সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালাপুশব্যাক নয়, অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে–বিজিবির ভাসমান বিওপি উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালাসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক-অপসাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কথিত দখলদার কমিটির অপতথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদসমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গড়ার লক্ষ্যে কদমতলায় পথ সভাস্বপ্নসিঁড়ির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনমেলোডী শিল্পী গোষ্ঠীর কমিটির গঠনদেবহাটায় মহানবী (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করার মামলায় আটকশ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল শাখার অফিস উদ্বোধনগ্রামের কথা নিউজ পোর্টাল’র দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেককাটা

follow-up-nowpara
দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা সরকারি চাল আতœসাত ও বিক্রয় মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও,তাদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সরকারি সম্পত্তি আতœসাত ও বিক্রয় করায় পুলিশ বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের পর থেকে অপরাধীরা এলাকায় ছেড়ে আত্মগোপন করলেও পুনরায় আবার এলাকায় ফিরেছে। বাড়িতে, রাস্তাঘাটে, বাজারে, উপজেলার বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিভিন্ন চায়ের দোকানে অবস্থান করলেও পুলিশ যেন তাদের দেখেও দেখছে না। উল্লেখ্য যে, ০৭/০৯/১৬ তারিখে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গরীব, অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা চাল আত্মসাত করে বিক্রয় করার অভিযোগ এনে বাদী হয়ে ইউনিয়ন পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জামান বকুল বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি জমাদেন। পরদিন অভিযুক্তরা ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও ভুয়া প্রতিবাদ দিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি। ০৯/০৯/১২ তারিখে হাদিপুর এলাকায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের যোথ  প্রচেষ্টায় ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার হয় এবং ২ জন চাল ক্রেতাসহ মোট ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। ২ দফায় অভিযান চালিয়ে নলতা থেকে ৮ বস্তা চাল উদ্ধার হয়। পরে দেবহাটা থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৪০৯/১০৯ ধারায় ১০/০৯/২০১৬ তারিখে ৪নং মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার প্রধান আসামি চাঁদপুর গ্রামের মৃত দারবক সরদারের পুত্র উপজেলা বিআরডিপি’র চেয়ারম্যান ও তৎকালিন নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ২য় আসামি রামনাথ পুর গ্রামের রশির সরদারের পুত্র ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার, ৩য় আসামি বেজরআটি গ্রামের কামাল উদ্দীনের পুত্র ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আসমোতুল্লাহ আসমান, হাদিপুর গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী আকবর আলী দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে আত্মগোপন করে সাম্প্রতিক তাদের এলায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশ বাদী ঐ মামলায় আটক পরবর্তী কারাভোগ শেষে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছে বাকি দুই চাল ক্রেতা ফজলু ও মাসুম। এদিকে, তাদের এলাকায় ফিরে আসার পর সরকারি সম্পত্তি আতœসাত ও বিক্রয়করার শাস্তি না পেয়ে ছাড় পেয়ে যাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে হয়ত সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে পারে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে এসব এজাহার নামীয় আসামীদের আটক আটক পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

isamote-milon-malla
মীর খায়ারুল আলম: ভারত-বাংলা দুদেশের সীমানা জুড়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মীয় বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে বিজয়া দশমির বিসর্জন মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নানান জটিলতায় ৪ বারের মত এবারও বন্ধ হল দুদেশের মিলন মেলা। দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা না ভাসলোও নিজ নিজ সীমারেখায় ভাসবে আনন্দের ভেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। প্রতি বছরের এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় পাশাপাশি অবস্থিত প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং যাতে করে উভয় দেশের মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পারাপারসহ জঙ্গী সদস্যরা, সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দুষ্কৃতিকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের জাতীয় ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে ৪ বারের মত বন্ধ হল ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা। দিনটিতে নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণী ইছামতি নদীর বিস্তৃত জিরো পয়েন্ট এলাকা জুড়ে নৌযানে টহল জোরদার করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা। এবছর ধরে মোট ৪র্থ বারের ন্যায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে মিলন মেলার তরী না ভাসলেও নিজ নিজ সীমারেখার মধ্যে লিখিত অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই আনান্দ ভোগ করতে হবে বলে ইতোমধ্যেই পূজা উদযাপন কমিটির সভায় নীলডুমুর ১৭ বডার গার্ড ব্যটেলিয়ন (বিজিবি)’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে আর কখনো  দু’বাংলার মিলন মেলার তরী ভাসবে কি না এমন কোন আশা দেখছেন না স্থানীয়রা। তাছাড়া এদিনে, দায়িত্বরত অবস্থায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ পথ সহ সকল সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বরত থাকবে বলে জানিয়েছেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মামুন-উর রশিদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেবহাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পূজা মণ্ডপ থেকে দেবী দুর্গার প্রতিমা নিয়ে ইছামতি নদীর এই বিসর্জনাস্থলে আসতে যাতে ভক্তদের অসুবিধা না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। তবে উল্লেখ্য যে, বিগতবছর গুলোতে জেলা পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নানান জটিলতায় আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। এবিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি গোপাল কুমার, নারায়ন দাস, তপন কুমার বলেন, দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই সীমান্তের ইছামতি নদীর উভয় তীরে দুর্গা পূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মেলা বসে আসছে। দেশ বিভাগের পরও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সীমান্তের সীমারেখা। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এ মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সারা বছর ধরে শুধু ইছামতি নদীর পাড়ের মানুষ নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ দিনটির জন্যে থাকে অপেক্ষায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সন উপলক্ষ্যে ইছামতির উভয় পাড়ে বসে নানারকমের দোকান। আত্বীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ছাড়াও এখানে আসা মানুষ উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময় শেষে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় যে যার দেশে, যে যার ঘরে। বাঙ্গালীর জাতীর সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে সকলের মাঝ থেকে। আগামী প্রজন্ম হয়ত আর উপভোগ করতে পারবে না উৎসব মূখর এই আনন্দঘন দিনটি। দু-দেশের জটিলতায় হয়ত একদিন সকলের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে দিনটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া -১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, ১৭ বিজিবি’র অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গনি, বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, শামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আতিকুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, এন.এস.আইয়ে’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, এ.কে.এম আনিছুর রহমান, কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, শেখ শফিক উদ- দৌলা সাগর, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুতের ডিজি এম রেজাউল করিম খান প্রমুখ। জেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায়  সুষ্ঠভাবে শারদীয় দুর্গা উদযাপনে আলোচনা, ব্যাটারি চালিত ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সোনা পাচার বিষয়ে জব্দ মালামাল সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছেনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ১০ টাকা কেজি চাউল কার্ড তৈরিতে অনিয়ম ও বিতরণে অনিয়ম বিষয়ে দূর্নীতির ব্যবস্থা, সকল কওমী মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে, যানজট নিরসন, জঙ্গি তৎপরতা রোধ সংক্রান্ত, রাস্তাঘাট সংস্কার সংক্রান্ত, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলার থানা ওয়ারী মামলা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর ২০১৬ মাসে মামলা হয়েছে ২শ’ ৬৫টি এবং আগস্ট ২০১৬ মাসে মামলা ছিল ২শ’ ২৬টি। সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

27f0ea019fcbeac54ff363f37e69458d-image-0-02-06-bb2613794786cca9a148680d04ab05972bcd0e0431e94d56ddf4f5e4df3adf51-vt
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে আটক ও পরে মৃত  নিউ জেএমবি সদস্যের  নাম নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দুরীকরনে সাতক্ষীরা পুলিশ তৃণমূল পর্যায়ে তদন্ত শুরু  করেছে। শনিবার রাতভর সাতক্ষীরার সীমান্ত গ্র্রাম কুশখালিতে যেয়ে পুলিশ বাড়ি বাড়ি খোঁজ নেয়। এর আগে পুলিশের কাছে পৌঁছানো এক বার্তায় বলা হয় আশুলিয়ায় নিহত অর্থদাতা জঙ্গির নাম আবদুর রহমান। তার পিতার নাম আবদুল্লাহ। তার বাড়ি কুশখালি গ্রামে।  পুলিশ সেই ‘আবদুর রহমান’ বাড়ি খুঁজে পেতে তৎপর হয়ে ওঠে।
তদন্ত শেষে  সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান কুশখালির ভ্যানচালক আবদুল্লাহর ছেলের নাম  রাকিবুল ইসলাম (২৪)। আবদুর রহমান নামে তার কোনো ছেলে নেই। নিজ গ্রামের মক্তবে লেখাপড়া করে ভ্যান চালাতো রাকিবুল। বিএনপি সমর্থক পরিবারটির সদস্য  রাকিবুল হেফাযতে ইসলামে যোগ দেয়। সে এলাকায় খানিকটা দুর্ধর্ষ বলে পরিচিত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারির ঘটনাবলীর পর  একাধিক নাশকতার মামলা হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। বাড়ির সাথে তার যোগাযোগ কম। রাকিবুলের বাবা আবদুল্লাহ জানান তিনি একজন ভ্যান চালক। তিনি ভারতীয় গরুর রাখালও। তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম চট্টগ্রামে একটি লবন কারখানায় চাকুরি করে। আজ রোববার সকালেও তার সাথে তার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাকিবুল একা ভাই। তার মার নাম মর্জিনা খাতুন। দুই বোন হাসনুয়ারা ও রউফুনারা। আবদুর রহমান নামের কোনো ছেলে তার নেই বলে জানান আবদুল্লাহ। রাকিবুল অবিবাহিত বলেও জানান তিনি।
তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্যা বলেন, তার পিতার নাম গ্রাম সবই ঠিক আছে। শুধু নামেই সমস্যা। আমাদের ধারনা নিহত আব্দুর রহমানই সাতক্ষীরার রাকিব।
উল্লেখ্য: শনিবার রর‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির জানান, ‘আব্দুর রহমানের বাবার নাম আব্দুল্লাহ। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালি। সে আশুলিয়ার বাসায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে উঠেছিল। তার স্ত্রীর নাম রুবি। সেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই আব্দুর রহমান আর এক বিয়ে করেছিল। ওই স্ত্রীর গর্ভজাত এক মেয়ে রয়েছে। রুবির দুই শিশু ছেলে, আগের স্ত্রীর গর্ভজাত মেয়ে ও রুবিকে র‌্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে।’ র‌্যাব সূত্র জানায়, আব্দুর রহমানের সঙ্গে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহম্মেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে তাদের ধারণা। নব্য জেএমবির হয়ে সে মূলত ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে বিস্তারিত তথ্য জানা যেত। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, সে মজুদ রাখা ৩০ লাখ টাকাও জঙ্গিদের মধ্যে বিতরণ করতো। এর আগে সে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বলে র‌্যাবের কাছে তথ্য রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

27f0ea019fcbeac54ff363f37e69458d-image-0-02-06-bb2613794786cca9a148680d04ab05972bcd0e0431e94d56ddf4f5e4df3adf51-vtডেস্ক রিপোর্ট: আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে আহত হয়ে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতু্য হওয়া জঙ্গি আব্দুর রহমান ওরফে বাবু সাতক্ষীরার আব্দুল্লাহ এর পুত্র। তার গ্রামের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালিতে।
সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার। ছদ্মবেশ ছিল ঠিকাদারের। কিন্তু এর আড়ালে মূলত সে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ ও জোগান দেওয়ার কাজ করতো। তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে একটি তালিকা। সেখানে কার কাছে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তাও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরাসরি নাম ব্যবহার না করে লেখা রয়েছে ‘কোড’। কোড নামগুলোর পাশে কোথাও ৫০ হাজার কোথাও এক লাখ পরিমাণ টাকার অঙ্ক লেখা রয়েছে। এই ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান (৩৫)। শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থেকে তাকে নগদ টাকা ও অস্ত্র-গুলি, বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার মৃতু্য হয়। আটক করা হয়েছে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকেও।
র‌্যাব কর্মকর্তাদের ধারণা, কোডগুলো ছোট-ছোট একেকটি জঙ্গি দলের। সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী সে অর্থ সংগ্রহের পর নব্য জেএমবির সদস্যদের জন্য তা বিতরণ করতো। এসব অর্থ দিয়ে জঙ্গিদের দৈনন্দিন থাকা-খাওয়ার খরচসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরক কেনার জন্যও ব্যবহার করা হতো।
র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তার লেখা কোডগুলোর অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এসব অর্থ উদ্ধার করতে পারলে তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা যাবে।’a07b60e81580c1104adf1aba0dee0d9d-57f924dd6be48
র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল আব্দুর রহমান। পাঁচ তলা থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে। র‌্যাব পাহারায় তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ‘আশুলিয়ার বসুন্ধরাটেক এলাকার একটি বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকতো আব্দুর রহমান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর একটি যৌথ দল ওই বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আব্দুর রহমান ব্যাটারি দিয়ে জানালার গ্রিল ভেঙে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হলে র‌্যাব তাকে আটক করে। পরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরকদ্রব্য, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, অস্ত্র তৈরি ও চালনার ম্যানুয়াল, নাইট ভিশন ক্যামেরা, ধারালো অস্ত্র, একাধিক মোবাইল ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।’
র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির জানান, ‘আব্দুর রহমানের বাবার নাম আব্দুল্লাহ। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কুশখালি। সে আশুলিয়ার বাসায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে উঠেছিল। তার স্ত্রীর নাম রুবি। সেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই আব্দুর রহমান আর এক বিয়ে করেছিল। ওই স্ত্রীর গর্ভজাত এক মেয়ে রয়েছে। রুবির দুই শিশু ছেলে, আগের স্ত্রীর গর্ভজাত মেয়ে ও রুবিকে র‌্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
র‌্যাব সূত্র জানায়, আব্দুর রহমানের সঙ্গে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম আহম্মেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে তাদের ধারণা। নব্য জেএমবির হয়ে সে মূলত ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে বিস্তারিত তথ্য জানা যেত। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, সে মজুদ রাখা ৩০ লাখ টাকাও জঙ্গিদের মধ্যে বিতরণ করতো। এর আগে সে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা বিতরণ করেছে বলে র‌্যাবের কাছে তথ্য রয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, আব্দুর রহমান কিভাবে  অর্থ সংগ্রহ করতো তা জানার চেষ্টা চলছে। এসব টাকা বিদেশ থেকে আসতো নাকি দেশেই তাদের কোনও সমর্থক গোষ্ঠী দিতো তারও অনুসন্ধান চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শূন্য রানে ৫ উইকেট!

কর্তৃক Daily Satkhira

full_241681508_1475948346শূন্য রানে ২ উইকেট, ৫ রানে ৫ উইকেট কিংবা ১৫ রানে ৬ উইকেট পড়তে শুনেছেন। তাই বলে শূন্য রানেই ৫ উইকেট। হ্যাঁ এমন ঘটনাই ঘটল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড নারী দলের ম্যাচে।

শনিবার আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শূন্য রানেই শেষের ৫ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।

জয়ের জন্য তখন ৭৪ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩ রান। হাতে ৫ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতেও জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল!

নাটকীয় ম্যাচটা ১২ রানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড নারী দল।

কিম্বারলিতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাও হতাশার হলেও এক পর্যায়ে জয়ের পথেই হাঁটছিল প্রোটিয়ারা।

১৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। কিন্তু দলীয় ১১৫ রানে নিকের্ক (৩৭) ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার পরই ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার। স্কোরবোর্ডে আর একটি রানও যোগ করতে পারেনি কেউ! ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার স্যাটার্থওয়েট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91631602_02ade553-c524-46a0-8177-caeacf48867dভিন্ন স্বাদের সংবাদ: ভারতে এক কিশোরের পেছন দিকে গজিয়ে ওঠা একটি লেজ অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়েছে।
শরীরের নিচে অংশে পিঠের মেরুদ-ের কাছ থেকে বেরিয়ে আসা এই লেজটি ছিলো ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। ডাক্তাররা বলছেন, এই লেজটি ক্রমশই বাড়ছিলো। কিশোরের বয়স ১৮। তার বয়স যখন ১৪ তখন থেকেই হঠাৎ করে তার শরীরে এই লেজটি গজাতে শুরু করে।
ভারতের নাগপুরের এই কিশোরের পরিবার এই লেজের কথা শুরুতে গোপন রাখে। কারণ তারা ভয় পাচ্ছিলেন খবরটি জানাজানি হয়ে গেলে লোকেরা হয়তো তাকে নিয়ে মন্দ কথা বলতে পারেন। কিন্তু লেজটি যখন আরো অনেক বড় হতে শুরু করে তখন শেষ পর্যন্ত তারা একজন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। কারণ তখন আর লেজটিকে ঢেকে রাখা যাচ্ছিলো না। এছাড়াও লেজের ভেতরে তখন একটি হাড়ও জন্মাতে শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো মানবদেহে এটিই সবচে বড় লেজ।
ছেলেটির মা বলেছেন, লেজটি যখন শরীরে বাইরে বেরিয়ে পড়তে শুরু করলো তখন এটা খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। তিনি বলেন, “যখনই সে পোশাক বদল করতো তখনই তাকে লেজটিকে উপরে তুলে ধরতে হতো।”
“আমি দেখতে পাচ্ছিলাম লেজটা তার জন্যে খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছিলো। সেকারণে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ডাক্তাররা বলছেন, মেরুদ-ে সমস্যার কারণে এই লেজটি হয়তো ছেলেটি গর্ভে থাকতেই জন্মেছিলো কিন্তু সে বড় হওয়ার পরে সেটি বাইরে বেরিয়ে আসে। “যখন লেজটির আকার বড় হতে শুরু করে তখন এটি ছেলেটির শরীরের পেছন দিকেও চাপ দিতে থাকে,” বলেন চিকিৎসক প্রমোদ গিরি। শারীরিক ও মানসিক দুটো দিক থেকেই লেজটা তার জন্যে কষ্টের কারণ হয়ে উঠে, বলেন তিনি।
চিকিৎসকরা বলছেন, যদিও শরীর থেকে লেজ কেটে ফেলা খুব একটা কঠিন কাজ নয় তারপরেও এটা নিউরোসার্জনদের দিয়ে করাতে হয়েছে। কারণ এই লেজের সাথে স্পাইনাল কর্ডের একটা সম্পর্ক আছে। ছেলেটিকে এখন আগামী কয়েক দিনের জন্যে হাসপাতালে রাখা হবে। তারপরই সে বাড়ি ফিরবে, তবে এবার লেজ ছাড়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91630733_08-10-16-gazipur_jmbdeath-1ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর এবং টাঙ্গাইলে সোয়াট এবং র‌্যাবের অভিযানে একদিনে ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের একটি আস্তানায় বিশেষ বাহিনী সোয়াটের অপারেশন ‘স্পেট-এইটে’ নিহত হয়েছে নিউ জেএমবি প্রধান মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ফরিদুর রহমান আকাশসহ ৭ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক সোয়াট সদস্য। কাছেই আরেক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হয়েছে আরও দুই জঙ্গি। এছাড়াও টাঙ্গাইলের কাগমারা মির্জাঘাটে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে।

বগুড়ায় আটক এক জঙ্গি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, গাজীপুর শহরে অন্তত দুটি জঙ্গি আস্তানায় একে-ফোর্টি সেভেনসহ বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করেছে জঙ্গিরা। সেখানেই অবস্থান করছে নিউ জেএমবির নতুন প্রধান ফরিদুর রহমান আকাশ।

গাজীপুর:
গাজীপুর শহরের ভেতরে হাড়িনাল পাতারটেক এলাকায় দুটি আস্তানা সনাক্ত করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে কাজ করা ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেল (এলআইসি)।

সকালে বড় আস্তানাটি ঘিরে ফেলে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলে গোলাগুলি।

এর মধ্যে দফায় দফায় সংলাপ চলে পুলিশ ও জঙ্গিদের মাঝে। বিশেষ বাহিনী সোয়াটকেও ডাকা হয়। কমান্ডো অভিযান শুরুর আগে জঙ্গিদের জন্য খাবার ও পানি সরবরাহ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে প্রবেশপথে গ্যাস সিলিন্ডার বসিয়ে ব্যারিকেড দেয় জঙ্গিরা। গ্যাস গ্রেনেড নিয়ে শুয়ে পড়ে মেঝেতে। ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসে জঙ্গিদের পক্ষ থেকে। পরে কৌশল পাল্টে কমান্ডো অভিযান চালায় সোয়াট।

জঙ্গি অভিযানে নিহত আকাশসহ ৭ জনের লাশ ওই বাসার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের এডিশনাল এসপি সানোয়ার হোসেন বলেন, আপাতত এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি যে নিউ জেএমবির শক্তিমত্তা অলমোস্ট নাইনটি নাইন পারসেন্ট আমরা রিডিউস করে দিতে পেরেছি।

ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা শতভাগ জঙ্গি নির্মুল করতে পারিনি। দুয়েকজন হয়তো এদিক সেদিক রয়ে গিয়েছে। যারা এদিক সেদিক ছিলো তারা কিন্তু সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা নিচ্ছিলো এই আকাশের নেতৃত্বে। এটাই আমাদের ধারণা ছিলো।

গাজিপুর, টাঙ্গাইল এবং আশুলিয়ায় অভিযানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশাপাশি আরও কয়েকটা অভিযান হয়েছে। সেগুলোও সফল অভিযান হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের গোয়েন্দা ও পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সক্রিয়, সক্ষম ও দক্ষ। কাজেই মেজর জিয়া, লেফট্যানেন্ট জিয়া আমাদের কাছে বিষয় না। আমাদের কাছে বিষয় জঙ্গি জঙ্গিই। আমরা যেকোন মূল্যে জঙ্গি ধরার প্রচেষ্টা নিচ্ছি।

ওই অভিযান চলার সময়ে কাছের জোড় পুকুর পাড়ে আরেকটি জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ফেলে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। প্রায় একই সময়ে সেখানে আসে র‌্যাব। তাদের অভিযানে নিহত হয় দুই জঙ্গি। উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক। দুটি অভিযানে মোট ৯ জঙ্গী নিহত হয় বলে জানিয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।

টাঙ্গাইল:
একইদিন টাঙ্গাইলের কাগমারা মির্জাঘাটে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন র‌্যাবের দুই সদস্য। সেখান থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব জানিয়েছে, দুর্গাপূজা এবং আশুরায় জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।

টাঙ্গাইলের কাগমারায় আজাহার মুন্সির তিনতলা বাড়িতে জঙ্গিদের আস্তানা রয়েছে এমন খবরে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেসময় জঙ্গিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে বেশকিছু সময় ধরে গুলি বিনিময়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানায় র‌্যাব। জঙ্গিদের বড় ধরণের হামলার প্রস্তুতি ছিল বলেও র‌্যাব জানিয়েছে।

অভিযানে জঙ্গি আস্তানা থেকে ১টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest