ডেস্ক রিপোর্ট: সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা এক মামলায় নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর আগে ১০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ওই মামলায় মান্নাকে জামিন দিয়েছিলেন। এতে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। গতকাল রোববার চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে আজ শুনানির জন্য পাঠান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান। রাষ্ট্রদ্রোহ ও সেনা বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে গত বছরের ৫ মার্চ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়। নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলি আলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই দুই মামলায় ২ ও ৭ মার্চ নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ হয়। এর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যগত যুক্তিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন মান্না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sravya_reddyবিনোদন ডেস্ক: তখন ফেসবুক লাইভে ছিলেন তেলুগু অভিনেত্রী শ্রভ্যা রেড্ডি। হঠাৎই এক ইউজার তার স্তনের সাইজ জানতে চান। প্রশ্ন শুনে ভয়ানকভাবে রেগে যান তিনি। ওই অনুরাগীকে বলেন, ‘প্রশ্নটা আগে তোমার মাকে কর।’ সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

সম্প্রতি ওই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেসবুকের লাইভ চ্যাটে শ্রভ্যা বলেন, ‘কাম অন, আমি যখন একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলছি, তখন এসব প্রশ্নেরমানে কী? এ ধরণের লোকের জন্য ভারত কোথায় যাচ্ছে…! আমি তো এখানে শরীর দেখাচ্ছি না। হ্যাঁ আমার সুন্দর স্তন রয়েছে। তাতে তোমার কী সমস্যা?তোমার মায়ের কি নেই? প্রত্যেক মেয়ের এটা সৌন্দর্য।’

মেয়েরা প্রায়ই এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে সোশ্যাল সাইটে অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয়। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সম্প্রতি ওয়েব দুনিয়ায় আপত্তিকর পরিস্থিতিতে সামলাতে হয়েছে অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকেও। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় শ্রভ্যাকে সমর্থনই করেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14-1বিনোদন ডেস্ক: জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‌’ইত্যাদি’। সব বয়সী দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডের এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। আসছে ১৮ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে দেখানো হবে দর্শক নন্দিত এ অনুষ্ঠান।

হানিফ সংকেতের পরিচালনায় এবারের ইত্যাদির শুটিং হয়েছে যশোরের সদর কোর্টের পুকুর পাড়ে। গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শুটিং পরিচালিত হয়।

এইবারই প্রথমবারের মতো যশোরে ইত্যাদির শুটিং হয়েছে। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন যশোরের সাংস্কৃতিক গোষ্ঠি। এইবারের ইত্যাদিতে যশোরের ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

যশোর কালেক্টরেট ভবনের সঙ্গে মিল রেখে নির্মাণ করা হয় মূল মঞ্চ। আসছে পর্বে যশোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে রয়েছে একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন এবং যশোরের গদখালীর ফুল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বিদেশি প্রতিবেদন করা হয়েছে ফ্রান্সের প্যালেস অব ভার্সাইয়ের নিয়ে; যেখানে একসময় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত থাকতেন।

এবারও যথারীতি থাকছে দর্শক পর্ব, নাটিকা, মামা-ভাগনে, নানি-নাতির শিক্ষামূলক কমেডিসহ অন্যান্য আয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hhhhhhhhhhhhhবিনোদন ডেস্ক: কেউ পুরনো ৫০০, ১০০০ টাকার পুরনো নোট বদলাতে চাইছেন, কেউ চাইছেন জমা দিতে। কেউ বা এটিএমের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে কেউ মোদির ‘নোট নীতির’ প্রশংসা করছেন, কেউ বা দৈনন্দিন অসুবিধের কারণে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। গত পাঁচদিনে পুরো দেশের চালচিত্র অনেকটা এমনই। এ পরিস্থিতিতে এবার মোদি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে পাশে পেলে আর কী চায়!

প্রধানমন্ত্রীর নয়া নীতিকে সমর্থন জানিয়ে ঐশ্বরিয়া বললেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটা একটা বড় পদক্ষেপ। নিশ্চয়ই আপনার আরো বড় কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের মানুষ সেটা বুঝবে। কোনও পরিবর্তনই সহজে হয় না। কিন্তু এখন আমাদের বড় স্বার্থের কথা ভাবতে হবে।

তবে মোদির এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় কোমর বেঁধে নেমেছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগকে সামনে রেখে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি এমনকী শিবসেনাও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479019546নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা এখন গ্রামের মাঠে। তাঁরা চষে বেড়াচ্ছেন গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলার সব জনপদে।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন নেতারা। নির্বাচিত হলে প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা। শুধু চেয়ারম্যান পদে নন, মাঠে নেমেছেন সদস্যপদ প্রার্থীরাও।
এরশাদ সরকারের আমলে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যান ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত হয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসক হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ। আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে চেয়ারম্যান হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। তবে এখন পর্যন্ত জানা গেছে, এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসছেন না বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী। সে ক্ষেত্রে এ নির্বাচন আওয়ামী লীগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এ জন্য চেয়ারম্যানের পদ নিয়েই দলের মধ্যে চলছে গ্রুপিং। দলের হাইকমান্ড কাকে মনোনয়ন দেবে, না দেবে, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই।
সাতটি উপজেলা, ৭৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার এক হাজার ৬১ জনপ্রতিনিধি ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত নারী সদস্য। জেলার ১৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পরিচিতি: চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। তরুণ ছাত্রলীগ নেতৃত্ব থেকে উঠে আসা মুনসুর আহমেদ দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পরপর চারবার চেয়ারম্যানের পদ জয়লাভ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরত্বের পরিচয় দেন তিনি। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে পরপর দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে সাতক্ষীরা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে তা প্রত্যাহার করে নেন মুনসুর। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত টানা ১৯ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে তিনি আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় অভিভাবক হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ দলের সভাপতি হন ২০১৫ সালে। এরপর ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের প্রশাসক মনোনীত হন তিনি।
নির্বাচনে আগ্রহী হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানী ঢাকায় বসবাস করায় জনগণ থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন। তবে দলের প্রতি তিনি নিবেদিতপ্রাণ। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান হতে পারলে জেলার উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন সাতক্ষীরার রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজধারী নেতা মো. নজরুল ইসলাম। ২০০৪ থেকে এখন পর্যন্ত পরপর দুবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দলকে সংগঠিত করার সুযোগ পেয়েছেন। দলের জন্য পুরো সময় ব্যয় করেছেন।
কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ১৯৯৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সাতক্ষীরা সদর আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেন। নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে তা প্রত্যাহার করে নেন। ২০০৯ সালে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারির দ্বিগুণ ভোট পেয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি উন্নয়ন সম্প্রসারণে আরো সময় দেবেন বলে জানিয়েছেন। সাধারণের মাঝেও তিনিই সবচেয়ে ‘পপুলার চয়েজ’।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জোর প্রচারণায় রয়েছেন ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ সদস্য, স্বাধীনতা-পরবর্তী তিনবারের সংসদ সদস্য এবং ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাতক্ষীরার সৈয়দ কমাল বখত সাকির একমাত্র ছেলে সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা, পরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ কামাল শুভ্র অবিভক্ত বাংলার ডেপুটি স্পিকার সৈয়দ জালালউদ্দিন হাশেমীর পৌত্র। দাদা ও বাবার রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিচয়ে তিনি সবার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছেন। নির্বাচিত হলে তিনি জেলার উন্নয়নে মনোযোগী হবেন বলে জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ স্থানীয় দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। ১৯৬৯ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, ১৯৭২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত যশোর সিটি কলেজ ভিপি থাকাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আটক হন। ১৯৭৬ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু আহমেদ ১৯৮০ সালে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ১৯৮৩-তে সভাপতি হন। এ সময় তিনি সাতক্ষীরা সিটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিয়ে পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর নেন। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত পরপর দুবার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তিনি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি উন্নয়ন সম্প্রসারণে ব্রতী হবেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুর রহমান। একজন কৃষকদরদি ও ভূমিহীন নেতা হিসেবে তিনি ১৯৮৮ সালে বাঁকাল ইসলামপুরে ভূমিহীন উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৯৮-তে দেবহাটা কালীগঞ্জে ভূমিহীন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে সাড়া জাগান কাজী সাঈদ। প্রশাসনের দুর্নীতি এবং ভূমি মালিকদের শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তিনি ১৯৯৬ সালে ফের কারাবরণ করেন। কাজী সাঈদ বলেন উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া সাতক্ষীরায় বহুমুখী উন্নয়ন দেখাতে তিনি ভোটপ্রার্থী হতে চান।
এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য জেলা স্বাচিপ সভাপতি ডা. মোকলেছুর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা ছাইফুল করিম সাবুসহ বেশ কয়েকজন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে মাঠে নেমেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479039396অনলাইন ডেস্ক: শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি খুব পরিচিত একটি নাম। ফুলকপি ছোটবড়, সবারই খুব পছন্দের সবজি। ফুলকপি সাদা রঙের হলেও এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। আসুন জেনে নেই, ফুলকপির খাদ্য উপাদানগুলো কী।

যদিও এটি সাদা রঙের একটি সবজি, তবে এতে  রয়েছে হৃদপিণ্ড ভালো রাখার মতো উপাদান। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফুলকপি যেন খুব বেশি সেদ্ধ করা না হয়। আধা সেদ্ধ করে খেতে হবে, তাহলেই পাওয়া যাবে ফুলকপির যথাযথ পুষ্টি গুণাগুণ।

ফুলকপিতে অনেক পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। এর ভেতর ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ও আছে। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘কে’। ভিটামিন ‘এ’ আমাদের চোখের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়।

শিশুরা কিন্তু অনেক সময় সবজি খেতে চায় না, তারাও অনেক ক্ষেত্রে ফুলকপির বড়া খুব পছন্দ করে। আমরা সবজিকে যদি একটু মোডিফাই করে দেই, তাহলে বাচ্চারা খেতে খুব পছন্দ করে। বিশেষ করে টিফিনের সময়।

ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’। এটি আমাদের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের শরীরে যে মরণব্যাধি ক্যানসার বাসা বাঁধে, এর প্রধান কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফুলকপি খেতে পারেন। ফুলকপি আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

এতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ আছে। ফুলকপিতে ক্যালোরিও অনেক কম। ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে আমরা পেয়ে থাকি শুধু ৩১ কিলোক্যালোরি। বড়রাও অনায়াসে তাদের খাদ্যতালিকায় এই ফুলকপি রাখতে পারেন। ভাজি করার পাশাপাশি এই শীতের সময় সুপের মধ্যে আমরা কিন্তু আধাসেদ্ধ ফুলকপি ব্যবহার করতে পারি। এটি আমাদের শরীরকে তো ভালো রাখবেই, পাশাপাশি হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

লেখক : ডায়েটেশিয়ান, বি আর বি হসপিটাল লিমিটেড

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479050842অনলাইন ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সেখানে সুনামি সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

প্যাসিফিক সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, সমুদ্রের ঢেউ স্বাভাবিকের চেয়ে দুই দশমিক ৪৯ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডের বেসামরিক প্রতিরক্ষা শাখা স্থানীয় বাসিন্দাদের উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। দেশটির পুরো পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল মারাত্মক ঢেউয়ের ঝুঁকিতে আছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478682743অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নিজের অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর অপরাধে জড়িয়ে থাকা প্রায় ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে।

সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে যারা অপরাধী, সংবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য, মাদক ব্যাবসায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আমরা এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এমন অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা সম্ভবত ২০ লাখ। এমনকি এটি ৩০ লাখও হতে পারে। এদেরকে আমরা দেশ থেকে বের করে দেব। ওরা অবৈধভাবে এখানে বসবাস করছে।’

অভিবাসন বিষয়ে পদক্ষেপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ছিল। যদিও অভিবাসন পরিকল্পনায় কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে শুধু অপরাধীদেরই যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও একই কথা বললেন ট্রাম্প।

গত ২৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারের সময় অবৈধ অভিবাসী ধরার পরিকল্পনার কথাও জানান ট্রাম্প। তিনি জানান, এমন শনাক্তকারী ব্যবস্থা তৈরি করবেন যা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অভিবাসী ট্রাকিং ব্যবস্থার নাম দেন ‘এন্ট্রি-এক্সিট’ কর্মসূচি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ব্যক্তিদের এর মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের কল্যাণ সুবিধা পাওয়া বন্ধ করবেন বলেও জানান ট্রাম্প।

গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইলেকটোরাল কলেজে সুস্পষ্ট ব্যবধানে ডেমোক্র্যাট হিলারিকে পরাজিত করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করেছেন। আগামী জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest