ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে সাজসজ্জায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তার উৎস জানতে চেয়েছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে এতো সাজসজ্জার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দলের ২০তম সম্মেলনের ‘মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটি’র নেতারা শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাক্ষাতের সময় উপস্থিত তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন। এ উপলক্ষে মঞ্চ ও সাজসজ্জার অগ্রগতি জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটির সদস্যরা। এর মধ্যে তিনজন সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘সাজসজ্জার এতো টাকা কোথায় পাও, কোথা থেকে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এতো সাজসজ্জা কেন?’ তখন সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘না নেত্রী, খরচ বেশি নয়; অল্প।’ তখন প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বলেন, ‘এ জন্য আমি আগেই বলেছি, চাঁদাবাজি করা যাবে না। খরচ হবে দলীয় তহবিল থেকে।’ এরপর প্রস্তুতির কথা অবহিত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী আবার বলেন, ‘দূরো, রাখো তো, কিসের মধ্যে কী?’
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মইনুল ইসলাম: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন বলেছেন, আবহমান কাল ধরে এদেশে হিন্দু, মুসলিমসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে মিশে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। বাঙালির এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় যেন কোন অপশক্তি আঘাত না করতে পারে তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। সাতক্ষীরার মানুষ শান্তিপ্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তার সন্তান ঘৃণ্য জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে। তিনি আরও বলেন সাতক্ষীরার কোন সন্তান যেন ঘৃন্য জঙ্গি হয়ে সাতক্ষীরার সুনাম নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী পূজা। সামনে আর দুইটা দিন আছে এই দুইটা দিন যেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে ও উৎসব মূখর পরিবেশে উদ্যাপন করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আশাশুনির কাদাকাটিতে অনুষ্ঠিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। পূর্ব কাদাকাটি সার্বজনীন অনুদান দুর্গা মন্দিরের আয়োজনে বিকাল ৪টায় হলদেপোতা নদীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, সাবেক এমপি আলহাজ্ব ডাঃ এস এম মোখলেছুর রহমান, আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, এমপি ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর সরকার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মিলন, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের সহধর্মীনি মেহের নিগার আক্তার ও ইউএনও সুষমা সুলতানার মাতা আনোয়ারা বেগমসহ উভয় পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার দর্শক মনমুগ্ধের মত নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা উপভোগ করেন। নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতায় ষষ্টগ্রাম নৌকাবাইচ দল, পুইজালা নৌকাবাইচ দল, মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল, সোনাবাদাল নৌকাবাইচ দল ও কুলপোতা নৌকাবাইচ দল অংশ গ্রহণ করে। প্রতিযোগীতায় কুলপোতা নৌকাবাইচ দল প্রথম, মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল ২য় এবং ষষ্টগ্রাম নৌকাবাইচ দল ৩য় হয়। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অপ্রতিম: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দীন জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় বলেন, আমি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব নিতে চাইনি। কিন্তু আমাকে এখানে জেলা মাজিস্ট্রেট হিসাবে পাঠানো হয়েছে। আমি যখন দায়িত্ব নিয়ে এসেছি তখন থেকে সাতক্ষীরাকে আমার নিজের জেলা মনে করি। আমি যদি এই জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বলবো আমাকে সেখানে ফেরত নিতে। অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় আমি গত মাসে আমার অধীনস্থ ৯ জনকে সাসপেন্ড করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমি যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং অন্যদেরও অনুরোধ করব স্ব স্ব বিভাগেও যেন অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। অনিয়মের বিরুদ্ধে তার এই র্দঢ় অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা সাধারণ মানুষ


