পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পানির অপর নাম জীবন। সেই পানিতে যদি থাকে পাট পঁচা দুর্গন্ধ, মরা কেঁচো, বিষাক্ত পোঁকা, অধিক আয়রনজনিত তাহলে সে পানিই হবে মরণ। পাটকেলঘাটার যমুনা সমাজ সেবা সংস্থার সাপ্লাই পানিতে এমন ধরনের গুরুতর অভিযোগ গ্রাহকদের। সরেজমিনে দেখাগেছে পাটকেলঘাটার পারকুমিরার গ্রামের সুবির মেম্বর, অমল ঘোষ, শিক্ষক রামপ্রসাদ, অধ্যাপক অলিক পাল, পাটকেলঘাটা গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ, প্রভাষক নাজমুল হক, নজিবুল হক প্রমুখ জানান, এই যমুনা সমাজ সেবা সংস্থার এ পানি পেতে আমরা পাঁচ হাজার টাকা জামানত এবং প্রতিমাসে দুইশত সত্তর টাকা পরিশোধ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতটাকা দিয়েও পানি খাওয়ার উপযোগী নয়। পানি খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাহির থেকে পানি আনতে হয়। বর্তমানে এ পানিতে কখনো বিভিন্ন ধরনের পোকা, কালো ময়লা অতিরিক্ত আয়রন, পঁচা দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ পানি দিয়ে গরু গোসল করানো ছাড়া কোন কাজে লাগে না। এ ব্যাপারে সংস্থার সভাপতি সাজেদুন্নেছার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের রিপোর্ট পেয়েছি এমন কি আমি নিজেও এ পানি খেতে পারছি না, তবে আমাদের ফিল্টারটা নষ্ট হয়ে গেছে, ব্যাক ওয়ার্শ করলে ঠিক হয়ে যাবে। ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে আসছিলাম মেরামত করার জন্য কিন্তু তিনি বলেন, এটা ঠিক হতে তিন মাস সময় লাগবে। এ দূষিত নোংরা পানি গ্রহকদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এ বিষয়ে পত্রিকায় ছাপানো হতে পারে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পত্রিকায় ছাপালে আমি খুশি হব। কারণ বিষয়টি উপরিমহল থেকে তখন আমি সাহায্য পাব। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে হয়তো বা একটা প্রকল্প পেতেও পারি। এ ব্যাপারে সংস্থার পরিচালকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, উনার সাথে কথা বলে লাভ হবে না এখানে আমিই সব।


এ এস এম মাকছুদ খান: পবিত্র হজব্রত পালন ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর রওজা মুবারক জিয়ারত শেষে মোহাম্মাদ মফিজুল ইসলাম ফাহিম এর পিতা ঢাকার ফিরেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ধুলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের পাঁচ সন্তানের জনক হাজী মোহাম্মাদ এবাদুল সরদার। গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা২৪ মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তার ছোট ছেলে মোহাম্মাদ মফিজুল ইসলাম ফাহিম রিসিভ করে ঢাকার বাসায় নিয়ে আসেন। ঢাকার বাসা হইতে (৪ অক্টোবর)সকাল ৮টার দিকে হাজী মোহাম্মাদ এবাদুল সরদার সাতক্ষীরা জেলা শহরের সংগীতা মোড়ে পৌঁছালেত ার ছেলেরা (বড় ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান, মেজ ছেলে মোঃ হবিবার রহমান, সেজি ছেলে মোঃ মুজিবর রহমান এবং নাতি-পুতি) এবং সাতক্ষীরা জেলা ভোমরা বন্দরে অর্থ সচিব ও সুমনা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারমান মোঃ মাকসুদ খান ও বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ীরা তাকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে গ্রামের বাড়ি কোমরপুরে নিয়ে যান। পরবতীতে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সাথে শুভেচ্ছা করেন। উল্লেখ্য, পবিত্র হজব্রত পালন ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরও জামুবারক জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গত ২১ আগস্টরাত ১১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন মোহাম্মাদ এবাদুল সরদারসহ সাতক্ষীরা অনন্য হাজীগণ। এরপর ২২আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি হজ্বফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে দুপুর ১টার দিকে জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। তিনি হজব্রত পালন শেষে সুস্থভাবে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন এবং তার জন্য ও তার পরিবারে এর জন্য আপনদের কাছে দুআ কামনা করেন।




