সর্বশেষ সংবাদ-
কোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যুখুলনার নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত হলো: ২০ গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস উল্লাস

photo-1474029868স্বাস্থ্য ও জীবন: মজবুত, ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, নানা কারণে আমরা যেমনটা চাই আমাদের চুলের গঠন তেমন হয়ে ওঠে না। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভাবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার খুব সাধারণ একটি সমাধান রয়েছে। তা হলো, চুলের যত্নে ভালো তেল ব্যবহার করা।
চুল আমাদের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটা অংশ। আর সেই চুলই যদি ক্রমাগত ঝরে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে তাহলে আর দুঃখের কোনো সীমা থাকে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে কয়েকটি প্রাকৃতিক তেলের তালিকা।

ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ যা চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল করে। এ ছাড়া এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে এতে ভিটামিন বি রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। নারকেল তেল ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এবং চুলের জন্য পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী তেল। চুল এই তেল ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এর ফলে এই তেলের কার্যকারিতাও বেশি।

অলিভ ওয়েল
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য সেরা প্রাকৃতিক তেল হিসেবে অলিভ ওয়েলের বেশ খ্যাতি রয়েছে। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে দু-তিন ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। এর ফলে চুল হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

সূর্যমুখী তেল
তৈলাক্ত চুলের জন্য এই তেল খুব উপযোগী। এই তেল অনেক হালকা হওয়ার কারণে চুলে ম্যাসাজ করলে, তেলতেলে হয় না। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বিভিন্ন তেল চুলে লাগিয়ে যত্ন নিন। তবে কখনোই চুলে তেল লাগিয়ে বেশি সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়বেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল আরো বেশি পড়তে পারে।

অ্যাভোকাডো তেল
অ্যাভোকাডো তেল অন্যান্য তেলের মতো এত সহজলভ্য নয়। কিন্তু এই তেল ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’-সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো তেলে ময়েশ্চারাইজিং রয়েছে, যা ভঙ্গুর চুলের সমাধান করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য বেশ উপকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ!

কর্তৃক Daily Satkhira

bd_football_team_1স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফিফার সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষেই রয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ৫ ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছে নেইমারের ব্রাজিল। তবে কোন উন্নতি হয়নি দেশের ফুটবলের। উল্টো দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৮৫ নম্বরে।
চলতি মাসে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। একটিতে ড্র, আরেকটিতে হার। তাই সার্বিক চিত্রের প্রভাব পড়েছে র‌্যাংকিংয়েও। অপরদিকে প্রতিবেশী ভারত অবস্থান করছে ১৪৮ নম্বরে।
এদিকে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে হারানো মালদ্বীপ ৯ ধাপ এগিয়ে অবস্থান নিয়েছে ১৬৫ নম্বরে। সম্প্রতি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করা ভুটানেরও হয়েছে উন্নতি। ৩ ধাপ এগিয়ে অবস্থান নিয়েছে ১৮৯ নম্বরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hero-the-superstar-shakib-apu-bobby-bangla-movie-1বিনোদন ডেস্ক: অবশেষে খোঁজ মিলল অপু বিশ্বাসের। বিদেশে আছেন তিনি। তবে ভালো নেই। প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে আছেন। শারীরিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন। সহসা দেশে ফিরছেন না। ২৯ আগস্ট বেলা ২টা ৪৭ মিনিট। একটি বিদেশি নাম্বার থেকে কল আসে। রিসিভ করতেই ভেসে আসে অপরিচিত মহিলার কণ্ঠস্বর। আমার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে অপু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন এবং অপু সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানাতে চান। তিনি বলেন, অপু ভালো নেই। তার এই ভালো না থাকার জন্য শাকিব খান দায়ী। অপুকে বিয়ে করেছেন শাকিব এমনও দাবি তার।
বিয়ের সাল উল্লেখ করতে পারলেও কোন কাজী অফিসে বিয়ে হয় তা সূত্রটি জানাতে পারেননি। একজন প্রযোজক যিনি কিনা শাকিব-অপুর খুব কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনি এই বিয়েতে সহযোগিতা করেন, বাসায় কাজী নিয়ে আসেন। গুলশানে শাকিবের বাসাতেই বিয়ে পড়ানো হয় বলে সূত্রটি দাবি করে বলেন, ওই প্রযোজক ছিলেন বিয়েতে উকিল বাবা। আর শাকিবের এক চাচাতো ভাই ছিলেন সাক্ষী। অপুর পক্ষে কোনো সাক্ষী ছিল না বলেও দাবি সূত্রের।
বিয়েতে কারও পরিবারের অন্য কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তিনি। সূত্র জানায়, মুসলিম রীতি অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়া বিয়েতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অবন্তী বিশ্বাস অপুর নাম কাবিননামায় ‘অপু ইসলাম খান’ নামে লিপিবদ্ধ করা হয়। অপুর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলে দাবিদার ব্যক্তি বলেন, বিয়ের পর বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাদের। গুলশানে শাকিবের বাসাতেই বেশির ভাগ সময় কাটতো দুজনের।
শাকিবের অনুরোধে অপু অন্য কোনো নায়কের বিপরীতে তেমন একটা অভিনয় করতে পারেননি। সূত্র জানায়, এক সময় তাদের সম্পর্ক তিক্ততার দিকে মোড় নিতে শুরু করে। এর জন্য অপুর প্রতি শাকিবের আচরণই দায়ী বলে জানায় সূত্র। অপুর চেয়ে অন্য মেয়েদের প্রতি শাকিবের দুর্বলতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অপু আঁচ করতে পারলে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। তারপরও অপু চেয়েছিলেন শাকিবকে নিয়ে ঘর করবেন। কিন্তু শাকিব কোনো কথা তো শুনতেনই না বরং অপুর ওপর নানাভাবে নির্যাতন করতেন বলে দাবি সূত্রের।
২৯ আগস্ট বিদেশি আগন্তুকের কল থেকে এসব বিষয় জানা গেলেও এতদিন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলে। ২৮ আগস্ট শাকিব খান ছবির শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর এখনও না ফেরা এবং অপুকে না পাওয়ার কারণে তাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সূত্রটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলে। আর নিশ্চিত হয়েই তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সূত্রটি জানায়, অপু বিশ্বাস কোনোভাবেই শাকিব খানকে ছাড়তে চান না। শাকিব খানকে নিয়েই সুখে সংসার করার ইচ্ছে তার।
সূত্র আরও জানায়, বিয়ের কাবিননামার একটি কপি অপুর কাছেই ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে দুজনের মনোমালিন্য চরমে পৌঁছলে শাকিব জোর করে অপুর কাছ থেকে কাবিননামা নিয়ে যান। এত কিছুর পরও শাকিবের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন অপু। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি। শাকিব-অপুর সম্পর্ক যখন চরম অবনতির দিকে গড়ায় তখনই হতাশ হয়ে অপু চলতি বছরের মার্চ থেকে নিজেকে সবার আড়াল করে নেন। শাকিবের বিপরীতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ ছবির কাজ ফিরিয়ে দেন। শুটিং বাকি থাকা ‘পাংকু জামাই’, ‘রাজনীতি’, ‘মা’ ছবির কাজে আর ফেরেননি। গুলশানে নিজের জিম সেন্টারটিও বন্ধ করে দেন। নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া দূরে থাক কোনো নির্মাতা বা সাংবাদিকের মুখেমুখি পর্যন্ত হননি তিনি। এমনকি নিজের কাছের মানুষদের কাছ থেকেও দূরে সরে যান।এত কিছুর মধ্যেও বারবার শাকিবকে সুবোধ ছেলের মতো নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
ব্যর্থ ও হতাশ হয়ে জুন মাসে বিদেশে চলে যান অপু। সূত্রটি জানায়, বর্তমানে নতুন নায়িকা বুবলীর প্রতি শাকিবের অতি প্রীতি অপুকে আরও বিধ্বস্ত করে ফেলেছে অপু নাকি বলেছেন শাকিব যত কিছুই করুক তাকে ডিভোর্স দেবেন না তিনি। সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, অপু বলেছেন শাকিব খান এতদিন ধরে তার ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছেন তার প্রতিশোধ কড়ায় গণ্ডায় উসুল করবেন তিনি। কোনোভাবেই শাকিবকে ডিভোর্স দেবেন না। শাকিবকে নিয়েই সংসার করবেন তিনি।
সূত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় শাকিবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি এখন কীভাবে দেখছেন অপু। সূত্র বলছে, অপু এটিকে ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন এখন আর বারবার বলছেন ‘আমি ভুল করেছি’। সূত্র জানায়, শাকিবের সঙ্গে ২০০৬ সালে জুটি বেঁধে প্রথমে ‘কোটি টাকার কাবিন’ এরপর ‘পিতার আসন’, ‘চাচ্চু’, ‘দাদীমা’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’ প্রভৃতি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বাস্তবে ও পর্দায় এই জুটির অবস্থা ছিল বেশ রমরমা। দর্শকও বড় পর্দায় ‘শাকিব-অপু’ জুটির রসায়ন সাদরে গ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট চলাকালে এই জুটি ছিল দর্শক-নির্মাতার ভরসার প্রতীক। তাদের গোপন রোমান্স-বিয়ের খবর চলচ্চিত্র জগৎ ছাড়াও সাধারণ মানুষ অনেক আগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। চলচ্চিত্র জগতের মানুষ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এতে কেউ কোনো বিরূপ মনোভাব পোষণ করেননি। এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রেম-বিয়ে হতেই পারে। কিন্তু পরবর্তীতে তা তিক্ততায় গড়াক এটি কারো কাম্য নয়। সূত্র জানায়, অপু বিশ্বাস এ বছরের শেষ দিকেই দেশে ফিরবেন। এ সময়ের মধ্যে শাকিবের কাছ থেকে কোনো রকম ইতিবাচক সাড়া না পেলে সংবাদ সম্মেলন করে শাকিবের অনেক অজানা তথ্য সবাইকে জানিয়ে দেবেন অপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imageভিন্ন স্বাদের সংবাদ: ফোনটা এসেছিল রাত এগারোটা নাগাদ। একটা রিং হতেই ডিউটি অফিসার তড়িঘড়ি রিসিভার তুলেছিলেন, ‘‘নমস্কার, কোতোয়ালি থানা…।’’
ফোনের ও প্রান্ত কিছুক্ষণ চুপ। তারপর জড়ানো গলায় ভেসে এল, ‘‘দু’টো দিশি আর এক প্যাকেট ডালমুট, পাঁচ মিনিটের মধ্যে।’’ বহরমপুর দমকলে ফোনটা এসেছিল আরও রাতে।
টেলিফোনের পাশে বসে খবরের কাগজটা উল্টেপাল্টে দেখছিলেন এক কর্মী। ফোনের ও প্রান্তে মহিলা কন্ঠ, ‘‘পুড়ে সব ছারখার হয়ে গেল। শিগ্‌গির আসুন।’’ দমকল কর্মীর গলায় ষোলো আনা উদ্বেগ, ‘‘কোথায় আগুন? এলাকাটা বলুন…।’’ উত্তর এল, ‘‘মনে আগুন লেগেছে। পারবেন নেভাতে?’’-আনন্দবাজার।
কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মোবাইলটা বেজে উঠেছিল রাত একটায়। এত রাতে ফোন? রোগীর অবস্থা কি খারাপ? ধড়মড়িয়ে উঠে ফোনটা রিসিভ করতেই ও প্রান্ত থেকে এক তরুণী জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘প্রেম-জ্বরের ওষুধ মিলবে, ডাক্তার?’’এমন ফোনের গুঁতোয় দুই জেলা জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব।
পুলিশকর্মী গলা চড়িয়েছেন, ‘‘তোর কী করি দ্যাখ!’’ দমকলকর্মীর অনুনয়, ‘‘জরুরি নম্বর। এটাকে নিয়ে মজা করবেন না প্লিজ।’’ চিকিৎসকের দাওয়াই, ‘‘আপনার জন্য আরও বিপদে পড়তে পারে রোগী ও তাঁর বাড়ির লোকজন।’’ কিন্তু ওই পর্যন্তই! কাজের কাজ কিস্যু হয়নি।
কৃষ্ণনগরের জেলা হাসপাতালের দু’টি ক্যাম্পাসে একাধিক জায়গায় বোর্ড টাঙিয়ে প্রচার করা হয়েছে একটি মোবাইল নম্বর। চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে মাস কয়েক আগে। কিন্তু কাজের থেকে অকাজের ফোনই সেখানে বেশি আসছে বলে অভিযোগ।জেলা হাসপাতালের এক কর্তার আক্ষেপ, ‘‘মানুষ আর কবে সচেতন হবে বলুন তো?’’
পুলিশ ১০০, দমকল ১০১ এর মতো টোল ফ্রি নম্বরগুলোও চালু হয়েছিল নিখরচায় জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য। অথচ সেই সুবিধারও চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন কিছু লোকজন। কিন্তু ফোনগুলো থানায় কিংবা দমকলে আসছে কী ভাবে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি ১০০ নম্বর ডায়াল করলেই ফোন চলে যাওয়ার কথা স্থানীয় থানায়। যেহেতু ওই নম্বর টোল ফ্রি, তাই যে কেউই যখন তখন মোবাইল কিংবা ল্যান্ডফোন থেকে এ ভাবে ফোন করে বিরক্ত করছে। একই ভাবে ১০১ ডায়াল করলেই সেই ফোন যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার দমকল দফতরে।
বহরমপুর থানার এক পুলিশকর্মী বলছেন, “ধরুন, প্রথম ফোনটা এল অমুক জায়গায় গোলমাল। ঠিক তার পরের ফোনটা এল পঞ্চাশ টাকা রিচার্জ করে দেওয়ার জন্য। কাজের সময় এ সব কারও ভাল লাগে?”
দিনকয়েক আগে করিমপুর দমকলে ফোন এসেছিল। রাতেই। না কোনও আবেদন-নিবেদন নয়। নিখাদ জরুরি গলায়, ‘‘ফায়ার স্টেশন? আগুন লেগেছে। তাড়াতাড়ি আসুন।’’ মুহূর্তে সেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল দমকলের গা়ড়ি। কিন্তু কোথায় আগুন? দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে ছিল পাড়া।
অতএব পালে বাঘ পড়ার গল্প মাথায় রেখেও ছুটতে হচ্ছে পুলিশ কিংবা দমকলকে। দমকল ও পুলিশ কর্তাদের কথায়, ‘‘তাছাড়া উপায় কী বলুন? সত্যিই যদি বিপদ ঘটে যায় তার দায় কে নেবে?’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলছেন, “হাসপাতালের এই ফোন নম্বরকে জীবনদায়ী নম্বর হিসাবেই ভাবা দরকার। সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ এর অপব্যবহার করবেন না।’’
দমকল ও থানার ল্যান্ড নম্বরে কলার লাইন আইডেন্টিফিকেশন (সিএলআই) লাগানো থাকে। সেই নম্বরের সূত্র ধরেও কিছু কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এই প্রবণতা কমেনি। কিন্তু এমন ফোনের কারণ কী? নদিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, কেউ ফোন করেন নিছক মজার জন্য। কেউ আবার বিব্রত করেই আনন্দ পান। কিন্তু তার পরিণতি যে কী হতে পারে, সে সম্পর্কে তাঁদের ন্যূনতম সচেতনতা থাকলে এমনটা তাঁরা করতেন না।
বহরমপুর দমকলের ওসি সুখেন সরকারও বলছেন, “থানা-পুলিশ করেও বিশেষ লাভ হয়নি। মানুষ সচেতন না হলে এই বদ অভ্যাস বন্ধ করা কঠিন।”
তবে মনোবিদরা এই প্রবণতাকে এত সহজে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনস্তত্ত্ব বিভাগের প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, তিনটে কারণে মানুষ এমন ফোন করে থাকেন—

১) একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা থেকে অনেকে ফোন করে থাকেন। এর পিছনে মানসিক অবসাদ অন্যতম কারণ।

২) কারও দেওয়া ভুল তথ্যের জেরে সোরগোল পড়ে গেল। তখন সেই মানুষটি আনন্দ পান এই ভেবে যে, তিনি গুরুত্ব পেলেন। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় নার্সিসিস্টিক পার্সোন্যালিটি ডিসঅর্ডার।

৩) অসামাজিক কারণেও অনেকে ফোন করে থাকেন।

রঞ্জনবাবু বলছেন, ‘‘উপযুক্ত চিকিৎসা ও সচেতনতাই এর একমাত্র দাওয়াই।’’ সেই ওষুধ যতদিন না পড়ছে ততদিন কে নেভাবে মনের আগুন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14364913_622051224631505_6318178349079637024_nস্বাস্থ্য ও জীবন: বাংলাদেশের অল্প কিছু এলাকায় লাইনের গ্যাস রয়েছে। বাকী সব এলাকার মানুষই এলপিজি বা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে রান্নার কাজে। এটি এখন একটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু একটু অসাবধানতার কারনেই ঘটতে পারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, হতে পারে প্রাণহানি। তাই আমাদের সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

গ্যাস লিক হলে কী করবেন?
সিলিন্ডারের গ্যাস খুবই বাজে গন্ধযুক্ত। কোন অংশ লিক হলেই এই বাজে গন্ধ দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এমন উৎকট গন্ধ পেলেই সাবধান হয়ে যান। কোন প্রকার আগুন জ্বালানো যাবে না এই সময়। পাশাপাশি বাসার বিদ্যুৎ লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। বাসার সকল দরজা, জানালা খুলে দিন যাতে বাতাস যাতায়াত করতে পারে। সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন এবং সেফটি ক্যাপ লাগান।

কীভাবে আগুন নেভাবেন?
যদি সিলিন্ডারে আগুন লাগে, আতঙ্কিত না হয়ে নেভানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রথমে দ্রুত একটি সুতি কাপড় (লুঙ্গি জাতীয় কাপড়) দিয়ে পুরো সিলিন্ডারটি ঢেকে দিন। আগুন হাতে কিংবা শরীরে লাগবে না। তারপর দ্রুত রেগুলেটর ঘুরিয়ে সিলিন্ডারটি বন্ধ করে ফেলুন। দেখবেন আগুন নিভে যাবে।

শরীরে গ্যাস লাগলে
আর কিছু বিষয় জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। যদি সিলিন্ডারের গ্যাস শরীরের কোথাও লাগে তাহলে ওই স্থান ২০ মিনিট পানি দিয়ে ধুতে হবে। যদি কাপড়ে লাগে তাহলে ওই কাপড় দ্রুত খুলে ফেলতে হবে। চোখে লাগলে পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। আর যদি কোনভাবে শরীরে আগুন লেগে যায়, তাহলে শরীরের সব জামা-কাপড় খুলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে। যতটা দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে। আগুনে পুড়ে যদি শরীরে ফোস্কা পড়ে তা ভুলেও তুলে ফেলবেন না। এতে ঐ স্থানে ইনফেকশন হতে পারে।

সাবধানতা অবলম্বন
সিলিন্ডারের গ্যাস বিস্ফোরণের ফলে মারাত্বক দূর্ঘটনা হতে পারে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে সিলিন্ডার লিক হচ্ছে কি না। এই পরীক্ষা করার জন্য পানিতে সাবানের গুঁড়া মিশিয়ে ফেনা তৈরি করুন। এই ফেনা রেগুলেটর, হোস পাইপ, ভাল্ব ইত্যাদিতে লাগান। যদি কোন স্থানে সাবান পানির ফোঁটা বড় হতে দেখা যায় তাহলে বুঝবেন ঐ স্থান লিক হয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে তখন। সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ রোধে আপনাকে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কখনো গ্যাসের চুলায় রান্না তুলে দিয়ে অন্যত্র যাবেন না। খাবারে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। রান্নার সময় আপনার পড়নের কাপড়ের দিকেও সাবধান দৃষ্টি রাখতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশি ইমাম জালাল উদ্দিনকে হত্যায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। দণ্ডিত মোহাম্মেদ হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ইমামকে হত্যায় সহযোগিতার প্রমাণ মিলেছে। রোগ নিরাময় ও নানা সমস্যা সমাধানে তাবিজ দেওয়ায় ৭১ বছর বয়সী এই ইমামকে হত্যা করা হয় বলে আদালতের রায়ে উঠে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের পিছনে আইএসের আদর্শ কাজ করেছে বলে এতে বলা হয়।
গত ফেব্রুয়ারির এক সন্ধ্যায় ম্যানচেস্টারের রচডেলের একটি শিশু পার্কে হামলার শিকার হন জালাল উদ্দিন। তার মাথা ও মুখে একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
আদালতে বলা হয়, নামাজ আদায়ের পর মসজিদ থেকে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খেয়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে ওই ইমামের ওপর হামলা হয়।
প্রায় ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে রচডেলে যাওয়া ইমাম জালাল উদ্দিন অসুস্থতা ও অশুভকে তাড়াতে ইসলামী পন্থায় তাবিজ দিয়ে ওই এলাকায় বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন।
কিন্তু এই তাবিজ সংক্রান্ত বিষয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেই তার ওপর হামলা হয় বলে জানানো হয় প্রসিকিউশনের ভাষ্যে। বলা হয় ২১ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ হোসেন সাঈদী ও ২৪ বছরের আব্দুল কাদির তার ওপর হামলা চালায়। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পর যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে তুরস্কে যান কাদির। পরে সেখান থেকে তিনি সিরিয়া যান বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
দণ্ডিত মোহাম্মদ সাঈদীর বিরুদ্ধে ইমামকে হত্যায় সহযোগিতার প্রমাণ মিলেছে এবং তাকে ন্যূনতম ২৪ বছর সাজা ভোগ করতে হবে জানানো হয়। নিহত জালাল উদ্দিনের পারিবারিক বন্ধু হারাস রফিক বলেন, ”এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে যুক্তরাজ্য এবং পুরো পৃথিবী জুড়ে এ মুহূর্তে ইসলামের ভেতরেই যেন একটি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যারা আধ্যাত্মিক পন্থায় তাবিজের মাধ্যমে মানুষের রোগ সারায় তাদের একশ্রেণীর মানুষ অপছন্দ করতে শুরু করেছে। এদেরকে তারা প্রকৃত মুসলিম বলে মনে করছে না।”
প্রসিকিউটর আদালতে বলেন, “জালাল উদ্দিন রোগ সারাতে যে ইসলামি পন্থা চর্চা করতেন আইএস সেটাকে ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’ হিসেবে দেখে এবং তারা মনে করে, যারা এর চর্চা করে তাদের কঠিন শাস্তি, এমনকি মৃত্যু প্রাপ্য।”
ঘটনার পর গোয়েন্দারা সাঈদীকে তার রচডেলের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইলে জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর দৃশ্য পান। এ সময় তার বাসা থেকে আইএসের প্রচারের অনেক কিছু উদ্ধার করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত একটি ছবিতে জালালিয়া মসজিদের বাইরে আইএসের পতাকার মতো একটি পতাকা ধরে সাঈদীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

e0a686স্বাস্থ্য ও জীবন: আদা ছাড়া বাঙালির রান্নাঘর ভাবাই যায় না। সুস্বাদু রান্নার জন্য রান্না ঘরে আদা চাই-ই চাই। কিন্তু আদা শুধু খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায় না, এক টুকরো আদা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়িয়ে জীবনও বদলে দিতে পারে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো! তাহলে দেরি কেন আসুন প্রতিবেদন পড়ে জেনে নেই নিয়মিত আদা খেলে কি হয়?
* নিয়মিত আদা খেলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। সহজেই স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে আদা।
* প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর আদা। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে ছোটখাটো অনেক রোগের হাত থেকেই মুক্তি মেলে।
* দুর্বল লাগছে? কারণ, যাই হোক এক টুকরো আদা খেয়ে নিন। অনেকটা শক্তি পাবেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, জানুন দুর্বলতার কারণ।
* অম্বলের কারণে বুক জ্বলার সমস্যা? ২ কাপ জলে এক টুকরো ছেঁচে গরম করে চায়ের মতো তৈরি করে পান করুন।
* বমিভাব বা বমি হচ্ছে? আদা কুচি চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষণিক সমাধান পাবেন।
* আদার রস ব্যথা কমাতেও ওষুধের মতো কাজ করে। যেখানে আঘাত সেখানে লাগাতে পারেন আদার রস। এমনকি আদার রস পান করলেও ব্যথা কমে।
* ক্ষুধামান্দ্যে ভুগছেন? তা হলে চিবিয়ে অথবা রস করে আগে আদা খেয়ে নিন। আধা ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষুধামান্দ্য দূর হবে এবং খাবারে রুচি ফিরবে।
* গলা খুশখুশ কমাতেও উপকারী আদা। ঠান্ডা লেগে কাশি হলেও আদা গলা স্বাভাবিক রাখতে কাজে লাগে।
* আদা হজমের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ আদা-চা পান করলে গোটা দিন অম্বল বা হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14322328_621969441306350_3402963400386701767_nডেস্ক রিপোর্ট: ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা সিমোন ও’ কানে। পেশায় টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রীর নাম লিয়েন্ড্রা। আর নিজের স্ত্রীকে নিয়েই অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন সিমোন।
অনলাইনে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে জানালেন, স্ত্রীকে বিক্রি করে দিবেন। বিজ্ঞাপনের ভাষাটিও অন্যরকম। যেখানে লেখা হয়েছে- নাম- লিয়েন্ড্রা। বয়স- ২৭। স্ট্যাটাস- ব্যবহৃত স্ত্রী। তবে এখনও তার মধ্যে অনেক কিছু বাকি রয়েছে। ভালো গুণ- রান্না ভালোই পারেন। তবে অনেক সময় তা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। খারাপ গুণ- কোনো জিনিস চাইলে তা না পাওয়া পর্যন্ত শান্ত হন না।
বিক্রির কারণ- স্ত্রীকে নিয়ে আমি সম্পৃক্ত। এবারে তার জীবনে অন্য কেউ আসা প্রয়োজন। শর্ত- একবার কিনে নিলে তা আর ফেরত নেয়া হবে না। অনলাইনে এমন বিজ্ঞাপন দেখে চমকে উঠেছেন অনেকে। অনেকে আবার আহ্লাদে আমোদিত কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন সিমোন? অভিযোগ, স্ত্রীর জ্বালায় নাকি ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না। অফিস থেকে রোজ ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেন।
আর বাড়িতে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লিয়েন্ড্রা চিৎকার জুড়ে দিতেন। যে কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়েই চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। দিন কয়েক আগেও এমন ঘটনার পর ভয়ঙ্কর বিরক্তিতেই নাকি এই কু-বুদ্ধিটা মাথায় খেলে। দেরি না করে অনলাইন কেনাবেচার সাইটে বউ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন।
একবার হাতবদল হলে তা যে আর ফেরত নেয়া হবে না সে শর্তও খোলসা করে লিখে দেন। বিস্ময়কর ভাবে সত্যি সত্যিই বেশ সাড়া মেলে বিজ্ঞাপনে। ‘ইচ্ছুক’ বেশ কয়েকজন সিমোনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাত্র দুদিনের মধ্যে দরাদরিতে ‘দাম’ ওঠে ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৮৯ টাকা!
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনটি নজরে পড়ে যায় অনলাইন সংস্থাটির। সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়েও দেয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়। স্বামীর এই কীর্তিতে কর্মক্ষেত্রে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় লিয়েন্ড্রাকে।
প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত, দুই সন্তানের মা, লিয়েন্ড্রা বলছেন, ‘আমাকে শুধু বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাই নয়, আমার খুব বাজে একটা ছবিও আপলোড করেছে। ওকে আমার খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছিল।’ আর এত কাণ্ড ঘটালেন যিনি, সেই সিমোনের বক্তব্য, নেহাত মজা করেই তিনি নাকি এসব করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest