স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বোলিং নৈপূণ্যে চিটাগং ভাইকিংসকে ৪ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটানস। খুলনার দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস। ফলে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পায় খুলনা টাইটানস।
এর আগে দিনের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয় করার সিদ্ধান্ত নেয় ভাইকিংস দলপতি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে খুলনা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল টাইটানস বাহিনী। দলের দুই ওপেনার রিকি উইসেলস ও হাসানুজ্জামান মিলে ৩ ওভারে তুলেছিলেন ৩৪ রান। কিন্তু এরপরই দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা।
দলীয় চতুর্থ ওভারের প্রথম আর শেষ বলে হাসানুজামান (৮) ও শুভাগতকে (৩) ফিরিয়ে দেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ষষ্ঠ ওভারে উইসেলসকে বোল্ড করেন আব্দুর রাজ্জাক। ১৭ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করেন উইসেলস।
খানিক বাদে চিটাগংয়ের অধিনায়ক তামিমের তালুবন্দি হন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন আহমেদের বলে মাত্র ৬ রান করে ফিরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে অলোক কাপালি ও নিকোলাস পুরাণ মিলে দলকে ৭৭ পর্যন্ত টেনে নিয়েছিলেন। তবে কাপালিকে ফিরিয়ে ২৫ রানের এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। ২৩ রান করে তাসকিনের ক্যাচে পরিণত হন কাপালি।
চট্টগ্রামের পক্ষে মোহাম্মদ নবী নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়াও তাসকিন ২টি ও রাজ্জাক নিয়েছেন ১টি উইকেট । এর আগে আজ শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর দুইটায় শুরু হয় খেলাটি।
লিগে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে একটি জয় আর একটি পরাজয় পেয়েছে তামিমের চিটাগং। এতে তাদের অর্জন দুই পয়েন্ট। অপরদিকে মাহমুদুল্লাহর টাইটানসও একটি জয় ও একটি পরাজয়ে পেয়েছে সমান পয়েন্ট। তবে, রান ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে খুলনার অবস্থান ছয় আর চিটাগংয়ের চার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা আলাউদ্দীন চত্বরে জেলা জাসদের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযেুাদ্ধা সরদার কাজেম আলী। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসির নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলা, হুটপাট সাংবাদিকদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পোড়ানোর চেষ্টা ও শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধাকে প্রহারের সাথে যুক্তদের অতিসত্ত্বর গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় শিক্ষা বিষয়ক অধ্যপক ইদ্রিস আলী। সদর উপজেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক, পৌর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নাসির, কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, শাহীন, পলাশ, বজলুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মুনসুর রহমান, বিপ্লব, জামানসহ আরোও নেতাকর্মীরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, সবাই সমান। এখানে ধর্মীয় উগ্রতা দেখিয়ে কাউকে হামলা বা কাও বাড়ী ঘর ভাংচুর করা দেশদ্রোহিতার সামিল। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ বছর টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ সেবা থেকে বঞ্চিত ৫লক্ষাধিক জনগণ। টেকনিশিয়ান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দক্ষিণাঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জনগনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়রা, দাকোপ, আশাশুনি ও তালার উপজেলার অনেকেই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। এ লক্ষ্যে সরকার ২০০২ সালের ১০ জুলাই একটি এক্স-রে মেশিন প্রদান করেন। প্রদানের পর কয়েকদিন এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার করা হয়। তার পর টেকনিশিয়ান অন্যত্র বদলি হলেও দীর্ঘ ১৪ বছর ৪ মাস ধরে কোন টেকনিশিয়ান নেই। কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকার গত ১২ আগস্ট একটি আলট্রাসনো মেশিন প্রদান করলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং আলট্রাসনোর জন্য কোন বিভাগ চালু করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে অদ্যাবধি এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে মেশিনটি মেরামত করা হলে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। টেকনিশিয়ান নিয়োগের ব্যাপারে সিভিল সার্জন, খুলনা ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক গত ৭ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ বিষয়টি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। হাসপাতালে আগত রোগী ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী গাজী বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিন ব্যবহার হলে সাধারণ মানুষের উপকার হতো।