3-1অনলাইন ডেস্ক: পাঁচ বছর বয়সী ছোট্ট মেয়ে এডিথ ফুলার। বিশ্বের প্রথম কমবয়সী শিশু হিসেবে ‘স্ক্রিপ ন্যাশনাল স্পেলিং বী’র চূড়ান্ত পর্বে নিজেকে পরিবেশনার সুযোগ পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অকলামাহোমা রাষ্ট্রের তুলসার ২০১৭ সালের আঞ্চলিক স্পেলিং প্রতিযোগীতায় এডিথ ফুলার ৫০ জন বড় বড় প্রতিযোগীদের টপকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে এডিথ ফুলার, যা ইতোমধ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

ছয় বছর বয়সী এক দুরন্ত প্রতিযোগী বাদ পড়েছেন। কিন্তু, এডিথ ফুলার তার অসাধারণ প্রতিভাগুণে অংশগ্রহণের সুযোগ পেল চূড়ান্ত পর্বে।

সে স্কুলে যেত না। বাসায় বসেই মায়ের কাছে পড়ত বলে জানা যায়। তাকে পরবর্তী পর্বে ১৫ বছর বয়সী প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়তে হবে ওয়াসিংটন ডিসির ন্যাশনাল হার্বরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rokeyaসাহসে ভর করে নিজের এবং চারপাশে পরিবর্তন আনা দেশের সফল নারীরা বলেছেন, বাংলাদেশের নারীদের সাহস আর পরিবর্তনে সবসময়ই প্রেরণার উৎস ছিলেন বেগম রোকেয়া। এখনো তিনি নারীর প্রেরণার উৎস। সেই প্রেরণার উৎসের আরেক নাম শেখ হাসিনা।

তাদের মতে, বেগম রোকেয়া নারীদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, শেকল ভাঙার গান হয়েছেন। বেগম রোকেয়ার লেখনী থেকে জীবনী– সবই তখন থেকে এখন নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। তার পর নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা অনেক নারীর জীবন সাধারণ নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় প্রেরণার আরেক উৎস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাসীর কাছে নতুন পরিচিত পাচ্ছে বাংলাদেশ।

এভাবেই কিছু নারী হয়ে উঠেছেন অন্য নারীদের সাহসের উৎস।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দেশের প্রথম নারী উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম  বলেন, বেগম রোকেয়া যখন তার কাজ শুরু করলেন তখন সেটা ছিলো বিশাল সাহসের কাজ। তিনি পরিবারের পুরুষদের সহযোগিতা পেলেন। এরপর আমরা গুরুত্বপূর্ণ আরো নারীকে পেলাম– যেমন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বা ইলা মিত্র। সুফিয়া কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা বা বর্তমানেও কাজ করে চলেছেন সুলতানা কামাল।

‘সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিভিন্ন পেশায় নারীরা এগিয়ে এসেছেন। তারা সবাই বর্তমান নারীদের জন্য সাহসের উৎস।’

তিনি বলেন: ওই সময়ে নারীরা নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে এসেছেন। আর তারা এগিয়ে এসেছিলেন বলেই আমরা কাজগুলো করছি। বর্তমান যুগের নারীদের জীবনে এখন নানান মাত্রার পরিবর্তন এসেছে। পথপ্রদর্শক সেই সব নারীদের আলোই ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর।

‘আর সে কারণেই এতদিন যেসব জায়গায় কেবল পুরুষরা রাজত্ব করতো সেসব জায়গায় বেড়েছে নারীর পদচারণা।’

ফারজানা ইসলাম মনে করেন, একেক জায়গায় নারীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের ধরণটা একেক রকম। এদেশে এখনো পুরষদের দ্বারা নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এসিড মেরে নারীদের আক্রান্ত করা হচ্ছে। সেসব পেরিয়ে এগোনোই নারী উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেজন্য আইনী ব্যবস্থা ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতাও দরকার আছে। শুধু পরিবারেই নয় রাস্তাঘাটেও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সেসব ক্ষেত্রে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুব জরুরি। পরিবারে শুধু নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও এমন করে গড়ে তুলতে হবে যেন সে নারীদের তার উর্ধতন কর্মকর্তার পদেও মেনে নিতে পারে।

‘এসব পরিস্থিতিতে সবার আগে দরকার মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন। জ্ঞানের আলো আরো বেশি ছড়িয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন ও শিক্ষার সুযোগ কাজে লাগালেই কেবল এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। মেয়েকে বদলাতে হবে, পরিবারে পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে একসময় না একসময় পুরুষের মধ্যেও পরিবর্তন আসবে।’

মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, বেগম রোকেয়া থেকে শেখ হাসিনা– এই লম্বা সময়ে বেশ কিছু নারী বাংলার নারীদেরকে উজ্জীবিত করেছেন। সেখানে যেমন ভারোত্তলনকারী মাবিয়া সীমান্ত রয়েছেন, রয়েছেন সেই ঘোড়ায় চড়া কিশোরী তাসমিমাও। বাংলার ঘরে ঘরে থাকা নারী কৃষকদের অবদানও কি খুব কম? নয় তো। তারাও তো এদেশের নারীদের এগিয়ে নিয়েছেন অনেকখানি। বা ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টসে যেসব নারীরা কাজ করছে তারাও তো নারীর সাহসের উৎস। এখন তো হাজার হাজার নারী বিভিন্ন পেশায় আসছেন। জাতীয় সংসদ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসছেন।

অগ্রপথিক নারীদের কথা টেনে তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া অথবা ইলা মিত্র, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সেই সময়গুলোতে বেরিয়ে এসেছেন যখন কিনা তাদের নানান প্রতিকূলতার মধ্যে থাকতে হতো। কিন্তু এখনতো সেই সব জায়গাতে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ নারীরাই কিন্তু তখন বের হয়ে এসে এসব নারী আন্দোলন করেছে এবং সেটাই চলছে অনেক বছরের ইতিহাসে।

‘তবে এত বছরে নারীদের সাহসের ইতিহাসে এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নারীর অধিকার, নিরাপত্তা। নারী যেমন একদিকে রাষ্ট্রের নাগরিক তেমন সে মা। সে যেমন রাষ্ট্রের জন্য কিছু করতে চাইছে তেমনই তাকে মায়ের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। এই জায়গাটাতে আরো বেশি কাজ করা দরকার,’ বলে মনে করেন তিনি।

তবে, তিনি বলেন: সেটা করতে গিয়ে নারীদের যেমন সামনে এগিয়ে আসতে হবে তেমনই পুরুষের মধ্যেও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে। এর আগে যেসব নারী বের হয়ে এসেছেন তারাও কিন্তু পুরুষের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন। নারীদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হলে পরিবারের ও রাষ্ট্রের সহযোগিতা দরকার হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

20170307_103809গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর : কাঁকড়া চাষে জীবনের চাকা ঘুরাতে কাঁকড়া নিয়ে মনের কোনে স্বপ্ন বুনছে দক্ষিণাঞ্চলের চাষিরা। এক সময় এ অঞ্চলের মানুষেরা চিংড়ি চাষের দিকে ঝুঁকেছিল ব্যাপকভাবে। কিন্ত তা থেকে আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করেছে চাষিরা। চিংড়ি চাষ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে পারেনি, তা বলা যাবে না। কারণ এর মাধ্যমে অনেক মানুষ তার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে আবার বিভিন্ন দুর্যোগ ও ভাইরাসজনিত কারণে অনেকেই ফকির বনে গেছে। অর্থাৎ অনেকের জন্য এটি আশীর্বাদ হলেও অনেকের জন্য হয়ে উঠেছে অভিশাপ। অনেকের যেন একেবারই নিভু নিভু অবস্থা। সুতরাং কাঁকড়া নিয়ে মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। অনেকের ভাবনা চিংড়ি চাষের ক্ষতি চুকিয়ে নেবে কাঁকড়া থেকে। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মানুষকে কাকড়া চাষে সম্পৃক্ত করতে উদ্বুদ্ধকরণে কোন প্রকার পিছিয়ে নেই, এটা যেন মানুষের স্বপ্নের সাথে যোগ হওয়া নতুন মাত্রা। দশ পায়ের চিংড়ি প্রজাতির এই কাঁকড়া ইতিমধ্যে রপ্তানিযোগ্য পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ৯টি দেশে রপ্তানি হয় উপকূলীয় অঞ্চলের ১০ পা বিশিষ্ট চিংড়ি প্রজাতির কাঁকড়া। খুলনাসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রচুর কাকড়া আহরণ craftকরা হয়ে থাকে। এ অঞ্চলের প্রায় হাজার হাজার বনজীবী নারী পুরুষ কাঁকড়া আহরণ বা বিপণনের সাথে জড়িত। সংশ্লিষ্ট বনজীবীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও তালা উপজেলায় কাঁকড়া চাষ করা হয়ে থাকে। এইসব অঞ্চলে কাকড়া মোটাতাজাকরণ বা ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে চাষ করছে সংশ্লিষ্ঠ কাঁকড়া চাষিরা। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, ভিয়েতনাম, ইউকে, ইউএই, সৌদি-আরব, তাইওয়ান, হংকং নেদারল্যান্ড, জার্মান, ফ্রান্স, অষ্ট্রিয়া, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহারাইন, উগন্ডা, হন্ডুরাস, ইউএসএ ও ভারতে উপকূলীয় অঞ্চলের কাঁকড়া রপ্তানি করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় বিগত দিনে কাকড়ার ক্রাভলেট অর্থাৎ বাচ্চা নদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করতে হলেও তা এখন চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবনের পাদদেশে অবস্থিত শ্যামনগর উপজেলায় সর্ব প্রথম কাকড়ার বাচ্চা ফুটিয়েছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নওয়াবেকী গণমুখী ফাউন্ডেশন। যার কারণে এ অঞ্চলের কাঁকড়া চাষিদের উন্নয়নের মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ঠরা। নওয়াবেকী গণমুখী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় একটি মা কাঁকড়া থেকে কুঁড়ি হাজারের বেশি বাচ্চা সংগ্রহ করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। তাছাড়া চাষিরা কাকড়া আহরণকারীদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ছোট কাকড়া ৬০-৮০ টাকায় সংগ্রহ করে মোটাতাজা করেন। তিন মাসেই ওই পুরুষ কাকড়া ৪০০-৬০০ গ্রাম এবং মাদি (মহিলা) কাঁকড়া ১৮০-২৫০ গ্রাম ওজন বেড়ে যায়। একটা পরিপুষ্ট কাকড়া ৯০০শ’ থেকে হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কাকড়া চাষি বাবুলাল মন্ডল বলেন, সাধারণত অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার সময় কাঁকড়া ব্যাবসা জমজমাট থাকে। আবার শীত মৌসুমে মাদি কাঁকড়ার চাহিদা বেশি থাকে। তিনি আরও বলেন, আশ্বিন মাসে কাঁকড়ার চাষ শুরু হয়। দুই মাস পর পর কাঁকড়া আমরা বিক্রি করি। স্থানীয় ডিপো (কাঁকড়া বিক্রয় করা ঘর) গুলিতে কাঁকড়া কেনা বেচা হয়। মুন্সিগঞ্জ কাঁকড়া চাষি রাম কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, তিনি ১০ কাঠা জমিতে চার ভাগে ভাগ করে সারা বছর কাঁকড়া চাষ করেন, সংসারের ৫ সদস্য আর দুই ছেলেকে লেখাপড়ার খরচ যুগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুধু রামকৃষ্ণ মন্ডল নয়, মুন্সীগঞ্জের অনেক লোকজনই লাভজনক কাঁকড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও স্বামীদের কাঁকড়া চাষে সহযোগিতা করে থাকেন। বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের তরুন কাকড়া চাষি হান্নান বলেন ¯œাতক পাশ করে কোন চাকুরি না হওয়ায় হতাশায় ভুগছিলাম কিন্তু বর্তমানে মনে হয় সেই হতাশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছি। তারা চার বন্ধু মিলে কুঁড়ি হাজার কাঁকড়ার খাচায় কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ বা ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে চাষ করছি, প্রথম বারেই ভাল লভ্যাংশ পেয়েছি। আশাকরি ভালো ফলাফল সম্ভব হবে এখান থেকে। এখানকার অন্যান্য চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরে ১১০ গ্রাম মাদি কাঁকড়া ২শ’ টাকা কেজি, ১৫০ গ্রামের মাদি কাঁকড়া ৩শ’ টাকা, ১৮০ গ্রামের মাদি কাঁকড়া ৮শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। এ ছাড়া পুরুষ কাঁকড়া ৫শ’ গ্রামের কেজির দাম ৯শ’ টাকা, ৪ গ্রাম পুরুষ ৮শ’ টাকা, ৩শ’ গ্রাম পুরুষ ৭শ’ টাকা, এবং ২শ’ গ্রাম সাইজের কাঁকড়া ৫শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং, এলাকার শিক্ষিত, অশিক্ষিত বেকার যুবকেরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকছে কাঁকড়া চাষের দিকে। কাঁকড়া উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এ এলাকার অন্যান্য চাষিরা বলেন, কাঁকড়া চাষ হবে এলাকার শ্রেষ্ঠ চাষÑ সে আশা বুকে নিয়েই নেমেছি। স্থানীয় কলবাড়ি বাজার রেখে বুড়িগোয়ালিনি-মুন্সিগঞ্জ রাস্তার দু’পার্শে¦ শোভা পাচ্ছে হাজার একর জমিতে কাঁকড়া চাষের প্লট। স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে অনেকেই এখানে এসে চাষ শুরু করেছে। কাঁকড়া চাষ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাঁকড়া মজুদ কারখানা। কাঁকড়া চাষের প্লটে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজার হাজার মানুষের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

oooooooooooশেখ তহিদুর রহমান ডাবলু/হাসান হাদী : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সকালে শারীরিকভাবে অসুস্থ বাদি হুইল চেয়ারে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে সাতক্ষীরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম তার জবানবন্দী  গ্রহণ করেন।
জবানবন্দীতে তিনি ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাবার পথে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে কারা কিভাবে হামলা করেন তা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, এ মামলার প্রধান আসামি জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন আসামির কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। অন্যরা  জামিনে মুক্ত অথবা জেলে আটক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয় কলারোয়ার হিজলদির এক মুক্তিযোদ্ধাপতœী ধর্ষিত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসে তাকে দেখে তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে যশোর ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় কলারোয়ায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অক্ষত থাকলেও তার সফরসঙ্গীরা আহত হন। এ সময় তাদের গাড়িও ভাংচুর হয়।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাদি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ মার্চ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

22222222তরিকুল ইসলাম লাভলু : যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক একাডেমিক স্বীকৃত সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফের ঐতিহ্যবাহী কে বি আহ্ছানউল্লা জুনিয়র হাইস্কুল (প্রাক্তন প্রি-ক্যাডেট স্কুল) ২০১৬ সালে ৫ম শ্রেণি সমাপনী ও ৮ম শ্রেণি জেএসসি’র পর ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবছর ৭ম শ্রেণি ক্যাডেটের ভর্তির জন্য খুলনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ জন শিক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৭ জন এবং লিখিত ও ঢাকায় মৌখিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য চূডান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী। সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ অত্র প্রতিষ্ঠানের ক্যাডেট শাখার কৃতি শিক্ষার্থীরা হলো- লুবাইয়া তাহেরিমা (২০২২০০২২) ময়মনসিংহ গার্লস্ ক্যাডেট কলেজ, সাহারিনা জাহান (২০২২০০২৩) জয়পুরহাট গার্লস্ ক্যাডেট কলেজ, প্রতীতি মন্ডল তিশা (২০২২০০২৪) জয়পুরহাট গার্লস্ ক্যাডেট কলেজ ও ইয়াছিন জুলকার নাঈম (১০২২০০৬২) ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ।
প্রতিষ্ঠানের ক্যাডেট শাখার সাফল্য সহ সার্বিক সাফল্য নিয়ে ৭ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন কর্মকতাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন নলতা শরীফের কে বি আহ্ছানউল্লা জুনিয়র হাইস্কুলের সফল প্রধান শিক্ষক শ্রীকুমার বসাক। মতবিনিময়কালে তিনি জানান, নিবেদিত ব্যক্তিবর্গের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে হাটি হাটি পা পা করে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একঝাক কঠোর তত্ত্বাবধান, দক্ষ শিক্ষকম-লীর অক্লান্ত পরিশ্রম, শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা ও শৃঙ্খলাবোধ এবং অভিভাবকদের সচেতনতাবোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির নানা ধরনের সাফল্য অর্জিত হলেও ২০১৬ সালে ৫ম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষায় ৮১ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭০ এ+ ও ১১ জন এ গ্রেডের পাশাপাশি শতভাগ পাশ করে। ৮ম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষায় ৭৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭০ জন এ+ ও ৪ জন এ গ্রেডসহ শতভাগ পাশের পর ২০১৭ সালে ৭ম শ্রেণির ক্যাডেট কলেজে ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৭ জন পাশের পাশাপাশি চূড়ান্তভাবে এবছর সর্বোচ্চ ৪ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনা ছিল অভাবনীয়।
সাম্প্রতিক ৩টি সাফল্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিগত ২২ বছরের রেকর্ড ভাঙায় সকল মহল থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদের পাশপাশি সাফল্যজনিত সোনালী বছর হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে নেই। ২০০৫ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শামিম আরা রুম্পা নতুন কুঁড়িতে  একক অভিনয় প্রতিযোগিতায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়। যে কারণে স্থানীয়সহ কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, দেবহাটা, আশাশুনি, সাতক্ষীরা সদর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে প্রতিবছর অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তার সন্তান, ব্যবসায়ীর সন্তান কষ্ট স্বীকার করে হলেও মানস্ম¥ত শিক্ষার জন্য নলতা শরীফের এই প্রতিষ্ঠানটিতে ভিড় জমাচ্ছেন। কোনো কোনো অভিভাবক নলতায় বাসা ভাড়া নিয়ে দূরবর্তী বিভিন্ন স্থানে অফিস করছেন। আবার দেবহাটার বর্তমান ইউএনও’র সন্তানের মত অনেকেই নিজ ব্যবস্থাপনায় সন্তানকে স্কুলে আনা নেওয়া করছেন। তাই বিত্তবানদের পাশাপাশি সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে অত্র প্রতিষ্ঠানটিকে অবকাঠমো উন্নয়নসহ সকল বিষয়ে বর্তমান জেলার সর্বোচ্চ সাফল্য টপকিয়ে অচিরেই বিভাগসহ দেশের মধ্যে অনন্য এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা সম্ভব হবে বলে অন্যান্যদের মতো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও মনে করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

02নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামে রহিম মোড়লের ছেলে আত্তাফ, আলম মোড়ল, মৃত মুন্সি মোড়লের ছেলে মোসলেম মোড়ল, রহিম মোড়ল এবং একই গ্রামের জনাব আলীর স্ত্রী আরিজান, মোক্তার আলীর ছেলে সাদ্দাম সরদার ও মৃত সোনাই মোড়লের ছেলে জনাব আলী মোড়লের সাথে বাকবিত-ার এক পর্যায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে মোসলেম মোড়লের ছেলে আলম মোড়ল জানান, সোমবার বিকালে পাটকেলঘাটা থানার এসআই আশরাফুল গাজার আসর থেকে জাহিদুল এবং খোকনকে আটক করে। এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষরা বাড়ির সামনের রাস্তার উপরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৩জন গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোক্তার আলীর ছেলে সাদ্দাম সরদার জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় উভয় পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2222সদর প্রতিনিধি, শ্যামনগর : ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু অসীম কুমার জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে শ্যামনগর মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি এস এম জগলুল হায়দার বলেন, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক এই ভাষণটিতে বাঙালিকে স্বাধীনতা দেয়া হলেও সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণের কাছে প্রতিফলিত হয়েছে।স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা সফল হয়নি। নতুন প্রজন্ম মিথ্যা ইতিহাস গ্রহণ করেনি। নতুন প্রজন্ম নিয়ে আমাদের একটি ভূল ধারণা ছিল। কিন্তু সেই প্রজন্ম মাটি খুঁড়ে ইতিহাসের সত্য বের করে এনেছে। তারা গণজাগরণ ঘটিয়েছে। জাতির জীবনে যদি কোন সংকট তৈরি হয় এই নতুন প্রজন্ম অবশ্যই এগিয়ে আসবে। মুক্তচিন্তা ও সংস্কৃতির শক্তিতেই বাংলাদেশকে রক্ষা করবে নতুন প্রজন্ম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরূল আলম বাবু বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছিল। মূলত এদিনই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, যুগ্ন-সম্পাদক এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু, এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

SAMSUNG CAMERA PICTURES

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনায় অবস্থিত আমেরিকান কর্নার ও রূপান্তর এর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে মঙ্গলবার ৭ মার্চ খুলনা পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, মহিলাদের নিয়ে এমন একটি ব্যতিক্রম ফুটবল ম্যাচ আয়োজন আমার কাছে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। যারা এমন একটি আয়োজন করেছেন তাদেরকে তিনি সাধুবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীরা যে সাহসী ভূমিকা রাখছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, খুলনা ডেইলি ট্রিবিউন এর সম্পাদক ফেরদৌসী আলী, এছাড়া আমেরিকান কর্নার খুলনা এর কো-অর্ডিনেটর ফারজানা রহমান, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম, এনইউবিটি খুলনার সিনিয়র এ্যাসিটেন্ট ডাইরেকটর ড. আলাউদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খুলনা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভানেত্রী হোসনে আরা খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest