27-2-17_743x600দেবহাটা ব্যুরো: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবহাটা টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া উপজেলার দাদপুর গ্রামের কাজল সরদারের পুত্র বকুল সরদার নামের এক ছাত্রকে বেদম মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উক্ত ছাত্র শিক্ষক ও মেম্বর এবং চেয়ারম্যানের হাতে-পায়ে ধরেও ক্ষমা পায়নি। মারপিটের শিকার আহত ছাত্র বকুলকে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বকুল জানায়, সোমবার স্কুল চলাকালিন সময় তার সহপাঠি ২জন এবং নবম শ্রেণির ২ জন ছাত্রীকে দীর্ঘ সময় বাহিরে দাড় করিয়ে রাখে শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীদের ছেড়ে দিলেও ক্লাসে ঢুকতে বাঁধাদেয় আমিরুল স্যার। তখন আমার সাথে পড়–য়া আমার দুই বন্ধুদের কাছে তাদের ক্লাসে না ঢুকতে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমার শিক্ষক আমিরুল স্যার তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। আমার অপরাধ জানতে চাইলে আরও চড়াও হয়ে আমাকে গালিগালাজ করে এবং আমার জামার কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে মারতে মারতে বাহিরে নিয়ে আসে আমিরুল স্যার। আমার আত্মচিৎকারে প্রধান শিক্ষক না থাকায়  সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান এসে কোন কিছু না শুনে তিনিও আমাকে মারপিট শুরু করেন। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সামছুর স্যারের পায়ে ধরলেও তিনি আমাকে ক্ষমা না করে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলুকে খবর দেন। আমি দরজা ধাক্কা ধাক্কির করতে থাকি এমন সময় দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ৬নং ইউপি সদস্য বাবলু এসে দরজা খুলে আবারও আমাকে বেদম মারপিট শুরু করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এসময় আমার পিতা- মাতা খবর পেয়ে আমাকে আহত অবস্থায় সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয় টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল জানান, দরজায় লাথি মারার কারণে আমি মাত্র একটি বাড়ি মেরেছি আর ইউপি সদস্য বাবলু এসে তাকে মারপিট করেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান জানান, আমরা তো মারিনি, মারধর করেছে ইউপি সদস্য বাবলু। আপনারা নিউজটি করবেন না কাল সকালে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে।
বিষয়টি ইউপি সদস্য বাবলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকরা আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্র বেয়াদবী করেছে বলে আমাকে জানালে আমি তাকে মারপিট করি। তবে একজন ইউপি সদস্য হয়ে বিদ্যালয়ে এসে আইন হাতে তুলে নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি তার পাশে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানকে দিয়ে ফোন ধরিয়ে সাংবাদিকদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, তুমি আবার কোন সাংবাদিক? তোমাদের মত দ’ুটাকার সাংবাদিক কি করতে পারো করো। আমার ভালোমত জানা আছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র বাদরামি করেছে তার শাস্তি মেম্বর দিয়েছে। প্রয়োজন হলে আমার বক্তব্য নিতে হবে। অপরাধীর শাস্তি দিয়েছি। এখানে কারো কথা শুনতে বাধ্য নই।
কিন্তু বিদ্যালয় চলাকালে স্কুলে ঢুকে শিশু নির্যাতনের মত ঘটনার জবাবে তিনি বলেন, কিসের শিশু? কোন শিশুকে মারা হয়নি। তাছাড়া কিশোর অপরাধে আইন হাতে তুলে দেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন আগামিকাল তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করে দিব। সাংবাদিক হয়ে কি তোমরা যা ইচ্ছা করবে। আমরা যা ভালো মনে করেছি তার জবাব কাউকে দিতে বাধ্য নয়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন,  পরীক্ষার দায়িত্ব থাকায় বিষয়টি আমি জানিনা। বিদ্যালয় এসে একজন ইউপি সদস্য এধরনের মারপিট করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে আপনারা নিউজটি করবেন না আপনারা কাল স্কুলে আসবেন ম্যানেজ করা হবেÑ বলে ফোন রেখে দেন তিনি। এবিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষকরা মারতে পারেনা সেখানে আবার বহিরাগতরা কীভাবে মারে? আমরা এর  কঠোর ব্যবস্থা নিব। এবিষয় আহত’র পিতা কাজল সরদার জানান, আমার সন্তানের অপরাধ থাকলে আমাকে বলতে পারত। আমি আগামিকাল (আজ) জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

aঅনলাইন ডেস্ক: একটি ‘পারফেক্ট’ ফটোর জন্য মানুষ কী না করে! দুবাইয়ের ১,০০৪ ফুট উঁচু কায়ান টাওয়ার থেকে এক হাতে ঝুলে থেকে ফটোশ্যুট করেছিলেন রুশ মডেল ভিকি ওডিন্টকোভা। লক্ষ্য ছিল, ইনস্টাগ্রামে এমন ছবি পোস্ট করবেন, সক্কলের মাথা ঘুরে যাবে। তাই ২৩ বছরের মেয়েটি ওই বহুতল থেকে ঝুলে পড়েন। তাঁর এক হাত শুধু ওপর থেকে ধরেছিলেন তাঁর এক সহকারী।

বিপজ্জনক এই ফটোশ্যুটের ভিডিও ইনস্টাগ্রামে লাখো মানুষ দেখেছেন ঠিকই। কিন্তু কায়ান টাওয়ারের নির্মাতারা ওডিন্টকোভার এই স্টান্টবাজিতে মোটেই মোহিত নন। তাঁরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোনও সম্মতি ছাড়া বা নিরাপত্তার আদৌ কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ওই ফটোশ্যুট করা হয়েছে।

ওই মডেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।

কায়ান টাওয়ারে এর আগেও বিপজ্জনক নানা খেলার আয়োজন হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারদের তদারকিতে। তা ছাড়া যাতে কোনও বিপদ না ঘটে, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছিল। নির্মাতারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পর নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ভবিষ্যতে আর যাতে এমন কিছু না ঘটে, সেদিকে নজর রাখা হবে।

ওডিন্টকোভা অবশ্য বলেছেন, এমন ফটোশ্যুট আবার করার ইচ্ছে নেই তাঁর। তবে তাঁর বক্তব্য, এমন বিপজ্জনক কাজের জন্য তাঁর ও তাঁর টিমের তিরস্কার নয়, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

44290-breastcancer30-10-15অনলাইন ডেস্ক: বুকের দুধ বিক্রি করার পেছনে বিশাল এক সিন্ডিকেট কাজ করে। শুধু অর্থনৈতিক কারণই নয়, এর সঙ্গে এক ধরনের বিলাসিতাও জড়িত। গোপনে বুকের দুধ বিক্রি শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ান নারীরা। মাত্র এক লিটার বুকের দুধ তারা বিক্রি করছেন প্রায় ৪০ হাজার টাকায়, যেখানে সাধারণ দুধের দাম একশো টাকারও নিচে।

তদন্তে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় বুকের দুধ বিক্রির প্রবণতা নারীদের মধ্যে ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলেছে। আর এর পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করছে দুধের ওই চড়া দাম।

যেসব পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী নয় তারা তাদের বাচ্চাকে দুধ পান করার পাশাপাশি কিছু দুধ বিক্রিও করছে। বিষয়টি এভাবে চলতে থাকলে তেমন ক্ষতি ছিল না।

কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, এর জন্য শুধু অর্থনৈতিক বিষয়টি জড়িত নয়। এর সঙ্গে একটি গোপন সিন্ডিকেটও তৈরি হয়েছে যে সিন্ডিকেটটি বুকের দুধ বিক্রি করা মায়েদের খোঁজখবর রেখে ক্রেতা সংগ্রহ করে দিচ্ছেন এবং তাদেরকে বুকের দুধ বিক্রি করতে উৎসাহ দিচ্ছে।

আর অনেক মা টাকার লোভ ও তাদের কুমন্ত্রণায় বুকের দুধ বিক্রিতে উৎসাহিত হচ্ছে। কোনো কোনো মা জানিয়েছেন এক লিটার দুধ তারা প্রায় ২০০ থেকে ৫০০ ডলারে বিক্রি করেন।

দুধ বিক্রিএক লিটার দুধ তারা প্রায় ২০০-৫০০ ডলারেও বিক্রি করেন। কেউ কেউ তার চেয়েও বেশি দাম দিতে চান।

বুকের দুধ কেনার প্রধান ক্রেতা হলো ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এবং কিছু মা যারা তাদের সন্তানকে দুধপান করাতে পারেন না। তাছাড়া এর সঙ্গে কিছু অ্যাথলেটও নারীর বুকের দুধ কিনে খাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তারা প্রাকৃতিকভাবে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করাতে নারীর বুকের দুধ বেছে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মা জানান, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে বুকের দুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তবে তিনি তার দুধের দাম আকাশছোঁয়া রাখেন না। মাত্র ৩০ ডলারে এক লিটার দুধ বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু তার অনেক বান্ধবী আছে যারা কোনো বাছবিচার না করে আকাশছোঁয়া দামে বুকের দুধ বিক্রিকে এক ধরনের ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছেন।

ওই নারী আরও জানান, এখানে তার কোনো চাহিদা নেই। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা তাকে অনুরোধ করেন তাই তাদের কাছে দুধ বিক্রি করেন। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো। স্বামী ভালো চাকরি করেন। দুধ বিক্রি করে তিনি যে টাকা পান তা তার সন্তানদের বাড়তি সেবাযত্নে ব্যয় করেন।

নিজের বুকের দুধ বিক্রির শুরুর গল্পটি জানাতে গিয়ে তিনি জানান, এক সময় তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তখন তাকে দুধ দেওয়ার প্রয়োজন হতো। তখন থেকেই তিনি দুধ দেওয়া শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তিনি অনেক পরিবার ও ক্যান্সার রোগীকে দুধ দিয়েছেন এবং ব্যাপারটি তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

এ পেশায় আশার পর ভয়ংকর জগত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পেশা এখন খুব ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে তা জানতাম না। বুকের দুধ এখন শুধু প্রয়োজন বা মানুষকে সাহায্য করার জন্যই বিক্রি করার হয় না, অনেক নারী এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এবং তারা তাদের সন্তানদের ঠিকমতো দুধ না খেতে দিয়ে তা বিক্রি করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1449051110আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সরকারী অফিসের দুর্নীতি রোধে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। দেশটির জাতীয় দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষকে ঘুষ আদান-প্রদানের তথ্য দিলে খবরদাতাকে সেই ঘুষের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ পুরষ্কার হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

খবরে বলা হয়, যে কেউ ৯৮০ নম্বরে ফোন করে বা কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে যে কোনো স্থানের ঘুষ আদান-প্রদানের ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। একই সঙ্গে অভিযোগকারীর পরিচয়ও গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ গোপনীয়তার ভিত্তিতে যাচাই করা হবে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৭০০ আর্থিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

aziz
নিজস্ব প্রতিবেদক  : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ এ“সীমান্ত আদর্শ কলেজ” জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া একই কলেজের এইচ এস সি (২য় বর্ষ)’র শিক্ষার্থী মোকলেছুর রহমান শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্ভাবনী মেলা-২০১৭তে জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৬ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে উক্ত প্রতিষ্ঠান। এ অভূতপূর্ব সাফল্যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ, গভর্ণিং বর্ডির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ খলিলুল্ল্যাহসহ, সদস্যবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

betna-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : নদী না বাঁচলে মানুষ বাঁচবে না। মানুষ বাঁচাতে হলে নদীর বিকল্প নেই। নদী না থাকলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। কিন্তু সুবিধা ভোগী কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নদী দখল করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। তাদের কবল থেকে নদী মুক্ত করে পানি অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার বিকালে লাবসা ইউনিয়নের রাজনগরে নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির পথসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন,  বিনেরপোতা এলাকায় বেতনা নদীর চর দখল করে নদীকে চিরতরে বিলিন করার জন্য এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে একাধিক ইটভাটা। অবিলম্বে ওই সব ভাটা মালিকদের কবল থেকে বেতনা নদী মুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা। আবিদার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, হায়দার আলী শান্ত, এড. আকবর আলী, কেন্দ্রীয় জাসদের সদস্য ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সীমান্ত আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ওমর ফারুক, ডা: আনোয়ার হোসেন, অলিউর রহমান, শামসুর রহমান, রবিউল ইসলাম, আবুল হাসান, রুহুল আমিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে ৫ পিচ ইয়াবা ও ৪ পুরিয়া গাঁজাসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আমানউল্যাহ (৩২) ও শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের জাহাজঘাটা গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (২৫)।

থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক হেকমত আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মৌতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৫ পিচ ইয়াবা ও ৩ পুরিয়া গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে আটক করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। পৃথক অভিযান চালিয়ে উপ-পরিদর্শক হেকমত আলী ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আবু জাফরের নেতৃত্বে পুলিশ রোববার বিকেল ৪টার দিকে জাফরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় এক পুরিয়া গাঁজাসহ আমানউল্যাহকে আটক করে। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর আহ্মদ মাছুম সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমানউল্যাহকে এক মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tala-picture-27-02-3তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার ৩১৫ জন ভিক্ষুকের মাঝে কার্ড ও সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সোমবার বিকাল ৩টায় তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্ড ও সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. লিটন আলী, উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম, সাস পরিচালক শেখ ইমান আলী, তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম। সাংবাদিক জলিল আহম্মেদ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সরুলীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আাজিজুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, ইসলামকাটী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন, মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ, খলিশখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু ও খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু প্রমুখ বক্তৃতা করেন। পরে, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন থেকে বাছাই করা হতদরিদ্র ভিক্ষুকদের মাঝে ছাগল ও হাঁস সহ বিভিন্ন সামগ্রী এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সরকারের দেয়া বিভিন্ন সুবিধার কার্ড বিতরণ উদ্বোধন করেন। এসময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ সহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, তালা উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বাঁছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বাছাইকৃত ৩১৫জন ভিক্ষুককে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি সুবিধার আওতায় আনা হয়। সোমবার তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সরকারি অনুদানের কার্ড ও বিভিন্ন সামগ্রী বিতরন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest