সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

imagesজি.এম আজিজুল ইসলাম: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম মডেল টেস্ট পরিক্ষার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় গাভা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.টি.আর.এম হুমায়ূন কবির রানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, গাভা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র সরকার, সুলতানপুর পল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস কামরুন্নেছা খানম, গাভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা বেগম, ব্যাংদহা সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামিমা পারভীন, গোবরদাড়ী সরঃ প্রাথঃ বিদ্যাঃ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এস. সালমা খাতুন সহ সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ। সভায় এ.টি.আর.এম হুমায়ূন কবির রানাকে হল-সুপার, শামিমা পারভীনকে সহ.হলসুপার এবং ফিরোজা বেগমকে কেন্দ্র সচিব করে আগামী ১সেপ্টেম্বর থেকে ৭সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ম শ্রেনীর ১ম মডেল টেস্ট পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_20160806_110235প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম।
গত ২৪ অগাস্ট পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ২৭ অগাস্ট থেকে তাকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
একই সাথে এখন থেকে প্রত্রিকাটির সংবাদ ও প্রকাশনা সংক্রান্ত সার্বিক দায়িত্বভার হাফিজুর রহমান মাসুমকে অর্পণ করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত হবে। তিনি এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ঢকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞানে বিএসএস(সম্মান) ও এমএসএম সম্পন্ন করা হাফিজুর রহমান মাসুম ড.আতিউর রহমানের(সাবের্ক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক) তত্ত্বাবধানে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন। তার মাস্টার্স এর গবেষণার বিষয় ছিল- Women rights in Bangladeshi Newspapers। তিনি একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষার্থী সমিতির সভাপিতর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৯ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত কোন সংবাদপত্রের প্রথম অনলাইন ভার্সন হিসেবে দৈনিক পত্রদূত’র ইন্টারনেট সংস্করণ চালুর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র জন্মলগ্ন থেকে নির্বাহী সম্পাদক ও পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা সম্পাদনার পাশাপাশি এলিকজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ। এছাড়াও তিনি সাতক্ষীরা জেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সদস্য সচিব, গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য সচিব, সাতক্ষীরা জেলার প্রথম ও একমাত্র চলচ্চিত্র সংগঠন সাতক্ষীরা ফিল্ম সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2e65c0fc859a7e131386a71b1bbffd5a-57c1da8d15e77খেলাধুলো: কিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। শনিবার সফরকারীদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
টসে জিতে ব্যাট করে ৪৯.৫ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান তোলে পাকিস্তান। সেঞ্চুরি করেন সরফরাজ আহমেদ (১০৫)। এছাড়া ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাদ ওয়াসিম। ইংলিশদের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মার্ক উড, ক্রিস ওকস। দুটি নেন প্লাঙ্কেট।
সরফরাজ সেঞ্চুরি করলেও ইংলিশদের প্রতিরোধ দিতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। তবে শুরুতে দ্বিতীয় বলে জ্যাসন রয়কে বোল্ড করে দিয়ে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন আমির। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। জো রুট ও এয়োইন মরগানের জুটিতে পার পায় ইংল্যান্ড। রুট আউট হন ৮৯ রানে আর মরগান ৬৮ রানে। ৪২ রান করেন স্টোকস। শেষ দিকে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন মঈন আলী (২১) ও ক্রিস ওকস (৭)। ইংলিশরা জয় নিশ্চিত করে ৪৭.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে। ম্যাচ সেরা হন জো রুট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ab9dfcc69560c308a7fce1c246227db7-57c18bcc3db82ডেইলি সাতক্ষীরা রসুইঘর: রঙ, রূপ, পুষ্টিগুণে ভরপুর এক সবজি গাজর। তরকারি, কেক, মাফিন, পাই, হালুয়াতে যখনই গাজরের রসালো, মিষ্টি উপস্থিতি, তখনই আপনার হেঁশেল, ডাইনিং টেবিল এমনকি সারা বাড়ি ছাপিয়ে মৌ মৌ সুবাস দাপিয়ে বেড়ায়। আসুন, আদি-অকৃত্রিম গাজরের হালুয়ার রেসিপিটি আরেকবার ঝালিয়ে নেই। স্বাদ সেই আগের মতোই থাক, তবে হালুয়ার চেহারাটি আজ একটু পালটে দিন।

উপকরণ-
গাজর ৬-৭টি মাঝারি সাইজ
দুধ-২ কাপ
চিনি-৬ টেবিল চামচ
ঘি-৫ টেবিল চামচ
এলাচ গুঁড়ো- অর্ধেক চা চামচ
কিসমিস- এক মুঠো
বাদাম এক মুঠো (পছন্দ মাফিক: চীনা বাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি)

প্রণালী-
ছিলে, ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা গাজর দুধে সেদ্ধ করুন মাঝারী আঁচে। মাঝে মাঝে নাড়ুন যাতে পোড়া না লাগে। দুধ আস্তে আস্তে ঘন হয়ে কমতে শুরু করবে এবং গাজর সেদ্ধ হতে থাকবে।এ পর্যায়ে কাঠের চামচ দিয়ে ভাল করে গাজর ভেঙ্গে ভেঙ্গে দুধের সঙ্গে মেশাতে থাকুন।এবার এতে ঘি, এলাচ গুঁড়ো, চিনি দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন ঢিমে তাপে।
এক পর্যায়ে হালুয়া আঠালো, মাখা মাখা, তেলতেলে, নরম, মখমলি রূপ নেবে যা তখন আর হাড়ির তলানীতে মোটেই লেগে ধরবে না। কিশমিশ, বাদাম ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চায়ের সঙ্গে বা রুটি দিয়ে।
ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতেও এ হালুয়া অনবদ্য।

হালুয়ায় যেভাবে নতুন রূপ দেবেন-
(১) রান্না হয়ে যাবার পর হালুয়া সামান্য গরম (সহনীয় গরম) থাকতে থাকতেই হাতের তালুতে লাড্ডুর মত বল বানিয়ে নিন। পরিবেশনের আগে এতে পাউডার সুগার ছিটিয়ে দিন বা তিলের দানায় লাড্ডু গড়িয়ে নিন।
(২) অথবা, পিঠা/সন্দেশের ছাঁচে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিয়ে হালুয়া দিয়ে পছন্দ মত ফুল-পাতার রূপ দিন। পরিবেশনের সময় চাইলে বাদাম বা পাউডার সুগার ছিটিয়ে দিতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

160827122548_tamim_chowdhury_narayanganj_house_640x360_unk_nocreditস্বদেশ: পুলিশ কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন, ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মাস্টারমাইন্ড বা মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন এই বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান তামিম চৌধুরী – যিনি গতকাল নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশী অভিযানে নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক শহিদুল হক বলেছেন, তামিম চৌধুরী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীনের ‘নব্য’ অংশের নেতা।
তা ছাড়া কোনো কোনো গবেষকের মতে তিনিই ইসলামিক স্টেটের মুখপত্র দাবিক-এ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী শেখ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ। তাকে নিয়ে এর মধ্যে বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে রিপোর্ট বের হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটুকু জানা যায় তামিম চৌধুরীর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার পিতামাতা বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানিবাজারের বাসিন্দা ছিলেন, ১৯৭১এর পরে তারা কানাডা প্রবাসী হন। কানাডার ওন্টারিওর উইন্ডসর শহরে বড় হন তামিম এবং সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্নাতক ডিগ্রি নেন।
উইন্ডসরে যারা তামিমকে চিনতেন তারা তাকে ‘শান্ত স্বভাবের’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এর পর তিনি ক্যালগারি শহরে চলে যান এবং সম্ভবত সেখানেই ইসলামী উগ্রপন্থার সাথে জড়িত একটি গোষ্ঠীর সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয় – বলেন ডালহাউসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাকেন্দ্রের ফেলো অধ্যাপক অমরনাথ অমরাসিংগম।
অমরাসিংগম সিরিয়ায় যাওয়া কানাডীয় জিহাদিদের সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, সম্ভবত ২০১২ সালে তামিম চৌধুরী সিরিয়ায় যান। তার মতে, কানাডা থেকে অন্তত ১৮০ জন অন্য দেশে গিয়ে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সিরিয়ায় নিহতও হয়েছেন। অমরাসিংগম লিখেছেন, সরাসরি বলা না হলেও তথ্যভিত্তিক অনুমান করা চলে যে তামিম চৌধুরী এবং আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ একই লোক। পরের বছরই ২০১৩ সালের অক্টোবরে তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে আসেন। জানা যায়, তার আগে তিনি কানাডায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ‘হয়রানির’ শিকার হন।
বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী জামা’তুল মুজাহিদীনের একটি অংশকে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা যায়। উল্লেখ্য জেএমবিকেই বাংলাদেশের একমাত্র সহযোগী এবং ‘প্রকৃত জিহাদি সংগঠন’ বলে মনে করে ইসলামিক স্টেট – এ কথা একাধিকবার তাদের মুখপত্র ‘দাবিক’এর নানা নিবন্ধে লেখা হয়েছে। এ বছরই এপ্রিল মাসে ‘দাবিক’-এ এক সাক্ষাৎকারে আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ বলেন, তারা বাংলাদেশকে ‘ক্লেদ’ থেকে ‘পরিশুদ্ধ’ করার কাজ করছেন। ‘দাবিক’-এর ওই সাক্ষাৎকারে আল-হানিফকে বেঙ্গল-এ ইসলামিক স্টেট বা ‘খিলাফাহ’র সৈন্যদের আমির বা নেতা’ বলে পরিচয় দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ইসলামিক স্টেট ‘বেঙ্গল’কে কৌশলগত অবস্থানের কারণে খেলাফত ও বৈশ্বিক জিহাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং তারা জিহাদের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বার্মা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করতে চায়। দু’বছর আগে থেকে এ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে একাধিক আক্রমণের ঘটনায় সংখ্যালঘু, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, অধ্যাপক, সমকামী অধিকারকর্মী, এবং বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা হয়।
এর পর গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলায় জঙ্গীদের হাতে নিহত হন ১৭ জন বিদেশীসহ মোট ২০ জন। সেখানে পুলিশের অভিযানে আক্রমণকারীরা সবাই নিহত হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম চৌধুরীকে গুলশান ও শোলাকিয়ায় ঈদের দিনের হামলার পেছনে মূল ব্যক্তিদের অন্যতম বলে উল্লেখ করেন।
তাকে এবং সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াউল হককে ধরিয়ে দেবার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

খেলাধুলো: ফ্লোরিডায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলে ভারত।

রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন ধোনি-কোহলিরা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৪ রান। হাতে ৭ উইকেট।

ক্রিজে আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও খুনে মেজাজে থাকা লোকেশ রাহুল।

আইপিএলে দারুণ বোলিং করা আন্দ্রে রাসেল ১৯তম ওভারে বল হাতে আসেন। তার ওভারে ধোনি ও রাহুল মিলে ১৬ রান নেন। জয়টা তখন ভারতের হাতের নাগালে। কারণ, জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে তাদের প্রয়োজন ৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা মামুলি ব্যাপার।

বল হাতে আসেন ডোয়াইন ব্রাভো। তাকে খেলতে ধোনি ও রাহুলের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। তার পাঁচ বলে কোনোমতে ৬ রান নিলেন ধোনি ও রাহুল। জয়ের জন্য শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন। ১ রান হলে ম্যাচ চলে যাবে টাইব্রেকার তথা সুপার ওভারে। স্ট্রাইকে ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ধোনি। তার উপর ভারতের সমর্থকদের আগাধ আস্থা। আর যাইহোক ধোনি ভুলচুক করবেন না।

ব্রাভো বেশ সময় নেন শেষ বলটি করতে। আস্তে আস্তে দৌড়ে স্লোয়ার ডেলিভারি দেন। সামান্য উঁচু হয়ে আসা বলটি ধোনি স্লাইস করে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার প্লেসমেন্ট ভালো হয়নি। বল চলে যায় থার্ডম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা স্যামুয়েলসের কাছে। আগেরবার ধোনির ব্যাট থেকে ঘূর্ণি বেগে আসা বলটি হাত ফসকে গেলেও এবার আর সেই ভুল করেননি স্যামুয়েলস। বলটি ঠাণ্ডা মাথায় তালুবন্দি করেন। অবশ্য বলটি ধরতে তাকে কোনো বেগই পেতে হয়নি।

দৌড় শুরু করে ধোনি হতাশায় মুষড়ে গেলেন। ডাগআউটে ভারতের খেলোয়াড়রা দাঁত দিয়ে নখ কাঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর ব্রাভো তার জনপ্রিয় গান ‘চ্যাম্পিয়ন’ এর ছন্দে নাচতে শুরু করলেন। কারণ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তারা যে মাত্র ১ রানে জয় পেয়েছে। তাও আবার ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। টেস্টে যাদের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৪৫/২০ (লিউইস ১০০, চার্লস ৭৯; বুমরাহ ৪-০-৪৭-২)

ভারত : ২৪৪/২০ (রাহুল ১১০*, রোহিত ৬২; ব্রাভো ৪-০-৩৭-২ )

ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা : এভিন লিউইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সিরিজ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

F-02স্বদেশ: গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুর ঘটনার দুই মাস্টারমাইন্ডের একজন কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর টার্গেট এখন পলাতক মেজর জিয়া। গতকাল নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় ‘হিট স্ট্রং-টোয়েন্টি সেভেন’ নামের অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হয় তামিম। সম্প্রতি মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দফতর।
কে এই জিয়া : জিয়াউল হকের পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সর্বশেষ ব্যবহূত বর্তমান ঠিকানা পলাশ, মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীকে গ্রেফতারের পর এবিটির শীর্ষ সংগঠক, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। দেশে ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকসহ অন্তত নয়জনকে টার্গেট করে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন মেজর জিয়া।
আরও কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, আশপাশের দেশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গুপ্তহত্যাসহ নানা পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন তিনি। গত তিন বছরে তার তত্ত্বাবধানে এবিটির অন্তত আটটি স্লিপার সেল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সেলের সদস্য সংখ্যা চার থেকে পাঁচজন। সেই হিসাবে অন্তত ৩০ জন দুর্ধর্ষ ‘স্লিপার কিলার’ জঙ্গি তৈরি করেছেন মেজর জিয়া। তারাই ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করেছে। গোয়েন্দারা নিশ্চিত, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ডদের একজন হলেন এই জিয়া। মূলত সেনাবাহিনীতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পরই ২০১২ সালে আলোচনায় আসেন মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি।
জিয়াকে ধরতে সেই সময় পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় জিয়ার শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের বাসায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি স্থানেও জিয়ার খোঁজে চলে অভিযান। কিন্তু আজও জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেজর জিয়ার শাশুড়ি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হামিদা বেগম সেই সময় গণমাধ্যমকে জানান, জিয়া পটুয়াখালীর বাসায় কখনো আসেননি।
ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য সেই সময় সেনাবাহিনীতে মোট ৬টি তদন্ত আদালত কাজ শুরু করে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত আদালত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩ সদস্য করে ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটি তদন্ত আদালত তখন গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেজর জিয়া হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে জড়িত।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘ডন’-এর খবর অনুযায়ী, গত বছরের ৯ জানুয়ারি করাচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে এজাজসহ আল-কায়েদার চার জঙ্গি নিহত হয়। ওই খবরে এজাজ ওরফে সাজ্জাদকে একিউআইএসের কমান্ডার বলে উল্লেখ করা হয়। পরে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত গোয়েন্দারা এজাজ নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন। এজাজের মৃত্যুর পরে আনসারুল্লাহ নতুন নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয়। জসীমুদ্দিন রাহমানীর স্থলে তাত্ত্বিক নেতা হন পুরান ঢাকার ফরিদাবাদের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। আর সামরিক শাখার নেতৃত্বে আসেন মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472303024স্বদেশ: প্রেমঘটিত কারণে মেয়ের প্রেমিককে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক বাবা। নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার চকাবির গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের প্রেমিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বাবাকে আটক করে পুলিশ। এরপর প্রেমিকার বাবা মোহাম্মদ আলম পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর পুলিশ প্রেমিকার বাবাসহ স্কুলছাত্র আহসান হাবিব বিদ্যুতের খুনের সঙ্গে জড়িত অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজাম্মেল হক আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, শ্বশুরের লাশ পৃথিবীতে রেখেই প্রেমিকার বাবা মোহাম্মদ আলম নিজেই গলা কেটে স্কুলছাত্র বিদ্যুৎকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে একই গ্রামের বুলু, তছলিম এবং আমজাদ আলমকে সহযোগিতা করে।
জিজ্ঞাসাবাদের কথা উল্লেখ করে মো. মোজাম্মেল হক জানান, বদলগাছি উপজেলার কোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব বিদ্যুৎ চকাবির গ্রামে নানাবাড়ি থেকে বালুভরা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। একপর্যায়ে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলমের নবম শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের কথা মোহাম্মদ আলম সম্প্রতি জেনে গিয়েছিলেন।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলমের শ্বশুর মারা গেলে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই সেখানে চলে যায়। পরীক্ষার জন্য তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তখন বাড়িতেই ছিল। এ সময় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মেয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমিক বিদ্যুৎকে ডেকে আনে। এর মধ্যে কোনো কাজে বাড়ি ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলম। এসে মেয়ের শয়নকক্ষে অন্য কণ্ঠ শুনতে পেয়ে নিশ্চিত হন ঘরের মধ্যে কেউ আছে।
এরপর জোরপূর্বক মেয়েকে পাশের চাচার বাড়িতে রেখে আলম একই গ্রামের বুলু, তছলিম ও আমজাদকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুৎকে বের করে মাঠের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে বুলু পা এবং তছলিম ও আমজাদ দুই হাত এবং মাথা ধরে রাখে। পরে আলম ছুরি দিয়ে বিদ্যুৎকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর আলম তাঁর তিন সহযোগীর সঙ্গে বিল পার হয়ে হেঁটে শ্বশুড়বাড়ি চলে যান।
পরদিন সকালে বাড়ির পাশের মাঠে বিদ্যুতের লাশ পাওয়ার পর আলমের মেয়ে নিশ্চিত হয় যে তার বাবাই বিদ্যুৎকে হত্যা করেছেন। এরপর পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে এলে মেয়ে বাবার বিচার দাবি করে। মেয়ের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোহাম্মদ আলমকে আটক করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে খুনের বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁর জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডে অপর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest