সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

001আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা শ্রমিক লীগ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন সংগঠনের খন্ড খন্ড র‌্যালিতে সাতক্ষীরা শহর মুখরিত করে তোলে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসন একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে । র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন । র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্প কলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। এর পর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।
এদিকে, সকাল ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।

অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৯ টায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের একটি র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শ্রমিকদলের এ র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুস সামাদ ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

f5721c6ccb40fe3ec8786e5ca5756664-5905fd31179d8বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। কারণ বাদাম শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া বাদামে রয়েছে কয়েক ধরনের ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ক্যালশিয়াম, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। তবে সরাসরি বাদাম না খেয়ে ভিজিয়ে খেলে এর গুণাগুণের পরিমাণ বেড়ে যায়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, খোসাসহ বাদাম খাওয়ার চাইতে খোসাছাড়া বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ বাদামের খোসায় এনজাইম ইনহিবিটর নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা বাদামের জন্য ভালো। কিন্তু  শরীরের জন্য ভালো না।

যে কারণে ভিজিয়ে বাদাম খাওয়া উচিত-

১. বাদামের খোসায় ট্যানিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। ফলে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়া বাদাম খেলে এই সমস্যা হয় না।

২. খোসাসহ বাদামের স্বাদ খুবই বিরক্তিকর। অথচ বাদাম ভিজিয়ে রাখলে খোসা সহজেই তোলা যায় আর খেতেও ভালো লাগে।

৩. অনেকেই দুধের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু খোসাসহ বাদাম দুধে সহজে মিশে না। স্বাদের পরিবর্তন হয় যা খেতে ভালো লাগে না। তবে খোসা ছড়ানো বাদাম এক্ষেত্রে অনেক ভালো।
৪. ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে ভিটামিন বি-১৭ এর মতো গুরুত্বর্পূর্ণ উপাদান পাওয়া যায় ভেজানো বাদামে।
৫. বাদাম ভিজিয়ে রেখে খেলে শরীরে ফলিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই উপাদানটি বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটি ও সমস্যায় প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

৫. বাদাম ভিজিয়ে রাখলে আলফা টোকোপেরল নামে এক ধরনের উপাদান বৃদ্ধি পায়। এটা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

এছাড়া জেনে রাখা ভালো, বাদাম খাওয়ার আদর্শ সময় হচ্ছে সকালের নাস্তা খাওয়ার আগ মুহূর্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ১৫০ ক্যালোরির ১২ গ্রাম বা ২২-২৩টি বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। কারণ বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে যা ক্ষতিকর ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।  তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ecNaEX_ssশেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : প্রতি বছর মে মাসের ০১ তারিখে আর্ন্তজাতিক মে দিবস পালন করা হয়।  বিভিন্ন শ্রমিক সংঘটন এবং অনেক রাষ্ট্র এ দিবস গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে । এই ধারাবাহিকতা বাজায় রেখে বাংলাদেশেও মে দিবস পালন করা হয়।  দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে থাকেন। ১৮৮৬ সালে শিকাগোর মে মাসের ঘটনা পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশের  বিভিন্ন শ্রমিক সংঘটানের উদ্যেগে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, মে দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সংবাদপত্রগুলি বিশেষ ক্রোড়-পত্র প্রকাশ করে থাকে এছাড়াও বিভিন্ন শ্রমিক সংঘটনের উদ্যেগে মে দিবসরে ভাবমূর্তি এবং অতীতের সংগ্রামে অর্জিত বিজয় উদযাপনে শ্রমজীবি মানুষরা মাথায় রং-বেরংয়ের কাপড় বেঁধে নানা রঙের ফেস্টুনসহ  মিছিল-শোভাযাত্রা বের করে, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনার ব্যবস্থা থাকে এবং পত্র-পত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই দিনে শ্রমিকরা মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করে তাদের ক্ষোভ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নয়, বরং অতীতের সংগ্রামে তাদের অর্জিত বিজয় উদ্যাপনের জন্য মুলত এ দিবস পালন করে থাকেন।
মে দিবসরে উৎপত্তি ঘটে ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোর রাস্তায় সংঘটিত ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাবলি থেকে । মূলত  আট ঘণ্টার শ্রমদিবস, মজুরি বৃদ্ধি, কাজের উন্নততর পরিবেশ ইত্যাদি দাবিতে ০১ মে একটি শ্রমিক সংগঠন শিল্প ধর্মঘটের ডাক দেয়। সে সময় বর্বর পন্থায় এই ধর্মঘট দমন করা হয়। পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানা মালিকগণ এ দাবী মেনে নিল না। ৪ঠা মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্যএকজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন, “আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে”। ২৬শে জুন, ১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি।
১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণি কর্তৃক উদ্যাপিত হয়ে আসছে। রাশিয়ায় এবং পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (International Labour Organisation, ILO) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকারসমূহ স্বীকৃতি লাভ করে। আইএলও কতগুলি নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে এবং সকল দেশে শিল্পমালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহবান জানায় এবং এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

de6267f08e411c61d8d42d5ca35e9e6a-57679a3c4c83f.jpegআইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভূমি আইন ও ব্যবস্থা বিভাগের উদ্বোধন ও নবীনবরণ-২০১৭’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি বলেই মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি।’
এসকে সিনহা আরও বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে এমনকি ভারত, পাকিস্তানের মতো দেশে নিম্ন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলি, সবই করে থাকে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু বাংলাদেশে এটি দেখা যায় না। আমাদের সংবিধানে জুডিশিয়াল রিভিউর ক্ষমতা একমাত্র সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া হয়েছে। সংবিধান বলছে, কোনও আইন অন্য প্রচলিত আইনের পরিপন্থী হলে তা বেআইনি হয়ে যায়।’
জবি কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আইন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মধ্যে ভূমি আইন হচ্ছে আইনের মূল স্তম্ভ। কিন্তু ভূমি আইনের জটিল বিষয় সম্পর্কে অনেক আইনজীবীরই জানা নেই। এ দেশের বেশিরভাগ ভূমি আইন ব্রিটিশ শাসনামলে করা, যেগুলোর বেশ কয়েকটি ক্রটিপূর্ণ। তাই ভূমি আইন সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ প্রকৃত আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিক ও কৃষকরা। তাই মাটি ও মানুষের পক্ষে আইন করতে হলে ভূমি আইন জরুরি।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কোনও দেশের প্রধান বিচারপতি এত কথা বলেন না মন্তব্য করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাকে ইঙ্গিত করেই জবিতে ‘ভূমি আইন ও ব্যবস্থা বিভাগের উদ্বোধন ও নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি কথাগুলো বলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এ আয়োজনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান খ্রিস্টিন রিচার্ডসনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরেক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

f3ac7e6ca837cb9c3ada404f8be6a84d-59063430be6b7কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেন্সে হারের শোধ ভালোভাবে নিজেদের মাঠে তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের দশম আসরে রবিবার ডেভিড ওয়ার্নারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর তোলে, যেটা টপকাতে পারেনি কলকাতা। তাদের বিপক্ষে হায়দরাবাদ জিতেছে ৪৮ রানে।

রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শীর্ষ দল ও তিন নম্বর দলের লড়াইটা হয়েছে একপেশে। যেখানে নায়ক শুধুই ওয়ার্নার। আইপিএলের অন্যতম ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেছেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক। শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে ১৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ওয়ার্নার। অজি ওপেনার মাত্র ৪৩ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে শতক হাঁকান। তার দুর্দান্ত ইনিংস শেষ হয় ৫৯তম বলে। ক্রিস ওকসের বলে কলকাতা অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের ক্যাচ হওয়ার আগে ১০ চার ও ৮ ছয়ে ১২৬ রান করেন ওয়ার্নার।

শেষদিকে কেন উইলিয়ামসন ২৫ বলে ৫ চারে ৪০ রান করলে হায়দরাবাদের স্কোর হয় ৩ উইকেটে ২০৯ রান।

লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে রবিন উথাপ্পা ও মনীষ পান্ডে যা একটু চেষ্টা করেছেন। কলকাতা ৭ উইকেটে ১৬১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। উথাপ্পা ২৮ বলে ৫৩ ও মনীষ ৩৯ রান করেন ২৯ বলে।

সিদ্ধার্থ কৌল, মোহাম্মেদ সিরাজ ও ভুবনেশ্বর কুমার ২টি করে উইকেট নিয়ে কলকাতার লাগাম টেনে ধরেছিলেন।

এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই রইল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ। আর হেরে গিয়ে শীর্ষে থাকলেও সেটি হারানোর শঙ্কায় কলকাতা। তাদের সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সোমবার বিকালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে স্বাগত জানাবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জিতলেই আবার কলকাতাকে টপকে এক নম্বরে উঠবে তারা। সূত্র- ক্রিকইনফো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9cca7c7ec1b205f64addf670962b0e21-590618dfd64deদেরিতে হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানার শ্রমিকদের জন্য সুখবর আসছে। তাদের জন্য শিগগিরই ঘোষণা আসছে নতুন মজুরি কাঠামোর। সরকারি চাকরিজীবীদের মতো গড়ে শতভাগ মজুরি বাড়ানোর সুপারিশ করে শ্রমিকদের এই মজুরি কাঠামো মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন। মজুরির পাশাপাশি অন্যান্য ভাতা বিভিন্ন হারে বাড়ানো ও স্থায়ী কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সরকারের সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বাধীন এই কমিশনের প্রতিবেদনে থাকছে বৈশাখী ভাতা ও দুর্গম ভাতা। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেই এই মজুরি কাঠামো কার্যকর করা হবে। জাতীয় বেতন স্কেলের মতো শ্রমিকদের এই মজুরি কাঠামো ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত শিল্প শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো নির্ধারণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ায়ে অধীনে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ গঠন করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয় সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকে। ওই কমিশন গত বছর ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেয়। ১৮ সদস্যের কমিশন ১৯টি বৈঠকের মাধ্যমে গত ২৮ মার্চ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। এরপর সুপারিশসহ নতুন মজুরি কাঠামো জমা দেয় শ্রম মন্ত্রণালয়ে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে গেছে, কমিশন ‘জাতীয় বেতন স্কেল- ২০১৫’ এবং ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০’কে ভিত্তি করে সুপারিশ চূড়ান্ত করে। সুপারিশ তৈরির আগে কমিশন রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি করপোরেশনের ১৪টি প্রতিষ্ঠানে জরিপ চালায়।

মজুরি কাঠামো তৈরি ও সুপারিশ করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সঙ্গতি, মুনাফা, উৎপাদন ক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, জীবনধারণের ন্যূনতম প্রয়োজন, মাথাপিছু আয় ও তুলনীয় সামাজিক গোষ্ঠীর আয়, শ্রমিকদের যৌক্তিক সংখ্যা নির্ধারণ, উৎপাদনশীলতা ও মজুরির ওপর প্রভাব, উৎপাদন ব্যয় ও এর প্রতিযোগিতার ক্ষমতা ও  আর্থ সামাজিক দিক বিবেচনায় নেয় কমিশন।

সুপারিশ চূড়ান্ত করার সময় কমিশন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান লোকসানি হলেও বাস্তবতা বিবেচনা করে শ্রমিকদের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য মজুরি কাঠামো ও ভাতা দেওয়ার সুপারিশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন।’ এ বিষয়ে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হওয়ার আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি, যুগের চাহিদা বিবেচনায় মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন কিছু সুপারিশ করেছি। বার বার যেন কমিশন গঠন করতে না হয়, সে ধরনের সুপারিশও আমাদের প্রতিবেদনে রয়েছে।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা কমিশনের সুপারিশ পেয়েছি। তবে সুপারিশে কী রয়েছে, তা এখনও দেখা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা সময় চেয়েছি। তিনি সময় দিলে তার সঙ্গে দেখা করে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মজুরি কাঠোমো হস্তান্তর করব। এরপর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’ মে মাসের মধ্যে এটা হতে পারে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
কমিশনের সদস্য মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ করে সরকারকে দিয়েছি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।’

কমিশনের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সুপারিশ চূড়ান্ত করেছি। জাতীয় বেতন স্কেলের মতো আগে থেকেই কার্যকর করার সুপারিশ রয়েছে। জাতীয় বেতন স্কেলের মতো শ্রমিকদের মজুরিও গড়ে শতভাগ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। তবে বাস্তবায়ন কী হবে, তা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিষয়ে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে।’

উল্লেখ্য, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১০-এ রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানার শ্রমিকদের মজুরি প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ওই সময় তাদের সর্বোচ্চ মজুরি পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ১৫০ টাকা ধরে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন কমিশনের প্রতিবেদনে কলকারখানার শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ১১ হাজার ও সর্বনিম্ন প্রায় সাড়ে আট হাজার টাকা বেতন পুনঃনির্ধারণের সুপারিশ রয়েছে বলে জানা গেছে। শ্রমিকদের মজুরিতে চলমান ১৬টি ধাপ থেকে কমানোর সুপারিশও রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানায় বর্তমানে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

222123132আশাশুনি ব্যুরো : রবিবার দুপুরে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিমের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান এড. শহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, স ম সেলিম রেজা মিলন, ইঞ্জি: আ ব ম মোসাদ্দেক, প্রভাষক মোনায়েম হোসেন, দিপংকর কুমার সরকার, আ: আলিম মোল্যা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অরুন কুমার ব্যানার্জী, উপজেলা প্রকৌশলী শামিম মুরাদ, পিআইও সেলিম খান, শিক্ষা অফিসার মোসা: শামসুন নাহার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আশাশুনি টু শ্রীউলা সড়ক সংস্কার, বলাবাড়িয়াসহ বিভিন্ন পাউবো ভেড়ীবাঁধ রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

base_1493459610-1চাঁদপুরের ছেলে তন্ময় চন্দ্র রায় (২২)। পড়ছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অসহায় জীবন কাটছে তার। বাঁচতে চান তিনি। তাকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবিএ শিক্ষার্থী তন্ময় দুরারোগ্য ‘অ্যাকিউট অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’ রোগে আক্রান্ত। তার অস্থি-মজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে। ঢামেকে ডা. এম আর খানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। যত দিন যাচ্ছে অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে।

দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ওষুধসহ চিকিৎসার আনুসঙ্গিক ব্যয়েও প্রয়োজন অনেক টাকা। এ বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দেয়া তন্ময়ের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।

তন্ময়ের বাবা সুকুন চন্দ্র রায় পেশায় স্কুল শিক্ষক। মা গৃহিনী। দু ভাই এক বোনের মধ্যে বড় ভাই মারা গেছেন। একমাত্র বোন পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগে। স্কুল শিক্ষক বাবার আয়েই চলছে পুরো পরিবার ও দু ভাই-বোনের লেখাপড়া। তাই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব।

ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী তন্ময়কে বাঁচাতে সহায়তা চেয়েছেন তার পরিবার। এগিয়ে আসাতে অনুরোধ করেছেন সমাজের সব হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিকে। তন্ময়ের চিকিৎসায় সহযোগিতা দিতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন ০১৭১৫-৮৬২১৯১ ও ০১৭১৫-১৩২৮১৫ নম্বরে।

আর্থিক সহায়তা পাঠানোর মাধ্যম-

বীনা রানী বিশ্বাস
একাউন্ট নং: ১০৫.১৫১.০১৩১২৭০
ডাচ বাংলা ব্যাংক
মতিঝিল ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা

বিকাশ নাম্বার:
০১৭১৫৮৬২১৯১
০১৬৭৫২৯৩০৫২

রকেট নাম্বার:
০১৬৭৫২৯৩০৫২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest