প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমানকে চাঁদা না দেওয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহ গোলাম ইদ্রিসের ছেলে ও জেলা আওয়ামী যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মন্টু এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নানার বাড়ির ফারায়েজ সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান তার কাছে দু’দফায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তিনি ওই জমিতে তাদের উঠতে দেবে না বলে হুমকি দেন। পরে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ২০.৯.১৬ তারিখ সকাল ১০টায় ওসি গোলাম রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মিজানুর রহমান মন্টুর বাড়িতে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মা ও স্ত্রীকে গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই সময় এএসআই রিয়াজ আহমেদ তার বড় ছেলে মাহিম শাহকে মারধর করে। কনস্টেবল জাহাঙ্গীর ও মিজান তার ছোট ছেলে ফাহিম শাহকে লাথি মেরে খাটের ওপর থেকে ফেলে দেয়। একই সময়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা ঘরের তোশকের নিচ থেকে ৭৬ হাজার টাকা, মটর সাইকেল, দুটি স্বর্ণের কানের দুল, তিনটি স্বর্ণের চেইন ও দুটি হাতের রুলি লুট করে নিয়ে যায়। এরপরও ক্ষ্যান্ত হয়নি ওসি। তিনি মিজানুর রহমান মন্টুকে অন্যের দায়ের করা একটি অপহরণ ও একটি চাঁদাবাজির মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ওসিকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

chamber
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের সাথে আয়কর বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা চেম্বার অব কামার্সে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার ইকবাল হোসেন। কর অঞ্চল খুলনার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, আয়কর আইনজীবী সমিতির এড. সামসুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,  চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান মুকুল, পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল, সহিদুল হোসেন, জি.এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সৈয়দ শাহিনুর আলী, শেখ কামরুল হক চঞ্চল, গোলাম আজম জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দেশ ও জাতিকে উন্নত করতে আয়করের বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়নে আয়কর যথাসময়ে পরিশোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে  সমৃদ্ধির সোনালী দিন আনতে সকলকে সঠিক সময়ে আয়কর প্রদান করার আহ্বান জানান বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল রাস্তায় চলাচলকারি মোটর চালিত রিক্সা ও ভ্যানের নিবন্ধন ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার দুপুর ১২টায় তারা সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতির কাছে এ স্মারকলিপি পেশ করে। এ সময় কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বা স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে শহরের প্রায় দু’ হাজারের বেশি ভ্যান চালক তাদের গাড়িতে মোটর লাগিয়েছেন। প্রতিদিন রোজগার করে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধের পাশাপাশি সন্তানদের লেখাগড়া খরচ, চিকিৎসা ও সংসার খরচ নির্বাহ করতে হয়। এহেন এক পরিস্থিতিতে গত রমজানের ঈদের আগে কোন বিকল্প ব্যবস্থা না করেই শহরে ও বিভিন্ন উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারি চালিত ভ্যান ভাঙচুরের পাশাপাশি চালকদের মারপিট করতে শুরু করেন। এতে যোগ দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও ইজি বাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সাংসদ আ.ফ.ম রুহুল তকসজ কয়েকজনের আন্তরিকতায় রমজানের ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ওইসব যানবাহন চলাচল আবারো শুরু করা হয়। এরপর থেকে তারা ভালই ছিলেন। কিন্তু প্রশাসন সম্প্রতি মাইকিং করে আবারো ওইসব গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। শনিবার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তায় কয়েকটি ভ্যান ভাঙচুর করা হয়। ফলে ভ্যান চালকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তারা ব্যাটারি ভ্যান বন্ধ করে  দিতে বাধ্য হয়। এ মতাবস্থায় তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সম্মিলিত পেশাজীবি সংগঠনসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এরই অংশ হিসেবে তারা রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের কাছে সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেছেন। সাতদফা দাবির মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে পৌরসভাধীন সকল রাস্তায় চলাচলকারি অটোভ্যান বা রিক্সা নিয়ন্ত্রণের লক্ষে নিবন্ধন প্রদান করতে হবে। সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পৌর রাস্তায় চলাচলকারি সকল অটো ভ্যান বা রিক্সার উপর পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে অটোভ্যান বা রিক্সা চালকদের স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ ও পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। অটোভ্যান বা রিক্সার নিবন্ধন ও পরিচয়পত্রের বিপরীতে সহনীয় মাত্রায় ফি বা কর নির্ধারণ করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করতে হবে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায়/কর্ণারকে চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট সংখ্যক অটো থেকে ভ্যান বা রিক্সা স্ট্যাণ্ড নির্ধারণ করতে হবে। শহরের রাস্তা প্রশস্তকরণের লক্ষে অবৈধভাবে দখলকৃত ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারি চলাচল নির্বিঘœ ও জানজটের নিরসন এবং একটি নীতিমামলা প্রণয়ন করে অটো ভ্যান বা রিক্সার উপযোগী নির্মাণ কাঠামো নির্ধারণ, গতিবেগ ও সীমা নিয়ন্ত্রণ করে শব্দ দুষণ ও দুর্ঘটনা এড়াদে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (ইনু) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জেলা নাগরিক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক আনিছুর রহিম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা সদর শাখার সভাপতি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি নিত্যানন্দ সরকার, সমন্বয়কারি অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, শ্রমিক নেতা হারুণ অর রশিদ, সিপিবি’র সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ। স্মারকলিপি পাওয়ার পর পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, গরিব মানুষের হক রক্ষায় তিনি প্রশাসনের সকল স্তরে কথা বলবেন। তবে বিষয়টি নিয়ে যাতে একটি সুন্দর সমাধানে আসা যায় সেজন্য সকলকে গঠণমুলক আলোচনায় বসতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1-large
মীর খায়রুল আলম: দেবহাটা উপজেলার প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু এলাকা জুড়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত, প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক বাতি থাকার সত্বেও বাতি জ্বলে না ৩ মাস। দেবহাটা উপজেলার মোট ৩৫ টির বেশি ল্যাম্পপোষ্ট গুলোতে তার ও বাল্ব অক্ষত থাকলেও সামান্য এুটিতে ৩ মাসের বেশি সময় ধরে আঁধারে রয়েছে গোটা উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বিভিন্ন দপ্তরসহ গোটা প্রাশাসনিক কেন্দ্র বিন্দুটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাতি না জ্বলার কারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ, এলজিইডি, প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর, সোনালী ব্যাংক, উপজেলা ডিজিটাল তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, হিসাবরক্ষণ অফিস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন, নির্বাচন সার্ভার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, একটি বাড়ি একটি খামারসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ অফিস গুলোর মূল্যবান ফাইল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, অধুনিক যন্ত্রপাতি চুরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যাতে সরকারি সম্পত্তির অনেক ক্ষতির সম্ভবনা বিরাজ করছে। দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে উক্ত ল্যাম্পপোষ্ট গুলোর বাতি জ্বলছে না এমন অভিযোগের ভীত্তিতে গত শনিবার রাতে সরেজমিনে দেখা মেলে বাস্তবচিত্র। স্থানীয়রা জানায় উপজেলায় বিদ্যুতায়নের পর থেকে উপজেলার সদরের প্রধান ফটক, প্রধান সড়ক, বিভিন্ন গ্র“রুত্বপূর্ণ অফিস সংলগ্ন, উপজেলা কোয়াটারসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসের আওতায় এলাকাগুলোতে সকলের চলাচল ও রাতের পাহারার স্বার্থে ল্যাম্পপোষ্ট দেওয়া হয়। কিন্তু গত রমজানের পূর্ব থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেননি কর্তৃপক্ষ। তবে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় এসব বাতিগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসের নিয়ন্ত্রে থাকা দায়িত্বরত কিছু অসাধু কর্মচারি যারা এটি দেখাশুনা করেন। কিন্তু এ উৎসের জন্য যা বরাদ্দ থাকে তা নিজেদের পকেটে চলে যায়। যাতে করে সামান্য ক্রটি হলে মেরামত করা হয় না। ফলে বড় কোন দূর্ঘটনা ছাড়া লাইনে কাজ করা হয় না। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের রাতে নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ল্যাম্পপোষ্ট গুলোতে বাতি না জ্বলায় আমরা খুব ঝুঁকি ও ভয়ে ভয়ে রাতের প্রতিটা সময় পার করছি। না জানি কখন কোন দূর্ঘটনা ঘটে কে যানে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের রাতে চলাচলের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে উপজেলা জামে মসজিদে আসা মুসল্লীরা সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়ে নামাজ পড়তে আসতে হচ্ছে। এঅবস্থায় উপজেলার সচেতন মহল জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পরস্পর পরস্পরের বন্ধু হন/ ক্রোধ-হিংসা ভুলে যান। রুখে দাঁড়ান সহিংসতা- উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে স্লোগানের প্রতিপাদ্য নিয়ে পাটকেলঘাটা হারুণ-অর – রশিদ ডিগ্রি কলেজে গতকাল পালিত হল আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস-২০১৬। অগ্রগতি সংস্থার বাস্তবায়নে পাটকেলঘাটা হারুণ-অর-রশিদ ডিগ্রি কলেজের আয়োজনে গতকাল বেলা ১২টায় আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসের র‌্যালি ও র‌্যালিত্তোর আলোচনা সভা শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ফকির আহমদ শাহের সঞ্চলনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অগ্রগতির সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার শফিউল হক, কলেজের উপাধ্যক্ষ স.ম. আতিয়ার রহমান, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাশ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আরশাদ আলী, ইংরেজী প্রভাষক নাজমুল হক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চকদরি খড়িতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা সুলতানা এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি ওই বিদ্যালয়ে ০১/৪/১৩ তারিখ হতে কর্মরত আছেন। ২০১৬ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আশুতোষ ঘোষ। ওই বিদ্যালয়ে ৩জন শিক্ষক থাকলেও একজন রয়েছেন পি.টি আই প্রশিক্ষণে। বিদ্যালয়ে সব সময় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ তাকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিক্ষিকা সেলিনা সুলতানাকে বেড রেস্টের পরামর্শ দেন ডা. আকছেদুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে তিনি ছুটির সকল নিয়ম মেনে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ১৮/৯/১৬ তারিখে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন। তখন শিক্ষা অফিসার ছুটির আবেদন প্রধান শিক্ষকের সুপারিশ গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওই আবেদন রিসিভ করেননি। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়ে সেলিনা সুলতানার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ছড়াতে থাকেন। পরে শিক্ষা অফিসার ১৯/৯/১৬ তারিখে ৭৭৯নং স্মারকে ছুটির আবেদনে সংযুক্ত প্রেসক্রিপসনের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করেন। সিভিল সার্জন মেডিকেল বোর্ডের মতামত সাপেক্ষে অসুস্থতার সত্যতা স্বীকার করে ২৬/৯/১৬ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রদান করেন। এরপর শিক্ষা অফিসার ২৭/৯/১৬ তারিখে ছুটি মঞ্জুর করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ১৮/৯/১৬ তারিখ থেকে হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। ইতোপূর্বে চারিত্রিক কারণে তিনি ১৮ বার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত এবং কয়েকবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। তিনি প্রতিনিয়ত ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় ছুটির পরও তার ব্যক্তিগত কাজে সময় দিতে বলেন। এছাড়াও ওই প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ভ্যানেটি ব্যাগ তল¬াশী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭ টি পদের বিপরীতে ২টি প্যানেলে ৫৭ টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন। ২৮সেপ্টেম্বর দুটি প্যানেলের মোট ৫৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচনী তপশীল মোতাবেক ২৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাই, ২অক্টোবর বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৪ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার, ৫ অক্টোবর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ১৭ অক্টোবর সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন চলবে। ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদের সহ- সভাপতি পদে আশরাফুজ্জামান আশু, মেহেদী হাসান, মুজিবর রহমান, ইঞ্জিঃ কবীর উদ্দিন আহম্মেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে এ. কে. এম আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, মো. আহম্মদ আলী সরদার, শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. শাহ আলম হাসান শানু, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, কাজী কামরুজ্জামান কাজী, মো. রুহুল আমিন, আ, ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, মো. হাবিবুর রহমান হবি, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন,  মো. ইদ্্িরস আলী, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, মো. হাফিজুর রহমান খান বিটু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, উপজেলা নির্বাহী সদস্য স.ম. সেলিম রেজা, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন জসি, মহিলা সদস্য কাজী সেতারা জামান ও ফারহা দীবা খান সাথী। অপর প্যানেলে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, বদরুল ইসলাম খান বদু, ফিরোজ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, শেখ নাসেরুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ নিজাম উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহমুদ হাসান মুক্তি, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী তৈয়েব হাসান বাবু, সাইদুর রহমান শাহীন, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী কাজী শফিউল আজম, নির্বাহী সদস্য প্রার্থী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, শেখ আশরাফ আলী, মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোঃ রইস উদ্দীন সরদার, শেখ নাসেরুল হক, মোমীন উল্লাহ মোহন, শেখ মারুফুল হক, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, খন্দকার বদরুল আলম, ওয়াসিাউদ্দীন খান পিপুল, মোঃ আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনুর, শেখ জাহিদ হাসান, নির্বাহী সদস্য (উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত) জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, নির্বাহী সদস্য (মহিলা) মমতাজুন নাহার ঝর্ণা।
অপরদিকে শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু সহ ৫ নামের অপর পক্ষ নির্বাচন কমিশনে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন সে অভিযোগ গ্রহণ না করে তাদেরকে বৈধ ঘোষনা করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে ২৭টি পদের বিপরীতে একটি প্যানেলের ২৮টি এবং আরেকটি প্যানেলের ২৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

blsl-2 ডেস্ক রিপোর্ট: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মানববন্ধনের অভিযোগে আশাশুনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কুশপত্তলিকা দাহ করেছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সমানে সাতক্ষীরা জেলা সচেতন ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এই উপজেলার চেয়াম্যান মোস্তাকিমের কুশপত্তিলিকা দাহ করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন ব্যানাজি, সাধারণ সম্পাক আবু তাহের রাজু, জিয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হাসান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সরকারি কলেজ দ্বাদশ ইয়ার কমিটির সভাপতি আশিক, একাদশ ইয়ার কমিটির সভাপতি হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।

এসময় তারা আশাশুনি উপজেলার অপ-রাজনীতির গডফাদার, জামায়াত-বিএনপির মদদপুষ্ট,  হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের ত্রাস ভূমিদস্য মুস্তাকিম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল বিপ্লব বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিকার দাবী করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল বিপ্লবের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের সম্প্রত্তি জবর দখল ও দেশ ছাড়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest