সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা

full_622804863_1474615396ডেস্ক রিপোর্ট: কোরবানির ঈদে নির্ধারিত ছুটির সঙ্গে আরও এক দিন বেশি ছুটি কাটানোয় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সরকারি চাকুরেদের অফিস করতে হবে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর রোববার ছুটি ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বরকে কর্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে গত ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করে তার বদলে ২৪ সেপ্টেম্বর কর্মদিবস হিসেবে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করে ১১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর এবারের কোরবানির ঈদের ছুটি পুনঃনির্ধারণ করে সরকার। ফলে টানা ছয় দিন ঈদের অবকাশ পান সরকারি চাকুরেরা।
১১ সেপ্টেম্বর ছুটি ঘোষণা করে সরকারি আদেশে বলা হয়েছিল, যে সকল অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যে সকল অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান গত ১১ সেপ্টেম্বর ছুটি ঘোষণা করেনি, তাদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
বৃহস্পতিবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। সূত্র: বাসস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2040037049_1474613528ডেস্ক রিপোর্ট: : সকালে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানায় বিসিবি একাদশ। শুরু থেকেই অধিনায়কের ফিল্ডিং নেয়া  ঠিক হয়েছে প্রমাণ করেছে বোলাররা। বোলারদের চমৎকার বোলিংয়ে শুরুতেই চাপের মুখে পড়েছে আফগানরা। তাদের রানের গতিও বোলারদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। মিডল অর্ডারে নামা হাসমাতুল্লাহ শাহেদির ৬৯ এ ভর করে ৪৯.২ ওভার শেষে সব উইকেটে হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ ২৩৩ রান।
প্রথম ৩০ রানে কোন উইকেট নিতে পারেনি বিসিবি একাদশের বোলাররা। কিন্তু তারপরেই বাংলাদেশের ডান হাতি তিন পেসার তিন উইকেট তুলে নেন ১৭ রানের মধ্যে। অষ্টম ওভারে আবু হায়দার তুলে নেন নওরোজ মঙ্গলকে (১০)। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আফগানরা পরের ওভারেই হারায় মোহাম্মদ শাহজাদকে (১৭)। তাকে বোল্ড করে দেন আলাউদ্দিন বাবু। কিছুক্ষণের বিরতির পর বদলী বোলার শুভাশিস রায় শিকার করেন রহমত শাহকে (৮)। অধিনায়ক আসগার স্তানিকজাই ও হাশমাতুল্লা শহিদি এরপর হাল ধরেন।
এরপরের ব্যাটসম্যানরা কেউ সুবিধা করতে পারেনি। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ এর ঘর পার করেছেন হাসমাতুল্লাহ শাহেদি(৬৯) ।  ৩০ এর ঘর পার করেছেন তিনজন- আসগার স্তানিকজাই(৩১), রাশিদ খান(৩০), মিরওয়াইজ আশরাফ(৩২)।
বাংলাদেশের হয়ে আবদুল্লাহ বাবু ও মিরাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছে। ২টি করে উইকেই নিয়েছে আবু হায়দার ও শুভাশিষ রয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474606673ডেস্ক রিপোর্ট: মুন্সীগঞ্জ শহরের কাছে বাগবাড়ী এলাকায় গ্রাম্য সালিশে ২৫টি করে বেত্রাঘাতে আহত হয়েছে ২৩ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের নাম জানা যায়নি। তাদের মধ্যে ২১ জনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নৌ-ভ্রমণে গিয়ে স্কুলছাত্র আরাফাত হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বাগবাড়ী মসজিদ প্রাঙ্গণে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশি বৈঠকে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা নৌ-ভ্রমণে যাওয়া অপর ২৩ শিক্ষার্থীকে ২৫টি করে বেত্রাঘাত ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর নৌ-ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাগবাড়ী এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত। তিন দিন পর জেলার সিরাজদীখান উপজেলার দোসরপাড়া এলাকার ইছামতী নদীতে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম্য সালিশ বসে।

পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য এবং চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন বলে পরিচিত টিটু ও আরিফ শিক্ষার্থীদের ২৫টি করে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের পরে  মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান ও পঞ্চসার ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত কমিটি শিক্ষার্থীদের বিচার করে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয় পোদ্দার বলেন, তিনি ২১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন, যাদের সবাই বাগবাড়ী এলাকার কিশোর। তাদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করা হতে পারে। আহত কিশোরদের কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5263আসাদুজ্জামান: তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় ট্রাক ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। দুমড়ে মুচড়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সটি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার পুড়াকাঠরা রনজিত মিস্ত্রি (৫৫) ও পলাশ মন্ডল (৩৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্যামনগরের পুড়াকাঠরা গ্রাামের সুভাষ চন্দ্র (৫৮) খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। তার স্বজনেরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে (ঢাকা মেট্রো-০২-৩৪৯৯) মরদেহ নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা খুলনাগামী একটি ট্রাক অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।  আহত হয় দুজন। আহতদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিবুল ইসলাম  বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বল্লীতে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান

বল্লীতে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুযায়ী হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারে আওয়ামীলীগ নেতা মো. শাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান। খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্য সষ্য বিতরণ, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বল্লী বাজারে ডিলার মো. রাশিদুল ইসলামের মাধ্যমে বল্লী ইউনিয়নের ৪শ’ ৬৩ জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে খাদ্য শষ্য বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবার আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবতাবুজ্জামান লাল্টু, ইউপি সদস্য মো. শামছুর রহমান, রফিকুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

police-arrest-without-warenআসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বড়খামার এলাকা থেকে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, ডাকাতিসহ অর্ধডজন মামলার আসামি  আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য রবিউল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ডাকাত রবিউলকে তার শ্বশুর সদর উপজেলা ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের শামছুর রহমানের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটক রবিউল সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের বেনেখালী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল সকাল ৮টার দিকে ডাকাত রবিউলের শ্বশুর সদর উপজেলা ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের শামছুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, ডাকাতিসহ অর্ধডজন মামলার আসামি কুখ্যাত ডাকাত রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। আটক রবিউল ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের পুরোহিত ভবসিন্ধু বর হত্যা প্রচেষ্টার পর থেকে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই আব্দুল কাদের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত রবিউল ২০০২ সালে ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্র ছিনতাই, ডাকাতিসহ অর্ধডজন মামলার আসামী।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, এ ঘটনাটি ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আমাকে এখনও পর্যন্ত অবহিত করা হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6bd8b3e67e6a8e73a6da5123f387890c-57e4075d94e79ডেস্ক রিপোর্ট: আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচন পরোক্ষ ভোটে হলেও প্রত্যক্ষ নির্বাচনের আদলে নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণবিধি তৈরি করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নির্বাচনি প্রচারণায় অন্যান্য নির্বাচনের মতো মাইকের ব্যবহার, পথসভা, জনসংযোগের ব্যবস্থা থাকছে। একইসঙ্গে আইনে অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের বিধান না থাকায় নির্দলীয়ভাবে এ নির্বাচন হবে। কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিচালনা ও ‍আচরণবিধি তৈরি করতে বৃহস্পতিবার কমিশন বৈঠকে বসে। বৈঠকে ইসি সচিবালয় প্রস্তাবিত খসড়া আচরণবিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলেও চূড়ান্ত করা হয়নি। শনিবার অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সময় স্বল্পতার কারণে সংসদে পাস না করিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির পর সরকারের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনের সংশোধিত আইনটি পাওয়ার পর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমরা বৃহস্পতিবার আচরণ ও পরিচালনা বিধি তৈরির জন্য বৈঠক করেছি। বৈঠকে আচারণবিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শনিবার কমিশন আবার বসবে। আশা করা যায়, ওই বৈঠকে দু’টো বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।’
এদিকে, কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনটি পরোক্ষ হলেও এর আচারণবিধি প্রত্যক্ষ নির্বাচনের আদলে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণের সরাসরি ভোটে যেভাবে সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে চালাতেন, পরোক্ষ নির্বাচনেও সেই ধরনের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ইসি সচিবালয় থেকে। নির্বাচনে মাইকের ব্যবহার, পথসভা, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ইত্যাদিও জেলার সর্বত্র লাগানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। তবে বিষয়টি নিয়ে একাধিক কমিশনার ভিন্নমত পোষণ করেন বলে জানা গেছে। পরোক্ষ নির্বাচন হওয়ায় এতে মাইকের ব্যবহার না রাখার সুপারিশ করেন একাধিক কমিশনার। পরে বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছে বৈঠক শনিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
সংধোধিত আইনে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে দলীয় মনোনয়নে অনুষ্ঠানের কোনও বিধান যুক্ত না করায় নির্দলীয়ভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকেরও কোনও ব্যবহারের সুযোগ থাকছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘আইনে যেহেতু দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়নি, সেহেতু এই নির্বাচন নির্দলীয়ই হবে। সেই আদলেই আমরা বিধিমালা তৈরি করছি।’

বিধিমালায় আরও যা থাকছে
নতুন নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুযায়ী, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা খরচের বিধান রাখা হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগত খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে সর্বোচ্চ একলাখ এবং ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা। জামানত হিসেবে চেয়ারম্যান পদে ৫০ হাজার এবং সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে পাঁচ হাজার টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে), মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে। আর নির্বাচনে দু’জন প্রার্থী সমান অর্থাৎ সমভোট পেলে পুনঃভোট হবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) লটারির মাধ্যমে বিজয়ীকে নির্ধারণ করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই আগামী ডিসেম্বরে দ্বিতীয়ার্ধে এই নির্বাচনটি হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচনের সময় প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। দেখা যাক কতদূর এগুতে পারি।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এই ১৫টি ওয়ার্ড থেকে ১৫ জন সদস্য নির্বাচিত হবে। এই ১৫টি ওয়ার্ডকে পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। নারী-পুরুষ সদস্য মিলিয়ে এসব ওয়ার্ড থেকে মোট ২০জন সদস্য ও একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে ২০ জন সদস্য নির্বাচনের জন্য কোনও কোনও উপজেলায় এক বা একাধিক ওয়ার্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার ইউনিয়ন পরিষদে। দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা চার হাজার ৫৭১টি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা গড়ে ১৩ জন করে ৬০ হাজারের মতো। এভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন। প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান; পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিল ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের নিয়ে এই নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474550094ডেস্ক রিপোর্ট: কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর যত দিন গড়াচ্ছে ততই উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রকাশ্যে সংযম দেখানোর পথে হাঁটলেও ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের ওপর আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের ‘ওয়ার রুমে’ প্রায় দুই ঘণ্টা কাটিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদির সঙ্গে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনাবাহিনী প্রধান দলবীর সিং সুহাগ, বিমানবাহিনী প্রধান অরুপ রাহা ও নৌবাহিনী প্রধান সুনিল লাম্বা। মূলত যুদ্ধের সময়ই সাউথ ব্লকের এই ঘরটিকে ‘কন্ট্রোল রুম’ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলেও দাবি সংবাদমাধ্যমের।
জানা গেছে, ওয়ার রুমে যাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয় সেখানকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন। বালি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটির মডেল বানিয়ে বোঝানো হয়, কীভাবে আচমকা হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া যায় পাকিস্তানকে।
উরি হামলার পর পাকিস্তানকে এবারে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে কূটনৈতিক থেকে সশস্ত্র হামলার যাবতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ভারতের মোদি সরকার। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েক দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেছে। ভারতের বিভিন্ন মহল থেকেও এবারে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে। ফলে কাশ্মীরের উরি সেক্টরে সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের শায়েস্তা করতে এবারে  এক রকম বদ্ধপরিকর ভারত।
এর আগে গত রোববার কাশ্মীরের উরি সেক্টরে সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই হামলার নেপথ্যে যারা তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার জানিয়েছিলেন, উরি হামলার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি দিতে এবারে ভারত সরকার গুরুত্ব দিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।
এর মধ্যে বুধবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত অবশ্যই একটি দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন দেশ। তবে তার মানে এটা নয় যে বারবার সীমান্তপার থেকে সন্ত্রাস চলবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest