ডেস্ক রিপোর্ট: ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্কুলছাত্রকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম ও সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত একই সঙ্গে ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া স্কুলছাত্রকে দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়েছে।
আদালতে স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর দুই সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন ও আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সখীপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারকে দুই বছরের সাজা দেন নির্বাহী হাকিমের দায়িত্ব পালনকারী ইউএনও। বিষয়টি গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এরপর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত দুই সরকারি কর্মকর্তাকে তলব করেন।
তলবের ওপর শুনানিকালে স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদার আদালতকে জানায়, ওসি, সংসদ সদস্য এবং ইউএনও ঘটনার দিন রাতে তার বাসায় গিয়ে নির্যাতন করে। সংসদ সদস্য তাকে লাথি মারেন। পরে ওসি তাকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেন এবং অন্যান্য শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তাকে গাঁজা সেবনের অভিযোগে মামলা দিয়ে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়।
আদালতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাজির দুই সরকারি কর্মকর্তা।