সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

vKo1x7_maraফের শহরে পা রাখছেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা৷ ভারতে ফুটবল কার্নিভালের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন ফুটবলের রাজপুত্র৷ প্রায় ন’বছর পর অনুর্ধ্ধ ১৭ বিশ্বকাপের ঠিক আগেই ১৯-২০ সেপ্টেম্বর আবার সিটি অফ জয় মাতাবেন তিনি৷

মোক্স স্পোর্ট ভেন্চার নামে একটি সংস্থা তাঁকে কলকাতায় আনছে৷ এর আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় প্রথমবার আসেন ফুটবলের রাজপুত্র৷ মধ্যরাতের সেবার কলকাতায় পা রেখেছিলেন মারাদোনা৷ অত রাতে এলেও বিমানবন্দরে তাঁকে একঝলকত দেখতে ভিড় জমিয়েছিল কলকাতার ফুটবল পাগল জনতা৷ সে’সব স্মৃতি বোধহয় মনে রয়েছে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ীরা৷ তাই ফের একবার কলকাতায় আসতে পারবেন বলে উচ্ছ্বসিত মারাদোনা নিজেও৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কলকাতার দর্শকদের ভালবাসা ভূলিনি৷ ওই জায়গাটাও খুব স্পেশাল৷ তাই কলকাতায় আসাটা সম্মানের৷ এর আগের বার কলকাতা সফরের স্মৃতি আমার এখনও মনে আছে৷’

এবারের সফরে প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একাদশের বিরুদ্ধে একটি ফুটবল ম্যাচও খেলার কথা রয়েছে মারাদোনার৷ ১৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচটি হবে৷ প্রাক্তন খেলোয়াড় থেকে চলচিত্র তারকাদেরও এই ম্যাচে দেখা যাবে৷ সব মিলিয়ে ফুটবলের রাজপুত্র’র কলকাতা আসার খবরে বিশ্বকাপের দাদামা এখন থেকেই বেজে গেল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

VxpPDy_42কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্কুলছাত্র সাকিবুল হাসান টুটুলকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় চার আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আউলাদ হোসেন ভূইয়া এ রায় দেন। কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এম এ আফজাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সোহাগ, আমিনুল, দুলাল মিয়া, ও ডালিম। তাদের বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার চর কাওনা গ্রামে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা আব্দুল আউয়াল মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও চরকাওনা নয়াপাড়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সাকিবুল হাসান টুটুল স্কুল থেকে রহস্যজনভোবে নিখোঁজ হয়। পরে তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু দাবিকৃত টাকা না পেয়ে শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুইদিন পর ১৪ আগস্ট বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে স্কুলছাত্র টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Afwt3C_41আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে গুলাম আহম্মদ (৬০) নামে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনার নেপথ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সংগঠন হিন্দু যুব বাহিনীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ (বুধবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ, হিন্দু এক তরুণীকে নিয়ে মুসলিম এক যুবককে পালাতে সাহায্য করার সন্দেহে তাকে লাঠি, রড ইত্যাদি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক রোশন জেকব, পুলিশের ডেপুটি মহাপরিদর্শক এবং সিনিয়র পুলিশ সুপার পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, বুলন্দশহরের পহাসু থানা এলাকায় সোহি গ্রামে একটি মুসলিম ছেলে এক হিন্দু মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই তরুণীর পরিবার থেকে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।

পুলিশ বলছে, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো কিছু ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আসছে। ওই ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়েছে। আপাতত ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, হিন্দু যুব বাহিনীর লোকজন আম ব্যবসায়ী গুলাম আহম্মদকে লাঠি, রড ইত্যাদি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তারা গোবিন্দর সিংসহ অন্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিহত গুলাম আহমদের ছেলে ওয়াকিল আহম্মদ এক অভিযোগে বলেছেন, সোহি গ্রামের ইউসুফ নামে এক যুবক প্রতিবেশী ফাজলপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে চলে যায়। ইউসুফ আমাদের সম্প্রদায়ের হওয়ায় ফাজলপুরের লোকদের সঙ্গে আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। হিন্দু যুব বাহিনীর কর্মীরা কিছুদিন ধরে আমাদের হুমকি দিচ্ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ৫/৬ জন যুব বাহিনীর সদস্য বাবাকে বেদম প্রহার করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

এদিকে, হিন্দু যুব বাহিনীর জেলা সভাপতি সুনীল সিং ওই ঘটনার নেপথ্যে তাদের হাত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাদের সংগঠনে গোবিন্দর নামে কেউ নেই বলে তিনি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে তাদের কাছে এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর আসে। দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে তারা পুলিশকে তরুণীকে উদ্ধারের জন্য বলেছিলেন।

জেলা প্রশাসক রোশন জেকব বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে, কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। এলাকায় শান্তি বজায় রয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4dGd0n_2নির্মিত হলো ৭ পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক ‘খালি কলসী বাজে বেশি।’ কমেডি ধাঁচের এই নাটকে অভিনয় করেছেন খ্যাতনামা অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।

নাটকে কয়েকটি স্তরের গল্প আছে। এরমধ্যে এটিএম শামসুজ্জামান ও অভিনেত্রী স্নিগ্ধ বর্ষার গল্পের স্তরটি এমন- এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ের সাথেই কলেজে পড়েন বর্ষা। একই সাথে হাসান মাসুদের সাথে প্রেমও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রেম তো প্রেম। এর শেষ হয় না। অথচ বর্ষা চান হাসান মাসুদ তাকে দ্রুত বিয়ে করে ঘরে নিয়ে যাক। বারবার চাপ দিলেও হাসান মাসুদের যেন বিয়ের বিষয়টি গায়েই লাগে না।

অন্যদিকে, এটিএম শামসুজ্জামানের সংসারে চরম অশান্তি। স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য কলহ লেগেই আছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে তুলনা চলে। এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী বারবার বলে যান তার মতো মেয়েই শুধু সংসার করতে পারছে, অন্য কেউ তার সংসারে টিকতে পারবে না। এটিএম শামসুজ্জামানও বলে যান চাইলেই তিনি বিয়ে করতে পারেন। তাঁর মাথাতেই জেদ চেপে যায়।

এটিএম শামসুজ্জামানের জেদ আর বর্ষার জেদ একীভূত হয় বিয়ের মাধ্যমে। জেদের বশেই তার বান্ধবীর বাবাকেই বিয়ে করেন বর্ষা।

আকাশ রঞ্জনের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘খালি কলসী বাজে বেশি’ ধারাবাহিকে আরো অভিনয় করেছেন, মীর সাব্বির, হাসান মাসুদ, অহনাসহ আরো অনেকেই। আগামী রোজার ঈদে এশিয়ান টিভিতে সম্প্রচারিত হবে কমেডি ধাঁচের এই ধারাবাহিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6ShFVf_12নিম আামদের খুবই পরিচিত একটি গাছ। সকল রোগের মহাঔষুধ নামেও এটি বেশ পরিচিত। ঔষধি গাছ হিসেবে এর ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকরি।
নিম গাছের বিশেষ উপকারিতা ও গুণাগুণ নিয়ে আজ আলোচনা করা হল-

১. ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তিঃ নিমের নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়। পানি বা এলকোহল মিশ্রিত নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই ধরনের ফল পাওয়া যায়। মানসিক চাপ ও অশান্তিঃ অল্প পরিমাণ নিম পাতার নির্যাস খেলে মানসিক চাপ ও মানসিক অশান্তি কমে যায়।

২. আলসারঃ নিম পাতার নির্যাস ও নিম বীজ হতে নিম্বিডিন নির্যাস খেলে পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার উপশম হয়, জন্ডিসঃ ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়, বসন্তঃ কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে বসন্তের গুটিতে দিলে গুটি দ্রুত শুকিয়ে যায়।

৩. বহুমূত্র রোগঃ প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিম পাতার রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়বেটিস আরোগ্য হয়। প্রতিদিন সকালে ১০টি নিম পাতা গুড়া বা চিবিয়ে সেবন করলে ডায়বেটিস ভাল হয়। নিম পাতার রস খেলে ৩০-৭০% ইনসুলিন নেয়ার প্রবণতা কমে যায়।

৪. এইডস থেকে মুক্তিঃ নিম গাছের বাকল হতে আহরিত নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। নিম পাতার নির্যাস অথবা পুরু পাতা অথবা নিম পাতার চা পান করলে এইডস উপশম হয়।

৫. চোখের ব্যথাঃ নিম পাতা সামান্য শুষ্ক আদা ও সৈন্ধব লবণ একত্রে মিলিয়ে সামান্য গরম করে একটি পরিস্কার পাতলা কাপড়ে লাগিয়ে তা দ্বারা চোখ ঢেকে দিলে চোখের স্ফীতি ও ব্যাথা সেরে যায়।

৬. ক্যান্সারঃ নিম তেল, বাকল ও পাতার নির্যাস ব্যবহারে ক্যান্সার-টিউমার, স্কীন ক্যান্সার প্রভৃতি ভাল হয়।

৭. হৃদরোগঃ নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়। নিম নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টোরল কমায়। রক্ত পাতলা করে, হার্টবিট কমায়।

৮. কৃমি নাশকঃ ৩-৪গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য সমপরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেবন করতে হবে।

৯. দাঁতের যত্নঃ কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে। নিম পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাঁড়ি ভাল থাকে। নিম পাতার নির্যাস পানিতে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়।

১০. ব্রণঃ নিম পাতা পিষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়।

১১. রাতকানাঃ নিম ফুল ভাজা খেলে রাতকানা উপশম হয়।

১২. উকুনঃ নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়।

১৩. মাথা ব্যাথাঃ নিম তেল মাখলে মাথা ধরা কমে যায়।

১৪. বমিঃ বমি আসতে থাকলে নিম পাতার রস ৫-৬ ফোঁটা দুধ দিয়ে খেলে উপশম হয়।

১৫. খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতঃ নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরোনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

১৬. নিম চাঃ শুকনো নিম পাতা গুঁড়ো অথবা তাজা নিমের ৬/৭ টি পাতা গরম পানিতে ছেড়ে ২/৩ মিনিট জ্বাল দিয়ে মধু মিশিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় সুমিষ্ট নিম চা। তবে নতুনদের জন্য সময়সীমা ১ মিনিট। যত বেশি জ্বাল দিবেন তত তিতা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Picture-01 Picture-02সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকা থেকে অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা ট্রাক ভর্তি মূল্যবান পাথর জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। বুধবার ভোর রাতে শহরের মুনজিতপুর এলাকার  একটি সড়কের উপর থেকে উক্ত পাথরগুলো জব্দ করা হয়। তবে, বিজিবি এ সময় কাউকে আটক করতে সক্ষম হননি। জব্দকৃত ট্রাকসহ পাথরের মূল্য ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরমান হোসেন পিএসসি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরকারে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে এক ট্রাক ভারতীয় মূল্যবান কোয়াড পাথর রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মুনজিতপুর এলাকায়  অভিযান চালানো হয়।  এ সময় সেখানে সড়কের উপর থেকে ট্রাকভর্তি কোয়াড পাথর জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা ট্রাকটি ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে ট্রাকটি বিজিবি’ সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরে আনা হয়। তিনি আরো জানান, ট্রাকসহ জব্দকৃত পাথরের মূল্য ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা মাত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

c55dd81f7861c9b97c74c823ba065e4e-5892b4040156aন্যাশনাল ডেস্ক : দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের (দাখিল ও এসএসসি-ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (৪ মে)। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট, মোবাইলের এসএমএস ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ। এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।
গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি হওয়ায় বাড়ানো হয় ৯৩টি কেন্দ্র। এর মধ্যে দেশের বাইরে বিদেশের (জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহাম) ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র।
এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এ ধরনের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

jahanaraআজ ৩ মে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জাহানারা ইমাম। ছোটবেলায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পিতা আবদুল আলীর তত্ত্বাবধানে রক্ষণশীলতার বাইরে এসে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন তিনি।

জাহানারা ইমাম একাধারে একজন লেখিকা, শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এই প্রজন্মকে রুখে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।

১৯২৯ সালের ৩ মে অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে জাহানারা ইমাম জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর স্বামী ইঞ্জিনিয়ার শরীফ ইমামও তাকে লেখাপড়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ১৯৪৫ সালে কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে তিনি বিএ পাস করেন। বিএড পাস করার পর তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে বাংলায় এমএ পাস করেন।

ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। এর পর ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে তিনি আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১৯৬৬ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে তা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেন।

তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি। মুক্তিযুদ্ধের এ দিনলিপি তিনি ১৯৮৬ সালে একাত্তরের দিনগুলি নামে প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মর্মস্পর্শী এ বৃত্তান্ত জনমনে ব্যাপক সাড়া জাগায়। একাত্তরের দিনগুলি ছিলো একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মায়ের দৃঢ়তা আর আত্মত্যাগের অনন্য উদাহরণ।

একাত্তরে তাঁর বড় ছেলে শফি ইমাম রুমী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছেলে রুমীর আত্মত্যাগ এবং নিজের অবদানের কারণে সবার কাছে আখ্যায়িত হন শহীদ জননী হিসেবে।

১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমীর ঘোষণা করলে নাগরিক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশের ১০১ জন বরেণ্যব্যক্তিদের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ’গণআদালত’ এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে।

মৃত্যুর আগে জাহানারা ইমাম মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অসুস্থ অবস্থায়ও তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েট শহরের হাসপাতালে তিনি মারা যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest