সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

5
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৬ সালের খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক এ,কে,এম গোলাম মোস্তফার স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে ২০১৫ সালের এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
চায়না ব্যানার্জী জানান, গত ১০ আগস্ট শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে সাতক্ষীরার সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়। পরে বিভাগীয় পর্যায়ে যাছাই-বাছাইয়ের জন্য তার বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়। সেখানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই করা। সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৫ সালে সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ  বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪২০জন। এর মধ্যে ছাত্র ২১৬ ও ছাত্রী ২০৪জন। এ বিদ্যালয়ে  দুইজন প্যারা শিক্ষকসহ শিক্ষকের সংখ্যা ১৫জন। প্রধান শিক্ষকসহ দক্ষ শিক্ষকবৃন্দের প্রচেষ্টায়  ২০১১-১৫ সালের সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ। এ বিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে থাকে। ২০১২-১৫ সাল তিন বছরে ১১ জন ট্যালেন্টপুলে ও ৫ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। বিদ্যালয়ে দৈনিক সমাবেশ, সকল ছাত্র-ছাত্রীর ইউনিফর্ম, শিক্ষকদের ইউনিফর্ম, দেয়ালিয়া প্রকাশ, চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোচিঙের ব্যবস্থাসহ নানাবিধ ব্যবস্থা রয়েছে। চায়না ব্যানার্জী ২০১১ সালে সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর থেকে  বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবেশগত পরিবর্তন আসতে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা চোখে পড়ার মতো। চায়না ব্যানার্জী জানান, তার নেতৃত্বে দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর চেষ্টার পাশাপাশি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সহযোগিতায় তাদের এ  বিদ্যালয় খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে ও ২০১৫ সালে তিনি বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্থানীয় সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুসহ সাতক্ষীরা জেলা ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সদর উপজেলা ইউআরসি কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টি এগিয়ে নিতে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।  সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো; মহিউদ্দিন বিদ্যালয়টি সার্বিক উন্নয়নে খোঁজখবর রাখেন ও সহযোগিতা করে থাকেন। সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ও বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ বিদ্যালয়ে মানোন্নয়নে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী গাজী এই অভিযোগ করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইয়াকুব আলী গাজীরা ৫ ভাই ও ২ বোন। পিতার মৃত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে তেতুলিয়া বাজারে তারা প্রত্যেকে এক শতক করে জমি প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে তার সেঝ ভাই দাউদ আলী ২০১১ সালে নিজের অংশের জমি বিক্রি করে দিয়ে ইয়াকুব আলীর জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকেন। এই জন্য দাউদ আলী টাকার বিনিময়ে আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুকে ভাড়া করে ইয়াকুবের পিছনে লেলিয়ে দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ইয়াকুবের ছেলে নুর ইসলাম গাজী ও রবিউল ইসলাম গোয়ালডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার পথে মন্টু বাহিনী তাদের ধাওয়া করে। ওই সময় নুর ইসলাম ও রবিউল তিতুখালীর জগদীশ বাবুর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের বের করে আনে মন্টু বাহিনীর সদস্যরা। তারপর রাস্তায় ফেলে তাদের দুইভাইকে বেদম মারপিট করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাদের দুইভাইয়ের পা। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় মন্টুসহ তার লোকজন। পরে বিকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের উদ্ধার ও মন্টু বাহিনীর সদস্য ফজলু গাজীকে আটক করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান মন্টু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ঘের দখল, নারী নির্যাতনসহ ২৫টি মামলার আসামি। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মন্টুকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইয়াকুব আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে নুর ইসলাম ও রবিউল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুর বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে সমর্থন না করায় এক ব্যক্তির ঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম এই সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি গত ২০ বছর যাবত তেতুলিয়া এলাকার ১১জন মালিকের কাছ থেকে একটি জমি হারি নিয়ে ঘের পরিচালনা করছেন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে মিজানুর রহমান মন্টু চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিল। নির্বাচনে তাকে সমর্থনা না করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিপংকর কুমারকে সমর্থন করায় তিন মাস পূর্বে তার ঘেরটি দখল করে নেয় মিজানুর রহমান মন্টু। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমারকে জানালে তিনি পদক্ষেপ নিতে গেলে মিজানুর রহমান মন্টু ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমারকে জীবননাশের হুমকি দেয়। চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় একটি জিডি করেন এবং জীবনের ভয়ে ওইদিন রফিকুল ইসলামের বাড়িতে রাত ১১টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। পরে আশাশুনি থানার ওসি গিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেন।  সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান মন্টু তার বাহিনী দিয়ে কাদাকাটি এলাকার একাধিক খাল দখল করে রেখেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সংবাদ সম্মেলনে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কৃতী সন্তান ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুক্ততথ্য পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল মাজেদের অকাল মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তালা উপজেলা বিএনপি। তালা উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দরা হলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি শেখ জিল্লুর রহমান, খান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোশারাফ হোসেন, মির্জা আতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক স.ম. ইয়াছিন উল্লাহ, কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জামান আনিচ, মৎস্যজীবি আহবায়ক গাজী মাহাবুবুর রহমান, জাসাস এর সভাপতি সেলিম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বিশ্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি গাজী আব্দুল হামিদ, এম এ মান্নান,শেখ আলামিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, বাস্তহারা দলের সভাপতি আবুল কালাম, আহম্মাদ,ছাত্রনেতা এহছান,সরদার রনি,মেহেদী হাসান,সৈয়দ আজম,মীর মিল্টন, জিএম ফারুক, মফিজুল ইসলাম,রাজু,শাহিনুর,সরদার কামরুল,কালাম প্রমুখ। নেতৃবৃন্দরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10
শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে স্বাস্থ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায় নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় বিশেষায়িত স্বাস্থ্য ক্যাম্প (চর্ম,যৌন, এলার্জী ও গাইনী) উদ্বোধন করেন আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু সালেহ বাবু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এইচ, এম, মামুনুর রশিদ সমন্বয়কারী সমৃদ্ধি কর্মসূচি, ডাঃ রায়হান আতিকুল্লাহ, ডাঃ সাইজুল ইসলাম, ডাঃ শাহিদা, এম হাবিবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ প্রবীর মুখার্জী  বিশেষজ্ঞ চর্ম,যৌন, এলার্জী ও সেক্স রোগ, ডাঃ নাসরিন সুলতানা গাইনী বিশেষজ্ঞ। মেডিকেল ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন মোঃ আবু সালেহ বাবু চেয়ারম্যান ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায় নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়নে চলমান সমৃদ্ধি কর্মসূচি একটি যুগাস্তকারী কর্মসূচি। ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছে। গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ইতোমধ্যে যথেষ্ট সুনাম কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। আমরা পিকেএসএফ ও এনজিএফ কে এমন একটি কর্মসূচি পরিচালনা করার জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান মোঃ আবু সালেহ বাবু  বলেন, ভৌগলিক কারণে আমাদের ইউনিয়নটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুিকপূর্ণ,এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। মানুষের সাজানো জীবন তছনছ করে দেয়। লবনাক্ততার মতো চলমান দূর্যোগ নিত্য সঙ্গী। যে কারণে এখান কার জনসাধারনের মধ্যে মারাত্মক চর্ম,এলার্জী রোগের  প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। রয়েছে যৌন রোগের মতো নীরব ঘাতক ব্যাধি। গ্রামের অল্প শিক্ষিত,অক্ষর জ্ঞানহীন নারীদের রয়েছে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা- যাহা মুখ ফুটে বলতে পারেনা। এমনই বাস্তবতায় আজকের স্বাস্থ্য ক্যাম্পটি খুবই বাস্তব সম্মত। আমি এনজিএফ এবং পিকেএসএফ কে অনুরোধ করবো এ ধরনের স্বাস্থ্য ক্যাম্প বেশী বেশী আয়োজন করে  ইউনিয়নের মানুষের সেবায় অবদান রাখতে। এ ক্যাম্পে  ২৩৫জন নারী ও  জন পুরুষ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

13
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : আদালতের আদেশ অমান্য করে পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার নার্সারি চারা কেটে ক্ষতিসাধনসহ উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে জবর দখলের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণ করার প্রতিবাদে পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর গ্রামের মৃত শেখ অহেদ আলীর পুত্র শেখ আঃ হান্নান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি এক পা হারানো একজন পঙ্গু ব্যক্তি । দীর্ঘ বছর যাবত ক্রাচের মাধ্যমে কোনো রকম এক পায়ে চলাফেরা করছি। পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন জীবিকা নির্বাহ অত্যন্ত কষ্টের বিধায় ১০/১২ বছর আমার ভোগদখলীকার দাদপুর মৌজাধীন এস.এ ৮৮৮ খতিয়ানের ৩১২ দাগের ১ একর ২০ শতকের মধ্যে আমার প্রাপ্ত ৩০ শতক সম্পত্তিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের চারা ও বীজ রোপন করে তা বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। এমতাবস্থায় আমার ভোগদখলীকার নার্সারি ক্ষেত আমার প্রতিপক্ষ মোজাম শেখের পুত্র শাহিন ও শহীদকে ভুল বুঝিয়ে প্রতিবেশী বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত শেখ আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ১০/১৫জন লাঠিয়াল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জবর দখলের পায়তারা করে। পঙ্গু ও অসহায় বিধায় নিরুপায় হয়ে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাঃবিঃ ১৪৫ ধারা মতে পিটিশন মামলা দাখিল করি। যার নং পি-১০২৬/২০১৬। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সৈয়দ ফারুক হোসেন শুনানী শেষে স্থিতিবস্থাদেশ দিয়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু পাটকেলঘাটা থানার এস.আই মনোজিত দেবনাথ গত ২০ সেপ্টেম্বর নোটিশ জারি করার নামে আদালতের আদেশকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে দ্বিতীয় পক্ষদের সঙ্গে গোপন আতাতের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণ করার সুযোগ করে দেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় পক্ষরা ২ সেপ্টেম্বর হতে ২৫ সেপ্টেম্বর নালিশি সম্পত্তিতে আমার ৬শতাং জমিতে রোপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অন্তত ৫ হাজার চারা কেটে সম্পূর্ণ নষ্ট করে এবং উক্ত সম্পত্তিতে জবর দখলের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। এমতাবস্থায় পুনরায় আদালতের শরনাপন্ন হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক নালিশি সম্পত্তিতে দ্বিতীয় পক্ষদের প্রবেশে বারিত আদেশ দেন। পাটকেলঘাটা থানার এস.আই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজিত দেবনাথ আদালতের আদেশকে ভ্রুক্ষেপ না করে দ্বিতীয় পক্ষদের ঘরবাড়ি নির্মাণের সহযোগিতা করেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন আমার দাখিলকৃত পিটিশন মামলায় আদালতের আদেশ পাওয়া স্বত্বেও পুলিশ কর্মকর্তার উৎকোচ বানিজ্যে আমি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। বর্তমানে নালিশি সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষরা জবর দখলের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। দাঙ্গাবাজ দ্বিতীয় পক্ষরা গত ১০/১২ দিন ধরে আমার এবং পরিবারের লোকজনদের জিম্মি করে রেখেছে। আমি পঙ্গু বিধায় অসহায়ত্বের সুযোগে প্রতিপক্ষরা আমাকে যেকোনো সময় জীবননাশ এমনকি পরিবারের লোকজনদের নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করিতে পারে এমন আশংকায় দিনাতিপাত করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দিনকাল কলারোয়া প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ মাথায় নিউরো জনিত সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার আশু রোগ মুক্তি ও দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ক্লাবের পক্ষ এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন, কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খাঁন চৌধুরী পলাশ, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী , কোষাধাক্ষ্য মোস্তফা হোসেন বাবলু , সাহিত্য সম্পাদক আরিফুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক গোলাম রসুল, কার্যনির্বাহী সদস্য এমএ কাশেম, জিয়াউর রহমান জিয়া, আয়ূব হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন পলাশসহ ক্লাবের কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

16
তালা প্রতিনিধি: চলতি খরিপ-২/২০১৬-১৭ মৌসুমে আলোর ফাঁদ স্থাপন করে রোপা আমন ফসলে বাদামী গাছ ফড়িং ও পাতা মোড়ানো পোকা সহ অন্যান্য ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্নয় করা হয়েছে। তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উদ্যোগে, সোমবার রাতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের সকল ব্লকে একযোগে এই ফাঁদ স্থাপিত হয়। তালা কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার শেখ আবু জাফর জানান, আমন ধান ক্ষেতে উপকারী পোকা ও ক্ষতিকর পোকার হার নির্নয় করার জন্য সোমবার ১২টি ইউনিয়নের সকল ব্লকে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি অফিসারদের তত্ত্বাবধানে আলোর ফাঁদ তৈরি করা হয়। তালার জালালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর ও মাগুরা ইউনিয়নের চরগ্রাম ব্লকে আলোর ফাঁদ স্থাপনকালে সাংবাদিক বি. এম. জুলফিকার রায়হান, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার শেখ আবু জাফর, উপসহকারী কৃষি অফিসার ইলোরা পারভীন, ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা, তকিম উদ্দীন, গুটি ইউরিয়া প্রকল্পের মাঠ কর্মী বশির আহম্মেদ, কৃষক টিপু, রবিউল ইসলাম, জবক্ষার শেখ, শামসুর রহমান সহ উপসহকারী কৃষি অফিসারগন এবং গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। তালা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মো. সামছুল আলম জানান, আমন ক্ষেত থেকে পোকা দমনের নিমিত্তে চাষীদের উদ্বুদ্ধকরনের জন্য উপজেলার প্রতিটি ব্লকে এইদিন আলোর ফাঁদ তৈরি করা হয়। এরমাধ্যমে ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকার হার উপকারী পোকার চেয়ে কম পরিলক্ষিত হয়েছে। যেকারেন আমন ক্ষেত্রে পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ধান উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। চলতি আমন মৌসুমের শেষ সময় পর্যন্ত আলোর ফাঁদ স্থাপন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে, কৃষি অফিসার জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest