সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা কিন্ডার গার্টেনের প্লে গ্র“পের শিক্ষার্থীদের বাছাই লাটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় স্কুল চত্বরে লাটারী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রফিকুল ইসলাম। স্কুলের রেজিস্ট্রার বৈদ্য নাথ কুন্ডু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর। এসময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার মুলভিত্তি তৈরি হয় এ বয়স থেকে। সুতরাং সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে যদি শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা যায় তাহলে তাদের পিছনে তাকানো লাগবে না। এছাড়া এ স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার মান্নোয়নে কঠোর পরিশ্রম করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা ব্যুরো: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নি সংযোগ, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুর এর প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা শাখার যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন সমীরণ সাধু। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এড. অজিত কুমার মন্ডল। ঐক্য পরিষদের উপজেলা সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পূজা পরিষদের উপজেলা সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, প্রাণকৃষ্ণ দাশ, সুভাষ সানা মহিম, সন্তোষ কুমার সরদার, গুরুদাশ রায়, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, শংকর দেবনাথ, কল্লোল মল্লিক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

12-11-16বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ বছর টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ সেবা থেকে বঞ্চিত ৫লক্ষাধিক জনগণ। টেকনিশিয়ান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দক্ষিণাঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জনগনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়রা, দাকোপ, আশাশুনি ও তালার উপজেলার অনেকেই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। এ লক্ষ্যে  সরকার ২০০২ সালের ১০ জুলাই একটি এক্স-রে মেশিন প্রদান করেন। প্রদানের পর কয়েকদিন এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার করা হয়। তার পর টেকনিশিয়ান অন্যত্র বদলি হলেও দীর্ঘ ১৪ বছর ৪ মাস ধরে কোন টেকনিশিয়ান নেই। কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকার গত ১২ আগস্ট একটি আলট্রাসনো মেশিন প্রদান করলেও  তা ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং আলট্রাসনোর জন্য কোন বিভাগ চালু করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে অদ্যাবধি এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে মেশিনটি মেরামত করা হলে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। টেকনিশিয়ান নিয়োগের ব্যাপারে সিভিল সার্জন, খুলনা ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক গত ৭ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ বিষয়টি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। হাসপাতালে আগত রোগী ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী গাজী বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিন ব্যবহার হলে সাধারণ মানুষের উপকার হতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্বাভাবিক এক ভুলের কারণে ফেসবুকের ‘রিমেম্বারিং’ সেবাটি বহু মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে স্মরণ করেছে। শুক্রবার বেশ কিছু সময়ের জন্য দেখা যায়, বিভিন্ন মানুষের প্রোফাইলের উপর একটি লেবেল সাঁটা, যেটি বলছে, এই মানুষটিকে স্মরণ করছে ফেসবুক।
পরে ব্যবহারকারীদের তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় পরিজনকে নিশ্চিত করার জন্য নতুন করে স্ট্যাটাস লিখে জানাতে হয়েছে যে ‘তারা মরেন নাই’। এটিকে একটি ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভুল শোধরানো হয়েছে। “এমন একটি ঘটনা ঘটার জন্য আমরা দুঃখিত”। মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা মানুষদের মধ্যে এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও রয়েছেন।
এই ব্যবহারকারী লিখেছেন, গুজবটি ভুল প্রমাণিত হওয়ায় এবং এ যাত্রা ‘বেঁচে যাওয়ায়’ তিনি খুব খুশী। অবশ্য এই ঘটনাটির একটি মজার দিকও খুঁজে বের করছেন অনেকে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে দ্য ভার্জ নামের প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট লিখছে, “ফেসবুক আমেরিকার ইতিহাসের দীর্ঘতম সপ্তাহটির ইতি টানল সবাইকে এই বলে যে, তারা মারা গেছে”।
বেশ কিছু ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের মৃত আত্মীয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রবেশ করার সুযোগ চাইলে গত বছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ‘মেমোরিয়াল’ সেবাটি চালু করে।
এই সেবাটি ব্যবহার করে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আগাম ঠিক করে যেতে পারবেন, তিনি কি মৃত্যুর পর তার ফেসবুক পাতাটিকে স্মারক হিসেবে বন্ধুদের জন্য রেখে দিতে চান নাকি চান যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার পাতাটিকে মুছে দিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_20161112_140813-large
আসাদুজ্জামান : অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করে দীর্ঘ দুই বছর আতœগোপনে থাকা কথিত ভিকটিম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগীডাঙ্গা গ্রামের শম্পা খাতুনকে(৩২) উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে তাকে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে আনা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সিআইডি পরিদর্শক এনামুল হক জানান, এক কাঠা জমি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে কৌশলে তা ফেরত নিতে জমিদাতা বিধবা শম্পা খাতুন প্রেমিক রিপন মোল্যা ও স্থানীয় ই¦উপি সদস্য আলি হোসেনের পরামর্শে সে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর শম্পার বাবা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের আকবার আলী বাদী হয়ে জমি ক্রেতা একই উপজেলার মৃর্গীডাঙ্গা গ্রামের গোলাম সরোয়ারের ছেলে আজাদ হোসেন, আজাদ হোসেনের বৃদ্ধ বাবা গোলাম সরোয়ার, আজাদের স্ত্রী শাকিলা খাতুন ও প্রতিবেশি আনসার বেপারির নামে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। এরপর আদালতে বাদির নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডি’র উপর ন্যস্ত করেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সিআইডির এসআই সৈয়দ তোকাব আলী মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। সিআইডি’র পরিদর্শক ইনামুল হক জানান, তদন্তকালে ভিকটিম শম্পা খাতুন ঢাকার সাভার এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে আত্মগোপনে আছে এমন খবরের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসআই সৈয়দ তোকাব আলী শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার স্মৃতি সৌধের ১ নং গেটের নিকটে ‘তমাল পূস্পালয়’ নামের ফুলের দোকানে হানা দিয়ে তমালের বর্তমান স্ত্রী শম্পাকে উদ্ধার করেন। পরে তমালসহ তার স্ত্রী শম্পাকে শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন সিআইডি পুলিশ।
আতœগোপনে থাকা শম্পা খাতুন গনমাধ্যমকে জানান, তিনি স্ব-ইচ্ছায় জমি বিক্রয়ের দেড় লাখ টাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মাঝের মোল্যার ছেলে প্রেমিক রিপনের হাতে তুলে দিয়ে ঢাকায় যান। কিছু দিন পরে রিপনের ঢাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও সে আর ঢাকায় যাইনি। পরিস্থিতি বুঝে জীবিকা নির্বাহ করতে শম্পা গার্মেন্টসে চাকুরি নিয়ে ফুলের দোকানী তমালকে বিবাহ করেছিলেন।
উদ্ধারকৃত শম্পা ও তার স্বামী তমালকে শনিবার আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে তদন্তকারি কর্মকর্তা আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য রিপোর্ট: অনেকেরই ধারণা, ডিম খেলে গেঁটে বাত হয়। বিশেষ করে হাঁসের ডিম খেতে অনেকেই ভয় পান। ডিম হাঁসের হোক বা মুরগির, এর সঙ্গে গেঁটে বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। আর ডিমে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তবে হ্যাঁ, কারো যদি গেঁটে বাত থাকে, সে ক্ষেত্রে শুধু ডিম নয়, যেকোনো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। এই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে আছে মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি।তবে গেঁটে বাত হলে চিকিৎসকরা ডিম খেতে বারণ করেন। কারণ, ডিম খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি গেঁটে বাতের রোগীর জন্য কাম্য নয়। কিন্তু কোনো সুস্থ রোগী ডিম খেলে তার গেঁটে বাত বা অন্য কোনো বাতের রোগ হবে—এ ধারণা ঠিক নয়। তাই যাদের বাতের সমস্যা নেই, সুস্থ ব্যক্তি, তাদের ডিম খেলে বাত হওয়ার ভয় নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য রিপোর্ট: নিউমোনিয়া শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। আমাদের দেশে খুব পরিচিত। নিউমোনিয়া বললেই শিশুদের কথাই আগে আসে। কারণও আছে। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশংকা বেশি থাকে। নিউমোনিয়া একটি নিরাময়যোগ্য রোগ হলেও প্রতি ২০ সেকেন্ডে বিশ্বে একজন শিশু এ রোগে মারা যায়। বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশ আক্রান্তের হার দিয়ে পঞ্চম। প্রতি বছর ৫০ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। প্রাণঘাতী এ রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন করা হয়। আজ এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। নিউমোনিয়া হতে পারে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পরজীবী- যেকোনোটি দিয়েই। সাধারণত বেশির ভাগ নিউমোনিয়া হয় অ্যাডেনোভাইরাস, রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে। ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়ার মধ্যে স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হিমেফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস অন্যতম। জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর থেকে লক্ষণ দেখা দেয়। জ্বর জ্বর, শরীর ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া দেখা দিতে পারে। নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো হলো : জ্বর; এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার হয়ে থাকে। পাশাপাশি কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত নেওয়া, শ্বাস গ্রহণের সময় বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্টবোধ বা কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, বুকে ব্যথা, খেতে না চাওয়া বা খেতে না পারা, শিশুর চঞ্চলতা কমে যাওয়া বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, বমি করা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত হয়। দুই মাসের কম বয়সী শিশুদের মিনিটে ৬০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নিতে দেখা যায়। দুই মাস থেকে ১২ মাস বয়সী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নেয় এবং এক বছরের বড় শিশু ৪০ বার বা তার চেয়ে বেশিবার শ্বাস নেয়। দ্রুত শ্বাসের সঙ্গে বুকের খাঁচা দেবে যায়। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসককে দেখাতে হবে। মনে রাখবেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত  শিশু মৃত্যুর কারণ কিন্তু দেরি করে চিকিৎসা শুরু করা। শীতকালে নিউমোনিয়া আক্রান্তের হার অনেক বেশি। তাই শীতকালে উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দেরি করবেন না। নিউমোনিয়া মারাত্মক রোগ হলেও এটা কিন্তু প্রতিরোধ করা যায়। শিশুদের ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ালে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমে। শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়াবেন না। যেসব শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ানো হয় তাদের এ রোগে আক্রান্তের হার অন্যদের চেয়ে চার গুণ বেশি। শিশু অপুষ্টি নিউমোনিয়া আক্রান্তের কারণ। তাই শিশু পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। শীতকালে  সুস্থ শিশুকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছে যেতে না দেওয়া। হাঁচি-কাশি আক্রান্ত লোকের সামনে বাচ্চাদের যেতে না দেওয়া। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। অর্থাৎ বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা। শিশুকে ভিড়ের মধ্যে অর্থাৎ বেশি লোক সমাগমের মধ্যে যেতে না দেওয়া।ভ্যাকসিন দিয়েও এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সরকারিভাবে এ রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। শিশুকে এ ভ্যাক্সিন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনোদন রিপোর্ট: গাজীপুরের খতিব খামার বাড়িতে চলছে ‘খাস জমিন’ ছবির শুটিং। গত ১ নভেম্বর ছবির শুটিং শুরু হয়। ছবিটি পরিচালনা করছেন সারোয়ার হোসেন। এই ছবিতে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছেন নায়ক সাইমন ও আইটেম গার্ল খ্যাত নায়িকা বিপাশা কবির। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ছবির শুটিং হবে বলে জানিয়েছেন নায়ক সাইমন।এনটিভি অনলাইনকে সাইমন বলেন, ‘এ মাসেই ছবির দৃশ্যগুলোর শুটিং শেষ হয়ে যাবে। বাকি থাকবে গানের শুটিং। কাজ করতে অনেক ভালো লাগছে। কারণ এই প্রথম সরকারি অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করছি। এই ছবিতে নায়িকা বিপাশা করিবের সঙ্গেও প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছি।’ছবিতে নিজের চরিত্র সম্পর্কে সাইমন বলেন, ‘এই ছবিতে আমি গাজীপুরের একজন ভূমি কর্মকর্তা। বদলি হয়ে এখানে এসে দেখি এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক সব খাসজমি দখল করে নিচ্ছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। খাসজমি উদ্ধার করে এলাকার গরিব মানুষকে দিয়ে দেই। এ ধরনের একটি চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’বিপাশার সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে কাজ করার বিষয়ে সাইমন বলেন, ‘বিপাশা এমনিতে আমার অনেক ভালো বন্ধু, যদিও আমরা জুটি হয়ে এই ছবিতে প্রথমবারের মতো কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু দৃশ্যে অভিনয় করেছি। বিপাশার অভিনয় অনেক ভালো, এই ছবিতে মফস্বলের সাধারণ একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে সে। আমার মনে হয় আইটেম গানে দর্শক তাকে যেমন পছন্দ করেছেন, নায়িকা হিসেবেও নিজের জায়গা করে নেবে বিপাশা’।ছবির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন। পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্য করেছেন সারোয়ার হোসেন, সংলাপ লিখেছেন শেখ ডেভিড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest