বহির্বিশ্ব: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পরীক্ষার-নিরীক্ষার সময় রকেট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আগামী শনিবার বিশ্বের প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুকে’র প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে যাত্রা শুরু করার কথা ফ্যালকন-৯ নামে ওই রকেটের।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আর এতে যাত্রার আগেই ধ্বংস হয়ে যায় ফেসবুকের প্রথম স্যাটেলাইট। ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রকেটটি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, রকেটটিতে কোনো মানুষ ছিল না। আর এতে হতাহতেরও কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্পেস এক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জ্বালানি সরবরাহ করার সময় কোনো ‘অনিয়ম’ ঘটতে পারে।
বিস্ফোরণের কারণে বেশ দূরে থাকা ভবনগুলো কেঁপে ওঠে।
রকেটটি বিস্ফোরণের কারণে ধ্বংস হয়ে যায় স্যাটেলাইট অ্যামোস-৬। যার মাধ্যমে বিশ্বের প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুক’ আফ্রিকার এলাকায় ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বাড়াতে চেয়েছিল।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বর্তমানে আফ্রিকার কেনিয়ায় আছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাকারবার্গ জানিয়েছেন, তিনি ‘খুবই হতাশ’।
মেইল অনলাইন জানিয়েছে, ওই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আফ্রিকার ১৪টির বেশি দেশে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যেতে পারত। অ্যামোস-৬-এর মালিক স্পেসকম। আর ওই ইন্টারনেট স্যাটেলাইটে ফেসবুকের খরচ ছিল ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ফেসবুকে এ ব্যাপারে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি এখন আফ্রিকায় আছি। স্পেস এক্সের ব্যর্থতায় আমাদের স্যাটেলাইটের ধ্বংসের খবর শুনে আমি খুবই হতাশ। এটা এ মহাদেশের অনেক উদ্যোক্তাকে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসতে পারত।’
তবে অন্য সব কারিগরি দিকেও ফেসবুক কাজ করছে জানিয়ে জাকারবার্গ জানান, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞ তিনি। আর স্যাটেলাইট নিয়ে ভবিষ্যতে ফেসবুক কাজ করবে বলে জানান তিনি।
বিস্ফোরণের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার (নাসা) মুখপাত্র এল ফেইনবার্গ জানান, নাসা বিষয়টি তদারক করছে।