫ মাসের বিরতি দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামা। টেস্টটা হারলেও মুশফিকের মধ্যে তবু চ্যালেঞ্জ জয়ের আনন্দ, ‘আগেও বলেছিলাম, আমরা যেন পাঁচ দিন ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পারি। আমার মনে হয়, আমরা পুরো টেস্টে ৯২ থেকে ৯৫ শতাংশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’পরাজয়ের আক্ষেপ তাই খুব বেশি নেই অধিনায়কের, ‘জিতলেই যে আমরা টেস্টে আহামরি দল হয়ে যেতাম, তা নয়। আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, সেটা অর্জন করতে পেরেছি। চারটি দিন ওদের সঙ্গে প্রায় সমানে সমান ছিলাম।’ চট্টগ্রামের উইকেটে ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে রান করা সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অনেক অভিজ্ঞ, ‘তাদের দলে ৪ থেকে ১০ হাজার রান করা খেলোয়াড়ও আছে।’আরও বেশি ম্যাচ খেলা: প্রতিটি টেস্ট সিরিজের আগে-পরেই কথাটা বলেন মুশফিক, ‘আমাদের আরও বেশি দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলতে হবে।’ এবারও ব্যতিক্রম হয়নি, ‘টেস্ট এমন একটি খেলা, যত খেলবেন ততই উন্নতি করার সুযোগ থাকে। খারাপ খেলার শঙ্কা কমে আসে। তত বেশি আপনি বুঝবেন ক্রিকেটে আপনাকে এভাবে রান করতে হবে, কোন পরিস্থিতে কীভাবে ব্যাটিং-বোলিং করতে হবে।’ সবচেয়ে হতাশার কথাটি বলেছেন এরপর, ‘আমি যে ৪৯টি টেস্ট খেলেছি, প্রতিটি ম্যাচই নতুন মনে হয়েছে। তাহলে যার অভিষেক হয়েছে, তাকে কীভাবে বলব তোমরা এভাবে খেলো!’শফিউল-কামরুল না আল আমিন-রুবেল হোসেন: টার্নিং উইকেটে এক পেসার নিয়ে খেললে ভালো হতো কি না, এই আলোচনা ছিল টেস্টের শুরু থেকে। আর দুই পেসার নিলেও তাঁরা আল আমিন-রুবেল হোসেন হবেন না কেন?মুশফিক নবাগত কামরুল ও শফিউলের ওপর ছাতা ধরলেও কাউকেই কারও চেয়ে এগিয়ে রাখেননি। পেস আক্রমণের অভিজ্ঞতার অভাবের কথা বলতে গিয়ে মুশফিক তাই হতাশ, ‘একজন বোলার যদি না-ই বোঝে পুরোনো বলে তাকে কীভাবে বোলিং করতে হবে, কীভাবে একজন ব্যাটসম্যান থিতু হয়, পরিকল্পনা করে কীভাবে বোলিং করতে হয়, তাহলে আর তার কাছ থেকে কী আশা করা যায়? স্টোকস বলেন, ব্রড বলেন; তারা ৮-১০ বছর ধরে এই কাজটা করে আসছে। তাদের জন্য কাজটা কতটা সহজ আর আমাদের জন্য কতটা কঠিন, তা বুঝতে হবে।’তবে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই পেসার শফিউল, কামরুলকে নিয়ে অধিনায়ক সন্তুষ্টই, ‘তারা এখান থেকে শিখেছে। এমন উইকেটে প্রতিটি রান, প্রতিটি স্পেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তারা তা বুঝেছে। পুরোনো বলে কীভাবে রিভার্স সুইং করানো যায়, এটা আমার মনে হয় তারা খুব ভালোই বুঝতে পেরেছে।’দ্বিতীয় সেরা চট্টগ্রাম টেস্ট: মুশফিকের দৃষ্টিতে এটা তাঁর ১১ বছরের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা টেস্ট, ‘আমার দুটি টেস্ট সব সময় মনে থাকবে। একটি হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে খুলনায়…ওই টেস্ট আমরা ড্র করেছিলাম। সেটা এখনো ১ নম্বর। তারপর এই টেস্ট।’উইকেটকিপিং: ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিংয়েও নিজেকে বরাবর স্বচ্ছন্দ মনে করেন মুশফিক। তবে তিনি কিপিং করবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আবারও দিলেন টিম ম্যানেজমেন্টকে, ‘আমি বারবারই বলি, টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে শুধু ব্যাটিং করে দলকে আমি আরও বেশি দিতে পারব অথবা যদি বলে তিনটি বিভাগে দায়িত্ব পালন করে আরও বেশি দিতে পারব, সেটাই করব।’চট্টগ্রাম টেস্টের শিক্ষা: চট্টগ্রামের উইকেট মুশফিকের দেখা সেরা উইকেট। তা থেকে জয় তুলে নিতে না পারলেও এই টেস্টের শিক্ষাটা নিতে চান অধিনায়ক, ‘ম্যাচটা আমাদের শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এ ধরনের উইকেটে আমরা বুঝতে পারব কোন সময়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, প্রতিপক্ষকে কত রানের ভেতর রাখতে পারলে ভালো হবে, চতুর্থ ইনিংসে কতটা রান তাড়া করা সম্ভব।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনোদন ডেস্ক: আয়নাবাজি ছবির দর্শক–আগ্রহের পারদ যখন ঊর্ধ্বমুখী, ঠিক তখনই এল একটি দুঃসংবাদ। ২০ অক্টোবর রাতে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি টেলিভিশন-এ আপলোড করা হয় পুরো ছবিটি। এরপর সেখান থেকে অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায় ছবিটি। এমনকি ফেসবুক লাইভেও চলে আসে আয়নাবাজি। বিষয়টি টের পেয়ে পরদিনই ছবিটি সরিয়ে নেয় যথাযথ কর্তৃপক্ষ।দেশের প্রেক্ষাগৃহে দর্শকেরা যখন টিকিটের জন্য হাহাকার করছেন, তখন ছবিটি এমন সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আয়নাবাজি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষও। তাদের মতে, যেভাবে সবাই দলে দলে ছবিটি দেখতে হলে ছুটছিলেন, তাতে দীর্ঘদিনের দর্শক–খরা কাটিয়ে উঠছিল বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলো। কিন্তু অন্য মাধ্যমে সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডের সহকারী ব্যবস্থাপক আকতার হোসেন বলেন, ‘আয়নাবাজি ছবিটির মাধ্যমে আমরা আশার আলো দেখছিলাম। মুক্তির পর থেকে আয়নাবাজি ছবির প্রতিদিনের আয় থাকত ১ লাখ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর গত দুই দিন ১ লাখও অতিক্রম করেনি।’ মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটার ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের প্রধান ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘সিনেমা হলের পাশাপাশি আমরা ছবিটির ডিজিটাল মুক্তির কথা চিন্তা করেছি। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই মোবাইল টিভিতে ছবিটি মুক্তি দিই। কিন্তু গ্রাহকেরা এক মোবাইল থেকে আরেক মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেছে এবং ফেসবুকে “লাইভ” দিয়ে দিয়েছে। আমরা আইনি পদক্ষেপও নিয়েছি।’ আয়নাবাজি ছবিটি এভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই ক্ষুব্ধ। অনেকে ফেসবুকে মন্তব্য দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছবির পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘শুধু রবি টিভিতে ছাড়া আর কোথাও দেখা যাবে না, সে কারণেই সেখানে ছবিটি আপলোড করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সাইবার অপরাধীরা অনেক মেধাবী। আমাদেরও ভুল সিদ্ধান্ত অবশ্যই ছিল, এ কারণে কেউ কষ্ট পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। যে যত গুজব ছড়াক, আমি বলছি আয়নাবাজির একমাত্র পাওয়া আপনাদের (দর্শকের) ভালোবাসা।’ এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, পাইরেসির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা।ছবির প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে মুঠোফোনে বলেন, পাইরেসি চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য কখনোই শুভ কিছু বয়ে আনে না। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের পাশাপাশি আদিল একটি আনন্দের সংবাদও দেন। তিনি জানান, আয়নাবাজি ছবিটি সিয়াটল দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসবে ‘বেস্ট ন্যারেটিভ ফিল্ম’ পুরস্কার জিতে নিয়েছে। আয়নাবাজি মুক্তি পায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

images

ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্নীতি, অসদাচরণ ও অদক্ষতার দায়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার ও খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মঈনুল হককে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ৩(এ)(বি) ও (ডি) মোতাবেক তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে একই বিধিমালার ৪(৩)(ডি) অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।

সোমবার আইন মন্ত্রণালয় বরখাস্ত সংক্রান্ত পৃথক সরকারি আদেশ জারি করে। এর আগে গত ৬ অক্টোবর একই অভিযোগে জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সিরাজুল ইসলামকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে। বরখাস্ত হওয়ার পূর্বেই তাদেরকে বিচারকাজ থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছিল।
দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিম্ন আদালতের চারজন বিচারককে চাকুরি থেকে বরখাস্তের অনুমোদন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদের মধ্যে বরখাস্তকৃত এই তিন বিচারক ছিলেন। তবে এখনো কুমিল্লার সাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) এস এম আমিনুল ইসলামের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি দেখভাল করে জিএ কমিটি। ওই কমিটির প্রধান হলেন- প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। বরখাস্ত হওয়া ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট চার বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত করে সেই প্রতিবেদন জিএ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জিএ কমিটি গত আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় চার বিচারককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত দেয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ওই অনুমোদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

আইন মন্ত্রণালয় মো. রুহুল আমিন খোন্দকার ও মঈনুল হককে চাকুরি থেকে বরখাস্তের সার-সংক্ষেপ রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরেই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করে সরকারি আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।  সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান গতকাল রাতে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ প্রথমবার গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম নির্বাচনের তারিখ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। সে অনুযায়ী তারা ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে। প্রথমবার পরিষদের মেয়াদ শেষে পরের নির্বাচনগুলোতে কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে।
তবে নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ইত্যাদি কাজের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচনের তফসিল আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষণা করা হতে পারে।
আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হবে। চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন (থাকলে), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এ জন্য প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে।
কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র রাখা হবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচন করার জন্য ৬ অক্টোবর জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাস হয়। ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইনে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের বিধান ছিল না। নতুন আইনে আদালতে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগের আইনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এখন তাঁরা ভোট দিতে পারবেন।
সরকার ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদে দলীয় নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তখন স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

assasuni-photo-2-24-october
মোস্তাফিজুর রহমান : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৬ এর প্রস্তুতিমূলক মডেল টেষ্ট পরীক্ষায় আশাশুনি উপজেলায় ৪ হাজার ৯ শ’ ৯৩ জন পরীক্ষাথী অংশ নিয়েছে। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৩১টি কেন্দ্রে সোমবার একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রথামিক শিক্ষা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় উপজেলার ৩১টি কেন্দ্রে ১৭৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বাওচাষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১৮ জন পরীক্ষার্থী, কামালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৭ জন, গোদাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫৬ জন, আশাশুনি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৮৬ জন, বেউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১৯ জন, বুধহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫৭ জন, মহেশ্বরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০৮ জন, গুনাকরকাটি কেন্দ্রে ১৩৩ জন, কচুয়া কেন্দ্রে ১৫৫ জন, কাদাকাটি কেন্দ্রে ১২১ জন, দরগাহপুর কেন্দ্রে ২৩৯ জন, দঃ খরিয়াটি কেন্দ্রে ৬৮ জন, খরিয়াটি কেন্দ্রে ৩৯ জন, মিত্র তেুঁতুলিয়া কেন্দ্রে ১৭৭ জন, চাম্পাখালী কেন্দ্রে ২৮২ জন, উঃ বড়দল কেন্দ্রে ১৯৩ জন, হেতাইলবুনিয়া কেন্দ্রে ৬৮ জন, পিরোজপুর কেন্দ্রে ২০৬ জন, পরিশামারী কেন্দ্রে ৯৯ জন, গদাইপুর কেন্দ্রে ২২৯ জন, বয়ারশিং কেন্দ্রে ৮৫ জন, মহিষকুড় কেন্দ্রে ১৪০ জন, নাকতাড়া কেন্দ্রে ১১২ জন, কলিমাখালী কেন্দ্রে ১৬৯ জন, বিছট কেন্দ্রে ২৩৫ জন, কাকবাসিয়া কেন্দ্রে ২২০ জন, লস্করী খাজরা কেন্দ্রে ১১৫ জন, প্রতাপনগর কেন্দ্রে ১৯৮ জন, চাকলা কেন্দ্রে ১১৬ জন, নাটানা কেন্দ্রে ১২৪ জন এবং দাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। গতকাল ইংরেজী পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন গতকাল মহেশ্বরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ অন্যান্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest