সর্বশেষ সংবাদ-
কোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যুখুলনার নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত হলো: ২০ গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস উল্লাস

সাতক্ষীরা পৌরসভার পলাশপোল চৌরঙ্গী মোড় থেকে রসুলপুর পর্যন্ত সুপেয় পানির পাইপ লাইন কাজের উদ্বোধন।

সাতক্ষীরা পৌরসভার পলাশপোল চৌরঙ্গী মোড় থেকে রসুলপুর পর্যন্ত সুপেয় পানির পাইপ লাইন কাজের উদ্বোধন।

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা পৌরসভার চৌরঙ্গী মোড় থেকে রসুলপুর এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি সুপেয় পানির পাইপ লাইন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকালে ৯ নং ওয়ার্ডের পলাশপোল থেকে চৌরঙ্গী মোড় হয়ে রসুলপুর ১১শ’ মিটার পানির পাইপ লাইনের কাজের উদ্বোধন করা হয়। এ কাজের উদ্বোধন করেন ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌল্লা সাগর ও মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শামছুজ্জামান ও এস. এম সোহাগসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভা এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। এই পানির লাইন চালু হলে পলাশপোল ও রসুলপুর এলাকার ৫ হাজার মানুষ সুপেয় পানির সুবিধা পাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91282053_gettyimages-607012998-1ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রধান শহর শ্রীনগরে ছররা গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়ার পর কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও নিরাপত্তা বাহিনী এখনও পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী বিক্ষোভকারীদের ওপর ছররা গুলি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।

ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রধান শহর শ্রীনগরে ছররা গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়ার পর কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও নিরাপত্তা বাহিনী এখনও পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী বিক্ষোভকারীদের ওপর ছররা গুলি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।

খবরে বলা হচ্ছে ওই কিশোরের শেষকত্য অনুষ্ঠানে যোগদানকারী হাজার হাজার মানুষের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।

কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটের ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছে।

শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন জুলাই মাসে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার পর এটাই ছিল এ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ।

বিচ্ছিন্নতাকামী এক আন্দোলনকারীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করার পর ভারতীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়ই জুলাই থেকে রাস্তাঘাটে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

সংবাদদাতা জানাচ্ছেন কারফিউ অমান্য করে নিহত কিশোর নাসির শফির শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এরপরই পুলিশ শোকার্তদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।

মুসলমান প্রধান এই শহর জুড়ে চলাচল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছাড়া আর সব মোবাইল নেটওয়ার্ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দুমাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতায় আশিজনের ওপর লোক মারা গেছে, যাদের অধিকাংশই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারী।

ঈদুল আযহার দিন শ্রীনগরে সামরিক বাহিনী কুচকাওয়াজ করলে শহরে উত্তেজনা তৈরি হয়।

এদিকে নাগরিক আন্দোলনকারী খুররম পারভেজ যিনি জেনিভায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তার যাওয়া বন্ধ করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুদিন আগে এবং তাকে এখন শ্রীনগরের বাইরে একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91284819_gettyimages-544022038শ্রীলংকার রত্নপুরা শহরে এক উৎসবের প্রস্তুতির সময় দুই হাতির ঝগড়ার মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ বছরের এক মহিলা।

রত্নপুরার এক মন্দিরে বার্ষিক এক উৎসবের মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য হাতি দুটিকে প্রস্তুত করার সময় তাদের মধ্যে লড়াই বেঁধে যায়।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে মন্দির চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ষাট বছরের একজন মহিলা এবং আহত হন বেশ অনেকে।

পুলিশ কর্মকর্তা জানাচ্ছেন দুই হাতিকে আলাদা করার চেষ্টায় মাহুত ধারালো আঁকশির মত জিনিস দিয়ে হাতিকে খোঁচা মারে।

হাতিটি যন্ত্রণায় পালাতে গেলে মন্দির চত্বরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।

হাতিটি মাহুতের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল- কোনো মানুষকে আক্রমণ করার চেষ্টা তার মধ্যে ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। কিন্তু আতঙ্কিত মানুষ পালানোর চেষ্টা করলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিলা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

রাজধানী কলম্বোর ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে রত্নপুরার ওই মন্দিরে প্রতি বছরের এই অনুষ্ঠান অসংখ্য ভক্ত জড়ো হন। এবছরও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি উপলক্ষে শুক্রবার প্রচুর ভক্ত সেখানে জড়ো হয়েছিল যখন এই ঘটনা ঘটে।

শ্রীলংকার হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে পোষা হাতি রাখার চল অনেকদিনের এবং এসব মন্দিরের পূজাপার্বণে হাতিকে পবিত্র পশু হিসাবে দেখা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_20160917_181606ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি: সদর উপজেলার মাধবকাটি ফুটবল মাঠে উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে মাধবকাটি বাজার কমিটি ও পঞ্চগ্রাম ক্লাবের যৌথ আয়োজনে ভাদ্র মেলা উপলক্ষে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’র ফাইনাল খেলায় কুশখালী ফুটবল একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আগরদাঁড়ি সবুজ সংঘ ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়। মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান সানার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী দলকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং পরাজিত দলকে রানার্স আপ ট্রফিসহ উভয় দলকে একটি করে ফুটবল পুরস্কার হিসেবে প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগ্রাম ক্লাবের সভাপতি মো. শাহজাহান কবির, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও পঞ্চগ্রাম ক্লাবের সেক্রেটারি মো.রেজাউল করিম, মাধবকাটি  বাজার কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর লিটু, বাজার কমিটি’র সভাপতি মো. আবুল খায়ের বিশ্বাস, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন হোসেন, সাংবাদিক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ। খেলায় ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন আগরদাঁড়ি সবুজ সংঘ ফুটবল একাদশের মো. জাকির হোসেন। খেলাটি পরিচালনা করেন ম্যাচ রেফারি মো. মনিরুজ্জামান মনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেষ্ক রিপোর্ট: শ্যামনগরে বিষ পানে এক কিশোরি আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় শ্যানগরের কৈখালী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরির কৈখালী গ্রামের হাফিজুর রহমানের কন্যা হাফিজা খাতুন(১৩)।
নিহতের স্বজনরা জানায়, সন্ধ্যার কিছু আগে হাফিজা খাতুন তার বড় বোনের সাথে কথাকাটা কাটি করে। এর সূত্রে ধরে সন্ধ্যার দিকে সকলের অগোচরে সে বিষ পান করে। পরে তাকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mohammad-ayyub_25176_1474087309ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের আহমেদাবাদে মোহাম্মদ আইয়ুব (২৯) নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দেশটির স্বঘোষিত গরু রক্ষা বাহিনী। খবর এনডিটিভির।
গত বুধবার আইয়ুবকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শুক্রবার আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বুধবার রাত ৩টায় সমীর শেখ এবং আইয়ুব গাড়িতে করে একটি গাভী ও একটি বাছুর গরু পাচার করছিলেন। এ সময় তাদের গাড়ি মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে বাছুরটি মারা যায়। আহতাবস্থায় আইয়ুব ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে গরু রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে ব্যাপক মারধর করে। তবে আইয়ুবের সহযোগী সমীর শেখকে সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য রক্ষা করেন।
এদিকে গরু রক্ষা বাহিনীর তিন সদস্য আইয়ুব এবং সমীরের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গরু পরিবহনের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে যাদের পিটুনিতে আইয়ুব মারা গেছেন, তাদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। আইয়ুবের পরিবারের দাবি, থানায় অভিযোগ করা ওই তিন ব্যক্তিও আইয়ুবকে পেটানোর সঙ্গে জড়িত। তবে পুলিশ বলছে, তাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। তাছাড়া আহত সমীরও তাদের চিনতে পারেননি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আরআর ভগত নামের একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন, আমরা ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করেছিলাম। কিন্তু সমীর তাদের চিনতে পারেননি। তিনি বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আইয়ুবের পরিবার বলছে, সমীর ঘটনাস্থলে ছিল। কিন্তু এখন উপরের চাপে সে তাদের চিনতে পারছে না বলে জানিয়েছে।
আইয়ুবের চাচা রোজার খান বলেন, থানায় অভিযোগ দায়েরের ফলে এটা পরিষ্কার যে, ওই তিন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে ছিলেন। তারাও আইয়ুবের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তিনি বলেন, অবৈধভাবে গরু পরিবহন করলেও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। এই স্বঘোষিত গরু রক্ষা বাহিনী খবরের শিরোনামে আসে গত জুলাই মাসে। তখন চারজন মুসলিমকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছিল।
এরপর দেশটিতে এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন মুসলিমকে হত্যাও করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শোকাহত শাহ আলমের পরিবারে কান্নার মাতম

শোকাহত শাহ আলমের পরিবারে কান্নার মাতম

ডেস্ক রিপোর্ট: বাবা মা আর স্বজনদের বুক ফাঁটা আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে গ্রামের বাতাস। দূর দূরান্ত থেকে আত্মীয় অনাত্মীয়রা আসছেন, তারাও যোগ দিচ্ছেন শোকের মিছিলে।
সকাল থেকে এমনই এক চিত্র বিরাজ করেছে কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শেখ শামসুর রহমানের বাড়িতে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এ গ্রামের ছেলে শাহ আলম। সেই শোক বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাতা উজিলভি অ্যান্ড ম্যানটার বিডি অ্যাডভারটাইসমেন্ট এর কর্মকর্তা শাহ  আলম  শেষ ঈদ করেছেন ঢাকায় বোনের সাথে। তারপর ফিরে গেছেন কর্মস্থলে। কথা ছিল বিজ্ঞাপনী শুটিং শেষ করে বাড়িতে ফিরবেন শাহ আলম। তা আর হয়নি। শুক্রবার ক্রিকেট তারকা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে  কক্সবাজার ইনানি সৈকতে  নামিয়ে ঢাকা ফিরো  যাবার পথে এই দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে শাহ আলমের প্রাণ। গ্রামের বাড়িতে তার দেহ পৌছেছে, কিন্তু সে তো খাটিয়ায় শায়িত বরফাচ্ছাদিত নিষ্প্রাণ এক নিথর দেহ।
কান্না জড়িত কন্ঠে ওর মামা কলেজ ছাত্র শাকিল খান বললেন শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে শাহ আলমের বিধ্বস্থ দেহ  মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছালো বাড়ির আঙ্গিনায়। ততক্ষণে গ্রামজুড়ে মানুষের চোখ অশ্রুতে ভরে উঠেছে। বুক চাপড়িয়ে ওর মা লতিফুন বেগম বিলাপ করছেন। বলছেন ‘শাহ আলম কোথায় গেলি তুই বাবা’। ওর বাবার আকুতি ঈদে বাড়ি আসলে ওকে মরতে হতো না। মাত্র দেড়বছর আগে শ্যামনগরের খানপুর গ্রামের মেয়ে রুমা খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন শাহ আলম। ঢাকার যাত্রাবাড়িতে বড়বোন সাবিনার বাসায় থাকেন ওরা। রুমা শোকে পাথর হয়ে গেছেন।
দুই ভাই এক বোন শাহ আলমরা। বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম নিজ এলাকায় ব্যবসা করেন। বড় বোন সাবিনার বিয়ে হয়েছে।

নিহত শাহ আলমের মৃতদেহ

নিহত শাহ আলমের মৃতদেহ

পুরো বাড়ি জুড়ে এখন শোকের মাতম। দলে দলে আসছেন গ্রামের মানুষ। বলছেন ‘ওর মতো এমন ভালো ছেলে আর হয় না’। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শেষ করে বরেয়া মিলনী হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন শাহ আলম। তারপর কালিগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স  করে সিএ করেছেন শাহ আলম।
দুপুরে শাহ আলমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বাড়ির পাশে রাজাপুর মসজিদের আঙ্গিনায়। শেষ ভাদ্রের ভরা বৃষ্টির  মধ্যেও জানাযায় হাজির হন অগনিত মানুষ। ছিলেন চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রউফ, ইউপি সদস্য শাহিনুল খান, মো. আবুবকর, আবদুস সাত্তার ছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
তাদের আক্ষেপ অকালেই অপঘাতে চলে গেলো ছেলেটি। শাহ আলম এখন পারিবারিক গোরস্থানে অন্তিম শয়ানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

news
শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ভূরুলিয়া ইউনিয়নে খানপুর বাসস্টান্ডে যাত্রীবাহি বাস চাপায় ফারুক গাজী (২৪) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। সে উপজেলায় সদর ইউনিয়নের মিঠা চন্ডিপুর গ্রামে মৃত্যু নজির আলী গাজীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রমতে, ফারুক রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। এমন সময় শ্যামনগর হতে সাতক্ষীরা গামী গেটলক পরিবহন নারায়ণগঞ্জ ০৪-০০৬৭ তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ গোপাল বিশ্বাস মৃত ঘোষনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest