সর্বশেষ সংবাদ-
তালার কপোতাক্ষ নদীর চর থেকে রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি :ইমদাদুল সম্পাদকআসুন! নতুন স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করি -ডা: গালিবদেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাসাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা : প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদানতারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গণসমাবেশসাতক্ষীরা বোটানীক্যাল সোসাইটির হেমন্তকালীন পরিবেশ আড্ডাসাতক্ষীরায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যুসাতক্ষীরা শ্রীউলা ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিতইয়ুথ ফর দি সুন্দরবন এর আহ্বায়ক হলেন কর্ণ বিশ্বাস কেডি

F-02স্বদেশ: গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুর ঘটনার দুই মাস্টারমাইন্ডের একজন কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর টার্গেট এখন পলাতক মেজর জিয়া। গতকাল নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় ‘হিট স্ট্রং-টোয়েন্টি সেভেন’ নামের অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হয় তামিম। সম্প্রতি মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দফতর।
কে এই জিয়া : জিয়াউল হকের পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সর্বশেষ ব্যবহূত বর্তমান ঠিকানা পলাশ, মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীকে গ্রেফতারের পর এবিটির শীর্ষ সংগঠক, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। দেশে ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকসহ অন্তত নয়জনকে টার্গেট করে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন মেজর জিয়া।
আরও কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, আশপাশের দেশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গুপ্তহত্যাসহ নানা পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন তিনি। গত তিন বছরে তার তত্ত্বাবধানে এবিটির অন্তত আটটি স্লিপার সেল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সেলের সদস্য সংখ্যা চার থেকে পাঁচজন। সেই হিসাবে অন্তত ৩০ জন দুর্ধর্ষ ‘স্লিপার কিলার’ জঙ্গি তৈরি করেছেন মেজর জিয়া। তারাই ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করেছে। গোয়েন্দারা নিশ্চিত, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ডদের একজন হলেন এই জিয়া। মূলত সেনাবাহিনীতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পরই ২০১২ সালে আলোচনায় আসেন মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি।
জিয়াকে ধরতে সেই সময় পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় জিয়ার শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের বাসায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি স্থানেও জিয়ার খোঁজে চলে অভিযান। কিন্তু আজও জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেজর জিয়ার শাশুড়ি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হামিদা বেগম সেই সময় গণমাধ্যমকে জানান, জিয়া পটুয়াখালীর বাসায় কখনো আসেননি।
ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য সেই সময় সেনাবাহিনীতে মোট ৬টি তদন্ত আদালত কাজ শুরু করে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত আদালত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩ সদস্য করে ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটি তদন্ত আদালত তখন গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেজর জিয়া হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে জড়িত।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘ডন’-এর খবর অনুযায়ী, গত বছরের ৯ জানুয়ারি করাচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে এজাজসহ আল-কায়েদার চার জঙ্গি নিহত হয়। ওই খবরে এজাজ ওরফে সাজ্জাদকে একিউআইএসের কমান্ডার বলে উল্লেখ করা হয়। পরে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত গোয়েন্দারা এজাজ নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন। এজাজের মৃত্যুর পরে আনসারুল্লাহ নতুন নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয়। জসীমুদ্দিন রাহমানীর স্থলে তাত্ত্বিক নেতা হন পুরান ঢাকার ফরিদাবাদের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। আর সামরিক শাখার নেতৃত্বে আসেন মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472303024স্বদেশ: প্রেমঘটিত কারণে মেয়ের প্রেমিককে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক বাবা। নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার চকাবির গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের প্রেমিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বাবাকে আটক করে পুলিশ। এরপর প্রেমিকার বাবা মোহাম্মদ আলম পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর পুলিশ প্রেমিকার বাবাসহ স্কুলছাত্র আহসান হাবিব বিদ্যুতের খুনের সঙ্গে জড়িত অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজাম্মেল হক আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, শ্বশুরের লাশ পৃথিবীতে রেখেই প্রেমিকার বাবা মোহাম্মদ আলম নিজেই গলা কেটে স্কুলছাত্র বিদ্যুৎকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে একই গ্রামের বুলু, তছলিম এবং আমজাদ আলমকে সহযোগিতা করে।
জিজ্ঞাসাবাদের কথা উল্লেখ করে মো. মোজাম্মেল হক জানান, বদলগাছি উপজেলার কোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব বিদ্যুৎ চকাবির গ্রামে নানাবাড়ি থেকে বালুভরা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। একপর্যায়ে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলমের নবম শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের কথা মোহাম্মদ আলম সম্প্রতি জেনে গিয়েছিলেন।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলমের শ্বশুর মারা গেলে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই সেখানে চলে যায়। পরীক্ষার জন্য তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তখন বাড়িতেই ছিল। এ সময় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মেয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমিক বিদ্যুৎকে ডেকে আনে। এর মধ্যে কোনো কাজে বাড়ি ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলম। এসে মেয়ের শয়নকক্ষে অন্য কণ্ঠ শুনতে পেয়ে নিশ্চিত হন ঘরের মধ্যে কেউ আছে।
এরপর জোরপূর্বক মেয়েকে পাশের চাচার বাড়িতে রেখে আলম একই গ্রামের বুলু, তছলিম ও আমজাদকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুৎকে বের করে মাঠের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে বুলু পা এবং তছলিম ও আমজাদ দুই হাত এবং মাথা ধরে রাখে। পরে আলম ছুরি দিয়ে বিদ্যুৎকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর আলম তাঁর তিন সহযোগীর সঙ্গে বিল পার হয়ে হেঁটে শ্বশুড়বাড়ি চলে যান।
পরদিন সকালে বাড়ির পাশের মাঠে বিদ্যুতের লাশ পাওয়ার পর আলমের মেয়ে নিশ্চিত হয় যে তার বাবাই বিদ্যুৎকে হত্যা করেছেন। এরপর পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে এলে মেয়ে বাবার বিচার দাবি করে। মেয়ের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোহাম্মদ আলমকে আটক করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে খুনের বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁর জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডে অপর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1472302066-Maradona-2খেলাধুলো: ডিয়েগো জুনিয়রের বাবার নাম শুনলে চমকে ওঠার কথা। আর কেউ নন, স্বয়ং আর্জেন্টিনার ফুটবল-ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে ছেলেকে এতদিন স্বীকৃতি দেননি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। অবশেষে মন গলেছে ম্যারাডোনার, ছেলেকে জড়িয়ে কেঁদে ভাসিয়েছেন তিনি।
আশির দশকে ইতালির নাপোলি ক্লাবে খেলার সময় ক্রিস্তিনা সিনাগ্রা নামে এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ম্যারাডোনার। সেই সম্পর্কের জেরে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম হয়েছিল ডিয়েগো জুনিয়রের। ইতালির একটি আদালত ম্যারাডোনার ছেলে হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু বিখ্যাত বাবার স্বীকৃতিই এতদিন পাননি। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষা করতেও রাজি হননি আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
শেষ পর্যন্ত যে স্বীকৃতি পেলেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান ম্যারাডোনার বর্তমান প্রেমিকা রোসিও অলিভার। সম্প্রতি একটি নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুয়েনস আইরেসে গিয়েছিলেন ডিয়েগো জুনিয়র। তখনই তাঁকে বাসায় ডিনারে আমন্ত্রণ জানান অলিভা। ম্যারাডোনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মেয়ে জানাকেও নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সী জানার মা ভ্যালেরিনা সাবালাইনও আদালতের মাধ্যমে মেয়ের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন।
নিজের বাসায় ছেলেমেয়েকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। বিশেষ করে ডিয়েগো জুনিয়রকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলেকে পেয়ে আজ আমি ভীষণ খুশি। আমি তাকে ভালোবাসি আর সে অনেকটা আমার মতোই।’
সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফেনের ঘরে দালমা ও জিয়ান্নিনা নামে দুই মেয়ে আছে ম্যারাডোনার। সাবেক প্রেমিকা ভেরোনিকা ওহেদাও একটি ছেলেসন্তান উপহার দিয়েছেন তাঁকে। ডিয়েগো ফার্নান্দো নামের ছেলেটির বয়স তিন বছর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

PIC_Sunil Banerjeeডেইলি সাতক্ষীরা ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সুনীল ব্যানার্জি দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে প্রত্যক্ষভাবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। বিসিএস পাশ করেও ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেননি সুনীল ব্যানার্জি। এমন কী এল.এল.বি পাশ করে স্বাধীন আইন পেশায় যোগ না দিয়ে সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক জনকণ্ঠ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানী রির্পোট লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে একুশে গ্রন্থ মেলায় সুনীল ব্যানার্জির লিখিত বই ‘সাংবাদিকতায় বিড়ম্বনা’ পাঠক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আজীবন সদস্য ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গত ২০০৬ সালের ২৮ অগাস্ট ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ নিজ বাসভবনে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তাঁর স্ত্রী শিখা ব্যানার্জি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। সুনীল ব্যানার্জির একমাত্র সন্তান সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ ভয়েস অব বাংলাদেশ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসবিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল ব্যানার্জি’কে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মরণোত্তর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য অবদানের জন্য সুনীল ব্যানার্জিকে ২০১০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মরণোত্তর স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রয়াত সুনীল ব্যানার্জির মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472308112খেলাধুলা: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ইরানকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। স্বাগতিক মেয়েরা এই ম্যাচে জিতেছে ৩-০ গোলে।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে ১৭ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন মার্জিয়া।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটে মৌসুমী করেন গোলটি।

ইরানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তহুরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার চার মিনিট বাকি থাকতে করেন এই গোলটি।

অবশ্য এই জয়ে একটি মধুর ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে ঢাকায় এই ইরানের কাছে হেরে চূড়ান্তপর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। অথচ এবার সেই ইরানকেই বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে চায়নিজ তাইপে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে কিরগিজিস্তানকে হারিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333333মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের ভাটপাড়ায়  ১০ হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি বেতনা নদীর উপর নব-নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলা প্রশাসন(ত্রান শাখা)’র আয়োজনে বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে নব-নির্মিত ব্রীজের উদ্বোধন করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা তার পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ শেষ করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাস্তা ঘাট, ব্রীজ ক্যালভাট, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিদ্যুৎসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আবদুল সাদী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, যুবলীগ নেতা মীর মহি আলম, সাবেক বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, মো. শাহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সামছুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ঠিকাদার আখিরুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ভাটপাড়া, নারানপুর, হাজিপুর, রায়পুর, আমতলাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী স্বপ্নের সেতু হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। মানুষ আনন্দে আতœহারা হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও সদর আসনের সংসদ সদস্য কে ধন্যবাদ জানান।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ক্যালভাট নির্মান প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের অর্থ্যায়নে ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাট পাড়া-নারানপুর এলাকায়  বেতনা নদীর উপর ২৮ মিটার ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। সমগ্র শেখ খায়রুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মামলানিজস্ব প্রতিবেদক: ঘেরদখল, চাঁদাবাজিসহ ৫টি মামলার আসামি হয়েও শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহসিন উল মূলক রয়েছেন বহাল তরিয়তে। ইতিমধ্যে পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দাখিল করেছে বলে জানা গেছে।
এতগুলো মামলা নিয়ে কীভাবে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মত পদে বহাল রয়েছেন তা নিয়ে শ্যামনগর উপজেলাবাসীর মধ্যে বইছে রীতিমত আলোচনার ঝড়। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন স্থানীয় এক আ.লীগ নেতা।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহসিন উল মূলক পাঁচটি মামলার আসামি হয়েও স্বপদে বহাল থাকায় ঐ নেতা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ২০ জানুয়ারি একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় বরাবর বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কোন জনপ্রতিনিধির নামে পুলিশ অভিযোগপত্রও দাখিল করলে এবং আদালত সেটি গ্রহণ করলে তিনি আইন অনুযায়ী আর ওই পদে থাকতে পারেন না।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের উপ-পরিচালক মইনুল হোসেন জানান, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে এবং সেগুলো বিচারক আমলে নিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমরা জজ কোর্টের পি.পি এড. ওসমান গণির কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমাদেরকে কিছু জানাননি। তিনি জানানোর পর আমরা এ বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাবো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পি.পি এড. ওসমান গণি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “আগামিকাল(রবিবার) শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হবে।
সূত্র আরো জানায়, ২০০৯ সালে জমিদখলের চেষ্টা ও মারপিটের ঘটনায় সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার মৃত ছুরমান গাজীর ছেলে ছাত্তার গাজী বাদি হয়ে শ্যামনগর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহর ছেলে  মহসিন উল মূলক কে আসামী করে একটি মামলা করেন যার মামলা নং-৮২/২০০৯, তারিখ-২৭/৪/০৯।
একই বছরে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার এড. বৃজেন্দ্র নাথ মন্ডলের স্ত্রী চন্দনারানী মন্ডল বাদী হয়ে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহর ছেলে মহসিন উল মূলক কে আসামী করে একটি মামলা করেন যার মামলা নং-৮৮/২০০৯,তারিখ-১/০৫/০৯।
এদিকে ২০১১ সালে সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত শেখ নুরুল হকের ছেলে শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক বাদি হয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহর ছেলে মহসিন উল মূলকসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন যার মামলা নং-৯১/২০১১, তারিখ-১১/৫/১১।
অপরদিকে, ২০১৪ সালে জামায়াত শিবির ও বিএনপি ৩০/৪০জন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ি ভাংচুর করার ঘটনায় একটি মামলা হয়। সাতক্ষীরা থানার মামলা নং-৩০,তারিখ-১৩/১/১৪। উক্ত মামলায় বর্তমান শ্যামনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন।
এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকসহ কয়েক আসামির বিরুদ্ধে একটি অপহরণ ঘটনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সাতক্ষীরা আদালতে প্রদান করে সি আই ডি খুলনা জোন। যার সি আর পি মামলা নং- ১১২০/০৮, তারিখ-১৮/০২/০৯।
এসব ঘটনায় বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সর্বত্রই এখন আলোচিত বিষয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, এলাকার সাধারণ জনগণের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ৫টি মামলার আসামি হয়েও   উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক কীভাবে স্বপদে বহাল আছেন?
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মহসিন উল মূলক’র সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বর্তমানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে শ্যামনগর উপজেলাবাসীর দাবি দ্রুত একাধিক মামলার আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Redনিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মনোয়ারা খাতুন এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক গাজী শাহাজান সিরাজ, মোঃ জহরুল ইসলাম, লতিফা খাতুন, যুব রেডক্রিসেন্ট টিচার্স ইনচার্জ মোঃ শাহাজান সিরাজ, প্রশিক্ষণে ৫৩জন ছাত্র-ছাত্রী স্বর্ত:স্ফুতভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৯ আগস্ট শেষ হবে। মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসাবে রয়েছেন সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব সদস্য মোসলেমা আক্তার মুন্নি, মোঃ মাসুদুর রহমান, মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ইউনিট যুব প্রধান এস এম আরিফুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest