সর্বশেষ সংবাদ-
দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটকবিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে

trump2-2-300x184আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিংশ শতাব্দীর মার্কিন কূটনীতিক দ্বিতীয় অ্যাডলাই ই. স্টিভেনসন। বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ ও কথার জন্য সুপরিচিত এই প্রাক্তন ইলিনয় গভর্নরের একটি উক্তি বেশ বিখ্যাত: “আমেরিকায় যে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে। এই ঝুঁকিটা তোমাকে নিতেই হবে” (In America, anybody can be president. That’s one of the risks you take.)। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই উক্তিটি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বারবার ঘুরে ফিরছে।

৮ নভেম্বরের নির্বাচনে মার্কিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনগণের ভোটে হিলারি এগিয়ে থাকলেও ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ট্রাম্পের পক্ষে বেশি পড়ায় তিনি জিতে যান। কিন্তু গণতন্ত্রের নামে হওয়া নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতে কোন ‘তন্ত্র’টি আসতে যাচ্ছে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

একনায়কত্ব প্রিয়তা

গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত এই রাষ্ট্রপ্রধান স্বৈরতন্ত্র ও একনায়ক হিসেবে পরিচিতদের খুব পছন্দ করেন এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশ্যে তাদের প্রশংসাও করেছেন। পাশাপাশি নিজ দেশের নেতাদের নিয়ে উপহাসও করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে বলেছেন, “তিনি নিজের দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি একজন নেতা, অন্তত আমাদের দেশে যেমন আছে তেমন না। নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে নিয়ে বলেছেন, “তাকে কৃতিত্বটুকু দিতেই হবে। তিনি যান, দখল করেন, নেতা হয়ে যান। অসাধারণ একটা ব্যাপার।” আর ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের প্রশংসা করে বলেন, “তিনি সন্ত্রাসীদের মেরেছেন কাজটা তিনি কত ভালোভাবে করেছেন। তার সরকার সন্ত্রাসীদের তাদের অধিকার পড়ে শোনায়নি!”

একনায়কদের ভালো লাগাটা এখানে মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হলো, ট্রাম্পের ভালো লাগে ‘একনায়কত্ব’। সবকিছুর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিতে আগ্রহী ব্যক্তি এবার হলেন গণতন্ত্রের কথা বলা একটি দেশের গণতান্ত্রিক নেতা।

সহিংসতায় ও বৈষম্যে আগ্রহী

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী র‌্যালিতে, বিতর্কে, ভাষণে বারবার মার্কিন সরকার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করার কথা বলেছেন। টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে জেলে পুরবেন তিনি। মানহানি আইন কঠোর করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমানো ছাড়াও নির্বাচনের আগে গেটিসবার্গে দেয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প জানান, তার বিরুদ্ধে যারা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১শ’ দিনের মধ্যেই সেই সব নারীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন।

প্রচারণা র‌্যালিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য ট্রাম্প তার সমর্থকদের উৎসাহ দিয়েছেন। এমনকি বলেছেন এ কারণে সমর্থকরা গ্রেফতার হলেও ট্রাম্প তাদের বের করে আনবেন। সেই ট্রাম্প জয়ের পর তার বিরুদ্ধে হওয়া আন্দোলনকে ‘অন্যায়’ বলেছেন। নির্বাচনে নিজে জয়ী না হলে ফলাফল মানবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এবং বিশ্বশান্তির কথা বলে আসা যুক্তরাষ্ট্র এমন এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে যিনি আমেরিকান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও একজন বিচারককে তার মেক্সিকান ঐতিহ্যের জন্য তিরস্কার করেছেন। প্রকাশ্যে বলেছেন, সেলিব্রেটি হলে নারীকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায়। এমনকি ন্যাটো ভাঙ্গার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সৌদি আরব ও জাপানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও উৎসাহ দিয়েছেন। আর এ সবই তিনি করেছেন নির্বাচনের আগে।

তারপরও ট্রাম্প

অথচ সবকিছুর পরও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প। অবশ্য সংবিধান অনুসারে, জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যদের সিদ্ধান্ত বদলানোর সুযোগ রয়েছে। সেজন্য ৩৪ লাখেরও বেশি মানুষের সইসহ কলেজ বরাবর একটি পিটিশন করা হয়েছে, যেন ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’র ফলাফল বদলানো হয়। তবে এখন আর সেই আশা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভালো দিক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাজারো দোষ ও নেতিবাচক দিক থাকলেও তার একটি ভালো দিক আছে বলে মনে করেন মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ভক্স’-এর প্রধান সম্পাদক এজরা ক্লেইন। আর সেটি হলো: ট্রাম্প কখনোই নিজের চরিত্র বা মনোভাব লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেননি। তিনি যা, তা-ই হয়ে সবার সামনে এসেছেন। যা মনে হয়েছে সেটাই বলেছেন। মুখে মেকি হাসি লাগিয়ে রাখেননি। যখন যেমন লেগেছে, তেমন উদ্ভট মুখভঙ্গি করে কখনো হাস্যকর, কখনো আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ভেতরে অভদ্র হয়ে ভদ্রতার মুখোশ পরেননি ট্রাম্প। এটাও তার পক্ষে ভোট এনে দেয়ার অনেক বড় একটা কারণ বলে মনে করেন ক্লেইনের মতোই আরও অনেক বিশ্লেষক।

রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড়?

ট্রাম্প বারবার বলেছেন অন্যান্য দেশ থেকে কোম্পানি গুটিয়ে দেশে ব্যবসা বাড়াবেন, দেশের বেকার মানুষগুলোর চাকরির ব্যবস্থা করবেন। প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম ভাষণেও এ কথা বলেন ট্রাম্প। প্রচারণার সময় আরও বলেন, অভিবাসীদের, বিশেষ করে মুসলিম অধিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ করে দেবেন। রোববার এক ঘোষণায় তিনি জানান, ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে তাৎক্ষণিকভাবে দেশ থেকে তাড়াবেন।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার ট্রাম্পকে বেছে নেয়ার পেছনে কারণ হলো লম্বা একটি সময় ধরে চলে আসা অর্থনৈতিক যন্ত্রণা, জনগণের মাঝে অস্থিরতা ও এলিটগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ। অন্তত ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিষয়গুলো প্রবলভাবে কাজ করেছে। এসব জটিলতার ফল হিসেবেই প্রেসিডেন্টের গদিতে চড়তে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই ব্যাখ্যাকে মেনে নিলে বলা যায়, ট্রাম্প হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের মতোই একটি ‘রাজনৈতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ’-এর নাম। একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে যেমন সঠিক পরিমাণ বায়ুপ্রবাহ, তাপমাত্রা আর আর্দ্রতা দরকার, ট্রাম্প নামের একজন মানুষ প্রেসিডেন্ট হতেও তেমনি দরকার হয় ওপরের ব্যাখ্যাটির মতো পরিস্থিতি।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যেসব বিতর্কিত বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হয়ে সেগুলোর সব বাস্তবায়ন শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে, অর্থাৎ ‘ট্রাম্প ঘূর্ণিঝড়’-এ ক্ষতি বেড়ে গেলে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে (অভিসংশন করে) তাকে রিপাবলিকানরাই সরিয়ে দেবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মার্কিন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অ্যালান লিটম্যান।‌

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের অর্থ দাবি ভিত্তিহীন, উল্টো বাংলাদেশই তাদের কাছে টাকা পায় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সচিবালয়ে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যেহেতু বাংলাদেশই তাদের কাছে টাকা পায়। সেই দাবিতে বাংলাদেশ যেন সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য এমন কথা বলছে তারা।

মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ টেনে তিনি আরো বলেন, ৭১ সালে তারা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। এদেশের অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি সাধন করেছে। পাশাপাশি ৭১ সালের আগে যেসব মিল কারখানা তারা চালাতো সেসব থেকে যতো আয় হতো, তার কোনো কিছুই বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যয় না করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিত। তাই এখন বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের এমন অর্থ দাবি মিথ্যা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা (৯.২১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রূপি) টাকা পাওনা আছে দাবি করে তা ফেরত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে তারা।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ৭১ পূর্ববর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের কাছে পশ্চিম পাকিস্তানের যে অর্থ পাওনা ছিল তা বর্তমানে ৭০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত পাওনা নিরুপণ করা হয়েছে।

স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) দেশটির সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে তাদের বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে পাওনা নির্ধারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসবিপির হিসাবে, বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে মোট ১ হাজার ৫২৫ কোটি রুপি পাবে পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে ৭০০ কোটি আর ভারতের কাছে পাবে ৬০০ কোটি রুপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

898989স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএল ২০১৬ আসরের প্রথম পর্ব অর্থাৎ ঢাকা পর্বের প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষ হয়েছে। প্রথম পর্বের খেলা শেষে বিপিএল চতুর্থ আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল ঢাকা ডায়নামাইটস পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

প্রথম পর্বের বিপিএলে রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্স ছাড়া বাকি পাঁচটি দলের প্রত্যকে চারটি করে ম্যাচ খেলেছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জয়ের দেখা না পেলেও বাকী সবগুলো দলই চলতি আসরে জয়ের স্বাদ পেয়েছে।

যার মধ্যে ঢাকা ডায়নামাইস, বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটান্স পেয়েছে সবচেয়ে বেশী জয়ের দেখা। চার ম্যাচ খেলে দলগুলো ইতোমধ্যে তুলে নিয়েছে তিনটি জয়। তবে নেট রান রেটে ( + ১.৬৫৭) এগিয়ে থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। তাঁদের পরবর্তি স্থানে -০.১২ নেট রান রেট নিয়ে রয়েছে বরিশাল বুলস। সমান জয় পেলেও নেট রান-রেটে পিঁছিয়ে থেকে তালিকার তৃতীয়স্থানে রয়েছে খুলনা টাইটান্স। টাইটান্সদের নেট রানরেট -০.৭০৯।

চলতি আসরে তিন ম্যাচ খেলে দুই জয় তুলে নেওয়া রংপুর রাইডার্স আছে এ তালিকার চতুর্থস্থানে। আর তাঁদের পরবর্তি অবস্থানে আছে রাজশাহী কিংস ও চট্টগ্রাম ভাইকিংস। উভয় দলের প্রত্যেকেই জিতেছে একটি করে ম্যাচ।

তবে গত আসরে চমক দেখিয়ে মাশরাফি মুর্তজার নেতৃত্বে দাপুটে ক্রিকেট খেলে প্রতিপক্ষদের দাঁড়াতে না দিয়ে জয় তুলে নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রথম অংশগ্রহনে শিরোপা অর্জন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চলতি আসরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ হওয়ায়, এখনো পর্যন্ত জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। চার ম্যাচের মধ্যে সবকয়টি ম্যাচ হেরে তাই তালিকার তলানিতেই আপাতত অবস্থান করছে ভিক্টোরিয়ান্সরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

orthঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বয়স অনেক হয়ে গেছে। তাই আর সর্বোচ্চ ২ বার বাজেট ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শিশুদের বাজেট পাঠ সহায়িকা শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, শিশুদের বাজেট পাঠ সহায়িকা বইটি অনেক সহজবোধ্য করে লেখা হয়েছে, যা শিশুরা অনেক সহজে বুঝতে পারবে। এক্ষেত্রে অনেক শিশু বাজেট এক্সপার্ট হয়ে উঠেবে। যাতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়বে। তবে আমি সে সুযোগ বেশি দিন দেব না।

১৯৮১-৮২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বাজেট ঘোষণা করার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ওই সময় বাজেট ঘোষণা হত ১৫-১৬ পৃষ্ঠার। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এখন ১০০ পৃষ্ঠার বাজেট ঘোষণা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7বিনোদন ডেস্ক: নিখোঁজ থাকা চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ফিরছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। তার ফেরার গুঞ্জন নিয়েও ছড়াচ্ছে ডালপালা। যার পুরোটাই রয়েছে শাকিব খানকে ঘিরে! কেউ কেউ আবার বলছেন, মা হয়েছেন অপু!

নবজাতক সন্তানকে নিয়ে কলকাতাতেই নাকি অবস্থান করছেন তিনি। তাই সন্তান বড় না হওয়া পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন অপু। আর শাকিব যদি মেনে নেন তাহলে খুব শিগগিরই সন্তান নিয়েই দেশে ফিরবেন।

এদিকে অপু বিশ্বাসের কারণে বদলে গেল সিনেমার গল্প। ২০১৪ সালে জি সরকারের পরিচালনায় শুরু হয়েছিল ‘লাভ ২০১৪’ সিনেমার শুটিং। নির্মাতার চিন্তা ছিল ওই বছরই ছবিটি মুক্তি দেয়ার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সিনেমাটির কাজ শেষ না হওয়ায় এর নাম পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম ঠিক করা হয় ‘লাভ ২০১৫’।

নাম পরিবর্তন হলেও ২০১৫ সালেও এর কাজ সম্পন্ন হয়নি। এই সিনেমার কাজ শেষ না হওয়ার জন্য সিনেমাটির নায়ক শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের নামে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন পর কয়েকদিন আগে আবারও তিনদিন শুটিং হয়েছে সিনেমাটির। এই শুটিংয়ে শাকিব খানের থাকার কথা থাকলেও তিনি ক্যামেরার সামনে হাজির হননি। হাজির হয়েছিলেন সিনেমাটির অন্যতম অভিনেতা মিশা সওদাগর।

চলতি মাসের শেষের দিকে এর শুটিং আবার শুরু হতে যাচ্ছে। সেসময় শুটিংয়ে শাকিব খান হাজির হবেন বলে নিশ্চিত করেছেন এর নির্মাতা জি সরকার।

অপুর বাকি যে কাজ ছিল সেটা একেবারে বাদ দিয়ে গল্পের একটু পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান নির্মাতা। অপুর সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। সূত্র: যুগান্তর

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hassinnaনিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ুর প্রভাবে যে অভিবাসন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেটি সমাধান করতে না পারলে আমরা এসজিডির লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। গত বছর প্যারিসে যে ঐতিহাসিক জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা এখন বাস্তবায়নের সময় এসেছে।

মঙ্গলবার মরক্কোর বাব ইগলিতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২২) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন নামে পরিচিত কপ-২২-এর এই বৈঠকে বাংলাদেশসহ ১১৫টি দেশের ৮০জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সিনিয়র মন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন।

এসময় তিনি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে জলবায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট অভিবাসন সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। বিশ্বকে নিরাপদ করতে ও আগামী প্রজন্মের জন্য উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আমাদের সমানভাবে দায়িত্ব নিয়ে অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে সর্বপ্রথম ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট গঠন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো জলবায়ু সম্পৃক্ত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জন করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5987_1বিশেষ ডেস্ক: পুরুষের শার্টের বোতাম খোলা-লাগানোর ব্যবস্থা থাকে ডানদিকে আর নারীর শার্টে থাকে ঠিক তার উল্টো অর্থ্যাৎ বাঁমে। কিন্তু কেন এমন থাকে? এ ব্যাপারে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে। আছে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। জেনে নিন এমন কিছু যুক্তি যা নিয়ে হয়ত কখনোই ভাবা হয়নি-

নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যে কোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো। এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন। তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তাঁরই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়।

পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরে এসেছেন। তা তিনি রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তাঁরাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখাই দস্তুর।

রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তলোয়ার। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে।

আর নারীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়।

পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয়। সেই তলোয়ার গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তলোয়ার যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে।

আরো একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিতভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন।

দর্জিকে একসঙ্গে নারী-পুরুষের জামা বানাতে হত। পুরুষ ও নারীদের জামা যাতে মিশে না যায়, চট করে আলাদা করে নেওয়ার সুবিধার জন্যই এ ব্যবস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একটি ম্যাচেও হারেনি ব্রাজিল। আটটি ম্যাচে মাঠে নেমে ২টিতে ড্র করেছে। আর জিতেছে ছয়টিতে। সর্বশেষ আজ সকালে পেরুর বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-০ গোলে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটা তাদের টানা ষষ্ঠ জয়। আর পেরুর বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়। প্রথম দেখায় পেরুকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল সেলেকাওরা।

এ জয়ের ফলে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল ব্রাজিল। ১২ ম্যাচের ৮টিতে জয়, ৩টিতে ড্র ও ১টিতে হার নিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উরুগুয়ের সংগ্রহ ২৩ পয়েন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest