সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

10-mohoromআজ মহররম মাসের ১০তারিখ পবিত্র আশুরা। আশুরা শব্দের অর্থ দশম বা দশমী । আশুরার দিনটি বিভিন্ন কারণে মুসলমানদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। তার মধ্যে যা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ও হৃদয় বিদারক তা হলো কারবালার ঘটনা। মুয়াবিয়া (রা) এর ইন্তেকালের পর তার পুত্র ইয়াজিদ ইসলামী রাষ্ট্রনীতির বরখেলাপ করে দামেস্কের মসনদে আসীন হন। মহানবী (স.) প্রতিষ্ঠিত যে নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদীনগণ রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন ইয়াজিদ সে নীতি ও আদর্শ পরিবর্তন করেন। আর ইমাম হোসাইন (রা) তা রক্ষার জন্য সোচ্চার হন। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে সত্যের জন্য সংগ্রাম করে কারবালা প্রান্তরে তার পরিবারের ১৭ জন সদস্য সহ মোট ৭৮জন এ দিনেই শাহাদাত বরণ করেন।
আশুরার পিছনের ইতিহাসঃ পবিত্র আশুরা দিনটির সাথে হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে বিভিন্ন নবী রাসুলগণের সাথে বিশেষভাবে সম্পর্ক রয়েছে। এদিনে আল্লাহপাক ১০জন পয়গম্বরকে তার বিশেষ অনুগ্রহ প্রদান করেছেন। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি জান্নাতে অবস্থান দুনিয়াতে প্রেরণ আর তওবা কবুল হওয়া এর সবই ঘটেছিল আশুরার দিনে। হয়রত নুহ (আ:) দীর্ঘ ৯০০ বছর তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছিলেন তার কওমকে। কিন্ত তারা তার দাওয়াত কবুল করেনি। ফলে তাদের প্রতি আল্লাহর গজব হিসেবে নেমে আসে মহা প্লাবন। নুহ (আ:) ও তার অনুসারীরা তার নৌকায় আরোহণ করেন। দীর্ঘ ৪০দিন পর প্লাবনের সমাপ্তি ঘটে এবং নুহ (আ) এর কিস্তি জুদি পাহাড়ের পাদদেশে মাটি স্পর্শ করে ঐতিহাসিক আশুরার দিনে। পবিত্র আশুরার দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ) কে নমরূদ অগ্নিকান্ডে নিক্ষেপ করে। আল্লাহতায়ালা তাকে অগ্নি থেকে উদ্ধার পূর্বক খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। হযরত আইয়ুব (আ) দীর্ঘ ১৮বছর পর কুষ্ঠরোগ থেকে মুক্তিলাভ করেন আশুরার দিনে। হযরত ঈসা (আ) কে চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেন পবিত্র আশুরার দিনে। হযরত ইউনুস (আ) ৪০দিন মাছের পেটে থাকার পর মুক্তিলাভ করেছিলেন পবিত্র আশুরার দিনে। হযরত সুলাইমান (আ) কে পুররায় রাজত্ব ফিরিয়ে দেন এইদিনে। হযরত মুসা (আ) ও তার অনুসারীদের আল্লাহতায়ালা নীল দরিয়ার মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করে পার করিয়ে দেন এবং ফেরাউন ও তার দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে মারেন এই আশুরার দিনে। আশুরার দিনে আল্লাহপাক সৃষ্টি করেন আকাশমন্ডলী,লওহ কলম, ফেরেস্তা পর্বতরাজি। আল্লাহতায়ালা নিজ আরশে অধিষ্ঠিত হন এ দিনে। আশুরার দিনে প্রথম আকাশ থেকে বৃষ্টিপাত হয়। মহররম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার কেয়ামত সংঘটিত হবে এমর্মে আল্লাহর রাসুল (স) ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করেছেন।
আশুরার ফজিলত: আশুরার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (স) বলেন -আশুরার দিনে রোজা পালন বিগত এক বছরের গোনাহ সমুহের কাফফারা স্বরূপ। (সহিহ মুসলিম)এছাড়া সহিহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে সালামা ইবনে আকওয়াহ (রা) হতে বর্ণিত হাদীস হতে জানা যায়, নবী করিম (স) আসলাম গোত্রের এক লোককে নির্দেশ দিলেন সে যেন লোকদের মাঝে এ ঘোষনা দেয় যে, যে ব্যক্তি আজ সকালে খেয়েছে সে যেন দিবসের বাকী অংশ রোজা পালন করে। আর যে ব্যক্তি কিছুই খায়নি সে যেন রোজা রাখে। কেননা আজকের দিন আশুরার দিন।
আশুরার তাৎপর্য ঃ আশুরা মুসলমানদের চেতনার বাতিঘর। আজকের দিনে যারা মুসলিম বা ইসলামী নামধারী হয়েও এজিদ , ইবনে জিয়াদ, সীমারের ভুমিকা পালন করে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম সম্পর্কে যারা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে তাদেরকে সঠিক ধারণা প্রদান করতে হবে এবং ইসলামের সু-মহান আদর্শের দিকে সবাইকে আহবান করতে হবে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে বাতিল ও জালিমের মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। আশুরার তাৎপর্য সম্পর্কে জাফর সাদিকের (র) এর উক্তিটি প্রণিধান যোগ্য। তিনি বলেন – প্রতিদিন ই আশুরা, প্রতিটি মাসই মহররম এবং প্রতিটি ভুমিই হচ্ছে কারবালা। অতএব আশুরার শিক্ষা বাস্তবায়নে আমাদের প্রতিদিনই কর্মসূচী থাকতে হবে। শুধু মহররম মাসে নয় বছরের প্রতিটি মাসেই মহররমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর প্রতিটি ভুমিকে কারবালা মনে করে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে কারবালার চেতনা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
লেখক: শিক্ষক ও সাংবাদিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

new-image
বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় মহিষাডাঙ্গা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বড় ভাই প্রণব সরকার পলাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার। শিক্ষক চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার দীপ, প্রভাষক হিরোলাল বিশ্বাস, অভিনেতা প্রভাষ সরকার প্রমূখ। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল, সোনাবাদাল নৌকাবাইচ দল, কুলপোতা নৌকাবাইচ দল ও ষষ্টগ্রাম নৌকাবাইচ দল অংশ গ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় কুলপোতা নৌকাবাইচ দল প্রথম, মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল ২য় এবং সোনাবাদাল নৌকাবাইচ দল ৩য় হয়। বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার দর্শক মনমুগ্ধের মত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

west-indies-bangladesh-cric
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে এক শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। জানা গেছে, বামনডাঙ্গা গ্রামের গৌতম গাইনের কন্যা বৃষ্টি (দেড় বছর) গতকাল দুপুরে উঠানে খেলছিল। দুপুর ১২ টার দিকে সবার নজর এড়িয়ে শিশুটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। ১৫/২০ মিনিট পর কন্যাকে না পেয়ে খোজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুর থেকে মৃত্যুবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল তিনি শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা,বিল মহিষকুড়, হাড়িরহাটখোলা, ঢালিরচক,নাকতাড়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ সহ ৮টি মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি পূজা মন্ডপে নগদ ২ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি নাকতাড়া কালিবাড়ী সার্বজনীন দুর্গা পূজামণ্ডপে ভক্তবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বক্তব্য রাখেন। এসময় মিসেস গোলাম রহমান, বিজিএম ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবলু,ইয়াং স্টারস্ ক্লাব সভাপতি সৌরভ রায়হান সাদ,ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলায় শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে ১০১টি পুজা মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হলেও মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দিনে ৪টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলো আজ (বুধবার) বিসর্জন দেওয়া হবে। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ৭ অক্টোবর দুর্গোৎসব শুরু হয়। নানান আচার ও অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ৫দিন ব্যাপী দুর্গাদেবীর পুজা শেষে গতকাল ছিল বিজয় দশমী। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা, র‌্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ছিল নানান অনুষ্ঠান। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও নানান জটিলতা ও বাধ্যবাধকতার কারণে গতকাল আশাশুনিতে মাত্র ৪টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ ৪টি মন্ডপ হলো, আশাশুনি সদর, কাদাকাটি ইউনিয়নের ঝিকরা, শোভনালী ইউনিয়নের বদলতলা ও কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা সার্বজনীন পুজা মন্দির। বাকীগুলো আজ বিসর্জন দেওয়া হবে। বিশেষ করে কাদাকাটির টেংরাখালী, বড়দলের বুড়িয়ায় বিশাল আড়ম মেলার মাধ্যমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিসর্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতরাত্রে ১২টার পর থেকে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি দায়িত্ব পালন শেষ করেছে। গতকাল যারা প্রতিমা বিসর্জন দেয়নি তারা নিজস্ব দায়িত্বে নিরাপত্তাবিধান করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আরাফাত হোসেন, কালিগঞ্জ: বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মোঃ শহিদুল বিশ্বাস এর মাদক ব্যবসায়ী পুত্র মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (২৩) কে ৫ পিস ইয়াবা ও ১০ পুরিয়া গাজা সহ গ্রেফতার করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এস,আই,রমজান সংগীয় ফোর্স নিয়ে বালিয়াডাঙ্গা হাইস্কুল এর সামনে থেকে গত ১০-১০-২০১৬ ইং রাত ৮ টায় দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও গাঁজা  ব্যবসায়ী শাহাদাৎকে ধরতে সক্ষম হন কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন বুক ফুলিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেলেও  শেষ রক্ষা হলনা মাদক ব্যবসায়ী শাহাদাতের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: বখাটেদের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কলারোয়ায় দুই মহিলাকে বেদম মারপিট করে জখম ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়াগেছে। কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে জখমপ্রাপ্ত দুই মহিলা কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের মৃত, নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩০) ও তাদের স্বজন বজলু সরদারের স্ত্রী সেলিনা (৩৫)। গতকাল সরজমিনে কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনা ও সেলিনার সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের প্রতিবেশী স্থানীয় বখাটে বিল্লাল হোসেন, মুক্তি, কবিরুল ইসলাম, রুস্তম আলী, লিটন হেসেন ও মুনছুর আলী দীর্ঘদিন তাদের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু তারা এ প্রস্তাবে রাজী না হয়ে বরং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। পরে তারা ঘটনাটি স্থানীয় প্রতিবেশীদের জানায়। এ ঘটনায় ঔ বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে তাদেরকে প্রান নাশের জন্য খুজতে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত সেলিনা অশ্র“ কন্ঠে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বখাটে বিল্লাল ও মুনছুর তাদের বাড়ীতে এসে রোজিনাকে খুজতে থাকে। এ সময় রোজিনা ও সেলিনা নিজ বাড়িতে বসে গল্প করছিলো। পরে দুই বখাটে বিল্লাল ও মুনছুর জোর পূর্বক তাদের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করলে তারা দুই জনে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে সেলিনা দুই বখাটে বিল্লাল ও মুনছুরকে জুতা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনার পর বখাটে বিল্লাল ও মুনছুর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলাপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে তারা গুরুতর জখম হলে বখাটেরা তাদেরকে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনার সাথে তাদের সহপাটি মুক্তি, কবির, রুস্তম, লিটন ও মুনছুর ঘটনাস্থলে এসে তারাও সেলিনা ও রোজিনা তাদের সাথে যোগ দিয়ে লাঠি দিয়ে মারপিটসহ  গোপনাঙ্গ থেঁতলে দেয় তারা। এক পর্যায়ে তারা সজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে বখাটেরা তাদের উপর শরিরীক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে ঘরের মধ্যে ফেলে বখাটে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এ ঘটনার তার সেলিনার ভাই বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে পথে সন্ত্রাসী বখাটে বিল্লাল, মুনছুর, মুক্তি, কবির, রুস্তম, লিটনসহ কয়েকজন তাদের গতিরোধ করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, সকালে তাদের পরিস্থিতির অবনতি হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ব্রজবাকসা গ্রামের আব্দুল আজীজের ছেলে সন্ত্রাসী বিল্লাল হোসেন ও এলাকার (ঘরজামাই) মুনছুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সেলিনা ও রোজিনা নষ্ট চরিত্রের। তারা এলাকার পরিবেশ নষ্ট্ করছে। সে জন্য তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তারা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6


মীর খায়রুল আলম : বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিজয়া দশমির বিসর্জন মিলন মেলা নানান জটিলতায় ৪ বারের মত এবারও বন্ধ হল। ভাসলো না দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা। যার যার সীমারেখার মধ্যে কঠোর নজরদারীতে সম্পন্ন হল বিজয়া বিসর্জন মেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। তাছাড়া প্রতি বছরের এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় পাশাপাশি অবস্থিত প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং করে উভয় দেশের মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পারাপারসহ সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দৃষ্কৃতিকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের জাতীয় ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে ৪ বারের মত বন্ধ হল ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা। দিনটিতে নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণী ইছামতি নদীর বিস্তৃত জিরো পয়েন্ট এলাকা জুড়ে নৌযানে টহল জোরদার করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা। তাছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ, প্রবেশ পথ সহ সকল সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বে ছিল ট্রাফিক পুলিশ। দিনটিতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেবহাটাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের পূজা মণ্ডপ থেকে দেবী দুর্গার প্রতিমা নিয়ে ইছামতি নদীর এই বিসর্জনাস্থলে আসতে থাকে ভক্তরা। পরে সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে অশ্র“সিক্ত নয়নে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুুষ। তবে সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হলেও কয়েক বছর মিলন মেলা না হওয়ায় প্রত্যেকের মাঝে ছিলো হতাশার চিহ্ন। ৪র্থ বারের ন্যায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে ভাসেনি দু’বাংলার মিলন মেলার তরী। গত কয়েক বছরের ন্যায় এবছরও সকাল থেকে ইছামতি নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলেও প্রতিমা বহনকারী নৌকা ছাড়া নদীতে নৌকা ভাসাতে পারেনি কেউই। ফলে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন দু’বাংলার মানুষ। তাছাড়া বাংলাদেশে সরকারের সিদ্ধান্ত— অনুযায়ী মিলন মেলা না হওয়ার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবছর জেলা পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। বিগত বছরগুলোয় নানান জটিলতায় আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। এবিষয়ে স্থানীয়রা বলেন দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই সীমান্তের  ইছামতি নদীর উভয় তীরে দুর্গা পূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মেলা বসে আসছে। দেশ বিভাগের পরও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সীমান্তের সীমারেখা। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এ মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সারা বছর ধরে শুধু ইছামতি নদীর পাড়ের মানুষ নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ দিনটির জন্যে থাকে অপেক্ষায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সন উপলক্ষে ইছামতির উভয় পাড়ে বসে নানারকমের দোকান। আত্বীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ছাড়াও এখানে আসা মানুষ উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময় শেষে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় যে যার দেশে, যে যার ঘরে। বাঙ্গালীর জাতীর সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে সকলের মাঝ থেকে। আগামী প্রজন্ম হয়ত আর উপভোগ করতে পারবে না উৎসব মূখর এই আনন্দঘন দিনটি। দু-দেশের জটিলতায় হয়ত একদিন সকলের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে দিনটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest