সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটকবিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনার

kaligonj-pictur-14-decএস,এম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু: কালিগঞ্জে পবিত্র মিলাদুন্নাবী (সঃ) জশনে জুলশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের স্বতঃফূর্ত অংশ গ্রহনে পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অতন্দ্র প্রহরীরা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার নাজিমগঞ্জ বাজারে সমাবেত হয়। বণার্ঢ্য মুরারক র‌্যালিতে অংশ গ্রহনের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন সর্বস্তরের জনতা। এসময় ধীরে ধীরে ছাত্র-শিক্ষক, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধাসহ নানা পেশার নানা বয়সের মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে উপজেলা সদরের রাস্থাঘাট। আকাশে বাতাসে প্রতিধবনিত হয় সালাত ও নাতে রাসুল পরিবেশনার সুর লহরি। এসময় নবী করীম (সাঃ) এর শানে আশেকে রাসুলদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সালাম সালাম নবী সালাম,বালঅগাল উলা-বি কামালিহি, আসসালাতু আসসামু আলাইকা ইয়া রসুলউল্লাহ, আসসালাতু আলান নাবী…এ রকম অগণিত নাত। এতে সৃষ্ঠি হয় অন্য রকম একটা আমেজ। কলেমা খচিত ও রাসুল (সঃ) এর শানে রচিত নানা কালজয়ী কবিতার শ্লোগানে অঙ্কিত দৃষ্টিনন্দন ফেস্টুন ও সুদৃশ্য প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বণার্ঢ্য মুবারক র‌্যালিটি সু-শৃঙ্খলভাবে উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠে জশনে জলুশের আহবায়ক উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি ও সাবেক মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আয়ুব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, থানা মসজিদের পেশ ইমাম মাওঃ আশরাফুল ইসলাম আজিজি, মাও রমিজ উদ্দিন, মাওঃ নাসিরুল্লাহ, মাওঃ কুতুব উদ্দিন, ওলামায়ে কেরাম এবং নামিগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি ফিরোজ কবির কাজল, সাধারণ সম্পাদক শেখ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী ও সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতরূপে দুনিয়ায় আগমন করেছিলেন। পাপ পঙ্কিলতায় ঘেরা বিশ্বে তার আগমন ছিল সকল মানুষের জন্য মহা আনন্দের। তিনি সামাজিত, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক  অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। মারামারি, হানাহানিতে লিপ্ত মানব জাতিকে সোনার মানুষে পরিণত করেছিলেন। শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহাদ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন গোটা মাবন সমাজকে। জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। তার জীবনের প্রতিটি দিকই সকলের অনুস্বরনীয়। ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম আদর্শ। আজ তাঁর আদর্শ এ সমাজে বড়ই প্রয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

nazrul-islam1আশাশুনি ব্যুরো: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের পক্ষে আশাশুনিতে মতবিনিময় সভা। মঙ্গলবার  সকালে প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম তার ভাষণে বলেন, অবহেলিত জেলার বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। জেলা পরিষদকে যে কোন কাজে ঘুষের লেনদেন মুক্ত রাখতে চাই। জাতির জতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আগামী নির্বাচনে সকলের সমর্থন কামনা করে তিনি বলেন, সব-সময় মানুষের কাছে থেকে এসেছি, আগামীতে মানুষের চাহিদা পুরণে সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি। চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সেক্রেটারি শাহজাহান আলি, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুর রহমান, আশাশুনি সদর চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, যুবলীগ সভাপতি আঃ মান্নান, পৌর যুবলীগ আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভির হোসাইন সুজন, সেক্রেটারী এহছান হাবিব অয়ন, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী মহিতুর রহমান এবং আশাশুনি আ’লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_783391962_1481514809সোহরাব হোসেন: জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ সাতক্ষীরা জেলাকে ১৫ ওয়ার্ডে বিভক্ত করে ১৩নং বুধহাটা-কুল্যা-কাদাকাটি-বড়দল-দরগাহপুর-খেশরা ইউনিয়নকে নিয়ে ১৩নং ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ১২ডিসেম্বর তারিখে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরে ১৩নং ওয়ার্ডে দিনরাত ভোটদের কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরে আশাশুনির বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল ও তালার খেশরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৩ নং ওয়ার্ডে বইতে শুরু করছে নিবার্চনী হাওয়া।
১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থীর সংখ্যা ৫জন। তারা ভোর থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিসহ নানা আশ্বাস দিয়ে চলেছেন।
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কমতি নেই। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, বড়দল, দরগাহপুর তালা উপজেলার খেশরা নিয়ে গঠিত হয়ছে ১৩ নং ওয়ার্ড। এতে ১জন পুরুষ সদস্যকে নির্বাচন করবেন ৮০ জন ভোটার ভোট দিয়ে।
তবে এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা সবাই আ’লীগ সমার্থিত। যারা প্রার্থী আছেন তারা ভোটাদের কাছে মোবাইল ফোনে ও সারাসরি গিয়ে ভোট চাওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- বুধহাটা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এটিএম আক্তারুজ্জামান, তার প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট। কুল্যা ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা এস এম দেলোয়ার হুসাইন তার প্রতীক টিউবওয়েল। সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের প্রতীক তালা। আ’লীগ নেতা ওমর সাকি ফেরদৌস (পলাশ) এর প্রতীক হাতি ও আ’লীগ নেতা মাহফুজুর রহমানের প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনের গুরুত্ব কম থাকলেও সুশীল সমাজ মনে করে জেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। সবাই আ.লীগের প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা সকলকে বলছেন আপনাকে ছাড়া আর কাকে ভোট দিবো!
প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের বাড়ি অথবা মোবাইল ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন ভোটার দৈনিক আজকের সাতক্ষীরাকে জানান, সময় অসময় প্রার্থীরা আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে ভোট চ্ওায়া থেকে আরম্ভ করে ভালমন্দ জিজ্ঞাসাসহ বিভিন্ন আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু দিপঙ্কার সরকার জানান, যোগ্য যে তাকে আমরা ভোট দেবো। কারণ জেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান, সেখানে একটি সদস্যদের অনেক মূল্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

555555নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সংবাদ জগতের প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্র প্রথিতযশা সাংবাদিক দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান বলেন, “সংবাদপত্রে যাবতীয় তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে সংবাদটিকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে, তবে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কারও বিচার করার দায়িত্ব নিতে পারে না। একাজ সাংবাদিকের নয়, আদালতের। আজকাল বিভিন্ন প্রশ্ন করে সংবাদের প্রকৃতি অন্য দিকে ঘুরিয়ে বিশেষ জায়গায় নেওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭৬ সালের শেষ ভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নীহার বানু হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন চলমান প্রেক্ষাপট, মতাদর্শ ও দেশের অবস্থা যাই থাকুক না কেনো সত্য উদঘাটন, বিকাশ ও সংবাদ মাধ্যমে তা উপস্থাপন করাই দায়িত্ব একজন সাংবাদিকের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন সংবাদপত্রে ট্রুথ ইজ দ্য লাস্ট ওয়ার্ড।
সাতক্ষীরার কৃতী সন্তান একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে প্রবাসী সরকারের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পিন্ডির প্রলাপ এর উপস্থাপক বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া উষ্ণ সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাঁচটি প্রত্যাশা স্বাধীকার রক্ষা, আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি, আমার কথা বলার অধিকার ও অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা পরিবর্তিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে, লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিষয় বৈচিত্র্যে বিস্ফোরণ ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এই পেশায় এখন অনেকেই আসছেন। কাগজ প্রকাশের সংখ্যাও বাড়ছে। সাংবাদিকদের দেশের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব আছে, দেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু করা সাংবাদিকের কাজ নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তোয়াব খান এ প্রসঙ্গে জেফারসনের উক্তি তুলে ধরে বলেন স্টেটলেস নিউজ পেপার চাই, নাকি নিউজ পেপারলেস স্টেট চাই। তিনি সিন্ডিকেটেড নিউজ প্রত্যাখ্যান করে বলেন বিশ্বখ্যাত কলামিস্ট ওয়াটার লিফটম্যানের লেখা ৭২টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতো। সিন্ডিকেটেড নিউজ বিপজ্জানক অবস্থার সৃষ্টি করে। তিনি বলেন সংবাদ মাধ্যমটি যেমন, ভাষা ও গঠন তেমন হবে। এক্ষেত্রে ভাষার তফাৎ আছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন একই খবরের সকাল সন্ধ্যা নানা পরিবর্তন হতে পারে। সাংবাদিকের দায়িত্ব সমান গুরুত্ব দিয়ে তা তুলে ধরা। না হলে পাঠক প্রথম খবরটিই মনের মধ্যে ধারন করে রাখবেন। তিনি ম্যাক লোনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে আরও বলেন, মিডিয়াম ইজ দ্য মেসেজ। অর্থাৎ গণমাধ্যমই বিষয়বস্তু। সাংবাদিকতা এখন আস্তে আস্তে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পরিণত হচ্ছে। পাওয়ারফুল ক্যামেরার ছবি যেমন সমুদ্র তীরে পড়ে থাকা মৃত প্রেমিকের মৃত্যুর ভ্রান্তি দূর করে দিয়েছিল, তেমনি একজন সাংবাদিক তার সংবাদ নির্মাণের পাওয়ার কীভাবে ব্যবহার করছেন সেটাই বড় কথা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তোয়াব খান তার দীর্ঘ বক্তৃতায় ১৯৪৭ পূর্ব সাংবাদিকতায় বৃটিশ বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধীতার উল্লেখ করে বলেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সাংবাদিকতায় গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটেছে।
তিনি বলেন ইউরোপে সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে সংবাপত্রের বিকাশ ঘটেছে। আর আমাদের এ অঞ্চলে পুঁজির বিকাশের সাথে সাথে সংবাদ মাধ্যমের সম্প্রসারণ ঘটেছে। সাংবাদিকতার অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে বলতে গিয়ে তোয়াব খান বলেন বিজ্ঞাপন এখন একটি বড় ফ্যাকটর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন মিডিয়ায় অনেক বিনিয়োগ প্রয়োজন। ১৯৭০ সালে  ওয়েজ বোর্ড বিশেষজ্ঞ এ আর খান তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে সুগার বার্নে ১৯ ভাগ মুনুাফা হলেও সংবাদপত্রে মুনুাফা হতো ৩৫ ভাগ। মানুষের সেবা করাই সাংবাদিকতার মুল উদ্দেশ্য উল্লেখ করে তোয়াব খান বলেন আজকের দিনে তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটেছে। তথ্যের বিকাশ ঘটছে। মানুষ হয়ে মানুষের মতো কাজ করতে হবে উল্লেখ করে ৮৪ বছর বয়সের এই প্রবীন সাংবাদিক বলেন মানুষের সেবা করার জন্যই এই পেশা।
এর আগে একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে পৌছালে তাকে স্বাগত জানান প্রেসক্লাব সম্পাদক ও সাধারন সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ ও এম কামরুজ্জামান নেতৃত্বাধীন সাংবাদিকবৃন্দ। তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো ছাড়াও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04964-copyমাহাফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৬ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, সহকারি কমিশনার সাদিয়া আফরিন প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বি এ ডিসির উপ-পরিচালক মো. শামীম হায়দার, জেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. আবুবক্কর সিদ্দীক, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জি.এম.এ গফুর, জেলা মার্কেটিং অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ, জেলা ন্যাপের সভাপতি হায়দার আলী শান্ত, কাজী সাইদুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2111মাহাফিজুল ইসলাম আককাজ: ‘চালালে গাড়ি সাবধানে, বাঁচবে সবাই প্রাণে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পেশাজীবী গাড়ি চালকদের দক্ষতা, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এডিএম সৈয়দ ফারুক আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘জনসচেতনতায় পারে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করতে। এজন্য পেশাজীবী গাড়ী চালকসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং সকল নিয়মের অনুশাসন মেনে চলার আহবান জানান তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের উপ পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমান, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ পরিদর্শক (যানবাহন) তপন কুমার মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন মটরযান পরিদর্শন মোঃ আমির হোসেন, জেলা ট্রাংক ট্রাংকলরী কাভার্ট ভ্যান ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আজিজুল হক আজিজ, সাধারণ সম্পাদক শাহাঙ্গীর হোসেন শাহীন, ম্যাকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মোঃ আবু জামাল, অফিস সহকারী নাসির উদ্দীন, বিআরটি এর শেখ আমিনুর হোসেন, পেশাজীবী ড্রাইভার আব্দুল খালেক, ফজর আলী, লুৎফর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র পাল, মারুফ হোসেন, মোঃ নুর আলী গাইন, আব্দুল লতিফ, আবুল কাদের রাসেল প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04922-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও স্থানীয় উদ্যোগে পতিত সেতু চলাচল উপযোগীকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সদরের বিনেরপোতা স্ট্রীল ব্রিজ এলাকায় নিউ নাইস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জেলা ন্যাপের সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা হায়দার আলী শান্ত’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় বক্তব্যে বলেন, আমরা যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের এ ঋণ কখনও শোধ করা যাবেনা। জেলার উন্নয়নে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি এটাই হোক বিজয়ের মাসের অঙ্গিকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মুছাব্বেরুজ্জামান, খেঁজুরডাঙ্গা আর. কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাগফুর রহমান, এপিপি এড. তামিম আহমেদ সোহাগ, আবুল হোসেন মো. মাকসুদুর রহমান, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আবিদার রহমান, নিউ নাইস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সরোজিত তরফদার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবু সুফিয়ান সজল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04948-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রী শ্রী মহাশ্মশ্বান কালিপূজা উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলার ছাকলা মহাশ্মশ্বান প্রাঙ্গণে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন যুব কমিটির সভাপতি সুশীল দাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। এ দেশে হিন্দু- মুসলীম, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এ দেশ আপনাদের, এ দেশে আপনাদের নাড়ি পোতা। তাই এ দেশ থেকে আপনারা চলে যাবেন না। এ দেশে আপনারা আপনাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর মেয়র এম.এ জলিল, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এস.এম শহিদুল ইসলাম, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক এস.এম রেজাউল ইসলাম, জেলা হিন্দু-বৈদ্ধ্য, খ্রিষ্টান, ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান মতি, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিত্যনন্দন আমিন, জেলা যুব কমিটির উপদেষ্টা বিকাশ চন্দ্র দাশ, প্রাণনাথ দাস, পূন্য চন্দ্র বিশ্বাস, সনজীব বিশ্বাস, বাসুদেব দাশ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন অধিকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest