সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

photo-1493877285প্রথম টেস্টের পুনরাবৃত্তিই যেন হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। এবারও দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির শাহর ঘূর্ণিতে টালমাটাল হয়ে পড়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর স্বাগতিকরা হারিয়েছে নয়টি উইকেট। স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে ২৬৪ রান। দুর্দান্ত বোলিং করে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির শাহ।

১ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শুরুতেই হারিয়েছিল শিমরন হেটমেয়ারের (২২) উইকেট। প্রথম সেশনে ওপেনার কার্লোস ব্রেথওয়েটও (৪৩) সাজঘরে ফিরলে বেশ বিপাকেই পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সে সময় তাদের স্কোর ছিল ৯৭/৩। এরপর অনেকটা সময় প্রায় একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন সাই হোপ। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে তিনটি অর্ধশতাধিক রানের জুটি গড়ার পেছনে প্রধান অবদান ছিল হোপের। এ তিনটি জুটিতে ভর করেই কিছুটা সম্মানজনক অবস্থানে যেতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোস্টোন চেস ও ভিসাল সিং খেলেছেন ২৩ ও ৩২ রানের ছোট দুটি ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান জমা হয়েছে উইন্ডিজ স্কোরবোর্ডে। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা পেয়েছে ১৮৩ রানের লিড। কিন্তু সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।

সিরিজের প্রথম ম্যাচের মতো বার্বাডোজে দ্বিতীয় ম্যাচেও অসাধারণ বোলিং করেছেন ইয়াসির শাহ। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ছয়টি উইকেট। এর আগে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি নিয়েছিলেন ছয়টি উইকেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1493877285প্রকৃতির খেয়াল নয়, বিজ্ঞানের সাফল্য। এবার গবেষণাগারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই মাথার ইঁদুর তৈরি করেছেন গবেষকরা।

চীনের হার্বিন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা চলতি মাসেই পরীক্ষাগারে এ দুই মাথার ইঁদুর তৈরি করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

একটি বড় ইঁদুরের পিঠের ওপর অস্ত্রোপচার করে একটি ছোট ইঁদুরের মাথা লাগানো হয়। তবে ওই দুই মাথার ইঁদুরটি বেশিক্ষণ বাঁচেনি। ৩৬ ঘণ্টা পর মারা যায়।

জটিল এই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইতালির নিউরোসার্জন সের্গিও ক্যানাভেরো। তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কীভাবে মাথা অক্ষত রেখে ও রক্তক্ষরণ না করে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করা যায়, তা বের করা ছিল উদ্দেশ্য। গবষণাটি শতভাগ সফল না হলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাফল্য এসেছে, যা উল্লেখ করার মতো। সের্গিও ক্যানাভেরো আরো জানান, এ পরীক্ষার অনুকরণেই মানুষের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে শতভাগ সাফল্য ছাড়া এই পরীক্ষা আর এগোবে না বলে জানান তিনি।

বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ক্যানাভেরো জানান, পরীক্ষাগারে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনের এই পরীক্ষার জন্য মোট তিনটি ইঁদুর নিয়েছিলেন গবেষকরা। এর মধ্যে একটি গ্রাহক, যার ওপরে অন্য ইঁদুরের মাথা লাগানো হয়। আরকটি ইঁদুর দাতা। আর গ্রহীতা ইঁদুরের রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতে আরেকটি দাতা ইঁদুর ব্যবহার করা হয়।

গবেষক দলের প্রধান ক্যানাভেরোর দাবি, জটিল এই অস্ত্রোপচারে দাতা ইঁদুরের মাথার কোনো কোষে ক্ষতি হয়নি। এমনকি যন্ত্রণাও অনুভব করতে পারছিল সেটি।

ক্যানাভেরো জানান, অস্ত্রোপচারের পর দুই মাথার ইঁদুরটি মাত্র ৩৬ ঘণ্টা বাঁচলেও এ অবস্থায় দীর্ঘদিন বেঁচে থাকাও সম্ভব বলে মনে করেন গবেষকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1493875952মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এবার পাসের হারের পাশাপাশি জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের ফলে দেখা যায়, ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড়ে পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫। গত বছর এ পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ২৯ ভাগ। এবার ৭ দশমিক ৯৪ ভাগ কম শিক্ষার্থী পাস করেছে।

অন্যদিকে, গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল এক লাখ নয় হাজার ৭৬১ জন। আর এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এবার পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী কম জিপিএ ৫ পেয়েছে।

ফল প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এ বছর ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার বেশি।

ফলাফলে আরো বলা হয়েছে, এ বছর মোট পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন।
এবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ২১ ভাগ, মাদ্রাসায় ৭৬ দশমিক ২০ ভাগ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৯ ভাগ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন।

এ বছর দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি।

তথ্য কর্মকর্তা জানান, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে নয় লাখ ১০ হাজার ৫০১ ছাত্র ও আট লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী।

দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২ মার্চ পর্যন্ত চলে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হয়।

যেভাবে জানা যাবে ফল
শিক্ষার্থীরা মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়ে তাদের ফল জানতে পারবে। ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষরে SSC লেখার পর বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, তারপর রোল নম্বর ও বছর লিখে যেকোনো মোবাইল থেকে ১৬২২২ পাঠিয়ে দিলে ফল জানা যাবে। এ জন্য দুই টাকা ৪৪ পয়সা চার্জ প্রযোজ্য হবে।

ওয়েবসাইটেও (http://www.ntvbd.com/result/ssc-result-2017) পাবেন এসএসসির ফল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

muncur ahamed Nazrul Islamঅপ্রতিম : তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে জেলা ও থানায় বিরাজমান কোন্দল নিরসনে মিশন শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রথমে গত ২৫ এপ্রিল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা আজ ৪ মে নির্ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নেয়। ক্রমেই জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী দলীয় নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করা শুরু করে। প্রথমবারের মত দেশ ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষিত হওয়ার পর এদিন জেলা আ.লীগের সভাপতি সমর্থক অংশটি ১৪ দলের ব্যানারে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে। এরপর ঘোনার ইউপি চেয়ারম্যান মোশার বিরুদ্ধে দলের সাধরণ সম্পাদককে প্রধান অতিথি করে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়র কিছুদিন পর মোশার পক্ষে জেলা সভাপতির সমর্থকরা সদর এমপিকে প্রধান অতিথি করে পাল্টা সমাবেশ করে। এছাড়াও সম্প্রতি জেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা একে অপরের সম্পর্কে প্রকাশ্যে নানা অপ্রীতিকর বক্তব্য ও মন্তব্য করছেন যা নিয়ে দলের সচেতন অংশটি রীতিমত বিব্রত।
এদিকে, দলের সিনিয়র নেতা এবং আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি গত ২৬ মার্চ দলীয় কোন্দল নিরসনে প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ওই দিন সন্ধ্যায় সাতক্ষীলা সার্কিট হাউজে উভয় পক্ষকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু শেষ মূহুর্তে একটি পক্ষ সেখানে উপস্থিত হতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলে জানিয়েছেন জেলা আ. লীগের এক শীর্ষ নেতা। এরপরই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলার শীর্ষ নেতাদের ঢাকায় তলব করেন।
কোন্দলের কারণ কি তা চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেবেন তিনি। বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কোন্দলপূর্ণ সব জেলার সঙ্গে আলোচনায় বসবে দলটি।
সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এবং কেন্দ্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদক নিশ্চিত করেছেন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সভাপতি মুনসুর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ছাড়াও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি ও এস এম জগলুল হায়দার এমপি উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সাথে বৈঠকে।
গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীর ধানম-িস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকম-লীর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কোন্দল নিরসনের এই মিশন কতটা সুফল বয়ে নিয়ে আসবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতারা সন্দিহান।আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুফল নিয়ে সভাপতিম-লী ও সম্পাদকম-লীর অন্তত ছয় জন নেতা বলেন, ‘কোন্দল নিরসনে জেলার নেতাদের সঙ্গে বসে আমরা আলোচনা করবো। বিদ্যমান সমস্যা কি তা চিহ্নিত করার চেষ্টা থাকবে। তবে সুফল আসবে কিনা তা এখনই বলা যাবে না।’
অবশ্য ইতিমধ্যে চট্ট্রগ্রামের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদেরের উদ্যোগ দৃশ্যত সফলতা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বিরোধ মীমাংসায় সাধারণ সম্পাদক নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে চান তৃণমূলের নেতারা। তাহলেই সত্যিকার অর্থে বিরোধ মীমাংসা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। সাতক্ষীরার দায়িত্বশীল তিন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা নিজেদের জেলার বিরোধের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘মীমাংসার জন্য সভাপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।’
এ আলোচনার মাধ্যমে কোন্দল নিরসন কতখানি সম্ভব হবে তা নিশ্চিত নন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মনসুর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কোন্দল মীমাংসায় সবাইকে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একমত হতে হবে। তাহলেই সুফল আসতে পারে।’
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলছেন, “দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে করে দলে এখন কোন্দলের কোন সুযোগ নেই। বরং সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকতে হবে নেতৃত্বের মধ্যে। যাতে করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সকলেই ভূমিকা রাখতে পারে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9998887নিজস্ব প্রতিবেদক : ১০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক চোরাচালানিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তালা উপজেলার খলিশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ আটকের ঘটনাঘটে।
এস আই মো: জুয়েলের নেতৃত্বে এএস আই মো: হাসান ও এএস আই নাসিরকে সঙ্গেনিয়ে অভিযানে জেলার ইয়াবা চক্রের অন্যতম সদস্য বহু মাদক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাতক্ষীরা শহররে কাটিয়ার হারান ফকিরের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৭) ও তালা উপজেলার খলিশখালির মৃত জাফর শেখের ছেলে মো: রিয়াজুল ইসলামকে একশ পিস ইয়াবাসহ আটক করে।
এব্যাপারে এসআই জুয়েল জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা পৌরসভায় (৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) নগর উন্নয়নে ২০১৭-১৮ প্রাক বাজেট মতবিনিময়555 সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় পৌর সভার সম্মেলন পক্ষে দরিদ্র অঞ্চলের জলবায়ু অভিযোজন সক্ষম প্রকল্প বা কার্যক্রমের আওতায় অংশগ্রহনমূলক পৌর বাজেট প্রণয়নে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম নগর উন্নয়নের প্রাক বাজেট মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর প্যানেল মেয়র ফারহা দিবা খান সাথী। জার্মান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন জিআইজেড এর সহায়তায় পৌর সভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তাজকিন আহমেদ চিশতী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডাব্লু এলসির সভাপতি ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলাম, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আকতার হোসেন তালুকদার, নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, সদস্য আসাদুজ্জামা চান্দু, রেজাউল করিম, ফরিদা পারভীন, অর্চনা দে, জোস্না পারভীন, এড. জি.এম আব্দুল মতিন, নিমাই চন্দ্র পাল, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব জামাল উদ্দীন, সদস্য আনজুয়ারা খাতুন, আফরোজা আকবর মিরা, মাসুদ আলী, সুফিয়া খাতুন, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব আনিছুর রহমান, সদস্য রফিকুর রহমান লাল্টু, আরিফুর রহমান খান, ফরেজ আলী, বিলকিছ খাতুন, নুর জাহান বেগম শফিকুর রহমান পিন্টু, সাগর|
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জি আই জেড প্রতিনিধি রতন মানিক সরকার। উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রকল্প/ কার্যক্রম পৌরসভার বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1493797247বাংলাদেশের মেয়ে তিনি। কাজ করতেন একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। বেতন পেতেন নয় হাজার টাকা। এই টাকায় বাবা-মাকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁর এক সহকর্মী তাঁকে ১৫ হাজার টাকায় ভারতে কাজ করার প্রলোভন দেখায়।

এভাবেই ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশি ওই পোশাককর্মী। ভারতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় যৌনকর্মে। তবে সম্প্রতি মুক্তি পান তিনি। বাংলাদেশ সরকারও তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। দেশে ফেরার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি হাতে লেখা একটি চিঠির ছবি দেন।

চিঠিতে নারী বলেন, তাঁর কাছে ১০ হাজার রুপি সমপরিমাণের বাতিল নোট রয়েছে। ওই অর্থ তিনি যৌনকর্মের মাধ্যমে আয় করেন। ওই বাতিল নোটগুলো বদলে নতুন নোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান মোদির কাছে। নোটগুলো যৌনপল্লীর মালিকদের কাছে ছিল বলে পরিবর্তন করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

ভারতে নিজের দুর্বিষহ জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের ওই নারী বলেন, ‘আমার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমি রাজি হই (ভারতের গিয়ে চাকরির জন্য)। এরপর আমাকে মুম্বাইয়ের ভাশি নদী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে ৫০ হাজার রুপির বিনিময়ে এক নেপালি নারীর কাছে বেচে দেওয়া হয়।’

ওই নারী আরো বলেন, ‘পরে তাঁকে ব্যাঙ্গালুরু শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে যৌনকর্ম করতে বাধ্য করা হয়।’

প্রায় দেড় বছর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একটি উদ্ধারকারী সংগঠন মুক্ত করে ওই বাংলাদেশি নারীকে। কিন্তু তাঁর সব জিনিসপত্র ও অর্থ থেকে যায় ওই যৌনপল্লীতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ubaWgO_4মরুভূমির মাঝখানে বিশাল এক হাত। তবে সম্পূর্ণ একটি হাত নয়, ভালভাবে দেখা যায় ৫টি আঙুল মাত্র, তবে কবজি পর্যন্ত নজর যায় না। ধূ ধূ বালির মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই হাত। দানবীয় এই হাতটি কার? কোথা থেকে এল? রহস্য ঘিরে ধরেছে সবাইকে। মরুভূমির মাঝে হঠাত্‍ এত্ত বড় হাত কোথা থেকেই বা আসতে পারে? কবজির নিচটা বালির নিচে।

চিলি’র আটাকামা মরুভূমিতে এই বিশাল বিস্ময়ের সৃষ্টি। হঠাৎ করে দেখলে মনে হতেই পারে কোনও ফিউচারিস্টিক সিনেমার সেটে ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু এই হাতটি আসলেই সত্যিকার চিত্র। চিলির এই আটাকামা মরুভূমি পৃথিবীর অন্যতম শুকনো এলাকা হিসাবেই পরিচিত। এই মরুভূমির এক খাঁ খাঁ প্রান্তরে হঠাত্‍ই চোখে পড়বে এই দানবীয় হাত। মরুর বালি ফুঁড়ে উঠে আসা হাতটি যেন থামতে বলছে কাউকে।

মানো দেল দেসিয়ার্তো বা হ্যান্ড অফ দ্য ডেজার্ট আসলে ৩৬ ফুট উঁচু একটি ভাস্কর্য। ১৯৯২ সালে চিলির প্রখ্যাত ভাস্কর মারিও ইররাজাবাল এটি তৈরি করেন। দেখতে যতই বিদঘুটে হোক না কেন, কাউকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য বা চমক তৈরির অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। সম্পূর্ণ দার্শনিক ভাবনা থেকে ইররাজাবাল এটি তৈরি করেন।

মহাবিশ্বের কাছে মানুষের ক্ষুদ্রতাকে বোঝাতেই এই হাতটি তৈরি করেন ভাস্কর। দিকচিহ্নহীন মরুর প্রান্তরে এই হাতটি মানুষকে জানান দেয় তার ক্ষণস্থায়িত্ব, মহাপ্রকৃতির সামনে তার অসহায় অবস্থান। সেই সঙ্গে এটি যেন থামতে বলে অন্যায়, নির্যাতনকে, একাকীত্ব। এটিকে দেখে মনে হতেই পারে, মরুর বালি দিয়েই এটা তৈরি। কিন্তু আসলে এটি এক সুবিশাল লৌহকাঠামোর ওপরেই নির্মিত। ক্ষণে ক্ষণে মরুভূমির আবহাওয়ার পরিবর্তন যাতে এই ভাস্কর্যটির কোনও ক্ষতি করতে না পারে, তার ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন শিল্পী ইররাজাবাল।

বছরের যে কোনও সময় প্রচুর পর্যটক এখানে ভিড় করে। আন্তোফোগোস্তা থেকে প্যান-আমেরিকান হাইওয়ের পথে পড়ে এই ভাস্কর্য। লা মানো নামে আরেকটি হাত তৈরি করেছিলেন ইররাজাবাল। সেটি মরুভূমির হাতের চাইতে ১০ বছরের বড়। এটি রয়েছে চিলিরই পুস্তা দেল এন্তের সমুদ্রতটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest