সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

jaliatiনিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা বেকার পুনর্বাসন সংস্থায় ভূয়া স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিটি গঠনে গঠনতন্ত্রের কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি। এব্যাপারে সদর থানায় অভিযোগ করেছেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন। লিখিত অভিযোগে সালমা খাতুন জানান, সাতক্ষীরা রাজার বাগানে অবস্থিত বেকার পুনর্বাসন সংস্থাটি ২০০৯ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে নিবন্ধন লাভ করে। নিবন্ধন নং- সাত ১০৪৭/২০০৯। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংস্থাটির হাল ধরেন সালমা খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন এনজিও ব্যুরো নিবন্ধন করার জন্য সংস্থার গঠনতন্ত্র, কার্যকারী কমিটি সহ সকল কাগজপত্র তার নিকট আত্মীয় শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের স্ত্রী নাজমুন নাহার ষড়যন্ত্র করে গঠনতন্ত্রের কোন নিয়মনীতি না মেনেই সালমা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সহ-সভাপতি পদে মনোনিত করে ২৯-০৬-২০১৫ তারিখ হতে ২৮-০৬-২০১৭ তারিখ মেয়াদে কমিটি অনুমোদন করেন। কমিটির তালিকায় সালমা খাতুন, লিয়াকত হোসেন, শাহনাজ বেগম ও লোকমান কবির এব্যাপারে কিছুই জানেনা। তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নাজমুন নাহার ভূয়া কমিটি গঠন করেছে। তারা জানান, কমিটির ভূয়া তালিকায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কলারোয়ার একটি এমপিওভুক্ত কলেজের প্রভাষক ফরিজুল ইসলামকে। ফরিজুল ইসলামের স্ত্রী একটি এমপিওভুক্ত হাইস্কুলের শিক্ষক।
এছাড়া ভূয়া কমিটির সভাপতি নাজমুন নাহার বিভিন্ন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। নাজমুন নাহারের বোনও ভুয়া কমিটির সদস্য। এছাড়া বিবিএ কলেজের কোষাধ্যক্ষ জিএম সায়েদুর রহমানের স্ত্রী ও এ ভুয়া কমিটির সদস্য। গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী কোন সরকারি বেসরকারি শায়ত্ব শাসিত, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি কিম্বা তাদের পরিবারের কোন সদস্য বেকার পুনর্বাসন সংস্থার কার্যকারী কমিটির সদস্য হতে পারবেন না। অথচ নাজমুন নাহার গঠনতন্ত্র না মেনে ওই সব ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে  ভূয়া কমিটির গঠন করে স্বৈরশাসন জারি করেছে। এব্যাপারে কমিটির প্রকৃত সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন সংস্থার কাগজপত্র চাইলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দাবি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে নাজমুন নাহার এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedশ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জঙ্গি বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ মে বিকাল ৫ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড: জহুরুল হায়দার বাবু  (স্পেশাল পিপি) এর নেতৃত্বে জঙ্গি বিরোধী মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে শেষ হয়। এ মিছিলে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1494066197রফিক শিকদার পরিচালিত ‘হৃদয়জুড়ে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে ঢাকায় এসেছিলেন কলকাতার চিত্রনায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার। ছবিটিতে নায়ক নিরবের বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি। ছবির ৬০ শতাংশ শুটিং শেষ করেই নায়িকার প্রেমে পড়েন পরিচালক। বিষয়টি নায়িকাকে জানানোর পর থেকেই ঘটনা ঘোলাটে হতে শুরু করে। বারবার নিষেধ সত্ত্বেও পরিচালক নানাভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ‘হেনস্তা’ করে যাচ্ছিলেন নায়িকাকে। একপর্যায়ে বিষয়টি ‘প্রতিবাদ স্বরূপ’ সবার সামনে তুলে ধরেন প্রিয়াঙ্কা। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে প্রিয়াঙ্কা স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি বিচারের আহ্বান জানান।

প্রিয়াঙ্কা ফেসবুকে লিখেছেন, “আজ আমি আমার সকলের সাথে একটা ব্যাপার শেয়ার করতে চাই, সেটা হচ্ছে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি ঢাকা গিয়েছিলাম আমার প্রথম বাংলাদেশি ছবি ‘হৃদয় জু‌ড়ে’-এর শুটিং করতে এবং সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে আমার প্রযোজনা টিম, সহশিল্পীসহ সকলের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এত কিছুর পরেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে এই ছবির পরিচালক Rafique Sikder চূড়ান্ত অপেশাদার একজন মানুষ। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারি শ্যুটিং এগোচ্ছে ধীরগতিতে। বাংলাদেশের শিডিউল শেষ হলেও আমার সিনগুলো শেষ করতে পারেননি পরিচালক ওনারই পেশাদারিত্বের অভাবে। অকারণেই উনি শুটিং-এর সময় আমার সাথে কাজের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে গল্প করতে চাইতেন। সময়ে-অসময়ে মেসেজ করতেন নানা রকম। যেগুলো কাজ সংক্রান্ত নয়! মানে বাড়তি অ্যাটেনশন পাওয়ার চেষ্টা এবং অনেক সময়েই আমি এর প্রতিবাদও করেছি কিন্তু তবুও উনি নিজেকে সংশোধন করেননি। এরপর প্রযোজনা টিমের চুক্তি অনুযায়ী আমার শুটিং সিডিউল শেষ হওয়ার পরই আমি কলকাতা ফিরে আসি। তবু আমি রাজি ছিলাম চুক্তি শেষ হওয়ার পরেও বাংলাদেশে গিয়ে ছবির বাকি অংশের কাজ শেষ করতে। যাইহোক কলকাতা ফেরার পরই উনি শুরু করেন আমাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় উনি আমাকে বারবার মেসেজ করতেন। বলতেন, উনি নাকি আমাকে মিস করছেন! একটা সময়ের পর আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন! বারবার ব্লক করা সত্ত্বেও উনি থামেননি। উনি সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন আমাকে। এসব সত্যি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ শিল্পী হিসেবে আমরা ন্যূনতম সম্মানটুকু অন্তত আশা করি সবার কাছে। আমি প্রমাণস্বরূপ ওনার করা হোয়াট্সঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মেসেজের স্ক্রিনশটও শেয়ার করছি তাহলেই আপনারা এই মানুষটির মানসিকতা বুঝতে পারবেন। এই লোকের কী বিচার হওয়া দরকার সেটা আমি আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি। আমার সত্যি এ সমস্ত এভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম এই ধরনের হয়রানির একটা প্রতিবাদ হওয়া দরকার। কারণ এই ধরনের নিম্ন মানসিকতার লোকজন দুই বাংলার চলচ্চিত্রজগতের জন্যই হানিকারক। এরা শিল্প এবং শিল্পী কাউকেই সম্মান করতে জানে না। এবং দুই বাংলার শিল্পীদেরই আমার অনুরোধ এই রকম ঘটনার সম্মুখীন হলে প্রতিবাদ করুন ও সতর্ক হোন। নইলে চুপ করে থাকলে এরা আরো পেয়ে বসবে। আর একজন শিল্পী হয়ে আমি এটুকুই বলতে পারি, ঈশ্বর ওনার শুভবুদ্ধি জাগ্রত করুন।”

এ বিষয়ে পরিচালক রফিক শিকদারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রিয়াঙ্কাকে তিনি বিয়ে করতে চান। শিকদার বলেন, ‘আমি প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে চাই, আমার মনে হয়েছে তার আমার মতো একজন গার্জিয়ান থাকা দরকার। তার সুন্দর একটা মন আছে। আমি তার ভালোটা ভালোবেসে ফেলেছি। আমি জানি তার একটি ছেলে আছে, তার ছেলেকেও আমি ভালোবেসে ফেলেছি, আমি মনে করি ভালোবাসা কোনো অন্যায় নয়, আর কারো কাছে ভালোবাসার জন্য চাপও দিচ্ছি না। পৃথিবীর কোনো আদালত নেই যেখানে ভালোবাসার অপরাধে সাজা হতে পারে।’

কীভাবে প্রিয়াঙ্কার প্রেমে পড়েন জানতে চাইলে শিকদার বলেন, ‘আমরা শুটিং শুরু করার পর সব কিছু ভালোভাবেই আগাচ্ছিল। কিন্তু একদিন প্রিয়াঙ্কা দেরি করে শুটিংয়ে আসে। কেন দেরি হলো জানতে চাইলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার মাথায় হাত রেখে ঠান্ডা হতে বলি, তখন সে আরো রেগে যায়। আমি কেন গায়ে হাত দিলাম তার জন্য সে আরো রাগ করতে থাকে। তখন আমার মনে হয় সে স্বাভাবিক নেই। তারপর থেকে সে সব সময় আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। একদিন আমার গায়ে খাবার ছুড়ে মারে, আমি বুকে ব্যথাও পেয়েছিলাম। আমি দূর থেকে তাকে দেখতাম আর ভাবতাম সে কেন আমার সাথে এমন করছে? একসময় আমার মনে হলো সে আসলে অস্বাভাবিক জীবনযাপন করছে, তার একজন ভালো বন্ধু দরকার। আমি তার প্রেমে পড়ে যাই।’

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই কি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক? জবাবে তিনি বলেন, ‘নিরবের একটা সিক্যুয়েন্সের শুটিং হচ্ছিল, সেখানে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে, গোসল করানো হচ্ছে।  আর প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হবে, তাকেও গোসল করানো হবে। আমি যেহেতু এখনো বিয়ে করিনি, তাই আমার মা-বোনদের কাছে জানতে চাইছিলাম বিয়ের আগে গোসলের কোনো নিয়ম আছে কি না। তখন প্রিয়াঙ্কা আমার সামনে এসে হাসিমুখে দাঁড়ায়। আমাকে বলে আমি যেন একটা বিয়ে করি। বধূবেশে প্রিয়াঙ্কাকে দেখে আমার ভালো লাগে। আমি তখন তাকে বলি, আমি তাকে বিয়ে করব। তারপর আমরা ফেসবুকে প্রায়ই কথা বলতাম, এরই মধ্যে আমি তাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিই। আমি আসলে মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম, এখনো বাসি, সে যদি রাজি থাকে বিয়ে করতে চাই।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসু33344ন! আসুন! মাথা নষ্ট! মাত্র ১০০ টাকায় পাবেন আকাশ থেকে নেমে আসা এক ঝাঁক ডানাকাটাপরির ঝুমুর ঝুমুর নাচ! যা’ না দেখলে মিস করেবেন মামাÑ এসব চটুল কথার মাইকিংয়ে কান ঝালাপালা হচ্ছে তালাবাসীর। এটি কথিত যাত্রার মাইকিং!
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে কবি সিকান্দার আবু জাফর মেলায় যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নৃত্য এবং সর্বনাশী র‌্যাফেল ড্র শেষ হতে না হতেই এবার একই উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শালিখা বাজারে যাত্রার নামে চালানো হচ্ছে অশ্লীল নৃত্য। ৫ দিন ধরে চলমান এই তথাকথিত যাত্রার নামে প্রকাশ্যে চলা নর্তকীদের খোলামেলা দেহ দেখতে ভিড় জমাচ্ছে ওই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার তরুণ, যুবক এবং মধ্যবয়সী পুরুষরা। এদিকে যাত্রাস্থলে জুয়া এবং লটারি খেলা চালানোর জন্য আয়োজক কমিটি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রশাসনের অনুমতি নিতে দৌড়-ঝাপ শুরু করায় সাধারণ মানুষের মাঝে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার সচেতন একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যাত্রা পালার নামে শালিখা বাজারে যা চলছে, তাতে পরিবার পরিজনের সামনে মুখ দেখানো দায় হয়ে দাড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিকে সামাজিক এবং অন্যদিকে নৈতিকতার চরম অবক্ষয় হবে। মান-সম্মান নিয়ে সমাজে চলাফেরা দায় হয়ে যাবে। সামাজিক পরিবেশ এবং বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এলাকার সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য বন্ধসহ জুয়া বা লটারির সুযোগ সৃষ্টি না করে দেবার জন্য সাতক্ষীরা জেলাপ্রশাস ও পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, মুড়াগাছা এলাকার সরকার দলীয় নেতা আল মামুন তাজ’র নেতৃত্বে শালিখা বাজারে চালানো হচ্ছে তথাকথিত যাত্রা! মনিরামপুরের “আনন্দ অপেরা” নামের যাত্রা প্রতিষ্ঠান এখানে যাত্রা মঞ্চ তৈরি করেছে। কিন্তু যাত্রার মঞ্চে নামকাওয়াস্তে যাত্রা চলে আর সারারাত চলে অশ্লীল নৃত্য। আর যুব সমাজকে আকৃষ্ট করে অশ্লীল নৃত্য দেখানোর জন্য দিন থেকে রাত পর্যন্ত মাইকে প্রচার করা হয় রসালো জাতের বচন।
আসুন! আসুন! মাথা নষ্ট! মাত্র ১০০ টাকায় পাবেন আকাশ থেকে নেমে আসা এক ঝাঁক ডানাকাটাপরির ঝুমুর ঝুমুর নাচ! যা’ না দেখলে মিস করেবেন মামা। এধরেনর লোভনীয় প্রচারে সাড়া দিয়ে যাত্রা মঞ্চে প্রবেশ করার পর যাত্রা কমিটি আবার মাইকে প্রচার করে- যা’ চাইবেন তাই পাবেন। তবে মোবাইলে কেউ ভিডিও করবেন না। তাহলে কমিটির লোক আপনার মোবাইল কেড়ে নিয়ে আপনাকে মাঠ থেকে বের করে তিতে বাধ্য হবে। দর্শকদের উপর ভিডিও ধারণে এধরনের ভয় দেখিয়েই শুরু করা হয় নারীদের নগ্ন নৃত্য। নগ্ন নৃত্যকালে যে যুবক নর্তকীকে টাকা দেয়, সেই যুবককে মন উজাড় করে সব কিছু সপে (!) দিচ্ছে নর্তকীরা। যাত্রার নামে নর্তকীদের এমন খোলামেলা দেহ দেখতে আর টাকা দিয়ে নর্তকীদের দেহ স্পর্শ করতে দিন দিন সেখানে বিকৃত রুচির দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ক্ষোভ বাড়ছে সুষ্ঠু ধারার সংস্কৃতিমনা মানুষসহ সচেতন মানুষদের।676767
এ বিষয়ে জানতে তালা থানার ওসি মো. হাসান হাফিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছে। যে কারণে ওই স্থানে যাত্রার কোন ঘটনা আমার জানা ছিলো না। আপনি আমাকে বলছেন যখন থানায় ও ফাঁড়িতে এখনি জানাচ্ছি। যদি অশ্লীল কিছু ঘটে তবে যেন এখনি পদক্ষেপ নেয়।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন বলেন, আসলে মেলার অনুমতি নেওয়ার সময় কিন্তু আয়োজকরা বলেন সুস্থ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অথচ অনুমতি পাওয়ার পরে তারা এধরনের কার্যক্রম করে। আমিও শুনেছি সেখানে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য হচ্ছে। আমি তাদের খবরও দিয়েছি যদি নগ্ন নৃত্য তারা বন্ধ না করে তবে রবিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1494048972মডেলিংয়ের কথা ভাবছেন? এর জন্য তো হালকা-পাতলা, মেদহীন শরীরই উপযুক্ত। যেকোনো মডেলের প্রাণপন চেষ্টা থাকে নিজেকে একেবারে ‘জিরো ফিগারে’ নিয়ে আসার। কারণ না হলেই তো বিপদ, ছিটকে পড়ার ভয়। তার জন্য খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত ভুলে যান মডেলরা।

কিন্তু মডেল দুনিয়ার ‘সর্বজনগ্রাহ্য’ এই রূপেই বিপদ দেখছে ফ্রান্স। সেখানে অতিরিক্ত পাতলা শারীরিক গড়ন হলেই ভেঙে যেতে পারে আপনার মডেল হওয়ার স্বপ্ন। এমনকি আইন ভাঙার অপরাধে কঠোর জরিমানার মুখেও পড়তে হবে।

সম্প্রতি ফ্রান্স এক আইনের মাধ্যমে অতিরিক্ত হ্যাংলা-পাতলা শারীরিক গড়নের মডেলদের নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এর লক্ষ্য হচ্ছে বিশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং প্রকৃত সুন্দর খুঁজে বের করা। অবশ্য এর আগে ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশ এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

আইন অনুযায়ী, দেশটিতে কোনো রুগ্ন শারীরিক গড়নের ফ্যাশন মডেল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মডেলদের এখন থেকে তাদের সার্বিক শারীরিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিকিৎসকদের প্রশংসাপত্র লাগবে। প্রত্যেক মডেলকে বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) মান পূরণ করতে তো হবে। পাশাপাশি বিশেষ করে বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ওজনও মান অনুযায়ী থাকতে হবে।

মডেলদের ডিজিটালে রূপান্তরিত ছবিগুলো আগামী ১ অক্টোবর থেকে চিহ্নিত করা হবে। ছবিতে যদি দেখা যায় কোনো মডেল চাতুরি করেছেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগেও বিলটির প্রাথমিক সংস্করণে বলা হয়েছিল মডেলদের বিএমআই মান বজায় থাকতেই হবে। কিন্তু তখন দেশটির মডেলিং সংস্থাগুলো এর প্রতিবাদ করেছিল।

চূড়ান্ত সংস্করণেও একই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে মডেলদের ওজন, বয়স, শারীরিক গঠন বিবেচনা করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে তাঁরা খুব হাড্ডিসার বা কঙ্কালসার কি না।

যদি কোনো মডেলিং এজেন্সি এই আইন ভঙ্গ করে তবে তাকে ৭৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে। এমনকি ছয় মাসের জেলও হতে পারে।

নিম্ন ওজনের মডেলদের ক্ষেত্রে আইন পাস করা দেশ হিসেবে ফ্রান্সই প্রথম নয়। এর আগে ইতালি, স্পেন ও ইসরায়েল এ ধরনের আইন পাস করেছে। ইউরোপে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা, ‘মডেলযোগ্য’ শরীর গঠনের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। তারা সাধারণত বিএমআই মানের নিচে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়, যাতে নারীদের আরো আকর্ষণীয় মনে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে এ ধরনের অভ্যাস মানুষের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_856989091_1494066929.jpg.pagespeed.ic.zo8VGNqEZ9আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গেল নির্বাচনের কারণে ইভানকা ট্রাম্প নামটি সারা বিশ্বেই এখন পরিচিত। হোয়াইট হাউজের অলিখিত ক্ষমতাধর। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বড় কন্যা তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা তিনি, রয়েছে নিজের ব্যবসা, এর উপর আবার তিন সন্তানের মা। সব মিলিয়ে প্রাত্যহিক জীবনে নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয় ইভানকা ট্রাম্পকে।

সম্প্রতি, ইভানকা ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাকে দুই ছেলে জোসেফ ও থিওডরের সঙ্গে নাচতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে ইভানকা লিখেছেন, যেসব মায়েরা ঘরের বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ছোট ছোট এই মুহূর্তগুলো অনেক বড় কিছু।

ক্যাপশনে নিজের লেখা নতুন বই- উইমেন হু ওয়ার্ক : রিরাইটিং দ্য রুলস ফর সাকসেসের কথাও লিখেছেন তিনি।

পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ২৫ লাখ বারের মতো। ৬ হাজারের বেশি মন্তব্য পড়েছে। তাছাড়া শেয়ার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার।

https://www.youtube.com/watch?v=IOcCgGJZhYQ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

c38df85fc7efb36ab7c0bbf7e690b714-590d82b9ab8f7পাওলি দাম, সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত এক অভিনেত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে পাওলির বিয়ের কথা। ভক্তদের মনেও উঠেছে নানা ধরনের প্রশ্ন। কবে বিয়ে করছেন পাওলি? কাকে বিয়ে করছেন পাওলি? এমন নানা প্রশ্নের সমাধান এবার হতে যাচ্ছে। বিয়ের ফুল ফুটল পাওলি দামের। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে আগ্নিসাক্ষী রেখে, লাল বেনারসীতে, সিঁদুরে-ফুলে-চন্দনে একেবারে বাঙালি কনে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনি। গুয়াহাটিতে বিয়ে।

পাত্র গুয়াহাটি নিবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী অর্জুন দেব। ধনী পরিবারের সন্তান অর্জুনের পড়াশোনা প্রথমে ইনদওরে, তার পর সান ফ্রান্সিসকোয়। দেশে ফিরে এখন পৈতৃক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বছর দুয়েক আগে পাওলির সঙ্গে আলাপ হয় অর্জুনের। এক পুজো পরিক্রমায় ইতালীয় কনসাল জেনারেলের দেওয়া পার্টিতেই কলকাতায় আসেন অর্জুন। সেই পার্টিতে ছিলেন পাওলিও। সেখানেই পরিচয়। অর্জুনের দিদি দিল্লিতে থাকায়, মাঝে মধ্যে দিল্লিতেও পাওলি-অর্জুনের দেখা হতে থাকে।

সংবাদ মাধ্যমে ইতিউতি তাঁদের নিয়ে কথা প্রকাশিতও হয়। কিন্তু মাত্র দিন দু’য়েক আগে বিয়ের দিন স্থির হয়েছে। দিল্লিতে হিন্দি ছবি ‘হালকা’র শ্যুটিংয়ে ছিলেন পাওলি। রণবীর সোরের সঙ্গে শুটিংয়ের ফাঁকে বরের দিদির সঙ্গে বসে বিয়ের দিনও পাকা করেন। আর ফিরে এসে গতকালই ছিল বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘টোপ’-এর প্রিমিয়ার।

বিয়ের পরে এ ভাবেই হয়তো কলকাতা-দিল্লি-গুয়াহাটি করতে হবে পাওলিকে। ‘তিথির অতিথি’ সিরিয়াল দিয়ে কেরিয়ার শুরু। তার পরে ধীরে ধীরে নানা ছবির পরে গৌতম ঘোষের ‘কালবেলা’ই তাঁকে অভিনেত্রীর অন্য পরিচয়ে পৌঁছে দেয়। ‘ছত্রাক’-এর সাফল্য এবং তারপর নানা ভিন্নধর্মী ছবিতে পাওলি নিজেকে প্রমাণ করেন। ‘হেট স্টোরি’ দিয়ে তাঁর হিন্দি ছবিতে প্রবেশ। এর মাঝে টিভি ধারাবাহিক ‘মহানায়ক’-এ সুচিত্রা সেন হিসেবে তিনি ছাপ রেখেছেন নিজের কাজের। জানা গিয়েছে, বিয়ে করলেও ছবি করা তিনি সমান তালে চালিয়ে যাবেন।

ঠিক হয়েছে, গুয়াহাটির তাজ হোটেলে বিয়ে হবে। তার পর ৬ তারিখে ওখানেই রিসেপশন এবং ফুলশয্যা। তার কিছুদিন পরে কলকাতায় সাড়ম্বরে রিসেপশনের আয়োজন হবে। দিনটা অবশ্য এখনও স্থির হয়নি। কলকাতার রিসেপশনে তিনি লেহেঙ্গা-চোলিই পরবেন, ঠিক করেছেন পাওলি। দিল্লিতে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ফ্যাশন স্টোরে লেহেঙ্গা নাড়াচাড়াও করেছেন তিনি। ডিজাইনার পোশাকই পরবেন কলকাতার রিসেপশনে। তবে সেটা জয় মিত্র না রোহিত বাল— সেটা স্থির করতে পারেননি।

সব মিলিয়ে, ধীরে-সুস্থেই চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘টোপ’-এর প্রিমিয়র থেকে তিনি শুধু বললেন, ‘‘এ নিয়ে আমি এখনই কিছু বলতে চাইছি না।’’সূত্র-আনন্দ বাজার

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sat jute-2নিজস্ব প্রতিনিধি : চলতি মৌসুমে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। (পাট পরিমাপ করা হয় সাধারণত বেল পদ্ধতিতে, আর ১’শ ৮০ কেজিতে এক বেল বলা হয়ে থাকে।)
তবে, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অধিক তাপমাত্রার কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং পাটের পাতায় পোকা লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও কৃষি বিভাগ পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃশ্যমান নানা সমস্যা সমাধানে কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত রেখেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার চার হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে ৫২ হাজার ৫৮০ বেল, কলারোয়া উপজেলার তিন হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে ৩৩ হাজার ৯৯০ বেল, তালা উপজেলার তিন হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৩৬ হাজার ৮৫০ বেল, দেবহাটা উপজেলার ১০৪ হেক্টর জমিতে এক হাজার ১৪০ বেল, কালিগঞ্জ উপজেলার ১৮৫ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ৩৫ বেল, আশাশুনি উপজেলার ১২০ হেক্টর জমিতে এক হাজার ৩২০ বেল ও শ্যামনগর উপজেলার এক হেক্টর জমিতে ১১ বেল পাট উৎপাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এসব জমির অধিকাংশতেই আবাদ করা হয়েছে তোষা জাতের পাট।
সদর উপজেলার তুজলপুর কৃষক কাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে তোষা জাতের পাট লাগিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তার ক্ষেতে ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তার এলাকার অধিকাংশ ক্ষেতে পাটের পাতা কুকড়ে যাচ্ছে এবং বিছা পোকায় পাতা খেয়ে ফেলছে। এতে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ায় প্রত্যাশা পূরণে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, সাতক্ষীরায় খুব ভাল মানের পাট উৎপাদন হয়। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে, কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest