সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়তালার কপোতাক্ষ নদীর চর থেকে রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি :ইমদাদুল সম্পাদকআসুন! নতুন স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করি -ডা: গালিবদেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাসাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা : প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদানতারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গণসমাবেশসাতক্ষীরা বোটানীক্যাল সোসাইটির হেমন্তকালীন পরিবেশ আড্ডা

বুধহাটা(আশাশুনি)প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় সাপের কামড়ে মরিয়াম (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে আগরদাড়ী গ্রামের নূর ইসলাম সরদারের কন্যা। জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মরিয়াম ও তার মা ঘরের ভিতরে  ঘুমায়ে ছিলো হঠাৎ গভীর রাতে শিশুটি চিৎকার দেয়। এসময় তার পরিবার সাপের কামড় দিয়েছে বুঝতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগেই শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ফিরোজ হোসেন॥ দিলরুবা’র দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ “মনমাঝি” প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে লিনেট ফাইন আর্টস একাডেমি সাতক্ষীরার আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণলয়ের উপ-পরিচালক মঈনুল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব অরুন কুমার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আবদুল সাদী, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরীমোহন সরকার, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাবেক উপাধ্যক্ষ নিমাই চন্দ্র, এনডিসি আবু সাঈদ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা পারভীন, সহকারী কমিশনার সাদিয়া আফরিন, বিবি খাদিজা, আফসানা কাওসার, আবু আফফান রোজ বাবু, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কবি কাজী ওলিউল্লাহ, কবি ও সাহিত্যিক পল্টু বাসার, মনমাঝি কাব্যগন্থের লেখক দিলরুবা, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, মোসফেকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। এসময় দিলরুবা লিখিত কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফুটবল রেফারী তৈয়ব হাসান বাবু। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে দেশে অপতৎপরতা চলছে। বর্তমানে কোন ভালভাসা দেশপ্রেম প্রকৃতিপ্রেম নেই। দেশের এর অবস্থা থেকে মানুষকে শান্তির পথে আনতে সংস্কৃতির চর্চার কোন বিকল্প নেই। Mopic

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান  ঃ উপর্যুপরি  ধর্ষনের শিকার হয়ে নীরবে মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন খুলনার এক নারী।  অভিযোগ করা তো দুরের কথা নিজের মানসিক যন্ত্রনার কথা একটি বারও কারও সাথে বলার সুযোগ পেলেন না তিনি । তার আগে এক জনপ্রতিনিধি পুলিশের সহায়তায় ধর্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থানা পুলিশ ও বিজিবির ভয় দেখিয়ে গ্রাম থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তাকে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দক্ষিণ তলুইগাছায়। ধর্ষিতা নারী ভারত থেকে চোরাপথ দিয়ে পার হয়ে সাতক্ষীরার তলুইগাছায় আসার পর এ ঘটনার মুখে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামবাসীরা জানান, ৩৩ বছর বয়সী খুলনার ওই নারী ভারতের তারালি এলাকা থেকে পাচারকারীদের মাধ্যমে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসেন। সন্ধ্যায় তাকে পাচারকারীরা তলুইগাছার চোরাচালানি আবদুল আহাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আহাদ, তার সঙ্গী ইয়ারুলসহ তিনজন ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ‘এ কথা সবাইকে জানিয়ে দেবো’ বলতেই ধর্ষকরা তাকে  ভয়ভীতি দেখিয়ে আহাদের বাড়ি থেকে রাস্তায় বের করে দেয়। রাত তখন ৯টা।
এদিকে অজানা অচেনা হওয়ায় দিশেহারা নারী রাস্তায় যখন কাঁদছিলেন তখন খবর যায় বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুস সামাদের কাছে। সামাদ ওই নারীর কাছ থেকে সব কথা শোনেন। এ সময় তিনি ধর্ষকদের ডেকে পাঠান । দুই পক্ষকে মুখোমুখি বসিয়ে কথা বলার পর ধর্ষনের অভিযোগ প্রমানিত হতেই তিনি ধর্ষকদের কাছ ঘুষ দাবি করেন। অন্যথায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ারও  হুমকি দেন তাদের। একই সময়ে তিনি বিষয়টি পুলিশের এসআই আবুল কালামকে জানিয়ে তাকে ম্যানেজ করে নেন। এর পর তাদের দুজনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নেন সামাদ। পরে ওই নারীকে একই গ্রামের জামিলা খাতুনের বাড়িতে রাতে রেখে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল হতেই তাকে তিনি এক মুহুর্ত দেরি না করে ইচ্ছা মতো চলে যাবার নির্দেশ দেন। অন্যথায় পুলিশ কিংবা বিজিবি তাকে গ্রেফতার করবে এই ভয় দেখান।  ইউপি সদস্যের মুখে এই কথা শুনে ভয়ে ওই নারী সকালে তলুইগাছা ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ বলেন, রাত ৯ টায় আমি ওই নারীকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেছি । তার আকুতি  অনুযায়ী আমি তাকে  রাতে  স্থানীয় জামিলা খাতুনের বাড়িতে রেখে দেই। সকালে আমি তাকে তার গন্তব্য চলে যাবার কথা বলেছি। তাকে ধর্ষন করা কিংবা গা ঢাকা দিতে ধর্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তেমন কিছু না । তবে তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছে সব অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন ‘২০ হাজার টাকা নিয়েছি’।
তবে গ্রামবাসী বলছেন, ইউপি সদস্য সামাদ ধর্ষকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভারতের পাচারকারীদের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে সকালে সেখানেই তাকে পাঠিয়ে দেন। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে সদর থানার এসআই আবুল কালাম বলেন, আমি এ ঘটনাটি মেম্বরের কাছ থেকে শুনেছিলাম।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, অভিযোগটি তিনি আমলে নিলেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আরো জানান।

০২.০৯.১৬

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rabঅপ্রতিম: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রায় যে কোন সময় কার্যকর হতে পারে। ইতোমধ্যে কাসিমপুর কারাগার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির জল্লাদও প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিকালে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন মীর কাসেম আলী। পরে বিষয়টি আইজি প্রিজন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।  যেহেতু তিনি প্রাণভিক্ষা চাননি তাই তার ফাঁসি কার্যকরে এখন আর কোন বাঁধা নেই। এখন কারা কতৃপক্ষ সুবিধাজনক সময়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করবে। গতকাল সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে কাসিমপুর কারাগারের সামনে। সাদা পোষাকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেদিনই ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে রায় কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১০ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে দুটি অভিযোগে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার বৈকারী ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার বই বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি

সাতক্ষীরার বৈকারী ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার বই বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: “শেখ হাসিনার মমতা- বয়স্কদের জন্য নিয়মিত ভাতা’ ‘বিধবা ভাতার প্রচলন শেখ হাসিনার উদ্ভাবন’ প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান শেখ হাসিনার অবদান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবর্ণ নাগরিক হিসেবে পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান মো.আসাদুজ্জামান অসলে’র সভাপতিত্বে ভাতা ভোগীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাতা বই ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবর্ণ নাগরিক হিসেবে পরিচয় পত্র বিতরণ করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ দেশে কোন সরকার প্রত্যান্ত অঞ্চলে অসহায় মানুষের কথা ভেবে এ ধরনের ভাতা পদ্ধতি চালু করেনি। আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের সরকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেক হাসিনা বাঙালী জাতির ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হক, কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফসার আলী দফাদার, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, প্রভাষক আফাজ ইদ্দিন, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মফিজুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৪৩ জন বয়স্ক বিধবা  ২৪ জন ভোগীদের প্রত্যেক কে এককালীন ৪৮০০/- এবং ৩৩ জন প্রতিবন্ধীদের প্রত্যেককে ৬০০০/- টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। এছাড়া ২৩০ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে দেশের  সুবর্ণ নাগরিকের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ৩১৮ গ্রাম স্বর্ণেরবারসহ আলিউজ্জামান নামে এক স্বর্ণ চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আলিউজ্জামান কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্ত এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
বিজিবির তলুইগাছা ক্যাম্প অধিনায়ক সুবেদার আবুল কাসেম জানান, সাতক্ষীরার তুইগাছা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের একটি বড় চালান পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে টহলরত হাবিলদার আকরাম হোসেনসহ বিজিবি সদস্যরা একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে মটর সাইকেলসহ তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিজিবি। পরে তার মটরসাইকেলটির টুলবক্স, সিটসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৬ কেজি ৩১৮গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এসময় বিজিবি স্বর্ণচোরাকাবারী আলিউজ্জামানকে আটক করে। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারের বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
আটক আলিউজ্জামান বিজিবিকে জানিয়েছে, যে সে এই সোনার বাহক মাত্র। কলারোয়ার কেড়াগাছির সোনা চোরাচালানি মহিদুল মেম্বর, রুস্তম আলি ও ফিরোজ হোসেন তার কাছে সকালে এই সোনা ভারতে পার করে দেওয়ার জন্য দিয়েছেন। তিনি জানান মোটর সাইকেলে এই সোনা কেড়াগাছি  ঘাটে নিয়ে যাবার পর সোনাই নদীতে গোসল করার নামে তার স্ত্রী ভারতের তারালির সোনা চোরাচালানি তাপসের স্ত্রীর হাতে তুলে দেবে বলে কথা ছিল। এ জন্য তার মজুরি বাবদ কেড়াগাছি ইউপি মেম্বর মহিদুল তাকে এক হাজার টাকাও দিয়েছেন বলে আরো জানান আলিউজ্জামান।
এদিকে, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা যায়।
সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ লোকমান হামিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesঅপ্র‌তিম: সাতক্ষীরা তলুইগাছা সীমান্ত থে‌কে আজ শুক্রবার সকা‌লে ১৬ কে‌জি ৩১৬ গ্রাম সোনা ও এক‌টি মটরসাই‌কেলসহ এক পাচারকারী‌কে আটক ক‌রে‌ছে সাতক্ষীরা ৩৮ বি‌জি‌বি।

আটক ব্য‌ক্তির নাম আ‌লিউজ্জামান। সে কেড়াগাছী গ্রা‌মের শ‌ফিকু‌লের পুত্র। আ‌লিউজ্জামান উক্ত সোনা ভার‌তে পাচা‌রের উ‌দ্দে‌শ্যে নি‌য়ে যা‌চ্ছিল। আটককৃত মটর সাই‌কেল‌টির নম্বর সাতক্ষীরা হ-১২৮০৫৮।

তলুইগাছা বি‌জি‌বি ক্যা‌ম্পের কমান্ডার সু‌বেদার আবুল কা‌শেম ‌ডেই‌লি সাতক্ষীরা‌কে এর সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

 

‌বিস্তা‌রিত প‌রে আস‌ছে…

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার মাধবকাটি বাজার থেকে ছয়ঘরিয়া ভোবার বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি.রাস্তা যানবাহন ও লোক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী, শিশু, চাকুরিজীবি, দিনমজুর,  কৃষক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের এই রাস্তার সাথে রয়েছে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। বলাডাঙ্গা, ছয়ঘরিয়া, অমরাবতী, ছাতিয়ানতলা, দত্তবাগ, দেবনগর সহ আরো ৫ – ৬ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এরাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে  যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল উদ্দীন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাস্তাটি সংস্কার করবে বলে এলজিইডি সুত্র থেকে জানা গেছে। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করবে। ইউনিয়ন পরিষদের পর্যাপ্ত বাজেট না থাকার কারণে এটি পরিষদের উদ্যোগে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি বাংলাদেশ বেতারের কবি ও নাট্যকার ডা. মো. সামছুজ্জামান দৈনিক ‘আজকের সাতক্ষীরা’কে জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য যে পরিমান অর্থের  প্রয়োজন, সরকারি তহবিল থেকে বরাদ্দ হয় তার চেয়ে অনেক কম। এজন্য অল্প বাজেটে দায়সারা ভাবে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার ফলে রাস্তাটিতে দেয়া নিম্নমানের পিচের প্রলেপটি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শরিফুজ্জামান ময়না বলেন, এলাকাবাসির সুবিধার জন্য রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গায় ইট ও রাবিশ দেয়া হয়েছে। ছয়ঘরিয়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও ছয়ঘরিয়া মন্দিরের সামনে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। যা দ্রুত সংস্কার করা না হলে এলাকাবাসির সমস্যার অন্ত নেই। এছাড়া বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্ত সহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তার কিছু কিছু জায়গা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভ্যান, নছিমন, সাইকেল, মোটরসাইকেল সহ অন্নান্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। স্থাণীয় কৃষকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পন্য পরিবহনের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই এলাকার পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয়নি। জরাজীর্ণ রাস্তাটি এভাবে আর কত দিন অবহেলিত থাকবে নাকি অচিরেই সংস্কার বা পুন:নির্মাণ হবে এ প্রত্যাশায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসি।A (Large)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest