সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণপ্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টজনগণ যাকে চাইবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন-সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার হাবিব খানসাতক্ষীরায় হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু : সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রিসাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টশ্যামনগরে শরীরে পেট্টোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগতীব্র তাবদাহে সাতক্ষীরায় সুপেয় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার সীমান্ত নদী ইছামতি পার হয়ে ভারতীয় গরু নিয়ে পদ্মশাখরা গ্রামে আসার পর এক রাখালের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি। নিহত গরু রাখালের নাম মো. এনসান ( ৪০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর  চাপারডাঙ্গার নাথপাড়া  গ্রামের অজিহার রহমানের ছেলে।গ্রামবাসী জানান, এনসান নামের ওই রাখাল একদিন আগে তার কয়েক সঙ্গীসহ ভারতে গরু আনতে যান। মঙ্গলবার ভোর রাতে গরু নিয়ে তারা সীমান্ত নদী ইছামতি পার হয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে চলে আসেন। এ সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের চেয়ারম্যানের মোড়ে এনসান হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। তাকে দ্রুত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। তার সঙ্গীদের দাবি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে  মারা গেছেন। তার লাশ তার বাড়িতে রয়েছে।  তার মৃত্যু রহস্য জানতে চাইলে বিজিবির পদ্মশাখরা বিওপির হাবিলদার আবুল হোসেন জানান এনসানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় । এর পর মারা যান তিনি ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ২ নেতা-কর্মীসহ ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ৮জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: পেঁয়াজের পাতাকে ‘জাদুকরি পাতা’ বলতে পারেন এর পুষ্টিগুণের কারণে। বাজারে গেলে এখন চোখে পড়বে পাতাযুক্ত কচি পেঁয়াজ। পেঁয়াজের গুণের কথা তো সবাই জানেন। পেঁয়াজের আছে বিশেষ পাঁচ গুণ। পেঁয়াজের পাশাপাশি এর পাতাও অনেক গুণের। এর পাতায় ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। তা ছাড়া পেঁয়াজের পাতা ও ডাঁটা ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ। খাবার দ্রুত হজমকারক ও রুচিবর্ধক হিসেবেও এর জুড়ি নেই। দেখে নিন পেঁয়াজপাতার গুণ:১. রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে পারে পেঁয়াজপাতা।২. হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে এই পাতা।৩. রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এ পাতা উপকারী।৪. যাঁরা ফ্লু বা সর্দিতে ভুগছেন তাঁদের উপকারে আসবে এ পাতা।৫. পেঁয়াজের পাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। এ পাতা খেলে দেহে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।৬. শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বের করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজপাতা।৭. আরও বেশি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে।৮. অ্যাজমার সমস্যা দূর করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনোদন ডেস্ক: খুঁটিনাটি খোশগল্প কিংবা ম্যারাথন আলোচনা, কথার পিঠে কথা না হলে কি আর সম্পর্ক সুখের হয়? ব্যস্ত জীবন, ফেসবুকে বেশি সময় দেওয়ার কারণে অনেকে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান না। কিন্তু সম্পর্ক সুন্দর রাখতে দুজনের আলাপচারিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চা বা কফি পান করতে করতে মেতে উঠতে পারেন খোশগল্পে। সে রকম কয়েকটি গল্পের বিষয় দেখে নিন।অতীতচারী হয়ে উঠুন: স্মৃতির পাতায় ডুবে যান। রোমন্থন করুন স্মৃতিভরা শৈশব বা সে সময়ে টক-মিষ্টি নানা ঘটনা। দুজনের জীবনের অতীতের সেই ঘটনার গল্প দুজনকে টেনে নিয়ে যাবে আরও গভীর সম্পর্কের বাঁধনে। সঙ্গীকে তাঁর শৈশব সম্পর্কে প্রশ্ন করুন, তাঁর প্রিয় মুহূর্তগুলোর কথা শুনুন। সেই অতীতের মানুষটা কীভাবে আপনার সঙ্গী হলো, শুনেই দেখুন না সে কথা।পুরোনো সঙ্গীর কথা: সময়-সুযোগ বুঝে সঙ্গীর সঙ্গে পুরোনো সঙ্গী-বন্ধু নিয়ে কথা বলতে পারেন। হয়তো বাজে শোনাতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে অতীতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বর্তমান সম্পর্ককে তিক্ত করে না তোলে। অতীতের সম্পর্ক কেন টেকেনি সে বিষয়টি আলোচনা করে বর্তমানের ভুল ভাঙিয়ে নিলে দোষ কী? আলোচনাতেই তো সমাধান হবে—সম্পর্ক উষ্ণ হবে!পছন্দ-অপছন্দ: সঙ্গীকে রাখঢাক না করেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি বলে ফেলুন। সুখী দম্পতির মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের আলোচনাতেই দুজনের মধ্যে অনেক জানাশোনা বাড়ে। ঝালাই করে নেওয়া যায় অনেক কিছু। সঙ্গীর কোন বিষয়গুলো আপনার মুখে হাসি ফোটায় আর কোনগুলোতে ভ্রু কোঁচকায় তা খোলামেলা আলোচনা করুন। পছন্দ-অপছন্দের হিসাব মিলিয়েই জীবনযাপনের পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। জীবনে দুঃখ আসবে কম, সম্পর্ক কখনো তিক্ত হবে না।ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা: জীবন গোলাপের পাপড়ির মতো নয়। ভয়, নিরাপত্তাহীনতা জীবনের অংশ। কোন বিষয়গুলোতে বেশি ভয় আর নিরাপত্তাহীন বোধ হয় তা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। পরস্পরের কথা জানুন। কোন বিষয়গুলোতে আপনার মনে বেশি ভীতি কাজ করে তা সঙ্গীকে বলুন। এই বলার মধ্য দিয়েই হয়তো সেই ভয় কাটতে শুরু করবে। সঙ্গী আপনার সেই ভয় দূর করে দেবে।ভবিষ্যৎ: প্রতিটি দম্পতির আলোচনার তালিকায় ভবিষ্যতের বিষয়টি থাকে। বর্তমানের সুষময়েও ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবুন। আগেভাগেই পরিকল্পনা করা হলে ভবিষ্যতের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যাবে। যদিও ভবিষ্যতে কী হবে তা অনুমান করা যায় না; তবে ভবিষ্যতের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য বর্তমানের আলোচনা কাজে দেবে। সঙ্গীর সঙ্গে ভবিষ্যতে কী করতে চান তা নিয়ে হরদম আলোচনা করুন। দেখবেন, দুজনই ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকবেন। মধুর হয়ে উঠবে সম্পর্ক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যতম প্রভাবশালী  ও জনপ্রিয় রাজনীতিক জয়রাম জয়ললিতা গতকাল সোমবার রাতে মারা গেছেন। এ পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তাঁর একান্ত অনুগত ও পান্নিরসিলভাম।হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যু হয় জয়ললিতার।রাজনীতির মাঠে জয়ললিতার খুবই কাছের মানুষের একজন হিসেবে পরিচিত ৬৫ বছর বয়সী পান্নিরসিলভাম। এর আগেও দুবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ওই সময় বিভিন্ন কারণে পদত্যাগ করতে হয়েছিল জয়ললিতাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন পান্নিরসিলভাম।  জয়ললিতার মৃত্যুর পর গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ও পান্নিরসিলভাম। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান গভর্নর সিএইচ বিদ্যাসাগর রাও। ওই সময় জয়ললিতার মন্ত্রিসভার ৩১ জন মন্ত্রীও শপথ গ্রহণ করেন।গত রোববার সন্ধ্যায় জয়ললিতার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যায়। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাঁকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। পরে গতকাল রাতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গণমাধ্যমে জয়ললিতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তাঁর মৃত্যুতে তামিলনাড়ুতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতজুড়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর মিরপুর ও দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে নাইজেরিয়ার সাত নাগরিকসহ আটজনকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৪। মুঠোফোনে খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে লটারি জেতার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে ওই আটজনকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান।এ সময় মিজানুর রহমান জানান, আজ বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজারের বিএসইসি ভবনে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে নাইজেরিয়ার নাগরিকসহ আটজনকে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: টনসিল ও এডিনয়েডের সমস্যায় জ্বর হওয়া, গলা ব্যথা করা ইত্যাদি সমস্যা হয়। তবে কেন এই সমস্যা হয়, আর কাদের বেশি হয়? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৭৮তম পর্বে এ নিয়ে কথা বলেছেন ডা. মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।প্রশ্ন : এই ইনফেকশনগুলো কেন হয়? নির্দিষ্ট বয়সে কেন এই সংক্রমণগুলো বেশি বেশি দেখা যায়?উত্তর : আসলে টনসিল এবং এডিনয়েড এমন একটা জায়গায় যেটা খাদ্যনালি ও শ্বাসনালির প্রবেশদ্বারে। প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবেশে জীবাণু ঘুরে বেড়ায়। ভাইরাস থাকে। বাচ্চারা বা যেসব পরিবারের সদস্য বেশি তারা—এ ধরনের মানুষই টনসিলের সমস্যায় বেশি ভোগে। একই ঘরের মধ্যে অনেকজন থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে বেশি।কিছু কিছু বাচ্চা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে শীতকালে আইসক্রিম এবং ঠান্ডা পানি খাওয়ার কারণে তাদের রোগ ঘন ঘন দেখা দিতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

joyআন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১৯৬০ ও ৭০’র দশকে দক্ষিণ ভারতের ডাকসাইটে অভিনেত্রী ছিলেন জয়াললিতা। তামিল, তেলেগু এবং কানাডা ভাষায় বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন জয়াললিতা। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের চলচ্চিত্রের নায়কদের রাজনীতিতে আসার উদাহরণ আছে। কিন্তু সিনেমার নায়িকারা যে রাজনীতিতে এসে সফল হতে পারে, জয়াললিতা তার উদাহরণ।

জয়াললিতার বহু সিনেমার নায়ক ও গুরু এমজি রামচন্দ্রনের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন জয়াললিতা। রামচন্দ্রনের মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীর সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন জয়াললিতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়াললিতাকেই তার দল এআইডিএমকে’র নতা-কর্মীরা অবিসংবাদিত নেত্রী হিসেবে মেনে নেয়। ১৯৯১ সালে প্রথম তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জয়াললিতা। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাডুতে অন্তত পাঁচ দফায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিকদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিসেবে জয়াললিতার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ যেমন উঠেছে তেমনি দক্ষ প্রশাসক হিসেবে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। জয়াললিতা একবার বলেছিলেন, ” কখনো আমি নিজের আবেগ প্রকাশ্যে দেখাই না। সবার সামনে কখনো রেগে যাইনি বা কাঁদি নি। অথচ রাজনীতিতে আসার আগে আমি এমন ছিলাম না। খুব লাজুক ছিলাম। অপরিচিতদের সামনে আসতে চাইতাম না।আমার কাজ দেখে মানুষ আমাকে খুব কড়া স্বভাবের মনে করে। তবে আমি কখনো নিজে ইচ্ছা করে কড়া হতে চাই নি।”

আঞ্চলিক রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করলেও জাতীয় প্রেক্ষাপটেও জয়াললিতার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বহুবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জয়াললিতার সমর্থনের ভরসায় টিকে ছিল। তামিলনাডু বিধানসভাতেও বিরোধী দলকে রীতিমতো দাবিয়ে রাখতেন জয়াললিতা। তবে ২০১৪ সালে কর্ণাটকের একটি বিশেষ আদালত তার আয়ের সাথে সংগতিহীন সম্পদ অর্জনের পুরনো একটি দুর্নীতির মামলায় তাকে চার বছরের সাজা দিয়েছিল। ভারতের কোন ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রীর জেলে যাবার ঘটনা সেটাই ছিল প্রথম।

কিন্তু তামিলনাডুতে জয়াললিতার জনপ্রিয়তায় কোন চিড় ধরেনি। গরীবদের ঘরে-ঘরে রঙ্গিন টেলিভিশন, মিক্সার গ্রাইন্ডার মেশিন দেবার প্রকল্প এবং সস্তায় গরীবদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করে দেয়া তাকে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা এনে দিয়েছিল। জয়াললিতাকে বহুদিন ধরে দেখেছেন বর্ষীয়ান সংসদ সদস্য গুরুদাস দাসগুপ্ত। তিনি বলছেন জয়াললিতার রাজনৈতিক জীবনে অনেক উত্থান-পতন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়াললিতা ক্ষমতা এবং জনপ্রিয়তার গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

দাসগুপ্ত বলেন, ” ওর নিজস্ব একটা ধরণ ছিল। যেটা মানুষের মনকে টানতে পেরেছিল। মানুষ তাকে একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে মনে রাখবে।” ভারতের অনেক পর্যবেক্ষক তাকে ‘তামিলনাডুর ইন্দিরা গান্ধী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। বিতর্ক এবং জনপ্রিয়তা – এ দু’টো বিষয় এ দুই রাজনীতিবিদের জীবনে চিরকাল পাশাপাশি হেঁটেছে। জয়াললিতা এককালে ভালো গান গাইতেন, নাচতেন এবং সুবক্তাও ছিলেন। তার প্রয়াণে ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বর্ণময় এবং প্রভাবশালী চরিত্রদের একজন বিদায় নিলেন।-বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest