সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

_91773485_08ef3756-1757-4a67-a6d3-01641ecfe025ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত শাসিত কাশ্মীরের পাম্পোরে সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত একজন ‘জঙ্গি’ মারা গেছেন বলে দাবী করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধের পরে কিছুক্ষণ আগে ওই ভবনটিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রবেশ করেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই যদিও বলছে যে একজন ‘জঙ্গির’ মৃত্যু হয়েছে, ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভি সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে একজন ‘জঙ্গি’ গতকাল এবং অন্যজন আজ সকালে, অর্থাৎ সব মিলিয়ে দু’জন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এই সংঘর্ষে একজন সেনাসদস্যও আহত হয়েছেন।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পাম্পোরের একটি সরকারী শিক্ষা কেন্দ্রে ওই সশস্ত্র ‘জঙ্গিরা’ ঢুকে পরে সোমবার ভোরে।
কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক আর সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্স সাত তলা ওই বাড়িটি তখনই ঘিরে ফেলেছিল।
পঞ্চাশটিরও বেশী রকেট, প্রচুর গ্রেনেড আর মেশিনগানের গুলি চালাতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। স্থানীয় সংবাদদাতারা বলছেন, বুধবার সকালে ঘটনাস্থলের ১০ কিলোমিটার দূর থেকেও গুলি আর গ্রেনেড বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। রাজ্যের পুলিশ মহানির্দেশক (সমন্বয়) এস পি ভৈদ হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “এখন আর ভবনটি থেকে গুলি আসছে না। বাহিনীর সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেছেন, প্রতিটি ঘর খুঁজে দেখা হচ্ছে।”
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতেই গত ফেব্রুয়ারি মাসেও একবার সশস্ত্র জঙ্গিরা প্রবেশ করেছিল। সেই সংঘর্ষে তিনজন সেনাসদস্য, একজন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। তিনজন জঙ্গিও ঐ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
পাম্পোরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবারের হামলার সময়ে কোনও ক্লাস হচ্ছিল না বা কোনও শিক্ষার্থীও সেখানে ছিলেন না। গত তিনমাস ধরে ভারত শাসিত কাশ্মীরে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে, তার প্রেক্ষিতে সেখানকার সব স্কুল কলেজের মতোই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ রয়েছে। জুলাই মাসের গোড়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক সংঘর্ষে হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির নিহত হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভারত শাসিত কাশ্মীর। কোথাও প্রতিবাদ জানাতে পথে নামা মানুষের ওপরে ছররা গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী, আবার স্থানীয় মানুষেরাও সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত দু’জন পুলিশ কর্মী ও ৮২ জন বেসামরিক ব্যক্তি এইসব সংঘর্ষে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাঁদের অনেকের দেহেই ঢুকেছে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোঁড়া ছররা। দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন বহু মানুষ। গত ৯৬ দিন ধরে ওই রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজ, বেশীরভাগ দোকান-বাজার, পেট্রল পাম্প বন্ধ হয়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে বুধবারও রাজধানী শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারী রয়েছে, আর স্বাভাবিক চলাফেরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারী রয়েছে আরও কিছু এলাকায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91773483_c83d4fda-a622-4cfc-addc-b6a28c6d980aডেস্ক রিপোর্ট: বার্মার রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার চারজন সেনা সদস্য এবং একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।
এছাড়া ঐ এলাকায় আরো সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে সেই মৃতদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের সংঘাতে ১২জন নিহত হয়েছে।
বার্মার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রায় ৩০০ মানুষ পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সৈন্যদের উপর আক্রমণ করে। এর আগে গত রবিবারে এক হামলায় নয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তে রাখাইন প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে সংঘাত চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সমন্বিত হামলাগুলোর জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করছে বার্মার সরকার।
তবে সংবাদদাতারা বলছেন, এসব হামলার জন্য কারা দায়ী সেটি তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। কারণ সাংবাদিকদের ঐসব এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে হামলাগুলোর পিছনে যদি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভূমিকা থাকে, সেটি রাখাইন রাজ্যের চলমান অস্থিরতাকে ভিন্ন একটি রূপ দেবে।
২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতায় ১০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়।
রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বার্মার নাগরিক হিসেবে স্বীকার করেনা সে দেশের সরকার। বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা দাবি করে রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে।
এদিকে রাখাইন রাজ্যে এ সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সবগুলো পক্ষকে সংযম দেখানোর আহবান করেছে সংস্থাটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1476266585স্পোর্টস ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারে আরেকটি অর্জনের উচ্ছ্বাস! প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রান করেছেন তিনি। ক্রিস ওকসকে পুল করে এমন দুর্দান্ত মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম।
ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে দুর্দান্ত অর্জনটা স্পর্শ করার পর তামিম অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আদিল রশিদের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দিয়েছেন কাভারে। ৬৮ বলে পাঁচটি চারসহ ৪৫ রান করা তামিম বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটিও গড়েছেন মাশরাফির দলের দুই বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু তারপরই বিদায় নিয়েছেন ইমরুল। বেন স্টোকসকে ফ্লিক করতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার ডসনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৫৮ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান করেছেন ইমরুল।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৩১ ওভারে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৮ রান। ব্যাট করছেন মুশফিক ও সাব্বির। দু’জনেই চমৎকার খেলছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ৮০ রানই বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি। আগের সেরা জুটিতেও অংশীদার ছিলেন তামিম-ইমরুল। ২০১০ সালে মিরপুরে ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজনে।
এর আগে বাংলাদেশের দলীয় ৫০ রান এসেছিল রাজসিক ভঙ্গিতে। সিরিজে প্রথম খেলতে নামা লিয়াম প্লাংকেটকে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে দলকে ৫০ রানে পৌঁছে দিয়েছেন ইমরুল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অপরিবর্তিত দল নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ড দলে দুটি পরিবর্তন। জেসন রয় ও ডেভিড উইলির জায়গায় এসেছেন স্যাম বিলিংস ও প্লাংকেট।
রয় চোটের কারণে বাদ পড়েছেন। উইলি অবশ্য একাদশে জায়গা হারিয়েছেন খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চাকরি ডেস্ক: বাংলাদেphoto-1476264863শের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন নতুন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘সিনিয়র লিড ইঞ্জিনিয়ার—ডিজিটাল সার্ভিস’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদটিতে আবেদনের জন্য বিস্তারিত :

যোগ্যতা
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি পাস করেছেন এমন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অ্যানড্রয়েড অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে চার বছরের অভিজ্ঞতাসহ সফটওয়্যার প্রোগ্রামিংয়ে মোট ছয় বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া আইটি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বতঃপ্রণোদিত, বিশ্লেষণধর্মী ও সৃজনশীল হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটের (bit.ly/2eeAmbl) মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ ১৯ অক্টোবর-২০১৬।

বিস্তারিত জানতে গ্রামীণফোন প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন :1476264865-gp1

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

76cd5c481dcd20bb37569db0c6a2813f-57fd38f7a5674ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় র্যাব-পুলিশের পৃথক চার অভিযানে নিহত ১২ জঙ্গির মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত আঙুলের ছাপ মিলিয়ে ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তারা হলো টাঙ্গাইলের কাগমারায় নিহত নওগাঁর আহসান হাবীব, গাজীপুরে নিহত জয়পুরহাটের আমিনুল এহসান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে নিহত রাজধানীর বংশালের ইব্রাহীম, সিরাজগঞ্জের ফরিদুল ইসলাম আকাশ ও সুনামগঞ্জের সাইফুল ইসলাম। র্যাব-পুলিশের পক্ষ থেকে বাকি সাত জনের নিহত হওয়ার আগে ও পরের ছবি প্রকাশ করে তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ৮ অক্টোবর সকালে গাজীপুরের জয়দেবপুরের হাড়িনালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। এ সময় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়। প্রায় একই সময়ে হাড়িনালের পাশের পাতারটেকে আরেক জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখানে মারা যায় সাত জঙ্গি। সকালে পৃথক অভিযানে টাঙ্গাইলের কাগমারায় অভিযান চালায় র্যাবের অন্য একটি দল। সেখানে মারা যায় আরও দুই জঙ্গি। সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় র্যাবের পৃথক আরেকটি অভিযানে পালাতে গিয়ে মারা যায় আরেক জঙ্গি।
র্যাব সূত্র জানায়, গাজীপুরের হাড়িনালের জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে যে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের একজনের পরিচয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তার নাম আমিনুল এহসান। তার বাবার নাম আব্দুল গাফফার মণ্ডল। গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বেগুনগ্রামে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বছরের ৪ অক্টোবর বগুড়ার পলিটেকনিক্যালে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। গত বছরের ৬ অক্টোবর তার বাবা কালাই থানায় একটি জিডিও দায়ের করেছিলেন। স্বজনরা জানিয়েছেন, আমিনুলের চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল। কিন্তু সে যে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে, তা কখনও কল্পনা করেননি তারা।
র্যাব সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের কাগমারায় নিহত দুই জঙ্গির একজন আহসান হাবীব। তার বাবার নাম আলতাফ হোসেন। গ্রামের বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে। পরিবারের সদস্যরা জানায়, ২০০৯ সালে নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সে। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়। ২০১৪ সালে অস্ত্রসহ একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আসে। এরপর সে আত্মগোপনে চলে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় র্যাব কার্যালয়ে সহায়তা চেয়ে আবেদনও করেছিলেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, ‘র্যাবের অভিযানে নিহত ৫ জনের মধ্যে দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি তিন জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের পরিচয় জানাতে সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।’
2871f5d995572670edd9e7681a83df7a-57fd389e64dfdর্যাব কর্মকর্তারা জানান, ‘র্যাবের অভিযানে আশুলিয়ায় পালাতে গিয়ে পাঁচ তলা থেকে পড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ব্যক্তিকে তারা প্রাথমিকভাবে আব্দুর রহমান ওরফে নাজমুল হোসেন হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন। জব্দ করা একটি পাসপোর্টের সূত্র ধরে স্থায়ী ঠিকানা সাতক্ষীরা কুশখালীতে খোঁজও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য ভুল ছিল। পাসপোর্টটি আসল না নকল তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’
র্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘আব্দুর রহমান ওরফে নাজমুল হোসেন নব্য জেএমবির অর্থের জোগানদাতা হিসেবে কাজ করতো। তার বাসা থেকে অস্ত্র-গুলি ও এক্সপ্লোসিভসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্ত্রীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু সেও প্রকৃত পরিচয় জানাতে পারেনি।’ র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ‘কথিত আব্দুর রহমান ওরফে নাজমুল হোসেন তার প্রকৃত পরিচয় আড়াল করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো।’
এদিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, গাজীপুরের পাতারটেকে তাদের অভিযানে যে সাত জন জঙ্গি মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। এর মধ্যে ফরিদুল ইসলাম আকাশ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ইতলী গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়া আকাশের পুরো পরিবারই জঙ্গিকর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গত ৫ সেপ্টেম্বরে আকাশের মা, দুই বোন এবং প্রতিবেশী এক নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা জেএমবির আত্মঘাতী দলের সদস্য বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে আকাশের বাবা আবু সাঈদ দুই শিশু সন্তান নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘আকাশ ছিল নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডার। সে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। তামিমের নির্দেশনা অনুযায়ী সে শোলাকিয়া ঈদগাহ জামাতে হামলার বিষয়টি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল।’
সিটি সূত্র জানায়, পাতারটেকে নিহত জঙ্গিদের আরেকজন হলো রাজধানীর বংশালের ৫৪ নম্বর পুরানো মোঘলটুলির বাসিন্দা আজিমুদ্দিনের ছেলে ইব্রাহীম। সে গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষা দিয়েছিল। আলিমে তার রেজাল্ট ছিল জিপিএ ৪.৮০। কিন্তু ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই গত ৮ আগস্ট সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এরপর দিন ইব্রাহীমের বাবা বংশাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। পাতারটেকে নিহত আরেক জঙ্গি সিলেটের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মনিরগাতি গ্রামের সাইফুল ইসলাম। তার বাবার নাম মতিউর রহমান ওরফে ময়না শাহ এবং মায়ের নাম হুসনে আরা। দুই মাস ধরে সাইফুল নিখোঁজ ছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। সাইফুল স্থানীয় পীরপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও সিলেটের রায়নগরের সার্ক ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কোচিং করতে ঢাকায় গিয়ে সে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘পাতারটেকে নিহত জঙ্গিদের সবার পরিচয় জানার জন্য ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
সিটির ওই সূত্র জানায়, বাকি পাঁচজনের মধ্যে একজনকে তারা গাইবান্ধার আবু শামার ছেলে হাফেজ ছানাউল্লাহ ওরফে হুজুর বলে সন্দেহ করছেন। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া আরেকজনের সাংগঠনিক নাম ‘মেকানিক’ বলেও জানতে পেরেছেন তারা। তবে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ফেসবুকে তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে র্যাব লিখেছে, ‘আপনারা জানেন, গত ৮ অক্টোবর শনিবার গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও আশুলিয়ায় র্যাবের পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হওয়া ৫ জঙ্গির মধ্যে ২ জনের পরিচয় আমরা নিশ্চিত হয়েছে। নিচের ছবির ৩ জঙ্গির পরিচয় জানা জায়নি। এসব জঙ্গির পরিচয় জানতে আপনাদের আশেপাশে অতীতে অবস্থান করছিল, এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যদি ছবিগুলো মিলে যায় অথবা ছবিগুলো আপনার পরিচিত মনে হয়, তাহলে শিগগিরই আপনার নিকটস্থ র্যাব ক্যাম্প অথবা র্যাব সদর দফতরে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল। বিশেষ প্রয়োজনে +৮৮০১৭৭৭৭২০০৭৫ নম্বরের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানায় র্যাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bf6f7b36857a2f5e3d2cbecd98b58151-57fd2396488fcডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জোট অ্যালায়েন্স অব ইউরোপিয়ান কনজারভেটিভস অ্যান্ড রিফর্মিস্ট (এইসিআর)-এ যোগ দিয়েছে বিএনপি। জোটের পরবর্তী সাধারণ সভায় পূর্ণ মেম্বারশিপ গ্রহণ করবে দলটি। এই জোটের সদস্য হিসেবে ইতোমধ্যে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি ।
জানা গেছে, বিশ্বের দক্ষিণপন্থী, উদারগণতন্ত্রী ও প্রগতিমনা দলগুলো এই জোটের সদস্য। বিভিন্ন দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতো বিএনপিও যোগ দিলো এই জোটে। দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এই জোটের সদস্য হিসেবেই বিএনপির পক্ষে আমি ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছিলাম।
গত ২ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ব্রিটিশ দলটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বিএনপি নেতা রিপন বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ভাববিনিময় করেন। সম্প্রতি বৃটিশ কনজারভেটিভ পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে এই জোটের সদস্য হিসেবেই আমন্ত্রিত হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান রিপন।
উইকিপিডিয়া বলছে, ইউরোপের রক্ষণশীল ও সংস্কারপন্থিদের অ্যালায়েন্স (AECR) একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক জোট। যেটি অর্থনৈতিকভাবে উদার নীতি রক্ষা করে চলে। ২০০৯ সালের অক্টোবরে এই জোটের জন্ম। চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যঁ জাহরাদিল এই জোটের সভাপতি এবং সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন ইইউ পার্লামেন্টের সদস্য ডেনিয়েল হানান।
পৃথিবীর ২২টি দেশের রাজনৈতিক দল এই জোটের সদস্য। এর মধ্যে চারটি স্বাধীন সদস্য রয়েছে। যেটি ২০১০ সালে ইইউ পার্লামেন্টে স্বীকৃতি পায়। এরমধ্যে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ইউকে কনজারভেটিভ পার্টি অন্যতম। আঞ্চলিক শরীক রাষ্ট্রের দলগুলোর মধ্যে, ইসরায়েলের লিকুদ পার্টি, অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি ও যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি আছে। জোটের ভাষায় আঞ্চলিক সদস্যদেরকে ‘সহযোগী সদস্য’ বলা হয়।
এই জোটের মূলনীতি হিসেবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ইউরোপ এবং বিশ্বব্যাপী করমুক্ত বাণিজ্য বিস্তার করতে প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য। আসাদুজ্জামান রিপন জানান, ‘এই জোট রিফর্মের চিন্তা করে এবং জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছিল।’
তিনি জানান, ‘এই জোট দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রসারিত হবে। আমরা মূল সদস্য হওয়ার পাশাপাশি রিজিওনাল ফেইজেও থাকবো। আশা করছি, পরবর্তী সাধারণ সভায় বিএনপির হাতে সদস্যপদ তুলে দেওয়া হবে। তবে আগামীতে এই জোটের নামেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানান ড. রিপন।’
কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলন বিষয়ে রিপন জানান, চার দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক একাধিক থিং ট্যাংক অংশ নিয়েছে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিডসন এবং এইসিআর সেক্রেটারি জেনারেল ডেনিয়েল হানানের সঙ্গেও কথা বলেছেন আসাদুজ্জামান রিপন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91772700_20160921_114850ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতে ইলিশ মাছ ধরা পড়লেও, সেখানকার বাঙ্গালীদের কাছে বাংলাদেশের ইলিশ বেশি প্রিয়। বিশেষ করে কলকাতার মানুষ ইলিশকে কতটা ভালোবাসে তার প্রমাণ হচ্ছে, ইলিশ নিয়ে সেখানে গানও তৈরি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ না পেয়ে হতাশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশের ইলিশ কলকাতার মানুষের কাছে কেন এতটা প্রিয়? বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসির রাহুল ট্যান্ডন। কলকাতার বাজারের একজন মাছ বিক্রেতা সুখদেব দাস বলেন ,সবচেয়ে ভালো ইলিশ বাংলাদেশের ইলিশ। পশ্চিমবঙ্গের সব এলাকা থেকে বাজারে ইলিশ আসলেও সেগুলো আকারে বেশ ছোট।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে কিন্তু সেগুলো আমেরিকা ইংল্যান্ডে চলে যাচ্ছে।
কলকাতার বাজারে একজন ক্রেতা বলছিলেন, তারা বাংলাদেশের ইলিশের অভাব বোধ করছেন। সে ক্রেতা জানালেন বাংলাদেশের ইলিশ এতটাই সুস্বাদু যে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কলকাতার বাসিন্দারা মনে করেন, বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদটাই অন্যরকম। এটার সাথে অন্য মাছের তুলনা চলেনা।
সেখানকার বাজারের একজন ক্রেতা বলছিলেন, ” আমাদের কোন বন্ধু যদি বাংলাদেশে যায়, তখন আমরা তাদের বলি যে অন্তত কয়েকটা ইলিশ মাছ যেন নিয়ে আসে।”
বাংলাদেশের ইলিশ কেন ভারতে যাচ্ছেনা সেটি নিয়ে কলকাতার বাসিন্দাদের মনে নানা ধরনের অনুমান রয়েছে। তাদের অনেকেই ধারণা করছেন, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বাংলাদেশের দূরত্ব রয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সাথে পানি বণ্টনে রাজী থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণেই তিস্তা চুক্তি হচ্ছেনা। পশ্চিমবঙ্গের লেখক সন্দীপ রায় মনে করেন, ইলিশকে ‘কূটনীতির অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সরকার। মি: রায় বলেন, ” ইলিশ বাঙালী সংস্কৃতির একটি অংশ। তাই এতে অবাকের কিছু নেই যে বাংলাদেশ সরকার ইলিশের সে ক্ষমতা বুঝতে পেরেছে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্য আদায়ের জন্য সেটি ব্যবহার করছে।”
কলকাতার মানুষ আশা করছে খুব শীঘ্রই হতো সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ মাছ আবারো কলকাতার বাজারে ফিরে আসবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91762340_gettyimages-109228552ডেস্ক রিপোর্ট: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জ্যাংসু প্রদেশের নানজিংয়ের একটি সাপের খামার থেকে পঞ্চাশেরও বেশি বিষাক্ত কেউটে সাপ পালিয়ে যাবার পর শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
অক্টোবরের ৮ তারিখে শহরের লিওয়ে এলাকার একটি বাড়িতে একটি সাপ মারা হয়। তারপরই খামার থেকে এতগুলো সাপ পালিয়ে যাওয়ার খবর বেরিয়ে পড়তে থাকে। দুদিন পর গত সোমবার স্থানীয় সরকার থেকে এক বিবৃতিতে জনসাধারণকে সাবধান করা হয়, চুনি নামের একটি খামার থেকে দুশটিরও বেশি কেউটে পালিয়ে গেছে।
পরে এগুলোর মধ্যে ১৫০টিকে হয় ধরা হয় না হয় মেরে ফেলা হয়। কিন্তু ৫০টিরও বেশি সাপের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাপগুলোকে এখন তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে। খামারটির পাঁচ কিলোমিটার দুর পর্যন্ত এই সন্ধান চলছে। বাসিন্দাদের সাবধানে চলাচল করতে বলা হচ্ছে। সাপের কামড়ের ভয়ে নানজিংয়ের স্থানীয় সরকার সাংহাই থেকে বিষ নিরোধক সিরাম আনিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছ।
সাপের খামারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খামার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest