সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

02আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি প্রকাশের পর সকলের ধারণা ছিল এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইবুনালে মামলার উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সকল মহান মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে হতাশ করে এদের বিরুদ্ধে আজও কোনরূপ মামলা হয়নি। কুখ্যাত রাজাকার শিরোমণি বাকি অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সাথে এখনও বলে, “বাংলাদেশে আমার বিচার করার ক্ষমতা কারও নেই।”
বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় সাতক্ষীরাবাসী তথা সাতক্ষীরার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষগুলোকে এই ঘৃণ্য খুনী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলোÑ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের অন্য সকল অঞ্চলের মত সাতক্ষীরাতেও ছিল স্বাধীনতার পক্ষে প্রাণ উৎসর্গ করতে ঝাপিয়ে পড়া এক ঝাঁক তরুণ। আবার এখানকার মাটি ও পথের সাথে অপরিচিত পাকিস্তানি বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতেও গড়ে ওঠে দালালদের সমন্বয়ে রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি বাহিনী।
এই ছবির ইতিহাস জানতে আমরা কথা বলি সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের একজনের সাথে, যাদের দলের ২ জনকে বুধহাটায় হত্যা করে বাকি ৫ জনকে রাজাকাররা আটক করে সাতক্ষীরায় এনে এই ছবিটি তুলেছিল। এই ছবিতে থাকা (নিচে বসা বাম দিক থেকে প্রথম) ইমাম বারী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার সন্তান। ১৯৭১ সালে যশোরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায় যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন যুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডের প্রথম ব্যাচের যোদ্ধা। দীর্ঘ ৩ মাসের ট্রেনিং শেষে তাদেরকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য সাফল্য ‘অপারেশন জ্যাকপট’র জন্য পাঠানো হয়। মংলায় ৮টি জাহাজ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পর ইমাম বারী ও তার দল ফিরছিলেন সাতক্ষীরার দিকে। পথিমধ্যে ১৭ অগাস্ট ১৯৭১ ভোর রাতে বুধহাটা বেতনা নদীতে তাদের নৌকা ঘিরে ফেলে আলিপুরের কুখ্যাত রাজাকার বাকীর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। নদীর দুই পাড় দিয়ে ক্রমান্বয়ে রাজাকাররা গুলি করতে থাকলে এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের। ফলে তাদেরকে আটকাতে সমর্থ হয় রাজাকাররা। এরপর কী হয়েছিল শোনা যাক মুক্তিযোদ্ধা ইমাম বারীর মুখ থেকেই:
“প্রথমেই বাকী রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকায় উঠেই কোন কথা বলার আগেই তার নিকট থাকা থ্রি নট থ্রি রাইফেল তাক করে ৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে সুঠামদেহী মুক্তিযোদ্ধা যশোরের আফতাফকে সরাসরি বুকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ আফতাফ গগণবিদারি চিৎকার করতে করতে নদীতে পড়ে ভেসে গেল। শহিদ আফতাফের লাশ আর পাওয়া যায়নি। এরপর আমাদের ৬ জনকে বাকীর দল চোখ বেঁধে নদীর পাড়ে একটি একতলা বাড়িতে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চলতে থাকে। এরপর পলাশপোলের রোকনুজ্জামান খান এসে আমাদের দলের সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সিরাজ কাটিয়ার ছেলে, আমার সাথেই যশোর পলিটেকিনিকের ছাত্র ছিল,,রোকন তাকে জিজ্ঞাসা করল বাড়ি কোথায়। সিরাজ মনে করল তাকে তো হত্যা করবেই সুতরাং ভুল ঠিকানা বললে তার পরিবারের সদস্যদের হয়ত আর খুঁজে পাবে না। অত্যাচারও করতে পারবে না। সিরাজ তার বাড়ি সুলতানপুর বলে জানালো। কিন্তু রোকন খান শহরের ছেলে হওয়ায় তার প্রকৃত ঠিকানা জানত। ভুল ঠিকানা বলায় সিরাজকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেড়িবাঁধের উপর দাঁড় করিয়ে রাইফেল তুলে বুকে গুলি করল রোকন খান। তৎক্ষণাৎ শহিদ হন আমার সাথী সিরাজ।
এরপর রোকন একটি লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মেরে বলল তুইও আছিস এই দলে, আগে জানলেতো তোকেই মেরে ফেলতাম। প্রসঙ্গত: রোকন আমার সহপাঠী ছিল। এরপর কীভাবে যেন সাতক্ষীরায় পাকিস্তানি মিলিটারির কাছে খবর যায় আমাদের আটক হওয়ার। ফলে আমাদেরকে একটি হলুদ গাড়িতে করে সাতক্ষীরা ডায়মন্ড হোটেলের টর্চার সেলে এনে আটকে রাখা হয়। পথিমধ্যে ধূলিহর থেকেও কয়েকজনকে তুলে আনা হয়। ডায়মন্ড(স্টার হোটেলও বলা হত) হোটেলে আমাদেরকে পিলারের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অনেককে ঘরে ঝুলানো হুকের সাথে ঝুলিয়েও নির্যাতন করা হত। এই হোটেলের অনেকগুলো রুমে অসংখ্য যুবতী মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছিল। যাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করত পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা। আমাদেরকে আনার ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট হোটেলের পিছনে নিজেদের পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা ছবিটি তোলে। রাজাকাররা এলিট স্টুডিওর হামিদ ভাইকে ডেকে এনে ছবিটি তোলায়। ছবিটি আজ এক প্রামাণ্য দলিল।”
তিনি যোগ করেন, “আমাদেরকে আটকে রাখাকালীন একদিন খালেক ম-ল ও টিক্কা(জহুরুল) এসে কয়েকজন আটককৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্য রাজাকাররা আমাদের জানায় তাদেরকে বিনেরপোতায় হত্যা করা হবে। এরপর একদিন আমাদেরকে যশোরে পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানায় পাঠানো হয়। যশোরের শংকরপুর যেখানে বর্তমানে বাসস্ট্যান্ড সেখানে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে একদিন ভোর বেলা যখন সৈনিকেরা প্যারেড করছিল তখন আমরা পালিয়ে আসি এবং পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিই। সে আরেক ইতিহাস।”
আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের এইসব বীরসেনানীদের জীবদ্দশায় যদি বাকী, রোকন, টিক্কাদের বিচার করা না যায় তাহলে আর কাদের স্বাক্ষ্য নিয়ে তাদের বিচার করা যাবেÑ এমন প্রশ্ন মুক্তিযোদ্ধাদেরই। আজ মহান বিজয় দিবসের ৪৫তম এই বার্ষিকীতে এদেরকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে শ্যামনগর এখন সাজ সাজ  রব। গ্রহণ করা হয়েছে সরকারি নির্দেশনায় নানা কর্মসূচী। উপজেলা প্রশাসন সহ সর্ব স্তরের লোকজন দিবসটি পালনে প্রস্তুত। সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জা, নকিপুর হরিচরণ পাইলট হাইস্কুল মাঠ ও উপজেলা ক্যাম্পাসে প্যান্ডেল, স্টেজ, গেইট নির্মাণ, ব্যাপক নিরাপত্তা ও প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে। উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে মাইকিং করে জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে আহবান করা হয়েছে। শ্যামনগরের ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী নকিপুর বাজারে পদব্রজে দোকানে দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের জাতীয় পতাকা সচক্ষে মাপ দেখেন এবং উহা উত্তোলন এর ক্ষেত্রে সুউচ্চে শক্ত দন্ডে ঁেবধে, জাতীয় পতাকা উড়তে বাধাগ্রস্ত না হওয়া সে দিকে দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেন। ইউএনও আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে জাতীয় পতাকা মর্যাদা রক্ষায় ও মহান বিজয় দিবস উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের ব্যবসায়ী সহ সকলের প্রতি আহবান জানান। এ ধরনের কর্মকান্ডে ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী ফিরোজ হোসেন সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ইউএনও কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সাবেক সফল জেলা পরিষদ প্রশাসক এম মুনসুর আহমেদ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী জেলার তালা উপজেলার খেশরা, খলিলনগর, তালা সদর, মাগুরা, জালালপুর, ইসলামকাটি, খলিশখালী, কুমিরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সকল চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সাথে তার আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহীদ উদ্দীন, ফিরোজ কামাল শুভ্র, আলহাজ্ব শেখ নূরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, আব্দুল হামিদ, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, সদর যুবলীগের সভাপতি শফিউদ্দীন, পৌর ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা জি এম অহিদ পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, সাতক্ষীরা শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক শফিকুজ্জামান পারভেজ, প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শাহীনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় কালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম মুনসুর আহমেদ বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদকে একটি মডেল জেলা পরিষদে রুপান্তরিত করবো। পূর্বের ন্যায় জেলা পরিষদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি অব্যহত রাখতে কাজ করে যাব। বর্তমান সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করে যাচ্ছে আর আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। এজন্য আমি জয়ী হলে সাতক্ষীরা জেলাকে উন্নয়নের শিখরে নিতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে আমরা তাকেই একযোগে নির্বাচিত করতে জেলার সকল চেয়ারম্যান, মেম্বর ও কাউন্সিলরদের প্রতি অনুরোধ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি: বেসরকারি সংস্থা রূপান্তরের উদ্যোগে, সংস্থার সমন্বিত স্বাস্থ্য সহায়তা প্রকল্পের আওতায় পাচার শিকার হয়ে ফেরত আসা ভিকটিমদের স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য তালা সদর ইউনিয়ন সিসিটি টিম এলাকায় কাজ করছে। দাতা সংস্থা অ্যানেসভাদ ও আইওএম এর সহযোগীতায়, তালা সদর ইউনিয়ন সিসিটির ত্রৈমাসিক সভা বুধবার সকালে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন সিসিটির সভাপতি সরদার জাকির হোসেন । রূপান্তরের উপজেলা ম্যানেজার উৎপল চক্রবর্ত্তী’র পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিসিটির সদস্য সাহিদা বেগম, ময়না বেগম, রেহেনা বেগম, সাংবাদি আব্দুল আলীম, মাওলানা তাওহিদুর রহমান, শিমুল গাজী, রোকেয়া খাতুন ও তাছলিমা বেগম প্রমুখ। সভায় পাচার শিকার ভিকটিমদের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জুলফিকার আলী, বাঁশদহা: সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘আ,লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়’। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎসহ নানা উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের গড়িয়াডাঙ্গা ব্রিজের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে, রাস্তা কাটে, মানুষ মারে তাদেরকে আপনারা প্রশ্রয় দিবেন না, আমিও দিই না। জেলা আ,লীগের সহ-সভাপতি মফজুলার রহমান খোকনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এ্যাডঃ আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাষ্টার মোস্তফা আবুল বাসার, বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান অসলে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঁশদহা ইউনিয়ন জাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রহমান, বাঁশদহা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেকসহ আ,লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন বাঁশদহা ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মফিজুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তরিকুল ইসলাম লাভলু: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা হাসপাতালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, আমেরিকান বাসিন্দা, বিশিষ্ট দানবীর, সমাজসেবক, সদা হাস্যজ্জল ব্যক্তিত্ব, স্বণামধন্য চিকিৎসক ডা.জর্জ ডব্লিউ ব্যাগবী কয়েকদিন আগে আমেরিকাতে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে নলতা হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা, সাতক্ষীরা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল, নলতা হাসপাতাল এন্ড কমিউনিটি হেল্থ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউল হক সুমন, হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. আবুল ফজল মাহমুদ বাপ্পী, উপদেষ্টামন্ডলী, হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, নলতা শরীফ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মহসিন, সাধারণ সম্পাদক মীর জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অত্র সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশে ডা. জর্জ ডব্লিউ ব্যাগবীর অসংখ্য শুভাকাঙ্খীবৃন্দ তার আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনির আনুলিয়া থেকে অপহৃত এক যুবককে কালিগঞ্জের মুকুন্দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুকুন্দপুর গ্রামের আলী বকসো মোড়লের ছেলে মিঠু মোড়লের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত যুবকের নাম মওদুদ সরদার (২৩)। সে আশাশুনি উপজেলার কাপসান্ডা গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে। তবে, পুলিশের দাবি এটা কোন অপহরনের ঘটনা নয়। মওদুদের চাচাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম রাজু জানান, ইট ভাটায় শ্রমিক দেয়ার জন্য মওদুদ অগ্রিম ৩০ হাজার টাকা নেয় মিঠুর কাছ থেকে। কিন্তু মওদুদ ভাটায় কোন শ্রমিক ও টাকা ফেরত না দিতে পারায় তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে ঝগড়া চলছিল। এক পর্যায়ে মিঠুসহ তার লোকজন কালিগঞ্জের মুকুন্দপুর গ্রাম থেকে ৭/৮ টি মোটরসাইকেল যোগে এসে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া হাজী মার্কেটের সামনে থেকে গত ১৩ ডিসেম্বর মওদুদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তারা মিঠুর বাড়িতে মওদুদকে আটকে রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে মওদুদের দুলাভাই জয়নুদ্দীন সরদার কালিগঞ্জ পুলিশের এস,আই রমজান আলীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে মওদুদ কালিগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার এস,আই রমজান আলী জানান, এটি কোন অপহরনের ঘটনা নয়। ভাটায় শ্রমিক দেয়ার নাম করে মওদুদ ৩০ হাজার টাকা নেয় মিঠুর কাছ থেকে। কিন্তু এর বিনিময়ে মওদুদ ভাটায় কোন শ্রমিক না দিতে পারায় মিঠু তার কাছে টাকা ফেরত চায়। এই টাকা নিয়ে মওদুদ টালবাহানা করার এক পর্যায়ে মিঠু তাকে তাদের বাড়িয়ে নিয়ে আসে এবং তার স্বজনদের কাছে খবর দেয় টাকা দিয়ে তাকে (মওদুদকে) নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি আরো জানান, দুপক্ষের লোকজন থানায় এসেছে বিষয়টি নিয়ে এখন বসা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসমানী শিশু নিকেতনের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্কুল প্রাঙ্গণে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ। সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে ফলাফল তুলে দেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ইয়াহিয়া ইকবাল, জীবন বীমা করর্পোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার শেখ রেফাজুর রহমান, অভিভাবক এড. শেখ জাহিদুর রহমান, এড. ইয়াসমিন জাহান, স্কুলের অধ্যকআষ মারুফা আক্তার স্বপ্না। বক্তারা তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, স্কুলের উপাধ্যক্ষ স্বপন কুমার শীল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest