নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মহান মে দিবসের ছুটির দিনে শ্রমিক খাটিয়ে তড়িঘড়ি করে সিডিউল বহির্ভূতভাবে সেফটি ট্যাংকি তৈরির কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার যখন সকল শ্রমিকরা মে দিবস পালনে ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ে গোপনে চলে এ কাজ।
সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কিছু কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। কাজগুলো হলো সেফটি ট্যাংকি, রং, গ্রিল ও দরজা মেরামত। মূল কাজ প্রায় ২২ লক্ষ টাকার হলেও কাজ পাওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ শুরু করে। আর এ কাজে চলছে পুকুর চুরি। ২২ লক্ষ টাকার কাজ ৪/৫ লক্ষ টাকায় সেরে বাকি টাকা লুটের বন্দোবস্ত করে ফেলেছে কর্তপক্ষ।
যে সো-কয়েলের গভীরতা হবে ১৪ থেকে ১৬ ফুট সেখানে ৬ ফুট গর্ত খুঁড়ে মে দিবসের ছুটির দিনে গোপনে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেফটি ট্যাংকির ভিতর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে খাওয়ার পানির লাইন। সেই সাথে আমা ও রেইন স্পট এবং নোনা ধরা ইট। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সৈয়দ জিয়াউল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কাজের ডেলিভারি ওয়ার্ডার হয়েছে ২৭/০৩/২০১৭ তারিখে এবং কাজের ওয়ার্ক ওয়ার্ডার পেয়েছি ০৯/০৪/১৭ তারিখে। আমরা এক নম্বর ইট ও সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি। গর্ত ভরাট হয়ে যাচ্ছেÑ তাই মে দিবসের ছুটির দিনে কাজ করতে হচ্ছে এবং আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ তওহীদুর রহমান বলেন, আমার কাছেও এই অভিযোগ এসেছে কিন্তু ওটা পানির লাইন না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, কিভাবে তারা মে দিবসের ছুটির দিনে কাজ করছে জানিনা। কোনভাবে এইদিনে কোন শ্রমিক কাজ করে না। তবে বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানাবো এবং ব্যবস্থা নিতে বলবো।
এদিকে যারা জেলার ২২ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সেই সব দোষী ব্যাক্তিদের তদন্ত পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বঞ্চিত খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাস ১৩১বছর পেরুল। হাজার বছরের বঞ্চনা আর শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৮৮৬ সালের এই দিন বুকের রক্ত ঝরিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। শ্রম ঘন্টা কমিয়ে আনার দাবিতে এই দিনে শ্রমিকরা যুক্তরাষ্ট্রের সব শিল্পঞ্চলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে শিকাগো শহরের তিন লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ বন্দ রাখেন। শ্রমিক সমাবেশে ঘিরে শিকাগো শহরের হে মার্কেট রুপ নেয় লাখো শ্রমিকের বিক্ষোভ সমুদ্রে। এক লাখ ৮৫হাজার বিক্ষুদ্ধ শ্রমিক লাল ঝান্ডা হাতে সমবেত হন সেখানে। বিক্ষোভ চলাকালে এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে ১০ শ্রমিক প্রান হারায়। এদিকে হে মার্কেটের ওই শ্রমিক অসন্তোষের আগুন জ্বলে উঠে গোটা দুনিয়ায়। গরে ওঠে শ্রমিক জনতার বৃহত্তর ঐক্য। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘন্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পরে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তজার্তিক শ্রমিক সন্মেলন শিকাগোর রক্তঝরা অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ওই ঘটনার স্মারক হিসেবে ১ মে আন্তজাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৯০সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় রক্তদিয়ে কেনা শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার এ দিনটিকে কলারোয়া উপজেলার প্রশাসন, জাতীয় শ্রমিকলীগ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, হ্যান্ডলিং শ্রমিকলীগ, থ্রি-হুইলার মালিক সমিতি, হোটেল শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি শ্রমিক, ভ্যান-রিকশা ও পেশাজীবী বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নেতৃত্বে আয়োজনে সোমবার সকালে ইউনিয়নের নিজস্ব অস্থায়ী ভবন বাসস্টান্ডের সামনে থেকে খন্ড খন্ড মিছিল ও বিশাল র্যালীর মধ্যে দিয়ে মহান মে দিবস পালন করল শ্রমিক সংগঠন। র্যালীটি পৌর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তুলশীডাঙ্গা ইউরেকা তেল পাম্পের পাশে ইউনিয়নের কার্যালয়ে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন।
কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিবার্হী কর্র্মকর্র্তা উত্তম কুমার রায়। এসময় তিনি বলেন, শ্রমিকদের এই আতœত্যাগ ও রক্ত¯œাত ঘটনার মধ্যে দিয়ে দৈনিক কাজের সময় ৮ঘণ্টা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ঐতিহাসিক বিজয় হয়। শ্রমিকদের আতœত্যাগের বিনিময়েই সেদিন মালিকরা স্বীকার করে নিয়েছিল শ্রমিকরাও মানুষ। তারা যন্ত্র নয়, তাদেরও বিশ্রাম ও বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিকলীগ উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহিমের পরিচালনায় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান সম মোর্শেদ আলী,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুুজ্জামান শাহাজাদাসহ সভাপতি শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুম, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেল, সমবায় কর্মকর্তা নওশের আলী, পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল সভাপতি সাইফুল্লাহ আজাদ, হ্যান্ডলিং শ্রমিকলীগের সভাপতি আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল গফুর খোকন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, শ্রমিক নেতা মফিজুল ইসলাম লাভলু, লাল্টু ইসলাম, আতাউর রহমান, আবু সাঈদ, হাসান পিন্টুসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদক এবং ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এদিকে আলোচনা সভা শেষে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৩জন মৃত শ্রমিক শহিদুল ইসলামকে ১৫ হাজার, আজিজুল ইসলামকে ১৫ হাজার ও মফিজুল ইসলাম ১০ হাজার করে তিন পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা মরন্বাত্তর ভাতা প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ সকল নেতৃবৃন্দ।
গাজী আল ইমরান , শ্যামনগর : যথাযগ্য মর্যাদায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মে দিবস ২০১৭। শ্যামনগর মটর শ্রমিকদের আয়োজনে শ্যামনগর ট্রাক টার্মিনালে অনুষ্ঠিত হয় মহান মে দিবস ২০১৭ উদযাপনীর মূল অনুষ্ঠান। শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কামরুল হায়দার নান্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা- ৪ আসনের এম পি, এস এম জগলুল হায়দার, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগরের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আকবর কবির, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, উপজেলা তাঁতীলীগ সভাপতি আঃ অাল মামুন, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মেহেদি হাসান মারুফ, শ্রমিক লীগ সহ সভাপতি গালিভার হোসেন বাবু, সাবেক যুব নেতা মারূফ হোসেন, শ্রমিক নেতা ছাবের হোসেন প্রমূখ। প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা- ৪ আসনের এম পি এস এম জগলুল হায়দার তার বক্তৃতা প্রদান কালে শ্রমিকদের কল্যাণে বর্তমান সরকারের নানামূখি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মোল্লা এবং আওয়ামীলীগ নেতা ফারূক হোসেন।
গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর, সাতক্ষীরাঃ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে দুপুর ১ ঘটিকা পর্যন্ত বুড়িগোয়ালীনি ও গাবুরা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত খোলপেটুয়া নদীতে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের নীলডুমুর নৌ পুলিশ ফাড়ির সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর। অভিযান কালে ১২০০ মিটার বেহুন্দী জাল জব্দ করেন এবং জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেন। অভিযানকালে আটককৃত ৫০০০০ চিংড়ি পোনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংসকারী এ জাল মালিকরা নৌকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযানে অংশগ্রহন করেন নৌ পুলিশের এস আই মোঃ মামুন হোসাইন, উপজেলা মৎস্য দপ্তরের মৃদুল,ইস্রাফিল,সুরুজ।
ডেস্ক: বহু দিন ধরে বেকার, আর্থিক অনিশ্চয়তা ডেকে আনতে পারে হার্ট অ্যাটাক। হার্ট ফেলিওর ২০১৭ এবং অ্যাকিউট হার্ট ফেলিওর চতুর্থ ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে উঠে এল এমনই ভয়াবহ তথ্য।
ডেস্ক: অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। জানা গেল কেন অমরেন্দ্র বাহুবলিকে খুন করেছিল কাটাপ্পা। “বাহুবলি টু: দ্য কনক্লুশন”-এ দুর্দান্ত ভিএফএক্স সিনেমাটির গল্প আর চরিত্রগুলোকে করে তুলেছে আরও বেশি প্রাণবন্ত। প্রতিটি দৃশ্যে দর্শক যেন হারিয়ে যেতে বাধ্য। “বাহুবলি টু”-র শুরুর দিকে বাহুবলির বীরত্ব আর প্রজাদের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর পর বেশ কিছুটা সময় ছিল হাস্য-কৌতুকে ভরপুর। কিন্তু, প্রথম আধঘণ্টা বাদ দিলে বাকি সময় ছিল রাজপরিবারের রাজনীতি, যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র আর দুই ক্ষমতাধর নারীর মধ্যকার বিবাদ নিয়ে টানটান উত্তেজনা।
যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায় এই র্যাটল স্নেক। এদের লেজের দিকে ঝুনঝুনি সদৃশ বিশেষ অঙ্গ তাকে যার সাহায্যে তারা শব্দ করতে পারে। শরীরে দুই-তৃতীয়াংশ লাফিয়ে আক্রমণ করে থাকে। এটি উত্তর আমেররিকার সব থেকে বিষধর সাপ। এই সাপে কামড়ালে শিশুদের দ্রুত মৃত্যু হয়। এই সাপের বিষ টিস্যু নষ্ট করে ফেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় ফলে এর সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এই সাপে কামড়ানোর পর শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস, বমি, রক্ত বমি, চেতনাহীন হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
সাপ দেখতে পাওয়া যায়। ডেথ এডার মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে কামড়িয়ে মারে এবং খেয়ে ফেলে। এক কামড়ে এই সাপ ৪০-১০০ মিলিগ্রামের মত বিষ ঢেলে দেয়। এই সাপে কামড়ালে শ্বাস কষ্ট ও প্যারালাইসিস দেখা দেয়। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কামড়ে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে। এই সাপ একবার বিষ ঢালার পর দ্রুততম সময়ে এদের বিষ থলিতে আবারও বিষ উৎপাদন করতে পারে।
পৃথিবীর সব কোবরাই বিষাক্ত এবং ভয়ানক সাপ। কিন্তু অন্যসব কোবরা থেকে ফিলিপাইন কোবরা একটু আলাদা। কোবরা প্রজাতির মধ্যে এরাই সব থেকে বেশি বিষধর। এরা প্রায় তিন মিটার দূর থেকে বিষ ছুড়ে মারতে পারে।এই সাপে কামড়ালে আধা ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর অবশ, মাথা ঘোরানো, বমি, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পাতলা পায়খানাসহ নানা ধ
বা নামক ভয়ঙ্কর এই সাপের দেখা মেলে। ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের জন্য এরা বিশ্বে প্রথম। কোন ব্যক্তি যদি একবার ব্ল্যাক বামবার পাল্লায় পড়েন, তাহলে কামড় না খেয়ে ফিরে আসতে পারবেন এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এই সাপ যাদের উপর ক্ষেপে যায় তাদেরকে ঘোড়ার মত তাড়া করে কামড়ে দেয়। এরা বেশ দ্রুতগামী। দেখতে প্রধানত কাল হয়। প্রায় বিশ কিলোমিটার ঘন্টা গতিতে তাড়া করার ক্ষমতা রাখে ব্ল্যাক বামবা। একই সারিতে ১২বারের বেশি কামড়ে দেয় এরা। এদের প্রতিটি কামড়ে ১০০-১২০ গ্রাম বিষ বের হয় যা ১০-২৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

সাপের অবস্থান দ্বিতীয়। এদেরকে ক্ষুদ্র-আঁশের সাপও বলে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে সাপটি দানদারাবিল্লা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, এই সাপ এক দংশনে যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে তাতে অনায়াসে শতাধিক পূর্ণ-বয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটা সম্ভব। কোনরূপ প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিলে এই সাপে দংশনের সময় থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। এরা ঋতুর সাথে রঙ বদলায়- গ্রীষ্মে জলপাই রঙের আর শীতে ধূসর। আফ্রিকার ব্ল্যাক মামবা বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লম্বা কিং কোবরার মতো এরা ক্ষিপ্র ও আক্রমণাত্মক নয়। ভয়াবহ রকমের বিষাক্ত এই সাপ সচরাচর মানুষের সান্নিধ্যে আসতে চায় না, আক্রমণও করতে চায় না। এদের বিষ কোবরার থেকে ১৫ গুন বেশি শক্তিশালী।
‘ভেনামাস’ প্রাণিকূলে সরীসৃপের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত হলো বেলচারস সী স্নেক। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলের সাগরের জলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এই সাপের এক কামড়ে যতটুকু বিষ বের হয় তা দিয়ে প্রায় এক হাজার পূর্ন বয়স্ক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু এই সাপটি খুবই শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার সময় জালের ভিতরে ধরা পড়ে। এই সাপ মাঝে মাঝেই ভূমিতে যায়।পানির নিচে এরা ৭৮ ঘন্টা দম বন্ধ করে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তারা শিকার ধরে এবং বিশ্রাম নেয়।
রাজধানীর বনানী, গুলশান, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। আর তাই তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হককে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।