সর্বশেষ সংবাদ-
খাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলী

photo-1473352816অপ্রতিম:টানা টানা চোখের সুন্দর মুখশ্রীতে যখন প্রথমবার পুরুষের মতো দাড়ি আবিষ্কার করেছিলেন, তখন হয়তো অনেক হতাশ হয়েছিলেন তিনি। কোনো অভিশাপের ফল হিসেবেই এটিকে মেনে নিয়েছিলেন।

বলা হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটেনে বার্কশায়ারের বাসিন্দা নারী হারনাম কাউরের কথা। এক সময় দাড়িতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এভাবেই নিজেকে খুশি রাখতে চান। কিন্তু যে দাড়ির জন্য এক সময় সবার কাছে তাঁকে হেয় হতে হতো সেটাই  তাঁর জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দেবে, এটি নিশ্চয় তিনি নিজেও কোনোদিন ভাবতে পারেননি। কিন্তু এমনটিই ঘটেছে ২৪ বছর বয়সী  হারনাম কাউরের জীবনে।

সবচেয়ে কমবয়সী পূর্ণ দাড়িওয়ালা নারী হিসেবে তাঁর নাম ওঠেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হারনামের দাড়ি এখন ছয় ইঞ্চি লম্বা। এ প্রাপ্তির অনুভূতি হিসেবে ইংল্যান্ডের বার্কশায়ার শহর থেকে হারনাম কাউর বলেন, ‘আমি এতে সম্মানিত বোধ করছি।’

শরীর নিয়ে ইতিবাচক প্রচারক ও মডেল হারনাম কাউর হরমোনজনিত সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এ কারণেই তাঁর শরীরের লোম, দাড়ি ও চুলের বৃদ্ধি বেশি। অনেক কম বয়সেই তাঁর এই সমস্যা শুরু হয়। কয়েক বছর এ সমস্যা তিনি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাসে তিনবার এগুলো তোলা তাঁর জন্য কষ্টকর ছিল। তাই একটা সময় তিনি এই দাড়িতেই অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি শিখ ধর্মে দীক্ষা নেন। এ ধর্মে চুল দাড়ি কাটা নিষিদ্ধ। তিনি আর কখনো দাড়ি কাটেননি।

নিজের মুখের এই দাড়ি নিয়ে যথেষ্টই সুখী হারনাম। বিভিন্ন সময় তাঁর প্রমাণও তিনি দিয়েছেন। এই দাড়ি নিয়েই বিভিন্ন সাজে মডেলিং করেছেন। দাড়িওয়ালা কোনো নারী হিসেবে ২০১৬ সালের মার্চে লন্ডন ফ্যাশন উইকে তিনিই প্রথমবার শিখদের পাগড়ি পরে রানওয়েতে হেঁটেছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473408709অপ্রতিম: কয়েক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে কয়েক গুণ। আর এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমে পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়।

বন্দরের আড়তদাররা বলেন, এক সপ্তাহ আগেও মানভেদে পাইকারি হিসাবে ১৪-১৭ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এখন আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকার ওপরে।

বন্দরের কয়েকটি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের নাসিক, ভেলোর, ইন্দোর, রাজস্থান, পাটনা থেকে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গুদামগুলো পেঁয়াজে ঠাসা। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনছেন। একটু ভালো মানের পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে কেজিতে ১১ টাকায়।

বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৬৮০টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক দেশে এসেছে। এতে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার টন।

হিলি বন্দরের গত তিন মাসের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্টে এক হাজার ৭৫৮টি ট্রাকে ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আর জুলাইয়ে এক হাজার ৩০৪টি ট্রাকে ২৫ হাজার ৭০৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দরের ৩০ ব্যবসায়ী বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এখন বন্দরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। আর সময়মতো বাজারজাত করতে না পারায় এরই মধ্যে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

হিলির স্থানীয় আমদানিকারক এনামুল হক চৌধুরী ও মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ভারত থেকে এক কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ টাকা। এই পেঁয়াজ পাইকারি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

হিলি বাজারের আড়তদার শাহাবুল ইসলাম জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমে বর্তমানে ৮ থেকে ১০ টাকায় নেমেছে। আবার কখনো আরো কম দামে কিনছেন ক্রেতারা। গত কয়েক দিনে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ৮ থেকে ১০ দিন আগেও এই পেঁয়াজ ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

231406srideviবিনোদন ডেস্ক: বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়া যায় না এমন ধারণা ধীরে ধীরে ভেঙ্গে যাচ্ছে উপমহাদেশীয় সমাজে। আর এই প্রথা ভাঙ্গার খেলায় অগ্রগামী হলেন তারকারা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলিউড তারকারা। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এমন কয়েকজন বলিউড অভিনেত্রীদের সম্পর্কে জেনে নিন।-কালেরকন্ঠ।

শ্রীদেবী : শ্রীদেবী হলেন বলিউডের একমাত্র নায়িকা যিনি খোলাখুলি স্বীকার করেছেন যে তিনি বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে বনি কপূরের সঙ্গে যখন শ্রীদেবীর বিয়ে হয় তখন তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই হিসেব থেকে অনেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে ছিলেন, যখন বনির সন্তানের গর্ভধারণ করেন‌ শ্রীদেবী তখনও বনি তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। বনি-শ্রীদেবীর বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্ম হয়।

কঙ্কনা সেন শর্মা : বেশ কয়েক বছর অভিনেতা রণবীর শোরের সঙ্গে প্রেমপর্ব চলার পর ২০১০-এ দুজনে বিয়ে করেন। এদিকে বিয়ের ঠিক পরেই ২০১১ সালের শুরুর দিকে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন কঙ্কনা। এই থেকে বলিউডে আলোচনা শুরু হয়ে যায়, বিয়ের আগে থেকেই হয়তো অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কঙ্কনা। তবে এই বিষয়টি কঙ্কনা নিজে কখনও স্বীকার করেননি।

আনুশকা শঙ্কর : রবিশঙ্করের মেয়ে আনুশকা শঙ্করও বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন।

নীনা গুপ্তা : ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নীনা গুপ্তার। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নীনা গুপ্তা। তাদের মেয়ের নাম মাসাবা।

সারিকা : অভিনেত্রী সারিকার সঙ্গে কমল হসানের ভালবাসার সম্পর্ক যখন শুরু হয় তখনও কমলের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রী-এর বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। এই সময়েই সারিকা কমলের সন্তান গর্ভে ধারণ করেন। এই সন্তানই বর্তমানের বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রুতি হসান।

বীণা মালিক : নানা কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন। তার সন্তানধারণের বিষয়টি নিয়েও নানা কথা শোনা যায়। সেগুলির মধ্যে একটি হল, দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার সময়েই গর্ভবতী ছিলেন বীণা। এমনকি লোকে এমন কথাও বলে যে, এই সন্তানের প্রকৃত পিতা নাকি বীণার প্রাক্তন এক প্রেমিক।

মহিমা চৌধুরী : ববি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করার আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। তার আগে বেশ কিছু তারকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। তবে ববির সঙ্গে মহিমার বিয়ের খবরটা আচমকাই প্রকাশ পায়। আর ববিকে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই এক কন্যা সন্তানের মা হন মহিমা।

সেলিনা জেটলি : দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী পিটার হাগের সঙ্গে বেশ কয়েকবছর প্রেমপর্ব চলার পরে সেলিনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ২০১১-র জুলাইয়ে। পরের মার্চেই যমজ সন্তানের মা হন সেলিনা।

অমৃতা অরোরা : ব্যবসায়ী শাকিল লাদাকের সঙ্গে অমৃতার বিয়ে হয় অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এবং গোপনে। বিয়ের কয়েকমাস পরেই সন্তানের জন্ম দেন অমৃতা। স্বভাবতই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় যে, অমৃতা হয়তো বিয়ের আগে থেকেই গর্ভবতী ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3স্বাস্থ্য ও জীবন: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, সবেরই একটা নির্দিষ্ট করে সময় রয়েছে। কিন্তু আজকের এই ব্যস্ততার দিনে কতজনই বা আর একেবারে ঘড়ি ধরে খাবার খায় বলুন।
বেশিরভাগ সময়েই নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশ খানিকটা দেরিতেই খাওয়া হয়। যেমন ধরুন না, যিনি অফিস থেকে রাত সাড়ে এগারোটা কিংবা তারও পরে বাড়ি ফেরেন, তার পক্ষে কীভাবে সন্ধের ৭টার আগে ডিনার শেষ করা সম্ভব?
অথচ, ডিনারের সঠিক সময় সন্ধে ৭টা। তাই অবধারিত দেরি। আমরা তো কাজের দোহাই দিয়ে দেরিতে খাওয়া দাওয়া করছি। কিন্তু জানেন কি, এতে আমাদের শরীরের কি কি এবং কত ক্ষতি হচ্ছে?
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাতে দেরি করে খাওয়ার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর এর ফলে প্রায় ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এখনই সাবধান হতে রাতে খাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন-

কেন আগে খাবেন?
১) দেরি করে খাওয়ার ফলে স্ট্রোকস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২) প্রাপ্তবয়স্কদের কখনওই সন্ধে ৭টার পর খাবার খাওয়া উচিত নয়।
৩) ডিনার করার ২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়বেন না। হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার হজম সঠিক পদ্ধতিতে হবে।
৪) তাড়াতাড়ি খেলে শরীর সেই খাবার হজম হওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় পায়।
সন্ধে ৭টার পর ডিনার করলে কী হবে?
১) রক্তচাপ বাড়বে।
২) স্ট্রেস হরমোনের পরিমান বাড়বে।
৩) মোটা হয়ে যাওয়া, হৃদরোগ প্রভৃতি সমস্যার সম্ভাবনা বাড়বে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

no6fgtkvezryঅপ্রতিম: নর্থ কোরিয়ায় ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে ভূকম্পনের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর জন্য এই ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়। সাউথ কোরিয়ান সংবাদ মাধ্যম ইয়োনহাপ এটিকে  ‘কৃত্রিম ভূমিকম্প’ বলে মন্তব্য করেছে।
নর্থ কোরিয়া থেকে এখনো প্রাতিষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য জানা যায় নি। তবে পূর্বে এ ধরনের ভূমিকম্পের ঘটনাগুলো পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে হওয়ায় এই আশঙ্কা জোর হচ্ছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সকালের এই ভূমিকম্পকে একটি বিস্ফোরণ বলে চিহ্নিত করেছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেশটির পানগি-আরআই পারমাণবিক সাইটে বাড়তি কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব পঞ্চম পারমানবিক পরীক্ষার আসন্ন ইঙ্গিত বলে অনেকে বলছেন।
কিন্তু গত জানুয়ারি মাসেই নিজেদের সর্বশেষ পারমানবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এরপরে আরো কয়েক দফায় দেশটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

web-02আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে বিজিবি পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ভারতীয় মদ ও মোটরপার্টস জব্দ করেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাতশালা ও টাউনশ্রীপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ মালমালগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি জানায়, সকালে বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়নের ভাতশাল বিওপি’র হাবিলদার বেলায়েত হোসেন-এর নেতৃত্বে দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা সুইঁচ গেইট নামক স্থানে বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় চোরাকারবারীদের ধাওয়া করলে তাদের ফেলে যাওয়া প্লাষ্টিকের বস্তার মধ্য হ’তে ২৫ বোতল বিদেশী মদ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত বিদেশী মদের মূল্য ২২ হাজার ৫’শ টাকা। এছাড়াও অপর এক অভিযানে আজ টাউন শ্রীপুর বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সিরাজুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে কেওড়া বাগান এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ০৩ টি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্য হ’তে ১লাখ ৪২ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের মোটর পার্টস জব্দ করা হয়। তবে, বিজিবি এ দুটি ঘটনায় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।।উক্ত দু’টি অভিযানে জব্দকৃত মদ ও মোটর পার্টসের সর্বমোট মূল্য ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
বিজিবি সাতক্ষীরার নীলডুমুর ১৭ ব্যাটেলিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

download (1) (Medium)আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ০২ কর্মীসহ ৪৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ০৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৮ জন, শ্যামনগর থানা ০৬ জন, আশাশুনি থানা ০৬ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

web-01মীর খায়রুল আলম/কেএম রেজাউল করিম: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ভিজিএফ’র ৫৫ বস্তা চাউল আতœসাত করে বিক্রয় করার পর শুক্রবার ঝটিকা অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লেবেলকৃত ও অন্যান্য বস্তা ভর্তি ১৪ বস্তা চাউল উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাউল চুরি করে বিক্রয়ের অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা দৌড়ঝাপ শুরু করে। কিন্তু অবশেষে তাদের চুরির ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ পায়। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা গেছে, অতিদারিদ্রদের জন্য পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বরাদ্দকৃত ১০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৪/৫ কেজি হারে প্রদান করে এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ৫৫ব স্তা চাউল আতœসাত করা হয়েছে বলে। আতœসাতকৃত চাউল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ এমদাদুল হক বাবুর সহযোগীতায় দেবিশহরস্থ ইউনিয়ন পরিষদ হতে উক্ত চাউল ভ্যান বোঝায় করে বিক্রয়ের উদ্যোশে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পূর্বে হাদিপুর গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী আব্দুর রউফের পুত্র আজগর আলীর কাছে ৫৫ বস্তা চাউল বিক্রয় সম্পন্ন হয়। এ বিষয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান বকুল বিক্রয়কৃত চাউল ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদারের ১০ বস্তা, ৫নং ওয়ার্ডের আসমোতুল্ল আসমানের ১১ বস্তা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮বস্তা ও অফিস খরচ বাবদ ৫ বস্তাসহ মোট ৫৫ বস্তা অর্থাৎ ২৭৫০ কেজি চাউল আতœসাত করে বিক্রয় করায় বাদী হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তরা নিজেদের দোষ ঢাকতে কিছু সংবাদকর্মীদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। পরে শুক্রবার সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের হাদিপুর গ্রামের ৫৫বস্তা চাউল ক্রেতা আজগরের বাড়ি হতে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লেবেলের চাউল ভর্তি এক বস্তা, শেখ মকবুল এর পুত্র ফজলুর রহমানের বাড়ি থেকে ভিজিএফ’র ৪বস্তা, জামাত আলীর পুত্র ভ্যানচালক মাসুমের বাড়ি হতে ৬বস্তা, একই গ্রামের আছাদুর রহমান বুলুর বাড়ি হতে ৩ বস্তা চাউল উদ্ধার হয়। এসময় চাউল উদ্ধারের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বেজরআটি গ্রামের  আহছানিয়া রাইচ মিল হতে ১২ বস্তা চাউল সরিয়ে ফেলে। তবে ৫৫ বস্তা চাউল ক্রেতা আজগর আলীকে আটক করা হলে বাকি চাউলের বস্তা গুলো কোথায় সরবরাহ করা হয়েছে তা জানাজাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আরো জানাগেছে, ঘটনার দিন চাউল ব্যবসায়ী আজগর ভ্যানচালক মাসুম কে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে এ চাল পাঠিয়ে দেয়। এঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে আটককৃত চাউলের বস্তাগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাছাড়া চাউল ক্রেতাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আতœসাতকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
চাউল ক্রেতা আজগরের স্ত্রীর কাছে তার স্বামীর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার স্বামী বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। কবে বাসায় ফিরবে জানে না। বেলা ১১টার দিকে গাজীরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়ার দাবী জানানো হয়। এসময় উপস্থিত থেকে বিক্ষোভ মিছিলে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু, সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুর রব, সাধারন সম্পাদক ও আতœসাতের বাদী আনিছুর রহমান বকুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বাবু সুধান চন্দ্র বর, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব ময়না, রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্বনাথ ঘোষসহ সর্বস্থরের সাধারন মানুষ অংশ নেয়। অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযোগ করে বলেন তাদের প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। হাদিপুর গ্রামের বৃদ্ধ রবিন ৪কেজি, শেখ সুবানের পুত্র শেখ আব্দুর রশিদ ৪কেজি, শেখ ইব্রাহিম সাড়ে ৫ কেজি, আব্দুল হাকিমের পুত্র হাফিজুল ৫ কেজি, আছেদ আলীর স্ত্রী ৪ কেজি, জাহানারা বেগম সাড়ে ৫ কেজি চাউল পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। ভিজিএফ’র চাউল আতœসাত করার ঘটনায় সর্ব স্থরের মানুষ বিষয়টিতে নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানাতে প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানিয়েছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest