দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের সকল সভাপতি এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে ২০১৬-১৭ সালের গ্রামীণ অবকাঠামো সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নের প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, কুলিয়ার প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকার, ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম হোসেন, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রকল্প সভাপতি আব্দুল হান্নান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, মুজিবর রহমান, নির্মল কুমার মন্ডল প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য শরিফুল মোল্যা, মিজানুর রহমান, আবুল কাশেম, আকবর আলী, আছাদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, জগন্নাথ মন্ডল, আসমাতুল্লাহ আসমান, হাফিজুর রহমান হাফিজ, শাহানাজ পারভীন, শ্যামলী রানীসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতিরা। এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলমান গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সকল উন্নয়ন কর্মকা- সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়াসহ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া সকল কাজ সঠিক ভাবে সময়মত শেষ করা অনুরোধ করা হয়। চলমান প্রকল্পে কোন প্রকার অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে বলেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

মা মলি রাণী (৩৭) ও ছেলে মৃন্ময় কুমার (১৬) একসঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, ছেলেকে টপকে গেছেন মা। মা পেয়েছেন জিপিএ–৪.৫৩, আর ছেলে পেয়েছে জিপিএ–৪.৪৩। মা-ছেলে পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে ভালো ফলের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২৩৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭০ জন, এ গ্রেড ১৩৯ জন, এ মাইনাস ১৯ জন, বি গ্রেড ৬ জন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মানোয়ারা খাতুন বলেন, আমাদের স্কুলে এ বছর ভাল ফলাফল করেছে। আমরা আশা করি আগামীতে এর চেয়ে ভাল ফলাফল করবে। শিক্ষার্র্র্থীরা যাতে লেখা পড়ায় উৎসাহী হয় সে ব্যাপারে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে আরো উৎসাহিত করব। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩২ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০০ জন, এ গ্রেড ১১৭ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ১ জন। এবিষয় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইসমত আরা বলেন, পরীক্ষায় আমাদের স্কুলের মেয়েরা ভাল ফলাফল করেছে। পরীক্ষারত অবস্থায় একজন শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্খিত মৃত হওয়ায় সেই একজনের ফলাফল আসেনি। তা না হলে স্কুলের ফলাফল শতভাগ গত। আশা করি আগামীতে এর চেয়ে ভাল ফলাফল করবে। সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসির পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৩৪ জন, এ মাইনাস ৩৩ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ১০জন এব্ং সি গ্রেড পেয়েছে ২জন। সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮জন। এর মধ্যে এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ৮ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ৪জন। এবং তিনটি বিষয় অকৃতকার্য হয়েছে ১জন ও একটি বিষয় অকৃতকার্য হয়েছে ২জন। এব্যাপারে সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তাফা শামছুজ্জামান বলেন, আমি মাদ্রাসায় দায়িত্ব পাওয়ার পরে আমি চেয়েছি পরীক্ষা যাতে নকল মুক্ত হয়। আর শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে আসে সেজন্য আমি চেষ্টা করেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা কি ফলাফল করবে সেটা আমি ভাবিনি। এব্যাপারে পরীক্ষার কেন্দ্রীয় সচিব ছিলেন গোদাঘাটা মাদ্রাসার সুপার আলতাফ হোসেন এর সাথে কথা বলার জন্য তিনি বলেন। আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের দাখিল পরীক্ষার ফলাফলের বিষয় বললে তিনি এ ব্যাপারে এড়িয়ে যান। চেউটিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৬জন। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড পেয়েছে ১৬ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ৮ জন। পাশের হার শতভাগ।
হাসান হাদী : সাতক্ষীরা সদর থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন ইনস্পেক্টর মারুফ আহমেদ। তিনি আজ দুপুর ১.৩০টায় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যোগদান করেই তিনি সাতক্ষীরা সদর থানাকে জনবান্ধব থানা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘সেবা মাস সবার তরে, সহযোগিতা বছর ধরে ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রাহক বৃদ্ধি ও গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার সেবা মাস-২০১৭ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখা ভবনে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডর ভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক পৌর মেয়র এম.এ জলিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. খায়রুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ও আব্দুর রশিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার এস.পিও মো. মাহবুবুর রহমান ও মো. মতিউর রহমানসহ আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডর কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও গ্রাহকবৃন্দ। এসময় আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডর শাখা ব্যবস্থাপক উপস্থিত সকল গ্রাহকদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার ২৯ হাজার গ্রাহকের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. রবিউল ইসলাম।