সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে ঝুঁকিহ্রাস কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদনকরণ কর্মশালাজলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে সাতক্ষীরায় অবহিতকরণ সভাসাতক্ষীরায় জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক য²া পরিসেবা প্রদানে সামাজিক অর্ন্তভূক্তির জন্য সেমিনারএ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহতদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণী

mokbul_ডেষ্ক রিপোর্ট:মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র ধারা জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলের শরিক তরিকত ফেডারেশন। দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বসর মাইজভাণ্ডারী ও মহাসচিব এম এ আউয়াল এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন।

গত সোমবার মকবুল আহমাদ জামায়াতের নতুন আমির হিসেবে শপথ নেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আগের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি এবং নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়ার পর মকবুলকে আমির নির্বাচিত করে জামায়াত। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই মকবুল ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দলের অন্য শীর্ষ নেতার মতো তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, মকবুলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি এবং এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করেননি তারা।

তবে ফেনী থেকে উঠে আসা এই জামায়াতের একাত্তরের বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে এরই মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ফেনী কমান্ড কাউন্সিল থেকেও বলা হয়েছে, ৭১ সালে মকবুলের ইন্ধনে হিন্দু পরিবারসহ অন্তত ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকেও তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তরিকত ফেডারেশনের দুই নেতা বলেন, ‘এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে সরকারের উচিত, দ্রুত তার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা এবং তদন্ত সংস্থাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া।’

জামায়াতের আমিরের বঙ্গবন্ধু স্মরণকে গুরুত্ব না দেয়ার আহ্বান

নজিবুল বসর মাইজভাণ্ডারী ও এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমির নির্বাচিত হওয়ার পরই গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের আমির মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেককেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাদের এই শ্রদ্ধায় জামায়াতের মূল চরিত্র সম্পর্কে ভুলে গেলে চলবে না।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরার জন্য জামায়াত যতদিন ক্ষমা না চাইবে যতক্ষণ পর্যন্ত এই দলকে বিশ্বাস করা হবে চরম বোকামি হবেও বলে সতর্ক করে দিয়েছে তরিকত ফেডারেশন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে জেলার ২৬তম রোভার ব্যাচ কোর্স ও ৩১তম মেটকোর্স উদ্বোধন করা হয়েছে। রোভার স্কাউটের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী এই কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম। বাংলাদেশ রোভার স্কাউটস সাতক্ষীরা জেলার যুগ্ম সম্পাদক দেবহাটার সখীপুর খান বাহাদুর আহছান উল্যা কলেজের শিক্ষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউট রোভার অঞ্চলের সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা রোভার স্কাউটের সহ-সভাপতি দেবহাটার কেবিএ কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দেবহাটার হাজী কিয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের শিক্ষক এসএম আসাদুজ্জামান, জেলা কমিশনার পাটকেলঘাটা হারুনর রশিদ কলেজের শিক্ষক এএসএম আব্দুর রশিদ, কাটুনিয়া রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব, জেলা রোভার স্কাউট লিডার (ডিআরএসএল) কালিগঞ্জ কলেজের শিক্ষক ইয়াছিন আলী প্রমুখ। এসময় আরএসএল কামাল হোসেন, রুহুল আমিন, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, আবু জাফর, দীণেশ মন্ডল, তানভীর আহম্মেদ, সির্দ্ধার্থ শংকর, আবু জাহিদ, পবিত্র মন্ডলসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সপ্তাহব্যাপী কোর্সে ১৭ টি কলেজের মোট ১৩০ জন রোভার অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর কোর্স শেষ হবে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

02
নলতা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন ভাড়াশিমলা ইউপির প্রধান সড়ক সংলগ্ন মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর আয়োজনে এবং সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এর সহযোগিতায় ১৯ অক্টোবর বুধবার দুপুর দেড়টায় প্রতিবন্ধীদের আয়বর্ধনমূলক কাজে সহায়তা দান ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এম জে এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) শিমুল কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, কালিগঞ্জ উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, নলতা শরীফ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মহসিন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাইফুল ইসলাম। রূপান্তর সংস্থার কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান শিমুল, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল গফুর গাজী, সাংবাদিক আহম্মাদ উল্ল্যাহ বাচ্চু, তরিকুল ইসলাম লাভলু, মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, মামুন, ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ, সুধীবৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহানিমা, কর্মকর্তা মো. মোহর আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে এম জে এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথির জন্য প্রস্তুতকৃত মানপত্র পাঠ করেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মঈনুল ইসলাম। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ বাশার এবং গীতা পাঠ করেন সন্তোষী তরফদার। অনুষ্ঠানের মাঝে বিদ্যালয়ের অটিজম শিশুরা দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে। বক্তাগণ-প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা বা প্রতিবন্ধী নামক কষ্টদায়ক শব্দদ্বারা তাদেরকে না ডেকে অন্যভাবে সমাজে তাদের পরিচয় তুলে ধরা, তাদেরকেও সরকারী-বেসরকারী সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজে অন্যদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অতিথিবৃন্দ সেহারা গ্রামের প্রতিবন্ধী আলমগীরের পিতা ও অন্য একজন প্রতিবন্ধীর মাঝে বিভিন্ন মালামালসহ সু-সজ্জিত দুটি দোকান ভ্যান এবং উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের রিফাত হোসেন, ছনকা গ্রামের অভিজিৎ দাশ দেবহাটা উপজেলার সেকেন্দারা গ্রামের আবুল কালাম প্রত্যেককে একটি করে দামী হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার মহৎপুর গ্রামের সাবেক জনতা ব্যাংক ব্যবস্থাপক শেখ আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ১০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন।  এদিকে উক্ত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার পূর্বে  কালিগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সেলিম, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হোসেন ছোট, নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদসহ অন্যান্য প্রভাষকবৃন্দ এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী স্কুলের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্থান ত্যাগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে একব্যক্তি রক্তাক্ত জখম। জখমকৃতকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার সকালে বাইনবাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গড়ইখালী ইউপির বাইনবাড়িয়া গ্রামের মৃত সতিশ চন্দ্র সানার ছেলে সুশান্ত কুমার সানা (৪৫) এর সাথে একই এলাকার মৃত অমরেন্দ্র নাথ সানার ছেলে পরিতোষ কুমার সানার সহিত দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে সুশান্ত কুমার সানা ধাপার বিলে মাছ কেনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বাইনবাড়িয়া অনিল বাবুর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পৌছালে পরিতোষ সানা ও তার স্ত্রী শৈবালিনী সানা সহ ২-৩ জন তার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে অতর্কিতভাবে পরিতোষের হাত থাকা দা দিয়ে সুশান্তের মাথায় কোপ দিলে সে রক্তাক্ত জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় তার স্ত্রী শৈবালিনী ও অন্যরা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ী পেটাতে থাকে এবং তার কাছে থাকা টাকা ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা  তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সুশান্ত নিজে বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে পাইকগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে দখলমুক্ত হলো সরকারি অডিটোরিয়াম শহীদ এম,এ গফুর মিলনায়তন। পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ১৯৭৯ সালে সরকার সাবেক এমএনএ শহীদ গফুরের নামকরণে একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করেন। যা পাইকগাছায় শহীদ এম,এ গফুর মিলানয়তন নামে পরিচিত। বেশ কিছুদিন ধরে উক্ত মিলনায়তনটি একটি ক্লাব, আবাসিক ও ভ্যান চার্জের দোকান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। নির্বাহী অফিস সহ সকল অফিস সংলগ্ন মিলনায়তনটি কারোর নজরে আসেনি। অবশেষে পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসন নড়ে-চড়ে বসে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ-উল-মোস্তাকের নির্দেশে মিলনায়তনটি দখলমুক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মহল ব্যাপক দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তারা পুনরায় মিলনায়তনটি দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ-উল-মোস্তাক জানান, সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রশাসনের। পুনরায় বেদখল হওয়ার কোন সুযোগ নাই। মিলনায়তন দখলমুক্ত হওয়ায় এলাকার জনগণ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শহীদ রিমুর সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক পলাশ দাশ। এসময় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলার সভাপতি বিশ্ব নাথ কয়াল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রনেতা প্রণয় সরকার, রাহায়নুজ্জামান, সিটি কলেজ ছাত্রনেতা ডি কে এস দিবাশীষ, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, আনন্দ কুমার, জাহাঙ্গীর প্রমুখ। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করতে ছাত্রমৈত্রীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ কে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলায় পরিণত করতে হলে মৈত্রীকে পূর্বের ন্যায় সকল ভেদাভেদ ভুলে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বক্তারা। সভায় আগামী ২৬ অক্টোবর জেলা সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1
তালা প্রতিনিধি: পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের অবৈধভাবে ছাটাইকরনের বিরুদ্ধে,নতুন নিয়োগ স্থগিতকরণ, নবায়ন চালুকরণ ও চাকুরী নিয়মিত করার দাবিতে বুধবার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার  পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদ লীগ অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। ধর্মঘট শেষে সংশি¬ষ্ট অফিসে স্মারকলিপি দিতে গেলে কর্তপক্ষ সেটা গ্রহন করেননি। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মিটার রিডারদের ২হাজার মিটারের রিডিং গ্রহণ ও ম্যাসেঞ্জারদের ২ হাজার বিল বিতরণের কথা থাকলেও অতিরিক্ত কাজ হিসেবে নিয়মিত বকেয়া আদায়, সাবস্টেশন ডিউটি, ডে-নাইট অপারেশন, তথ্য সংগ্রহ, বিলিং শাখায় ফাইলের কাজসহ বিভিন্ন বিভাগে দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর ১২৫৯২ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত দুপদে একই অফিসে পর্যায়ক্রমে ৯বছর এবং পরবর্তীতে নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই ৫৫ বছর পর্যন্ত চাকুরী করার সুযোগ ছিল। শুধু কর্মমূল্যায়ন সন্তোষজনক না হলে চাকুরীচ্যুত করার বিধান ছিল। কিন্তু শর্ত ছাড়াই চুক্তিভিত্তিক নবায়ন না করে চাকুরীচ্যুত করছেন। ইতিমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০জনসহ সারাদেশে প্রায় ৩হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে এবং ১২ হাজার লোককে চাকরীচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটা অমানবিক উল্লেখ করে তারা আরো বলেন-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরী করাকালীন সরকারি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাকরীর বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। তাই অন্য কোথাও চাকরীর সুযোগ নেই। অনেকে চাকরী হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং অনেকে চাকরী হারানোর আশংকায় দিনাতিপাত করছেন। জীবনের মাঝপথে এসে এহেন জীবনে এসে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া এবং জীবনযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনতিবিলম্বে মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চাকরী বহালের দাবীতে ৩ঘন্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন শেষে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে স্মারকলিপি দিতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ডিজিএম (টেকনিক্যাল) গোবিন্দ আগরওয়াল জেনারেল ম্যানেজারের দোহাই দিয়ে গ্রহন করেননি। তবে অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ধর্মঘটস্থলে এসে দাবীর প্রতি  সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন- বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। জনগনের সুখে-দুঃখে সরকার সবসময় পাশে আছে এবং অদুর ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনাদের যে চাওয়া পাওয়া সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আছেন। তারাই বিষয়টি দেখছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস অফিসে উপস্থিত না থাকার কারনে মোবাইলে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। এদিকে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ১৭০জন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন- মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার কর্মচারী লীগের বিভাগীয় সহ সভাপতি আতিয়ার রহমান,মিটার রিডার আবুল বাসেত, আব্দুর রাজ্জাক,গৌরপদ সাহা,ভবানন্দ দাস,পলাশ বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম ও ম্যাসেঞ্জা অসিতবরণ বিশ্বাস প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নে সরকারের ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির কার্ড বিতরণে চরম দুর্নীতি ও দলীয়করণের অভিযোগ উঠেছে। কার্ড দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকেই নেওয়া হয়েছে টাকা। ওজনেও দেওয়া হচ্ছে কম। আবার, অযোগ্যরাও পেয়েছেন কার্ড। শুধু কি নগরঘাটা ইউনিয়ন, একইভাবে উপজেলার জালালপুর ও তেতুলিয়া ইউনিয়নেও দরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এই চাল নিয়ে চালবাজি করছেন জনপ্রতিনিধিরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রফুল্ল মন্ডল ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ঝর্ণা বেগম একটি তালিকা তৈরি করে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোড়লের কাছে দেন। কিন্তু বিগত ইউপি নির্বাচনে তাকে সমর্থন না করায় চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোড়ল ৯নং ওয়ার্ডের ৭২জনের তালিকা থেকে দিনমজুর অন্তত ২৪জনের নাম বাদ দিয়ে তার নিজের লোকজনের নাম বসিয়েছেন। শুধু ৯নং ওয়ার্ড নয়, ইউনিয়নের অন্যান্য ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও একইভাবে তালিকা পরিবর্তন করে নিজের লোকজনের নাম বসিয়েছেন চেয়ারম্যান। আর ট্যাগ অফিসার রফিকুল ইসলাম তাতে স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেছেন। যদিও নিয়মানুযায়ী প্রকাশ্যে মাইকিং করে ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের তালিকা তৈরির কথা। প্রথমে প্রস্তুতকৃত ৯নং ওয়ার্ডের তালিকা থেকে দেখা গেছে, ক্রম অনুযায়ী এক নম্বরে রয়েছেন অরুন বিশ্বাস। তার বাবার নাম ললিত বিশ্বাস, গ্রাম হরিখোলা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ১৯৯৪৮৭১৯০৭১০০০০০১। দুই নম্বরে রয়েছেন শ্রী জগদীষ চন্দ্র মন্ডল। তার বাবার নাম দুলাল চন্দ্র মন্ডল, গ্রাম হরিখোলা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৮৭১৯০৭১৪৮৮৮০২। কিন্তু ভোট না দেওয়ায় চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান তাদের নাম বাদ দিয়ে ক্রম এক-এ পংকোজ মন্ডল ও দুই-এ সুধাংশর নাম বসিয়েছেন। শুধু দুটি নয়, ৯নং ওয়ার্ডের অন্তত ২৪জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিজের লোকজনের নাম বসিয়েছেন তিনি। কারও কারও কাছ থেকে নিয়েছেন টাকা। আবার চাল দেওয়ার সময়ও ৩০ কেজির পরিবর্তে দিচ্ছেন ২৮ কেজি করে। আর এসব কিছুর প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করছে পরবর্তীতে চেয়ারম্যান কর্তৃক তৈরি করা নতুন তালিকা। নতুন তালিকায় নাম ও বাবার নাম বদলালেও তারা বদলাতে ভুলে গেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। আর এটা খুবই স্বাভাবিক যে, একই পরিচয়পত্র নম্বর দু’জনের হওয়ার সুযোগ নেই।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া গরীবের চাল নিয়ে চালবাজি করার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত হোক। যাতে আর কেউ কখনও গরীবের হক নিয়ে খেলা করতে না পারে। এ ব্যাপারে নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, তালিকা তৈরিতে অনিয়ম করা হয়নি। এখানে ডিলার দু’জন। তারা একই বাজারে ব্যবসা করে। তাদের নিয়ে প্রথমে একটু ঝামেলা হয়েছিল, পরে ইউএনও এসে ওয়ার্ড ভাগ করে দেওয়ায় তা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এখন আর কোন ঝামেলা নেই। ফেয়ারপ্রাইজ কর্মসূচির নগরঘাটা ইউনিয়ন সভাপতি ও ট্যাগ অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, তালিকা নিয়ে স্বজনপ্রীতির বিষয়টি তার জানা নেই। কিন্তু একই ওয়ার্ডের দুটি তালিকাতেই তার স্বাক্ষর আছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে জানান। এদিকে, উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির তালিকা তৈরি করতে গিয়ে একইভাবে দলীয়করণ ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। জালালপুর ইউনিয়নের তালিকায় এমন অন্তত ১৫০জনের নাম রয়েছে, যারা ফেয়ার প্রাইজের কার্ড পাওয়ার যোগ্য নন, ধনসম্পদের মালিক। আবার তেতুলিয়া ইউনিয়নে ফেয়ারপ্রাইজের কার্ড বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। যেনতেনভাবে তালিকা করে পরে সেই কার্ড বিক্রি করে দিয়েছেন ইউপি চেয়্যারম্যান। এদিকে, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদ হোসেন জানান, তিনি সরুলিয়া ইউনিয়নের তিনজন কার্ডধারীর বিপক্ষে অভিযোগ পেয়েছিলেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এছাড়া জালালপুরে কিছু কার্ডধারীর বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছিল, সেটাও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest