সর্বশেষ সংবাদ-

788887প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পূরবী চ্যাটার্জী নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালের শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সে কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের হিসাব রক্ষক আনন্দ চ্যাটার্জী ও মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শম্পা গোস্বামীর দ্বিতীয় কন্যা। পূরবী চ্যাটার্জী  ভবিষ্যতে একজন সফল ডিজাইনার হতে চায়। সে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedদেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট’র আয়োজনে সখিপুরস্থ খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ (পিপিএম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাদিপুর জগন্নাথপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট’র ফিল্ড কো-অডিনেটর আমিনা বিলকিস ময়না। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কেবিএ কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, মনিরুজ্জামান মহসিন, হাদিপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক ফজর আলী প্রমূখ। অন্যান্যদের মধ্যে প্রভাষক শেখ মিজানুর রহমান, স্বপন কুমার, আজহারুল ইসলাম, মইনুদ্দিন খান, শাহানুর রহমান, মিজানুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, জাফর হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পাঠ করেন কেবিএ কলেজের ছাত্রী আসমা খাতুন ও হাদিপুর মাদ্রাসার ছাত্র তাহসিনুর রহমান। এসময় খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ ও সখিপুর আলিম মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিল। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন প্রভাষক আবু তালেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
 53aa50f14e60c94f30778b5536b70ed6-58f38b755b837সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে না সরালে ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, ‘কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি অপসারণ করা হবে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহারও অপসারণ হবে।’ রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে দলের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে আলেমদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সভায় দলের আমির মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি। মূর্তি ও ইসলাম সাংঘর্ষিক। মুসলমানের দেশে প্রধান বিচারপতি মূর্তি স্থাপন করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।’
‘মূর্তি’কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতীক উল্লেখ করে রেজাউল করীম বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় তাদের মন্দিরে মূর্তি স্থাপন করে পূজা করুক, তাতে কারও আপত্তি নেই। কেননা, সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের কোর্ট নয়। কাজেই প্রধান বিচারপতি মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিচারপতির চেয়ারে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।’
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টিও তিনি জানেন কিনা? আসলে দেশ এখন দিল্লির প্রেসক্রিপশনে চলছে। এজন্যই চারুকলায় গরুর মাংস রান্না করায় বাবুর্চিকে মারধার করা হয়েছে। এটা অশুভ ইঙ্গিত।’
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির মাওলানা ঈসা শাহেদী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে সাতক্ষীরার তালায় উদ্দ্যোগ নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। মাদক মুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে চার মাসে ২৭ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে। ফলে এলাকায় মাদক সেবীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি উন্নতি হয়েছে আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির। পুলিশ-প্রশাসনের এ উদ্দ্যেগকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান ও ওসি (তদন্ত) মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের নেতৃত্বে থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের গ্রেপ্তার করেন। পরে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ হোসেনের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে তাদের কারাদ- ও জরিমানা করেন। তালা থানা সূত্রে জানা গেছে, থানা এলাকায় গত চার মাসে ২৭ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে তিন জনকে। জরিমানা করা হয়েছে ১৬ জনকে। আর পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন জনকে নিয়মিত মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
চলতি বছরের ২১ মার্চ উপজেলার আটারই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী কোহিনুর গোলদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪ এপ্রিল তালা বাজারের আবুল হোসেন ও ১২ এপ্রিল তালা বাজারের মহল্ল্যা পাড়ার সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এদের তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ হোসেন। এছাড়া ২৮ মার্চ উপজেলার শ্রীমন্তকাটি এলাকা থেকে জামাল মোড়ল (৪৭) চার লিটার বাংলা মদসহ গ্রেপ্তার করে মাদক মামলায় তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
আটারই গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, কোহিনুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। রক্ষা পেয়েছে এলাকার যুব সমাজ। তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন জানান, মাদক বিক্রেতারা গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। এলাকার যুব সমাজ মাদক ছেড়ে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান হাফিজুর রহমান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। এবং মাদক তালা থেকে চিরতরে নির্মূল করা হবে।  তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন জানান, মাদক নির্মূল অভিযান অব্যাহত থাকবে। এবং তালাকে মাদক মুক্ত করে ছাড়া হবে। এ জন্য কারও কোন সুপারিশ চলবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বাগেরহাট এলাকার মানিক শিকদার মেলায় কোন অশ্লীল নগ্ন নৃত্য ও জুয়া হচ্ছে না দাবি করে বলেন, মেলায় লটারি, সার্কাস, যাত্রা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষকে ৬ লাখ এবং অন্যদের আরো চার লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকা তার খরচ হয়েছে।

প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ র্যাফেল ড্র'র টিকিট

প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ র্যাফেল ড্র’র টিকিট

আসাদুজ্জামান : সিকান্দার আবু জাফর, বাংলা সাহিত্যের এক অমর কবি। তার শক্তিশালী লেখনী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালির প্রেরণার উৎস ছিল। তিনি জনতার সংগ্রামে আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তার স্মরণে সরকারিভাবে আয়োজিত সিকান্দার মেলায় কবিকে কর্মকে নিয়ে যে প্রচার-প্রচারণা, আলোচনা, গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী সেমিনার হওয়ার কথা তার পরিবর্তে এই মেলাকে সামনে রেখে অনৈতিকভাবে গরিব জনসাধারণকে ঠকিয়ে সস্তা বিনোদনের নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অথচ প্রথমবারের মত সরকারি পৃষ্টপোষকতায় জাতীয় পর্যায়ের এই স্বনামধন্য কবির জন্মবার্ষীকি পালনের সিদ্ধান্তে সবার আশা ছিল এখানে কবির সৃষ্টিকে নিয়ে ব্যাপক উৎসব হবে, সাথে আমাদের লোকজ সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনসাধারণের বিনোদনের ব্যবস্থা হবে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়ায় কবি সিকান্দার আবু জাফরের ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মেলাকে কলুষিত করছে সেই গণলুণ্ঠনকারী র‌্যাফেল ড্র। এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মেলায় এসব চলার ফলে একদিকে, যেমন বিঘিতœ হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া, অন্যদিকে সেখানে লটারির নামে সাধারণ জনগণের পকেট কেটে করা হচ্ছে নিঃস্ব। এর ফলে সামাজিক অবক্ষয় চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে মেলার মাঠ তেঁতুলিয়ায় গিয়ে দেখা গেছে, মিনি সার্কাস, নাগরদোলা, যাত্রা, যাদু ও লটারির নামে সেখানে চলছে সাধারণ জনগণের পকেট কাটার মহা উৎসব।

দর্শকদের প্রলোভন দেখাতে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা র্যাফেল ড্র'র পুরস্কার মটরসাইকেল

দর্শকদের প্রলোভন দেখাতে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা র্যাফেল ড্র’র পুরস্কার মটরসাইকেল

এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রতিবছর সিকান্দার মেলার নামে এখানে যাত্রা, লটারী ও পুতুল নাচের নামে ছদ্মবেশে চালানো হয় নগ্ন নৃত্য। চরমপন্থি এলাকাখ্যাত তালা উপজেলার এ মেলাকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠার আশংকা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
তালার সিনিয়র সাংবাদিক ও জেলা পরিষদের সদস্য মীর জাকির হোসেন বলেন,  সিকান্দার মেলার নামে অশ্লীল যাত্রা, পুতুল নাচ, যাদু ও ওপেন লটারি চলার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে যারা এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের মারাতœক ক্ষতি হচ্ছে।
মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বাগেরহাট এলাকার মানিক শিকদার মেলায় কোন অশ্লীল নগ্ন নৃত্য ও জুয়া হচ্ছে না দাবি করে বলেন, মেলায় লটারি, সার্কাস, যাত্রা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষকে ৬ লাখ এবং অন্যদের আরো চার লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকা তার খরচ হয়েছে।
তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার এ ব্যাপারে অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান, আমার এখানে মেলা হচ্ছে এবং মেলার ডেট বাড়ানো হচ্ছেÑ অথচ এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। লটারির নামে এলাকার টাকা

যাত্রার অশ্লীল পোস্টার

যাত্রার অশ্লীল পোস্টার

পয়সা লুট করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করে আরো বলেন, সামাজিক অবক্ষয় হওয়ার মত কর্মকা- বন্ধ করা উচিত।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন জানান, সেখানে কোন অশ্লীল কিছু পরিবেশন করার অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে, তিনি অবৈধ র‌্যাফেল ড্র বা লটারির ব্যাপারে অফিসিয়াল কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফূলাহর কাছে তার ব্যবহৃত ০১৭১৫-২৬৮০৭৫ নাম্বারের মোবাইল ফোনে রিং দিলে তার এপিএস জাহাঙ্গীর জানান, “স্যার স্কাউটদের একটি প্রোগ্রামে আছেন আধা ঘন্টা পরে রিং করেন।”
উলেখ্য, গতবছর একই স্থানে কবির জন্মবার্ষীকি উপলক্ষে নগ্ন নৃত্য আর জুয়ার আসরের সচিত্র প্রতিবেদন সাংবাদিকরা প্রকাশ করলে তৎকালীন প্রশাসন মেলা প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়ে নগ্ন নৃত্য পরিচালনাকারীদের ও জুয়াড়িদের আটক করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9898মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লিয়াকত পারভেজ এর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের হলরুমে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এস আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বাস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহযোগি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, পাপিয়া বুলবুল প্রমুখ। বিদায়ী অধ্যক্ষের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সহযোগি অধ্যাপক আমান উল্লাহ আল-হাদী, সহকারি অধ্যাপক ড. নাসরিন আক্তার, সহযোগি অধ্যাপক আবুল হাশেম, সহকারি অধ্যাপক আ.ন.ম গাউছুর রেজা, প্রভাষক মো. মফিজুল ইসলাম,। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষক পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

exu8bd_emaবিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ১১৭ বছর বয়সে ইটালিতে মারা গেছেন। ১৮৯৯ সালে ইটালির পিডমন্ট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমা মোরানো। নথিপত্র অনুযায়ী ১৯০০-র আগে জন্ম নেয়া জীবিত মানুষদের মধ্যে তিনিই ছিলেন শেষ ব্যক্তি। খবর বিবিসি বাংলার

তিনি নিজের দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে তার জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং তার দিনে তিনটি ডিম খাওয়ার অভ্যাসের কথা বলেছিলেন। তিনটি ডিমের মধ্যে দুটিই তিনি কাঁচা খেতেন।

মিজ মোরানো ছিলেন আট ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়, যাদের সবাই তার আগেই মারা গেছেন। তিনি উত্তরাঞ্চলীয় ভারবানিয়া শহরে নিজ বাসভবনে মারা যান।

তিনি যে জীবদ্দশায় শুধু তিনটি শতক দেখেছেন তাই নয়, নির্যাতনমূলক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন, তার একমাত্র শিশুপুত্রকেও হারাতে হয়েছে, দুটি বিশ্বযুদ্ধ তিনি দেখেছেন এবং ৯০ বার ইটালির সরকার পরিবর্তন হতে দেখেছেন।

“ভাল জিন এবং ডিম”
মিজ মোরানো স্বীকার করেছেন যে তার দীর্ঘায়ুর একটি বড় কারণ তার বংশগতি বা জিনগত বৈশিষ্ট্য। তার মাও ৯১ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এবং তার কয়েকজন বোনও ১০০ বছর পার করেছিলেন।
তবে একইসাথে তার দীর্ঘায়ুর পেছনে তার অস্বাভাবিক একটি খাদ্যাভ্যাসও রয়েছে- দিনে তিনটি ডিম, তার মধ্যে দুটি কাঁচা এবং ৯০ বছরের বেশি সময় যাবত প্রতিদিন তিনি এই খাবার খেয়ে আসছেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এক চিকিৎসক তার শরীরে অ্যানিমিয়া বা তরুণ বয়সে তিনি এই খাদ্যাভ্যাস শুরু করেন।
তবে সম্প্রতি তিনি পরিমাণ কমিয়ে দুটো ডিম খাচ্ছিলেন, সাথে কিছু বিস্কিট।
তার চিকিৎসক কার্লো বাভা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, মিজ মোরানো সবজি বা ফল খুবই কম খেতেন। ২৭ বছর যাবত তিনি মিজ মোরানোর চিকিৎসা করেন।
“আমি যখন প্রথম তাকে দেখি তখন তিনি দিনে তিনটি ডিম খেতেন, দুটি কাঁচা এবং বিকেলে একটি অমলেট। আর রাতে খেতেন মুরগির মাংস”।
“আমি কারো আধিপত্য মেনে নেইনি”
মিজ মোরানো তার দীর্ঘায়ুর পেছনে ১৯৩৮ সালে তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে মনে করেন। এর এক বছর আগে তার ৬ মাস বয়সী শিশুপুত্র মারা গিয়েছিল।

তিনি বলেছিলেন, তার বিবাহিত জীবন কখনোই ভালো ছিল না।
তিনি যেই ছেলেকে ভালোবাসতেন, সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা গিয়েছিল। এবং তার অন্য কাউকে বিয়ে করার কোন ইচ্ছেও ছিল না।
১১২ বছর বয়সে ইটালির লা স্টাম্পা পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, বাধ্য হয়েই তাকে বিয়ে করতে হয়েছিল।
“সে আমাকে বলেছিল, আমাকে বিয়ে কর নাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো”।
শেষপর্যন্ত তিনি আর সহ্য করতে পারেননি এবং ১৯৩৮ সালে স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয়ে যান। যদিও তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেননি এবং ১৯৭৮ সালে তার স্বামী মারা যান।
মিজ মোরানো ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করে গেছেন এবং আর কখনো বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
“কারো আধিপত্য আমি মেনে নিতে চাইনি” নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন।
মাত্র কয়েক বছর আগে তার দেখভালের জন্য পূর্ণকালীন একজন সাহায্যকারী নেন তিনি। গত ২০ বছর যাবত তিনি তার দুই কক্ষের ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরও হননি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেরন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ এখন জ্যামাইকার ভায়োলেট ব্রাউন, যার জন্ম ১৯০০ সালের ১০ই মার্চ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

jela-prathomik-pic

নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎসব মূখর পরিবেশে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা স্কুাউটস ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ আবুল কাশেম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস সাত্তার। মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, মতিয়ার রহমান মধু, গণেশ চন্দ্র সাহা, একরামুল কবির, এস এম রফিকুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন, পরিমল কুমার সরকার, মিজানুর রহমান, মোঃ দেলোওয়ার হোসেন, আব্দুল আওয়াল, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল গফুর, বিধান চন্দ্র সরকার, মোঃ ইকবল কবির, নেমাই চন্দ্র, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় জেলার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সর্ব সম্মতিক্রমে মোঃ জাকির হোসেন কে সভাপতি, গনেশ চন্দ্র সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছর মেয়াদী সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া পরিমল কুমার সরকার সিনিয়র সহ-সভাপতি, জি এম ফেরদাউস, বিশ্বরঞ্জন মন্ডল সহ-সভাপতি, আব্দুল আওয়াল যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে মতিয়ার রহমান মধু, অর্থ সম্পাদক একরামুল কবীর ও বিধান চন্দ্র সরকারকে দপ্তর সম্পাদক মনোনীত করা হয় এবং আগামী ১৫ মে মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest