সর্বশেষ সংবাদ-
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামী এ এস পি আরিফুজ্জামান ভারতে গ্রেফতারদেবহাটায় বৃদ্ধার ওয়ারেশকাম না দিয়ে হয়রানির অভিযোগআশাশুনিতে নারী-শিশু – কিশোরীদের জলবায়ুজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রশিক্ষণবুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক ওয়ার্ড সম্মেলনপ্লাস্টিক দূষণ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবেডি.বি. ইউনাইটেড হাইস্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণতালায় যুবদল নেতাকে জবাই করে হত্যাসাতক্ষীরায় গোলপাতা রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনবুধহাটা বাজারে বিডি ক্লিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানদেবহাটায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরনে প্রতিবাদ সমাবেশ

_95591938_3eb5045d-2605-4f24-bdf8-d9bd17d9badbদুধ না খেলে কী হয়? এনিয়ে গবেষণার অন্ত নেই।

মানবদেহের হাড় বিষয়ে গবেষণা করে এমন একটি ব্রিটিশ সংস্থা বলছে, তরুণ বয়সে যারা দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার পরিহার করে তাদের জন্য ভবিষ্যতে বিপদ আছে।

জরিপে দেখা গেছে যাদের বয়স ২৫ বছরের কম তাদের মধ্যে পাঁচ ভাগের এক ভাগ তাদের খাদ্য তালিকা থেকে দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবার বাদ দিচ্ছেন।

এর ফলে অনেক তরুণ তাদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে কেউ যদি দুধ খেতে না চায় তাহলে দুধের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বিকল্প খাবার খাওয়া উচিত। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির এবং দই ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস যেটি শক্ত হাঁড় গঠনের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়।

তবে তরুণরা খাদ্য তালিকা থেকে দুধ কেন বাদ দিচ্ছে তার পরিষ্কার কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না ।

মানবদেহের হাঁড় নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থাটি বলছে, অনেক তরুণ তাদের খাদ্য তালিকার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট ব্লগ থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে।

ব্লগ থেকে নেয়া তথ্য অনেক সময় বেশ ভালো। তবে অনেকে তাদের খাদ্য তালিকা নিয়ে বেশি সতর্ক থাকেন। কোনটি খাবেন আর কোনটি খাবেন না সে বিষয়ে তারা অতিমাত্রায় সতর্ক থাকেন।

ব্রিটেনে খাদ্যের মান নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি সংস্থা বলছে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা জানিয়েছেন গরুর দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার তাদের জন্য সহনীয় নয়।

গবেষণায় দেখা গেছে গরুর দুধ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস।

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন ৭০০ গ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। তবে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিদিন এক হাজার গ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।

কিন্তু ব্রিটেনে এ বয়সীদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ দিনে ৪০০ গ্রামের নিচে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে।

তরুণ বয়সে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে তার প্রভাব পড়ে বৃদ্ধ বয়সে। বিশেষ করে ৫০ বছরের পর থেকে বেশ দ্রুত হাঁড় ক্ষয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

তবে এ প্রবণতা নারীদের ক্ষেত্রে আরো বেশি তৈরি হয় বলে গবেষণা থেকে জানা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা যে শুধু দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থেকেই গ্রহণ করতে হবে বিষয়টি সে রকম নয়। অন্য উৎস থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া গেলেও সেটি শরীরের জন্য ভালো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

61fa9288c62f9c484129d03f8d941e39-58ece9328c8b1হ্যাঁ, মুখোমুখিই তারা। বাংলাদেশের জয়া আহসান আর ভারতের বিদ্যা বালান। তাদের এ মুখোমুখি হওয়ার উপলক্ষ কিন্তু বেশ মজার। দু’জনই কাজ করেছেন একই গল্পে। ফারাক শুধু জয়া কাজ করেছেন বাংলা সংস্করণে আর বিদ্যা হিন্দিতে। আর এই দু’জনের মুখোমুখির সূত্রধর পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
২০১৫ সালে এ পরিচালকের আলোচিত কলকাতার ছবি ‘রাজকাহিনী’র অন্যতম চরিত্রে অভিন করেন জয়া। এ ছবির হিন্দি সংস্করণ ‘বেগম জান’-এ মাত্র কাজ শেষ করলেন বিদ্যা। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এর প্রচারণার কাজে সম্প্রতি সৃজিতের নেতৃত্বে বিদ্যা বালানকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা শহরে এসেছে টিম-বেগম জান। এই প্রচারণার ফাঁকে ১০ এপ্রিল একই গল্পের দুই ছবির শিল্পীদের নিয়ে একটি পার্টির আয়োজন করেন পরিচালক।
যেখানে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে হিন্দি ও বাংলার প্রাণখোলা আড্ডা। গতকাল সোমবার রাতে কলকাতা শহরের অ্যাক্রোপলিস মলে আয়োজন করা হয় জমকালো এই আয়োজন। সেই আসরে এবারই প্রথম বিদ্যা বালানের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয় জয়া আহসানের। বিদ্যা আগেই কলকাতার বিভিন্ন সাক্ষাতকারে বলে রেখেছেন, ‘রাজকাহিনী’তে বাংলাদেশের জয়া আহসানের অভিনয়গুণে তার মুগ্ধতার কথা। এবার প্রথম দেখা-দেখির পর জয়া আহসানকে জড়িয়ে ধরে সেই কথাগুলোই রিপিট করলেন বিদ্যা বালান।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকালে জয়া আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে কলকাতা থেকে মুঠোফোনে বলেন, ‘খুবই আনন্দময় একটা আড্ডা হয়ে গেল আমাদের। স্বাভাবিক, আমাদের মধ্যমণি ছিলেন প্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান।’

কী কথা হলো তার সঙ্গে? জয়া বলেন, ‘‘এই তো দু’জনার কুশল বিনিময়। উনার অভিনয়ের প্রশংসা করেছি। কারণ, আমি আসলেই তার ভক্ত। তবে বিব্রত হয়েছি যখন উনার মুখে আমার প্রশংসা শুনতে পেলাম। কারণ, উনি ‘রাজকাহিনী’সহ আমার আরও দু’একটি ছবি দেখেছেন সম্প্রতি। বলেছেন, তিনি নাকি আমার অভিনয়ের ফ্যান! লজ্জাই পেলাম, এ কথা শুনে।’’

জয়াকে সামনাসামনি দেখে বিস্ময় প্রকাশও করেছেন বিদ্যা। কারণ তার দেখা ‘রাজকাহিনী’র আটপৌরে রুবিনা (জয়া) আর বাস্তবের গ্ল্যামারাস জয়া আহসান নাকি পুরাই আকাশ-পাতাল।

প্রথম দেখায় জয়াকে বিদ্যা আরও বলেন, ‘আমরা দুই দেশের মানুষ। দু’জনেই অভিনয় করি। দু’জনেই দুজনের অভিনয়ের ফ্যান! এটাই বোধহয় সিনেমার আসল শক্তি।’
শেষে বিদ্যা জয়াকে তার ‘বেগম জান’ ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানান। সঙ্গে এটুকুও কথা দেন, ‘‘জেনেছি বৈশাখে তোমার ‘বিসর্জন’ রিলিজ হচ্ছে। সেটা আমি অবশ্যই দেখে নিবো।’’

প্রসঙ্গত, সৃজিতের ‘রাজকাহিনী’ ও ‘বেগম জান’ ১৯৪৭ সালে দেশভাগের প্রেক্ষাপটে নিয়ে তৈরি। ‘রাজকাহিনী’-তে জয়া ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পার্ণো মিত্র, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকার, সায়নী ঘোষ, ঋধিমা ঘোষ, দিতিপ্রিয়া রায়, এনা সাহা, কৌশিক সেন, আবীর চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, নাইজেল আকারা, কাঞ্চন মল্লিক, রুদ্রনীল ঘোষ, রজতাভ দত্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীসহ আরো অনেকে। ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় টলিউডে।
এদিকে একই ছবির গল্প নিয়ে একই নির্মাতা সম্প্রতি হিন্দিতে তৈরি করেন ‘বেগম জান’। ছবিতে বিদ্যা বালান ছাড়াও আছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, রজত কাপুর, গওহর খান, পল্লবী সারদা, ইলা অরুণ, আশিষ বিদ্যার্থী ও চাঙ্কি পাণ্ডে।
প্রযোজক মুকেশ ভাট ও মহেশ ভাটের প্রযোজনায় ‘বেগম জান’ ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ১৭ এপ্রিল। আর জয়ার অভিনীত নতুন ছবি ‘বিসর্জন’ও মুক্তি পাচ্ছে একই দিন। যেটি এরমধ্যে ভারতের সেরা বাংলা ছবির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ae318db5e24bacf28f1ef4fc303bb9c4-58edb0daa6d0cদাপুটে জয় দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলো পাকিস্তান। তৃতীয় ওয়ানডেতে শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজের ১১৩ রানের জুটিতে ক্যারিবীয়দের ৬ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা।

অবশ্য ২৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল ঘটনাবহুল! প্রথম বলেই ছিল উইকেটের পতন। শুধু তাই নয় প্রথম দিকেই মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়েন আহমেদ শেহজাদ ও বাবর আজম। ৬ ওভারেই ঘটে এসব ঘটনা। এমনকি ৩৬ রানেই পড়ে ৩ উইকেট! আর সেই দলকেই টেনে তুলেন হাফিজ ও শোয়েব মালিক। হাফিজ ৮১ রানে ফিরলেও নবম সেঞ্চুরি হাঁকান মালিক। ১১১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। যেখানে ছিল ১০টি চার ও দুটি ছয়। সঙ্গে শেষ দিকে সরফরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৪৩.১ ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজন।

এর আগে টস জিতে ৯ উইকেটে ২৩৩ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপের ৭১ ও জেসন মোহাম্মদের ৫৯ রানই ছিল উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির, জুনায়েদ খান ও শাদাব খান।

সিরিজ ও ম্যাচসেরা দুটোই হন শোয়েব মালিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491975100শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রীতিমতো অবিশ্বাস্যভাবে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার জুভেন্টাসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেও হোঁচট খেয়েছে বার্সা। হেরে গেছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে। শিরোপা জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে আরেকটি দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পই লিখতে হবে কাতালানদের।

জুভেন্টাসের মাঠে প্রায় পুরো ম্যাচেই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেননি বার্সেলোনার তারকা ফুটবলাররা। অন্যদিকে শুরু থেকেই সফরকারীদের চাপের মুখে রেখেছিলেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা। ৭ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন পাওলো দিবালা। ২২ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোল করেন জুভেন্টাসের এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৫ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনি। ম্যাচে হার নিশ্চিত হয়ে গেলেও দু-একটি গোল শোধ করতে পারলেও দ্বিতীয় লেগের জন্য কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারত বার্সেলোনা। কিন্তু সেটাও করতে পারেননি মেসি, নেইমাররা। আর এজন্য শিষ্যদের ওপর চরম চটেছেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ঠিকঠাক খেলতে পারলে যেকোনো দলকে চার গোল দিতে পারতাম। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি এতটাই রেগে আছি যে, এটা নিয়ে ভাবতেও চাই না।’

২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। এবার শেষ আটের লড়াইয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার পথে অনেকখানিই এগিয়ে গেল জুভেন্টাস। বার্সেলোনার মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারলেও সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে ইতালির অন্যতম সেরা এই ক্লাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

65656আসাদুজ্জামান : কর্মক্ষেত্রের কক্ষ সংকট ও চালকদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোন মাঠ না থাকাসহ বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও গত তিন বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা সাতক্ষীরা শাখার রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। যা বিগত তিন বছরের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সাতক্ষীরা সার্কেলের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সাল থেকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ ভবনের মধ্যে তাদের সাতক্ষীরা শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে পলাশপোলে কালেক্টরেট ভবন নির্মিত হওয়ার পর থেকে ওই কার্যালয় জেলা পরিষদ থেকে কালেক্টরেট ভবনে স্থানান্তর করা হয়। প্রথমে একটি কক্ষে কাজ চললেও পরবর্তীতে কাজের সুবিধার্থে আরো একটি কক্ষ বাড়ানো হয়। প্রথমে পুলিশ লাইন স্কুল মাঠে ও পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মাঠে  চালকের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে ২০১১ সাল থেকে টাইগার প্রজেক্ট আইডি’র মাধ্যমে নাম্বার প্লেট (সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে), চালক সনদপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সাতক্ষীরা সার্কেলের বর্তমানে সহকারি পরিচালক হিসেবে প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ, মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে মোঃ আমীর হোসেন, ম্যাকানিকাল এসিসট্যান্ট হিসেবে মোঃ আবু জামাল, অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে মোঃ নাসিরউদ্দিন কর্মরত রয়েছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩১১টি মোটরযান নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশন) , এক হাজার ৪০২টি উপযুক্ত সনদপত্র (ফিটনেস সার্টিফিকেট), ৫৪০টি সড়ক চলাচলের অনুমোদন (রুট পারমিট), ২৭ হাজার ৭৬৯টি সড়ক কর টোকেন (ট্যাক্স টোকেন), ১৫ হাজার ৫৭০টি চালক সনদপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স), ২৪ হাজার ৪৮৭টি চালকদের শিক্ষানবীশ সনদপত্র (লার্নার), ৭১০টি মালিকানা সনদপত্র দেওয়ার মাধ্যমে ৬৪ কোটি ৯১ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ ছাড়া ৬২৬টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তিন লাখ ১৭ হাজার ৯৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
অপরদিকে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরে পাঁচ হাজার ৩৪৩টি মোটরযান নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশান), এক হাজার ২৮৩টি উপযুক্ত সনদপত্র (ফিটনেস), ৩৭৪টি সড়ক চলাচলের অনুমোদন (রুট পারমিট), ছয় হাজার ৬২৮টি সড়ক কর টোকেন (ট্যাক্স টোকেন), তিন হাজার ৯৫১টি চালক সনদপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স), পাঁচ হাজার ১২৮টি শিক্ষানবীশ সনদপত্র (লার্নার) ও ১৫১টি মালিকানা সনদ প্রদানের মাধ্যমে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এ ছাড়া ৯৮৫টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে চার লাখ ৬ হাজার ৮৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
বাস মালিক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী জামায়াত শিবিরের সহিংসতার কারণে পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জেলাজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এ কারণে বিশেষ করে মোটর সাইকেল নিবন্ধন, চালকসনদ সংগ্রহের ব্যাপারে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। জোরদার করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম। কমে আসে দালালদের দৌরাত্ম্য। এসবের অংশ হিসেবে রাজস্ব আদায় বাড়তে থাকে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. শেলী ও অ্যাড. প্রবীর মুখার্জীসহ কয়েকজন জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা সার্কেলের কার্যালয়ে কক্ষ সংকটের কারণে গ্রাহক পরিসেবা ব্যহত হচ্ছে। এ ছাড়া চালক সনদ পরীক্ষা, চালকদের ব্যবহারিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে যথাক্রমে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের একটি কক্ষে ও কলেজ মাঠে নেওয়া হয়ে থাকে। একে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা হওয়া ছাড়াও গাড়ির মালিক ও চালকদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এজন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের জন্য শহরের একটি বিশেষ স্থানে নিজস্ব ভবন ও মাঠ দরকার। যার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ছাড়া এ কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্ণীতির উর্দ্ধে থেকে আরো বেশি সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বেশি বেশি করে ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে দালালমুক্ত করতে হবে। ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও অবৈধ যানবাহন চলাচলে ভ্রাম্যমান আদালতকে আরো বেশি কঠোর হতে হবে। সেজন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ জানান, ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তৎকালিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কাজ কয়েকগুন বেড়ে যায়। সে জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তা কর্মচারিদের হিমশিম খেতে হয়। তবে তাদের কাজের পাশাপাশি সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ায় জনদুর্ভোগ অনেকাংশেই কমেছে। এ ছাড়া মোটরযান সংক্রান্ত পরিসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন ও মাঠ পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই শহরের তিনটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাওয়ার জন্য খুব শীঘ্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491930734কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সমমর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে দাওরায়ে হাদিস ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবিতে মাস্টার্সের মর্যাদা পাবে।

মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক আলেম উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আলেমদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে। তাঁরাই এই স্বীকৃতির আইনি ভিত্তি দাঁড় করাবেন।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে তিন শতাধিক আলেম এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কওমি ঘরানার দেশের শীর্ষ প্রায় সব আলেম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491930562প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণে যা যা করা দরকার, তিনি তা করবেন।

মঙ্গলবার রাতে গণভবনে কওমি আলেমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই আশ্বাস দেন।

একই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো।’

ভাস্কর্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হলো কীভাবে আমরা জানি না। … আমি প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) ইতিমধ্যেই খবরটা দিয়েছি এবং খুব শীঘ্রই আমি ওনার সঙ্গে বসব এবং এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব এবং আমি নিজেও ব্যক্তিগত মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত না।’

‘তবে আমি আপনাদের বলব, আপনারা ধৈর্য ধরেন। কারণ এটা নিয়ে কোনো হৈ চৈ করা না। একটা কিছু যখন করে ফেলেছে, সেটাকে আমাদের সরাতে হবে। তার জন্য আমার ওপর অন্তত এইটুকু ভরসা আপনারা রাখবেন যে, এই ব্যাপারে যা যা করার, আমি তা করব।’

বক্তব্যে ভূমি আইনের অধীনে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা সরানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ১৯৮৪ সালে প্রথম উমরাহ করতে যাই মক্কা ও মদিনা শরিফে। ১৯৮৫ সালে আমি প্রথম হজ করতে যাই। তখন মক্কা-মদিনা শরিফে যে পরিমাণ ছোট ছোট মসজিদ ছিল এবং এত হোটেল-টোটেল, মসজিদ অনেক কিছু ছিল। আপনারা দেখেন, এখন কিন্তু কিছু নাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

g3qvsw_hasina20170411203826পয়লা বৈশাখে ইলিশ মাছ খাওয়া এবং ধরা থেকে বিরত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলন শেষে উঠে সাংবাদিকরা যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী কথা ‘কথা আছে’ ‘কথা আছে’বলে তাদের থামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘পয়লা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ইলিশ খাবেন না, ইলিশ ধরবেন না।’

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পয়লা বৈশাখে খিচুড়ি, সবজি, মরিচ ভাজা, ডিম ভাজা ও বেগুন ভাজা খাওয়ার পরামর্শ দেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest