ওম পুরি আর নেই

কর্তৃক Daily Satkhira

photo-1483677389বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ওম পুরি আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বাইয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

ওম পুরির ঘনিষ্ঠ বন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত মৃত্যুর খবরটি প্রথম একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার ছবির শুটিং শেষে পুরি বাসায় ফেরেন। এর পর আর তাঁর সঙ্গে কারো যোগাযোগ হয়নি। শুক্রবার সকালে পুরির গাড়িচালক দরজায় টোকা দিয়েও যখন সাড়াশব্দ পাননি, তখন তিনি পুরির পরিচিতজনদের বিষয়টি জানান।

ভারতের সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় পদক পদ্মশ্রী পাওয়া এই অভিনেতা জন্ম নেন ১৯৫০ সালের ১৮ অক্টোবর, হরিয়ানার আম্বালায়। তিনি ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় লেখাপড়া করেন। ১৯৭৬ সালে ওম পুরি মারাঠি ছবি ‘গাশিরাম কতওয়াল’-এ অভিনয়ের মাধ্যেম চলচ্চিত্রে পা রাখেন। জনপ্রিয় ও সকলের শ্রদ্ধেয় এই অভিনেতার অসংখ্য ছবির মধ্যে ‘অর্ধ সত্য’, ‘মিরচ মাশালা’, ‘আস্থা’, ‘সদগতি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম হোতা নুরুল ইসলাম মারজান। পুরোনো ছবি

গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম হোতা নুরুল ইসলাম মারজান। পুরোনো ছবি

রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম হোতা নুরুল ইসলাম মারজান ও তাঁর এক সহযোগী নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থানাধীন রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই সহযোগীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন ।

ইউসুফ আলী জানান, আজ ভোররাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নব্য জেএমবির সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। সে সময় নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজান ও তাঁর এক সহযোগী জঙ্গি নিহত হন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত দুজনের লাশ  ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

84525110888fc0a72adc4e13f14ba1a0-5757a0dbe935cইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে। ব্যাংকের এমডি পদে ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া ও চেয়ারম্যান পদে আরাস্তু খান নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য।
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওই সদস্য বলেন, ‘আরও ছয় মাস মেয়াদ ছিল আবদুল মান্নানের। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদ মনে করছে, এই মুহূর্তে তার চেয়েও ভালো এমডি ইসলামী ব্যাংকে দরকার। এ কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নতুন এমডি হিসাবে ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, ব্যাংকের জরুরি ওই সভায় ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ইউসিফ আবদুল্লাহ্ আল-রাজী পুনঃনির্বাচিত ও অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমকে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিনকে এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, ড. মো. জিল্লুর রহমানকে অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও মো. আবদুল মাবুদ পিপিএমকে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করে ব্যাংকের বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আরাস্তু খান এর আগে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে মানিকগঞ্জ জেলার গরপাড়া গ্রামে জন্ম নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস ডিগ্রি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন আরাস্তু খান।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। দেশে শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যাংক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

centranafric-peacekeepperসেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।
নিহত আব্দুর রহিমের বাড়ি সাতক্ষীরায় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক বিবৃতিতে আইএসপিআর বলছে, কর্তব্যরত অবস্থায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে রহিম গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি বিবৃতিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

eeeস্পোর্টস ডেস্ক: একটা ভালো দিন। আর তা হলেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশ দল। আর সেই ভাল দিনের প্রত্যাশাতে শুক্রবার দ্বিতীয় টি-২০ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল।

‘‘আমরা এবার জিতব,’’ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কথাগুলো বললেন অন্যতম লড়াকু ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তার মতে, আগে কী হয়েছে সেটা বড়নয়, বরং ম্যাচের দিন পরিস্থিতি অনুযায়ী যাঁরা খেলবেন, তারাই নাকি ম্যাচ জিতবে। বাংলাদেশ সময় সকাল আটটায় বে ওভাল স্টেডিয়ামে শুরু হবেদ্বিতীয় ম্যাচ।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের শুরু থেকেই নিজেদের ফর্ম খুঁজছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের যে ফর্ম্যাটটিতে সবচেয়ে বেশি সাবলীল লাল-সবুজের দল সেই ওয়ান ডেসিরিজের তিনটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। মনে করা হচ্ছিল, তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ দিয়ে আলোর দেখা পাবে টাইগাররা।

কিন্তু, প্রথমটিতে কিউইদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এমন পর পর হারে ব্ল্যাক ক্যাপদের বিপক্ষে জয়ের আশা দিন দিন যেন ফিকে হয়ে আসছে।

সেই ফিকে হয়ে যাওয়া আশা থেকে বেরিয়ে জয়ের ধারায় ফিরে দলকে আলোর মুখ দেখানোর লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাব্বির বলেন, ‘‘প্রথম টি-২০তে আমাদের ভাল একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মিস জাজমেন্টের কারণে দুটি ক্যাচ ধরতে পারিনি আমরা।’’ সৌম্যর ক্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আসলে বলটি ওর মাথার ওপর দিয়ে চলে গিয়েছিল।’’

সাব্বির জানান, তারা এর মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। ওয়ানডে ম্যাচগুলোতেও ভাল সম্ভাবনা তৈরি করে প্রতিপক্ষকে ঝাঁকুনি দিতে পেরেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জয় আসেনি। এর মানে এই নয় যে বাংলাদেশ দলের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ‘‘টি-২০ও ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব কিছুরই খেলা। সব সেক্টর মিলে ভাল খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছতে হবে। শুক্রবার আমাদের সে লক্ষ্যই থাকবে। আশা করি আমরা জিততে পারব।’’

বাংলাদেশ দলের পক্ষে বৃহস্পতিবার কিউই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। বাংলাদেশ অধিনায়কও বলেন, ‘‘আগের ম্যাচগুলোয় যে ভুলগুলো হয়েছে সে সব থেকে শিক্ষা নিয়ে জেতা সম্ভব। বাংলাদেশ দলের সেই সামর্থ্য আছে।’’ কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট এদিন এসেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। বোল্ট নিজেদের ভাল অবস্থানে থাকার উল্লেখের পাশাপাশি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ দলেও বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় আছে। তাদের পরাস্ত করেই আমাদের জিততে হবে।’’ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে এসব বলাবলির জবাব আসবে শুক্রবার। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায়)। আপাতত একটি জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেট পাগল মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

articleঅনলাইন ডেস্ক: কুঁজোর পানির ঠাণ্ডা হওয়ার কারণ অনেকেই জানেন। কিন্তু এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে রেফ্রিজারেটর তৈরির ব্যাপারটা বিস্ময়কর! তবে বিস্ময়কর কাজটাই করে দেখালেন মনসুখভাই প্রজাপতি। তার তৈরি মাটির রেফ্রিজারেটর কম আয়ের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও।

হাইস্কুলের গণ্ডিও পেরোননি ভারতের গুজরাটের মনসুখভাই। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই স্কুল ছাড়েন তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রেই জানতেন কুমোরের কাজ।আর তাই কুঁজোয় কেনো পানি ঠাণ্ডা থাকে সেটা জানতে তার বাকি ছিলো না। পেশার খাতিরে চালাতেন একটা চা দোকান। এছাড়া টালি তৈরির কাজওছিলো। তবে এসব কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাইছিলেন নতুন কিছু করতে। আর তাই কুঁজোর প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে একদিন তৈরি করে ফেললেন মাটিররেফ্রিজারেটর। যেটি বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতে পারে।

বাষ্পায়নে শৈত্যের সৃষ্টি হয়-বিজ্ঞানের এ সহজ নিয়মই কাজ করেছে তার রেফ্রিজারেটরে। পুরোপুরি মাটির তৈরি রেফ্রিজারেটরের পানি ভরার ব্যবস্থা রয়েছে। বাষ্পায়নেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতেই বিদ্যুৎ ছাড়াই ঠাণ্ডা থাকছে খাবার-দাবার। মাটি থেকে তৈরি বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিট্টিকুল`। দামও ৩ হাজারের মধ্যে। ফলে প্রায় সকলেই এ রেফ্রিজারেটর কিনতে পারবেন। মিট্টিকুলের চাহিদা এমনই যে, এখন তা দেশ ছাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছে

বিদেশেও। মিট্টিকুলকে আলাদা একটা কোম্পানির রূপ দিতে পেরেছেন মনসুখভাই। দেশটির প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে দেখিয়েও এসেছিলেন তার কীর্তি।

মনসুখভাইয়ের এ মিট্টিকুল এতদিনে সারা দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর্থ ডে-তে দাঁড়িয়ে যখন আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বিদ্যুৎ সংরক্ষণের মতো বিষয় নিয়ে কথা বলছি, তখন কীভাবে হাতেকলমে তা করতে হবে তারই একটি উদাহরণ সামনে এনে দিয়েছেন মনসুকভাই। তার মিট্টিকুলের ব্যবহার বাড়লে শুধু খাবার দাবার নয়, পরিবেশও যে উষ্ণতার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে খানিকটা শীতল হবে, তা বলাই যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

niloy-pic-coverবিনোদন ডেস্ক: ওমরা হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন তারকা দম্পতি আনিকা কবির শখ ও আলমগীর হোসেন নিলয়। তাদের সঙ্গে রয়েছেন নিলয়ের বাবা-মা। বর্তমানে নিলয়-শখ মক্কার কাছাকাছি রয়েছেন।

এমনটাই জানিয়েছেন নিলয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেখ আমিনুল হক ইমন। তিনি বলেন, ‘নিলয়, তার বাবা আওলাদ হোসেন, মা আসমা বেগম এবং স্ত্রী শখকেনিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর সকালের ফ্লাইটে ওমরা হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেখানে তারা নিরাপদে পৌঁছেছেন এবং সুস্থ আছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘চলতি মাসের ১০-১১ তারিখ তাদের ফেরার কথা রয়েছে। সবাই নিলয়-শখ এবং তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’

প্রসঙ্গত, শোবিজের আলোচিত জুটি নিলয়-শখ ভালোবেসে পরষ্পরকে বিয়ে করেন গতবছরের ৭ জানুয়ারি। এরপর দুজনেই আগের মতো মিডিয়াতে কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4এমপি লিটন হত্যা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে বেশ নাড়া দিয়েছে৷ এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ এমপিদের নিহত হওয়ার ইতিহাস উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন৷ এমপিরাও ইতিমধ্যে নিরাপত্তার জন্য গানম্যান দাবি করেছেন৷

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় কারা জড়িত তা এখনো স্পষ্ট হয়নি৷ প্রাথমিকভাবে জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে দায়ী মনে করা হলেও এর বাইরেও আরো অনেককে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন তদন্তকারীরা৷ এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, ‘‘এমপিকে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না৷ জড়িত কেউই ছাড়া পাবেনা৷’’ আর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘এটা কোনো কাঁচা কাজ নয়৷ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড৷’’

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাত জন এমপিকে হত্যা করা হয়৷ এছাড়াও পরবর্তীতে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আহসান উল্লাহ মাস্টার ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াকেও হত্যা করা হয়৷ কাজেই ষড়যন্ত্রকারীদের এ ধরনের চক্রান্ত নতুন নয়৷’’ তিনি এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত এবং ‘টার্গেট কিলিং’ বলে উল্লেখ করেন৷ এমপি লিটন হত্যায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে৷ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা লিটনের সুন্দরগঞ্জের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে৷ এই ঘটনায় তার বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন৷

এদিকে লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জামায়াত-শিবিরের লোকজনই আমার স্বামীকে খুন করেছে৷’’

তিনি জানান, ‘‘জামায়াতবিরোধিতার কারণে আমার স্বামীকে এর আগে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে৷ জামায়াত অধ্যুষিত এই এলাকায় আমার স্বামী জামায়াত বিরোধীতা করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন৷ যা জামায়াত মানতে পারেনি৷’’

তিনি জানান, ‘‘১৯৯৮ সালের ২৬ জুন সুন্দরগঞ্জ ডিডাব্লিউ ডিগ্রী কলেজ মাঠে জামায়াত-শিবির আয়োজিত জনসভায় গোলাম আজমের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল৷ সেই সময় স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের এই সভা পণ্ড করে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ লিটন তার বন্দুক হাতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসভায় প্রবেশ করেন এবং গোলাম আজমকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন৷ এতে জনসভাটি পণ্ড হয়ে যায়৷ সেই থেকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার বাহিনী লিটনকে যে কোনো মূল্যে হত্যার টার্গেট করে৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সেই সময় তাঁর গুলিতে আহত ফতেখাঁ গ্রামের জামায়াত ক্যাডার হেফজসহ আরও দুর্ধর্ষ জামায়াত ক্যাডাররা লিটনকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে এবং ফোন করে দীর্ঘদিন থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল৷’’

লিটনের স্ত্রী স্মৃতি এরই মধ্যে সুন্দরগঞ্জ থেকে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছেন৷ বুধবার তাঁকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে পারেননি৷ তার এক আত্মীয় জানান, ‘‘স্মৃতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ এখন তার পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়৷’’

তবে লিটনের বোন এবং মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী জানান, ‘‘হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকে আমরা চিনতে পারিনি৷ তাই অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে৷ তবে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে জামায়াত- শিবির জড়িত আছে বলে আমরা সন্দেহ করছি৷’’

তিনি আরো জানান, ‘‘হত্যাকাণ্ডের সময় আমার ভাই, তাঁর স্ত্রী- সন্তানরা বাসায় ছিলেন৷ আমি ছিলাম ঢাকায়৷ আমি ঢাকা থেকে গিয়ে এজাহার করি৷ জানতে পেরেছি মোটর সাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে৷ এবং দু’জন ভিতরে গিয়ে গুলি করে আমার ভাইকে হত্যা করে৷’’

আর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, ‘‘আমরা যাদের আটক করেছি তাদের মধ্যে ২৭ জনকে এ পর্যন্ত আদালতে পাঠিয়েছি৷ আমরা হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতকে সন্দেহ করছি, তবে সন্দেহের সবগুলো দিকই তদন্ত করে দেখছি৷ আমরা মনে করি, অন্য কোনো কারণেও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে৷ ঠিক কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা আমাদের কাছে এখনো পরিস্কার নয়৷’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী তা বুঝতে আরো সময় লাগবে, কারণ, এটা কোনো কাঁচা কাজ নয়৷ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড৷’’

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত পর্যায়ে এরই মধ্যে তারা লিটনের স্ত্রী স্মৃতি এবং বাদী লিটনের বোন কাকলীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কাকলী জানান, ‘‘পুলিশ এখনো আমাদের স্পষ্ট করে কিছু বলছে না৷ তদন্তের কোনো অগ্রগতি আছে কিনা তা-ও আমরা জানি না৷’’

এদিকে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর শাসক দল আওয়ামী লীগের এমপিদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ তারা তাদের নিরাপত্তায় গানম্যান দাবি করেছেন৷ শ্রম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইস্রাফিল আলম এমপি বলেন, ‘‘নানা কারণে, বিশেষ করে জঙ্গিবাদবিরোধী অবস্থানের কারণে সরকার দলীয় এমপিরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন৷ তাঁরা টার্গেট হতে পারেন৷ তাই তাঁদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন৷ এমপিদের গানম্যান দেয়া হয় না৷ আমার মনে হয়, দেয়া উচিত।’’

প্রসঙ্গত, জামায়াতবিরোধিতা ছাড়াও ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর ভোরে শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভকে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় আলোচিত ছিলেন এমপি লিটন৷ ওই ঘটনায় তিনি আটকও হয়েছিলেন৷ তখন তাঁর লাইসেন্স করা রিভলবার ও শর্টগান জব্দ করা হয়৷ ডয়চে ভেলে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest