rwaru7_19‘রাজনৈতিক দল হতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া’ সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’

রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

frqvnz_witeতার ওজন প্রায় ১০০ কেজিতে পৌঁছে যাচ্ছিল। ওজন কমানোর জন্য এমন কিছু নেই যে, তিনি চেষ্টা করেনি। ডায়েট থেকে শুরু করে ওজন কমানোর জন্য সকল প্রকার যোগব্যায়াম ও করেছেন তিনি। কথা বলছিলাম ভারতীয় এক নাগরিক সুপ্রিয়া পান্ডে কে নিয়ে। কিন্তু অবশেষে তিনি অনলাইন পোর্টালের সাহায্যে নিজের অতিরিক্ত ওজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি ভারতীয় একটি অনলাইন পোর্টালে মেন্টর হিজেবে নিযুক্ত হন। এরপর তার ওজন কমানোর সম্পূর্ণ কাহিনী তিনি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়াকে জানান। সুপ্রিয়া পান্ডে তার সর্বোচ্চ ওজন দেখেছিলেন ৯৮ কেজি। সেখান থেকে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি এখন অনেকটা ফিট।

তিনি বলেন, আমি যখন আমার ওজন ৯৮ কেজি দেখলাম, তখন থেকে ওজন কমানোর জন্য পাগল হয়ে যাই। আমি তখন ক্রাশ ডায়েট থেকে শুরু করে ওজন কমানোর সকল ব্যায়াম করা শুরু করে দিয়েছিলাম। হাঁটাহাঁটি করাও শুরু করি, কিন্তু এতে ২-১ কেজি ওজন কমে আসলেও কিছু দিন পর আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতাম।

তখন আমি মনেপ্রাণে প্রতিজ্ঞা করি, আমার ওজন ১০০ কেজিতে পৌঁছানোর আগে এমন কিছু তো অবশ্যই করতে হবে যেন আমার ওজন কমে আসে। এসময় আমার জীবনে এক টার্নিং পয়েন্ট আসে। এসময় আমার এক বন্ধু জানায়, ফেসবুকে স্কোয়াড নামের এক গ্রুপ আছে যা মানুষকে তার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা দেয়। মানুষের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য প্রতিদিনের ডায়েট এবং ব্যায়াম সম্পর্কে ধারণা দেয়। মেন্টর পঙ্কজ ধুপের সাথে পরিচয় হবার পর আমি জানতে পারি আসলে কীভাবে চলাচল করলে এবং কি ধরণের ডায়েট মানলে আমার ওজন কমে আসবে।

আমার জন্মদিনে আমি কেক কেটেছিলাম কিন্তু সেই কেক খাওয়ার কোন ইচ্ছে হয়নি আমার। কারণ আমি এখন জানি স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা কতটুকু ভাল। ওজন কমানোর জন্য আমাদের শারীরিক কসরতের চেয়ে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা বেশি জরুরী। আমার গত কয়েকমাসের ডায়েট চার্ট আপনাদের সাথে আলোচনা করি-

সকালের নাস্তা:
সকাল ৭টার দিকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করে নিতাম। তার কিছুক্ষণ পর হালকা হলুদ মিশিয়ে চা পান করা হত।
সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে একটি ডিম সেদ্ধ করে খাবার পর এক কাপ সবুজ চা পান।
সকাল ১১টায় বাদাম।

দুপুরের খাবার:
১২টা ৩০ মিনিটে লাল চালের ভাত, দই, মুরগীর গ্রিল এবং ব্রকলি, বাঁধাকপি বা পালং শাক।

সন্ধ্যার নাস্তা:
সবুজ চায়ের পাশাপাশি ডিম।

রাতের খাবার:
মাছ অথবা পনির এর সাথে সবুজ শাক-সবজি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

donald-trump-xi-jinpingযুক্তরাষ্ট্র আর নর্থ কোরিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণের হুমকিতে অনেকেই আশঙ্কা করছেন আরেকটি যুদ্ধের। প্রশ্ন উঠেছে: এবারের যুদ্ধেও কি নর্থ কোরিয়াকে সমর্থথ দেবে বিশ্বের দ্বিতীয় পরাক্রমশালী রাষ্ট্র চীন? নাকি চীন দুর্বল থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি? এমন প্রশ্নও রয়েছে অনেকের মনে।

অতীত ব্যাখ্যা করতে গেলে দেখা যায় নর্থ কোরিয়ার একমাত্র কূটনৈতিক মিত্রের নাম চীন। আর এই চীন অনেক অনেক বছর যাবত নর্থ কোরিয়াকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এসেছে। বিভিন্ন যুদ্ধের ময়দানে চীনকেই সবার আগে পাশে পেয়েছে নর্থ কোরিয়া।

এর আগে ১৯৪৯ সালে নিজেদের গৃহযুদ্ধ শেষ করে চীন। এর পরই ১৯৫০-৫৩ সালের দিকে কোরিয়ার যুদ্ধে উত্তরকে সহযোগিতা প্রদান করে তারা। নতুন সেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র লাখ লাখ মানুষ হারায়।

শুরুতেই নর্থ ও সাউথ কোরিয়ার ঝামেলায় চীন হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। কিন্তু যখন ডগলাস ম্যাকআর্থারের জাতিসংঘের সেনারা নর্থ কোরিয়াকে পরাজিত করে ফেলে এবং নর্থে পাল্টা আক্রমণ চালায় তখন সহযোগিতার হাত বাড়ায় চীন। ইউএন সেনারা এই আক্রমণের সময় চীন সীমান্তের দিকেই ছিল। কিন্তু হুট করেই চীন সাউথকে আক্রমণ করে তাদেরকে সেই সীমারেখার দিকে নিয়ে যায় যে সীমারেখা দুই ভাগে কোরিয়াকে  বিভক্ত করেছে।

১৯৫০-৫৩র যুদ্ধতেই প্রথম নর্থ কোরিয়ার প্রতি প্রথম সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি চীন, এর আগে ১৫৯০ দশকের দিকেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ১৫৯২ সালের দিকে জাপান কোরিয়ার বুসানে আক্রমণ করে বসে এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা শুরু করে। সেই সময় চীন কোরিয়াকে রক্ষা করে আক্রমণকারীদের পেছনে সরায় এবং পিয়ংইয়ংকে মুক্ত করে। ১৫৯৩ সালে জাপানিজ সৈন্য তুলে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই যুদ্ধ।

১৫৯৭ সালে আবারো জাপানের আক্রমণের শিকার হয় কোরিয়া। সেই সময়ও চীনের সহযোগিতায় এই আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয় তারা। এরপরের প্রায় ৩০০ বছর যাবত কোরিয়া চীনের এই সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞভাব প্রকাশ করে। কোরিয়াই চীনের ‘অভিভাবকত্বধীন (ট্রিবিউটারি)’ প্রথম রাজ্য ছিলো। অন্যদিক থেকে মিত্র হিসেবে চীনই ছিলো কোরিয়ার প্রতি পশ্চিম ও জাপানীজ ঔপনিবেশিক আচরণের বিরোধী।

১৮৯৪ সালে জাপান আবারও কোরিয়াকে আক্রমণ করে বসে, এবার ১৮৯৪-৯৫ এর সিনো-জাপানিজ যুদ্ধের অংশ হিসেবে। এবারও চীনা সৈন্যরা পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষেই দাঁড়ায়। কিন্তু এবার তারা হেরে যায়। ১৯১০ সালে কোরিয়া তাদের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। সেটা জাপানের উপনিবেশে চলে যায়। এরপর প্রায় ২৫ বছর সেনা শাসনে থাকে তারা যা ধীরে ধীরে আরো বিষাক্ত করে তোলে জাপান ও কোরিয়ার সম্পর্ক।

এসব অতীত ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ভালো যাচ্ছিল চীন ও নর্থ কোরিয়ার সম্পর্ক। ১৫৯৩, ১৮৯৪ এবং ১৯৫১ সালের এসব ঘটনা তুলে ধরে দুই দেশের সম্পর্কের কথা। যদিও এখন নর্থ কোরিয়া পুরোপুরি চীনের আশ্রিত রাজ্য নয়, কিন্তু নর্থ কোরিয়ার পুরো ইতিহাস চীনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফলে চীনের প্রভাব থেকে তার আলাদা হয়ে পড়াটা অসম্ভব।

তবে এবার নর্থ কোরিয়ার মাথার উপর থেকে যেন সহযোগিতার হাত সরছে চীনের। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফ্লোরিডা সামিটের কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, চীন যদি নর্থ কোরিয়াকে ঠিকঠাক না করে তাহলে আমরা করবো।

জবাবে এসব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে এসেছে চীন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক ফোনালাপেও শি জিনপিং শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলেন। কিন্তু ফ্লোরিডা সামিটের ঠিক পরেই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে নিজের অঙ্গীকার থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।

বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই মনে করে মূল সমস্যাটা তৈরি করছে নর্থ কোরিয়া। পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন, জাল বিদেশী মুদ্রা তৈরি করা, মাদক তৈরি করা এবং নিজের দেশের লোককে দেশের বাইরে মেরে ফেলার অভিযোগও রয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে।

এসব কিছুর পরও চীনই একমাত্র নর্থ কোরিয়ার কূটনৈতিক মিত্র ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কটাও অনেক বেশি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান সময়ে। এমন এক সমস্যা সৃষ্টিকারী সঙ্গীর সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করবে চীন? যদিও শুরু থেকেই এই দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা যতটা বোঝা যায় তার থেকেও অনেক বেশি ছিল।

আর এখন ধীরে ধীরে নর্থ কোরিয়া চীনের অনেক বড় বোঝার কারণও হয়ে উঠছে। ফলে চীনও যে শেষ পর্যন্ত তার ধৈর্য হারাবে না তা বলা যাচ্ছে না। গত ফেব্রুয়ারিতেই চীন নর্থ কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করেছে।

এরই মধ্যে শোনা গেছে প্রায় ১৫০,০০০ সেনাকে কোরিয়ার কাছাকাছি নিজেদের বর্ডারে পাঠিয়েছে চীন। অবশ্য এটা বানোয়াট তথ্য হিসেবেই জবাব দিয়েছে বেইজিং। গত শুক্রবার আবার কোন ব্যাখ্যা না দিয়েই হুট করেই পিয়ংইয়ং ও বেইজিংয়ের মধ্যেকার ফ্লাইটও প্রত্যাহার করে চীন।

নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ব্যাপারে আরেকটু বুঝে শুনে হয়তো চীন পা ফেলতে চাইবে কারণ, এখনও চীনে নর্থ কোরিয়ার কয়েক হাজার উদ্বাস্তু রয়েছে। কেউ কেউ কিমের অত্যাচারের জ্বালায় এসেছেন আবার কেউ এসেছেন কাজের খোঁজে। যদি আবার যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ে নর্থ কোরিয়া তাহলে চীনে যে পরিমাণ কোরিয়ান ছুটে যাবে সেটা নিয়েও ভাবার বিষয় আছে চীনের।

নর্থ কোরিয়াকে আবারো বিশ্বের দিকে ফিরিয়ে আনতে এখন সবাই চীনের দিকেই তাকিয়ে আছে। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফ্রিল্যান্ড ক্রিস্টিয়া বলেন, কেবল চীনের সঙ্গেই একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে কোরিয়ান নেতা কিম-জং উনের। এর আগে শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকেও অনেকে দেখছেন খুবই ইতিবাচকভাবে। এসব ঘটনা দেখেই চীনও এই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এই সপ্তাহেও চীন সিরিয়া নিয়ে প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এর আগে এই ব্যাপারে ভেটো দেয় রাশিয়াও। তার মানে রাশিয়ার সঙ্গে মোটামুটি একমত চীন। সেটাও কিছু পর্যবেক্ষককে অবাক করে দিয়েছে।

চীনের পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের একটি সম্পাদকীয় থেকে জানা যায় তাদের বক্তব্য। সেখানে তারা বলছে, পিয়ংইয়ংকে অবশ্যই তাদের পারমাণবিক উচ্চাশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে নর্থ কোরিয়ায় চীনের তেল পাঠানো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নর্থ কোরিয়ার প্রতি চীনের এই ধরনের হুমকি এই প্রথম। এর আগে প্রায় একদশক চীন তাদের মিত্র নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে চীনের তেলের চালানের ব্যাপারে কাউকে কোন বক্তব্যও দিতে দেয়নি।

এসবই নতুন করে ভাবাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

syria2সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী আটকেপড়া লোকজনদের সরিয়ে নেয়ার সময় শনিবার বাসের বহরে বোমা হামলা চালানো হয়। শিশুদের চিপস দিয়ে আকৃষ্ট করে এই হামলা চালানো হয়েছে সিরিয়ায়। শনিবারের এই বোমা হামলায় নিহত ১২৬ জনের ৬৮ জনই শিশু।  এ যেনো শিশু হত্যার এক ‘মহাউৎসব’।

সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় আলেপ্পা শহরে বাসের বহরে আঘাত হানে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বাসের বহর থামলে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। কাতার ও ইরানের মধ্যস্থতায় দামেস্কের কাছের সরকার নিয়ন্ত্রিত ২টি ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ২টি শহরে আটকে পড়া প্রায় ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদে বের করে নেয়ার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

বিবিসির মধ্য প্রাচ্য প্রতিনিধি লিনা সিনজাব জানান, খাবার ভর্তি একটি গাড়ি সেখানে এসে শিশুদের মাঝে চিপস বিতরণ শুরু করে তাদের আকৃষ্ট করে এবং পরেই তা বিস্ফোরিত হয়। সরকারের অনুমতি ছাড়া কিভাবে গাড়িটি সেখানে আসলো তা পরিষ্কার নয় বলেও জানান তিনি।

সাধারণ সিরিয়সহ শিশুদের জন্যও যে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে এমন বার্তা দিয়েছিলো ইউনিসেফ। চলতি বছরের মার্চে  সিরিয়ার শিশুদের জন্য ২০১৬ সালকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বছর বলে ঘোষণা করে ইউনিসেফ। সেই বছর ৬০৫ জন শিশু নিহত হয়। যা এর আগের বছরের (২০১৫) চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

এছাড়াও রাজধানী দামাস্কাসেও বোমা বর্ষণে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। কমপক্ষে তিনটি গোলা সেন্ট্রাল উমায়াদ স্কোয়ারে আঘাত হানে বলে জানায় রাষ্ট্র ও সরকার সমর্থক মিডিয়া। রাষ্ট্রীয় টিভি এর জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ গ্রুপ জানিয়েছে কমপক্ষে ১০৯ জন শনিবারের হামলায় নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাহায্য কর্মী ও বিদ্রোহী সেনারাও রয়েছে। সেই হামলায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানায় গ্রুপটি।

তবে সেই হামলার দায় এখনও কেউ শিকার করেনি। তবে সরকার বিদ্রোহীদের দায়ী করে যে বক্তব্য দিচ্ছে তারও কোন প্রমাণ নেই। কারণ সেই হামলা বিদ্রোহীদের স্বার্থ রক্ষা করে না। বিদ্রোহীরাও তাদের সমর্থকদের অন্য শহর থেকে সরিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলো।

পরে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর থেকে আটকে পড়াদের সরিয়ে নেওয়ার সময় আর হামলার ঘটনা ঘটেনি।

গত বছরের ডিসেম্বরেও আটকে পড়াদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

76d16899bb5563fd92f95df6763a453f-58f3b66775c27না, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বারুদে লড়াই হয়নি। তবে দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও স্টিভেন স্মিথ মুখোমুখি হয়েছিলেন ভিন্ন জার্সিতে। যেখানে জয় হয়েছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের। আইপিএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে তার দল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট।
রবিবার ঘরের মাঠে পুনের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরেছে ২৭ রানে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বেঙ্গালুরু। প্রতিপক্ষকে তারা ৮ উইকেটে ১৬১ রানে বেধে দেয়।

পুনের আজিঙ্কা রাহানে (৩০) ও রাহুল ত্রিপাঠি (৩১) শুরুটা ভালো করেন। তবে মিডল অর্ডারে ভালো পারফরম্যান্স পায়নি দলটি। শেষদিকে মনোজ তিওয়ারি ১১ বলে ২৭ রান করে সংগ্রহটাকে শক্ত করেন। বেঙ্গালুরুর পক্ষে অ্যাডাম মিলনে ও শ্রীনাথ অরবিন্দ ২টি করে উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে কোহলি (২৮) ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের (২৯) ব্যাটই যা একটু কথা বলেছে। শারদুল ঠাকুর ও বেন স্টোকসের বোলিংয়ে কাবু হয়ে পড়ে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইনআপ। দুজনই তিনটি করে উইকেট পান। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে দলটি।

এ জয়ে পুনে ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেছে। আর সমান খেলে মাত্র ২ পয়েন্টে সবার শেষ দল বেঙ্গালুরু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rw7qz2_mash-la20170416230357-1বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩৩৯ জন খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত ছয় মাসে যারা কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন খেলোয়াড়দেরই পুরস্কৃত করা হয়।

১৬ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে (গণভবন) আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রত্যেক ক্রীড়াবিদকে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার প্রদান করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ঘোষিত পুরস্কার ও অনুদানও প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে প্রদান করা হয়। ক্রিকেট বোর্ড হকি ফেডারেশন ও সাঁতার ফেডারেশনকে এক কোটি টাকা করে অনুদান দিয়েছে। অনুর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলকে দিয়েছেন ১০ লাখ টাকা এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজে অংশ নেয়া ক্রিকেট দলকে দিয়েছেন এক কোটি টাকা। হ্যান্ডবল, সাঁতার, হকি, ক্রিকেট, শ্যুটিং, ব্যাডমিন্টন, ভারোত্তোলন, ভলিবল, ফুটবল, গলফ, আরচারি, স্পেশাল অলিম্পিক, দাবা, রোলার স্কেটিং, বধির খেলোয়াড়রা ছিলেন এ সংবর্ধনার তালিকায়।

গত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী তিন ক্রীড়াবিদ সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও শুটার শাকিল আহমদেকে  ফ্ল্যাটের চাবি প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে এ তিনজন স্বর্ণ পদক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ফ্ল্যাট উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। উত্তরায় রাজউকের সে ফ্ল্যাটের চাবিই প্রধানমন্ত্রী তুলে দিয়েছে তাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

eb35cd428a0103eee8890c48837d4920-58f3c5a365d2eবাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। এদিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এর আগে ১০ এপ্রিল গঠন করা হয় অস্থায়ী সরকার। ১৭ এপ্রিল আম্রকাননে পাঠ করা হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। তখন থেকে এই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি পায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতিবর্হিভূত আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। এই অধিবেশনে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় এবং দেশের সব জেলা কার্যালয়ে উত্তোলন করা হবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা। সকাল ৭টায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ।

মুজিবনগরে ভোর ৬টায় উত্তোলন করা হবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা। সকাল ১০টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল সোয়া ১০টায় থাকবে গার্ড অব অনার। সকাল সাড়ে ১০টায় রয়েছে মুজিবনগর দিবসের জনসভা। শেখ হাসিনা মঞ্চে এই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesনিজস্ব প্রতিবেদক : সরকরিভাবে বন্দোবস্তকৃত চিংড়ি ঘেরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও জখমের ঘটনায় মামলা না নিয়ে আটককৃত হামলাকারিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোঃ নাসিরউদ্দিন তাকে ছেড়ে দেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিরঞ্জন মিস্ত্রি জানান, ১৯৮১ সালে তার বাবা তারক চন্দ্র মিস্ত্রী ধুলিহর মৌজার যুগিপোতা গ্রামে এক একর ১৬ শতক জমি বন্দোবস্ত নেন। ১৯৯২ সালে সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকার আলিয়াতির মাধ্যমে ওই জমি থেকে তার বাবাকে উচ্ছেদ করেন। বাবার নেওয়া বন্দোবস্তের ৩৬ বছরের টাকা পরিশোধ করে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওই জমি তার নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়  বাংলা ১৩২৩ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। ১৪২৪ সালের বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য তিনি গত বৃহষ্পতিবার সদর সহকারি ভূমি কমিশানারের অফিসে আবেদন করেন। গত ৩০ চৈত্র তার বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি নব্য আওয়ামী লীগ নেতা ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সানা ওরফে বাবু সানার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য সানাপাড়ার এরফান, ইসমাইল, তুল্লুক, সাইফুলদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার মাছের ঘেরে হামলা চালায়। চিংড়ি ঘেরের বাসা ভাঙচুর ও মাছ ও মাছ ধরার সরঞ্জাম লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তিনিসহ তার স্ত্রী অনিমা রানী মিস্ত্রী, অশ্বিনী কুমার মিস্ত্রী ও বউদি সন্ধ্যা রানী মিস্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করায় ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদকে মারতে মারতে বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের উপরে নিয়ে যায় হামলাকারিরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শনিবার সকাল ১০টায় হামলাকারি দিবস সরকারকে আটক করে। ইউপি চেয়ারম্যান শনিবার বিকেলে হাসপাতালে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের হাতে তাকেসহ নিরঞ্জন মিস্ত্রী পরিবারের চারজন জখম হয়েছে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল চত্বরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের হাতাহাতি হয়। হামলার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রোববার তাদের বিরুদ্ধে সবিতা সরকারকে দিয়ে কাল্পনিক হামলা ও মারপিটের অভিযোগ করানো হয়। বয়ারবাতান গ্রামের কাঁকড়া ব্যবসায়ি ভৈরব সরকার জানান, অশ্বিনী মিস্ত্রী তার ভগ্নিপতি। তাদের উপর হামলার খবর পেয়ে তিনি শনিবার হাসপাতালে ও থানায় যান। সঞ্জয় মিস্ত্রীর অভিযোগটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ মত ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাসিরউদ্দিনের কাছে শনিবার রাত ১০ টার দিকে নিয়ে যান। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা আহসানডাঙার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তিনি ওই কাগজটি পিওন অশোক দাসের কাছে দিয়ে যান। যদিও রোববার সকাল ১০ টায় তাকে  ফাঁড়িতে ডেকে এনে গাজা ও ধর্ষণের মামলা দেওয়ার নামে তিন ঘণ্টা আটক রাখেন উপ-পরিদর্শক নাসিরউদ্দিন। পরে আটককৃত হামলাকারি দিবস সরকারকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ইউপি সদস্য তপন শীলের মধ্যস্ততায় দুপুর একটার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভৈরব সরকার অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে সবিতার মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে দিবস সরকারকে ছাড়ানোর জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করেই তাকে তিন ঘণ্টা আটক রাখা হয়। উপপরিদর্শক নাসিরউদ্দিন হামলাকারি সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের আথিক সুবিধা নিয়ে নির্যাতিতদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর সহকারি (ভূমি) কমিশনারের খাস জমি সংক্রান্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩০ চৈত্র বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিরঞ্জন মিস্ত্রী আবারো আবেদন করেছেন।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, সঞ্জয় সরকারের দায়ের করা একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শনিবার রাতে তার কাছে পাঠান। ওই অভিযোগপত্রটি কাঁকড়া ব্যবসায়ি ভৈরব সরকার ফাঁড়ির এক পিওন অশোক দাসের কাছে দিয়ে যান। এটা জানার পর তিনি ভৈরব সরকারকে অশোক দাসের মারফৎ ফাঁড়িতে ডেকে আনেন। সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকারের ভাবী সবিতা সরকার বাদি হয়ে একটি অভিযোগ করলে তাতে ভৈরব সরকার আসামী ছিল। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে গিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেটা আর প্রয়োজন হচ্ছে না। উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলায় দিবস ও ভৈরবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, এ ঘটনায় সঞ্জয় কুমার মিস্ত্রী বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আট জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে ও শৈলেন সরকারের স্ত্রী সবিতা বাদি হয়ে রোববার সকালে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ব্রহ্মরাজপুর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নাসিরউদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest