সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার তালা, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ঘোষ সনৎ, মোস্তাকিম ও আলফা চেয়ারম্যান নির্বাচিততালায় কাপপিরিচ প্রতীক নিয়ে টানা চতুর্থ বার জিতলেন ঘোষ সনৎ কুমারমণিরামপুরে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শুদ্ধাচার বিষয়ক সভাসম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রকল্প অবহিতকরন সভাসকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোনো ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না–সামেকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ডা: রুহুল হকসাতক্ষীরার মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টআশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদের বিপরীতে ১৩ প্রার্থীর শেষ মুহুর্তের বিরামহীন প্রচার প্রচারণা শেষ হলআশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের উদ্বোধনশ্যামনগরে প্রধান শিক্ষক মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগআশাশুনিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

3
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আসুন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হই।’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটস্থ শহিদ আলাউদ্দিন চত্বরে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. এম মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দন্ত চিকিৎসক ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি প্রফেসর শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, মুর্শিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, কার্যকরি সদস্য অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, মো. আব্দুর রব ওয়ার্ছী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু আমাদের দেশে নয়! সমগ্র বিশ্বে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর অন্যতম হচ্ছে জনগণের মধ্যে নৈতিকতা বোধ জাগিয়ে তোলা। দুর্নীতি রোধ করতে হলে সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জিএম শফিউল আলম, আহ্ছানিয়া মিশন মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল আলম ছিদ্দিকী, মো. আব্দুল আজিজ, ইব্রহিম খলিল, সাইফুল ইসলামসহ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নূরনগর এলাকা থেকে বনদস্যু নোয়া মিয়া ভাই বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আব্দুল মজিদ ভাঙ্গিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে উপজেলার নুরনগর বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত বনদস্যু রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামে মৃত মফেজ ভাঙ্গীর ছেলে। শ্যামনগর থানার এস,আই বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী ও এস,আই আরিফ জানান, দীঘর্দিন ধরে সুন্দরবনে ডাকাতি শেষে পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছে বনদস্যু মজিদ এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে নূরনগর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বনদস্যু মজিদ ভাঙ্গি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নোয়া মিয়া ভাই বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক বনদস্যু আব্দুল মজিদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: চা না হলে অনেকের চলেই না। জ্বরের বিরুদ্ধে চা কিন্তু দারুণ কার্যকর। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টাতে হুটহাট করে ভাইরাসজনিত জ্বরে পড়তে পারেন। যেকোনো বয়সের যে কারও এ জ্বর হঠাৎ চলে আসে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাজারে এ ধরনের জ্বরের অনেক ওষুধ আছে। কিন্তু ভাইরাসজনিত জ্বর থেকে সুরক্ষায় কিছু হারবাল উপাদান আছে, যা খেলে এ ধরনের জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ধরনের মৌসুমি সংক্রমণ থেকে প্রতিকার পাওয়ার কিছু উপায় জেনে নিন:ধনে চা: মৌসুমি জ্বর হলে ধনের চা তৈরি করে খেতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান আছে, যা প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।তুলসি চা: ভাইরাস জ্বর নিয়ে তুলসি পাতার চা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ, এতে নানা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও জার্মিডিক্যাল ও ফাংগিসিডালের উপস্থিতির কারণে ভাইরাল জ্বরে তুলসী পাতার চা দারুণ কার্যকর।আদা চা: হঠাৎ ভাইরাস জ্বরে পড়লে আদা চা অবশ্যই খাবেন। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। প্রদাহ ও বেদনানাশক গুণও রয়েছে আদায়। শুধু তা-ই নয়, জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে আদা। আদা চা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।মেথি চা: মেথিতে আছে ডিওসজেনিন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েডসের মতো নানা উপাদান, যা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এ সময় ভাইরাস জ্বর হলে মেথির চা খেলে কাজে লাগবে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি-কাশি পালায়। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়। হারবাল চা: হারবাল চায়ে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। জ্বর হলে এই চা উপকারী। শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায় হারবাল চা। দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গজাতীয় জিনিস যোগ করতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: খাবার শরীরের শক্তি বাড়ায়। খাবার খেয়েই আমরা জীবনধারণ করি। তবে না বুঝে খেলে বা ভুলভাবে খেলে খাবারই আবার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। তাই খাবার সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক মিডিয়া জানিয়েছে পাঁচটি খাবার খাওয়া সময়ের কথা।   ১. কলা খাওয়ার সময়  দুপুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ভালো করে। রাত মিউকাস তৈরি করে এবং হজমে সমস্যা করে। ২. আপেল খাওয়ার সময় সকাল রক্তের সুগার ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। রাত হজমে অসুবিধা হয় এবং পাকস্থলীর এসিড বাড়ায়। ৩. দই খাওয়ার সময় রাত হজম দ্রুত করে। সকাল খালি পেটে খেলে পাকস্থলীতে অনেক বেশি এসিড তৈরি হয়। ৪. টমেটো খাওয়ার সময় সকাল  হজম ভালো করে এবং বিপাক বাড়ায়।রাত রাতে টমেটো খেলে পাকস্থলী ফুলে যায়।৫. বাদাম খাওয়ার সময় দুপুর রক্তের সুগারের ঝুঁকি কমায়। রাত ওজন বাড়িয়ে দেয়। ৬. কমলা খাওয়ার সময় সকালের নাস্তা পাকস্থলীর সমস্যা তৈরি করে এবং গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। সকালের পর হাল্কা নাস্তার সময় হজম ভালো করে এবং বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

00000000মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা ওপেন টেনিস টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা টেনিস ক্লাবের আয়োজনে টেনিস গ্রাউন্ডে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো.  আবদুস সামাদ।
এসময় তিনি বলেন, ‘যৌবনের শ্রেষ্ট বিকাশ হলো খেলাধুলা। অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ একটি খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা টেনিস মাঠে নারী-পুরুষের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ-ই তার প্রমাণ। বর্তমান আমাদের সমাজে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খেলার মাঠও নেই। যুবকরা যদি খেলার  মাঠে থাকে তাহলে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও মাদক আর ছড়াতে পারবে না। ক্রীড়াঙ্গনে পরাজিত বলে কিছু নেই। চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপ দুটিই বিজয়।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা  ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরমান হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক এ,এফ,এম এহতেশামূল হক, অতিেিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, এনডিসি আবু সাঈদ, সহকারী কমিশনার মোশােেরফ হোসেন, আফসানা কাওছার, বিবি খাদিজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা পারভীন,  সাতক্ষীরা টেনিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ। এ সময়  টেনিস গ্রাউন্ডে ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা টেনিস ক্লাবের সহ- সভাপতি আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী,  ক্লাবের সদস্য মাকসুদার রহমান খান চৌধুরী সুজা,  ডাঃ আমিনুর রহমান, মিন্টু খান চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস,  আমিরুল আজিম ছিদ্দিকি মেরু, আফজালুল করিম বিপু, মাহবুব বিশ্বাস, সাবিক খান চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর প্রমুখ। সাতক্ষীরা ওপেন টেনিস টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ফাইনাল খেলায় মুখো মুখি হয় সাতক্ষীরা টেনিস ক্লাব বনাম খুলনা ক্লাব লিমিটেড। ডেভিসকাপ পর্দ্ধতির খেলায় সাতক্ষূরডি জেলার দুটি দল বিজয়ী হয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলার এহতেশামূল হক ও সুজা জুটি এবং মেরু ও বিপু জুটি খুলনা ক্লাব লিঃ এর দুটি দলকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন। এ সময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদসহ অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে ট্রপি তুলে দেন। এ খেলায় খুলনা,  সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহা ও মাগুরা জেলার ১২ টি দল অংশ নেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষার পশ্ন ফাঁস হওয়ায় ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার। গত ২৮ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিক্ষা শুরু হয়। গত ৩১নভেম্বর প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির অংক পরীক্ষা চলাকালীন এ রউফ মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার নবম শ্রেণির ছাত্র আবু বক্করকে নকল সহ আটক করে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা শিকার করে এবং তার সহযোগী সারমিন সুলতানাসহ আরো অনেক শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করে। এছাড়া কালিঞ্চি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও নূরনগর আশালতা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল সহ কয়েকজন ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। নূরনগর আশালতার প্রধান শিক্ষক সূর্য্যকান্ত মন্ডল শিক্ষার্থী আশরাফুলকে জিজ্ঞাসা করিলে সে তার পার্শ্ববর্তী দ্যা নিউ কোচিং সেন্টারের পরিচালক আশরাফুল ইসলামের নিকট থেকে প্রশ্ন পাওয়ার কথা স্বীকার করে। গত ৩ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষক সমিতির কর্মকর্তারা আশরাফুলের নিকট জিজ্ঞাসা করলে সে জানান, কাঁঠাল বাড়িয়া এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের শালক সাতক্ষীরা জেলা পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি রোকন বুক ডিপোর মালিক রোকনুজ্জামানের মাধ্যমে তিনি শুধু অংকের প্রশ্ন পেয়েছেন। উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে বলেন শুধু মাত্র নবম শ্রেণির প্রশ্ন নয়, অধিকাংশ ক্লাসের বার্ষিক পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। একাধিক অভিভাবকরা তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান প্রশ্ন ফাঁসের কারনে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা মেধায় মূল্যায়ন থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে, আর অমেধাবী শিক্ষার্থীরা মূল্যায়িত হচ্ছে। তারা আরো জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রাইভেট শিক্ষকরা দায়ী। এ ঘটনায় প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব শিক্ষকদের প্রশ্ন করার কথা থাকলেও কিছু কিছু প্রশ্ন শিক্ষকরা করেছে আর বাকি প্রশ্নগুলো শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে নিয়ে পরিক্ষা নেওয়ার কারনে প্রশ্ন পত্র ফাঁস হচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহি অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম জানান, গত ৭ই ডিসেম্বর প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম ও তারই একাডেমি সুপারভাইজারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1_1নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট পেতে ও নেতাকর্মীদের খোজ খবর নিতে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম গণসংযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে থেকে এ গণসংযোগ শুরু করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নজরুল ইসলাম।
এসময় তার সাথে ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, সংগঠনিক সম্পাদক গনেশ চন্দ্র মন্ডল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, ভোমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান,  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন সুজন, সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবিব অয়ন, বৈকারি আওয়ামীলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোঃ মশিয়ার রহমান, মাষ্টার এনামূল কবির বাবু, মোঃ কামাল হোসেন, যুবলীগনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সমর্থকগন। গণসংযোগকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে নেমেছি শুধু এ অবহেলিত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বর্তমানে শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাট্রেন চলছে। এ উন্নয়নের মহাট্রেনে সব বগি যাতে সাতক্ষীরার প্রতিটি অঞ্চলে পৌছায় সে কাজ করে যাব। এ থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয় সেটি হবে আমার মূল লক্ষ। আপনারা আপনাদের ভোটের মাধ্যমে নেত্রীর উন্নয়নের মহাট্রেনের গতি আরো বাড়াতে সহযোগিতা করবেন। আমি বঙ্গবন্ধুর যে আর্দশ ধারন ও আওয়ামীলীগ করি এটাই আমার অনেক পাওয়া। আমার নিজের জন্য আর চাওয়া পাওয়ার নেই, শুধু আপনাদের নেত্রীর উন্নয়নের মহাট্রেনের যাত্রী করতে চাই। শুধু কথায় নয় কাজে তা প্রমাণ করতে চাই। এ জন্য আমি আপনাদের দোয়া, আর্শীবাদ, সমার্থন ও ভোট কামনা করছি। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে এ ট্রেন নিয়ে আপনাদের কাছে পৌছাব ইনশাল্লা। তিনি দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কুলিয়া ইউনিয়ন, কালিগঞ্জ উপজেলার মুথেরাশপুর ইউনিয়ন, কুশুলিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বরদের সাথে গণসংযোগ করেন এবং আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ পর্যন্ত তিনি জেলার ৪৫টি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন দ্বিতীয় রাউন্ড-২০১৬ উপলক্ষ্যে এক ওরিয়েন্টশন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজনে হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শান্তি মোহন ভদ্রের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য রাখেন থানার ওসি তদন্ত আখতারুজ্জামান, ডাক্তার মেহেরুল্লাহ, ডাক্তার জাহিদ আলম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদরুল আনাম, এটিএফপিপি পিষুজ ঘোষ, ব্র্যাক কর্মকর্তা সেলিম হোসেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, নুর মোহাম্মদ প্রমুখ। উল্লেখ, আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনে উপজেলার ২৯১ টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের খাওয়ানো হবে বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest