2-3-17দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দাদপুর গ্রামের কাজল সরদারের পুত্র বকুল সরদারকে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে সাজানো সংবাদ সম্মেলন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে বিদ্যালয়ের দোষী শিক্ষকগণ। এঘটনায় নিজেদের দোষ ঢাকতে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ফাঁসিয়ে এলাকা ছাড়া করতে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলচলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক হাসান রেজা মুকুল ক্লাস নেয়া বাদ দিয়ে উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্র বকুলকে মারপিট করে সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু। তাদের নির্যাতনে আহত ছাত্র পায়ে ধরেও ক্ষমা পায়নি। বকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তার পরিবার।
পর দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জড়িত শিক্ষক ও ইউপি সদস্য বাবলু। এরপর থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় তার পরিবারকে। বিষয়টি বাবুলের পিতা কাজল সরদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদকে জানালে তিনি তৎক্ষণিকভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন সরোজমিনে তদন্তে গেলে স্কুল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা মেলে। এরপর থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে ঘটনার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত শিক্ষক ও ইউপি সদস্য। তাছাড়া অভিযোগকারীরা বিভিন্ন লোক মারফত বকুলের পরিবারের উপর হুমকি প্রদান করছে। কিন্তু এলাকাবসীর প্রশ্ন ছাত্র যদি অপরাধও করে থাকে তাহলেও শিক্ষক কি কোনভাবেই কোন শিক্ষার্থীকে মারতে পারেন? যেখানে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার নির্যাতন একেবারেই নিষিদ্ধ সেখানে শিক্ষকরা লাঠি নিয়ে স্কুলে ঘোরেন কিভাবে? তিনিতো ছাত্র পেটালেনই সাথে আবার ইউপি সদস্যকে ডেকে এনে ছাত্র পোটানোর দায়িত্ব দিলেন! একজন ইউপি সদস্যও বা কিভাবে স্কুলের শিক্ষার্থীকে শাসানোর দায়িত্ব নিলেন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

qwbনিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা ও অনলাইন নিউজপোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা’র বিশেষ প্রতিনিধি শেখ শরিফুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি প্রদান করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকালে ডাকযোগে এ চিঠি প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। যার নং-১৮। তারিখ-০১.০৩.২০১৭।
তিনি তার সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকায় “এনসিটিবি এর অনুমোদনহীন বই বাজারজাত করতে মরিয়া শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে সেই খবর আরো কিছু স্থানীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উল্লিখিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন অসাধু বই ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বন্ধ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশ প্রকাশিত হওয়ার পর শহরের পপুলার লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী ছফিউল্লাহ ভুইয়া, জনতা লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মিলন আহমেদ, সাতক্ষীরা বুক হাউসের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দীন ভুইয়া, বই সাগরের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রশিদ আমার নামে পর পর দুটি চিঠি বেনামিতে প্রেরণ করেছেন। উক্ত চিঠিতে আমাকে হত্যা, গুমসহ নানাবিধ হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। শেখ শরিফুল ইসলাম তার সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেছেন, “এমতাবস্থায় আমি আশঙ্কা করছি উল্লিখিত বই ব্যবসায়ীরা আমাকে যেকোন সময় যেকোন মুহুর্তে মারাতœক ক্ষতি সাধন করতে পারে।” আর এই ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা পেতে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে শেখ শরিফুল ইসলাম জানান, “এনসিটিবি এর অনুমোদনহীন বই নিয়ে এর আগেও খবর প্রকাশিত হলে পপুলার লাইব্রেরির স্বত্বাধীকারী ছফিউল্লাহ ভুইয়া, জনতা লাইব্রেরিরর স্বত্বাধীকারী মিলন আহমেদ, সাতক্ষীরা বুক হাউসের স্বত্বাধীকারী নাছির উদ্দীন ভুইয়া, বই সাগরের স্বত্বাধীকারী আব্দুর রশিদ সিন্ডিকেটের গাত্রদাহ শুরু হয়। তারা এনিয়ে আমাকে অনেকবার হুমকিও প্রদান করেছেন। তারা আমাকে বলেছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা এগুলো করি। আমাদের বিরুদ্ধে লিখেও তুই কিছু করতে পারবিনা।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

potaka-1হাসান হাদী : দিগন্তজোড়া সবুজে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। স্বাধীন ও সার্বভৌম এ দেশ বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে লাল-সবুজের পরিচয়ে। এই স্বাধীন পতাকার জন্য বাংলার দামাল ছেলেদের অনেক বিসর্জন দিতে হয়েছিল। গৌরবান্বিত যে পতাকাটি এখনো আমাদের মাথার ওপর বিজয়ের প্রতীক হয়ে উড়ছে, সেটি বাংলার মাটিতে প্রথম উত্তোলন করা হয়েছিল ইতিহাসের এই দিনে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ. স. ম. আবদুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বটতলায় এক ছাত্র সমাবেশে বাঙালি জাতির স্বপ্নের লাল-সবুজের পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করেন।
এর আগে ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অংশগ্রহণের কথা ছিল। এই লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের নিয়ে একটি জয় বাংলাবাহিনী গঠন করা হয়। সেসময় ছাত্র বাহিনীরা একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭০ সালে ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১০৮ নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ. স. ম. আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমেদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসূফ সালাউদ্দিন আহমেদ। এ সভায় কাজী আরিফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করে সবার আলোচনা শেষে সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারী দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন। এরপর ইউসূফ সালাউদ্দিন আহমেদ ও হাসানুল হক ইনু প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে হল (বর্তমান তিতুমীর হল) ৩১২ নং কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে মানচিত্রের বই নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকেন পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র।
এই ২ মার্চকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বাংলদেশে জাতীয় পতাকা দিবস পালিত হয়। এবং তার পরের দিন ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মোহাম্মদ শাজাহান সিরাজ। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ২৩ মার্চ ১৯৭১ সালে ধানমন্ডিতে, তার নিজ বাসভবনে। বিদেশের মাটিতে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ সাল ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় একই রকম দেখতে এক পতাকা ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাঝের লাল বৃত্তের ভেতর হলুদ রঙের একটি মানচিত্র ছিল। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। মানচিত্রটি পতাকার উভয় পাশে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার সমস্যার কারণে পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। বাংলাদেশের পতাকা সকল দিবসে সাধারণ মানুষের উত্তোলন করা আইনত অপরাধ। তবে জাতীয় প্রতীক যে সকল দিবসে উত্তোলন করা যাবে তা হলো স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বিজয় দিবসসহ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্য যে কোনো দিবসে। যে কোনো দিবসে এই প্রতীক ব্যবহারের অধিকারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশের পতাকা ১৫টি বাসভবনে উত্তোলন করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, মন্ত্রী মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, বিদেশে বাংলাদেশের কূটনীতিক এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
ব্যক্তিগত গাড়ি, জলযান ও বিমানে যারা জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন তারা হলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, মন্ত্রীর মর্যাদা সর্ম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, বিদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকগণ। জাতীয় পতাকা যে সকল দিবসে অর্ধনমিত থাকে তা হলো ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস), ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকার কর্তৃক অন্য যে কোনো দিবসে।
জাতীয় পতাকার বিধিমালা ১৯৭২ অনুযায়ী জাতীয় পতাকা মাপের সুনির্দিষ্ট বিবরণ হলো, জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:০৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লালা বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে। অর্থাৎ পতাকার দৈর্ঘ্যের বিশ ভাগের বাম দিকের এবং নয় ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরল রেখার ছেদ বিন্দু হলো বৃত্তের কেন্দ্র। পতাকার সবুজ পটভূমি হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়াল্ট গ্রিন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস এবং লাল বৃত্তাকার অংশ হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস। পতাকা ব্যবহারে বাংলাদেশ সর্বশেষ বিশ্বরেকর্ড করেন ২০১৩ সালে ১৬ ডিসেম্বর। সেদিন বাংলাদেশের ৪৩ তম বিজয় দিবসে ২৭ হাজার ১ শত ১৭ জন লোক লাল-সবুজের পতাকা দিয়ে মানব-পতাকা তৈরি করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থানলাভ করে।
হাসান হাদী: ডেইলি সাতক্ষীরা এবং দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ধূলিহর-ব্রক্ষ্মরাজপুর ব্যুরো প্রধান ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1486005267কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় বাকি মাত্র ৪দিন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া মিলছে। আগামী ৬ মার্চ সোমবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ আর আনন্দ। এক কথায় উপ-নির্বাচন জমে উঠেছে। আর এই নির্বাচন ঘিরে দুই প্রার্থী দিনভর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচনী পথসভা ও মতবিনিময় সভায় দেখা যাচ্ছে তাদেরকে। উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের টাঙানো পোস্টার আর ব্যানারে। সরেজমিনে ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে নির্বাচন নিয়ে এলাহি কা-। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দিচ্ছে আশার বানী। দুপুরের পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাইকে প্রচার প্রচারনায় মুখোরিত বিভিন্ন ওয়ার্ড। সার্বক্ষণিক প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটারদের কাছে গিয়ে। ভোটারদের নিকট প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং নিজ প্রতীকে তাদের ভোট প্রার্থনা করছেন। থেমে নেই প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজন ও কর্মী সমর্থকরা। উপজেলার ৬৭টি ওয়ার্ডে ১লাখ ৮২ হাজার ২শ’ত ২৯জন ভোটারদের মধ্যে কে হবেন উপজেলার সৌভাগ্যবান ভাইস চেয়ারম্যান সেটাই এখন জনমনে আলোচিত। জয় পরাজয় থাকবেই তবুও বসে নেই কেউ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সবারই মনে। উপজেলাবাসীর মন জয় করতে রাত দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী। তারা হল আওয়ামীলীগ দলিয় মনোনিত প্রার্র্থী জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা। কলারোয়া উপজেলার ২০ দলীয় জোটের ভোটার সংখ্যা বেশি। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন প্রচার-প্রচারণায় সবার শীর্ষ। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পর থেকে র্দীঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন এলাকার মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে। প্রার্থী হিসেবে সর্বমহলের কমবেশি ভোট পাবেন, খুবই যোগ্য, ধর্মভীরু, সৎ মানুষ। এবার নির্বাচনে কোমর বেধে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় তরুণদেরকে প্রাধ্যান্য দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। এদিকে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী শাহাজাদা। এছাড়া গ্রহণযোগ্যতা কোন অংশে কম নয় সব দিক দিয়ে ফিটেস্ট। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে ভালভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে। সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগ এবার শক্ত অবস্থানে। কাজী শাহাজাদা দলীয় সর্মথন না পেয়ে যুবলীগ একাংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরাসারি কাজ করতে দেখা গেছে। তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার পরেও থেমে নেই প্রচার-প্রচারণায় সবার আগে সব খানে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিশেষ করে তরুণদের কাছে প্রতিনিয়ত শুনাচ্ছে আশার বানী এবং উপজেলাকে তিনি দুর্নীতি মুক্ত করতে চান। নিবার্চন কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৮২হাজার ২শ’ত ২৯জন মত ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮৯হাজার ৭’শ ৯৬ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯২হাজার ৪’শ ৩৩ জন। দলিয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, গত পৌর নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে তিনি আজও পর্যন্ত এলাকার মানুষের সুঃখে-দুঃখে পাশে আছেন এবং থাকবেন। কলারোয়া উপজেলার মানুষ অবহেলিত। তাই এ অবহেলিত উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্চ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। আর ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটের মাঠে গিয়ে নিরপেক্ষভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারলে তিনি জয়ী হবেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে তার কর্মীদের বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। পোষ্টার, লিপলেট ছেড়াসহ কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মিথ্য অপ-প্রচার চালাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন। যা তার ভোটারদের মনে আতংক কাজ করছে। আমি মিথ্য অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্র্চ সুস্থ নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী যুুবলীগ সভাপতি কাজী শাহাজাদা বলেন, কলারোয়া উপজেলার অনেক এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সুপীয় পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধ থাকে। এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি ঢোকার মত কোন রাস্তা ভাল নেই। উপজেলাকে তিনি মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিতে চান। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্চ সুস্থ নির্বাচনে তাকে উড়োজাহাজ মার্র্কায় ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনি আশাবাদী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a_002আশাশুনি ব্যুরো : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সমাবেশের বিরুদ্ধে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটিতে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার বিকালে কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কে প্রথমে দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে গুনাকরকাটি বাজারস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইয়াহিয়া ইকবালের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব ডাঃ মোখলেছুর রহমান। হাবিবুল্লাহ মালীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটি শিক্ষা বিভাগের সভাপতি মোঃ দেলওয়ার হোসাইন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপজেলা আ’লীগ ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ খান মধু, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি শাহজাহান আলি, সেক্রেটারী ফােরুক হোসেন, আব্দুল্লাহ, আ’লীগ নেতা নজির শিকদার, কফিল উদ্দিন, আলতাফ হোসেন, শাহাবুদ্দিন, আবু তালেব, রিপন, যুবনেতা আঃ সামাদ, রানরা, রাকিব, সোহাগ, বাবু, শাহিনুর, রবিউল, আলম, শফিকুল, মকফুর, শাহিন, শাহজাহান, আক্তারুল, হাফিজুল, কণ্ঠশিল্পী মনিরুল প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc_0767প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কর্তব্য পালনকালে আত্মত্যাগকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে সাতক্ষীরা জেলায় পুলিশ মেমোরিয়াল ‘ডে’ পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে পুলিশ মেমোরিয়াল ‘ডে’ এর কর্মসূচি শুরু হয়। অস্থায়ী শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন পিপিএম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কে. এম আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সার্কেল) মেরিনা পারভীন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (তালা সার্কেল) মোঃ আতিকুল হক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ হুমায়ুন কবির, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ মোঃ ইয়াছিন আলী, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাসমী, টিআই, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শহর ও যানবাহন শাখা তপন কুমার, জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জসহ কর্তব্য পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্য জিএম ওমর ফারুকের পরিবারের সদস্যবর্গ।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্য জিএম ওমর ফারুকের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেওয়া হয়। জিএম ওমর ফারুকের পরিবারের পক্ষে তার বাবা আহম্মদ আলী গাজী, মাতা মোছাঃ মর্জিনা বেগম, সহোদর জি.এম আলী আকবর ও নিহতের একমাত্র কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস সন্মাননা ও পুরস্কার গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য পুলিশ সদস্য জিএম ওমর ফারুক গত ৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু- থানায় কর্মরত থাকাকালে জামাত-শিবিরের নৃশংস হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নিদের্শনা মোতাবেক কর্তব্য পালনকালে আত্মত্যাগকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে এবছর ১ মার্চ সারা দেশে পুলিশ মেমোরিয়াল ‘ডে’ পালিত হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kkkহাসান হাদী: সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে কলেজের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দীন।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ লিয়াকত পারভেজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর দীনবন্ধু দেবনাথ, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আবুল কালাম আজাদ, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আল হাদী ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের রাজ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মহাদেব চন্দ্র সিংহ, সহযোগী অধ্যাপক আবুল হাশেম, ডেইলি সাতক্ষীরার সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম, মাহমুদা খাতুন, প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, অরুণাংশু কুমার বিশ্বাস, মাহফুজুল ইসলাম, আজাদ হোসেন, মহিতোষ নন্দী, মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন, সদর উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান হাদী প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক গাউছার রেজা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
1488357478হাসান হাদী: অবশেষে প্রত্যাহার করে নেয়া হল পরিবহন ধর্মঘট। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে সমঝোতা শেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
মতিঝিলে বিআরটিএ ভবনের ৬ তলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এনায়েতুল্লাহ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিস্তারিত আসছে . . .
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest