khaleq rokon

শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু/হাসান হাদী : সাতক্ষীরার ৩ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৯৭১ সালে সাতক্ষীরায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত করার ৭টি অভিযোগে অভিযুক্ত এই তিন রাজাকার হলেন- সদর উপজেলার আলীপুর বুলারাটীর কুখ্যাত কসাই রাজাকার শিরোমণি এম আব্দুল্লাহহিল বাকী, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের নবজীবনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কুখ্যাত আলবদর কমান্ডার খান রোকনুজ্জামান ও ৭১-এ নৃশংসতার কারণে ‘টিক্কা খান’ নামে কুখ্যাতি পাওয়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারীর জহিরুল ইসলাম। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত জামাতের মুখপত্র দৈনিক আলোর পরশ’র ম্যানেজার। বুধবার তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-০১। এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক এবং সদস্য যথাক্রমে বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো: সোহরওয়ার্দী।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী ৭টি সুনির্দিষ্ট অপরাধে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪ রাজাকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করেছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর (আইজিপি পদমর্যাদায়) আব্দুল হান্নান খান।
আগামী ২০ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য্য রয়েছে বলে ডেইলি সাতক্ষীরাকে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান বিপিএম, পিপিএম।
রোকন, বাকী ও জহিরুল ছাড়াও মামলার অপর আসামি হলেন- সাতক্ষীরা জেলা জামাতের সাবেক আমির ও সাবেক সাংসদ কুখ্যাত রাজাকার বৈকারীর মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল। ইতিপূর্বেই গ্রেফতার হওয়া মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল বর্তমানে কারাগারে আছেন। অপর তিন রাজাকার বর্তমানে আত্মগোপনে থাকায় তাদেরকে গ্রেফতারের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর(অতি: এ্যাটর্নি জেনারেল) জিয়াদ আল মালুম এবং রেজিয়া সুলতানা চমন।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এম আব্দুল্লাহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব ও সাতক্ষীরায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে সার্বিকভাবে সহায়তাকারী হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন থেকে খালেক, বাকী, রোকন ও জহিরুলকে বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। এই আটকাদেশ আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করেছে। যদি আগেই এসব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নজরদারিতে রাখা হত তাহলে আজ তারা পালিয়ে থাকতে পারত না। আমরা আশাকরি এখন অন্তত পুলিশ পলাতক বাকী, রোকন ও জহিরুলকে গ্রেফতারে তৎপর হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexডেস্ক রিপার্ট : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪৯টি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম পিয়ন পদে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের দিনই গতকাল নিয়োগ চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নিয়োগ তালিকা দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ! কেউ কেউ যেন টাকা দিয়ে বাঘের দুধ কিনে ফেলেছেন!
উল্লেখ্য বহু প্রার্থী, প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দৈনিক আজকের সাতক্ষীরায় সদর উপজেলার ৪৯টি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের এই নিয়োগে প্রায় আড়াই কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে নিয়োগ তালিকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এর আগে নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দরকষাকষিতে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ উচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক প্রার্থী।
নিয়োগ তালিকার ৩৭ নম্বরে থাকা শহরের বাটকেখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার নাম মোঃ মমিনুর ইসলাম, পিতার নাম : মো: নুর ইসলাম, গ্রাম -বাগানবাড়ি, সাতক্ষীরা। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য এবং ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজকের সাতক্ষীরাকে নিশ্চিত করেছেন যে, মো: মমিনুর ইসলাম পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করেননি। তিনি জানান, পরীক্ষায় বাটকেখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন নিয়োগপ্রার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা হলেন শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ হাসানুর রহমান এবং মোঃ রবিউল ইসলাম। এদের বাইরে কেউ পরীক্ষায় অংশ নেননি। অথচ নিয়োগ পেলেন মুমিনুরকে যাকে নিয়োগ বোর্ডে হাজির হতে হয়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে মুমিনুরে পিতা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাকিম বলেন, “আমার এলাকা থেকে যারা নিয়োগ পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাদের সকলকেই আমি চিনি। মুমিনুর এই পরীক্ষায় অংশই নেয়নি তাহলে তার খাতাপত্র কিভাবে তৈরি হলো আর সে কিভাবে নিয়োগ পেল। স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বঞ্চিত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যারা এই নিয়োগ দিচ্ছেন তারা শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাস করেন না। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন না।”
বাটকেখালী স্কুলে নিয়োগ প্রার্থী শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ হাসানুর রহমান এবং মোঃ রবিউল ইসলাম দৈনিক আজকের সাতক।ষীরাকে নিশ্চিত করেন যে, তারা তিনজন ছাড়া আর কেউই ওইদিন নিয়োগ বোর্ডের সম্মুখে উপস্থিত হননি। মমিনুর যদি হাজির হতেন তাহলে তারা অবশ্যই জানতেন।
নিয়োগ বোর্ডে থাকা আরেক সদস্য ইনামুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মমিনুর নামে কেউ ওইদিন হাজির ছিলেন এমনটি নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি পেন্সিল দিয়ে নম্বর দিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে জানান ইউএনও সাহেব তাকে তেমনিটিই নির্দেশ দিয়েছিলেন। পেন্সিল দিয়ে নম্বরদিতে এবং কলম দিয়ে স্বাক্ষর দিতে তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এসকল তুঘলকি কা- কিভাবে ঘটল তা জানতে সাতক্ষীরা সদর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃ নূর হোসেন সজল দৈনিক আজকের সাতক্ষীরাকে বলেন, এমনটিতো হওয়ার কথা নয়। তবে দাপ্তরিক বিষয় এবং আবেদনপত্র সংরক্ষণ সকল বিষয়ের দায়িত্ব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সুতরাং বিষয়টি তিনিই বলতে পারবেন।
অন্যদিকে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমি কাগজপত্র না দেখে বিষয়টি বলতে পারছি না। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানাতে পারব।
তবে পরীক্ষা না দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার এ অভিযোগ সত্য হলে বলতে হবে টাকা দিয়ে সত্যিই বাঘের দুধ কিনতে পেরেছেন মমিনুর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে এসেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান। চীনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সালমান এফ রহমানের নাম উঠে এসেছে।

হুরুন গ্লোবাল বলছে, বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ ধনকুবের রয়েছেন দুই হাজার ২৫৭ জন। ৬৮ দেশের শীর্ষ ধনকুবেরদের এই তালিকায় বাংলাদেশি হিসেবে সালমান এফ রহমান রয়েছেন ১৬৮৫তম অবস্থানে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার বলে হুরুন গ্লোবাল জানিয়েছে।

হুরুন গ্লোবালের চেয়ারম্যান হুজওয়ার্ফ বলেছেন, বিশ্বের সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ধনকুবেরদের হাতে। তবে ধনকুবেরদের জন্য এটি আরেকটি ভালো বছর। তালিকার ১০৩৭ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছরের ধনকুবের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৩৪৩ মুখ। তবে এর মধ্যে ৭৪০ জনের সম্পদের পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়া গত বছরের তালিকায় থাকা ২৭৬ জন তাদের জায়গা হারিয়েছেন।

এছাড়া ধনকুবের রাজধানী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছে বেইজিং। হুরুন গ্লোবালের ওই তালিকায় ৬০৯ ধনকুবের নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন; দ্বিতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র (৫৫২ ধনকুবের)। হুজওয়ার্ফ বলেছেন, বিশ্বের অর্ধেক ধনকুবের রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে।

গত বছর আরব আমিরাত থেকে ১৬ জন ধনকুবেরের নাম উঠে এলেও এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২১। দেশটির অবস্থান ১৯। জিসিসিভুক্ত অন্য দেশগুলো থেকে কোনো ব্যক্তি এই তালিকায় জায়গা পায়নি।

তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ধনীর ৮ জনই যুক্তরাষ্ট্রের। মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটস এ বছরও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হিসেবে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ৮১০০ কোটি ডলার।

এরপরই আছেন ওয়ারেন বাফেট, জেফ বেজশ, আমানসিও ওর্তেগা, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, লেরি ইলিসন, কার্লোস স্লিম হেলু ও তার পরিবার, ডেভিড কোচ, চার্লস কোচ ও মাইকেল ব্লুমবার্গ। তবে শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় এ বছর নতুন কোনো মুখ জায়গা পায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

03আমিনুর রশিদ সুজন : আলিপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামবাসীকে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে বাল্য বিবাহ একটি মেয়েকে সুন্দর জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আপনারা তাদেরকে লেখাপড়া করান। লেখাপড়া তাদের উজ্বল ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করবে। এছাড়াও আপনাদেরকে মাদক থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ মাদক একটি জাতি, সমাজ ও দেশকে ধ্বংস করে দেয় এমনকি দেশের উন্নয়নকে বিঘিœত ঘটায়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে হত দরিদ্রদের মাঝে সুলভ মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে চাউল বিতরন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্যক্তবে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নূর হোসেন সজল এর সভাপতিত্বে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানে সার্বিক সহযোগিতায় ও খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং আলিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মহিবুল্লাহ সরদার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুজিত কুমার মুখার্জি, আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ছোট, আলিপুর ইউনিয়ন আ’লীগ এর সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, আলিপুর সেন্ট্রাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ও ইমরুল কবির।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, আবুল কাশেম ও পুলিশিং ফোরাম এর ওয়ার্ড সভাপতি বদিউজ্জামান বাবলু প্রমুখ। উল্লেখ্য সপ্তায় ৩দিনের ব্যবধানে ১০টাকা কেজি হারে জন প্রতি ৩০ কেজি চাউলের বস্তা বিতরণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01 নিজস্ব প্রতিবেদক : মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন লিয়াঁেজা কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ কমিটির আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ শেষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ও লিয়াজো কমিটির আহবায়ক মোঃ রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিব বিএম শামছুল হক, সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার, মিজানুর রহমান, আব্দুল হক, আমিনুর রহমান, সহ-সম্পাদক ঈদুজ্জামান ইদ্রীস, আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মনোরঞ্জন মন্ডল, আবুল কাশেম, জেলা সম্পাদক মোঃ শফিউদ্দীন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল রকিব, আজাহারুল হক, শাহজাহান আলী, সহকারী শিক্ষক নাজমুজ শাহাদাত পলাশ, আশরাফুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, বর্তমান বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবহিকতা অব্যহত রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা চাকরির নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার। শুধু শিক্ষকরা নয় শিক্ষার্থীরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সরকারের বার্ষিক ব্যয় ৬৭৯৮ টাকা আর বেসকারি স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সরকারের বার্ষিক ব্যয় ১৯৪৮ টাকা। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবনেই সরকার থেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এটি একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ের চাকরিজীবীদের কমবেশি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও এমপিও-ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কোনো বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নেই। একবার শিক্ষকতায় প্রবেশ করলে অবসর গ্রহন পর্যন্ত ঐ একই পদে কর্মরত থাকতে হয়। পদোন্নতির সুযোগ নেই। বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের 02বেতন স্কেলে এমপিও পেলেও বেসকারি স্কুরের প্রধান শিক্ষক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলে এমপিও পান না। এ বৈষম্যমুলক অবস্থায় কর্মরতদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের তথা ক্ষুধা- দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের নাগরিকদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মানব সম্পদে পরিণত করার জন্য আগামী অর্থ বছরের মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
তালা প্রতিনিধি : বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে সাতক্ষীরা তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তালা উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ কমিটি পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এর পূর্বে তালা ডাক-বাংলা চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয়করণ লেয়াজোঁ কমিটির তালা উপজেলা শাখা আহবায়ক আনন্দ মোহন হলদার, সদস্য সচিব মুকুন্দ কুমার রায়, শিক্ষক মতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর হাসান, জুলফিকার আলী, আবু তালেব, হাফিজুর রহমান,  নিছার আলী, রতœা রানী চন্দ্র, শ্যামল চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, মালি মোসলেম উদ্দিন, আমিনুর রহমান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, সারা দেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৭ ভাগ পাঠদানে নিয়োজিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা চাকরির নিরাপত্তা মর্যাদা ও অর্থনৈতিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fancidil-1-medium
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ দু’ মাদক ব্যবসায়িকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয় মাদক বহনকারি পিকআপটিও। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সদরের শেখ আমানুল্লাহ কলেজ সংলগ্ন সাতক্ষীরা-যশোর সড়ক থেকে এসব আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়িরা হলেন, পিরোজপুর জেলা সদরের নাজিরপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে রাসেল (২৫) ও যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জিয়াউর রহমান (২৬)। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সামনে যশোরগামী একটি পিকআপ ভ্যানকে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। এসময় ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fc494a61675282cbbf58642a43a0ba5d-58c106db0822fউইকেটরক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে বেশ হালকা মেজাজেই খেললেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় দিন হাফসেঞ্চুরি মেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে অপর প্রান্তের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরতে দেখলেও ধীরস্থির খেলেছেন তিনি। ১০৭ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে ক্যারিয়ারের ১৬তম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস পেলেন মুশফিক। ৭৫ রানে অপরাজিত তিনি। ৯০.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে২৯৮ রান করেছে বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামলাতে অধিনায়কের সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়ে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হয়েছেন ৪১ রানে।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা হবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সময় যতই বাড়বে ততই স্পিনে সুবিধা পাবে শ্রীলঙ্কা। আর তাই প্রথম সেশনটা দেখেশুনে খেলার পক্ষপাতী ছিলেন সফরকারী কোচ। তবে সেটা মানতে পারলে তো! বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনেই চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় দিন সকালটা ভালো শুরু হয়নি বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার তৃতীয় ওভারেই সৌম্য সরকারকে আউট হতে হলো। একটু মারকুটে ব্যাটিং করে তাকে অনুসরণ করেছেন সাকিব আল হাসানও।

এদিন মাত্র ৫টি রান যোগ করতে পেরেছেন সৌম্য। ২ উইকেটে ১৩৩ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৪৯৪ রানের জবাবে বুধবার তামিম ইকবালের বিস্ময়কর আউট ছাড়া বাংলাদেশ ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিল। সৌম্য তার ফিফটিকে সেঞ্চুরি বানানোর পথেই ছিলেন। কিন্তু ৬৬ রানে দিন শুরু করা এ ব্যাটসম্যান নতুন দিনে বেশিদূর এগোতে পারলেন না। কোমড় সমান উঁচুতে আসা সুরাঙ্গা লাকমলের বলটি পুল করতে গিয়ে সোজা ফাইন লেগে তালুবন্দি হন সৌম্য। ৭১ রানে তাকে থামতে হয় লাহিরু কুমারার ক্যাচ হয়ে।

একটি করে চার ও ছয় মেরে লাকসান সান্দাকানের বলে লেগে উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলার ক্যাচ হন সাকিব। ১৯ বলে থামে তার ২৩ রানের ইনিংস। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কিছুক্ষণ পর আরেক ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরতে দেখলেন। ২৬টি বল খেলে মাত্র ৮ রানে আউট হলেন মাহমুদউল্লাহ। লাহিরু কুমারার বলটি তার অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। মাত্র ১৩ বল খেলে ৫ রানে আসেলা গুনারত্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষকের উইকেটটি নেন লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ।

লাঞ্চের চার বল আগে আরেকটি উইকেটের পতন হতে পারত বাংলাদেশের। সান্দাকানের বল তুলে মারেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়ানো গুনারত্নে সহজ ক্যাচটি ছেড়ে দেন। ১১ রানে জীবন পেয়ে প্রথম সেশন শেষ করেন মিরাজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

be694f11139bfd82565d38c625ba5b6d-58c0fb0a3ea2eদেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ শিশু কিডনি রোগে আক্রান্ত। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এই সংখ্যা। জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের শিশু ইউনিট,কিডনি ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও শিশু কিডনি রোগীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,দেশে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ৪৫ শতাংশ। সঠিক পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, শারীরিক ব্যায়ামসহ খেলাধূলা না করা এবং স্থূলতা শিশুদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার প্রধান কারণ।

বারো বছরের কিশোর সুপ্রিয় সিনহা। এই বয়সে তার বই হাতে স্কুলে যাবার কথা। বিকাল হলে খেলতে যাবার কথা। কিন্তু সে এখন জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশনের বেডে শুয়ে দিন কাটাচ্ছে। অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় তার কিডনি  প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

কেবল সুপ্রিয় সিনহাই নয়, সাত বছরের বাবুল, ১৩ বছরের নাজিয়া, ১৫ বছরের মোতাহারসহ অনেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের কারও কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আবার কেউবা কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করে বেঁচে আছে।

কিডনি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা.মঈনুল খোকন বলেন,‘প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থূলতাজনিত কিডনি রোগে আক্রান্ত শিশুরা হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে। যা সত্যিকার অর্থেই উদ্বেগজনক।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি দশ জনে একজন কিডনি রোগী। বাংলাদেশে এই হার প্রতি সাত জনে একজন। সারাবিশ্বে বয়স্কদের মধ্যে এ হার শতকরা ৪০ শতাংশ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এ হার ক্রমাগত বেড়ে চলছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে এই স্থূলতার হার শহুরে শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং গ্রামের শিশুদের মধ্যে ৮ শতাংশ।’

ডা. মঈনুল খোকন বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় যদি রোগ শনাক্ত করা যায় এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে শিশুদের কিডনি রোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব।’ শিশুদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো কী কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রস্রাব কমে যাওয়া, ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া, খাবারে অনীহা, দীর্ঘসময় জ্বরে ভোগা শিশুদের কিডনি আক্রান্ত হবার অন্যতম কারণ। কিন্তু অনেক সময়ে অভিভাবকেরা এগুলো বুঝতে পারায় যথাসময়ে প্রিভেনশন করা সম্ভব হয় না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান  ও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি)-এর জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে বর্তমানে শিশুদের স্থূলতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায়, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস, শিশুদের কায়িক পরিশ্রম সম্পন্ন খেলাধুলার অভাব এবং বর্তমানে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে এই স্থূলতার হার ক্রমাগত বেড়েই চলছে। ফলে শিশুরা উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিজনিত রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘একটু জ্বর কিংবা যে কোনও ব্যাথায় অভিভাবকেরা অনেক সময়ে একটি ব্যাথার ট্যাবলেট খাইয়ে দেন শিশুদের, যেটা শিশু কিডনি রোগের অন্যতম কারণ। বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা যায়, পেইন কিলার ওষুধগুলো এ রোগের অন্যতম উপসর্গ হিসেবে কাজ করে। তাই অভিভাবকদের এ প্রবণতা রোধ করতে হবে। একইসঙ্গে শিশুদের কোমল পানীয়, ফাস্ট ফুড, জাঙ্কফুড খেতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিশুদের খেলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে খোলা মাঠে। তাদের মোবাইল নিয়ে খেলা এবং টিভি দেখার সময় কমিয়ে দিতে হবে। শিশুরা যত বেশি স্থূল হবে, ততো এ রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest