সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটকশ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল শাখার অফিস উদ্বোধনগ্রামের কথা নিউজ পোর্টাল’র দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: আবুল কাসেম সভাপতি-আসাদুজ্জামান সম্পাদকসাতক্ষীরায় শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাদেবহাটায় জুলাই গনআন্দোলনে আহত ২ যোদ্ধাকে চিকিৎসা সহায়তা

eeeeeগাজী আল ইমরান, শ্যামনগর : সুন্দরবনের পাদদেশে মালঞ্চ নদীরকোলে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলার নাম শ্যামনগর। এ উপজেলার সকল কর্মই যেন সুন্দরবনের সুন্দরের সাথে মিলেই তৈরি হয়েছে। লবণাক্ত পানি আর মিষ্টি পানির মিশ্রণে ফলে সকল প্রকারের ফষল। এ অঞ্চলের লোনা পানির সোনা খ্যাত চিংড়ি চাষ বহির্বিশ্বে পরিচয় ঘটিয়েছে এ উপজেলাকে। সত্তর দশক থেকে সাতক্ষীরাবাসীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে চিংড়ি সম্পদ বিশেষভাবে জড়িত।
বঙ্গোপসাগর থেকে চিংড়ি আহরণের পাশাপাশি সত্তর দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর খুলনা জেলায় বাগদা চিংড়ি চাষ শুরু হয়। তন্মধ্যে সর্বপ্রথম চিংড়ি চাষ শুরু হয় তৎকালীন বৃহত্তর খুলনা জেলার অন্তর্গত বর্তমান সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর থানায়। তখন থেকেই দেশীয় (সনাতন) পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ হয়ে আসছে। বর্তমান সময়ে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে চিংড়ি চাষ সনাতন পদ্ধতিকে পেছনে ফেলে শ্যামনগরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়িচাষ করে অধিক উৎপাদনে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আধানিবিড় বা সেমিইন্টেসিভ বলা হয়। যেহেতু ঘেরে চিংড়ি চাষের জন্য বেশি জমির প্রয়োজন হয়, সে কারণে নানা সমস্যা তৈরি হয়। প্রয়োজনীয় উপযোগী জমিরও অভাব রয়েছে। তাই স্বল্প জমিতে পুকুর কেটে এ পদ্ধতির চাষ বেশ সুবিধা ও লাভজনক। অল্প জমিতে অধিক উৎপাদনের ফলে দিন দিন এই চাষ পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে সরকারি বেসরকারি সহায়তা পেলে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহারে আরো আগ্রহী হবেন চাষিরা। এই পদ্ধতির ফলে চিংড়ির উপযোগী গুণগত মান সম্পন্নের পাশাপাশি এ খাত থেকে বছরে সন্তোষ্ঠ জনক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রযুক্তির মাধ্যমে অক্সিজেন, ঔষধ ও খাবার সরবরাহের কারণে সম্পূর্ণ ভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ চাষের তুলনায় মুনাফার পরিমাণ অধিক হওয়ায় পার্শ¦বর্তী কয়েকটি জেলায়ও এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর বলেন, অল্প জমিতে অধিক মুনাফা লাভের জন্য এই প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে আধানিবিড় পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে মৎস্য বিভাগও কাজ শুরু করছে। নওয়াবেকী শ্রিম্প কালচারের দেখাদেখি এলাকার অনেক চিংড়ি চাষি এই পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। একটি খামারে দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। প্রতিটি পুকুরে বছরে ২ বার মাছ ধরা যাবে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অর্থাৎ যদি নিরোগ পোনা ছাড়া হয় তাছাড়া ঘেরে পানির পরিমাণ ৩ থেকে ৪ ফুট, ভালো পানি, ভালো পরিবেশ, জৈব নিরাপত্তা, ভালো মানের খাদ্য, মাছের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসব সব ঠিক থাকলে ৫ মাসে একর প্রতি ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া সম্ভব, যেখানে খরচের পরিমান ৫ লক্ষ টাকা। সনাতন পদ্ধতির অপেক্ষা আধা নিবিড় পদ্ধতিতে ১০গুণ মাছ উৎপাদন করা সম্ভব বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন এ পদ্ধতিতে চিংড়ি উৎপাদন করে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূল এলাকায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদাচিংড়ি চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে অক্সিজেন, ওষুধ ও খাবার সরবরাহের কারণে সম্পূর্ণ ভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ চাষের তুলনায় মুনাফার পরিমাণ বেশি হওয়ায় পাশের কয়েকটি জেলায়ও এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।
শ্যামনগর উপজেলার বাগদা চিংড়ির সেমি-ইনটেনসিভ খামারের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শাওন ফিস প্রডাক্টস লিঃ প্রোঃ মোঃ আঃ সাত্তার, মোড়ল, ১৩৫.০০ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে জলায়তন ৬৪.০০ হেক্টর, পকুরের সংখ্যা ১৮০টি, যার মধ্যে চাষকৃত ১৫৮টি, তার উৎপাদিত মাছের পরিমান ৯৫০.৫০ মেট্রিক টন। রেডিয়েন্ট শ্রিম্প কালচার-০১ প্রোঃ আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম নঁওয়াবেকী, ৪০.০০ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে জলায়তন ১৯.৪০ হেক্টর, পকুরের সংখ্যা ৬০ টি, যার মধ্যে চাষকৃত ৪৮ টি, তার উৎপাদিত মাছের পরিমান ২৩০.০০মেট্রিক টন। সুন্দরবনমৎস্য প্রকল্প টাইগারপয়েন্ট, সুশীলন, মুন্সিগঞ্জ, ৩.৫০ হেক্টর জমিতে যার মধ্যে জলায়তন ১.৬২ হেক্টর, পকুরের সংখ্যা ৪ টি, তার উৎপাদিত মাছের পরিমান ২০.০০ মেট্রিক টন। সুন্দরবন শ্রিম্প কালচার লিঃ প্রোঃ আলঃ আবুল কালাম বাবলা, নঁওয়াবেকী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ০৫.০০ হেক্টর জমিতে, যার মধ্যে জলায়তন ৩.২৩ হেক্টর, পকুরের সংখ্যা ১০ টি, যার মধ্যে চাষকৃত ৯ টি, তার উৎপাদিত মাছের পরিমাণ ২৩.০০ মেট্রিক টন। মৎস্য বিভাগ অল্প পরিসরে হলেও এ পদ্ধতিতে চাষে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানায়।
স্থানীয় চাষিদের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করতে আমরা আগ্রহী হলেও মূলত অর্থনৈতিক ঘাটতি থাকার কারণে আমরা এ চাষে অন্তর্ভূক্ত হতে পারছিনা। তবে আমরা জেনেছি এই পদ্ধতিতে চাষে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব।
তারা আরো বলেন, এই চাষ পদ্ধতিতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ যেখানে নেই সেখানে ইঞ্জিনচালিত মেশিন অথবা প্রয়োজন মতো সোলারের সাহায্যে চাষ করা সম্ভব। চাষি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা গেলে এ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষিরা ব্যাপক লাভবান হবে বলে জানান তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

00000000নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুকিহ্রাস কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা একটি বড় ধরনের দূর্যোগ প্রবণ এলাকা। তাই শুধু আলোচনা ও কর্মশালা করলে হবেনা। যুগোপযোগি পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। দূর্যোগ দু’ধরনের একটি প্রাকৃতিক আর একটি মানব সৃষ্ট। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারলে সাইকোণের ক্ষতি থেকে জেলা কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে। যত্রতত্র অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও যত্রতত্র নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ঘর-বাড়ি আর নির্মান জলাবদ্ধতার মূল কারণ। এই মানব সৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবেলা করতে জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বড় দূর্যোগ সাইকোণ ও জলাবদ্ধতা থেকে সাতক্ষীরাকে বাঁচাতে বাস্তব মুখি কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে। বৃষ্টির পানি ইছামতি ও সাগরে ফেলতে হবে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে’। অনুষ্ঠানের শুরুতে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আফসানা কাওসার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমি টারজি, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাবেল ফিরোজ, ডিডিএম, ঢাকা উপ-পরিচালক মো. আমিনুল হক প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জি.এম.এ গফুর, জেলা তথ্য অফিসার শাহানওয়াজ করিম, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী শেখ নুরুল হক, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, জেলা স্কাউটস্ সম্পাদক এম ইদুজ্জামান ইদ্রিস, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, এন.এ.আর.আর.আই এর কনসোটিয়াম ম্যানেজার নাসের শওকত হায়দার প্রমুখ। দুর্যোগ ঝুঁকি প্রবণ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলায় বাংলাদেশ সরকারের Standing Orders on Disaster(SOD) অনুযায়ী জেলার ০৪ টি উপজেলার ৪৯ টি ইউনিয়ন ও ০২ টি পৌরসভা পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি নিরূপণের (সিআরএ) মাধ্যমে DeSHARI (ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ, কেয়ার বাংলাদেশ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল) এবং অজও (এসিএফ, ড্যান চার্চ এইড, মুসলিম এইড ও ক্রীস্টান এইড) কনসোর্টিয়াম ও তাদের সহযোগী সংস্থা-উত্তরণ, সুশীলন, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সিসিডিবি এই কাজে সহায়তা প্রদান করছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

222222নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘সুস্থ দেহ সুস্থ মন ক্রীড়া আনে বিনোদন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের আয়োজনে কলেজ মাঠে সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলার ছেলেরা ও মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে সুনামের সাথে অবদান রেখে চলেছেন। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে জাতীয় পর্যায়সহ বহির্বিশ্বে সাফল্যের সাথে জেলার সুনাম অর্জন ধরে রেখে চলেছেন। নারীরা মায়ের জাত। তারা আজ বসে নেই পুরুষের সাথে সমান তালে দেশের উন্নয়নে কাজ কাজ করছে মেয়েরা’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি মহিলা কলেজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক সহযোগি অধ্যাপক শশী ভূষণ পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলীসহ সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক মো. অলিউর রহমান ও প্রভাষক নাজমুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

001নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা’র ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী ২০১৭ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে কলেজ মাঠে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, ‘লেখা পড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিতে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা একটি জাতিকে বিকশিত করতে সহায়তা করে। আজকের এই শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া শেষ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে’। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে আমি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। মাদকমুক্ত, জঙ্গিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত সাতক্ষীরা গড়তে সকলের সহযোগিতা দরকার’।
এ সময়¡ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল অদুদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর দীনবন্ধু দেবনাথ, প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আবুল কালাম আজাদ, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল হাশেম প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মহাদেব চন্দ্র সিংহ, সহযোগী অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম, মাহমুদা খাতুন, প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম,অরুণাংশু কুমার বিশ্বাস, মাহফুজুল ইসলাম, আজাদ হোসেন, মহিতোষ নন্দী, মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

0000-copyনিজস্ব প্রতিবেদক : সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় অনুর্দ্ধ-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭-এ সাতক্ষীরা জেলা দল মাগুরা জেলা দল, নড়াইল জেলা দল খুলনা জেলা দলকে হারিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সাতক্ষীরা জেলা দল।
গত ০৯ মার্চ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা দল উদ্বোধনী খেলায় গোপালগঞ্জ মাঠে মাগুরা জেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। দলের পক্ষে জয় সুচক গোলটি করে হাবিবুর। গত ১১ই মার্চ দ্বিতীয় খেলায় নড়াইল জেলা দলকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে একটি খেলা হাতে থাকতেই সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। সোমবার বিকালে গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামে খুলনা জেলা দলকে ৬-৫ গোলে জয় করেছে সাতক্ষীরা জেলা দল। দলের পক্ষে মিয়ারাজ-২টি, সুমন-২টি, সাগর-১টি ও হাবিবুর-১টি গোল করে। সেই সুবাধে সাতক্ষীরা জেলা দল ১ম রাউন্ডে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা দল অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় অনুর্দ্ধ-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ এ অংশগ্রহণকারী জেলা দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও টিম ম্যানেজারসহ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও সাতক্ষীরা জেলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলীসহ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ। জেলা দলের টিমের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স.ম সেলিম রেজা। আগামী ১৬-ই মার্চ ১ম সেমিফাইনালে অংশ নেবে সাতক্ষীরা জেলা দল।
জেলা দলের হয়ে খেলছেন জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজুর, মামুন, সাইফুল, রাশেদ, মনিরুল, পারভেজ, বাবলু, বাপ্পি, সুমন, স¤্রাট, জাহিদ, সাইমুন, হাবিবুর, মিয়ারাজ ও ইদ্রিস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tala-picture-13-03-17-psd
নিজস্ব প্রতিবেদক : তালা উপজেলার পাখিমারা বিল থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি পিঠে এন্টিনাযুক্ত কচ্ছপ (কাছিম) পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের পাখিমারা বিলে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ওহাব উদ্দিন মাছ ধরার সময় কচ্ছপটি পান। পরে তিনি কচ্ছপটি স্থানীয় শ্রীমন্তকাটি নতুন বাজার মৎস্য আড়ৎ-এ বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এ সময় স্থানীয় জনতা কচ্ছপটি দেখার জন্য মৎস্য আড়ৎ-এ ভিড় করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি খেশরা পুলিশ ফাঁড়িতে জানান স্থানীয়রা। খেশরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মাজেদ হাওলাদার জানান, তিনি কচ্ছপটি উদ্ধার করে তালা থানায় পাঠিয়েছেন। বর্তমানে তালা থানায় কচ্ছপটি রয়েছে।
কচ্ছপের পিঠে একটি এন্টিনা,একটি জিপিএস ট্রাকার সেট করা আছে কচ্ছপটির আনুমানিক প্রায় ১৫ কেজি।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি বনবিভাগের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তারা স্যাটালাইট যন্ত্রযুক্ত কচ্ছপটি দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো.মহিউদ্দিন জানান, দ্রুত কচ্ছপটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1474687283নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঠেশ্বর খাল থেকে বনদস্যু জিয়া বাহিনী প্রধান জিয়া ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব সদস্যরা দুটি ওয়ান-শুটারগান, দুটি পাইপগান ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। সোমবার ভোর রাত ৩ দিকে কাটেশ্বর খালে এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন, জিয়া বাহিনীর প্রাধান জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭), মিন্টু গাজী (৩২), মাসুম বিল্লাহ (২৫) ও ইউনুচ আলি পঁচা (২৪)।
র‌্যাব ৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, বনদস্যু জিয়া বাহিনী কাটেশ্বর খাল এলাকা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যা সেখানে অভিযান চালানো হয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাব ও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ২০ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর বনদস্যুরা পিছু হটে যায়। এরপর র‌্যাব সদস্যরা সেখান থেকে দুটি ওয়ান-শুটারগান, দুটি পাইপগান ও ১৯ রাউন্ড গুলিসহ বনদস্যু জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াসহ তার তিন সহযোগিকে গ্রেফতার করে। তিনি আরো জানান, তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2222বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের নৈঋত কোণে অবস্থিত সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা একটি সমৃদ্ধ জনপদ। এখানে আছে চিংড়ী চাষ, আছে সুন্দরবন এবং ফসলী মাঠ। জাতীয় আয়ের একটি অংশ এখান থেকে আসে। শত শত বছর থেকে সাতক্ষীরার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং রাজনৈতিক অঙ্গন সমৃদ্ধশালী। যাতায়াত এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সাতক্ষীরা কম উন্নত নয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকারের আমলে সাতক্ষীরায় যথেষ্ট কাজ হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এবং ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সাতক্ষীরার অলি, গলি, রাস্তাঘাট অনেক উন্নত হয়েছে। হয়েছে ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো রাস্তায় পিচ হয়েছে। আবার কোনো কোনো রাস্তায় ইট বসানো হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় মোট ৭৮টি ইউনিয়ন আছে। এই ৭৮টি ইউনিয়নের মধ্যে যে গ্রামগুলো আছে সেই গ্রামের অনেক রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় গ্রামীণ জনপদের যে রাস্তাগুলো পিচ করা হয় সেই রাস্তাগুলোতে মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে অতিদ্রুত ধ্বসে পড়ে এবং নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাগুলোর যে ধারণ ক্ষমতা তার চেয়ে অধিক ওজনের মালবাহী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়েছে এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে যে রাস্তাগুলোর বেহাল দশা পাওয়া গেছে সেগুলো সংস্কারের নিমিত্তে তুলে ধরা হবে। সাতক্ষীরার সদর উপজেলার নারকেল তলা থেকে আখড়াখোলা বাজার পর্যন্ত ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাটি ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। যা অতিদ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। আখড়াখোলা বাজার থেকে আমতলা পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। আগরদাড়ী বাজার থেকে পরানদহা হয়ে আলীপুর চারাবটতলা পর্যন্ত রাস্তা মাঝে মাঝে ভালো থাকলেও মাঝে মাঝে খুবই খারাপ। এই পুরো রাস্তাটিই সংস্কার করা প্রয়োজন। সাতক্ষীরা সদরের বাঙালের মোড় থেকে মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ী হয়ে খানপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। কলারোয়া উপজেলার একড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘোরিয়া থেকে ছাতিয়ানতলার দেবনগর পর্যন্ত রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। বুইতা থেকে বাটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট থেকে শাকদহা বাজার পর্যন্ত রাস্তা পীচ করা প্রয়োজন। আশার আলো কুশোডাঙ্গার মধ্যে কিছুটা কাজ হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা বাজার থেকে তুজুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার কাজ হচ্ছে। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘোরিয়া থেকে বলাডাঙ্গা হয়ে আখড়াখোলা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার আরো অনেক জায়গায় রাস্তার কাজ চলছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং এল জিইডি যে রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয় তার দৈর্ঘ্য খুব কম থাকে। কোন কোন রাস্তা সংস্কার ২ থেকে ৩ কিলোমিটার না হয়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত করলে জনগণের সুবিধা হয়। রাস্তা মানবজীবনে শান্তির বারতা বয়ে আনে। মাতৃভূমি যেমন স্বর্গস্বরূপ তদ্রুপ চলার পথ প্রশান্তিময় হলে মানুষের জীবনও প্রশান্তিময় হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য বলা যায় খুলনা বিভাগের মধ্যে মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কথা। যশোর থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কটি সংস্কার করা আশু প্রয়োজন। রাস্তার যে প্রশস্ততা আছে তা আরো ৪ গজ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। রাস্তার মাঝখান দিয়ে সাদা চুন টেনে দিলে যানবাহন চালানো সুবিধা হয়। এতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসে। যাহোক, গ্রামীণ জনপদের কথাই বলছিলাম। তাই আবারো বলতে চাই, সাতক্ষীরা সদরের পোড়ার বাজার থেকে নগরঘাটা হয়ে রাজনগর দিয়ে বিনেরপোতা পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। যা এক্ষুণি সংস্কার করা প্রয়োজন। সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া উপজেলাসহ সাতক্ষীরার প্রত্যেকটি উপজেলা এবং থানার গ্রামীণ জনপদগুলো অতিদ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পদ্মাসেতু নির্মাণ, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিসহ অনেকগুরুত্বপূর্ণ কাজ বর্তমান সরকার করছেন। বর্তমান সরকারের কর্মী ব্যবস্থাপনাও যথেষ্ট ভালো। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমার আকুল আবেদন ও কিছু প্রাণের দাবি তা হলো- ১. বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির দেয়ালে, অফিসিয়াল পদ-পদবীতে এবং পাঠ্যবইতে নমনীয় শব্দ ব্যবহার করলে ভালো হয়। ২. শিক্ষাকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকে সাজাতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের ছাটাই করে মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিসত্তায় বিশ্বাসী, সৎ, দেশপ্রেমিক, ন্যায়বিচারক, কর্তব্যনিষ্ঠ সন্তানদের শিক্ষক হিশেবে নিয়োগ দিতে হবে। অর্থাৎ সংবিধানের মূলনীতির আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষাঙ্গনগুলো সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক আঙ্গিকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৩. বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর মধ্যে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে লুকিয়ে থাকা দলীয় বিশ্বাসঘাতকদের দল থেকে ছাটাই করে যোগ্য, মেধাবী, সংগঠক, সৎ, নিষ্ঠাবান, সুশিক্ষিত, ন্যায়বিচারক ও দেশপ্রেমিকদের দলে স্থান দিতে হবে ও উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত করতে হবে। দলের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমান্ড ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান কার্যকর করলে দল ও দেশ নান্দনিক হয়ে গড়ে উঠবে। ৪. মুদ্রাপাচার, মেধাপাচার, শিশুপাচার তথা সম্পদপাচার রোধ করে জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী করতে হবে। ৫. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। আঞ্চলিক পর্যায়েও লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে। ৬. রামপাল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত স্থাপন করতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় সাতক্ষীরার সকল গ্রামীণ জনপদগুলো জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতের ছোঁয়ায় আরো সুন্দর হবে।
লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কবিতা পরিষদ, সাতক্ষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest