full_1143937979_1478970630ডেস্ক: মোসাদ্দেক হোসেনের ঝড়ো ইনিংসের পর স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় জয় পেয়েছে ডাকা ডায়নামাইটস। এদিন নাঈম ইসলামের রংপুরকে ৭৮ রানে হারিয়েছে সাকিবের দল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া রংপুর এগোতে পারেনি বেশিদূর।  সাকিব-নাসিরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯২ রানেই শেষ হয়ে যায় রংপুরের ইনিংস।

সানজামুল ইসলামের বলে নাসিরকে ক্যাচ দিয়ে ১১ রান করে ফিরেন রংপুরের ওপেনার শাহজাদ।

তার আগেই সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনকে হারায় রংপুর। দ্বিতীয় ওভারে নাসিরের বলে বোল্ড হন সৌম্য। পরের ওভারে মিঠুনকে বোল্ড করেন সাকিব।

২৩ রানে ৩ উইকেট হারানো রংপুর উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিতই। বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান শহিদ আফ্রিদিও পারেননি কিছু করতে। ১০ বলে ৬ রান করে ফিরেন এই অলরাউন্ডার। অন্য ব্যাটসম্যানরাও বেশিক্ষণ টিকেননি।

এর আগে ঢাকার ইনিংসে তিন নম্বরে এসেই চড়াও হন নাসির। সাঙ্গাকারার সঙ্গে ৬৯ রানের দারুণ জুটি গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

১০ ওভারে ১ উইকেটে ৭৯ রানের সুবিধাজনক জায়গায় থেকে পরপর দুই উইকেট হারায় ঢাকা। একাদশ ওভারে কোনো রান না দিয়ে নাসির ও রবি বোপারাকে ফেরান আফ্রিদি।

৩৩ বলে ৬টি চারে ৩৮ রান করা নাসিরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হন ইংলিশ অলরাউন্ডার বোপারাও। পরের ওভারে সাঙ্গাকারাকে ফিরিয়ে দেন অফ স্পিনার সোহাগ।

১০ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ঢাকাকে পথ দেখান অধিনায়ক সাকিব ও মোসাদ্দেক। ৩৯ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন তারা। এরপর ১০ রান করে ফিরে যান সাকিব।

সাকিবের বিদায়ের পর চড়াও হন মোসাদ্দেক। একের পর এক বাউন্ডারি হাকিয়ে মোসাদ্দেক ২৮ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এরপর  দুই ছক্কায় ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সিকুগে প্রসন্ন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_144329305_1478956624ডেস্ক: আগামী ১৪ নভেম্বর, সোমবার পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে আসছে চাঁদ। বিগত ৭০ বছরে চাঁদ এত কাছে আর আসেনি। শেষবার পৃথিবীর এত কাছে এসেছিল ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি।

জানা গিয়েছে, ওইদিন পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে চাঁদের কেন্দ্রবিন্দুর দূরত্ব দাঁড়াবে ২ লক্ষ ২১ হাজার ৫২৪ মাইল অর্থাত্‍ ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫০৮ কিলোমিটার। পৃথিবীর প্রায় ৮৫ মাইল কাছে চলে আসছে। যাকে বলা হচ্ছে ‘সুপারমুন’। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় চাঁদকে আকারে ১৪% বড় দেখাবে।

১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারির পর যেহেতু এত কাছে চাঁদ আসেনি, তাই মিডিয়া তো বটেই এই সুপারমুনকে ঘিরে সাধারণের মধ্যেও তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

এবার যদি আপনি কোনও ভাবে মিস করেন ধৈর্য ধরে আরও ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ২০১৬-র পর আবার ২০৩৪-এর নভেম্বর পৃথিবীর এত কাছাকাছি আসবে চাঁদ।

সূত্র: ডেইলি মেইল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_753047256_1478976259পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সুফি মুসলিমদের শাহ নূরানি মাজারে বোমা হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য করাচি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ডন অনলাইনের প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বোমা হামলার সময় সুফি মুসলিমদের ঐহিত্যবাহী নৃত্য চলছিল। তবে মাজারটি প্রত্যন্ত কুজদার জেলায় হওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের সেখানে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আইএস পরিচালিত আমাক নিউজ এজেন্সিতে ওই হামলা দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।

বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির সরফরাজ আহমেদ বাগতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন’।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং হতাহতদের উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ উপজেলা কমান্ড কার্যালয়ে ২০ নভেম্বর কালিগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১১টায় বাংলদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের কমান্ডার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ২০ নভেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় কালিগঞ্জ মুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সময় কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খান আসাদুর রহমান, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার এসএম শাহাদাত হোসেন, মনির আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কালিগঞ্জ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এসএম গোলাম ফারুকসহ সন্তান কমান্ডের নেত্ববৃন্দ এবং সকল ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি : বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সকলকে এক যোগে প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের দেশে বর্তমান বাল্য বিবাহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। সে জন্য সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে আইনানুগভাবে বিবাহ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করণ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি কলারোয়া উপজেলাকে অতিদ্রুত বাল্য বিবাহ মুক্ত করার আহবান জানান। কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়না, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সানজিদা জেসমিন,  উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন, তথা কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার, সাব-রেজিষ্টার নারয়ন চন্দ্র মন্ডল, কলারোয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আখতারুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিবাহ রেজিষ্টাররা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সহপাঠি ও ঘনিষ্ট সহচর সাবেক এমএলএ মমতাজ আহম্মেদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুুরে কলারোয়ার এই কৃতি সন্তানের জন্ম ভিটা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিবেদিত এই আ.লীগ নেতার স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ও ১৯৭১ সালের মুক্তির কন্ঠস্বর সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল জব্বার। এ সময় শিল্পী আব্দুল জব্বারকে ‘মমতাজ আহম্মেদ স্মৃতি পদক ২০১৬’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে তিনি সাবেক এমএলএ মমতাজ আহম্মেদের বিভিন্ন স্মৃতি চারণ করেন। মরহুমের জ্যেষ্ঠ্যপুত্র বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অধ্যক্ষ এমএ ফারুকের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আ.লীগের সভাপতি এম মুনসুর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ নজরুল ইসলাম, দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক আবু আহম্মেদ, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু নসর, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক শেখ ও ওসি (তদন্ত) মোঃ আক্তারুজ্জামান, দৈনিক অনির্বাণের নির্বাহী সম্পাদক বুলু আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, আফজাল হোসেন হাবিল, আইনজীবি এ্যাড. আব্দুল্লাহ আল হাবিব প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আবুল হোসাইন : সোনারডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি ভাবে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাজেটের অর্থের টাকা থেকে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের সোনারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাজেটের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ১ লক্ষ বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু এবরাদ্ধ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশলে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দায় সারাভাবে কাজ করেছেন। বিদ্যালয়ের তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম ছরোয়ার ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য গৌতম কুমার জানান, একাজের মধ্যে রয়েছে স্কুলের প্রাচীর নির্মাণ, তিনটি টয়লেট নির্মাণ, স্কুলের বিল্ডিং রং করা, ফ্যান ক্রয় সহ রাস্তার সোলিং তৈরি প্রভৃতি। এর মধ্যে স্কুলের প্রাচীর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাচীর নির্মাণের সময় প্রত্যক্ষদর্শী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একাধিক ব্যক্তি জানান, নিম্ন মানের ইট-খোঁয়া দিয়ে রড ছাড়াই প্রাচীরের লিন্টন ঢালাই দেয়া হয়। প্রাচীরের সম্মুখে ছোট ছোট ৪টি রড গুঁজে দিয়েছেন মাত্র। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তদারকির অভাবে কৌশলে তিনি এসব নির্মাণ ও সংস্কারের নামে তিনি বিপুল অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। আর এ সকল কাজে সহযোগিতা করেছেন সোনারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম ছরোয়ার ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য গৌতম কুমার। এ প্রসংগে তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম ছরোয়ার বলেন, বরাদ্দকৃত টাকা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়েছে। এছাড়া প্রাচীরে ৩৭কেজি রড দিয়ে লিন্টন ঢালাই দেয়া হয়েছে। প্রাচীরটি হেলে পড়ার কারণে কোন দূর্ঘটনা হতে পারে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা ভূল দেখেছেন, সেটি হেলে পড়েনি। আর সেজন্য দূর্ঘটনা ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই। বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য গৌতম কুমারও একই মন্তব্য করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুর ইসলামের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোন বরাদ্দ ছিল না। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নিজেদের ব্যক্তিগত অর্থে এসব কাজ করা হয়েছে। এসকল কাজের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাজেটের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ ছিল কি-না এমন প্রশ্ন করা হলে, তিন প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তিনি তা স্বীকার করেন। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের ক্যাশবুক সহ বিভিন্ন বিল ভাউচার দেখান। যেখানে ১ লক্ষ টাকা খরচের হিসাব পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট ছোট ৪টি রড গুঁজে দেয়া হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পর্যাপ্ত ইট ও রড দিয়েই নিয়ম অনুযায়ী এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি হেলে পড়তেও পারে। এতে সাংবাদিকদের অসুবিধা কী ? এবিষয়ে শিবপুর ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিম্ন মানের ইট-খোঁয়া দিয়ে রড ছাড়াই প্রাচীরের লিন্টন ঢালাই দেয়ার বিষয়টি প্রতক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি আমাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য প্রমানিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সোনারডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বরাদ্ধের টাকা আত্মসাত এবং প্রাচীর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মিজানুর রহমান,তালা: বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। অযতœ আর অবহেলায় হারিয়ে যেথে বসেছে এই নয়নাভিরাম ঝিলে ভাসা ফুল। যার বাংলা নাম শাপলা, ইংরেজী নাম হল লিলি। মনিপুরী ভাষায় থরো আংগৌবা, তামিল ভাষায় ভেলাম্বাল, সং®কৃত ভাষায় কুমুডা, আসাম ভাষায় এই শাপলা ফুলকে নাল বলা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয় শ্রীলংকারও জাতীয় ফুল এই শাপলা। শ্রীলংকায় শাপলাকে বলে নীল-মাহানেল। গ্রীক দার্শনিক প্লেটো ও এরিস্টটল এর এক শিষ্য থিউফ্রাস্টাস বলেছেন এটা একটি জলজ উদ্ভিদ যা প্রায় ৩’শ খৃষ্টপূর্ব পুরানো। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সাধারণতো পাঁচ প্রকার শাপলা ফুল দেখা যায়। সাদা, লাল, বেগুণী, হলুদ, নীল রঙ্গের। এর মধ্যে সাদা শাপলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের আনাছে কানাছে ডোবায় অহরহ দেখা যেত এই জলে ভাসা ফুল। তবে অযতœ অবহেলা আর কৃষি জমিতে অধিক পরিমানে কীট নাশক ও রাসয়নিক সার ব্যবহার করার কারণে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তালা উপজেলারসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু সাদা শাপলা দেখা গেলেও লাল, হলুদ, নীল, বেগুণী শাপলা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল জলাশয় ও নিচু জায়গায় পানি জমা থাকলে সেখানেই প্রাকৃতিক ভাবেই জন্ম নেয় আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। কিছু দিন আগেও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে শাপলা ফুল দেখা যেত। তখন পুকুর খাল বিল ও জলাশয় গুলিতে লালগোলাপী, সাদা, বেগুণী, নীল ও বিরল প্রজাতির হলুদ শাপলা ফোঁটার কারণে চারিদিকে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিণত হতো। বর্তমানে সাদা প্রজাতির শাপলাগুলি বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও দেখা যাচ্ছেনা গোলাপী, বেগুণী, নীল ও হলুদ শাপলা। এসব শাপলা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে নানা জনের নানা অভিযোগ রয়েছে। কারো কারো মতে কপোতাক্ষের নাব্যতা হ্রাস খাল বিল ও জলাশয় ভরাট করে কৃষি জমি তৈরি ঘর বাড়ি তৈরি ফসলী জমিতে মাত্রতিরিক্ত কীঠনাশক ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তেনের কারণে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময়ে ঝিলে বিলে পুকুরে বর্ষা মৌসুমে নানা রঙ্গের শাপলার বাহারী রূপ মানুষের নয়ন জুড়িয়ে যেত। শাপলা ছোটদের খুব প্রিয়। শাপলার ড্যাপ বাচ্ছাদের প্রিয় খাদ্য এবং গ্রামের লোকেরা ড্যাপ দিয়ে খই ভেজে মোয়াসহ বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরী করে থাকে। গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে সব্জী হিসেবেও খুব জনপ্রিয় এই শাপলা। অনেকে আবার শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বহ করে। এছাড়া লাল শাপলার অনেক ঔষধী গুন রয়েছে। শাপলা ফুলের বিবরণ: শাপলা ফুল দিনের বেলা ফোটে এবং সরাসরি কান্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে। শাপলার পাতা আর ফুলের কা- বা ডাটি বা পুস্পদ- পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতার জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়। কিন্তু নীচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। পাতার সাইজ ২০ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার এবং এদের ব্যাপ্তি প্রায় ০.৯ থেকে ১.৮ মি। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায় গোলাপী, সাদা, নীল, বেগুনি ইত্যাদি। এই ফুলে ৪ থেকে ৫ টি বৃতি থাকে ও ১৩ থেকে ১৫ টি পাপড়ি থাকে। ফুলগুলো দেখতে তারার মত মনে হয়। কাপের সমান বৃতিগুলো ১১-১৪ সেমি হয়ে থাকে। প্রায় বছরের সব সময় শাপলা ফুটতে দেখা যায় তবে বর্ষা ও শরৎ এই উদ্ভিদ জন্মানোর শ্রেষ্ঠ সময়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest