satkhira-2-allaudin-180610ফাহিমুল হক কিসলু : কয়েক বছর পর আবারও চাঞ্চল্যকর শহিদ স ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। নিহতের ৩য় কন্যা লায়লা পারভীন সেঁজুতি আজ আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে মাত্র ১০ হাত দুরে দৈনিক পত্রদূত অফিসে কর্মরত অবস্থায় রাত ১০টার পর দুস্কৃতিকারীদের গুলিতে প্রাণ হারাণ দৈনিক পত্রদূতের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দিন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকে। ২০১২ সালে সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে সেশন ৫৭/৯৭ (দায়রা), জিআর ২৪৭/৯৬ মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
মামলাটির ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতিপূর্বে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। মারা গেছেন বেশ কয়েকজন সাক্ষী। লায়লা পারভীন সেঁজুতি এ মামলায় ১৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ সময় তিনি আদালতে বলেন, “আসামি আব্দুস সবুর, খলিলুল্লাহ ঝড়–, নগরঘাটার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দু রউফ, সাইফুল্লাহ কিসলু(মৃত), মমিনউল্লাহ মোহন, এস্কেন, শফিউর রহমান শফি, সাইফুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান ও আবুল কালাম পরস্পর যোগসাজশে ষড়যনন্ত্রমূলকভাবে পরিকল্পিতভাবে আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. আলাউদ্দীনকে হত্যা করে।”
সাক্ষীর শুনানি হলেও জেরার জন্য আসামি পক্ষ সময় প্রার্থনা করলে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার মো: আমিরুল ইসলাম সময় মঞ্জুর করে আগামী ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবী এড. এস এম হায়দার, পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ওসমান গণি ও অতিরিক্তি পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. আব্দুল মজিদ, এড. লুৎফর রহমান, এড. জহুরুল হক, এড. আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

001বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সর্বাধিক দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রাম কালিনগর। গ্রামটি সুন্দরবনের কোল ঘেষে মালঞ্চ নদীর চরে অবস্থিত। একদিকে নদী ও বন অপরদিকে লবণপানির চিংড়ি ঘের। লবণাক্ততা ও নদী ভাঙন প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও মানুষের জীবন-জীবিকায় বড় রকমের প্রভাব রেখেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় এ অঞ্চলের মানুষের নিকট গাছের প্রয়োজনীয়তা অধিক। মানুষ তাই ব্যক্তি উদ্যোগে হোক আর সামাজিক উদ্যোগে হোক নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বসতভিটাসহ বনায়ন উপযোগী জায়গাগুলোকে বনায়ন তৈরিতে বেছে নেয়। যাতে করে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় ভূমিকা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে সংঘঠিত নানাবিধ দুযোর্গের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় নদীভাঙন অন্যতম প্রধান সমস্যা। নদী ভাঙন রোধে স্থানভেদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। চর বনায়ন তার মধ্যে একটি অন্যতম কাজ। নদীর চর বনায়নের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন নদী ও বেড়িবাঁধ ভাঙন রক্ষা পাবে আবার বনায়ন সৃষ্টির ফলে পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষা পাবে, পরিবর্তিত হবে বৈচিত্র্য ও জীবন। সিডর, আইলা ও জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা, জ্বালানী সংকট নিরসন ও পরিবেশ/প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী নদীর চরে বনায়ন গড়ে তোলে। স্থানীয়ভাবে বনায়ন তৈরি ও সুরক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন গড়ে তোলা যেমন জরুরি তেমন তা রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ।
নদী ভাঙন, নদীর চর রক্ষা এবং জ্বালানী সংকট দূর করার লক্ষ্যে কালিনগর গ্রামের যুব ও অন্যান্য পেশার মানুষেরা যৌথভাবে নদীর চর বানায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১৩ সালে স্থানীয় জনগোষ্ঠী মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন কাজ শুরু করে। চর বনায়নের ক্ষেত্রে প্রথম প্রয়োজন হয় বনায়নের স্থান সুরক্ষায় ঘেরা বেড়া প্রদান। তা না হলে গবাদি পশু বনায়নকৃত এলাকায় গজানো চারা খেয়ে ফেলবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী সবুজ বেষ্টনী তৈরির প্রক্রিয়া হিসেবে প্রথমে তাই বনায়নকৃত স্থানে ঘেরা প্রদান করে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সমন্বিত উদ্যোগকে সহযোগিতার মাধ্যমে গতিশীল ও কার্যকরী করে তুলতে বনায়ন সুরক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বারসিক থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সহযোগিতা করা হয়। নদীর চরে বনায়নের জন্য স্থানীয়রা আলোচনার মাধ্যমে চরের সীমানা নির্ধারণ করে কালিনগর গ্রামের রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের বাড়ি থেকে অধীর ম-লের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কি: মি: জায়গায় বনায়নের জন্য। বনায়ন মৌসুমে নির্ধারিত জায়গায় নেট ও গরাণের খাদি (গরানের কচা) দিয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছাশ্রমে প্রথমে ঘিরে রেখে দেন। ঘিরে দেওয়ার সপ্তাহ দুয়ের মধ্যে ঘাসের সাথে চরে ধানী (এক জাতীয় ঘাস) জন্মাতে শুরু করে। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা সুন্দরবনের বিচিত্র রকম গাছের বিচিত্র ফল ধানীর মধ্যে বসতে থাকে। এরপর আরো কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আটকে থাকা বিচিত্রময় ফল থেকে চারা জন্মাতে শুরু করে। ঘিরে দেওয়ার পূর্বে উন্মুক্ত থাকার কারণে চরের দু’এক জায়গায় একটু আধটু ঘাস ও দু’একটা গেওয়া ছাড়া অন্য কোন গাছ বা প্রাণের বৈচিত্র্য লক্ষণীয় ছিল না। ধীরে ধীরে সুন্দরবন থেকে ভেসে আসা বিচিত্র ফলের থেকে বিভিন্ন প্রজাতির চারা (কেওড়া, কাকড়া, বাইন, গেওয়া, গোল) গজিয়ে ধীরে ধীরে বন তৈরি হয়।002
কিন্তু নদীর চর হওয়ায় সময়ের ব্যবধানে ছাগল/কুকুরের আক্রমনের কারণে বনায়নকৃত জায়গার বেড়া কিছু কিছু জায়গায় নষ্ট হয়ে যায়। বনায়ন সংরক্ষণে তাই প্রয়োজন হয় পুনরায় বেড়া সংস্কার। স্থানীয় জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছাশ্রমে পুনরায় বেড়া সংস্কারে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় উপকরণ সহযোগিতার মাধ্যমে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান  বারসিক তাদের এই উদ্যোগকে বেগবান করে তুলতে বেড়া পুনঃসংস্কারে অবদান রাখে। এছাড়া স্থানীয়রা আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করেন বনায়নের বেড়া রক্ষায় যার যার বাড়ির সামনের অংশ সে সে দেখে রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর তদারকি ও তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে বনায়ন এলাকায় সবুজায়ন হয়েছে।
ক্ষুদ্র আকারে হলেও নদীর চরে গড়ে ওঠা বনায়নটি স্থানীয় মানুষের ভাঙন রক্ষা, জ্বালানী চাহিদা পুরণ ও বৈচিত্র্য তৈরীতে একটি পর্যায়ে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এছাড়াও স্থানীয় জনগোষ্ঠী মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস ও অভিযোজন, বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সমগ্র উপকূল অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক হারে বনায়ন করা দরকার। কারণ উপকুলীয় এলাকায় সকল ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ও জীবন ব্যবস্থা রক্ষায় বনায়ন কার্যক্রমের কোন বিকল্প নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

engdp8_44আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বাধীন স্ট্রাইক গ্রুপ বহর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য গোয়েন্দা জাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া এবং চীন। জাপান সরকারের অনেক সূত্র থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
মার্কিন এ নৌবহর কোরিয় উপদ্বীপের দিকে এগিয়ে চলেছে। পরমাণু-শক্তি চালিত বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বাধীন বহর বর্তমানে চীন সাগরের কাছাকাছি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমেরিকাকে সতর্ক করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই দেশ দুটি কার্ল ভিনসনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা জাহাজ পাঠিয়েছে বলে জাপানের সূত্রগুলো বলছে। অবশ্য এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ভাবে মন্তব্য করার জন্য রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আমেরিকা আগ্রাসন চালালে কাল ভিনসনকে ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

avedtp_bukস্বাস্থ্য ও জীবন: সাধারণত আমাদের খাদ্যনালির নিচের দিকের স্ফিংটার বা দরজা ঢিলে হয়ে পড়লে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপর দিকে ঠেলে ওঠে। আর সে কারণেই বুক জ্বালাপোড়া করে। আর তাছাড়া ভারী মসলাধার খাবার খেয়ে রসনা তৃপ্ত হলেও পরে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
আবার অনিয়মিত বা অসময়ে খেলেও বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।

তাছাড়া কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো যেমন, গোলমরিচ, রসুন, কাঁচা পেঁয়াজ ও অধিক মসলাযুক্ত খাবার, বেশি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, কমলা, আনারস, টমেটো ইত্যাদি টক ফল বা ফলের রস ও সবজি; চকলেট, ক্যাফেইন বা কফি; পিপারমিন্ট; অ্যালকোহল এ সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাছাড়া এই সমস্যার সমাধানে আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
যেমনঃ একসঙ্গে অনেকখানি খেয়ে ফেলবেন না। সারা দিনে খাবার ভাগ করে খাবেন। খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। শোয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাওয়াদাওয়া সেরে ফেলুন।
ভরা পেটে ব্যায়াম করবেন না, বিশেষত পেটের ওপর চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম। তবে শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন। কোনো কোনো ওষুধ বুক জ্বালার সমস্যাটা বাড়িয়ে দিতে পারে যেমন অ্যাসপিরিন। এগুলো কখন খেতে হবে, তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন। সাধারণ বুক জ্বালাপোড়া এমনিতেই বা অ্যাসিডিটির ওষুধে সেরে যায়।
তবে প্রায়ই বুক জ্বালা করলে এবং পাশাপাশি ওজন হ্রাস, কালো পায়খানা, মলত্যাগের স্বাভাবিক অভ্যাসের পরিবর্তন, পেটব্যথা, খাবার গিলতে সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

e9clbi_torস্বাস্থ্য ও জীবন : দিনের বেলা ঘরে ফিরেই তরমুজের ঠান্ডা কুচি। উফ্, শরীরটা যেন জুড়িয়ে গেল! স্বাদ বদলের জন্য তরমুজের রস, স্যালাড বা ককটেল, মকটেল— সবই চলতে পারে। এর উপকারিতাও কম নয়। গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচায় তরমুজ। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, বেটা–ক্যারোটিন, লাইকোপেন, ৯৪ শতাংশ জল। তাই কিডনি আর হার্টের পক্ষেও ভাল। শুধু তাই নয়, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তবে ভুলেও তরমুজ রাতে খাবেন না। কিছু সমস্যা হতে পারে। যানা যাক কি কারণে খাবেন না।

❏ তরমুজে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে। রাতে হজম কম হয় বলে ওজন বাড়তে পারে।
❏ তরমুজ হজম করা একটু হলেও কঠিন। রাতে বিপাকের হার কম থাকে। তাই তরমুজের মতো মিষ্টি জিনিস খেলে হজম হতে চায় না। সেক্ষেত্রে পরের দিন পেট খারাপ হতে পারে।
❏ এতে জলের পরিমাণ প্রচুর বেশি। তাই রাতে বহুবার প্রস্রাব করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9xci2j_bloodলাইফ স্টাল ডেস্ক : বিয়ের আগে রক্তপরীক্ষা করিয়েছেন, এরকম লোকের সংখ্যা হাতে-গোনা কয়েকজন। পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান মেলানোর পাশাপাশি রক্তপরীক্ষাও হয়ে উঠেছে বিয়ের অনিবার্য অংশ। কেননা-

১) এই রক্ত পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো ভবিষ্যতে সন্তান সুস্থ হবে কি না- তা দেখা। তাই হবু মা ও বাবার নির্দিষ্ট কিছু রক্তপরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

২) তাছাড়া দুজনের ব্লাডগ্রুপ এক রকম না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই আগে থেকেই রক্তপরীক্ষা করিয়ে দেখে উচিত কার রক্তের গ্রুপ কী।

৩) এছাড়া ভবিষ্যতে যদি কোনো অসুখে বা দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ব্লাড গ্রুপ জানা থাকলে বাড়ির লোকজনকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।

৪) টিসি. ডিসি, ইএসআর , কোলেস্টেরল, আরএইচ ফ্যাক্টর, এইচআইভি, আয়রন লেভেল ইত্যাদি কিছু রুটিন পরীক্ষা ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই করানো উচিত। তাহলে প্রথম থেকেই একটা মেডিকেল হিস্ট্রি থাকবে।

৫) এছাড়াও থাইরয়েড, সুগার, থ্যালাসেমিয়া, এসটিডি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ), হেপাটাইটিস বা টিউবারকিউলোসিসের মতো সমস্যা রয়েছে কি না তা জানার জন্য বিয়ের আগে রক্তপরীক্ষা আবশ্যক। যদি কেউ থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা মেজর হন, তাহলে সে কীরকম জীবনসঙ্গী খুঁজবে এবং ভবিষ্যতে সন্তান পরিকল্পনা করতে পারবে কি না, বা সন্তান জন্মালেও সে কতটা সুস্থ হবে, সে সম্পর্কে আগে থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের গাইডলাইন থাকলে ভালো হয়।

৬) সর্বোপরি অনেকেই হয়তো বংশানুক্রমিক ভাবে কোনো রোগে আক্রান্ত। কিন্তু কোনো লক্ষণ না থাকায়, তা জানতে পারেননি। বিয়ের আগে এই সবকিছুই জেনে নেয়া প্রয়োজন।

৭) যদি পেলভিক ইনফেমেটারি ডিজিজের মতো কোনো যৌনসমস্যা থাকে, তাহলে কিন্তু সন্তান পরিকল্পনার সময় তা টের না পাওয়া গেলে পরে মারাত্মক জটিল হতে পারে পরিস্থিতি। তাই কোনোরকম ইগো বা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না রেখে, বিয়ের আগেই করিয়ে নিন প্রয়োজনীয় চেকআপ। পরে আফসোস করার থেকে সময় থাকতে থাকতেই সতর্ক হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2vtavc_biস্পোর্টস ডেস্ক : রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারাল হায়দারাবাদ৷ এদিন উপলে টস হেরে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স৷ অধিনায়ক ওয়ার্নারের অপরাজিত ৭০ ও নমন ওঝার ৩৪ রানে ভর করে ১৫৯ তোলে সানরাইজার্স৷জবাবে প্রীতির পাঞ্জাবকে দুর্দান্ত লড়াইয়ে রেখেছিল মনন ভোহরার ৫০ বলে ৯৫ রানের সংযমী ও লড়াকু ইনিংস৷কিন্তু এদিন ম্যাচের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল ভুবণেশ্বরের পাঁচ উইকেট৷ যার সুবাদেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন হায়দারাবাদ পাঁচ রানে পাঞ্জাবকে হারিয়ে দিল৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3iitic_sakibবিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই ছবির আলোচিত নায়ক শাকিব খান। আর তার সাথে পর্দায় সফল জুটি গড়েছেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু পর্দার জুটি থেকে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বাস্তবে জুটি বাঁধেন তারা। বিষয়টি ভক্তদের কাছে অজানা থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস। সে হিসাবে আজ তাদের দাম্পত্যের ৯ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সঙ্গে আছে ছয় মাসের পুত্রসন্তান আবরার খান জয়।

গোপনে এতগুলো বছর সংসার করলেও পহেলা বৈশাখ থেকে প্রকাশ্যে প্রথমবারই তারা সংসারের নবযাত্রা শুরু করেছেন। তবে আজ নবম বিবাহবার্ষিকীতে এক সঙ্গে থাকা হচ্ছেনা এই তারকা দম্পতির। কারণ ‘রংবাজ’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিতে গতকালই ঢাকা ছেড়েছেন শাকিব খান।
বিবাহবার্ষিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন আর নতুন করে কিছুই বলার নেই। বিবাহবার্ষিকী পালন করি আর না করি, সেটা মুখ্য নয়। কারণ শুটিংয়ের জন্য আমাকে পাবনায় যেতে হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, এটাই চাওয়া।
তবে কিছুটা ব্যতিক্রম অপু বিশ্বাস। স্বামীর ব্যস্ততা স্বত্ত্বেও তাকে সারপ্রাইজ দিতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, আজ থেকে শাকিবের নতুন একটি ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা। তবে বিবাহবার্ষিকী নিয়ে কিছু সারপ্রাইজ রাখব ওর জন্য, যা এখন বলব না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest