মাহফুজুর রহমান: ২২ অগাস্ট সাতক্ষীরা রেঞ্জাধীন কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ তার সঙ্গীয় স্টাফসহ ট্রলার যোগে টহল দানকালে পশুরতলা খাল নামক স্থানের নিকটবর্তী হলে ভোর আনু: ৪টার দিকে ২টি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি তাদেরকে নৌকা নিয়ে কাছে আসতে বলেন। এসময় নৌকা ২টি বনের বিপরীত দিকের কেওড়া বাগানের কাছে কিনারায় ভিড়িয়ে নৌকা হতে লোকজন লাফিয়ে পড়ে এবং বাগানের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্টেশন কর্মকর্তা জানান, আমি এবং আমার স্টাফগণ টর্চের আলোয় মুন্সীগঞ্জ আটির উপর নামক গ্রামের আব্দুর রহিম এবং আব্দুল করিম, উভয় পিং- ইসমাইল গাজীকে চিনতে পারি। অপর অজ্ঞাতনামা ৪জন আসামীকে চিনতে পারি নাই। এরপর তাদের নৌকা তল্লাশি করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় সাড়ে ৪লিটার পরিমাণ মাছ মারার বিষ, ২টি ভেসালি জাল পাই। নৌকা ২টি, উক্ত জাল ও বিষ জব্দ করে কদমতলা ফরেষ্ট স্টেশনে নিয়ে আসি। এব্যপারে ২টি বন মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন মামলা নং- পি,ও,আর নং ৮/কত /২০১৬-১৭ এবং পি,ও,আর নং ৯/কত /২০১৬-১৭। উল্লেখ্য, উক্ত ২জন ব্যক্তিসহ মোট ৬জনকে বিগত কয়েক মাস পূর্বে মাছ মারা বিষ, ভেসালি জালসহ হাতে নাতে ধরে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসানউল্লাহ শরিফী- এর নিকট হাজির করলে, তিনি প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ শিকার করার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষ লক্ষ মাছ ধ্বংস হয়ে যায়। এলাকার জেলে বাওয়ালীসহ সকলে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছে।