সর্বশেষ সংবাদ-
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহতদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসি

4
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ সাইফুল আলমের ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে তালার রহিমাবাদ পারিবারিক কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে উপজেলা ছাত্রদল দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক মির্জা আতিয়ার রহমান, তালা সদর বিএনপি’র সভাপতি মো.আবুল কালাম বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ-উল ইসলাম,কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদুর রহমান, মৎস্যজীবী আহবায়ক গাজী মাহাবুবুর রহমান, জাসাস এর সভাপতি সেলিম হায়দার, স্বেচ্ছাস্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, বাস্তহারা দলের সভাপতি আবুল কালাম, ছাত্রনেতা,ফরাদ হোসেন রনি, মোতাহার,তালা সরকারি কলেজ সাবেক সদস্য সচিব জিএম ফারুক, তালা সরকারি কলেজ সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন মোড়ল,ছাত্রনেতা সুমন, মফিজুল ইসলাম, হাসান, ইমরান, আব্দুল্লাহ আল মামুন সৈকত,আলিফ,সরদার কামরুল,কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। উল্লেখ্য ১৯৯৪সালে ৮ই অক্টোবর ছাত্রদলের উদ্যোগে নবীনদের আগমনে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল তালা সরকারি কলেজ মাঠে প্রবেশ করার সময় বিপদগামী কিছু দূর্বৃত্তদের বোমা হামলায় সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিহত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার তিন বছর মেয়াদী অগ্রধিকার ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শীর্ষক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার উপ পরিচালক অচিন্ত্য কুমার পোর্দ্দার, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোদাচ্ছের আলী, লাবসা সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ জি.এম আজিজুর রহমান, তালা উপজেলার চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ পরিচালক আব্দুল মান্নান, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েম মোঃ মনজুর আলম, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, এনডিসি আবু সাঈদসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ। সভায় জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূল কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

566666
নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকদের নামে মামলা করে ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজার তোপের মুখে পড়েছে। সাতক্ষীরায় ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ভিক্ষুকসহ একাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা ফেরত না দিয়ে এবার উল্টো গ্রাহকদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে  শনিবার ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডর চেয়ারম্যান এস.এম. শরিফ-উজ জামান ও ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করে গ্রাহকরা। এ সময় গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়ে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে এ যাত্রায় রেহাই পাই এ প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ প্রতিনিধিকে জানান, অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত হিসেবে কোটি টাকা সংগ্রহ করে ২০১৪ সালের মে মাসে লাপাত্তা হয়ে যায়। গ্রাহকদের প্রতারণার পরেও বহাল তবিয়তে এসব প্রতারক চক্র। সাতক্ষীরায় বিভিন্ন নামে বেনামে গড়ে উঠেছে এসব কো-অপারেটিভ প্রতারণার কার্যক্রম। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ প্রতারক চক্র রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১০ সালে এ প্রতিষ্ঠাটি যাত্রা শুরু করে। ডিপোজিট ডিপিএস’র নামে অধিক মুনাফার কথা বলে অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া হয় কয়েক লক্ষ টাকা। এক পর্যায়ে  প্রায় ২শ’ গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে তারা লাপাত্তা হয়ে যায়। সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক রফিকুল ইসলাম ডিপোজিট করে ৮ লক্ষ টাকা, মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ডিপোজিটের নামে নেয়া হয় ২ লক্ষ টাকা, আব্দুর রশিদের ১ লক্ষ টাকা, ক্যাপ্টেন বাবু’র ১ লক্ষ টাকা, আব্দুর রহিম নামের আরেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, চায়ের দোকানী ছালেহা খাতুনের নিকট থেকে ৪ লক্ষ  ৩৫ হাজার টাকা, ভিক্ষুক সায়েরা বিবি’র কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এভাবে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নতুনভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক কাটিয়া টাউন বাজার সংলগ্ন শাহী মসজিদের পাশে তার হোমিও প্যাথিক চেম্বার বিসমিল্লাহ ক্লিনিকের উপর প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড খাটিয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে গা বাঁচাতে ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ-উজ-জামান রুমি কোন রেজুলেশন ছাড়াই স্থানীয় একটি পত্রিকায় অব্যাহতি জানান। তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো গ্রাহকদের নামে এই প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(গ) ধারায় মামলা করেছে। যার নং ৮২৫/১৬ (সাত)।
শনিবার ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটির ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুকের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকরা টাকা ফেরত পেতে জমায়েত হয়। এ সময় ম্যানেজার প্রথমে মুখ খুলতে না চাইলে গ্রাহকদের তোপের মুখে টাকা ফেরত দেবে বলে আশ্বাস দেয়। তবে গ্রাহকরা বলছে ম্যানেজারকে আর পাওয়া যাবেনা। সে পালিয়ে যাবে। অপর দিকে গ্রাহকরা চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ উজ-জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে সেও কথা বলতে না চাইলে ও পরে ক্যামেরার সামনে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে সে টাকা ফেরত দেবে বলে জানিয়ে দেয়। শনিবার ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটির ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুকের ব্যাবসা গেলে সে বলে এসব বিষয়ে বিস্তারিত সমবায় অফিসার শেখ শফিকুল ইসলাম জানেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ উজ জামানের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে সমবায় অফিসারকে সেখানে পাওয়া যায়। গ্রাহকরা বলছে আমাদের কে প্রতারণা করে সমবায় অফিসারকে বেতনা ট্রেডার্স থেকে টিভি এস মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছে চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় আগে থেকে সমবায় অফিসার কেন বেতনা ট্রেডার্সে পাওয়া গেল? চলতি বছরের ১লা জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ছালেহা খাতুন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এস.আই দেলোয়ার সদর থানায় ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটির ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক কে নিয়ে গ্রাহকদের  টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে সে বিষয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় ম্যানেজার গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের জন্য তিন দিন সময় চেয়ে নেয়। এর পর থেকে সে লাপাত্তা হয়ে গেছে। লাপাত্তার ২ মাস পর গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ২৭.০৯.১৬ তারিখে মামলা করে ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক। ওই মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ-উজ জামান রুমি, ম্যানেজার শহরের কাটিয়া এলাকার সামছুর রহমানের ছেলে ডাঃ ওমর ফারুক ও  শেখ ফারুক আহমেদ বাবলু মূলত এই তিন জন মিলে প্রতারণার জাল বিছিয়ে  গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান গ্রাহকরা । ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলের দাবী ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতারণার নতুন ফঁদে যেন সাধারণ মানুষ না পড়ে। এ জন্য এ ধরনের প্রতারক চক্রদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এবং অসহায় গ্রাহকরা যাতে করে তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পায় এবং জড়িত কর্মকর্তারা পালিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

gold

নিজস্ব প্রতিবেদক:  স্বর্ণ তো নয়, বিপ্লব চ্যাটার্জি একজন মাদক চোরাচালানি। ২১১ পিস  ইয়াবাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছিল সে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাতক্ষীরা জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে একই সময়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের হাতে আটক এএসআই আব্দুর রউফ পল্টু ও কনস্টেবল মারুকে হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের কর্মস্থল ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের কাছে। তাদেরকে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হতে পারে।  বহুল আলোচিত ও রহস্যজনক এ ঘটনার জন্ম শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের সেনপুর বাজারে। সেখানে তিনজনকেই গনপিটুনি দিয়ে উদোম গায়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, যশোরের কেশবপুরের ভাটপাড়া গ্রামের সুধীর চ্যাটার্জির ছেলে বিপ্লব একজন স্বর্ণর্  চোরাচালানি হিসাবে পরিচিত। শুক্রবার বিপ্লব তিন কেজি স্বর্ণ ভারতে পাচারের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা অভিমুখে আসতে  খুলনার  সোনাডাঙ্গা থেকে বাসে চড়ে বসেন। এ সময় তার  পিছু ধাওয়া করে  গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাস থেকে নামান হরিনাকুন্ডু থানার উপসহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রউফ পল্টু ও তার সহযোগী কনস্টেবল মারুফ। বিপ্লবকে তারা একটি মোটর সাইকেলের মধ্যখানে  বসিয়ে নিয়ে আসেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা ইউনয়নের সেনপুর বাজারে। বিপ্লবের কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে তাকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যেতে থাকলে বিপ্লব ‘আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান’ বলে চিৎকার দেন। বাজারের লোকজন ছিনতাইকারী ডাকাত সন্দেহে  গাড়িটি থামিয়ে সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশের দুই সদস্যকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এএসআই পল্টু ও কনস্টেবল মারুফ এ সময় নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিলে ক্ষুব্ধ জনতা তাদের ইন্ধনে বিপ্লবকে মারপিট শুরু করেন। গনপিটুনির পর ছিন্ন বস্ত্র ও  উদোম গায়ে তিনজনকেই সেনপুরের বাবুর দোকানে আটকে রাখা হয়।  খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানার এএসআই মুরাদ তাদের গনরোষ থেকে উদ্ধার করে আনেন ।  এদিকে রাতে ওসি মহিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিপ্লব স্বীকার  করেছে যে তার কাছে দুই পিস স্বর্ন ছিল’। তবে সেই স্বর্ণ কোথায় তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি।  এদিকে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর সংবাদকর্মীসহ সবার কৌতুহল ছিল ঘটনাটির শেষ কোথায় কিভাবে হয় এবং কতটুকু স্বর্ন উদ্ধার হয়েছে তা জানার জন্য। এ সময় পুলিশের সাথে নানাভাবে দরকষাকষির খবরও আসে সংবাদকর্মীদের কাছে। এমনকি পুলিশ কিছু মাদকদ্রব্য খুঁজছে বলেও চাউর হয়। এ নিয়ে পুলিশও সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে নানাভাবে লুকোচুরি খেলতে থাকে। অবশেষে বিকালে পাটকেলঘাটা থানার ওসি মহিবুল ইসলাম জানান বিপ্লবের খোয়া যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধার হয়নি। এমনকি এই সোনা তিন কেজি নাকি মাত্র দুই পিস তাও তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি।  তিনি জানান, বিপ্লব স্বর্ণ চোরাচালানি নন। দেহ তল্লাশি করে তার কাছে পাওয়া গেছে ২১১ পিস ইয়াবা। তাকে ইয়াবা চোরাচালান মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে পুলিশ সদস্য আবদুর রউফ পল্টু ও মারুফ ছুটিতে থাকাকালে এবং বাইরের কোনো জেলায় কোনো সন্দিগ্ধ ব্যক্তির সন্ধান পেয়ে তাকে গ্রেফতার করতে চাইলে স্থানীয় থানার সহায়তা না নিয়ে ভুল করেছেন। এজন্য তারা গনপিটুনি খাওয়ায় পুলিশের ভাবমুর্তিও ক্ষুন্ন হয়েছে। এসব কারনে তাদেরকে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে তাদের কর্মস্থল ঝিনাইদহ জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি। আলোচিত এএসআই আবদুর রউফ পল্টু ও কনস্টেবল মারুফ ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানায় কর্মরত। হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহতাবউদ্দিন জানান, এএসআই পল্টু ঢাকায় সাক্ষী দিতে ও মারুফ তার বাবার অসুস্থতার কারনে ছুটিতে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় গিয়েছিলেন। সেখানে যেয়ে তারা এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-footag20161008-1221150
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সাব রেজিস্টার ও তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠীত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টাই বাংলাদেশ ন্যসনাল আওয়ামীলীগের আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠীত হয়। এ সময় সাতক্ষীরা ন্যাপ সহসভাপতি হায়দার আলি সান্তর সভাপত্বিতে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুর রহমান, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, প্রগতিশীল সংগঠনের আহবায়ক মোঃ মুনসুর রহমান, বাস্তহারা লীগের আব্দুস সামাদ, বাসদ সংগঠনের এড খগেন্দ্রনাথ ঘোষ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন আশাশুনি উপজেলার সাব রেজিস্টার মুহাঃ গোলাম এলাহী তুয়ারডাঙ্গা মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ তালিকায় গেজেট ভুক্ত (ভিপি সম্পত্তি) এস.এ ১৯৮ নং খতিয়ানে ২১৫ দাগে ৪.৪২ একর এবং এর মধ্যে ৪.৩৯ একর জমি দুই টি দলিলে গত ৫ মে রেজিষ্ট্রি সম্পূর্ণ করেছেন যার মধ্যে একটি দলিল নং ১৩৯৩ গ্রহিতা তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের রিয়াজউদ্দিন সরদারের পুত্র রওশন সরদার ও ইব্রাহিম সরদারের পুত্র জাকির হোসেনের জমির পরিমান ১.৪২ একর। অপর দলিল নং ১৩০৯২ গ্রহিতা তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের গনেশ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী পুস্প রাণী মন্ডল জমির পরিমান ২.০৯৭ একর যার দুইটি দলিলেরই দাতা ছিলেন তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত কালিপদ ধানকির পুত্র কৃষ্ণপদ ধানকি। তবে সরকারি নিতি মালাকে তুয়াকা না করে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের উল্লেখিত দলিল রেজিষ্ট্রি করা কালে কোন মিউটেশন ও খাজনার চেক দাখিল জমা ছাড়াই রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। অপরদিকে তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গাজী মনিরুজ্জামান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির উপস্থিতি ও আপস নামার স্বাক্ষর দেখিয়ে এক জনের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দিয়েছেন। হাজরাকাটি মৌজার শরবানু বেগম এবং কহিনুর বেগমের সম্পত্তি রেকর্ড করে নেয়ার জন্য ৩৭৯ ডিপি খতিয়ানে ৩১ ধারায় মামলা করেন ওই রেকর্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয় পরে বিরোধি পক্ষ ওমর খাঁ ও ইমাদুলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গাজী মনিরুজ্জামানকে ম্যানেজ করে মৃত গহর আলী ও শহর আলীকে হাজির দেখিয়ে তাদের মধ্যে আপস নামা তৈরি করে বিবাদি পক্ষে রেকর্ড বহাল দেখান। এ সময় বক্তারা আরও বলেন আশাশুনি উপজেলার সাব রেজিস্টার মুহাঃ গোলাম এলাহী এবং তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গাজী মনিরুজ্জামনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান। সেই সাথে কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দুর্নীতির কারনে জনগনের দুর্ভোগ বেড়েছে এ জন্য এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1475915042বিনোদন ডেস্ক: নব্বই দশকে সোনালি বেন্দ্রে ছিলেন বলিউডে আবেদনের এক অনন্য উদাহরণ। ‘সুপার মডেল’ পরিচয়কে পাশে রেখে বলিউডের ছবিতে অভিনয় করেছেন, গ্ল্যামারের ঝলকও দেখিয়েছেন নিজের মতো করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বি টাউন থেকে সরে এলেও এখনো বড়পর্দায় অভিনয়ের আগ্রহ রাখেন ‘সারফারোশ’-এর অভিনেত্রী।
এমটিভি ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপে সোনালি বলেন, ‘আমার যা কাজ করার তা করেছি। এখন ব্যতিক্রম কিছু না এলে কাজ করব না। ছবি করার আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে আমি কথা বলি। কাজেই এমন একটা চরিত্র পেতে হবে যা আমাকে একেবারে চমকে দেয়, তখন তার জন্য একেবারে ঘরবাড়ি ছেড়ে কাজে নেমে পড়ব।’
সোনালি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবেই। এই ক্যারিয়ারে দারুণ সাফল্যের পর বলিউডে অভিনয় করেছেন। ‘দিলজ্বলে’, ‘সারফারোশ’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবিগুলো তাঁর ক্যারিয়ারের সাফল্যের উদাহরণ। ‘কাল হো না হো’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। সবশেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে ২০১৩ সালের ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই দোবারা’ ছবিতে।
এখনকার সময়ের সঙ্গে আগের পরিপ্রেক্ষিত একেবারেই মেলে না বলে মনে করেন সোনালি। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘ছবির ব্যবসার ঘরানা বদলে গেছে। এটা খুবই ভালো বিষয়। এখন স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে, এগুলোর আলাদা দর্শকও রয়েছে। এর আগে এসব কাজ করার সুযোগই তো ছিল না। এ ধরনের ছবি নিয়ে কাজ করার সুবিধাটা এখন অনেক।’ এই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য সোনালির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1475911707স্বাস্থ্য ডেস্ক: আমাদের দৈনন্দিন জীবনপ্রণালি ও খাদ্যে বিভিন্ন উপাদানের অভাব ব্যথানাশকের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাই কিছু হলেই ওষুধের  দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই হরহামেশা ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকি আমরা। যে কারণে বা যেভাবেই ব্যথার ওষুধ খাই না কেন, এর ব্যবহারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনিয়ন্ত্রিত বা মাত্রাতিরিক্ত ব্যথানাশক শরীরের বিশেষ ক্ষতি করতে পারে।
ব্যথানাশক মূলত কাজ করে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন তৈরিতে বাধাদানের মাধ্যমে। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন শরীর ফোলা ও ব্যথার জন্য দায়ী। ব্যথানাশক শরীরে সাইক্লো অক্সিজেনেস থেকে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন তৈরি হতে দেয় না, ফলে ব্যথার অনুভূতি হয় না। কিন্তু প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন শরীরে ব্যথার অনুভূতিই শুধু জাগায় না, অন্য কাজও করে। এক ধরনের প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন আছে, যেটি পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগে প্রতিরক্ষামূলক আবরণ তৈরি করে। কিন্তু ব্যথানাশকের প্রভাবে এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন তৈরি না হওয়ায় মিউকাস লেয়ারে ক্ষত হয়।
ফলে গ্যাস্ট্রিক ও ক্ষত বা আলসার হয়। কক্স-২ ইনহিবিটর নামের যে নতুন ব্যথানাশক বাজারে আছে, সেগুলো ব্যথার জন্য দায়ী প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন তৈরিতে বাধা দিলেও যে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন পরিপাকতন্ত্রে প্রতিরোধী আবরণ তৈরি করে তাকে বাধাগ্রস্ত করে না। ফলে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার হয় না। কিন্তু এ জাতীয় ব্যথানাশকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। আজকাল গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্ত থাকার জন্য ডাইক্লোফেনাকের সঙ্গে মিসোপ্রোস্টোল যুক্ত করে নতুন ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
মনে রাখা দরকার, মিসোপ্রোস্টোল গর্ভপাত ঘটায় এবং বিকলাঙ্গ শিশু জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ায়। তাই গর্ভবতীদের কখনোই এ ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। ব্যথানাশক যথাসম্ভব ব্যবহার না করা উচিত যেসব ক্ষেত্রে তা হলো-

গর্ভাবস্থায়, শিশুকে বুকের দুধ দেন এমন মায়েরা, রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেতে থাকলে, গ্যাস্ট্রিক বা আলসার থাকলে।
ব্যথানাশকের অপব্যবহারে যে শুধু গ্যাস্ট্রিক বা আলসার হয় তা নয়, এ থেকে রক্তক্ষরণও হতে পারে। মাথা ঘোরা, বমি, পাতলা পায়খানা, চুলকানি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া প্রভৃতিও হতে পারে। হাঁপানি থাকলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। কিডনি ও যকৃতের সমস্যাও হতে পারে। তাই ব্যথানাশক ব্যবহারে একটু বেশি সতর্ক হওয়া দরকার।
অল্প ব্যথায় বরফ দিলে বা গরম সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়। ব্যথানাশক ওষুধ যদি খেতেই হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ও পরিমিত খাবেন।
লেখক : শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ , ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1475835231ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সীমান্ত হত্যার প্রধান কারণ গরু চোরাচালান। আর ভারত ও তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সহযোগিতা ছাড়া এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের সীমান্ত বৈঠক শেষে শুক্রবার রাজধানীর পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক। আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অনুরোধে সীমান্তে ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করতে কাজ করছে ভারত সরকার। এ ছাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত আছে চার হাজার ৪৭৫ কিলোমিটার, যার বেশির ভাগ এলাকাই কাঁটাতারের বেড়ায় বেষ্টিত। সীমান্তের দুই পাশেই ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী ২৪ ঘণ্টাই পাহারা দেয়। তারপরও সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এসব অনুপ্রবেশকারীর অন্যতম লক্ষ্য থাকে গরু চোরাচালান। গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। প্রতিটি মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয় আলোচনার এক নম্বর এজেন্ডা থাকে। এ বছরও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বিজিবি মহাপরিচালক জানান, ভারতের সহযোগিতা ছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক প্রসঙ্গে আজিজ আহমেদ বলেন, ‘যেটা আমাদের জয়েন্ট ডিক্লারেশনেও (যৌথ ঘোষণা) আছে, যে তোমার লোকজন তো নন লেথাল উইপেন (অ-প্রাণঘাতী অস্ত্র) ইউজ করে সেটা তোও মানুষ মারা যাওয়ার কথা না। আমার লোকজন তো লেথাল উইপেন (প্রাণঘাতী অস্ত্র) ইউজ করে এবং আমার লোকজনও আক্রান্ত হয়। কই, আমরা তো মানুষ মারি না। আমরা যদি ফায়ার রিজোর্ট করতে হয়, হিপ লেভেলের নিচে ফায়ার করি। তোমার লোকজন কেন চেস্টে ও মাথায় গুলি করে?’
বিজিবি মহাপরিচালক জানান, আলোচনা শেষে তাঁরা বলেন, গরু চোরাচালান বন্ধ করতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব। ভারত তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারলে সীমান্ত হত্যা অনেক কমে আসবে এবং অনেক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এবারের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকটিকে সফল উল্লেখ করে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, মানবিক কারণে সীমান্ত রেখার ১৫০ গজের বাইরেও কিছু কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে বিজিবি।
আজিজ আহমেদ বলেন, ‘এটা হলো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের লোকজন ওই শূন্য রেখা থেকে শুরু করে দেড়শ গজের মধ্যে যায় শুধু চাষাবাদের জন্য, অন্য কিছু না। ওরাও আসে চাষাবাদ করে, অন্য কিছু না। তখন তারা বলেছিল, আমরা যদি গ্রামগুলোকে নিয়ে আসি, ওই খানে আমরা যদি কোনো গেট না রাখি, কৃষকগুলো তাদের জমিতে কীভাবে যাবে? আপনারা যদি অনুমোদন দেন আমরা ওখানে গেট করতে চাই সিঙ্গেল ইয়ার ফেন্সিংয়ের সঙ্গে। তখন আমি তাঁদের বলেছিলাম, আপনারা যেখানে গেট দিতে চান সেখানে ডাবল লেয়ার ফেন্সিং দিতে হবে।’
বিজিবি মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশের অনুরোধে সীমান্তে ফেনসিডিল কারখানা বন্ধসহ ভারতে পালিয়ে থাকা প্রায় এক হাজার ২০০ সন্ত্রাসীর একটি তালিকা বিএসএফের কাছে দিয়েছে বিজিবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest