সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

dsc02058-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা সভা ও অভিষেক সম্মেলন ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি মো. ইউনুস আলী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। ইসলাম শান্তির কথা বলে, তাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কখনও ইসলাম হতে পারেনা। যারা ধর্মের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়াতে হবে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মানুষ গড়ার কারিগর, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিপদগামীদের সঠিক ভাল পথে ফিরিয়ে আনতে হবে’। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা বাকশিসের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, জেলা ওলামালীগের সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হক বকুল প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস.এম আলমগীর, সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, আছাফুর রহমান, শাহিন আক্তার, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শাহাজান আলী শাহিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় ধর্ষণ প্রচেষ্টার অভিযোগে গোলাম রসুল (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা গ্রামের জামশেদ কারিগরের ছেলে। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা গ্রামে এ ধর্ষন প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটে। কলারোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌর সদরের ঝিকরা গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মেরিনা খাতুন (৩০) বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাজারে একই গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল এর নিকট প্রেসক্রিপশন দেখানোর জন্য যায়। এ সময় প্রতারক গোলাম রসুল তার প্রেসক্রিপশন দেখার নাম করে কৌশলে তাকে দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর গোলাম রসুল তার দোকানের শার্টার বন্ধ করে দিয়ে হঠাৎ তাকে জাপটে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় মেরিনা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে বেদম মারপিট করে। পরে লম্পটের নিকট থেকে বাঁচতে মেরিনা  চিৎকার দিলে দোকানের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা পরিনন্দীর স্ত্রী মালতি রাণী ও ঝিকরা গ্রামের আবুল হোসেনের জামাই ইউসুফ আলীসহ কয়েকজন বাসিন্দা এসে তাকে দোকান থেকে উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনাটি কলারোয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লম্পট গোলাম রসুলকে গ্রেফতার করে এবং আহত মেরিনাকে চিকিৎসার জন্য কলারোয়া হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কলারোয়া থানায় একটি মামলা (নং- ১২(১০)১৬) দায়ের হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6
বুধহাটা প্রতিনিধি:  জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা এমপি রিফাত আমিন সোমবার সন্ধ্যায় আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি পূর্ব কাদাকাটি স্কুলবাড়ি সার্বজনীন পূজা মন্দির, টেংরাখালী উত্তরপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির,টেংরাখালী দক্ষিণপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির,ঝিকরা সার্বজনীন পূজা মন্দির, বাইনবশত সার্বজনীন পূজা মন্দির, কুল্যার কচুয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে সার্বিক খোঁজখবর নেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এসময় সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক শাহানা মহিদ, মহিলা আ’লীগ নেত্রী অধ্যাপক সালেহা আক্তার, জেলা যুব মহিলা আ’লীগ সভানেত্রী ফারহানা দীবা খান সাথী, সাংগাঠনিক সম্পাদক ইসমত আরা, সাতক্ষীরা পৌর মহিলা আ’লীগ সম্পাদক রেবেকা খাতুন রিক্তা, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর সরকার, আশাশুনি উপজেলা তরুণলীগের আহবায়ক ওমর সাকী পলাশ, মহিলা এমপির ব্যাক্তিগত সহকারী মাসউদুর রহমান, কচুয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর মাহমুদ, পূর্ব কাদাকাটি মন্দির কমিটির সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র মণ্ডল, সম্পাদক নিশিকান্ত মণ্ডল, মেম্বর অমৃত কুমার সানা প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4


মীর খায়রুল আলম:  ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ এদেশে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ সকলের সমান অধিকার রয়েছে। স্বাধীন দেশের মানুষের প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে যার যার উৎসব পালন করার। তাছাড়া অসাম্প্রদায়িকতা চেতনা আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু নিষিদ্ধ সংগঠন উঠতি বয়সের যুবকদের কাজে লাগিয়ে মানুষ হত্যা ও গুপ্ত হত্যায় ব্যবহার করছে। যাতে যুবসমাজ ধবংসের মুখে ধাপিত হচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে এক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। দেবহাটায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও অর্থিক সহযোগিতা প্রদানকালেএসব কথা বলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আছাদুল হক, দপ্তর সম্পাদক হারুন-উর রশীদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাধারন সম্পাদক বিধান চন্দ্র বর্মন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জিএম অহিদ পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ঘোষ, কুলিয়া ছাত্রলীগের সভাপতি আফজাল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যয়ের নেতৃবৃন্দরা। এসময় উপজেলার ১৯টি পূজা মণ্ডপে যেয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং অর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন নেতৃবৃন্দরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি কালিগঞ্জ:  বার বছর ধরে ভিক্ষা করে প্রতিবন্ধি মেয়ের চিকিৎসা খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন অসহায় জাহানারা বেগম। নলতা থেকে কালিগঞ্জ বাস টার্মিনালে এসে প্রতিদিন প্রতিবন্ধি ১৩ বছরের ছোট মেয়ে খুকুমনিকে কোলে নিয়ে যাত্রীদের কাছে অসহায় মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে দেখা যায় জাহানারা বেগমকে। কেউ বা খুকুমনিকে দেখে পাঁচ-দশ টাকা সাহায্য করে আবার কেউ বা মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় এমনটাই জানান প্রতিবন্ধী খুকুমনির মা। প্রতিবন্ধি মেয়েকে নিয়ে অনেক বড় বিপদে পরেছে খুকুমনির বাবা-মা। বাবা পূর্ব নলতা গ্রামের চায়ের দোকানদার মোঃ সাইফুল্লাহ। দোকানের সামান্য আয়ে দুই মেয়ে এবং সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয় তাকে। তারপরও প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে খুকুমনি না পারে কথা বলতে, না পাই কানে শুনতে। তারপরও হাতের ও পায়ের আঙ্গুল এক সাথে জোড়া লাগানো খুকুমনিকে  দেখলে মনে হয় ছয় বছরের বাচ্চা।এর পর ও সরকারি বা প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা আজও পায়নি খুকুমনির বাবা মা। এজন্য বাধ্য হয়ে  সকালে বাহির হয় সবার দুয়ারে হাত পাতার জন্য খুকুমনির প্রতিদিনের ্ঔষধ খরচ তিনশ টাকা যোগার করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধিদের জন্য এত সাহায্য সহযোগিতা করলেও আজও পৌছায়নি বুদ্ধি ও শারিরীক প্রতিবন্ধী খুকুমনির বাবা মার কাছে। খুকুমনিকে নিয়ে চিন্তার কোন অন্ত নেই পরিবারের সকলের। বাবা-মায়ের জমানো কোন টাকা নেই, আছে তিন শতক জমি বসবাসের জন্য,তারপর ও খুকুমনির চিকিৎসা  করনোর জন্য দরকার অনেক টাকা। কিভাবে করাবে মেয়ের চিকিৎসা কিভাবে যোগাড় করবে মেয়ের ঔষধ খরচ এমন চিন্তায় ভেঙে পরছে খুকুমনির বাবা-মা। খুকুমনির মা বলেন আমি বার বছর ধরে সবার কাছে সাহায্য চেয়ে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি আমার মেয়ে আগে হাটতে পারত না এই দুই বছর হাটতে পারছে।্্্্্ সরকারি কোন সাহয্য আজও আমরা পায়নি আমার মেয়ের যদি একটা প্রতিবন্ধি কার্ড ও থাকত তাহলেও আমি মেয়ের চিকিৎসার জন্য একটু হলেও সুবিধা পেতাম। সবার দুয়ারে ঘুরেও বার বছর ধরে আমার মেয়ের একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেলাম না।্্্্ আল্লাহ যানেন আমাদের মত গরিব অসহায় মানুষের উপর কোন ব্যাক্তির দয়া হবে কিনা আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাবে কিনা মেয়েটার চিকিৎসা কোন দিনও করাতে পারব কিনা।নাকি এমনই প্রতিদিন আমার মেয়ের জন্য মানুষের দুয়ারে সাহয্য চেয়ে চালাতে হবে আমার মেয়ের চিকিৎসা খরচ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় সম্প্রতি কয়েকটি মটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর এবার প্রকাশ্যে দিনের বেলায় জুলফিকার আলী নামে এক সাংবাদিকের বাই সাইেকেল চুরি হয়েছে। সে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল বেলা ১১ টার দিকে কলারোয়া থানার বিপরীতে মাই-ওয়ান টেলিভিশন শো রুমের সামনে থেকে এ সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক জুলফিকার আলী জানান, বেলা ১১ টার দিকে কাচাঁ বাজার করে থানার বিপরীতে মাই-ওয়ান টেলিভিশন শো রুমের সামনে বাজার করা ব্যাগসহ তার ব্যবহৃত হিরো লাল রংয়ের ছোট বাই সাইকেল (তার নাম ও মোবাইল নং-০১৭১৮-৮৪৫৬০৪ লেখা আছে) রেখে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে পত্রিকা পড়ছিলেন। কিছু সময় পর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সেখানে এসে তার সাইকেলটি সেখানে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে কোন সন্ধান পায়নি। পরে তিনি ঘটনাটি কলারোয়া থানা পুলিশসহ তার সহকর্মিদের ঘটনাটি জানান এবং হতবাগ হয়ে সাইকেলটি খুজতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে তিনি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগয়াচাড়া নামক স্থান পর্যন্ত তিনি নিজে এবং সহকর্মি সাংবাদিকদের মাধ্যমে খোজাখুজি করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন সন্ধান পাননি। কলারোয়ায় থানার পার্শ্ববর্তী কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমানে কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। তারা বলেন, সম্প্রতি বাজারে দিনের বেলায় মোবাইলের দোকান ও বাসা বাড়ীতে মটরসাইকেল চুরির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা  আইন শৃংখলা বাহিনীকে জানানো হলেও এ বিষয়ে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। কলারোয়া পৌর সদরের ব্যবসায়ীরা অতিদ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে থানার সামনে থেকে প্রকাশ্যে দিনের বেলার সাংবাদিক জুলফিকার আলীর বাই সাইকেল চুরির ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের কর্মকর্তাসহ উপজেলায় কর্মরত গনমাধ্যম কর্মিরা। তারাও কলারোয়া থানা পুলিশ প্রশাসনকে সাইকেলটি উদ্ধার এবং সংঙ্গবদ্ধ এসব চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ জানান, সাংবাদিক জুলফিকার আলী থানায় এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয় হয়েছে। এছাড়া চুরি হওয়া সাইকেলটি উদ্ধারের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জুলফিকার আলী: বাঁশদহায় হতদরিদ্র্যদের নামের তালিকায় অনিয়ম,ভিক্ষুকরা বঞ্চিত,তালিকায় চেয়ারম্যান মেম্বরদেরআত্মীয় স্বজন ও বিত্তবানরা!”শিরোনামে সাতক্ষীরার জনপ্রিয় পত্রিকা “দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা”পত্রিকায সংবাদ প্রকাশিত হবার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাফিজুর রহমান গতকাল হাওয়ালখালী ওয়ার্ডে যেয়ে সরোজমিনে তদন্ত করেন।এ সময় তিনি যেসকল বিত্তবানদের নাম হতদরিদ্র্যদের তালিকায় লিপিবদ্ধ ছিল তাদের বাড়িতে এবং অনেক হতদরিদ্র্য ব্যক্তি,যাদের হতদরিদ্র্যের তালিকায় নাম নেই তাদের বাড়িতে যেয়ে ও বাড়ির আশে পাশে যেয়ে খোজ খবর নেন।অনেক হতদরিদ্র্য ব্যক্তির সাথে কথা বলেন এবং তাদের অভিযোগ শোনেন।উল্লেখ্য যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ১৯৯৬ সালের  নির্বাচনী ইশতেহার উনুযায়ী হতদরিদ্র্যদের মাঝে ১০ টাকা কেজি মুল্যে চাউল বিতরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং প্রতি ইউনিয়ন হতে হতদরিদ্র্যদের নামের তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয় স্ব স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের। গত ২০ জুলাই বাঁশদহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন ও উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১০৮২ টি কার্ডের বিপরীতে উপকারভোগীদের নামের যে তালিকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট প্রেরন করে,সেই তালিকায় অধিকাংশ বিত্তবান ও কোটিপতিদের নাম এবং চেয়ারম্যান মেম্বরদের আত্মীয়-স্বজনদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়।তদন্তের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাঁশদহা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান,ইউপি সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আমিনুর রহমান,আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজারুল ইসলাম,যুবলীগের সহ-সভাপতি অহেদ আলী, মেম্বর আরিজুল ইসলাম,মফিজুল ইসলাম,কামরুল ইসলাম,মোমেনা খাতুন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের এক দিন পর সোমবার বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট দেখে আশাশুনি উপজেলার আব্দুল হান্নানকে মারপিট করে আহত করেছে সন্ত্রসীরা। তিনি উপজেলার বাউশালী গ্রামের মৃত গনি সরদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আব্দুল হান্নান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার বেলা ১১ টার দিকে আশাশুনি উপজেলার মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে ঘেরের মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে চাপড়া বাসষ্ট্যাণ্ড এলাকায় পৌছালে চাপড়া গ্রামের আবুল হাশেম সরদার ও বড়দল গ্রামের রউফ গাজীর নির্দেশে চাপড়ার আকবর হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী আবুজাহিদ সোহাগ তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, বড়দল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা ও বিভিন্ন অপকর্মের হোতা আব্দুর রউফ গাজী, তার সৌদি প্রবাসী ছোট ভাই গাউস গাজীর মাধ্যমে তাকে (আব্দুল হান্নান) ও মিজানুর রহমানকে বিদেশ পাঠানোর জন্য গত বছরের ২০/১১/২০১৫ তারিখে নগদ বিশ লাখ টাকা নেন। এর বিপরীতে রউফ গাজী তাকে বিশ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। তাদের সাথে শর্ত ছিল ২ মাসের মধ্যে এক লাখ টাকা বেতনে সৌদি আরব অথবা অন্য কোন দেশে ভাল চাকুরীর ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের বিদেশ না পাঠিয়ে রউফ গাজী বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকলে গত ০১/০৩/২০১৬ তারিখে আঃ রউফ গাজীকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২) নং আদালতে ভুক্তভোগী তিনি নিজ (আব্দুল হানান ) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যার নং-সিআর ১৯/১৬(আশা:) এবং যা বর্তমানে সেশন নং ২৯৭/১৬ যা সাব-জজ ২য় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর পরও আঃ রউফ গাজী টাকা পরিশোধ না করে ২নং বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের মৃত তাহের সরদারের ছেলে আবুল হাসেম ও আকবরকে দিয়ে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় তিনি রোববার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর একদিন পর বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট দেখে তাকে (আব্দুল হান্নানকে) চাপড়া বাসষ্ট্যাণ্ড এলাকায় একা পেয়ে চাপড়া গ্রামের সন্ত্রাসী আকবর হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী আবু জাহিদ সোহাগ তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে আহত করেন। তারা এ সময় তাকে হত্যার চেষ্টাও করেন এবং তার কাছে থাকা মাছ বিক্রির এক লাখ ২৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন বলে তিনি আরো জানান। এ ব্যাপারে আহত আব্দুল হান্নানের ভাই আব্দুস সবুর বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest