সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

wwwwকবিরুল ইসলাম, ব্রহ্মরাজপুরঃ- “আজকের আবিষ্কার আগামি প্রযুক্তির ও উন্নয়নের চাবিকাঠি”।এই প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডি,বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে বিজ্ঞান মেলা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ২০১৬।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,সদর উপজেলার ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমিনুর রহমান মুকুল।উপস্থিত ছিলেন বাবু ধনজ্ঞয় সরকার সহকারী সমন্বয়কারী,অগ্রগতি সংস্থা,সাতক্ষীরা।এছাড়াও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।তিনি বলেন,বিজ্ঞান বিষয়ে শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে প্রতিবছর এইমেলার আয়োজন করা হবে।আজকের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবিষ্কারে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি  হবে।যা তাদের ভবিষ্যৎ জিবনে কাজে লাগবে । একদিন এইসব শিশুদের মধ্যে হতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী তৈরী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী ও সহযোগী সংগঠনদের ধন্যবাদ জানান।এ প্রতিযোগীতায় মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। মিনি ড্রোন আবিষ্কার করে যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন মাসুম বিল্লাহ(৯ম) ও কেয়ামনি রাণী মন্ডল(৭ম)।লবণ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন আল আমিন ও মেহেদী হাসান (১০) এবং ওয়াটার কুলার তৈরি করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সাইদুর রহমান (৬ষ্ঠ)।অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন “ফ্রিডম ফাউন্ডেশন,ঢাকা এবং বাস্তবায়নে-অগ্রগতি সংস্থা সাতক্ষীরা।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মোঃ মুকুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ০৫ কর্মীসহ ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৫ জন, তালা থানা ০১ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৪ জন, শ্যামনগর থানা ০৫ জন, আশাশুনি থানা ০৩ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক ঃ কলারোয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৪ বাংলাদেশীকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ৩২/৩এস এর ৩ আরবির কাছে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে বিএসএফ আকটকৃত বাংলাদেশী খুলনার সুতারখালী গ্রামের মৃত মেছের আলীর ছেলে আসাদুল গাজী (৫০), ঝালবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আঃ রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২০), নলিয়ান গ্রামের জিয়ারুর গাজীর স্ত্রী সপ্না বেগম (২০)কে কাঁকডাঙ্গা বিওপির ল্যান্স নায়েক শ্রী উহলা সিং মারমাসহ উপস্থিত বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। অপর দিকে একই সময় উত্তর ভাদিয়ালী সীমান্তে এক পতাকা বৈঠকে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শাহাজাহানপুর গ্রামের হান্নান এর ছেলে মহিদুল ইসলাম (২৫)কে বিএসএফ মাদরা বিজিবি’র নায়েক বাচ্চু হালদারের নিকটে হস্তান্তর করেন। এঘটনায় কলারোয়া থানায় পৃথক ভাবে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

12
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা জাতীয়পার্টির উদ্যোগে শনিবার সকালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম প্রস্ততি হিসেবে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে তালার মাগুরার জিন্দাপীর জয়নুদ্দীন (রঃ) সাহেবের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে  নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর বেলা ১১ টায় তালা ডাকবাংলায় উপজেলা জাতীয়পার্টিও এক যৌথ সভা সদর ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক  সাংবাদিক জলিল আহমেদ, শেখ হাবিবুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু, জালালপুর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ হাসেম আলী, খলিলনগর সভাপতি শিক্ষক মোঃ গাউস, খেশরা সভ্পাতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান, খলিষখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শামসুর রহমান, মোঃ আব্দল জবক্ষার কাগজী,মোঃ জালাল উদ্দীন বিশ্বাস, রহমত আলী গোলদার, ডাঃ ইমান গাজী, ডাঃ আব্দুল খালেক, আব্দুর রশিদ সরদারম যুবসংহতি নেতা মোঃ শফিকুল ইসলাম, মতিয়ার সরদার, বাহারুল ইসলাম ,লুৎফর রহমান,মহসীন হোসেন, সরুলিয়া সভাপতি মাঃ আবুল বাশার, ছাত্রসমাজের নেতা কাজী জীবন হাসান আলী বাচ্চু, ইউনুস আলী সরদার, যুধিষ্টির চক্রবর্তি, সোহাগ হোসেন, তরুনপার্টির নেতা মুকুল সরদার, ইউনুস আলী মোড়ল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা জাতীয়পার্টিও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হাসান।  যৌথ সভায় জাতীয়পার্টি ও তার সকল সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন্ । সভায় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ দিদার বখ্ত কে তালা-কলারোয়া আসন থেকে বিজয়ী করতে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া। এবং আগামী ১৫ অক্টোবর শনিবার বিকেলে তালা ডাকবাংলায় সদর ইউনিয়ন এবং ২২ অক্টোবর খলিলনগর হাইস্কুল চত্বরসহ অন্যান্য ১০ টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8
মোজাফফর হোসেন কলারোয়া : এক দিন কলেজে যেতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে হতো। প্রতিদিন কলেজে সহপাঠিদের সাথে আড্ডা দেয়া, কলেজে কোন শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলে সেটা সবাই মিলে সমাধান করা, শিক্ষকদের সাথে ছাত্রদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা, নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মিদের প্রতিনিয়ত মিছিল। পরে আবার একসাথে ক্যান্টিনে বসে চা খাওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকার, কোলাহলরত অবস্থায় ঘুরে বেড়ানো আবার নিয়মিত শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া, মনোযোগ সহকারে ক্লাসে স্যারের কথা শোনা এখন মনে হয় সবই যেন ইতিহাস, মনে হয় এসব ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখা কোন ঘটনা। আনমনা হয়ে কথা গুলো বলছিলেন, ৯০ এর দশকের কলেজ শিক্ষার্থী, ছাত্র নেতা ও কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ক্রিড়া সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ। তিনি আরো বলেন, সে সময় কলেজে কয়েক শত ছাত্র-ছাত্রী সারাদিন কলেজ ক্যাম্পাসকে মাতিয়ে রাখতো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হলে আমাদের (ছাত্র সংসদ) কাছে অভিযোগ করত। আমরা স্যারদের সাথে আলোচনা করে সে সব বিষয়ে সমাধান করতাম। ক্লাস শেষে ছাত্ররা কলেজ মাঠে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠতো। প্রতি বছর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম থেকে দশম স্থানের মধ্যে একজন হলেও স্থান করে নিত। জেলার বিভিন্ন উপজেলা এমন কি জেলা সদরের সরকারি কলেজে ভর্তি না হয়ে এই কলেজে লেখাপড়া করতে আসতো। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য আবাসিক হল ছিলো। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে কলেজটি হারিয়ে যেতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য। এখন দেখলে মনে হয় এখানে কেউ লেখা পড়া করতে আসে না। জন মানব শূন্য কলেজটি যেন মৃত্যুর দার প্রান্তে পৌছে গেছে। আজ কলেজের এ অবস্থার কারন কি ? উপজেলার সকল সচেতন মানুষের কাছে একই প্রশ্ন ! কলারোয়া সরকারি কলেজ এক সময়ে সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হিসেবে খ্যাত ছিলো। সময়ের আবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে তার যৌবনের উত্তাল দিনগুলি। কয়েক বছরের ব্যবধানে এ অবস্থার কারন কি ? নতুন অর্নাস কোর্স চালু হওয়ার পরও কলেজে আছে কয়েক শত শিক্ষার্থী, আছে প্রচন্ড শিক্ষক সংকট তবে নেই সেই রাজনৈতিক কোলাহল, নেই ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক কলেজ ছাত্র সংসদ, নেই ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকার মাঠে খেলা করা, নেই কোন কোলাহল। বর্তমানে কলেজটি দুর থেকে দেখলে বোঝা যাবে না এখানে কোন শিক্ষার্থী আছে, বোঝা যাবে না এটা এক সময় জেলার দাপটে কলেজ ছিলো, নিরবে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, চলছে কোন রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে তাছাড়া পরীক্ষার ফলাফলের দিক থেকেও জেলার মধ্যে অনেক পিছিয়ে গেছে। যেন তার যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। সরেজমিনে কলারোয়া সরকারি কলেজ ঘুরে জানাগেছে, এক সময়ে জেলার জন-মানুষের উচ্চ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র কলারোয়া সরকারি কলেজে যেমন চলছে ছাত্র-ছাত্রী সংকট তেমনি প্রকট আকার ধারণ করেছে কলেজে শিক্ষক সংকট। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যহত হচ্ছে তেমনি দক্ষ শিক্ষকের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তার অতীত ঐতীহ্য। সাতক্ষীরা জেলার এক মাত্র উন্নত মানের মানুষ গড়ার কারিগর কলারোয়া সরকারি কলেজে সে সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নিন্ম এবং নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য জেলা শহরের কলেজ বাদ দিয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হতো। ১৯৭৯ সালে উচ্চ শিক্ষিত সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৮৫ সালের মধ্যে কলারোয়া সরকারি কলেজ ভালো ফলাফল অর্জন করায় ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সরকার কলেজটিকে জাতীয় করন করেন। এর পর থেকে কলেজটি সাতক্ষীরা জেলায় একক আধ্যিপত্য বিস্তার করে ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান, দ্বিতীয় স্থান থেকে দশম স্থানের মধ্যে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর নাম থাকা যেন বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছিলো। এর থেকে যেন কলেজটি দিকহারা হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী সংকট, শিক্ষক সংকটসহ নানা কারনে কলেজটি নির্জন স্থানে পরিনত হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৪ সালে কলেজটিকে অর্নাস কোর্স (ব্যবস্থাপনা বিষয়ে) চালু করা হয়। সাতক্ষীরা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে কয়েক একর জমির উপর দুইটি তিন তলা ও একটি দ্বিতল ভবন, কলেজের সামনে বিশাল খেলার মাঠ পাশে এক একর জমি নিয়ে একটি দীঘি, কলেজের সামনে ফুলের বাগান ও ক্যাম্পসের ভিতর এবং চারিদিকে বিভিন্ন ফলজ গাছের ছায়া বেশিষ্ঠত সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। রয়েছে ছাত্রদের দুই তলা আবাসিক ভবন। কলেজে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (ডিগ্রি) ও একটি বিষয়ে চালুকৃত অনার্স সব মিলিয়ে সহকারী অধ্যাপক এর পদ রয়েছে ৮টি বর্তমানে কর্মরত আছে ৭ জন, প্রভাষক পদ রয়েছে ১৯টি কর্মরত আছে মাত্র ৯ জন। এছাড়া অর্নাস শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র এক জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। বর্তমানে প্রাচীন ঐতীয্যবাহি কলেজটিতে অধ্যক্ষ, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক সব মিলিয়ে ১৮ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।  অথচ কলেজে প্রভাষকের পদ খালী রয়েছে ১০টি এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদ খালি আছেই। খোজ নিয়ে আরো জানাগেছে, কলারোয়া সরকারি কলেজে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক গত তিন বছর যাবত শুন্য রয়েছে। এছাড়া কলেজে তিন বছর যাবত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর ৮টি শুন্য পদে কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। কলারোয়া সরকারি কলেজ সূত্র জানায়, বর্তমানে কলেজে অধ্যায়নরত মোট ১ হাজার ৭শ’ ২৮জন শিক্ষার্থী রয়েছে অথচ শিক্ষক আছে অধ্যক্ষসহ মাত্র ১৮ জন। অথ্যাৎ ৬৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক কর্মরত আছেন। কলেজের একাধিক অবিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এক সময় কলারোয়া সরকারি কলেজে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী অনান্য জেলা থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করতে আসতো। কিন্তু এখন উপজেলায় কয়েকটি বে-সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে সরকারি কলেজের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে এবং সেখানে লেখাপড়ার মানও ভালো। তারা সরকারের উর্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, কলারোয়া সরকারী কলেজটিতে সকল শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান করে সাতক্ষীরা জেলার গৌরব এই কলেজটিকে মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা করে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে একই দাবি করেছেন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। কলারোয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী শিরিনি আক্তার, আকলিমা খাতুন, এম এ কাশেম ও অর্নাস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, আরিফুল হক অভিন্ন সুরে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার এক মাত্র ভালো ফলাফল অর্জন করা কলারোয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করে ভালো ফলাফল অর্জন করবো সে কারনে এখানে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ভর্ত্তি হওয়ার পর অবাক হয়েছি। যে সু-নামের জন্য কলারোয়া কলেজে লেকাপড়া করার জন্য এসেছি সে কলেজটির মধ্যে এমন করুন অবস্থা সেটা আগে বুঝতে পারেনি। তারা আরো বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে কলারোয়া সরকারি কলেজের যে সুনাম আছে সেটি ধরে রাখতে না পারলে কয়েক বছরের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী কলেজটি শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়বে। বর্তমানে কলেজটি আর আগের মত নেই এমন উল্লেক করে জানান, তারপরও কলেজের সকল সংকট দুর করে ভালো শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাতে পাররে জেলার এই শ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠটি আবারো হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ঠ উধর্ক্ষতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বাসু দেব বসু কলেন, কলেজের বর্তমান অবস্থা এবং শিক্ষক সংকট সম্পর্কে সরকারের উধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য মন্ত্রলায়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কলারোয়া সরকারি কলেজের ঐতিহ্য’র বিষয়ে আমি শুনেছি। আমি ও আমার সহকর্মিরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কলেজটিকে আবারো আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কলারোয়া সরকারি কলেজটি শিক্ষক সংকট সমস্যা সমাধান হলে আবারো সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কুলিয়া  প্রতিনিধি:  গতকাল দেবহাটা উপজেলার মাদকবিরোধী যুব ফাউন্ডেশন এর পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। মাদক বিরোধী যুব ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি জি এম ওহায়িদ পারভেজ স্বাক্ষরিত উক্ত কমিটিতে সভাপতি হিসাবে মিন্টু রহমান মিঠু, সহ- সভাপতি আব্দুস সালাম, আবজাল হোসেন, মোহাবক্ষত আলী, সাধারন সম্পাদক এনামুল হাসান সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন গাজী, সজিবুল হোসেন সাগর, শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিক্ষর হোসেন, আবির হোসেন লিয়ন, সোহাগ হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক একেএম বেলাল হোসেন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জাকির সম্পাদক, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, এবং ইব্রাহিম খলিল সুজন, হযরত আলী, আলফাজ সরদার, ইব্রাহিম হোসেন, আশিকুর রহমান কে সদস্য করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট দেবহাটা উপজেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

iyaba
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ থানার একটি মডেল ইউনিয়ন মৌতলা। এখানে হাটবাজার ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবনকারী,মৌতলার স্থানীয় কিছু বেকার যুবক বিভিন্ন অপকর্ম সহ সংঘবদ্ধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল এবং গাঁজা সহ বিভিন্ন রকমের মাদকদ্রব্যের ব্যবসা। নির্বিঘেœ চলছে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা। মৌতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন নির্জন জায়গায় যেয়ে লোক চক্ষুর অন্তরালে মাদক ব্যবসায়ীচক্র বিক্রয় করে মাদক। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পৌঁছিয়ে দেয় মাদক ব্যবসায়ীরা সেবনকারীদের কাছে, প্রশাসনের অগোচরে কৌশল অবলম্বন করে চলছে মাদক ব্যবসা,এই মাদক ব্যবসায়ীদের কারনে মৌতলার অধিকংশ যুবক এবং কলেজের কিছু সংখ্যাক ছাত্ররা ব্যাপক হারে আসক্ত হচ্ছে মাদকের দিকে। যার ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে পারে না এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। ফলে জমজমাট ভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এমতাবস্তায় প্রশাসনের তীক্ষ্ম নজরদারী কামনা করছে এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9-medium
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: প্রতিবন্ধী পূনর্বাসন কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন রফিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির মহাসচিব শেখ আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, কোষাধ্যক্ষ চাঁদনী খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, মহিলা সম্পাদিকা শিল্পী আক্তার, নূর জাহান খাতুন, সফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্য্না আব্দুল খালক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, সাইদুর ইসলাম হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, সমিতির বর্তমান মহাসচিব শেখ আবুল কালাম আজাদ ছাত্র জীবন থেকে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও উন্নয়ন মুলক কাজ করে আসছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে এপদ থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার সহ প্রতিবন্ধীদের ক্ষতি করছে। এসভার মাধ্যমে বক্তারা এসকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বক্তারা আরও বলেন, কর্মচারী অরুন কুমার সরদার প্রতিবন্ধীদের লক্ষ লক্ষ টাকা, কম্পিউটার, ক্যামেরা, ক্যাশ খাতা, লেজার, রেজুলেশনের বইসহ মূল্যবান ভাউচার চুরি করে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নং ১৩৩/১৫। সে এ সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে সমিতির সদস্য না এমনসব ব্যক্তিদের সাথে মিশে সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করছে এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কর্মচারীর মিথ্যা স্বাক্ষীর ভিত্তিতে অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রেরণ করে যা সঠিক নয়। এই প্রতিবেদন বাতিল অথবা পূর্ণ তদন্ত না করা হয় তাহলে প্রতিবন্ধীরা জেলা ব্যাপী আন্দোলনের হুমকি প্রদান করা হয় প্রতিবন্ধীদের পক্ষ থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest