সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দসাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ : কোহিনুরকালিগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১১টি এয়ারগান,৬ হাজার ৯শ রাউন্ড গুলি জব্দসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগের মনোনয়নপত্র বৈধ

স্বাস্থ্য ডেস্ক: শাক বা পাতা, যেকোনো কারণেই হোক থানকুনি একটি পরিচিত নাম। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে পরিচিত। স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে। থানকুনি পাতার অসংখ্য উপকারী দিক- পেটের সমস্যা: পেটের দোষ বা মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কার ভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর। আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়। বেগুন অথবা পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার, আমাশয়ে প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে: যদি মুখ মলিন বা লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে। অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। খুসখুসে কাশিতে:২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়াও ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়। ঠাণ্ডা লাগলে ২০-২৫ ফোঁটা থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।লিভারের সমস্যা:প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।ক্ষত সারাতে: মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুলে ক্ষত ভালো হয়ে যাবে। কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন। থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা সাধারণ ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে। থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে। থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে। শরীরের ব্যাথা উপশমে:কোমরের ব্যাথা নিরাময়ে খান থানকুনি পাতার রস। যাদের হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালীতে ব্যাতা আছে তারা থানকুনি পাতার রস দিয়ে মালিশ করলে ব্যাতা উপশম হবে।স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে:স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।চর্মরোগের সমস্যা: মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়। আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে:দৃষ্টির অস্পষ্টতা রোধে শুকনো গরুর দুধের সাথে থানকুনির গুড়া ১/২ চামচ, ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়। থানকুনি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে। এই পাতা শুকিয়ে এই গুড়া দিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।অবশ্যই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: দিনের শুরুতে ত্বকের যত্নআত্তি করে বাইরে বেরিয়ে যান অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে এ কাজটি ভুল উপায়ে করে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে। অথচ তা তারা জানেন না। এমনকি এই নিয়মগুলো ভুল বলে মনেও হয় না। সকাল সকাল ত্বকের যত্নে এমনই কিছু মারাত্মক কিছু ভুলের কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভুল-১: সকালে মুখটা কোনো ক্লিনজিং লোশন দিয়ে দোয়াটা বেশ কাজের। কিন্তু অতিরিক্ত মুখ ঘষলে ত্বকের ওপরের ত্বরটা ভেঙে যায়। যদি দেখেন ধোয়ার কারণে ত্বক লালচে ভাব এবং র‍্যাশ ওঠে, তবে বুঝবেন আপনি অতিরিক্ত ঘষামাজা করছেন।  ভুল-২: মুখ ঘষার জন্য যদি কাপড় ব্যবহার করেন তো ভালো। কিন্তু পুরনো কাপড় বার বার ধুয়ে মুখে ব্যবহার করাও বিপজ্জনক। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সায়েন্সের প্রফেসর কেলি এ. রেইনল্ডস জানান, এক কাপড় বার বার ধুয়ে ব্যবহার করলে তা আগের চেয়ে অনেক বেশি খসখসে হয়ে ওটে। এটা দিয়ে মুখ ঘষলে ত্বকের আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক কোমলতা হারায়। তাই প্রতিবার কাপড় বদলে নেওয়া ভালো।ভুল-৩: নিউ ইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট জেনিফার ম্যাকগ্রেগর জানান, ত্বকে যাই ব্যবহার করেন না কেন, এটা ঘষার নিয়ম আছে। স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের ধারাবাহিকতাও রয়েছে। ক্লিনজিং ব্যবহারের পর সিরাম ব্যবহার করতে হয়। এর পর সানস্ক্রিন, ময়েশ্চার এবং সবার শেষে আই ক্রিম দিতে হয়। ভুল-৪: খুব বেশি প্রসাধন ব্যবহার করা মোটেও ভালো নয়। বাজারে অসংখ্য পণ্য রয়েছে। সব বেছে নিলে হবে না। আপনার ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এমন দুই-তিন ধরনের কাজের পণ্যই যথেষ্ট। অতিরিক্ত পণ্য মাখলে লালচে ভাব, প্রদাহ এবং একনি ওঠার সমস্যায় পড়বেন। সাধারণত ত্বকের জন্য ভিটামিন সি এবং ই-সমৃদ্ধ ক্রিম বেছে নিতে পারেন। ভুল-৫: ফ্লোরিডার অ্যাডভান্সড ডার্মাটোলজিস্ট এবং কসমেটিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ম্যাট লেভিট জানান, চোখের জন্য ব্যবহার্য ক্রিম ওপরের ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়। একে ওপরের ঠোঁটে ব্যবহার না করাটাই বোকামি। আই ক্রিম পুষ্টি উপাদানে পূর্ণ থাকে। কোলাজেন, বলিরেখা ইত্যাদির খেয়াল রাখে আই ক্রিম। আর মুখের ঠোঁটই সবার আগে বুড়িয়ে যেতে থাকে।ভুল-৬: ক্লিনজিংয়ের সময় ভুলটা আনেকেই করে ফেলেন। তারা সবখানে ঘষা-মাজা করেন না। নিউ ইয়র্কের এপিডার্মাটোলজিস্ট এবং ফেসিয়ালিস্ট ইসাবেলা বেলিস জানান, দুই হাতের যে আঙুলে ক্লিনজিং লোশন নিবেন তা মুখের সব অংশ ঘষতে হবে। কপালে, চোখের চারদিকে, গালে, নাকের ওপর ও দুই পাশে সবখানে ঘষতে হবে। আঙুল গোলাকার করে ঘষবেন। ধোয়ার সময় আরেকটু চাপ প্রয়োগে ঘষবেন।ভুল-৭: যত্নের জন্য সিরাম, আই ক্রিম, ময়েশ্চার যাই ব্যবহার করেন না কেন, অনেকে মুখ ক্লিনজিং দিয়ে না ধুয়ে ব্যবহার করেন। এটা বড় ধরনের ভুল। আর ধোয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর অন্যান্য প্রসাধন ব্যবহার করেন অনেকে। এটাও একটা ভুল কাজ। মুখ ধোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করতে হয়। এ পরামর্শ দেন সান্তা মনিকার ডার্মাটোলজিস্ট সোনিয়া বাত্রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8-1বিনোদন ডেস্ক: সপ্তাহজুড়ে দেশিয় শোবিজ গোসিপে জায়গা করে নিয়েছে মিম-বাপ্পীর বিয়ের খবরটি। তবে বিষয়টি যে ভিত্তিহীন গুজব তা যেমন অভিনেতা বাপ্পীর দাবি, তেমনি সাফ না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মিমের মা।
বাপ্পী-মিম গোপনে বিয়ে করেছেন! এমনকি নভেম্বরের শুরুতে কলকাতার পার্শ্ববর্তী একটি মন্দিরে গিয়ে মালাবদল করেছেন বলেও খবর বের হয়েছে। আর এ বিষয়টিকে নিত্যান্তই হাস্যকর হিসেবে মনে করছেন নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। এসব বিষয় নিয়ে দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন গণমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন বাপ্পী।
অন্যদিকে বিয়ের এ খবরে বেশ চটে গিয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিমের মা ছবি সাহা। তিনি বলেছেন, মিম বিয়ে করলে গোটা বাংলাদেশ জানবে। তার বিয়ে গোপনে হবে কেন! তাছাড়া আমার মেয়ের নামে কেউ এক ফোটা বদনাম করতে পারবে না। তার বিনয়, আচরণ, সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নতুনদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ আচরণ সবসময় প্রশংসিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিম-বাপ্পী আবারো একসঙ্গে এখন অভিনয় করছেন ‘দাগ’ নামের একটি সিনেমায়। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ডাবিং বির্তকে চলে আসা অনন্য মামুনের ‘আমি তোমার হতে চাই’ চলচ্চিত্র।
মিম-বাপ্পীর বিয়ে হলো, এমন গসিপে বাপ্পী বলেন, ‘মিমের সঙ্গে গোপন বিয়ের খবর আমার কাছে কমেডি ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। আমি জানি না আমাকে নিয়ে কেন এমনভাবে টানা হলো। আমি কাজ করতে ভালবাসি, কাজ করে যাচ্ছি, আর ওদিকে গুজব রটানো হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, বাপ্পীকে নিয়ে এমন বিয়ের গুজব এটাই প্রথম না, এর আগেও অভিনেত্রী মাহী, আঁচলসহ আরো দুজনকে নিয়ে গুজব ওঠে আগে। আর এবার তার সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে বিদ্যা সিনহা মিমকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10-1আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কলকাতা শহরে বিরিয়ানিকে ব্যান্টার করার জন্য ‘কুত্তা বিরিয়ানি’ বা ‘কাউয়া বিরিয়ানির’ গপ্পো ছড়ানো একাট নিয়মিত ব্যাপার। কিন্তু গপ্পের সব সীমাকে ছাড়িয়ে বিরিয়ানির ইতিহাসে নতুন নজির গড়েছে চেন্নাই। সেখানে ‘বিল্লি বিরিয়ানি’ নিয়ে এই মুহূর্তে ঘোর সোরগোল।
চেন্নাই শহরের কোনও কোনও এলাকায়, বিশেষ করে পল্লভরম অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি। এই খবর পেয়ে ‘পিপল ফর অ্যানিম্যালস’ নামের একটি পশুপ্রেমী সংগঠন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ওই এলাকা থেকে ১৬টি বিড়ালকে উদ্ধার করেছে সম্প্রতি।
বিড়ালগুলিকে খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছিল এবং তাদের কোনও রকমের খাবার, এমনকী পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় যে তারা বেশ কিছুদিন ধরেই বাস করেছে, তার প্রমাণ হিসেবে বিরাজ করছিল তাদের গায়ের পোকা, তাদের অসুস্থতা। বন্দি বিড়ালগুলিকে যখন উদ্ধার করা হয়, তারা (এরপর ২ এর পাতায় ১ এর কলাম) তখন হিংস্র হয়ে উঠেছে।
তামিলনাডুর এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নারিকুরাভর সম্প্রদায়ের মানুষই এই বিড়াল-বিরিয়ানির হোতা। জানা গিয়েছে, তারা পরম্পরাগতভাবেই বিড়াল-ভক্ষক। বিরিয়ানিতে বিড়ালের মাংস তাদের কাছে কোনও বিশেষ ব্যাপারই নয়। ওদিকে, পল্লভরম অঞ্চলের বাজারে খাঁচাবন্দি বিড়ালগুলিকে সরাসরি ফুটন্ত জলে ফেলে হত্যা করা হয়। তার পরে ১০০টাকা প্রতি কেজি দরে চলে মাংসের কেনা-বেচা।
নারিকরাভর সম্প্রদায়ের বক্তব্য, তারা এতটাই দরিদ্র যে মুরগি কেনার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই বিড়ালের মাংস খেতে তারা বাধ্য হয়। এই যুক্তি অবশ্যই মানতে রাজি নয় পশু-অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি। তারা রীতিমতো সরব বিষয়টি নিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_30890997_1480490705স্বাস্থ্য ও জীবন: শাক বা পাতা, যেকোনো কারণেই হোক থানকুনি একটি পরিচিত নাম। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুণগুণি নামে পরিচিত। স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে। থানকুনি পাতার অসংখ্য উপকারী দিক-
পেটের সমস্যা: পেটের দোষ বা মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কার ভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।
আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়। বেগুন অথবা পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার, আমাশয়ে প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে: যদি মুখ মলিন বা লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে। অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
খুসখুসে কাশিতে: ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়াও ঠা-ায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়। ঠা-া লাগলে ২০-২৫ ফোঁটা থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
লিভারের সমস্যা: প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।
ক্ষত সারাতে: মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুলে ক্ষত ভালো হয়ে যাবে। কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন। থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠা-া করে তা সাধারণ ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে। থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে। থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।
শরীরের ব্যাথা উপশমে: কোমরের ব্যাথা নিরাময়ে খান থানকুনি পাতার রস। যাদের হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালীতে ব্যাতা আছে তারা থানকুনি পাতার রস দিয়ে মালিশ করলে ব্যাতা উপশম হবে।
স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
চর্মরোগের সমস্যা: মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়। আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে: দৃষ্টির অস্পষ্টতা রোধে শুকনো গরুর দুধের সাথে থানকুনির গুড়া ১/২ চামচ, ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়। থানকুনি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে। এই পাতা শুকিয়ে এই গুড়া দিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।অবশ্যই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1480507087বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: টম, মার্ক আর জ্যাক। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পাড়ি জমাতে যাচ্ছে রাশিয়ায়। উদ্দেশ্যটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি রুশ পুলিশের হয়ে যোগ দেবে প্রতœতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে। অন্য দুটি কাজ করবে ইয়াকুটিয়া পুলিশের হয়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিজ্ঞানীদের হাতে গড়া এই তিন চরিত্র কিন্তু মানুষ নয়। বিজ্ঞানাগারে ক্লোন করে তৈরি করা এই পুলিশ সদস্য আসলে তিনটি কুকুর।
নতুন এই পুলিশ সদস্য শেফার্ড জাতের কুকুরের বংশধর। ক্লোন করে এই প্রজাতির সঙ্গে মেশানো হয়েছে কোরিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় কুকুর প্রজাতির জিন। গন্ধ শুঁকে কোনো জিনিস অনুসন্ধানে বেশ দক্ষ কুকুরের এই প্রজাতিটি।
রাশিয়ার পুলিশের জন্য এই কুকুরগুলোর জন্ম দেওয়া হয়েছে সাউথ কোরিয়ার সোয়াম বায়োটেক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে। আর কাজটির পুরো দায়িত্বে ছিলেন ডা. হুয়ান উ সুক ও তাঁর দল। তাঁদের দাবি, যেকোনো কুকুরের থেকে বিভিন্ন দিক থেকেই শক্তিশালী এই কুকুরগুলো।
ভ্যালেরি চুগুনভ নামে রাশিয়ান মিলিটারি রিসার্চ সোসাইটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টম, মার্ক আর জ্যাকের বয়স মাত্র এক বছর। রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন পশু বিশেষজ্ঞরা। তারা বেশ খাওয়াদাওয়া করছে, আর খেলাধুলায় মেতে আছে।
চুগুনভ আরো জানান, কুকুরগুলো সাইবেরিয়ার ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি। বাইরের ঠান্ডায় বের করলে, তারা ফিরে আসছে। তবে কিছুদিন পর ঠান্ডায় কুকুরগুলো অভ্যস্ত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
কুকুরগুলোকে এখন শুধু শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তবে শিগগিরই তারা রুশ ভাষা রপ্ত করে নেবে বলে আশা করছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexস্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে সদ্যই ঢাকায় পা রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারমুখী ব্যাটসম্যান এভিন লুইস। বিমানভ্রমণের ক্লান্তি পুরোপুরি কাটতে না কাটতেই ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সি গায়ে নেমে পড়েছিলেন বিপিএলের ম্যাচ খেলতে। কিন্তু কোনো কিছুই টের পেতে দিলেন না ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার। ৩৩ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলে জয় এনে দিলেন দলকে। লুইসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সকে ৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লুইস ও মেহেদী মারুফের দারুণ ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান জমা করেছিল ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানেই থেমে গেছে রংপুরের ইনিংস। দাপুটে এই জয় দিয়ে বিপিএলের পরবর্তী রাউন্ড প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছে সাকিবের দল। ১০ ম্যাচ শেষে ঢাকার সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও তারা রেখেছে নিজেদের দখলে। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইটানস। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর রাইডার্স আছে পঞ্চম স্থানে।
১৮৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল রংপুর। প্রথম ৯ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৬ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছিল ছয়টি উইকেট। তাদের হারটাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তখনই। সপ্তম উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়ে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান। কিন্তু তাঁদের এই লড়াকু জুটিটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ১৯তম ওভারে সোহাগ গাজী সাজঘরে ফিরেছিলেন ৩৬ রান করে। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে জিয়াউর করেছেন ৬০ রান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1480478663ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: দেশে ফিরবেন কিন্তু পাচ্ছেন না অনুমতি। নিরুপায় হয়ে শরণাপন্ন হলেন আদালতের।  শুরু হলো আদালতে যাওয়া-আসা। এভাবে প্রায় দুই বছরে আদালতে যাতায়াতে পাড়ি দিলেন এক হাজার কিলোমিটার। অবাক করা বিষয় হলো, এই পুরো পথটাই গেছেন হেঁটে।
প্রায় অসাধ্য সাধনকারী ওই ব্যক্তির নাম জগন্নাথান সেলভারাজ (৪৮)। বাড়ি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপ্পল্লী শহরে। জীবিকার তাড়নায় গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে।
হঠাৎ তামিলনাড়ুতে জগন্নাথানের মা মারা যান। তখন মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেশে ফেরার অনুমতি চান তিনি। কিন্তু মালিকপক্ষ তাঁকে অনুমতি দেয়নি। তারপরই এ বিষয়ে বিচার চেয়ে দুবাই আদালতে হাজির হন জগন্নাথান।
জগন্নাথানের ভাষ্য, আদালতের কাজে দুই বছরে কমপক্ষে ২০ বার সোনাপুর থেকে দুবাইয়ের কারামা জেলায় যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁকে। এই দুটি স্থানের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। আর প্রতিবারই নাকি তিনি এই পথ হেঁটেই গিয়েছিলেন। জগন্নাথান জানান, দুবাই শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত শ্রমিক আদালতে যাওয়ার জন্য বাস ভাড়া ছিল না তাঁর কাছে। তাই হেঁটেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest