সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

dsc02773 মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় উৎসবমূখর পরিবেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১২টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হলেও চলছে ভোট গণনার কার্যক্রম। এদিকে ভোট চলাকালীন সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন ও জেলা তথ্য অফিসার শাহনেওয়াজ করিম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুনসুর আহমেদ ও মো. নজরুল ইসলামসহ সদস্য প্রার্থীরা।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন ও পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন প্রিdsc02777জাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোটের বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিটি জেলায় একজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৫ জন সাধারণ এবং পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ভোট হচ্ছে। সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই। জেলার অন্তর্ভুক্ত পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে জেলা পরিষদের নতুন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পুলিশ, ব্যাটলিয়ন আনসার ও আনসার ভিডিপির সদস্য রয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার এএইচএম কামরুল হাসান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। জেলায় চেয়ারম্যান পদে দু’জন, সাধারণ সদস্যের ১৫টি ওয়ার্ডে ৭৫জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ৫টি পদে ১৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলার ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।  কেন্দ্রগুলো হলো, ৬নং ওয়ার্ডের দেবহাটা উপজেলার খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ কেন্দ্র, ৯নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুম কেন্দ্র ও ১৪নং ওয়ার্ডের পাটকেলঘাটা হারুন-উর-রশীদ কলেজ কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা যথাক্রমে ৭৭জন, ৬৫জন ও ৬৫জন।  ফলশ্রুতিতে ১২টি কেন্দ্রে ৮৪৪জন ভোটার আজকের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। ৬১টি জেলায় এক যোগে এই নির্বাচন আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণের সময়। ভোট দেবেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।ইসি সচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহর মতে, নির্বাচনটি অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা পরিষদ প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়েছেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জেলায় ১শ ৪৬ জন।সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১শ ৬৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দুই হাজার ৯শ ৮৬জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮০৬ জন প্রার্থী।জেলা পরিষদের ৬১ জেলায় ৬৩ হাজার ১শ ৪৩ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩শ ৪৩ জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮শ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮শ ৩৬টি। আর কক্ষ থাকছে এক হাজার ৮শ ৩০টি। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।এ নির্বাচনে আটটি পর্যবেক্ষক সংস্থার তিন হাজার ২শ ২৫ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে ইসি।১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল। পরবর্তীতে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে।এরপর ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগ জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে।২০ নভেম্বর তিন পার্বত্য জেলা বাদে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্রীড়া ডেস্ক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমটা খুব একটা ভালো কাটেনি চেলসির। হোসে মরিনিয়োর অধীনে মৌসুম শেষ করেছিল পয়েন্ট তালিকার দশম স্থান নিয়ে। তবে এবার চেলসির কোচের দায়িত্ব নিয়ে দৃশ্যপট দারুণভাবেই বদলে দিয়েছেন অ্যান্তোনিও কন্তে। প্রিমিয়ার লিগে একের পর এক জিতেই চলেছে পাঁচবারের শিরোপাজয়ীরা। গড়েছে টানা ১২টি ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ড। সামনে আছে আরো একটি দারুণ রেকর্ডের হাতছানি। তবে এসব রেকর্ডে খুব বেশি আগ্রহ নেই কন্তের। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়টাকেই প্রাধান্য দিতে চান চেলসির ইতালিয়ান এই কোচ।২০০৯ সালে চেলসি জয় পেয়েছিল টানা ১১টি ম্যাচে। সেটাই ছিল তাদের একটানা জয়ের রেকর্ড। এবার নিজেদের আরো উঁচুতে নিয়ে গেছে ব্লুরা। জয় পেয়েছে টানা ১২টি ম্যাচে। সোমবার বোর্নমাউথকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চেলসি গড়েছে টানা ম্যাচ জয়ের নতুন ক্লাব রেকর্ড।এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে প্রিমিয়ার লিগের একটানা জয়ের রেকর্ডও নিজেদের দখলে নিয়ে নিতে পারে চেলসি, যেটা এখন আছে আর্সেনালের দখলে। ২০০২ সালে আর্সেনাল জিতেছিল টানা ১৪টি ম্যাচ। নতুন রেকর্ড গড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও খুব বেশি আত্মতৃপ্তিতেও ভুগতে চাইছেন না চেলসির কোচ কন্তে। তিনি বলেছেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে একটানা ১২টি ম্যাচ জেতাটা সহজ ব্যাপার না। আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছি। কিন্তু এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এই জয়ের ধারাটা অব্যাহত রাখা। আমার কাছে পয়েন্ট টেবিলটাই গুরুত্বপূর্ণ। ১২টি জয় দিয়ে আমরা ৩৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফেলেছি। পয়েন্ট টেবিলে আমাদের অবস্থানটাও এখন খুব ভালো। রেকর্ডটা শুধু এটার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমার সব সময়ই মনে হয় যে, রেকর্ডের কোনো গুরুত্ব থাকে না যদি শিরোপাটা জেতা না যায়।’ পয়েন্ট টেবিলে সত্যিই খুব দারুণ অবস্থায় আছে চেলসি। ১৮ ম্যাচ খেলে তারা সংগ্রহ করে ফেলেছে ৪৬ পয়েন্ট। আছে শীর্ষস্থানে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে তাদের ব্যবধানটাও অনেক, সাত পয়েন্টের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুধবার ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আর এই নির্বাচনে সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। সভাপতি দলীয় আ’লীগ মনোনিত আর সাধারন সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে সাতক্ষীরায় জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে এক ভিন্ন আমেজ। জনগণের ভোটে জিতে এই প্রথম বারের মত আবার নিজে ভোট দিয়ে অন্য কাউকে বিজীয় করতে উন্মুখ হয়ে আছেন ভোটাররা। তাই জনপ্রতিনিধি ভোটাররা কাকে ভোট দিবেন এবং কে পরবে বিজয়ের মালা তা দেখতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেলেও প্রচারে জেলা আ’লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম। সভাপতি লড়ছেন আনারস প্রতিক নিয়ে আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লড়ছেন মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে।দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থীকে উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তার দিকে বাকা চোখে দেখছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী পোড় খাওয়া নেতারা। অপরদিকে তৃণমুল নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন না করে কেন্দ্র মুনসুর আহমেদকে দলীয় প্রার্থী করায় যার পর নেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই। ফলে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে  কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইকালে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে কিছু কিছু এলাকার চেয়ারম্যানদের কাছে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন মুনসুর আহমদ। নানাবিধ কারনে অনেক ভোটার জনপ্রতিনিধি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন দলীয় সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বি˜্রােহী প্রার্থী হওয়ায় মুনসুর আহম্মেদের উপর ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান-মেম্বররা নজরুল ইসলামের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন। সেকারণে স্বাভাবিক ভাবে বেকায়দায় আছেন দলীয় সভাপতি ও শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থী মুনসুর আহমেদ।   এদিকে, সাধারন সম্পাদক নজরুল সমর্থক জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবীব অয়ন ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু বলছেন আরেক কথা, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে চায়না জনগন। তৃণমূলের চাপে নজরুল ইসলামকে ভোটে দাড়াতে হয়েছে। জেলার অধিকাংশ ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেকারনে নির্বাচনে তিনি অনেক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন। তারা আরো বলেন, যেখানে যাচ্ছি সেখানে দেখছি নজরুল ইসলামের জয়জয়াকার। নজরুল ইসলামের মত ব্যক্তিত্বকে জেলা পরিষদে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি জিতলে দল তার ইমেজ ফিরে পাবে।জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, জেলা পরিষদের আওতায় যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হয় তার স্বচ্ছতা না থাকলে উন্নয়ন কর্মকান্ড মুখ থুবড়ে পড়বে। তবে সাতক্ষীরার উন্নয়নে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবর রহমনানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি সম্পূর্ন মুনসুর সাহেবের শেল্টারে চলেন। তার প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন। যে কারনে মাহবুবুর রহমানের অবৈধ কর্মকান্ডে সাতক্ষীরায় আ’লীগ সরকারের ভাবমূর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আগামি নির্বাচনে নজরুল ইসলাম জয়লাভ করলে তাকে অন্যত্র বদলী ও পূর্বের দূর্ণীতির সকল তদন্ত হবে বলে মনে করেন তিনি। এ নির্বাচনে ভোটারদের নিয়ন্ত্রণ করতে অবৈধ লেনদেন না হলে ও প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকলে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে নজরুল ইসলাম জয়ী হবেন বলে মনে করেন তিনি।পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু বলেন, তাঁর (নজরুল ইসলাম) বিজয়ের সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে মুনসুর আহমেদ ও তার লোকজন বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন এবং বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা সাধারণ ভোটার-সমর্থকদের সমর্থন পেতে নানা প্রলোভন দেখাচ্ছেন। এমনকি তিনি  সাধারণ ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তার পরও ভোটাররা নজরুল ইসলামের সাথে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।মুনসুনর আহমদে সমার্থক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ ও দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশীদসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি দলের সিদ্ধান্ত মানেন না এজন্য আমরা তার বহিস্কার দাবী করছি। এদিকে, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলায় আমার নির্বাচনী প্রতিক আনারসের পোস্টার ও হ্যান্ডবিল ছিড়ে ফেলা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদে আনারস প্রতিকের প্রচারকার্য চালানোর সময় শ্যামনগরের ছাত্রলীগের কর্মী মোজায়দুল ইসলামকে মারধর করেন বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচনীকর্মী সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবিব অয়ন ও শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমানসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন। এসময় তারা আনারস প্রতিক সম্বলিত পোস্টার ছিড়ে ফেলে ও তার কাছে নির্বাচনী খরচের তিন হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়। তিনি এসব ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানান।তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। এসব কারণে ভোটাররা আমাকেই নির্বাচিত করবেন। যারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালো বাসেন, নৌকা প্রতীক ভালো বাসেন তারা সবাই নির্বাচনে তার সাথে আছেন। যারা দলীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছে ভোটের মাধ্যমে তাদের জবাব দেওয়া হবে।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্রোহী চেয়াম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটাররা যাকে ভালো মনে করবেন তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন এটাই নিয়ম। মানুষ জেলা পরিষদের সেবা দেখেছে। ভোটাররা সবসময় ভালো কিছু আশা করে। ভোটারা আমার বিগত উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম দেখেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার কারণে উচ্চ আদালত কর্তৃক তাকে (মুনসুর আহমেদ) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। নির্বাচিত হলে আমি সাতক্ষীরা উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দেব। সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম কামরুল ইসলাম জানান, কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে ভোট বন্ধ সংক্রন্ত হাইকের্টের আদেশ তারা পেয়েছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে করণীয় জানতে তিনি ইতিমধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখেছেন।অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে পাশাপাশি কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন। আইন শৃংঙ্খলার ব্যাপারে আমরা কঠোর হবো। সে যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য ঃ বুধবার ২৮ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভাকে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিভক্ত করে সীমান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৩টি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১০০ জন। চেয়ারম্যান পদে ২জন, পুরুষ সদস্য পদে ৭৯ জন এবং সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। সাতক্ষীরা জেলার ১০৫১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০৬ জন এবং নারী ভোটার ২৪৫ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল ও আলিপুর মৌজাধীন বাকালে অবস্থিত ৫ একর ৮০ শতক জমির উপর নব-নির্মিত ডিসি ইকো পার্কের মাটি ভরাট কাজ রোববার বিকালে পরিদর্শণ করলেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। সাতক্ষীরাবাসীকে কর্ম ব্যাস্ততার মাঝেও একটু বিনোদন দিতে জেলা প্রশাসনের অভাবনীয় উদ্যোগ এই ডিসি ইকো পার্ক। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ডিসি ইকো পার্কটি তৈরী হলে সাতক্ষীরা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকের আনা গোনা বাড়বে। সেই সাথে জেলার আর্থিক উন্নয়নে ডিসি ইকো পার্ক দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখবে। পরিদর্শণকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর, দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু নাসের মো. আবু সাঈদ, সার্ভেয়ার তারেক রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় তৃণমূল পর্যায়ের অ-১৫ প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বাছাই সম্পন্ন ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রশিক্ষক মো. মাহবুব আলম পলো, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পী, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য শাহ আলম শানু, স.ম সেলিম রেজা প্রমুখ। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায়ের অ-১৫ প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বাছাই ও প্রশিক্ষণ কর্মসুচি ২০১৬ সম্পন্ন করে ৩৫ জনের মধ্যে ২০কে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1482763558-abahaniblue-vs-baridharawhite-gসর্বশেষ শিরোপা তাঁদের ঘরে আসে ২০১১-১২  মৌসুমে। এরপর দীর্ঘ বিরতি। কোনো শিরোপা তো ছিলই না, রীতিমতো ধুঁকতে হয়েছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে। তিন মৌসুম পর আবারও ঢাকা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা জিতেছে নীল-আকাশি শিবির। আজ সোমবার উত্তর বারিধারা ক্রীড়া সংঘকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে পঞ্চমবারের মতো এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা আবাহনী।

এর আগে ২০০৬-০৭, ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯  মৌসুমে  টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা আবাহনী।  বাংলাদেশের ফুটবল পেশাদার যুগে প্রবেশ করার পর তাদের এই সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশ্য সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। কিন্তু ঢাকা আবাহনীই একমাত্র দল যারা এই লিগে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে।

এর আগে চট্টগ্রাম আবাহনী দিনের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এর ফলে বন্দরনগরীর ক্লাবটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে আবাহনীর ৪৯ পয়েন্ট। দুই দলেরই আর একটি করে ম্যাচ বাকি। তাই ঢাকা আবাহনী পরের ম্যাচে হারলেও এবং চট্টগ্রাম আবাহনী পরের ম্যাচ জিতলেও ধানমণ্ডিপাড়ার দলটির শিরোপ জয়ের ক্ষেত্রে খুব একটা বাধা থাকবে না।

আজ আবাহনীর জয়ে প্রথম গোল করেন দলটির ইংলিশ ফরোয়ার্ড জোনাথন। ম্যাচের ২০ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জুয়েল। এরপর ৮৩  ও ৮৬ মিনিটে পরপর দুটি গোল করেন ইমন বাবু ও ফয়সাল মাহমুদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_242490734_1482761449বিএনপি ছাড়লেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি এমএ হাসেম। সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়ার কথা জানান তিনি।

চিঠিতে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তের কথাও জানান পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান।

চিঠিতে রাজনীতি ছাড়ার কারণ উল্লেখ করে এমএ হাসেম বলেন, ”আমি নির্বাচনের আগেও দেশের জনগণ ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম। ৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ কালের পরেও এখন পর্যন্ত জনগণের ও দেশের সেবায় জড়িত আছি, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকান্ড আমার সারা জীবনের সামাজিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করেছে, তাই এখন থেকে আমি আর কোনো রাজনীতি করব না এবং কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সহিত নিজেকে সম্পৃক্ত রাখব না।”

২০০১ সালে নোয়াখালী-২ আসনের  (বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাসেম। দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় ছিলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest