সর্বশেষ সংবাদ-
খাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলী

photo-1473225752তুলসী ও মধুর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। এটি রোগ প্রতিরোধ কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক গুণ।

একটি কাপের মধ্যে চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা নিন। ভালো করে একে পরিষ্কার করুন। কাপের মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু দিন। মিশ্রণটি সকালে খালি পেটে খান।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে তুলসী-মধুর গুণের কথা।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

তুলসী-মধুর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও ভিটামিন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

২. ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে

তুলসী-মধু ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।

৩. কাশি কমাতে

তুলসী-মধু একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান কাশি কমানোর জন্য। এটি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমাতে কাজ করে।

৪. অ্যালার্জি কমায়

তুলসী ও মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। এটি ত্বককে প্রশমিত করে এবং অ্যালার্জি কমায়।

৫. অকালবার্ধক্য কমায়

এই ঘরোয়া উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের অকালবার্ধক্য কমায়।

৬. কিডনিতে পাথর

এই ঘরোয়া উপাদান কিডনির পাথর দূর করতে কাজ করে। কিডনির বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে দিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে।

৭. হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে

তুলসী ও মধু কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এটি হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে কাজ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473273788ক্রীড়া বিভাগ: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে (৪০) মারধর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর বাজারের মহিলা মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের নয় খেলোয়াড় ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় জুবেদ তালুকদার ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনায় যেতে মানা করেন খেলোয়াড়দের। তিনি তাঁদের স্কুল টিমের হয়ে খেলতে বলেন। এতে উপস্থিত অভিভাবক ও খেলোয়াড়রা অপারগতা জানালে জুবেদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টায় কলসিন্দুর বাজার মহিলা মার্কেটে জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে (সবুজ) কিল-ঘুষি মারেন এবং লাঠিপেটা করেন। ওই সময় তাঁকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়।
তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় খেলোয়াড় ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাতে তাসলিমা  বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি।’
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধোবাউড়া থানার ওসি শওকত আলম বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ থাকা কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি।
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর হায়াত খান নঈম কলসিন্দুরের ফুটবলার তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কোনো খেলোয়াড়কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলতে বলপ্রয়োগ, মানসিক চাপ সৃষ্টি ও তার অভিভাবককে মারধর করায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473260638ক্রীড়া বিভাগ: ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের কিশোরী মার্জিয়া। এ বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বেও মার্জিয়া করেছেন তিনটি গোল।
সব ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে চূড়ান্ত পর্বে। বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে এখন চলছে মার্জিয়াদের গুণকীর্তন। তবে মার্জিয়াকে যে এই পর্যায়ে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। অনেকেই হয়তো জানেন না, এখনো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মার্জিয়ার বাবা মোতালিব।
মেয়েদের ফুটবলের বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে বড় অবদান কলসিন্দুর গ্রামের। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এই গ্রামের বেশ কয়েকজন ফুটবলার খেলেছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের অপরাজিত দলে। সবাই ছোটবেলা থেকে লড়াই করেছে দারিদ্র্যের সঙ্গে।
কলসিন্দুরের রাস্তায় এখনো রিকশা চালাতে দেখা যায় মার্জিয়ার বাবা মোতালিবকে। ফুটবলার মেয়ের চাহিদা অনুযায়ী খাবার জোগাতেও কষ্ট হয় তাঁর। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে তাই তিনি বলেছেন, ‘তার (মার্জিয়া) খাওয়াদাওয়া সব কিছুই আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয়। সে খেলার জন্য অনেক পরিশ্রম করে। কিন্তু সে অনুযায়ী তাকে খেতে দিতে পারি না।’
ফুটবল মাঠে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী। মার্জিয়ার বাবা অবশ্য কিছু দাবি করেননি সরকারের কাছ থেকে।
সরকার নিজ ইচ্ছেয় কিছু করলে করবে, নিজে থেকে কোনো কিছু চাইবেন না- এমনটাই শোনা গেছে মোতালিবের কণ্ঠে, ‘আমরা আশা করি যে সরকার তাদের জন্য কিছু একটা করবে। কিন্তু আমরা কিছু চাইব না। চেয়ে আনব কেন? এখানে তো চাওয়ার কিছু নাই।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

image-1আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রহস্যজনক ভাবে বিপুল পরিমাণে খনিজ তেল মজুত রয়েছে। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে আগে জানানো হত, কী পরিমাণে খনিজ তেল মজুত করা হচ্ছে। কিন্তু, এখন সে তথ্যও ঠিক মতো প্রকাশ করা হচ্ছে না। পীত সাগরের উপকূল বরাবর এবং ইয়াংসি নদীর ব-দ্বীপে একের পর এক দৈত্যাকার ট্যাঙ্কে রোজ বাড়ছে খনিজ তেলের মজুত। এত খনিজ তেল মজুত করার পিছনে চিনের পরিকল্পনা ঠিক কী? ধন্দে গোটা বিশ্ব।
আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খনিজ তেল মজুত করে রাখার ব্যবস্থা নতুন কিছু নয়। একে স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ (এসপিআর) বা কৌশলগত খনিজ তেল ভাণ্ডার বলা হয়। ২০০৯ সালে চিন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ওই আপৎকালীন ভাণ্ডারে ১০০ দিনের মতো খনিজ তেল জমিয়ে রাখতে চায়। তার পর থেকেই খনিজ তেল আমদানি বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে চিন। ২০১৬ সালে রেকর্ড পরিমাণ খনিজ তেল আমদানি করেছে বেজিং, যার ফলে তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আবার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু কতটা খনিজ তেল মজুত করা হল, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে, নাকি এখনও বাকি আছে, তা নিয়ে আর কোনও তথ্য চিন প্রকাশ করছে না। এসপিআর-এর বিষয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে যে সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় আরও বাড়ছে।–আনন্দবাজার।
২০১৫-র ডিসেম্বরে চিন নিজেদের আপৎকালীন খনিজ তেল ভাণ্ডার সম্পর্কে একটি তথ্য প্রকাশ করেছিল। তাতে জানানো হয়, সে বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আপৎকালীন ভাণ্ডারে মজুত থাকা মোট অশোধিত তেলের পরিমাণ ১৯ কোটি ১০ লক্ষ ব্যারেল। কিন্তু একই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, এসপিআর-এর জন্য নির্মিত মোট আটটি তেল মজুতক্ষেত্রে ১৮ কোটি ব্যারেল অশোধিত তেল রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি ১ কোটি ১০ লক্ষ ব্যারেল তেল তা হলে কোথায় রাখা হয়েছে? সে উত্তর মেলেনি।
আমেরিকার ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা কিন্তু ঠিক উল্টো। নিজেদের আপৎকালীন বা কৌশলগত ভাণ্ডারে আমেরিকা কতটা খনিজ তেল মজুত রেখেছে এবং তা দিয়ে কত দিন কাজ চালানো সম্ভব, সংশ্লিষ্ট মার্কিন ওয়েবসাইটে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রয়েছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৬-র ২৬ অগস্ট পর্যন্ত আমেরিকার আপৎকালীন ভাণ্ডারে মজুত খনিজ তেলের পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি ব্যারেল। ওই ভাণ্ডার গোটা আমেরিকার ১৪৯ দিনের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
চিনের ক্ষেত্রে অশোধিত তেল ভাণ্ডারের চেহারাটা ঠিক কেমন, তা কিন্তু মোটেই এত স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। তাই বিশেষজ্ঞরা অন্য রকম ভাবে চিনের আপৎকালীন ভাণ্ডারের আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। চিনের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে পরিমাণ খনিজ তেল দরকার হয়, তার চেয়ে আমদানি এবং তেল উত্তোলনের মোট পরিমাণ কতটা বেশি, তা জানলেই বোঝা যাবে, রোজ কী পরিমাণ অশোধিত তেল আপৎকালীন ভাণ্ডারে চিন পাঠাচ্ছে। দেখা গিয়েছে, চিনের খনিজ তেল আমদানি ও উত্তোলনের মোট পরিমাণ দৈনিক প্রয়োজনীয়তার চেয়ে ১২ লক্ষ ব্যারেল অতিরিক্ত। অর্থাৎ আপৎকালীন ভাণ্ডারে রোজ ১২ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল তারা জমিয়ে ফেলে। এই হিসেব অনুযায়ী ২০১৬-র অগস্টের মধ্যেই চিনের ভাণ্ডারে ৫১ কোটি ১০ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল জমে গিয়েছে। ১০০ দিনের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর মতো ভাণ্ডার তৈরি করা হবে বলে যে ঘোষণা ২০০৯ সালে চিন করেছিল, তার জন্য ৫১ কোটি ১০ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল জমানোই কিন্তু যথেষ্ট।
প্রশ্ন উঠেছে এখানেই। ১০০ দিনের ভাণ্ডার বানানোর যে পরিকল্পনা চিন করেছিল, তা যদি বাস্তবায়িত হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে চিনের খনিজ তেল আমদানি এ বার কমে যাওয়া উচিত। কিন্তু, আমদানি মোটেও কমেনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেও অতিরিক্ত খনিজ তেল আমদানি চলছে বলে সূত্রের খবর। তা হলে এই অতিরিক্ত তেল যাচ্ছে কোথায়? চিন কি আপৎকালীন ভাণ্ডারের আকার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে? যদি করে থাকে, তা হলে আন্তর্জাতিক পরম্পরা অনুযায়ী তা ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? এই অতিরিক্ত অশোধিত তেল মজুতই বা করা হচ্ছে কোথায়? তা হলে কি গোপনে আরও অনেক ট্যাঙ্ক বানিয়ে ফেলেছে বেজিং? সে রকম হয়ে থাকলে, তেল ভাণ্ডারের বহর ঠিক কতটা বড় হতে চলেছে? উত্তর নেই কোনও প্রশ্নেরই। বেজিং-এর এই রহস্যজনক আচরণ চিন্তায় রাখছে গোটা বিশ্বকেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

isil-1আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আইএস’র রাজধানী নামে খ্যাতসিরিয়ার রাক্কা থেকে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) উৎখাতে তুরস্ক ও আমেরিকা প্রস্তুত বলে দাবি করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। চীনে অনুষ্ঠিত জি টুয়েন্টি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকে আইএস ঘাঁটিতে চূড়ান্ত হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
গত মাসে সিরিয়ার সীমান্তে ঢুকে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আইএসের পাশাপাশি কুর্দি বিদ্রোহীদেরও লক্ষ্যবস্তু করছে তারা।
এদিকে সিরিয়ার ভিতরে তুর্কি বাহিনীর অভিযানে রাশিয়া ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1473310170অপ্রতিম: সৌদি আরবের জেদ্দায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
সৌদি আরব স্থানীয় সময় রাত ১০:২০ মিনিটের সময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ বিমান বন্দরে পৌঁছেন। এসময় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীও প্রশাসন।
এদিকে ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় এমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ বিমান বন্দরে অবতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানেরা। জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্য রওনা দেবেন।
পবিত্র হজ পালন উদ্দেশ্য হলেও বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তার ছেলে তারেক রহমানের মধ্যে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিএনপির সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে শলাপরামর্শ হবে বলে জানিয়েছে বেশ কিছু সূত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

arrest-2অপ্রতিম: ১ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিপুল উপকরণ ও সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা।
রাজধানীর বনশ্রী ও জুরাইন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমের কাছে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনা নিশ্চিত করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবে র‌্যাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাঠ সংকট দূর ও জিমনেশিয়াম স্থাপনসহ বয়সভিত্তিক খেলাগুলো নিয়মিত করতে পারলে এ জেলা থেকে উঠে আসতে পারে অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড়

satkhira-sports-6আসাদুজ্জামান: দ্য ফিজ খ্যাত বিস্ময় বালক কার্টার মাষ্টার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকারের বদৌলতে সাতক্ষীরার ক্রিকেটাঙ্গণে এখন বইছে তারুণ্যের জোয়ার। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নিয়মিত অনুশীলনের জন্য মাঠের সংকট দূর ও জিমনেশিয়াম স্থাপনের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক খেলাগুলো নিয়মিত আয়োজন করতে পারলে এ জেলা থেকে উঠে আসতে পারে আরও অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, জাতীয় দলে মুস্তাফিজ ও সৌম্য সরকারের অনবদ্য পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল হয়েছে সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গন। এতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমী শিশু-কিশোর-তরুণেরা। অনুশীলনের জন্য আসছে মাঠে। আর এই তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করছে সীমান্ত ক্রিকেট একাডেমি, সাতক্ষীরা ক্রিকেট একাডেমি, সুন্দরবন ক্রিকেট একাডেমি, শ্যামনগর ক্রিকেট একাডেমিসহ স্থানীয় ক্লাবগুলো। এসব একাডেমিতে বর্তমানে তিন শতাধিক খেলোয়াড় নিয়মিত অনুশীলন করছে। তবে, অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় মাঠ ও দক্ষ সংগঠকের অভাব এবং জিমনেশিয়াম, ইনডোর প্রাকটিস গ্রাউন্ডসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না থাকায় আগ্রহ থাকলেও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারছে না তারা।
সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় মাঠ রয়েছে মাত্র তিনটি। এর মধ্যে সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়াম ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনে সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তাই সেখানে অনুশীলনের সুযোগ খুবই কম। তবে, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ অনুশীলন ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য ইভেন্ট আয়োজনের উপযুক্ত হলেও সবসময় সেটি ব্যবহারের সুযোগ থাকে না। আর সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা গেলেও সেখানে ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ নেই।
এছাড়া দক্ষ সংগঠকের অভাবে কেবলমাত্র শ্যামনগর উপজেলা ছাড়া অন্য কোথাও ক্রিকেট চর্চার ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। জিমনেশিয়াম না থাকায় ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের জন্য।
সাতক্ষীরা জেলা দলের ক্রিকেটার ইনামুল জানান, ক্রিকেটে ভাল করতে গেলে নিয়মিত প্রাকটিস করতে হয়। এখন অনেকেই প্রাকটিসের জন্য আসছে। কিন্তু প্রাকটিসের জন্য উপযুক্ত মাঠ না থাকার কারনে একইস্থানে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। এর ফলে কোনটিই ভাল হয় না।
সাতক্ষীরা ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড় তামিম জানান, সাতক্ষীরায় একটি জিমনেশিয়াম ও একটি ইনডোর প্রাকটিস গ্রাউন্ড স্থাপন খুবই জরুরী। জিমনেশিয়ামের অভাবে সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় ফিটনেস তৈরি হচ্ছে না। আর বৃষ্টিসহ বৈরি আবহাওয়ার সময় অনুশীলনের জন্য ইনডোর প্রাকটিস গ্রাউন্ড দরকার।
শ্যামনগরের ক্রীড়া সংগঠক ও শ্যামনগর ক্রিকেট একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সামিউল মনির জানান, সকলেই ক্রীড়া সংস্থার পদ চান। কেউ ক্রীড়ার উন্নয়নে কোন কাজ করতে চান না। তাই ক্রীড়ার উন্নয়নে সবার আগে দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, মাঠের অভাবে একই স্থানে ফুটবল, ক্রিকেটসহ অন্যান্য ইভেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। এতে ফুটবলের পরে ক্রিকেটের সিজনে মাঠ অপ্রস্তুত থাকায় অনেক সময় মাঠে গড়ায় না প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ।
তার মতে, অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত মাঠের, নিয়মিত বয়সভিত্তিক খেলা, প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ লীগ আয়োজনসহ দক্ষ সংগঠক গড়ে তুলতে পারলে সাতক্ষীরায় ক্রিকেটাঙ্গনে বিপ্লব সৃষ্টি হবে। এসব আয়োজন শুধু জেলা শহরেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, উপজেলাগুলোতেও ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিশ্বমানের ক্রিকেটার তৈরিতে সাতক্ষীরা জেলা আরও ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানালেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রিকেট দলের বিসিবি নিয়োগকৃত কোচ মোফাচ্ছেনুল ইসলাম তপু। তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় ক্রিকেটার তৈরির অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest