সর্বশেষ সংবাদ-
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহতদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসি

Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রতারণা ও প্রদত্ত টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আশাশুনি উপজেলার বাউশালী গ্রামের মৃত গনি সরদারের ছেলে আব্দুল হান্নান এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আশাশুনি উপজেলার ০৫নং বড়দল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা ও বিভিন্ন অপকর্মের হোতা, গডফাদার আব্দুর রউফ, তার সৌদি প্রবাসী ছোট ভাই গাউস গাজীর মাধ্যমে আব্দুল হান্নান ও মিজানুর রহমানকে বিদেশ পাঠানোর জন্য গত ২০/১১/২০১৫ তারিখে নগদ বিশ লক্ষ টাকা নেন। তাদের সাথে শর্ত ছিল ২ মাসের মধ্যে এক লক্ষ টাকা বেতনে সৌদি আরব অথবা অন্য কোন দেশে ভাল চাকুরীর ব্যবস্থা করবেন। টাকা গ্রহণের সময় সিকিউরিটি সরূপ আব্দুর রউফ গাজী তার নিজ নামীয় রূপালী ব্যাংক বড়দল শাখা, বর্তমানে বুধহাটা শাখা,সাতক্ষীরা-তে স্থান্তরিত-এর চলতি হিসাব নং ৯০১ চেক নং- ০৭৫৮৩৫০-এ ২০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। কিন্তু ২মাস অতিবাহিত হলেও তিনি বিদেশ না পাঠিয়ে টালবাহনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আঃ রউফ গাজী তাদের কক্সবাজার নিয়ে জোর পূর্বক সমূদ্র পথে মাছ ধরা ট্রলারে করে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তাল সমূদ্র পথে জীবনের ঝুকি নিয়ে বিদেশে যেতে রাজি না হয়ে তারা বাড়ি ফিরে আসে। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন আঃ রউফ গাজী একজন দালাল ও মানব পাচার কারী। তারা এর আগে সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া লোক পাঠিয়েছেন। পরে বাড়ি ফিরে রউফ গাজীর কাছে প্রদত্ত ২০ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন ব্যাংকে চেক জমা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নেন। সে মোতাবেক ২৫/০১/২০১৬ তারিখে চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে ফেরত দেন। এরপর বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে গত ২৭/০১/২০১৬ তারিখে রেজিঃ ডাকযোগে টাকা ফেরতের  লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়, যা তিনি রিসিভ করেছেন। কিন্তু তিনি টাকা পরিশোধ না করে ২নং বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের মৃত তাহের সরদারের ছেলে আবুল হাসেম (জাতীয় পাটির নেতা) ও আকবর (জামায়াত নেতা) কে দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। তারা রউফ গাজীর পূর্ব পরিচিত ও বন্ধু। টাকা ফেরত না পেয়ে গত ০১/০৩/২০১৬ তারিখে আঃ রউফ গাজীকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট (২) নং আদালতে ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের করেন। যার নং-সিআর ১৯/১৬(আশা:) এবং যা বর্তমানে সেশন নং ২৯৭/১৬ যা সাব-জজ ২য় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে বিবাদী তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে খুন গুম করাসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-tarun-pig
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী তরুণলীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরির্দশন করেছেন। রোববার দিনভর জেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় বড় বাজার, সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি, শাহপাড়া, নারকেলতলাসহ একাধিক পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন নেতৃবৃন্দ। পরির্দশনকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা তরুণলীগের সভাপতি মোমিন উল্লাহ মোহন, সাধারণ সম্পাদক জজ কোর্টের এপিপি এড.সাহেদুজ্জামান সাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, মাহফুজ, সাগর, মামুন, জিয়াউলসহ জেলা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3
পাইকগাছা  প্রতিনিধি:     ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পাগল করা বাঁশির সুর কার না ভাল লাগে। আর এমন সুযোগ পেলে কেই বা হাত ছাড়া করতে চাই। শ্রী কৃষ্ণের বৃন্দাবনের সেই বাঁশির সুর সবাই শুনেছে গীতা, চন্ডি ও মহাভারতের মধ্যে। কিন্তু না এবার গীতা কিংবা মহাভারতে নয় সরাসরি কৃষ্ণের বাঁশি বাজানো দেখছে সবাই। কৃষ্ণের পাগল করা বাঁশির সুর শুনতে কিংবা দেখতে সবাই এখন ভীড় জমাচ্ছে পূজা মণ্ডপে। এবারের শারদীয়া দুর্গাপূজায় পাইকগাছা পৌরসভার শিববাটী সার্বজনীন পূজা মন্দিরে কৃষ্ণরূপী এমন ডিজিটাল প্রতিমা তৈরি করেছেন পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি প্রতিবছর দুর্গাপূজায় বিশেষ কোন প্রতিমা তৈরি করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নজর কাড়েন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তিনি এক ব্যাতিক্রমী শ্রী কৃষ্ণের প্রতিমা তৈরি করেছেন যে প্রতিমা ভক্তানুরাগী ও দর্শনার্থিদের প্রণামি পাওয়ার পরপরই শুনিয়ে দিচ্ছেন পাগল করা বাঁশির সুর। শ্রী কৃষ্ণের নিজের বাজানো এমন বাঁশির সুর শুনতে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থিরা ভীড় জমাচ্ছেন পূজা মণ্ডপে। অনেকেই প্রণামি দিয়ে বাঁশির সুর শুনছেন, আবার অনেকেই দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছেন কৃষ্ণের বাঁশি বাজানোর কলাকৌশল। দর্শনার্থি শুকলা দাশ জানান ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বৃন্দাবনের বাঁশি বাজানো কাহিনী শুনেছি। কিন্তু কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। এবারের পূজায় শিববাটী পূজা মণ্ডপে এসে কৃষ্ণের মনোমুগ্ধকর বাঁশির সুর শুনে মুগ্ধ হয়েছি। দেখে বুঝার উপায় নেই এটা কোন কৃষ্ণরূপী ডিজিটাল প্রতিমা। মন্দির কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি মন্ডল জানান, সপ্তমী পূজা থেকে চালু করা হয়েছে বাঁশি বাজানো কৃষ্ণের প্রতিমাটি। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থি দেখতে আসছে কৃষ্ণের বাঁশি বাজানো। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বেশি ভীড় পরিলক্ষিত হয় বলে মন্দির কমিটির এ সভাপতি জানান। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, আমি ব্যক্তিগত ভাবে শারদীয়া দুর্গাপূজায় ব্যাতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করি। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও দেশ এবং বিশ্বের শান্তি কামনায় শ্রী কৃষ্ণের বাঁশি বাজানোর একটি প্রতিমা তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক সিস্টেমে প্রতিমাটি তৈরি করা হয়। প্রতিমার সামনে একটি মাটির কলস রাখা হয়েছে, যার মধ্যে সাধারণ দর্শনার্থিরা যে কোন পরিমাণে প্রণামি দেয়ার সাথে সাথেই কৃষ্ণের হাতে থাকা বাঁশিটি মুখে নিয়ে বাজানো শুরু করে দেয়। কিছু সময় বাঁশি বাজানোর পর আবার মুখ থেকে বাঁশিটি নামিয়ে নিয়ে আসে। এবারের শারদীয়া দুর্গোৎসবে কৃষ্ণের বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে বিপদগামী জঙ্গিরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিহার করে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

follow-up-nowpara
দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা সরকারি চাল আতœসাত ও বিক্রয় মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও,তাদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সরকারি সম্পত্তি আতœসাত ও বিক্রয় করায় পুলিশ বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের পর থেকে অপরাধীরা এলাকায় ছেড়ে আত্মগোপন করলেও পুনরায় আবার এলাকায় ফিরেছে। বাড়িতে, রাস্তাঘাটে, বাজারে, উপজেলার বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিভিন্ন চায়ের দোকানে অবস্থান করলেও পুলিশ যেন তাদের দেখেও দেখছে না। উল্লেখ্য যে, ০৭/০৯/১৬ তারিখে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গরীব, অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা চাল আত্মসাত করে বিক্রয় করার অভিযোগ এনে বাদী হয়ে ইউনিয়ন পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জামান বকুল বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি জমাদেন। পরদিন অভিযুক্তরা ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও ভুয়া প্রতিবাদ দিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি। ০৯/০৯/১২ তারিখে হাদিপুর এলাকায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের যোথ  প্রচেষ্টায় ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার হয় এবং ২ জন চাল ক্রেতাসহ মোট ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। ২ দফায় অভিযান চালিয়ে নলতা থেকে ৮ বস্তা চাল উদ্ধার হয়। পরে দেবহাটা থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৪০৯/১০৯ ধারায় ১০/০৯/২০১৬ তারিখে ৪নং মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার প্রধান আসামি চাঁদপুর গ্রামের মৃত দারবক সরদারের পুত্র উপজেলা বিআরডিপি’র চেয়ারম্যান ও তৎকালিন নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ২য় আসামি রামনাথ পুর গ্রামের রশির সরদারের পুত্র ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার, ৩য় আসামি বেজরআটি গ্রামের কামাল উদ্দীনের পুত্র ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আসমোতুল্লাহ আসমান, হাদিপুর গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী আকবর আলী দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে আত্মগোপন করে সাম্প্রতিক তাদের এলায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশ বাদী ঐ মামলায় আটক পরবর্তী কারাভোগ শেষে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছে বাকি দুই চাল ক্রেতা ফজলু ও মাসুম। এদিকে, তাদের এলাকায় ফিরে আসার পর সরকারি সম্পত্তি আতœসাত ও বিক্রয়করার শাস্তি না পেয়ে ছাড় পেয়ে যাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে হয়ত সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে পারে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে এসব এজাহার নামীয় আসামীদের আটক আটক পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

isamote-milon-malla
মীর খায়ারুল আলম: ভারত-বাংলা দুদেশের সীমানা জুড়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মীয় বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে বিজয়া দশমির বিসর্জন মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নানান জটিলতায় ৪ বারের মত এবারও বন্ধ হল দুদেশের মিলন মেলা। দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা না ভাসলোও নিজ নিজ সীমারেখায় ভাসবে আনন্দের ভেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। প্রতি বছরের এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় পাশাপাশি অবস্থিত প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং যাতে করে উভয় দেশের মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পারাপারসহ জঙ্গী সদস্যরা, সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দুষ্কৃতিকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের জাতীয় ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে ৪ বারের মত বন্ধ হল ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা। দিনটিতে নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণী ইছামতি নদীর বিস্তৃত জিরো পয়েন্ট এলাকা জুড়ে নৌযানে টহল জোরদার করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা। এবছর ধরে মোট ৪র্থ বারের ন্যায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে মিলন মেলার তরী না ভাসলেও নিজ নিজ সীমারেখার মধ্যে লিখিত অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই আনান্দ ভোগ করতে হবে বলে ইতোমধ্যেই পূজা উদযাপন কমিটির সভায় নীলডুমুর ১৭ বডার গার্ড ব্যটেলিয়ন (বিজিবি)’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে আর কখনো  দু’বাংলার মিলন মেলার তরী ভাসবে কি না এমন কোন আশা দেখছেন না স্থানীয়রা। তাছাড়া এদিনে, দায়িত্বরত অবস্থায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ পথ সহ সকল সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বরত থাকবে বলে জানিয়েছেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মামুন-উর রশিদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেবহাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পূজা মণ্ডপ থেকে দেবী দুর্গার প্রতিমা নিয়ে ইছামতি নদীর এই বিসর্জনাস্থলে আসতে যাতে ভক্তদের অসুবিধা না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। তবে উল্লেখ্য যে, বিগতবছর গুলোতে জেলা পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নানান জটিলতায় আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। এবিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি গোপাল কুমার, নারায়ন দাস, তপন কুমার বলেন, দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই সীমান্তের ইছামতি নদীর উভয় তীরে দুর্গা পূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মেলা বসে আসছে। দেশ বিভাগের পরও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সীমান্তের সীমারেখা। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এ মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সারা বছর ধরে শুধু ইছামতি নদীর পাড়ের মানুষ নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ দিনটির জন্যে থাকে অপেক্ষায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সন উপলক্ষ্যে ইছামতির উভয় পাড়ে বসে নানারকমের দোকান। আত্বীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ছাড়াও এখানে আসা মানুষ উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময় শেষে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় যে যার দেশে, যে যার ঘরে। বাঙ্গালীর জাতীর সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে সকলের মাঝ থেকে। আগামী প্রজন্ম হয়ত আর উপভোগ করতে পারবে না উৎসব মূখর এই আনন্দঘন দিনটি। দু-দেশের জটিলতায় হয়ত একদিন সকলের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে দিনটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া -১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, ১৭ বিজিবি’র অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গনি, বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, শামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আতিকুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, এন.এস.আইয়ে’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, এ.কে.এম আনিছুর রহমান, কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, শেখ শফিক উদ- দৌলা সাগর, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুতের ডিজি এম রেজাউল করিম খান প্রমুখ। জেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায়  সুষ্ঠভাবে শারদীয় দুর্গা উদযাপনে আলোচনা, ব্যাটারি চালিত ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সোনা পাচার বিষয়ে জব্দ মালামাল সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছেনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ১০ টাকা কেজি চাউল কার্ড তৈরিতে অনিয়ম ও বিতরণে অনিয়ম বিষয়ে দূর্নীতির ব্যবস্থা, সকল কওমী মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে, যানজট নিরসন, জঙ্গি তৎপরতা রোধ সংক্রান্ত, রাস্তাঘাট সংস্কার সংক্রান্ত, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলার থানা ওয়ারী মামলা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর ২০১৬ মাসে মামলা হয়েছে ২শ’ ৬৫টি এবং আগস্ট ২০১৬ মাসে মামলা ছিল ২শ’ ২৬টি। সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

27f0ea019fcbeac54ff363f37e69458d-image-0-02-06-bb2613794786cca9a148680d04ab05972bcd0e0431e94d56ddf4f5e4df3adf51-vt
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে আটক ও পরে মৃত  নিউ জেএমবি সদস্যের  নাম নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দুরীকরনে সাতক্ষীরা পুলিশ তৃণমূল পর্যায়ে তদন্ত শুরু  করেছে। শনিবার রাতভর সাতক্ষীরার সীমান্ত গ্র্রাম কুশখালিতে যেয়ে পুলিশ বাড়ি বাড়ি খোঁজ নেয়। এর আগে পুলিশের কাছে পৌঁছানো এক বার্তায় বলা হয় আশুলিয়ায় নিহত অর্থদাতা জঙ্গির নাম আবদুর রহমান। তার পিতার নাম আবদুল্লাহ। তার বাড়ি কুশখালি গ্রামে।  পুলিশ সেই ‘আবদুর রহমান’ বাড়ি খুঁজে পেতে তৎপর হয়ে ওঠে।
তদন্ত শেষে  সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান কুশখালির ভ্যানচালক আবদুল্লাহর ছেলের নাম  রাকিবুল ইসলাম (২৪)। আবদুর রহমান নামে তার কোনো ছেলে নেই। নিজ গ্রামের মক্তবে লেখাপড়া করে ভ্যান চালাতো রাকিবুল। বিএনপি সমর্থক পরিবারটির সদস্য  রাকিবুল হেফাযতে ইসলামে যোগ দেয়। সে এলাকায় খানিকটা দুর্ধর্ষ বলে পরিচিত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারির ঘটনাবলীর পর  একাধিক নাশকতার মামলা হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। বাড়ির সাথে তার যোগাযোগ কম। রাকিবুলের বাবা আবদুল্লাহ জানান তিনি একজন ভ্যান চালক। তিনি ভারতীয় গরুর রাখালও। তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম চট্টগ্রামে একটি লবন কারখানায় চাকুরি করে। আজ রোববার সকালেও তার সাথে তার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাকিবুল একা ভাই। তার মার নাম মর্জিনা খাতুন। দুই বোন হাসনুয়ারা ও রউফুনারা। আবদুর রহমান নামের কোনো ছেলে তার নেই বলে জানান আবদুল্লাহ। রাকিবুল অবিবাহিত বলেও জানান তিনি।
তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্যা বলেন, তার পিতার নাম গ্রাম সবই ঠিক আছে। শুধু নামেই সমস্যা। আমাদের ধারনা নিহত আব্দুর রহমানই সাতক্ষীরার রাকিব।
উল্লেখ্য: শনিবার রর‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির জানান, ‘আব্দুর রহমানের বাবার নাম আব্দুল্লাহ। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালি। সে আশুলিয়ার বাসায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে উঠেছিল। তার স্ত্রীর নাম রুবি। সেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই আব্দুর রহমান আর এক বিয়ে করেছিল। ওই স্ত্রীর গর্ভজাত এক মেয়ে রয়েছে। রুবির দুই শিশু ছেলে, আগের স্ত্রীর গর্ভজাত মেয়ে ও রুবিকে র‌্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে।’ র‌্যাব সূত্র জানায়, আব্দুর রহমানের সঙ্গে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহম্মেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে তাদের ধারণা। নব্য জেএমবির হয়ে সে মূলত ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে বিস্তারিত তথ্য জানা যেত। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, সে মজুদ রাখা ৩০ লাখ টাকাও জঙ্গিদের মধ্যে বিতরণ করতো। এর আগে সে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বলে র‌্যাবের কাছে তথ্য রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

27f0ea019fcbeac54ff363f37e69458d-image-0-02-06-bb2613794786cca9a148680d04ab05972bcd0e0431e94d56ddf4f5e4df3adf51-vtডেস্ক রিপোর্ট: আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে আহত হয়ে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতু্য হওয়া জঙ্গি আব্দুর রহমান ওরফে বাবু সাতক্ষীরার আব্দুল্লাহ এর পুত্র। তার গ্রামের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালিতে।
সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার। ছদ্মবেশ ছিল ঠিকাদারের। কিন্তু এর আড়ালে মূলত সে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ ও জোগান দেওয়ার কাজ করতো। তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে একটি তালিকা। সেখানে কার কাছে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তাও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরাসরি নাম ব্যবহার না করে লেখা রয়েছে ‘কোড’। কোড নামগুলোর পাশে কোথাও ৫০ হাজার কোথাও এক লাখ পরিমাণ টাকার অঙ্ক লেখা রয়েছে। এই ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান (৩৫)। শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থেকে তাকে নগদ টাকা ও অস্ত্র-গুলি, বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার মৃতু্য হয়। আটক করা হয়েছে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকেও।
র‌্যাব কর্মকর্তাদের ধারণা, কোডগুলো ছোট-ছোট একেকটি জঙ্গি দলের। সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী সে অর্থ সংগ্রহের পর নব্য জেএমবির সদস্যদের জন্য তা বিতরণ করতো। এসব অর্থ দিয়ে জঙ্গিদের দৈনন্দিন থাকা-খাওয়ার খরচসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরক কেনার জন্যও ব্যবহার করা হতো।
র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তার লেখা কোডগুলোর অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এসব অর্থ উদ্ধার করতে পারলে তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা যাবে।’a07b60e81580c1104adf1aba0dee0d9d-57f924dd6be48
র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল আব্দুর রহমান। পাঁচ তলা থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে। র‌্যাব পাহারায় তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ‘আশুলিয়ার বসুন্ধরাটেক এলাকার একটি বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকতো আব্দুর রহমান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর একটি যৌথ দল ওই বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আব্দুর রহমান ব্যাটারি দিয়ে জানালার গ্রিল ভেঙে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হলে র‌্যাব তাকে আটক করে। পরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরকদ্রব্য, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, অস্ত্র তৈরি ও চালনার ম্যানুয়াল, নাইট ভিশন ক্যামেরা, ধারালো অস্ত্র, একাধিক মোবাইল ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।’
র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির জানান, ‘আব্দুর রহমানের বাবার নাম আব্দুল্লাহ। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালি। সে আশুলিয়ার বাসায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে উঠেছিল। তার স্ত্রীর নাম রুবি। সেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই আব্দুর রহমান আর এক বিয়ে করেছিল। ওই স্ত্রীর গর্ভজাত এক মেয়ে রয়েছে। রুবির দুই শিশু ছেলে, আগের স্ত্রীর গর্ভজাত মেয়ে ও রুবিকে র‌্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
র‌্যাব সূত্র জানায়, আব্দুর রহমানের সঙ্গে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহম্মেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে তাদের ধারণা। নব্য জেএমবির হয়ে সে মূলত ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে বিস্তারিত তথ্য জানা যেত। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, সে মজুদ রাখা ৩০ লাখ টাকাও জঙ্গিদের মধ্যে বিতরণ করতো। এর আগে সে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বলে র‌্যাবের কাছে তথ্য রয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, আব্দুর রহমান কিভাবে  অর্থ সংগ্রহ করতো তা জানার চেষ্টা চলছে। এসব টাকা বিদেশ থেকে আসতো নাকি দেশেই তাদের কোনও সমর্থক গোষ্ঠী দিতো তারও অনুসন্ধান চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest