সর্বশেষ সংবাদ-
“নানা রঙের রবীন্দ্রনাথ” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীত অনুষ্ঠিতসাতক্ষীরায় ভূমি কর্মকর্তা তপন কর্তৃক না মেনে প্রাচীর নির্মান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসাংবাদিক জুলফিকারের পিতা রাহাতুল্লাহ সরদারের সুস্থতা কামনাপ্রতিপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদের সংবাদ সম্মেলনফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচিসাতক্ষীরায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগসাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণ

IMG_20160827_113100নিজস্ব প্রতিবেদক: “জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাংবাদিক সমাজ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মমতাজ আহমেদ বাপী, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ইয়ারব হোসেন, আবু তালেব মোল্লা, পৌর আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদুজ্জামান রাশি প্রমুখ।
সমাবেশে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুর রহিম, অরুণ ব্যানার্জী, কল্যাণ ব্যানার্জি, আব্দুল ওয়াজেদ কচিসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন হাফিজুর রহমান মাসুম
বক্তারা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও আন্তরিক হতে হবে। প্রতিনিয়ত গ্রেফতার বাণিজ্য চললেও জামায়াত-শিবির, জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয়দের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অথচ, পিছনে থেকে তারা সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রকৃত এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের আইনের আওতায় আনতে সাংবাদিকরা বরাবরের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

DSC01646মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশ ৪৫তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে সাতক্ষীরা পি.এন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার। এসময় তিনি বলেন, ‘জেলা শিক্ষা অফিসের গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সারা বছর লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় নিয়োজিত থাকে। এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের একদিকে শরীর ও মন সুস্থ সবল ও সবল থাকবে। এছাড়া মাদক থেকে দুরে থাকবে শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছর এই গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৩দিন ব্যাপি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উদ্যাপন করা হয়।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হাফিজুর রহমান, ইকবাল কবির খান বাপ্পী, মোঃ জাহিদ হাসান, মনোরঞ্জন মন্ডল, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মোমেনুর রহমান, মোঃ আনিছুর রহমান, লাবনী দত্ত, মোঃ রবিউল ইসলাম, ইকবাল আলম বাবলু, মোঃ আবু সাঈদ, মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

111মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: “শেখ হাসিনার মমতা- বয়স্কদের জন্য নিয়মিত ভাতা’ ‘বিধবা ভাতার প্রচলন শেখ হাসিনার উদ্ভাবন’ প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান শেখ হাসিনার অবদান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার বই বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে  ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান(বাবু সানা) এর সভাপতিত্বে ভাতা ভোগীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে বই বিতরণ করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বঙ্গবন্ধু’র অসমাপ্ত সোনার বাংলা গড়তে এবং বাঙ্গালী জাতির ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে কোন অপশক্তি এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবেনা।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ভূমিহীন নেতা জয়নাল আবদীন জোসি, মুক্তিযোদ্ধা শফিক আহমেদ, স.ম জালাল উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা রাম প্রসাদ মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৫২জন বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা ভোগীদের প্রত্যেক কে এককালীন ৪৮০০/- এবং ৪৪জন প্রতিবন্ধীর প্রত্যেককে ৬০০০/- টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। এছাড়া ৩৫০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01আসাদুজ্জামান: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেছেন, দুর্যোগপ্রবণ জেলা সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচন ও স্বাস্থ্য সেবায় বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের কর্মসংস্থান এবং সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন প্রকল্পের আওতায় (পিকেএসপি) মানুষ এখন অনেক সুবিধা পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের আইলা ও সিডর উপদ্রুত জেলা সাতক্ষীরার মানুষ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
ড. খলীকুজ্জামান শনিবার সাতক্ষীরা শ্যামনগরের আইলা উপদ্রুত আটুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গ্রামের মানুষ কাঁকড়া ও বিভিন্ন জাতের  মাছের চাষ করছেন। তারা ঘরে ঘরে হাঁস মুরগি ও গবাদি পশু পালনও করছেন। এ জন্য তারা প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তাও পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বরাবরই বঞ্চিত উল্লেখ করে তিনি বলেন স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা গণমুখী সংস্থার সহায়তায় তাদের মধ্যে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন এ এলাকা লবণাক্ত হওয়ায় মিষ্টি পানির উৎস হারিয়ে গেছে। জনদুর্ভোগ দূর করতে এসব এলাকায় সুপেয় পানির জন্য বিভিন্ন প্লান্ট বসানো হয়েছে। তারা স্বল্প মূল্যে নিয়মিত খাবার পানি পাচ্ছেন। কৃষি উন্নয়নেও বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. খলীকুজ্জামান বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন প্রফেসর ড. জাহেদা আহমেদ, সিইসিডি এর নির্বাহী পরিচালক মিস পাম থাই হং (ভিয়েতনাম), পিকেএসপি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের, গণমুখী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. লুৎফর রহমান, কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান  আবু সালেহ বাবু, অধ্যক্ষ একরামুল করিম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

da1bdd7f9e712e5f7bb5e467820c814d-579b8c78c30faঅপ্র‌তিম: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরী গুলশান এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। এরই মধ্যে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থানের কাছে একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালানো সময় তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জেএমবির যে ভগ্নাংশটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সে অংশের শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরী। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও জানা গেছে। বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী দেশে ফিরে আত্মগোপন করে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারেও এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘তামিম চৌধুরী সিরিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আরও কয়েকজনের সঙ্গে তামিম চৌধুরীই দেশীয় জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরীর যাতায়াতের বিষয়টি গ্রেফতারকৃত জঙ্গি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান পুলিশকে জানিয়েছিল।

ওই সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘তামিম চৌধুরী বর্তমানে জেএমবির একাংশের নেতৃত্বদানকারীদের একজন। সে দেশেই আত্মগোপন করে রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান জানিয়েছে, কল্যাণপুরে তাদের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল ও আজাদুল ওরফে কবিরাজ নামে ব্যক্তিরা নিয়মিত যাতায়াত করত। তারা তাদের ধর্মীয় ও জিহাদি কথাবার্তা বলে উদ্বুদ্ধ করত। প্রয়োজনী টাকা-পয়সা দিয়ে যেত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে রাকিবুল হাসান জানিয়েছিলেন, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ও সমর্থনপুষ্ট অন্যান্য সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থক তাদের এ কাজে অর্থ, অস্ত্র, গোলা-বারুদ, বিস্ফোরক দেওয়াসহ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের মাধ্যমে সহায়তা ও প্ররোচনা দিত।

জঙ্গি প্রতিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ‘জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধ ও অর্থদাতাদের মধ্যে কিছু লোককে তারা শনাক্ত করেছেন। গ্রেফতারকৃত হাসানের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে আগের গোয়েন্দা তথ্যের কিছু মিল পাওয়া গেছে।’

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা ওই সশয় জানিয়েছিলেন, রাকিবুল হাসানের দেওয়া নামগুলোর মধ্যে তামিম চৌধুরী ও জোনায়েদ খান ছাড়া অন্য নামগুলো জঙ্গি নেতাদের ছদ্মনাম বলে মনে হয়েছে। কারণ জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম-পরিচয়ে তাদের কার্যক্রম চালায়। যেন স্লিপার সেলের সদস্যরা কখনও গ্রেফতার হলে শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে না পারে। তারপরও শারিরীরিক বর্ণনা শুনে ও আগে থাকা গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল জানিয়েছিলেন, ‘জঙ্গিদের এমনভাবে মোটিভেট করা হয়, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও তাদের কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার করা যায় না। প্রশিক্ষণের সময় মাস্টারমাইন্ডরা তাদের শেখায় যে, পুলিশের হাতে ধরা পড়লে নিজেকে মৃত বা শহিদ মনে করতে হবে। মৃত মানুষ যেমন কোনও তথ্য দিতে পারে না, তেমনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না।

তামিম ছাড়াও সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়াও ওই দুই হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্যও ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্ব‌দেশ: নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থানের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীda1bdd7f9e712e5f7bb5e467820c814d-579b8c78c30faসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন  একথা জানিয়েছেন।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ নামে এ অভিযানটি চালায়। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে পুলিশ ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে এ অভিযান শুরু করেছে। অভিযান শুরুর পরপর বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, ‘পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার তিনতলা ওই ভবনের তৃতীয় তলাতেই জঙ্গিরা অবস্থান করছে। সকালে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জঙ্গি সদস্যরা তাদের সব ডক্যুমেন্ট ও আলামত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। আমাদের ধারণা, তিন তলাতে জঙ্গিদের একটি বড় টিম অবস্থান করছে। সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশটের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও ডিএমপি পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগিতার অপারেশন শুরু হয়েছে।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‌্যাবের অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ‘গুলশানের ঘটনার আটকৃতের তথ্যের ভিত্তিতে এখানে অভিযান চলছে।’

ওই বাড়ি হতে কয়েকশ গজ দূরে পুলিশ বেষ্টনী দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচল বন্ধ করে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472212739স্বদেশ:তাঁদের কাজই প্রতারণা করা। কখনো এডিসি জেনারেল, কখনো মন্ত্রীর পিএস আবার কখনো সরকারি সচিব পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাই তাঁদের কাজ।
আবার কখনো কখনো হাসপাতালে স্বজন ভর্তি, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কিংবা মৃত্যুর সংবাদ দিয়েও স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন এই প্রতারকচক্রের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তাসংলগ্ন তেলিপাড়া ও দিঘিরচালায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এই প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব ১-এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম। শুক্রবার সকালে র‍্যাবের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আটকরা হলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার মহিষামুড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. রাশেদ (৩০) এবং লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার রঘুনাথপুর গ্রামের পারভীন আক্তার সুমি (২৫)। র‍্যাবের অভিযোগ, তাঁরা গাজীপুরের জয়দেবপুরে ভাড়া বাসায় থেকে প্রতারণা করে আসছিলেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল সেট, ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চক্রের আরেক সদস্য টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার চরপাতলাকান্দি গ্রামের মো. রাজু আহমেদ (৩৫) পালিয়ে যান। আটকদের বিরুদ্ধে মো. লাভলু মিয়া ওরফে লাবু মিয়া বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা একটি করেছেন। তাঁদের টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র‌্যাব আটকদের প্রতারণার কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানায়, চক্রের সদস্যরা আগেভাগে এলাকার বিভিন্ন পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। যেসব পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকে, তাঁদের মুঠোফোন নম্বর জোগাড় করেন তাঁরা। পরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রথমে পরিবারের বাইরে থাকা ব্যক্তিকে কিছুক্ষণের জন্য তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ রাখতে বলেন। এই ফাঁকে ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন প্রতারকরা।
তাঁরা তখন জানান, পরিবারের সদস্য সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অমুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসার জন্য বিকাশে দ্রুত টাকা পাঠাতে হবে। না হলে রোগী মারা যেতে পারে। এ সময় তারা ঘটনাটি প্রমাণের জন্য একজন ভুয়া পুলিশ সদস্যের নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। এই নম্বরটিতে তারা নিজেরাই কথা বলে। উদ্বেগে পরিবারের সদস্যরা আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য বিকাশে টাকা পাঠায়। টাকা পাওয়ার পরই সব নম্বর বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ইতহাসও ঐতিহ্য: বিশ্বে প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসের কথা উঠলে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান বা বৌদ্ধধর্মের কথাই আগে মনে আসে। এর সঙ্গে যোগ করা যাক ইহুদি, পার্সি, জৈন বা শিখ ধর্মানুসারীদের কথা। এর বাইরে অন্যান্য ধর্মের কথা আমরা বিশেষ জানি না বললেই চলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই প্রচলিত ধর্মগুলোর বাইরেও বিশ্বে আরো বেশ কিছু ধর্ম আছে, যেগুলো বহু প্রাচীন। আবার বেশ কিছু ধর্ম আছে, যার অনুসারীর সংখ্যা নিতান্তই হাতেগোনা। এমনই কিছু ধর্মের কথা জানিয়েছে লিস্টভার্স ডটকম।

1472105389-Mandaesmইয়াজদানিজম: ইরাক, ইরান আর তুরস্কজুড়ে বিস্তৃত জাগরোস পর্বতমালায় প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই ধর্মের উদ্ভব। এটি আবার ‘ইয়ারাসিম’, ‘ইয়াজিদিজম’ আর ‘ইশিকিজম’—এ তিনটি শাখায় বিভক্ত। মূলত কুর্দি জনগোষ্ঠীর মানুষ ইসলাম গ্রহণের আগে এই ধর্ম পালন করতেন। এমনকি এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ কুর্দিরা ইসলাম গ্রহণ করলেও তাদের সংস্কৃতিতে ইয়াজদানিসমের প্রভাব লক্ষণীয়। একেশ্বরবাদী এই ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের নাম ‘কিতেবা চিলুই’। বর্তমানে ৮ থেকে ১৫ লাখ মানুষ ইয়াজদানিসমের অনুসারী। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট নামধারী জঙ্গিগোষ্ঠী এই ধর্মের অনুসারীদের ওপর ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চালালে আন্তর্জাতিক মহল ইয়াজিদিদের নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

রাস্তাফারিয়ানিজম: ১৯৩০ সালে ইথিওপিয়ায় সম্রাট হাইলে সেলাসি ক্ষমতায় বসেন। ওই একই সময় জ্যামাইকাতে রাস্তাফারিয়ানিজমের উদ্ভব হয়। এই ধর্মের অনুসারীদের মতে, ইথিওপিয়া থেকেই মানবজাতির উদ্ভব ও বিকাশ, সেখানকার রাজা তাই রাস্তাফারদের কাছে যারপরনাই পবিত্র মানুষ হিসেবে বিবেচিত। অ্যামহারিক ভাষায় ‘রাস’ মানে হলো রাজা, আর ‘তাফারি’ হচ্ছে হাইলে সেলাসির পুরো নামের প্রথম অংশ। রাস্তাফারিয়ানদের একটি বিচিত্র ব্যাপার হচ্ছে, তাঁরা সাধনার অংশ হিসেবে গাঁজার ব্যবহারকে বৈধ দৃষ্টিতে দেখেন। বর্তমানে বিশ্বে কমবেশি ১০ লাখের মতো রাস্তাফার আছেন। বিশ্বখ্যাত গায়ক বব মার্লেও একজন রাস্তাফার ছিলেন।

কেমেটিজম: আনুবিসসহ প্রাচীন মিসরীয় দেবদেবীদের আমরা অনেকেই চিনি। বইপত্র বা চলচ্চিত্রে প্রায়ই এঁদের উল্লেখ দেখা যায়। রোমান, আরব আর ফরাসি শাসনের প্রভাবে এসব দেবদেবী একরকম লুপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলা চলে। মূলত মার্কিন ইজিপ্টোলোজিস্ট তামারা সিউদার হাত ধরে ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে কেমেটিজমের উদ্ভব। এরা আবার নানা ভাগে বিভক্ত। প্রাচীন মিসরের আরেক নাম ছিল কেমেট।

উইক্কা: জেরাল্ড গার্ডনার নামক এক ব্রিটিশের হাত ধরে ১৯৫০-এর দশকে উইক্কা ধর্মের উৎপত্তি। নানা শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত এই ধর্মের অনুসারী সংখ্যা এখন প্রায় দেড় লাখ। প্রাচীন পৌত্তলিক কিছু ধারার সঙ্গে আধুনিক কিছু চিন্তাভাবনার সমষ্টিতে এই ধর্মের সৃষ্টি। ‘বুক অব শ্যাডোস’ হচ্ছে তাঁদের পবিত্র গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি। উইক্কানরা বিশ্বাস করে, ঈশ্বর দুজন—একজন দেবতা আর একজন দেবী। চন্দ্র ও সূর্যকলা অনুসারে তাঁদের আরাধনা করেন উইক্কানরা। এই উৎসবের নাম যথাক্রমে এসবাথ ও সাবাথ। অঞ্চলভেদে উইক্কানদের উপাসনার ধরনে নানা বিভিন্নতা দেখা যায়।

কাওদাইজম: ১৯২৬ সালে ভিয়েতনামের তায়নিন শহরে এ ধর্মের জন্ম। এই ধর্মে উপাস্য ঈশ্বরের নামও কাও দাই। অহিংসা, ভোগবাদের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের ওপর জোর দেয় এই ধর্ম। ফাপ চান থ্রুয়েন, তান লুয়াতসহ বেশ কিছু ধর্মগ্রন্থ মেনে চলেন কাও দাই ধর্মের উপাসকরা। তায় নিন শহরের বিশাল কাও দাই মন্দির হলো এই ধর্মের তীর্থস্থান। বিশ্বে এই ধর্মের উপাসকের সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ।

ম্যান্ডিজম: একেশ্বরবাদী এই ধর্মের উদ্ভব দক্ষিণ লেভান্তে। ফিলিস্তিন, জর্ডান, ইসরায়েল নিয়ে গঠিত এলাকাকে দক্ষিণ লেভান্ত বলা হয়। প্রাচীনত্বের বিচারে এটি খ্রিস্টান ধর্মের সমসাময়িক। বর্তমানে বিশ্বে মাত্র ৭০ হাজারের মতো ম্যান্ডেজিমের উপাসক আছেন। ২০০৩-এর যুদ্ধের আগে এঁদের প্রায় সবাই ইরাকে বসবাস করতেন। নিভৃতচারী এই ধর্মের অনুসারীদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। এই ধর্মের অনুসারীরা মান্ডাইক নামের এক প্রাচীন, লুপ্তপ্রায় ভাষায় কথা বলে থাকেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest