সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

mahabub-2আসাদুজ্জামান: বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ থেকে দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক, লম্পট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর  রহমানকে পিটিয়ে ও গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা এ সময় তাকে দিয়ে জেলা পরিষদের পুকুর ঘাট ও একাধিক কক্ষ ঝাড়– দিয়ে তা পরিষ্কার করতে বাধ্য করান।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ  দলবদ্ধ হয়ে জেলা পরিষদ ঘিরে ফেলে তাকে কক্ষ থেকে টেনে বের করে আনেন। এ সময় তারা তাকে  দিয়ে জেলা পরিষদের গেট খুলিয়ে  ঝাড়– দিয়ে নেন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তার ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেনÑ বিনা অপরাধে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
মাহবুবুর  রহমানের ওপর হামলার কারণ হিসাবে রসুলপুর গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জেলা পরিষদের পুকুর বন্দোবস্ত দেওয়ার নামে তিনি চরম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি জেলা পরিষদের পুকুরের ঘাট ভেঙে দিয়ে জনগণের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি করেছেন। এসব কারণে তারা তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন।
জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান তার নেতৃত্বে মাহবুবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা মাহবুবুর রহমানের কাছে প্রাপ্য টাকা দাবি করেন। তারা তাকে এ সময় ঘর থেকে বের করে আনেন এবং কিল, চড়, ঘুষি মেরে তারা তাকে জেলা পরিষদ  চত্বর থেকে বের করে দেন।
আব্দুল মান্নানসহ এলাকাবাসীরা জানান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তার একক কর্তৃত্বের আওতায় নিয়ে ব্যবহার করেন। ১৯৯০ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসাবে জেলা পরিষদে যোগদান করেন মাহবুবুর রহমান। ২৬ বছর পর এখন তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ তাকে বদলি করার ক্ষমতা রাখেন না বলে তিনি প্রায়ই আস্ফালন করে থাকেন। এর মধ্যে তিনি পঞ্চগড় ও জামালপুরে পরপর দুইবার বদলি হলেও সেখানে বেশি সময় তাকে থাকতে হয়নি। আবারও তিনি ফিরে এসেছেন নিজ জেলা সাতক্ষীরায়। তিনি তার সময়কার প্রশাসক এবং প্রধান নির্বাহীদের দুর্নীতির মুখে ঠেলে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজ উন্নয়নের নাম করে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করেন। নদীর ঘাট উন্নয়ন ও ইজারার নামে একইভাবে টাকা আদায় করে থাকেন।
এদিকে এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, মাহবুব সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এতে তার স্ত্রী অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মাহবুবুর রহমান জলবায়ূ ট্রাস্ট খাতে পাওয়া টাকা নয় ছয় করেছেন এবং গৃহ পাবার যোগ্য নন এমন অনেক গৃহস্থকে এই ফান্ডের টাকার বিনিময়ে পাকা দালান বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় মামলাও হয়েছে। এই মামলা পরিচালনাকারী একজন আইনজীবীকে মারধর এবং তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি টেন্ডারের সময় মাহবুবুর রহমানকে নগদ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এ কারণে তিনি মি. টুয়েন্টি পার্সেন্ট হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। তিনি তার  প্রয়াত বাবা আবদুর রউফের নামে প্রায় এক ডজন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেসব প্রতিষ্ঠানে জেলা পরিষদের টাকা বেআইনিভাবে ব্যবহার করেছেন। মাহবুব এখন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার ও তার পরিবারের সদস্যের নামে ব্যাংকে মোটা অংকের টাকা রয়েছে। দুদক তদন্ত  করলে আরও অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে বলে অভিযোগ করেন তারা। চাকুরিকালে তিনি তার অনেক স্বজনকে জেলা পরিষদে চাকুরিও দিয়েছেন।
গ্রামবাসীরা আরো বলেন, তিনি ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি শেষে এখন অন্যত্র বদলি হয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন। এজন্য গ্রামবাসীরা এই হামলা চালান।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর হামলা করেছে। তারা তাকে অপমান করে বের করে দিয়েছেন। কোনো দুর্নীতির সাথে তিনি জড়িত নন দাবি করে আরো বলেন, নির্বাচনে তিনি একটি পক্ষ গ্রহণ করায় জনতা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিষয়টি তিনি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে, হামলার খবর পেয়ে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম অফিস পরিদর্শনে যান। তিনি এসময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে দুর্নীতিমুক্ত হবার আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মাহবুবুর রহমান একটি পক্ষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নির্বাচনে বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের জয়ে আনন্দিত হয়ে তারা মাহবুবকে পরিষদ থেকে কিল চড় ঘুষি মেরে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এর আগে তারা তাকে দিয়ে কক্ষ ঝাড়– দিয়ে নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

iiiiiiচিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ‘দি আমেরিকা ড্রীম’ শিরোনামের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাতে অভিনয় না করার কারণে পরিচালক জসীম উদ্দিন সিএমএম কোর্টে এ মামলা করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর মামলাটি করা হয়। তবে পরিচালক জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তার পক্ষে মামলাটির আম-মোক্তার সীন সিনারি প্রডাকশনের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পপি ‘দি আমেরিকান ড্রীম’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১/১০/২০১৫ তারিখে ছবিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দু’লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু ছবিটির শুটিংয়ের সিডিউল চেয়ে পপির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলে পপি সিডিউল দেননি এবং যোগাযোগও করেননি। এমনকি তার কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ অর্থ ফেরত চেয়ে পপিকে উকিল নোটিশ পাঠানো হলে, তিনি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান’।

আগামী ১ ফ্রেব্রুয়ারি নায়িকা পপিকে অাদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য চলতি বছর পপিকে ছাড়াই ছবিটির শুটিং শুরু হয়। শুটিংয়ে অংশ নেয় চিত্রনায়ক সাইমন, চিত্রনায়িকা আইরিন, নবাগত নায়িকা সূচনা আজাদ ছাড়াও অনেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এবারের পিইসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এসব তথ্য দেখা যায়।

এবছর পিইসি পরীক্ষায় ২৮,৩০,৭৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে মোট ২৭,৮৮,৪৩২ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার মোট ৯৮.৫১%। উত্তীর্ণদের মধ্যে ১২,৭০,২২২ জন ছাত্র। শতকরা হিসেবে যা ৪৫.৫৫%। এবং ছাত্রী শতকরা ৫৪.৪৫%। সংখ্যায় যা ১৫,১৮,২১০ জন। পিইসিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যায়ও এগিয়ে ছিলো ছাত্রীরা।

পিইসিতে গড় পাশের হারের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। ছাত্রদের পাশের হার ৯৮.৪৪% এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৯৮.৫৬%

ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতে ২,৫৭,৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণে ছাত্ররা বেশি এগিয়ে থাকলেও গড় পাশের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা। পরীক্ষা  ১,২৫,১৬০ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হয়। শতকরা হিসেবে যা ৫০.৭১%। এবং ১,২১,৬৫৮ জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়। শতকরা হিসেবে যা ৪৯.২৯%।  তবে গড় পাশের ক্ষেত্রে ছাত্রদের পাশের হার ৯৫.৬৩% এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৯৬.০৮%।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1482994901পেএসসি, জেএসসি জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পরীক্ষার ফলাফল হস্তাস্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এবছর পিইসিতে শিক্ষার্থী পাশের হার ৯৮.৫১%, জেএসসিতে পাসের হার ৯২.৩৩%, ইবতেদায়ীতে পাসের হার ৯৫.৮৫%।

পিইসির ফলাফলে পাশের হার বিবেচনায় এবছর এগিয়ে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। সেখানে পাশের হার ৯৯.০৯% । সর্বনিম্ন পাশের হার সিলেট বিভাগে, ৯৭.২৫ %।

ইবতেদায়ীতে পাশের হার বিবেচনায় এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। সেখানে পাশের হার ৯৮.০৩%। এবং সর্বনিম্ন পাশের হার সিলেট বিভাগে, ৯২.০৪%।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফল তুলে দেওয়ার পার নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশ এখন শিক্ষায়, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে। রিলিফ খেয়ে দেশ চালানোর দিন এখন দু;স্বপ্ন। সেই জায়গায় দেশ আর নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আমরা নতুনভাবে দেশ গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে সেই লক্ষ পূরণ করবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_93165165_mash2

জয়ের আশা জাগিয়েও হেরে গেলো বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ড সফরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে ২৫২ রান করতো হতো।

কিন্তু বাংলাদেশ ১৮৪ রানে অলআউট হয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ৬৭ রানে।

ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জয় নিশ্চিত হলো নিউজিল্যান্ডের।

অথচ ২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের দলীয় রান ছিলো ২ উইকেটে ১০৫।

এর পর বাকী সব ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করে ৭৯ রান।

ওপেনার ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন।

নিউজিল্যান্ডের উইলিয়ামসন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পেয়েছেন।

মূলত ১০৫ রানে সাব্বির রহমানের বিদায়ের পর ধ্বস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে।

দুর্ভাগ্যবশত রান আউটে তার বিদায়ের পর খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।

পরে তাদের পথ ধরেন অন্যরাও।

এর আগে নেলসনের স্যাক্সটন ওভাল স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

দলীয় শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত নীল ব্রুমের অপরাজিত শতরানের সুবাদে ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২৫১ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

মাশরাফি পেয়েছেন তিন উইকেট। আর তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ রানের মাথায় তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলে এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে তিনজন খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়েছে। এরা হলেন মুশফিকুর রহিমের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পাওয়া নূরুল হাসান।

বাকী দুজন হলেন তানভীর হায়দার ও শুভাশীষ রায়।

এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিলো ৭৭ রানে।

৩১শে ডিসেম্বর শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc02798-copyমাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও পুরুস সদস্য পদে যারা জয়লাভ করেছেন তাদের তালিকা নিম্মে দেওয়া হলো : চেয়ারম্যান পদে : চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম (মটর সাইকেল) পেয়েছেন (১২ কেন্দ্রে ) ৬৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে : সংরক্ষিত মহিলা ১ নম্বর ওয়ার্ড : রোকেয়া মোসলেম উদ্দিন (ফুটবল) ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রাজিয়া সূলতানা দুলালী (হরিণ)৮০ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড : এ্যাড: শাহনাওয়াজ পারভীন (মাইক) ৪২ ভোট পেয়ে এগিয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবিয়া হোসেন টেবিল ঘরি) ৩৫ ভোট। এই ওয়ার্ডে ১টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত। সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ড : রোজিনা পারভিন (দোয়াত কলম) ৪৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বি দিপালী রানী ঘোষ (ফুটবল) ৪৬ ভোট পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডে ১টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত। সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ড : শিল্পিরানী মহালদার (হরিণ) ১১৪ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খালেদা আয়ুব (দোয়াত কলম) ৭০ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ড : মাহাফুজা সুলতানা (দোয়াত কলম) ৫৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুরশীদা পারভীন (হরিণ) পাপড়ি ৩৯ ভোট পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডে ১টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রয়েছে। সদস্য (পুরুষ ) : ১ নম্বর ওয়ার্ড : শেখ আমজাদ হোসেন (ঘুড়ি) ২৫ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলিমুর রহমান সরদার (টিউবওয়েল) ১৯ ভোট পেয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ড : মতিউর রহমান গাজী (অটো রিক্সা) ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল জব্বার (টিউবওয়েল) ১৭ ভোট পেয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ড : ওবায়দুর রহমান (তালা) ৩২ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মারুফ হোসেন (হাতি) ২৬ ভোট পেয়েছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ড : মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ২৭ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গোলাম মোস্তফা (তালা) ১৬ ভোট পেয়েছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ড : সৈয়দ আমিনুর রহমান (অটোরিক্সা) ৩১ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল আনিস খান চৌধুরী বকুল (টিউবওয়েল) ২৪ ভোট পেয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ড : উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোট স্থগিত। ৭ নম্বর ওয়ার্ড : আসাদুর রহমান (তালা) ৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মিলন কুমার ঘোষ (হাতি) পেয়েছেন ১১ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ড : নুরুজ্জামান (তালা) ৩২ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফিরোজ কবির (টিউবওয়েল) ২৩ ভোট পেয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ড : উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোট স্থগিত। ১০ নম্বর ওয়ার্ড : ডালিম কুমার ঘরামী (তালা) ২০ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গোলাম মোস্তফা (হাতি) ১৯ ভোট পেয়েছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড : এম.এ আব্দুল হাকীম (হাতি) ৩৯ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জিএম মতিয়ার রহমান (ক্রিকেট ব্যাট) ২৫ ভোট পেয়েছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ড : মো. মহিতুর রহমান (তালা) ৩০ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনন্দ মন্ডল (অটোরিক্সা) ১৭ ভোট পেয়েছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড : দেলোয়ার হুসাইন (টিউবওয়েল) ৩৯ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওমর সাকি ফেরদৌস (হাতি) ২১ ভোট পেয়েছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড : উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোট স্থগিত। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড : মীর জাকির হোসেন (টিউবওয়েল) ৫১ ভোট পেয়ে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস (হাতি) পেয়েছেন ২৭ ভোট। ১২ টি কেন্দ্রের ফলাফল গননা শেষে জেলা রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে জেলা নির্বাচন অফিসের একটি বিশেষ সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, জেলার ১৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬৪৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭৮ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার কথা সাংবাদিকদের জানান। স্থগিতকৃত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৯নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুম, ৬নং ওয়ার্ডের দেবহাটা উপজেলার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ কেন্দ্র ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা হারুনার রশীদ কলেজ কেন্দ্র। স্থগিতকৃত তিনটি কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা মাত্র ২’শ ৭জন।
তবে, স্থগিতকৃত ভোট কেন্দ্রের ভোট দ্বারা চেয়ারম্যান পদের ফলাফল পরিবর্তন হওয়ার আর কোন সম্ভবনা না থাকায় নজরুল ইসলামকে বেসরকারিভাবে বিপুলভোটে নির্বাচিত বলা যায়।

উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা  জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভাকে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিভক্ত করে সীমান নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন মোট ১০০ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২জন, পুরুষ সদস্য পদে ৭৯ জন এবং সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটারের সংখ্যা মোট ১০৫১ জন। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় এ নির্বাচনে ৮’শ ৪৪ জন ভোটারের মধ্যে ৮’শ ২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং বাকি ১৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।
সদস্য পদে বিজয়ী ও এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নাম ও প্রাপ্ত ভোট সংখ্যাসহ বিস্তারিত সংবাদ আসছে…………

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

muncur-ahamed-copyঅপ্রতিম: বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ডেইলি সাতক্ষীরা’র হাতে এসে পৌঁছেছ । এর মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮০ ভোটের মধ্যে ৬৯ ভোট পেয়েছেন মটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মুনসুর আহমেদ ১০। আশাশুনির প্রতাপনগর কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম ৬৯, মুনসুর আহমেদ ১১। ভোট্ কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম ৫১, মুনসুর আহমেদ ১০। উপজেলার বামনখালিতে নজুরল ইসলাম ৫২, মুনসুর আহমেদ ৪। কালিগঞ্জ তারালী কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম ৪৬, মুনসুর আহমেদ ২১।  ভাদড়া নজরুল ইসলাম ৪৮, মুনসুর আহমেদ ১৬। বিষ্ণুপুর নজরুল ইসলাম ৩৮, মুনসুর আহমেদ ২৬।  গোনাকরকাটী নজরুল ইসলাম ৬৯, মুনসুর আহমেদ ১১ । তালা নজরুল ইসলাম ৫৯, মুনসুর আহমেদ ২১। ঝাউডাঙ্গা নজরুল ইসলাম ৬৪ মুনসুর আহমেদ ১৪ । শ্যামনগর নজরুল ইসলাম ৫২, মুনসুর আহমেদ ১৩।
অর্থাৎ ১২টির মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০৭ ভোট আর মুনসুর আহমেদ পেয়েছেন ১৫৭ ভোট। ১টি কেন্দ্রের ফলাফল এখনও আমাদের হাতে আসেনি। স্থগিত কেন্দ্র ৩টি ভোট আছে ২০৭টি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest