সর্বশেষ সংবাদ-
বৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটকবিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদ

2বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কানাডাতে বেগমপল্লি তৈরি হচ্ছে। শুনতে পাই, ক্ষমতাসীনদের সহধর্মিণীরা সেখানে বাড়ি তৈরি করছেন। সিঙ্গাপুরে, ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে, ব্যাংককে, মালয়েশিয়ায় হচ্ছে। এখন টাকা রাখার নাকি জায়গা নেই।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আজ কেউ নিরাপদ নয়। গাইবান্ধায় সাঁওতালদের জমি দখলে কারা নেতৃত্ব দিল—স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতা। ভিডিওতে দেখলাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরা আগুন দিচ্ছে। তাহলে মানুষ কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে। নাসিরনগরে জমি দখল করার জন্য হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। সবই এ সরকারের আমলে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্ডারে যখন গুলি হয়, ফেলানি ঝুলে থাকে, যখন তিস্তার পানি দেয় না; তখন প্রতিবাদ করে না। কিন্তু বিরোধীরা কথা বললেই তাদের গুলি করে।

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম এম আলম, আহসান হাবীব, নওয়াব আলী আব্বাস, কাজী জাফরের বড় মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, ভোট চাইবার সময় রাজনীতিকরা ধর্ম বা জাতপাতের ব্যবহার করতে পারবেন না। “নির্বাচনী প্রক্রিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ তৎপরতা। এতে ধর্মের কোন ভূমিকা নেই,” আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেন।

রায়ে আরো বলা হয় ধর্ম বা বর্ন প্রথাকে ব্যবহার করে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আইনে দুর্নীতি বলে বিবেচনা করা হবে। এই ঐতিহাসিক রায়টি এমন এক সময়ে দেয়া হলো যখন আর কয়েক সপ্তাহ পর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মনিপুরের রাজ্য বিধান সভাতেও নির্বাচন আসছে।

প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের সাতজন বিচারকের একটি বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।

মহারাষ্ট্র রাজ্যে ১৯৯০ সালে দায়ের করা এক মামলার শুনানির সময় এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এই রায়ের মাধ্যমে সে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটলো। তবে রায়টি সর্বসম্মত ছিল না। চারজন বিচারপতি রায়ের পক্ষে মতামত দেন। তিনজন বিচারপতি রায়ের সাথে একমত হতে পারেননি।

যে তিন বিচারপতি ভ্ন্নিমত প্রকাশ করেন, তারা বলেন যে ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার অধিকারকে সংবিধানে গ্যারান্টি দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি সুরাহা করতে সংসদে আলোচনা করা উচিত বলে ঐ তিন বিচারক মনে করেন। ভারতের নির্বাচনে ধর্ম এবং জাতপাত অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেশিরভাগ দলই প্রার্থী মনোনয়ন কিংবা প্রচারের সময় এই বিষয়গুলোকে বিবেচনার মধ্যে রাখে।বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rrrrr৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭২ জন নতুন ভোটার নিয়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে এ তথ্য জানান ইসির সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, যেসব নাগরিকের ভোটার হওয়ার বয়স থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেননি তাদেরকে ভোটার তালিকা হাল-নাগাদের আওতায় এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

সচিব বলেন, ২০১৫ সালে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৫ জন নাগরিকের তথ্য নেয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২৯ জন । আর ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৭১ হাজার ১৭ জনের তথ্য নেয়া হয়। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৮৮৩ জন। মহিলা ১ লাখ ৫০ হাজার ১৩৪ জন।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সবমিলে মোট ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭২ জন নতুন ভোটার নিয়ে খসরা ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ২ হাজার ৮১২ জন। নারী ভোটার ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬০ জন।

এসব ভোটারের বিষয়ে দাবি আপত্তির শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি, দাবি নিস্পত্তি ২২ জানুয়ারি, ২৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রেশন অফিসার কর্তৃক দাবি আপত্তি সংশোধনীর জন্য দাখিলকৃত দরখাস্তের আপত্তি গৃহীত হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।

সচিব আরো বলেন, নতুন ভোটরসহ দেশে বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার ১৮ জন।

দেশে বর্তমানে যেসব ভোটার রয়েছে তাদের সঙ্গে নতুন এ ভোটারদের যুক্ত করা হয়েছে । গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে যারা ভোটারযোগ্য ছিলেন তাদেরকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।

এই হাল-নাগাদে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ বা তার পূর্বে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০১৫-২০১৬ কার্যক্রমে নিবন্ধন করা হয়নি তাদেরকে নিবন্ধিত করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। ওই হাল-নাগাদ কার্যক্রমে ইসির টার্গেট ৭২ লাখ থাকলেও নিবন্ধিত হয় প্রায় ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার নাগরিক।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ শুরু হয়। সে সময় ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি নাগরিককে তালিকাভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রও দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ১৬ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_943584245_1483371341বক্স অফিসের সব রেকর্ডই ভেঙে ফেলছে ‘দঙ্গল’। মুক্তি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই ৪০০ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে সিনেমাটি। সব ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই ৫০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছে যাবে ‘দঙ্গল’।

রোববার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এই ছবি আয় করেছে ৪০২ কোটি রুপি।

আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ‘পিকে’, ‘বাহুবলী: দ্য বিগেইনিং’ ও ‘বাজরাঙ্গী ভাইজান’-এর আয়ের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে।

ছবিটি গত বছর ডিসেম্বরের ২৩ তারিখে মুক্তি পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_661929041_1483379424ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের একটি কারাগারে দাঙ্গায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এই নিহতের ঘটনা ঘটে।

আমাজন রাজ্যের জননিরাপত্তা সচিব সারজিও ফন্টেস স্থানীয় রেডিও নেটওয়ার্ক টিরাডেন্টেসকে বলেন, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1320614561_1483371324সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্বে দারুণ খেলা দলটি  সেমিফাইনালে উঠেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। শেষ চারের এই ম্যাচে মালদ্বীপকে এক রকম বিধ্বস্ত করে ফাইনালে উঠে গেছে সাবিনা-স্বপ্নারা।

প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশের মেয়েরা। সোমবার ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৬-০ গোলে মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। সাবিনা-কৃষ্ণারা প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল। হ্যাটট্রিক করেছেন সিরাত জাহান স্বপ্না। দুই গোল করেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। অন্য গোলটি নার্গিস খাতুনের।

ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে এগিয়ে যায় ১২ মিনিটে স্বপ্নার করা গোলে। ২৩ মিনিটে তিনিই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে বাকি চারটি গোল।

এর আগে আসরের  ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক  ভারত ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।

ফরোয়ার্ড কমলা দেবী ৪৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইন্দু রানি। ৮৩ মিনিটে সাস্মিতা মালিক নেপালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন।  এর আগে ৭৪ মিনিটে সাবিত্রা ভান্ডারি নেপালের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সুভাষ চৌধুরী: d
শিল্পীর রং তুলিতে ফুটে উঠেছে একটি বাংলাদেশ। শ্যামলে সবুজে ¯œাত ¯িœগ্ধ চিরায়ত বাংলার অমলিন প্রকৃতি। ফুল পাতা পাখি বিস্তীর্ন নদী বর্ষায় বাংলা ধান সরষে ক্ষেত সবই দেখা দিয়েছে তুলি আঁচড়ে। উঠে এসেছে রক্তঝরা ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ,  লাল সবুজ পতাকা হাতে বিজয় দিবস, গণতন্ত্রের জন্য অবিরাম সংগ্রামের এক একটি ইতিহাস ,এক একটি সংগ্রাম। সাতক্ষীরার ঈষিকা অর্কেস্ট্রার এমএ জলিল এই একক চিত্র প্রদর্শনী উপহার দিয়েছেন। শিল্প কলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত পাঁচদিনব্যাপী এ চিত্র মেলা শেষ হয়েছে ২০১৬ এর শেষ সূর্যোদয় সূর্যাস্তের দিন শনিবার। শিল্পকলা ভবনের প্রাচীর জুড়ে ৭৪ টি জল রং ছবির প্রস্ফূটিত চিত্র কেড়ে নিয়েছিল সবার দৃষ্টি। অপলক নেত্রে দর্শকরা তাদের প্রাণ জুড়িয়েছেন বাংলাদেশকে বারবার দেখে। দুষ্টু ছেলে গেছে মুক্তিযুদ্ধে। ফিরছে না কেনো এই উদ্বেগ নিয়েই কাটছে মায়ের দিন। সেকি আর ফিরবে না কোনোদিন। নাকি সালাম রফিক শফিক বরকতের পথে  দামাল সন্তানদের মতো রক্ত দিয়ে গড়ে তুলবে এক একটি শহীদ বেদী। চেয়ে দেখো কালো ধোয়ার মতো  কুন্ডলী পাকিয়ে কিভাবে বাংলাদেশকে তিল তিল করে গ্রাস করছে দুর্নীতি সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদ। এখনই এদের পরাভূত করতে না পারলে কেমন বাংলাদেশ হবে তা নিয়ে আতংকিত হয়ে উঠেছে প্রদর্শিত চিত্রকর্ম। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই মিছিল, ৫২ তে মাতৃভাষার জন্য  সন্তানদের বাঁধ ভাঙ্গা মিছিল স্লোগান  আর তাদের আত্মাহুতিতে জন্ম নেওয়া প্রথম শহীদ মিনার আমাদের চিন্তার জগতকে নিয়ে গেছে বহু গভীরে। উনসত্তুরে সাত কোটি বাঙ্গালির গনঅভ্যুত্থান আর ছাত্র নেতা আসাদের আত্মত্যাগ, সত্তুরের সাধারণ নির্বাচনে বাঙ্গালির নিরংকুশ জয় ইতিহাসের পেছন পাতা অনুশীলনে নিয়ে গেছে দর্শকদের। ৭ মার্চ তর্জনী উচিয়ে বঙ্গবন্ধুর গগন বিদারী ভাষণ, ২৫ মার্চের কালো রাতে নিরস্ত্র বাঙ্গালির ওপর পাকিস্তানিদের বর্বরোচিত হামলার করুণ চিত্র ধরা পড়েছে শিল্পীর তুলিতে। পাক হানাদার বাহিনীর বাঙ্গালির ওপর হামলা ও গণহত্যা, নির্যাতিত শরনার্থীদের দেশ ত্যাগের করুন চিত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কালীন স্মৃতির পাতায় নজর কেড়ে নেয়। দেশ মাতৃকার স্বাধিকার অর্জন,বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে স্বাধীন ভূখন্ড হিসাবে তুলে ধরার অবিরাম সংগ্রামে  রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুবিনাশী যুদ্ধ দর্শকদের সংগ্রামী জীবনে নতুন করে ঝাঁকুনি দিয়েছিল। চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে বিজয় দিবসের উল্লাসের চিত্র। সেই সাথে সাথে লাল সবুজের পতাকার অমলিন ছবিও উপহার দিয়েছেন তিনি। শিল্পী এমএ জলিলের  ছবিতে রয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ক্ষয় ক্ষতির আশংকার দৃশ্য। এ দৃশ্য  আমাদের জীবন জীবিকা ভাবনায় নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। ভাবতে শিখিয়েছে  পরিবর্তিত জলবায়ুর করাল গ্রাস থেকে  কিভাবে নিজেদের রক্ষা করা যাবে তা নিয়ে। এমএ জলিলের চিত্রকলায় আরও উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যুগ¯্রষ্টা কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মজলুম জননেতা  মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, মাষ্টারদা সূর্য সেন, নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া  সাখাওয়াত হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানি ,বীর কন্যা প্রীতিলতা সেন, বিপ্লবী ইলা মিত্র সহ মহামনিষীদের প্রতিকৃতি। চিত্রে তিনি উপহার দিয়েছেন লালন ফকির, শাহ আবদুল করিম আর হাসন রাজার মতো মরমী শিল্পীর অবয়ব। শিল্পী এসএম সুলতানকে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তুলির আঁচড়ে। চিত্রকলায় বীরত্বের সাথে স্থান করে নিয়েছে ‘গনতন্ত্র মুক্তি পাক স্বৈরাচার নিপাত যাক’ দৃশ্যও। এমএ জলিল তার ছবিতে বিজয়ানন্দে আমি বাংলার গান গাই দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। আছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন পতাকা কাঁধে নিয়ে বীরের বেশে অস্ত্র সমর্পন। একক চিত্রে আরও ফুটে উঠেছে ৪৭ পূর্ব ও পরবর্তী ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। আছে মওলানা ভাসানির কাগমারি সম¥েলনের দৃশ্য, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার আন্দোলন, একাত্তরে বীরাঙ্গনা মা ও বোনেদের ওপর নির্যাতনের চিহ্ণ। আছে বুদ্ধিজীবী হত্যা, বধ্যভূমি, একাত্তরে গণহত্যার শিকার মানবসন্তানের দেহ পচে গলে ওঠার হৃদয়স্পর্শী দৃশ্য। শিল্পীর তুলিতে ফুটে উঠেছে বাঙ্গালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রাম ও আত্মশক্তির কাছে ১৬ ডিসেম্বর এএকে নিয়াজীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পন। দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের পরও বাংলাদেশে স্বৈরাচারি থাবা মোকাবেলায় বাঙ্গালির গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ডা. মিলনের আত্মদানের দৃশ্যও তুলে ধরতে ভোলেননি শিল্পী জলিল। শিল্পী ভুলে যাননি সমাজে নানাভাবে নিবর্তনের শিকার নারীর অনুশোচনার কথা। ভোলেন নি একান্তে বসে দুই প্রবীনার পুরনো দিনের স্মৃতিচারণের  কথা। ফেলে আসা দিনগুলি নিয়ে তাদের অনুশোচনার দৃশ্য তুলিতে ধারণ করেছেন তিনি। অস্তায়মান সূর্যের লাল আভায় ডানা ভাসিয়ে বিহঙ্গ্রে নীড়ে ফেরার চিরায়ত ছবি আর সেই সাথে কর্ম ক্লান্ত শ্রমজীবীর কুটিরে ফেরার দৃশ্য আমাদের গ্রামবাংলাকে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছে। ছবিতে রয়েছে এক ঝাঁক উড়ন্ত বলাকার আকাশ পথে ভেসে চলার মুগ্ধকর দৃশ্য। ছবিতে রয়েছে একজন উর্বশীর ভ্রান্ত পথ চলা। রয়েছে মাতৃত্ব আর মাতৃ¯েœহের এক ¯িœগ্ধ পরশ। জসীমউদ্দিনের পল্লী কবিতার আদলে চিত্রে জাগরিত হয়েছে স্মৃতি ‘তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়’। আছে বৃক্ষছায়ায় কারও জন্য প্রতীক্ষার দৃশ্য। আল পথে কৃষকের হেঁটে চলা , প্রকৃতির কোলে সবুজের আস্তরন উপহার দিতে মাঠে কৃষক আর বাড়ির আঙ্গিনায় কিষানীর শস্য মাড়াইয়ের দৃশ্য চাঁদনি রাতে স্ফটিকের মতো ফুটে উঠেছিল দর্শকদের নজরে। লাল সুর্যের আভায় ভেসে চলা নৌকা আর মাঝির মুখে ‘ও নদীরে’ ভাওয়াইয়া বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে আবারও তুলে ধরেছিল। সেই সাথে মধ্যরাতে বাঁশের বাঁশরীর করুন সুর লহরীতে কেঁদে ওঠে বিরহী নারীর হৃদয় – এ দৃশ্যও উপহার দিয়েছেন তিনি। সাতক্ষীরায় এই প্রথম কোনো একক নান্দনিক চিত্র প্রদর্শনী দৃশ্যে অনুভবে আর অবগাহনে নাগালে পেয়েছেন সাতক্ষীরার মানুষ। তারা হৃদয় দিয়ে হাতড়েছেন স্মৃতি, দুরদৃষ্টি দিয়ে ভেবেছেন ভবিষ্যত, স্মরণে এনেছেন ভাষা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, অবিরাম বাংলার চিরায়ত দৃশ্য। যা ৭৪ শিল্পকর্মের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন সাতক্ষীরার শিল্প কর্মে পাইওনীয়র এমএ জলিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a_003_1
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেছেন, অল্প বাজেটে এত সল্প সময়ে দেশের এই উন্নয়ন শেখ হাসিনার আমলেই সম্ভব। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ এখন একটি উদাহরণ। শেখ হাসিনাই পারেন এবং তিনি তা করে দেখিয়েছেন। তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী একযোগে এত উন্নয়ন করা হচ্ছে। সোমবার বিকালে আশাশুনি উপজেলার বাকড়া ফুটবল মাঠে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি। শোভনালি ইউপি চেয়ারম্যান স ম মোনায়েম হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান, দেবহাটা উপজেলা অওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য আছাফুর রহমান সেলিম, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালীম, দরগাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিয়ারাজ আলী, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার দীপ, চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, আশাশুনি পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি নীল কন্ঠ সোম, রাজেশ্বর দাস, সাংসদ প্রতিনিধি শম্বুজিৎ মন্ডল, শোভনালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাস প্রমুখ। উত্তেজনাকর ফাইনাল খেলায় দেবহাটা উপজেলার গাজীর হাট ফুটবল একাদশ তালা উপজেলা ফুটবল একাদশকে দুই শুন্য গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিযোগীতা পুর্ণ এই খেলা উপভোগ করে। বিজয়ী দলকে ১টি মটর সাইকেল ও ফ্রিজ উপহার দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest