সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যু

মইনুল ইসলাম: ঈদুল আযহা উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় সিনিয়র সাংবাদিক একাদশ ও জুনিয়র সাংবাদিক একাদশের মধ্যে এক আকর্ষনীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের পরদিন বিকাল ৫টায় বুধহাটা কলেজিয়েট স্কুল মাঠে আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের উদ্যোগে এবং সাংবাদিক আলমিন হোসেন ছট্টু ও মইনুল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত খেলা ৩-৩ গোলে অমিমাংশিত ভাবে শেষ হয়। খেলায় সিনিয়র সাংবাদিক একাদশের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম এবং জুনিয়র সাংবাদিক একাদশের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন মইনুল ইসলাম। খেলায় সিনিয়র সাংবাদিক একাদশের পক্ষে আইয়ুব হোসেন রানা, মোস্তাফিজুর রহমান ও সোহরাব হোসেন ১টি করে গোল এবং জুনিয়র সাংবাদিক একাদশের পক্ষে মোখলেছুর রহমান ময়না, মাস্টার সুব্রত দাশ ও নূর আলম ১টি করে গোল করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hospitalনিজস্ব প্রতিবেদক: ‘হয় মামলা তুলবি, আর না হয় তোকেই তুলে নিয়ে যাবো ’ মোবাইল ফোনে এই হুমকির কথা জানিয়ে বাবা সংবাদ সম্মেলন করার দুদিনের মাথায় তার মেয়ে শ্যামনগরের নারী চিকিৎসক শম্পারানীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া  হয় ডা. শম্পাকে।
আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে সাতক্ষীরা এখন তোলপাড়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এসব নিয়ে তৈরি নানা কাহিনি। তবে শ্যামনগর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও ) ডা. শম্পা রানী বলেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। একই দাবি তারা বাবারও। অপরদিকে বিএমএর সাতক্ষীরা জেলা শাখা শম্পাকে নিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। বিএমএ বলছে সবই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
তবে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) এনামুল হক দাবি করেন, ডা. শম্পা ও আরিফুজ্জামান পলাশকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয়। পরে রাতেই মুচলেকা নিয়ে তাদের দুজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই।
ডাক্তার শম্পার অভিযোগ, তিনি গত ২১জানুয়ারি মেডিকেল অফিসার থেকে আরএমও পদে উন্নীত হবার দিন থেকেই শুরু এই ষড়যন্ত্র। সেদিন ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছিল। এরপর থেকে কোনো রোগীর চিকিৎসা দিলেই তা নিয়ে একটি মহল নানা প্রশ্নবাণ ছুড়তে শুরু করে। ওই চক্রটি কারণে অকারণে হাসপাতালে এসে অশালীন কথাবার্তাও বলে। এমনকি পত্র পত্রিকায় খবর বানানোর হুমকিও দেয় কেউ কেউ। তারাই আবার ফেসবুকে দেওয়ার নামে আর্থিক সুবিধা নিতে চায়। তিনি বলেন বারবার এধরনের ঘটনাকে মোকাবেলা করতে হয়।
সর্বশেষ ঘটনার উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, গত ২৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহেরা নামের চার বছরের একটি শিশু। পেটের নাড়ি জড়ানো (ইনটেসটিনাল অবস্ট্রাকশন) এই রোগীকে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার  ডা. দীপংকর মন্ডল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। ঘণ্টা দুয়েক পর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন ডাক্তার। এরই মধ্যে এক্সরে করানো হয় তার। এর পরপরই মারা যায় শিশুটি। তিনি বলেন এই চিকিৎসার সাথে তার এতোটুকু সংশ্লিষ্টতা  ছিল না। রোগীটির মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা  অফিসার ( ইউএইচএ) ডা. হাবিবের নির্দেশে তিনি তাহেরার  ডেথ সার্টিফিকেট লিখছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন চেনা অচেনা নেতা কর্মী  ডা. শম্পার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে কিল চড় ঘুষি মেরে  ও মারপিট করে কাপড়চোপড় টানা হেঁচড়া করে। এ অবস্থায় একজন নারী হিসাবে খুবই লজ্জাজনক অবস্থায় পড়েন তিনি। কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তিনি শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করেন।  অপরদিকে মৃত শিশু তাহেরার বাবা গোলাম মোস্তফাকে দিয়ে ডা. শম্পার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করার চাপ দিতে থাকে মহলটি। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন।
জানা গেছে শম্পার দেওয়া মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় মন্ডলকে। এ সময় বিএমএ দাবি তোলে অন্যদের গ্রেফতার না করলে তারা কর্মসূচি দেবেন। পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে হামলার মূল নায়ক শ্যামনগর মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুস সবুর ও তার সহযোগী রহমতকে গ্রেফতার করে। শম্পা বলেন তার যোগদানের দিন থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কখনও মিছিল, কখনও হামলা ও কখনও নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় শ্যামনগরে ফের  রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ধুমায়িত হতে থাকে। এই সুযোগ কাজে  লাগাতে তৎপর হয় মহল বিশেষ। ডা. শম্পার বাবা জানান, তার কাছে ও তার মেয়ের কাছে টেলিফোনে হুমকি আসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। না হলে ডা. শম্পাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে, তার শ্লীলতাহানি ঘটানো হবে। হুমকি আসে হত্যারও। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়। তাছাড়া শম্পার বাবা নগেন্দ্রনাথ সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাবলীর প্রতিবাদ করেন ও প্রশাসনের সহযোগিতা চান। এর মাত্র দুদিনের মাথায় ঘটে আরেক ষড়যন্ত্র।
ডা. শম্পার বাবা বৃদ্ধ নগেন্দ্র নাথ সরদার  বলেন তার মেয়ে খুলনা থেকে ফেরেন ১১ সেপ্টেম্বর রাতে। এ সময় খবর আসে তার বিরুদ্ধে শিশু তাহেরা হত্যার মামলা হয়েছে থানায়। রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে। শম্পা জানান এতে তিনি আতংকিত হয়ে পড়েন। শেষে তার বাবার পরামর্শ মতো  নিজের কোয়ার্টারে না থেকে কিংবা গ্রামের বাড়িতে  না যেয়ে এক সহকর্মীর বাড়িতে রাত্রি যাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের  ছুটিতে যাওয়ায় ফাঁকা সরকারি কোয়ার্টারে থাকা নিরাপদ নয় বলেও মনে করেন তারা।
তিনি জানান সহকর্মী ডা. আরিফুজ্জামান পলাশ শম্পাকে তার বাসায়  রেখে তার স্ত্রীসহ ছেলে ও শাশুড়িকে নিয়ে পাশে দাওয়াত খেতে যান। ফিরবার সময় অপরিচিত কয়েকজন লোক পলাশের স্ত্রী শারমিন আক্তার সুইটি ও তার ছেলেকে রাস্তায় আটকে দিয়ে তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলে। এরই মধ্যে ডা. পলাশও বাসায় পৌঁছে যান। তার পিছে পিছে শ্যামনগর থানার ওসি এনামুল হক বেশ কিছু লোকজনকে নিয়ে সেই বাসায় আসেন। শম্পা জানান এ সময় ‘আমি পাশের একটি কক্ষে পড়াশুনা করছিলাম। পলাশের  কক্ষে পুলিশ এসে   ডা. পলাশকে দিয়ে তাকে ডেকে পাঠান। শম্পা জানান, ‘এরপর ওসি আমাকে নানা প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন আপনাকে থানায় যেতে হবে। সে অনুযায়ী চেঞ্জ করতে রুমে ঢুকি। সেখানেও নানাভাবে আমাকে  হেনস্থা করা হয়। এরপর ওসি তাকে বাধ্য করান পলাশের সাথে থেকে ছুবি তুলাতে। পরে সে সব ছবি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে’। থানায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রশ্ন করা হয় তাকে ও ডা. পলাশকে। কিন্তু অসামাজিক আচরণের কোনো প্রমাণ মিলাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ততক্ষণে পলাশের স্ত্রীও চলে আসেন থানায় ।  তিনি এঘটনার প্রতিবাদ করে বলেন এসবই ষড়যন্ত্র। অসামাজিক কার্যকলাপের কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে দাবি করেছেন তিনি। সাতক্ষীরা জেলা বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন) এর সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান বলেন ‘ডা. শম্পা পুরোপুরি ষড়যন্ত্রের শিকার’। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
ডা. শম্পা তাকে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এর প্রতিকার দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91203971_art-cattelan-america-2016ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: নিউ ইয়র্কের গুগেনহাইম যাদুঘর দেখতে আসা দর্শনার্থীরা এখন থেকে এক পেনি খরচ করে ব্যবহার করতে পারবেন খাঁটি সোনার একটি টয়লেট সিট।
এই টয়লেট সিটটি গুগেনহাইম যাদুঘরের পাবলিক টয়লেটগুলোর একটিতে বসানো হয়েছে।
যাদুঘরের একটি ইউনি-সেক্স টয়লেট অর্থাৎ নারী পুরুষ উভয়ই ব্যবহার করতে পারে এমন একটি শৌচাগারে রয়েছে সেটি।
ইতালির চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর মরিজিও ক্যাতেলান ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের এই টয়লেট সিটের নির্মাতা, যা অন্য সাধারণ টয়লেটের মতই ব্যবহার করা যাবে। টয়লেটের নাম দেয়া হয়েছে ‘অ্যামেরিকা’।
দশনার্থীরা ইচ্ছে করলে ব্যবহার করবেন, কিংবা চাইলে কেবল দেখেও আসতে পারবেন এই শিল্পকর্ম।
নিজের শিল্প সম্পর্কে মরিজিও ক্যাতেলান বলেছেন, এটি আসলে অর্থনৈতিক অসমতার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে।
যাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই শিল্পকর্ম আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানবজীবনের কিছু বাস্তবতা থেকে কখনো চাইলেও পালানো যায় না।
ক্যাতেলানের এই শিল্পকর্মকে অনেকে ১৯১৭ সালে মার্সেল দ্যুশাম্পের ‘ফাউন্টেইন’ নামের প্রশ্রাবখানার ভাস্কর্যের সঙ্গে তুলনা করছেন।
মিলান-ভিত্তিক শিল্পী ক্যাতেলান তার প্ররোচণামূলক ভাস্কর্যের জন্য খ্যাত।
তার উল্লেখযোগ্য কাজের একটি ‘লা নোনা ওরা’ তে দেখা যায় উল্কার আঘাতে পোপ দ্বিতীয় জন পল মাটিতে পড়ে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01ea52b2b58108936f1aa86a4d903fe8-111ডেস্ক রিপোর্ট: যেন কোনো রহস্য উপন্যাস। ম্যাচের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা, যার শেষটা হলো অনির্বচনীয় তৃপ্তিতে। জিনেদিন জিদানের হয়তো এখন তেমন অনুভূতিই হচ্ছে।
জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদকে। এবার তাঁর প্রথম পূর্ণ মৌসুম, তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচেই জিদানের সামনে ছিল হোঁচট খাওয়ার শঙ্কা। ঘরের মাঠে ৮৮ মিনিট পর্যন্তও স্পোর্টিং ক্লাব ডি পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে পিছিয়ে রিয়াল! কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃপ্তি নিয়েই ফিরেছেন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি। শেষ পাঁচ মিনিটের অবিশ্বাস্য নাটকীয়তায় উল্টো ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল।
শুরুটা দুর্দান্ত হলো ম্যানচেস্টার সিটিরও। পেপ গার্দিওলাকে ঘিরে ইউরোপের কুলীন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে ক্লাবটি, যাত্রার শুরুটাও হলো স্বপ্নের মতো। সার্জিও আগুয়েরোর হ্যাটট্রিকে ঘরের মাঠে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। বড় জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও। লেগিয়া ওয়ারশকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে টমাস টুখেলের দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় দিনে নয় ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত গল্প নিশ্চিতভাবেই রিয়ালের প্রত্যাবর্তনের। গল্পের নায়ক? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচটা তাঁর শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে, ম্যাচের আগে আলো তাই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের ওপরই ছিল। ম্যাচ শেষেও আলোটা নিজের দিকেই রাখলেন রোনালদো। দল পিছিয়ে, নির্ধারিত সময়ের বাকি আর ২ মিনিট—এমন সময় ফ্রি-কিক থেকে করলেন দুর্দান্ত গোল। যাতে হলো একটা রেকর্ডও, চ্যাম্পিয়নস লিগে ফ্রি-কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোল এখন তাঁর (১২)।
তবে এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ গোলের পরও রোনালদো উল্টো দুহাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। চাওয়ারই কথা, স্পোর্টিংকে তিনি কী করে ভোলেন? ম্যাচ শেষে বললেনও, ‘উদ্যাপন করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি আজ যা, সেটি এই ক্লাবটির কারণেই। ওদের আমি অনেক সম্মান করি। ওরা সব সময়ই আমার হৃদয়ে থাকবে।’
৪৭ মিনিটে ব্রুনো সিজারের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রোনালদোর গোলে সমতা। রিয়ালের রাতটা পূর্ণতা পেল যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে, হামেস রদ্রিগেজের দুর্দান্ত ক্রসে হেড করে জিদানের দলকে জিতিয়ে দিলেন আলভারো মোরাতা। রোমাঞ্চটা ম্যাচ শেষেও ছিল রিয়াল কোচ জিদানের কণ্ঠে, ‘এটাই রিয়াল মাদ্রিদ এবং আমরা জানি মিনিটের মধ্যেই আমরা ম্যাচের অবস্থা বদলে দিতে পারি। খেলোয়াড়েরা দুর্দান্ত চেষ্টা করেছে, সেটার ফলও পেয়েছি।’
রিয়ালের ম্যাচে ছিল রোমাঞ্চ, আর ম্যানচেস্টার সিটির পারফরম্যান্স ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। ধীরে ধীরে যেন ‘গার্দিওলার দল’ হয়ে উঠছে ম্যানচেস্টারের নব্য ধনী ক্লাবটি। দ্রুতলয়ের পাসিং, খেলোয়াড়দের জায়গা বদল করে নেওয়া, বল হারালে তা প্রতিপক্ষের পা থেকে কেড়ে নেওয়া…গার্দিওলাকে ঘিরে এমন দিনেরই তো স্বপ্ন দেখছিল সিটি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সটা পরিণতি পেয়েছে সার্জিও আগুয়েরোর পায়ে। আগের রাতে গ্রুপের অন্য ম্যাচে বার্সেলোনার ৭-০ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি, সেটিরই যেন জবাব দিলেন ‘বন্ধু’ আগুয়েরো। সিটির অন্য গোলটি কেলেশি ইহিয়ানাচোর।
বড় জয়ের হাসি ডর্টমুন্ডেরও। বায়ার্ন ছেড়ে ‘ঘরে’ ফেরার পর প্রথম গোল পেয়েছেন ডর্টমুন্ডের একাডেমিতেই বেড়ে ওঠা মারিও গোটশে, ডর্টমুন্ডও ফিরেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অ্যাওয়ে ম্যাচে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়ের গর্ব নিয়ে। গ্রুপের পরের ম্যাচ রিয়ালের সঙ্গে, একটা হুঁশিয়ারিও কি দিয়ে রাখল টুখেলের দল? রয়টার্স, এএফপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91210109_a3c2d920-680c-43cc-8fa2-2b4f754e338fডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্যে এমন প্রায় ১২০০০ শিশু পাওয়া গেছে, যাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এদের অর্দ্ধেকেরও বেশি শিশুকন্যা। যদিও আইন অনুযায়ী এদের বিয়ের বয়স হয় নি, তবুও জনগণনার তথ্যেই উঠে এসেছে সে দেশে বাল্যবিবাহ কতটা ব্যাপকহারে ঘটে থাকে। নতুন যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সারা দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন ১২,১০৫টি শিশুকে পাওয়া গেছে যাদের বয়স ১০-১৪ বছর। আবার এদের মধ্যে রয়েছে ৬৫০০ কন্যা শিশু। ভারতে আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ।
২০১১ সালের সর্বশেষ যে আদমশুমারি হয়েছিল, সেখানে আরও জানা যাচ্ছে যে আট কোটি ৩০ লক্ষ কিশোরীর বিয়ে হয়েছে, যাদের বয়স এখনও ১৮ পার হয়নি।
বাল্যবিবাহ রোধে বিহার আর ঝাড়খন্ড রাজ্য দুটিতে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রেকথ্রু। সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লীনা সুশান্ত বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “এমন অনেক কিশোরীই আমাদের কাছে এসে বলে যে হঠাৎই তারা একদিন সকালে ঘুম ভেঙে উঠে দেখেছে বাড়িতে কোনও উৎসবের আয়োজন হচ্ছে। মা বা বড়দের কাউকে জিগ্যেস করে তারা জানতে পেরেছে যে সেদিন নাকি তার বিয়ে।”
“বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে মেয়েদের মতামত তো নেয়া হয়ই না, অনেক সময়ে মায়েদের মতামতেরও কোনও মূল্য থাকে না। সংসারের কর্তাই ঠিক করেন কখন মেয়ের বিয়ে দেবেন – সেটা আবার নির্ভর করে কখন তাঁর হাতে কিছুটা অর্থ জমা হয়েছে, তার ওপরে,” আরও বলছিলেন লীনা সুশান্ত।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল জানাচ্ছে, ভারতের সর্বশেষ জনগণনার পর থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১৪ কোটি কন্যা শিশু বা কিশোরীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেসব কন্যা শিশু বা কিশোরীর ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে ১৬% বিয়ের প্রথম বছরেই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ছে আর প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ কন্যা শিশু বা কিশোরী সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। লীনা সুশান্ত বলছিলেন, বাল্যবিবাহটা শুধু যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে হচ্ছে তা নয়, বিহার, ঝাড়খন্ডের উচ্চবর্ণের শিক্ষিত পরিবারও শিশু বা কিশোরীর বিয়ে দিচ্ছেন ১৮ বছরের আগেই।
“সমস্যাটা শিক্ষা-অশিক্ষার নয়। যদিও অনেক সময়তেই শিক্ষার প্রসার এই বাল্যবিবাহ আটকাতে পারছে গ্রামে গঞ্জে। কিন্তু মূল বিষয়টা হল জাতপাতের সমস্যা।”
”কোনও উচ্চবর্ণের ব্যক্তিও তাঁর কিশোরী কন্যার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, হয়তো উঁচু জাতেরই একটা ভাল পাত্র পেয়ে গেছেন তিনি আর বেশি অপেক্ষা করতে গেলে যদি বেশি বরপণ দিতে হয়, তাই ১৮-র আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে কিশোরীদের। প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীগুলি বা যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছয় নি, সেখানে তো এই সমস্যা আছেই,” বলছিলেন মিজ সুশান্ত।
বাল্যবিবাহের পরে আবার ১৮বছরের আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাগুলো অবশ্য বেশ নতুন।
যে সব গ্রামের কিশোর বা যুবকরা বাল্যবিবাহের পরে রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে কাজ করতে চলে যাচ্ছে, সেখানেই এটা দেখা যাচ্ছে বেশি করে। তারা বাইরে গিয়ে যখন জগৎটাকে দেখছে, চিনছে, তখনই তারা আর দেশের বাড়িতে রেখে আসা শিশু বা কিশোরী স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চাইছে না। তাদের ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে।
বাল্য বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই উত্তরপ্রদেশ, বিহার আর পশ্চিমবঙ্গের স্থান।
রাজস্থানে যদিও সব থেকে বেশি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে, তবে সেখান থেকে খুব বেশি কেউ বাইরে কাজ করতে যায় না, তাই বাল্য-বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91209909_mediaitem91209902ডেস্ক রিপোর্ট: তরুণী করিশ্মা ওয়ালিয়ার কুকুর খুব পছন্দ। তার পোষা কুকুরটির নাম লুসি।
তাকে করিশ্মা এতটাই ভালবাসেন, যে নিজের বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙ্গে দিতেও পিছপা হননি তিনি। তাঁর হবু স্বামীর আবার কুকুর মোটেই পছন্দ নয়। অতএব মিস ওয়ালিয়ার সিদ্ধান্ত, বিয়েই করবেন না ওই ছেলেকে! দক্ষিণ ভারতের শহর ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা ওই তরুণী এখন দিল্লি লাগোয়া গুরগাঁওতে থাকেন। একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন।
তাঁর বাবা মা মেয়ের জন্য পাত্র পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু সেই ছেলের শর্ত ছিল বিয়ের পরে সঙ্গে কুকুর রাখা চলবে না। রাজী হন নি করিশ্মা। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হবু স্বামী। দিনকয়েক আগে হোয়াটস্অ্যাপে কথোপকথনের সময়ে করিশ্মা স্পষ্টই জানিয়ে দেন কুকুরটিকে না নিয়ে যেতে পারলে তিনি বিয়েই করবেন না।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে করিশ্মা ওয়ালিয়ার এই কুকুর প্রেমের কাহিনী।
সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে করিশ্মা আর তাঁর হবু স্বামীর মধ্যে কথোপকথনেরই স্ক্রিন শটও। করিশ্মা সেখানে লিখেছেন, “আমি কারও জন্যই কুকুরটাকে ছেড়ে যেতে রাজি নই।” তখনই হবু স্বামী ওই যুবক বলে বসেন করিশ্মা যেন কুকুরটিকেই বিয়ে করেন। আর সেখানেই শেষ সম্পর্ক। তবে ওই হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরে তা নিয়ে আসছে নানা ধরনের মন্তব্য। বেশীরভাগই অবশ্য করিশ্মাকে সমর্থন জানিয়ে লেখা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

12ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মাঝে এমন কিছু প্রাণী যা আপাতদৃষ্টিতে আমরা তেমন বিপজ্জনক বলে মনে না করলেও এসব প্রাণীর অনেকগুলোই বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি প্রাণীর তালিকা। এক প্রতিবেদনে বিজনেস ইনসাইডার বিষয়টি জানিয়েছে।

১. মশা
সামান্য মশার কামড়কে অনেকে কোনো গুরুত্বই দেন না। যদিও মশা আমাদের কত ক্ষতি করে তা জানলে আপনি হয়ত মশার দিকে আর সেভাবে তাকাবেন না। পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী প্রাণীর নাম মশা। এ প্রাণীটি প্রতি বছর সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি রোগ হয়। আর এসব রোগেই মূলত মানুষের মৃত্যু ঘটে।

২. মানুষ
মানুষই মানুষের বড় শত্রু। আর এ কথাটি যে মোটেই ভুল নয় তার প্রমাণ পরিসংখ্যান। প্রতি বছর মানুষ প্রায় ৪ লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে খুন করে।

৩. সাপ
প্রায় সারা পৃথিবীতেই রয়েছে বিপজ্জনক প্রাণী সাপ। এ প্রাণীটির কামড়ে বছরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর এ কারণে সাপ মানুষের মৃত্যুর জন্য তৃতীয় দায়ী প্রাণী।

৪. কুকুর
কুকুরের বহু রূপ রয়েছে। আপনি কিভাবে প্রাণীটিকে পুষছেন কিংবা রাখছেন তার ওপর বহু বিষয় নির্ভর করে। কুকুর নিরাপত্তার কাজসহ নানা ধরনের জীবন রক্ষাকারী কাজে পারদর্শী। তবে এ কুকুরই আবার সঠিকভাবে যত্ন না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আর এ অবস্থায় মানুষকে কামড়ালে মানুষেরও মৃত্যু ঘটে। জলাতংক রোগে প্রতি বছর ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যার ৯৯ শতাংশই কুকুরের মাধ্যমে ছড়ায়।

৫. স্বাদুপানির শামুক
স্বাদুপানির শামুক প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এটি মূলত প্যারাসাইটিক পরজীবী বহন করে। এটি মানুষের দেহে চলে এলে পেটের মারাত্মক ব্যথা তৈরি হয় এবং মানুষের মৃত্যু হয়। এ রোগে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

৬. খুনী ছারপোকা
অ্যাসাসিন বাগ নামে এক ধরনের ছারপোকা খুবই বিপজ্জনক। একে কিসিং বাগও বলা হয়। এটি চ্যাগাস ডিজিজ নামে একটি রোগ বহন করে। এ রোগে বছরে প্রায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

৭. টিসেটসি মাছি
আফ্রিকার মাছি টিসেটসি মারাত্মক একটি রোগের জন্য দায়ী। স্লিপিং সিকনেস নামে এ রোগে মারাত্মক মাথাব্যথা, জ্বর, অস্থিসন্ধী ব্যথা, চুলকানী ইত্যাদি দেখা যায়। পরবর্তীতে মস্তিষ্কের আরও কিছু জটিলতা তৈরি হয়, যা থেকে রোগীর মৃত্যু হয়। এ রোগে বছরে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যেজন্য দায়ী এ মাছি।

৮. গোলকৃমি
গোলকৃমি মানুষের দেহের অভ্যন্তরে বাস করে এবং প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটায়। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এ গোলকৃমি।

৯. কুমির
আফ্রিকায় প্রতি বছর প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটায় কুমির। এ সংখ্যা প্রায় এক হাজার।

১০. ফিতাকৃমি
ফিতাকৃমি এমন এক প্রাণী, যার দেখা পাওয়া মুস্কিল। কিন্তু অন্তরালে থেকে এটি বহু মানুষের মৃত্যু ঘটায়। পেটের ভেতর এটি সংক্রমণ ঘটায় এবং বছরে প্রায় ৭০০ মানুষের মৃত্যু ঘটায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2ডেস্ক রিপোর্ট: পেছনে আইএস এর পতাকা আর সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ইব্রাহিম হাসান খান ও জুনায়েদ হোসেন খান নামের দুই যুবক উঁকি দিয়ে গেছেন ফেইসবুকে আসা এক ছবিতে, যাদের নাম রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রকাশিত নিখোঁজদের তালিকায়।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর নিখোঁজ ১০ যুবকের যে প্রথম তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকাশ করেছিল, সেখানে ওই দুই ভাইয়ের নাম আসে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এই দুই ভাই এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় এক বছর ধরে নিরুদ্দেশ।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে ইব্রাহিম হাসান খানের ফেইসবুক পৃষ্ঠায় ওই ছবি প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তা সরিয়ে অথবা গোপন করে ফেলা হয়। অবশ্য ততোক্ষণে ওই ছবির স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছেন অনেকেই।

ওই ফেইসবুক পেইজ যে ইব্রাহিমের এবং ছবিতে যে তাদের দুই ভাইকেও দেখা গেছে, তা নিশ্চিত করেছেন তাদের পরিচিত একজন।

“সকালে ফেইসবুকের টাইমলাইনে ইব্রাহিম আর ওর বড় ভাই জুনায়েদের ছবি দেখে চমকে উঠেছিলাম। ইব্রাহিমের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখলাম ছবিতে আরেকজন আছে। পেছনে আইএসের মতো পতাকা। কখনো ভাবিনি এমন কিছু ঘটেছে,” বলেন মালয়েশিয়ার সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারহান ইসলাম, যিনি এক সময় সৌদি আরবে ইব্রাহিমের সঙ্গে একই স্কুলে পড়েছেন।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ কমিশনার মহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন।

ওই ছবিতে তিন তরুণের গায়েই দেখা যায় কালো পোশাক; প্রত্যেকের হাতে পানীয়র গ্লাস। সামনের টেবিলে ও চেয়ারের পাশে দেখা যায় রাইফেল ও পিস্তলের মত অস্ত্র।

ছবিতে তিনজনের মাঝে সানগ্লাস পরা যে যুবককে দেখা যায়, তিনি ইব্রাহিম এবং তার পাশে লাল পাগড়ি পরিহিত যুবক জুনায়েদ বলে ফারহান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest