b2bb941984a1265807aa340249bec0ca-58c452d15516fহাসান হাদী : মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে কয়েকজন সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) সহযোগিতা করছেন না। এ নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ করেছে তদন্ত সংস্থা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল(আইসিটি)’র তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মন্ত্রিপরিষদকে ডিসিদের অসহযোগিতার কথা  বারবার অবগত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

যেসকল জেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে বা মামলা চলমান সেকল জেলার ডিসিদের সভাপতি করে একটি করে সাক্ষী সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরার ৪ জন শীর্ষ মানবতাবিরোধীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আইসিটি’র তদন্ত সংস্থা। বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও এই জেলায় সাক্ষী সুরক্ষা কমিটির কোন মিটিংও অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাতক্ষীরা কারাগারে অন্তরীণ জামাত-শিবিরের একটি অংশ তাদের আত্মগোপনে থাকা ক্যাডারদের সহযোগিতায় জেলা জামাতের আমির মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলের মামলার সাক্ষীদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের হত্যা পর্যন্ত করতে পারে বলে আশংকা করে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকে একটি চিঠিও দেয়া হয়েছে গত ডিসেম্বর মাসে। চিঠিটির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, র্যাবের ডিজি এবং সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককেও প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ের অগ্রগতি জানতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, চিঠি পাওয়ার পর সদর থানাকে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠির একটি কপি সদর সার্কেল অফিসকেও ফরওয়ার্ড করা হয়েছে।
এদিকে যাদেরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলে তদন্ত সংস্থা আশংকা করা হয়েছে তারা এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোয় জানিয়ে বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগই করেনি। পুলিশের নির্লিপ্ততার তারা হতাশা ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় জানানো হয়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিত করা, ঘর-বাড়ি লুণ্ঠন অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত কাজে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক বারবার তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং মাঠ প্রশাসনকে। তাগাদা সত্ত্বেও অনেক জেলা প্রশাসক এখনও এ সম্পর্কিত তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠায়নি। এ জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত কাজে সহায়তা প্রদানের জন্য বিভাগীয় কমিশনাররা সহায়তা প্রদান করবেন।’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সকল বিভাগীয় কমিশনার এই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট থাকার কথা জানিয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং ডিসিদের সহযোগিতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জিয়াদ-আল-মালুম বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সহযোগিতা পাই না। জেলা প্রশাসকদের চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সহযোগিতাই বেশি প্রয়োজন হয়। অনেকেই সহযোগিতা করেন না। কেউ কেউ অসহযোগিতাও করেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংস্থার অপর এক সদস্য জানান, ‘অনেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহযোগিতা করেন না। কারণ তারা নিজেরাই জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখেন। তাহলে সহযোগিতা পাবো কিভাবে? সাতক্ষীরায় সহযোগিতা তো পাইনি। উল্টো অসহযোগিতা পাওয়া গেছে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কারও কারও কাছ থেকে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান  বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিদল আসলে বিশেষ নিরাপত্তাসহ নিরাপদে থাকা এবং নিরাপদে চলার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাসহ আনুসঙ্গিক সহযোগিতা করছি। এ বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বর্তমানে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী জেলাসহ বেশ কিছু জেলায় তদন্ত সংস্থা মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে নেমেছে।

সাতক্ষীরা জেলার ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল কারাগারে থাকলেও অপর তিন আসামি আব্দুল্লাহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা বর্তমানে পালিয়ে আছে। তাদের বিরুদ্ধে গত বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ০১।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bjpপ্রাদেশিক নির্বাচনে ভারতের উত্তর প্রদেশে বিশাল জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। প্রদেশের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩২০টিরও বেশি দখল করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

এছাড়া উত্তরখন্ডেও অভূতপূর্ব জয় পেয়েছে বিজেপি। তবে পাঞ্জাবের মানুষ কংগ্রেসকে সুখবর দিয়েছেন। ১০ বছর পর প্রদেশটিতে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর এই জয়ই বিজেপির জন্য সবচেয়ে সুখকর। তবে এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি হতাশা হয়ে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমী পার্টির জন্য।

পাঁচটি প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হয় আজ। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, গোয়া ও মনিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে দুইটিতে বিজেপি এবং তিনটিতে কংগ্রেস বেশি আসন পেয়েছে। উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে বিজেপি বেশি আসন পেলেও পাঞ্জাব, গোয়া ও মনিপুরের কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেশি।

তবে চারটি প্রদেশে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি বলে জানিয়েছেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ।  ইউপি, উত্তরাখন্ড, গোয়া এবং মনিপুরে সরকার গঠন করবে তারা। গোয়া এবং মনিপুরে কংগ্রেস বিজেপির চেয়ে এগিয়ে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোন দল। তাই অন্য দলের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করতে হবে।

উত্তর প্রদেশের ৪০৩ আসনের মধ্যে ২০২ টি পেলেই যেখানে ক্ষমতায় বসা যায় সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৩২৪টি। উত্তরাখন্ডের ৭০টি আসনে বিজপি পেয়েছে ৫৭টি।

পাঞ্জাবের ১১৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ৭৭টি। গোয়ার ৪০টি আসনের ১৮টি গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে এবং১৪ টি পেয়েছে বিজেপি। মনিপুরের ৬০টি আসনের মধ্যে ২৭টি পেয়েছে কংগ্রেস। নিকটতম প্রতিদন্দ্বী বিজেপি পেয়েছে ২২টি আসন।

বিজেপির জয়ে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি। এর জবাবে ‘গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক’ বলে মোদি টুইট করেছেন।

এছাড়া বিশাল এই জয়ের পর কর্মী সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির প্রতি বিশ্বাস ভালোবাসা অটুট রাখার জন্য ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদিকে ‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা’ বলে অভিহিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় ‘বন্দুকযু‌দ্ধে’ সহ‌যোগীসহ চরমপন্থী নেতা বিদ্যুৎ বাছাড় নিহত

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালা উপ‌জেলায় পু‌লি‌শের সা‌থে ‌’বন্দুকযু‌দ্ধে’ পূর্ব বাংলা ক‌মিউ‌নিস্ট পা‌র্টির নেতা বিদ্যুৎ বাছাড় ও তার সহ‌যোগী তালহা নিহত হ‌য়েছেন। এ সময় পু‌লিশ দু‌টি ওয়ান স্যুটারগান, চার‌টি কক‌টেল ও এক‌টি রাম দা উদ্ধার ক‌রে‌ছে।
‌রোববার (১২ মার্চ) ভোর রাত ৪টার সময় তালা উপ‌জেলার মহা‌ন্দি-নুরুল্লপু‌রের লক্ষণ দা‌শের আম বাগা‌নে এ ঘটনা ঘ‌টে।
‌নিহত বিদ্যুৎ বাছাড় একই উপ‌জেলার মাগুরাডাঙ্গার কানাইনাল বাছা‌ড়ের ছে‌লে ও তালহা সুুজনসাহা গ্রা‌মের ম‌নি শে‌খের ছে‌লে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) হাসান হা‌ফিজুর রহমান বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, “রা‌তে লক্ষণ দা‌শের আম বাগা‌নে ডাকা‌তির জন্য সংঘ‌বদ্ধ হ‌লে পু‌লিশ গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তিতে সেখা‌নে অ‌ভিযান চালায়। এসময় পু‌লি‌শের উপ‌স্থি‌তি টের পে‌য়ে গু‌লি ছুড়‌লে পু‌লিশও পাল্টা গু‌লি ছো‌ড়ে। প্রায়‌ ১০ মি‌নিট বন্দুকযু‌দ্ধের এক পর্যা‌য়ে ডাকাতরা পিছু হ‌ঠে। প‌রে ঘটনাস্থল থে‌কে বিদ্যুৎ ও তালহার মৃতদেহ ও দু‌টি ওয়ান স্যুটারগান, চার‌টি কক‌টেল ও এক‌টি রাম দা উদ্ধার ক‌রা হয়।”
তা‌দের মর‌দেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতা‌ল ম‌র্গে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।
ও‌সি আরও জানান, নিহত‌দের ম‌ধ্যে বিদ্যু‌তের না‌মে পাচ‌টি অস্ত্র ও পাচ‌টি ডাকা‌তি মামলাসহ ১৪টি মামলা র‌য়েছে। সে নি‌ষিদ্ধ ঘো‌ষিত পূর্ব বাংলা ক‌মিউ‌নিস্ট পা‌র্টির নেতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3914971effcf18d5d8a1cc3a515b31d5-58c424fb1c592ন্যাশনাল ডেস্ক : একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকা-কে স্মরণ করতে ওইদিন ‘গণহত্যা দিবস’ পালনে সংসদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণহত্যার কোনও প্রমাণ লাগে না। ওই সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকাই এর বড় প্রমাণ।’
এর আগে বিকাল তিনটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। দিনের কার্যসূচিতে থাকা অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত রেখে এ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও প্রায় ‎৬ ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় অংশ নেন ৫৫ জন সংসদ সদস্য।
সরকারের শরিক দল জাসদের শিরীন আখতারের উত্থাপিত এ প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের  অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক। আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যত্রক্রম গ্রহণ করা হোক।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘সংখ্যাতত্ত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আসলে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনকি মওদুদির ছেলেও এক সাক্ষাৎকারে জামায়াতের অফিসিয়াল প্রকাশনার উদ্ধৃতি দিয়ে  বলেছেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা ৩৫ লাখ।’ এই সংখ্যা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে, তাদের ধিক্কার জানাই।’’ তিনি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সমর্থনের পাশাপাশি ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পাকিস্তানিরা শুধু একাত্তরে আমাদের ওপর নয়, এখনও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বেলুচিস্তানে। প্রস্তাবটি সমর্থন করে তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিকভাবে এ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সরকারকে তৎপর হওয়ার আহবান জানান।
জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দেশে এখনও পাকিস্তানের প্রেতাত্মা আছে। বাংলাদেশে আর কখনও যেন স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য এই দিবস পালন করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির  কাজী ফিরোজ রশীদ এই দিনে সরকারি ছুটি দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

11-3-17নলতা প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নলতা হাইস্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ১১ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় মিশন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের মূল কমিটি ও বিভিন্ন সাব-কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় নলতা হাইস্কুল শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব, অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মো. আবু মাসুদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন ছাত্র ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুল মোনায়েম। আরো উপস্থিত ছিলেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মজিদ, প্রাক্তন ছাত্র বাবু মনোরঞ্জন মূখার্জি, মুহাম্মদ ইউনুস, মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু দাউদ, মো. মালেকুজ্জামান, মো. শহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. আনছার আলী, ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদ, আলহাজ্জ মো. আনিছুজ্জামান খোকন, আলহাজ্জ ডা. মো. আবুল কাশেম, আলহাজ্জ মো. এনামুল হক খোকন, মো.রফিকুল ইসলাম খোকন, আলহাজ্জ আবুল ফজল শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হামিদসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।
সভায় অনিবার্য কারণবশত: নলতা হাইস্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের পূর্বের তারিখ ২৪ ও ২৫ মার্চ পরিবর্তন হয়ে কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিল রোজ শুক্র ও শনিবার শতবর্ষ অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে এবং রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। এছাড়া শতবর্ষ অনুষ্ঠান সংক্রান্ত নানা ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

500x350_9498010ef2c48b8682fbbe5d19280968_manubbondon_3_5হাসান হাদী: রাজাকার আব্দুল্লাহহিল বাকী, খান রোজনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে আগামিকাল সকাল ৯:৩০টায় সাতক্ষীরা নিউমার্কেটস্থ শহিদ আলাউদ্দীন চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ব্যানারে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা-জনতার পক্ষে এড. ফাহিমুল হক কিসলু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-collegeহাসান হাদী : বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করার সুবিধা নিয়ে একের পর এক ছাত্রীদের ব্লাকমেইলকারী নারীলোলুপ লম্পট আসাদুজ্জামান অবশেষে এক ছাত্রী (এনজিও কর্মী)সহ ধরা খেয়েছেন। লম্পট শিক্ষক সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক। তার বাড়ি যশোর জেলার বাগআঁচড়ায়। ইতিপূর্বে এই শিক্ষক অসংখ্য ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ছাত্রী।
লম্পট আসাদুজ্জামন ২ সন্তানের জনক। তার কন্যা উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পুত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার স্ত্রী বাগআঁচড়াতেই থাকেন। আর সেই সুযোগে আসদুজ্জামান একের পর এক বিভিন্ন মেয়ের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন। এই আসাদুজ্জামান তার ঘনিষ্ঠদের নিজের মোবাইলে থাকা বিভিন্ন মেয়ের ছবি দেখিয়ে বলেন, “ আমিতো প্লে-বয়, আমার ৬০/৬২টা ডার্লিং সবসময় থাকে।”
আজ শনিবার সকাল ১১.৩০টার দিকে আসাদুজ্জামান এক ছাত্রী ও এনজিও কর্মী-কে নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল খুলনা রোড মোড়ের কেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৫ম তলার চিলেকোঠায় ভাড়া করা রুমে নিয়ে ফূর্তি করছিলেন। ইতিপূর্বেও ওই শিক্ষক সেখানে অনেক মেয়েকে নিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। একে একে বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে হাজির হন। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে পুলিশও ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়।
এদিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজের শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন শিক্ষক মটচর সাইকেলযোগে বেলা ২টার দিকে কেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ক্ষিপ্রতার সাথে আটক শিক্ষক ও মেয়েটিকে নিয়ে পুলিশ পৌছানোর পূর্বেই সরকারি কলেজে চলে আসেন। এই মুহুর্তে লম্পট শিক্ষক ও তার লাম্পট্যের শিকার ওই তরুণীকে নিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজেরে রুমে বৈঠক চলছে।
কয়েক শিক্ষার্থী ফোনে অভিযোগ করেন, কলেজ প্রশাসনের কিছু পদস্থ শিক্ষকের প্রশ্রয়েই লম্পট আসাদুজ্জামান তার লাম্পট্য চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও ওই লম্পটকে পুলিশে সোপর্দ না করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্রী জানান, কিছুদিন আগে লম্পট আসাদুজ্জামানকে ছাত্রীকে তার বাসায় গিয়ে ঘর-বাড়ি একটু গুছিয়ে দিতে বলেন। ওই ছাত্রী প্রথমে অস্বীকার করলে আসাদুজ্জামান তাকে ইনকোর্সের নম্বরের ভয় দেখান। এরপর ওই ছাত্রী আসাদুজ্জামানের বাসায় গেলে আসাদুজ্জামান জোরপূর্বক তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। লজ্জ্বায় এ ঘটনা ওই ছাত্রী কাউকে জানাতে না পেরে এক পর্যায়ে কলেজে আসাই বন্ধ করে দেন।
সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা লম্পট আসাদুজ্জামানের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকাত পারভেজ জানান, আমরা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখব।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, “মেয়েটি সম্পর্কে আমার নাতনি হয়। সে সাতক্ষীরার এসেছিল বেড়াতে। আমি একটু রেস্ট নেয়ার জন্য তাকে আমার রুমে নিয়ে এসেছিলাম। বিষয়টি এর বেশি কিছুু নয়।”
বিশিষ্ট নারী নেত্রী নাসরিন খান লিপি বলেন, সন্তানতুল্য মেয়েদেরকে যে শিক্ষক ব্লাক মেইল করে, যৌন হয়রানি করে সে শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক।” তিনি ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
নারী নেত্রী ও অতিরিক্তি পিপি শাহনাজ পারভীন মিলি বলেন, ঘটনা শুনে আমি লজ্জ্বিত। প্রিন্সিপাল স্যারকে আমি বলেছি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। যে শিক্ষকের কাছে সন্তানতুল্য ছাত্রীরা নিরাপদ না তাকে শিক্ষকরুপে আমরা দেখতে চাই না। প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে কথা দিয়েছেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে লিখবেন।”
এদিকে লম্পট আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করতে যাওয়া সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অধ্যক্ষ স্যার আমাকে ফোনে একাধিকবার অনুরোধ করেন শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে কলেজে নিয়ে আসার জন্য। আমি জানতামই না সে কি ধরনের বিপদে আছে। তবে যেহেতু আমার অধ্যক্ষ স্যার বারবার আমাকে আদেশ করেছেন তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমি ঘটনা সম্পর্কে এর আগে কিছুই জানতাম না।”

0 মন্তব্য
3 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

image-16845এম. বেলাল হোসাইন : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান ইমন হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত তিন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গত বৃহষ্পতিবার তারা সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
জামিনে মুক্তি পাওয়া আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের স্বাস্থ্য কর্মী ইখতিয়ার হোসেন বিপ্লব, কলেজ ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রেজাউল ইসলাম ওরফে রনি মোল্যা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার পর ইমনের লাশ ধুলিহর ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের ইকবাল বিশ্বাসের মাছের ঘেরে ফেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পরপরই আলমগীর হাসান আলমের ইঙ্গিতে পুলিশ আমতলা থেকে স্বাস্থ্য কর্মী ইখতিয়ার হোসেন বিপ্লব, সুলতানপুর থেকে কলেজ ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রেজাউল ইসলাম ওরফে রনি মোল্যাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আলমগীর হোসেন আলম বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আলমগীর কবীর দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক আলাউদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কাজী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। যদিও তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সাইফুলকে ৭ ফেব্রুয়ারি তার বাড়ির দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রনি, বিপ্লব ও মুরাদকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাইফুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে পাঠালে তিনি তার সিদ্ধান্ত প্যত্যাহার করেন। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে পাঠানো সাইফুলের ১৬১ ধারায় জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয় যে, আলমগীর হাসান আলমের পরিকল্পনায় সাইফুলের সহযোগিতায় রনি এসএস পাইপ দিয়ে ইমনকে হত্যা করে। ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ শহরতলীর মাছখোলা ব্রিজের নীচে বেতনা নদীর চর থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ওই এসএস পাইপ উদ্ধার করে।
মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র উপপুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি মামলার কেস ডকেট হাতে পান। জটিল এ মামলাটির পর্যবেক্ষণ করতে সিআইডি’র স্পেশাল সুপারইনটেনডেন্ট দেলোয়ার হোসেন ২৭ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরায় আসেন। তিনি বাদি ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। বাদির উপস্থিতিতে হত্যা সংশ্লিষ্ট লাশ পড়ে থাকার স্থল ঘুরে দেখেন।
তিনি আরো জানান, হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করতে কারাগারে থাকা সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবদের জন্যআদালতে ১০ দিনের রিমা- আবেদন জানালে গত ৮  মার্চ শুনানী শেষে বিচারক রিমা- আবেদন না’মঞ্জুর করেন। এরই মধ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ও বিচারপতি জাফর আহম্মেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামি বিপ্লব শেখ, মুরাদ ও রনি মোল্লাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিলে গত বৃহষ্পতিবার তারা সাতক্ষীরা কারাগার থেকে মুক্তি পায়। তবে এ হত্যাকা-ে বাদির সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে না দিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন ওই সিআইডি কর্মকর্তা।
এদিকে জামিনে মুক্তি পাওয়া বিপ্লব শেখ ও মুরাদ হোসেন জানায়, মামলায় বাদি আলমগীর হোসেন আলম কোন নাম না উল্লেখ করলেও তারই ইশারায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে। পুলিশও বাদির কথা মত তাদেরকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে কয়েকবার রিমা- আবেদন করেছে। চাচাত ভাই ইমনের হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest